Anulekhon.blogspot.com

Saturday, 12 June 2021

নির্বাচনের পর সাধারণ নির্বাচকের কোন দাম নেই। ।


 পশ্চিমবঙ্গ চোরে দের দল বদল এটা লেগেছিল থাকবেও, একবার এ ফুল তো আরেকবার ও ফুল। পশ্চিমবঙ্গের সংস্কৃতি হয়ে গেছে দল বদলের। যার যখন যেমন মনে হচ্ছে সে সে রকম দল বদল করে নিচ্ছে, একবার ভাবুন সেই সব মানুষদের কথা যারা গত এপ্রিল মাস ভর সরকার বিরোধী ভোট দিয়ে এদের জিতিয়ে এনেছে। অনেক চোর চিটিংবাজ অবশ্য শাসক দলের হয়ে জয় লাভ করেছে। আজ যিনি দল বদল করলেন সেই বিধানসভার ভোটার গন কিন্তু সরকার বিরোধী ভোট দিয়ে ছিল সে কারণেই জয় লাভ করে ছিলেন উনি, তাদের ভোটের কোন দাম নেই, আজ তারা সকলেই শাসক দলের। আমার এই বিষয়ে খুব অবাক লাগে ঐ সব এলাকার ভোটার দের কথা ভেবে ভোট দিলেন এদল কে আর এক মাসের মধ্যে পাল্টে হয়ে গেলেন। যার বিরুদ্ধে ভোট দিয়ে ছিলেন তার পক্ষে, খুব ভালো তাই না। আসলে পশ্চিমবঙ্গ এই দল বদল আরও দীর্ঘ হবে। একদিন আসবে বিজেপি তৃণমূল একটা দলে পরিণত হয়ে গেছে। পশ্চিমবঙ্গের শাসক দলের এটা একটা কৌশল বিজেপি কে তুলে ধরতে হবে সে কারণেই তারা ভোটের আগে দল বদল করে বিজেপি তে গেছে। এখন ভোট মিটে গিয়েছে আবার ফিরে আসছে। এক সময় এমন হবে, বিধানসভায় বিরোধী দল বলে কিছু থাকবে না, থাকলেও নামে থাকবে, কারণ আর এস এস দ্বারা পরিচালিত এই বঙ্গের শাসক দল। আর এস এস দেখেছে বি জে পি কে ক্ষমতায় আনতে হলে তৃণমূল নেত্রী কে দরকার কারণ নেত্রী থাকলে রাজ্যে আর এস এস তার শক্তি বৃদ্ধি করতে পারে না হলে এই রাজ্যে আর এস এস বাড়বে না। আর এস এস না বাড়লে বি জে পি বাড়বে না, সর্ব ভারতীয় ক্ষেত্রে একটি কথা তারা প্রচার করতে শুরু করেছে বাঙালি প্রধানমন্ত্রী চাই, আর এস এস এটি কে এগিয়ে নিয়ে যেতে চায় তার কারণ মোদী ও শাহের উপর মানুষের আস্থা কমছে এটা তারা বুঝতে পারছে সে কারণেই বিকল্প তৃণমূল এবং তার নেত্রী যিনি কৌশলে পশ্চিমবঙ্গে আর এস এসের ক্যাম্প খুলতে সাহায্য করে যাচ্ছেন, এবং বিশেষ করে কম্যুনিস্ট দের একেবারে শেষ পর্যায়ে নিয়ে চলে গেছেন। আর এস এস এটাই চায়, কারণ তারা স্বাধীনতার আগে থেকেই দেখে আসছে তাদের প্রধান বিরোধী হচ্ছেকম্যুনিস্টরা। এই কম্যুনিস্টদের যদি আটকে রাখা না হয় তাহলে কোন মতেই হিন্দু রাষ্ট্র গঠন মোটেই সম্ভব নয়, এই কারণেই তারা পশ্চিমবঙ্গরে মুখ্যমন্ত্রী কে সর্ব ভারতীয় করে তুলতে মরিয়া। আর এস এস দেখেছে কম্যুনিস্টদের দমিয়ে বা আটকিয়ে রাখতে পারে আধা ফ্যাসিস্ট তথা স্বৈরাচারী এই শাসক। আর এই কারণেই দল বদল, এক সময় দেখা যাবে পশ্চিমবঙ্গে বিরোধী দল বলে কিছু নেই,। আর এস এস সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সব হচ্ছে এই রাজ্যে। পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব নির্বাচন কে মানুষের রায় কে মর্যাদা দেওয়া এই মর্যাদা দিতে গেলে একটা কাজ খুব জরুরী, ভোটের মেশিন বা পঞ্চায়েতের ব্যালট বাক্স জমা দেওয়ার পর ঐ দিন ভোর থেকেই গননা শুরু করা। ফলাফল পরে ঘোষণা করা হবে কিন্তু গননা ঐ রাতেই শুরু করে দিতে হবে, যদি কমিশন এটা করতে পারে তাহলে অনেকটাই আটকানো যাবে ভোটের কারচুপি এবং নির্বাচনের নামে প্রহসন। 

No comments:

Post a Comment

বাঙালি ও বর্তমান ভারত।

 (ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...