Anulekhon.blogspot.com

Friday, 30 April 2021

পশ্চিমবঙ্গরে নির্বাচনের ফল ঘোষণার আগেই মন্ত্রী সভা গঠনের সভা কীসের ঈঙ্গিত।


পশ্চিমবঙ্গরে নির্বাচন মিটে গিয়েছে আগামী কাল ভোট গননা ফল ঘোষণা, কিন্তু তার আগেই এক্সিট পোল বা বুথ ফেরত সমীক্ষায় যা দেখিয়েছে তাতে শাসক দলের জয় জয়কার, বিজেপি দ্বিতীয় বাকি দল তথা সংযুক্ত মোর্চার কোন স্থান নেই তারা এত যে প্রচার করল প্রার্থী দিল তাদের অস্তিত্ব এই বাংলায় নেই, তাদের সভা গুলো তে এত যে সব গিয়ে ছিল সব চোর চিটিংবাজ মিথ্যাবাদী ধাপ্পাবাজ দের ভোট দিয়ে এসেছে। সেই কারণেই তারা শূন্য বা  একটা দুটো আসন পাবে। বুথ ফেরত সমীক্ষায় সেটাই দেখাচ্ছে, কিন্তু বিজেপি তো সংখ্যা গরিষ্ঠতা পাবে না এটাই সব বুথ ফেরত সমীক্ষায় সামনে আসছে, তবুও বেনিয়া অমিত শা আর নাড্ডা আর রাজ্যের কিছু নেতারা দিল্লিতে বৈঠক সেরে ফেললেন কে মুখ্যমন্ত্রী হবে কে কোন মন্ত্রী হবে। এটা থেকে বোঝা যাচ্ছে রাজ্যের শাসক দলের জেতা বিধায়ক দের দলে নিয়ে সরকার গঠন করবে বিজেপি। দিদি   রাজ্যের মানুষের সাথে দারুণ খেলা খেললেন, বিজেপির মতো একটা  অসভ্যের দলকে বাংলার মানুষ কে উপহার দিতে   যাচ্ছেন। সাধারণ বাঙালির সাথে দারুণ খেলা  যে ছেলে টি এই গানটি লিখেছে তার প্রশংসা না করে পারলাম না। বাঙালি কে  বেনিয়ার কাছে বিক্রি করে  দেওয়ার খেলা। 

রেড ভলেন্টিয়ার ও সাধারণ মানুষ।


 পার্টির ছাত্র যুব মিলে রেড ভলেন্টিয়ার তৈরি করেছেন। খুব ভালো কাজ কারণ মানুষের বিপদে মানুষের পাশে  দাঁঁড়ান লাল পার্টির ছেলে মেয়েরা ছাড়া কেউ নেই। গত তেরো চোদ্দ মাস আগেও ছিল না, আজও নেই। আজ সোশ্যাল মিডিয়ায় একটা পোস্ট দেখলাম জানি না কোন পার্টির ছেলে মেয়েরা অক্সিজেন সিলিন্ডার এর দাম নিয়ে রীতিমতো বচসা হচ্ছে এবং বলছে এই তোমরা সেবা করছ না সেবার নামে ব্যবসা করছ। তারা দুুটো সিলিন্ডার নিয়েছে দাম আট হাজার টাকা টাকা করে ষোল হাজার, আরেকটা জায়গা  রিফিলিং করার টাকা নিয়ে বচসা রীতিমত অপমান করা হচ্ছে। যদি কিছু না মনে করেন তবে  পার্টির নেতা দের বলছি যারা এসব করছে তাদের বলুন, যেখানে টাকা দেওয়া নেওয়ার মত সেবা অর্থাৎ অক্সিজেন এবং এম্বুলেন্স ইত্যাদি এসব ক্ষেত্রে সরাসরি যোগাযোগ করতে বলুন আপনারা নম্বর দিয়ে দিন সোশ্যাল মিডিয়ায় দিয়ে দিন। যারা রেড ভলেন্টিয়ার হয়েছ, তারা মানুষের কাছে সাহায্য নিয়ে মাস্ক বিলি এলাকায় স্যনেটাইজ করা সচেতন করে প্রচার করুন। যেসব জায়গায় মোটা অঙ্কের টাকা প্রয়োজন সেব কাজ না করাই ভালো কারণ সাধারণ মানুষের কাছে সন্দেহের জায়গা তৈরি হচ্ছে। একটু ভেবে দেখতে অনুরোধ করছি। সকলে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই কামনা করি। 

Wednesday, 28 April 2021

পশ্চিমবঙ্গরে শেষ দফা ভোট অশান্তি ছাড়া হলো না।


 আর কত রক্ত ঝড়বে বাঙালির জানি না, বাংলা তে কি শান্তি ফিরবে না। ২০১১ সালের পর থেকে যে কটা নির্বাচন হয়েছে একটি নির্বাচন ও শান্তি তে হয় নি। অথচ বাংলায় শান্তি ফেরানোর জন্য মানুষ বাম সরকার কে সরিয়ে ক্ষমতায় এনে ছিল বর্তমান শাসক দল তৃণমূল কে। সেই শাসক আজ তাদের ক্ষমতা দেখাচ্ছে সাধারণ মানুষ কে বিশ্বাস করতে পারছে না। আসলে ক্ষমতায় থাকা মানে জনগণের টাকা লুট করা, কিছু অশিক্ষিত এবং অর্ধশিক্ষিত মানুষ কে মদ মাংস খাইয়ে মানুষ মারার কাজে লাগানো। এই অশান্তি এই সব মানুষ গুলো আগের সরকারের আমলে করেছে, এখন তা স্বীকার করছে। বাঙালি আর কবে বুঝবে একটা সরকারের দায়িত্ব জনগণের জীবন কেড়ে নেওয়া নয়, তার অধিকার থেকে বঞ্চিত করা নয়। সরকার মানে সকলের জন্য কোন নির্দিষ্ট দলের লোকের স্বার্থে সরকার নয়। এরা বলছে জনগণের জন্য এতো কাজ করে তা সত্ত্বেও মানুষ কে খুন করতে হচ্ছে। নিজেরা নিরাপত্তা নিয়ে ঘোরে আর ক্ষমতার দম্ভে অন্ধ হয়ে, কিছু আঁতেল অশিক্ষিত মানুষ কে দিয়ে কু কাজ করায় তোরা মর আমি বেঁচে থাকি। আরেকটা ছবি দিলাম এটি বীরভূমের দাপুটে নেতার, এ প্রতিটি নির্বাচনে অশান্তি পাকানোর মাষ্টার একে গ্রেফতার না করে পুলিশ পাহারা দিচ্ছে, ভাবা যায় বাংলার রাজনীতি কোথায় নেমেছে। কাল সন্ধ্যা থেকে নানুরে বোমাবাজি চলছে আর নেতা বলছে, ফাইন খেলা হবে। এরা জনগণের নেতা, মানুষের ভালো চায়। এদের জন্য  সারা ভারত তথা বিশ্বে বাঙালির মাথা  হেঁঁট হয়ে যাচ্ছে। 


কেবল এ কেন বারাকপুরের অর্জুন সিং এখন বিজেপির নেতা চুরি ছ্যাঁচরামি সবেতেই ওস্তাদ সেও জেলের বাইরে। বাঙালি এসব চায়! জানি না, আর কত দিন এসব দেখতে হবে, কোভিড19 এ মানুষ মরে যাচ্ছে, চিকিৎসার ব্যবস্থা করা যাচ্ছে না। শশ্মানে মৃতদের লাইন পরে গেছে এই অবস্থায় আরও যাতে বেশি করে মানুষ কে মারা যায় তার ব্যবস্থাপনা করে দিচ্ছে, বিজেপি আর তৃণমূল নেতা মন্ত্রীরা। মানুষের মৃত্যু এদের আনন্দ দেয়, আর কত মানুষের মৃত্যু হলে এরা থামবে। এই সব নেতা মন্ত্রী কে মানুষ বললে মানুষ শব্দের অপমান করা হয়। ছিঃ বাঙালি ছিঃ ।

Tuesday, 27 April 2021

প্রতিটি জেলায় অক্সিজেন কারখানা হবে।

 


ভালো লাগলো কথাটা শুনে, কারণ জানেন এই ঘোষণা শুনে আমার একটা প্রবাদ বাক্য মনে পড়ছে, ঘরে আগুন লেগেছে চল পুকুর কাটি। ঐ পুকুরে জল জমবে সেই জল দিয়ে আগুন নেভানো হবে। গত বছর জানুয়ারি থেকে ভারতে করোনা হতে শুরু করেছে, একটা নতুন হাসপাতাল তৈরি করা হয় নি, বা হাসপাতালে বেড বাড়ানো হয় নি। জানা নেই ভ্যাকসিনের নামে কী দেওয়া হচ্ছে? কারণ ভারতে এখন ফ্যাসিস্ট সরকার প্রতিনিয়ত মিথ্যার ফুলঝুড়ি জনগণ কে ধ্বংস করে দিচ্ছে। রাজ্যের সরকার ও কেন্দ্রীয় সরকারের একটাই কাজ যেন তেন প্রকারে ক্ষমতায় আসা। ক্ষমতায় এলেই কোটি কোটি টাকা লুঠ করা যায়। সারদা সহ চিটফাণ্ড আজ অতীত, কাটমানি, বালির তোলা, গরু পাচার আরও করা যাবে এতে মানুষ মরল তো কি হয়েছে? সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ কে ভুল বোঝাতে বেশি ক্ষণ সময় লাগে না, কারণ কর্পোরেট মিডিয়া আছে প্রতি নিয়ত এই দুই দলের হয়ে যাবতীয় মিথ্যা কথা প্রচার করে এমন একটা আবহাওয়া তৈরি করা হয়েছে যে বাংলায় আর কোন রাজনৈতিক দল নেই কেবল এই দুই দল প্রতিদিন এমনকি ভোট চলার সময়েও নিউজ ১৮ সহ বিভিন্ন চ্যানেলে দেখানো হচ্ছে এদের মধ্যে কে এগিয়ে কে পিছিয়ে। আজ যখন মানুষ আবার বিপদে পড়েছে, আবার লক ডাউনে যেতে হবে, তখন আবার প্রতিশ্রুতি দিয়ে চলেছে এই দুই দল আর এদিকে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস পত্রের দাম হু হু করে বাড়ছে। বাজার আগুন খেটে খাওয়া মানুষের রোজগার নেই,প্রায় অর্ধেক বাঙালির ঘরে একবেলা খাবার জুটছে। কারণ একটাই কাজ নেই, টাকা নেই, গরীব মানুষ ঋণে জড়িয়ে পড়ছে। রেশন সে তো শাসক দলের নেতা কর্মী নিজের দলের লোক জন কে বি পি এল করে রেখেছে। রেশনের চাল এনে তারা গরীব মানুষ কে বিক্রি করে? দারুণ ব্যবসা ২ টাকা কিলো চাল ১৫ থেকে ২০ টাকায় বিক্রি। বাম আমলে এরকম পরিস্থিতিতে গরীব মানুষের জন্যে একটা রিলিফ বলে কিছু খাদ্য দ্রব্য দেওয়া হতো বিনামূল্যে রেশনের দোকান থেকে কোন রেশন কার্ড লাগতো কেবল পঞ্চায়েত থেকে দেওয়া একটা স্লিপ দেওয়া হতো। সে সব আজ অতীত যদি বা কোথাও আছে সেখানেও ঐ শাসক দলের কর্মী সব তুলে এনে বিক্রি করে দিচ্ছে বা বিলি করে দেখাচ্ছে আমি দিচ্ছি। দারুণ সরকার চলছে এক বছর ধরে ঘুমিয়ে কাটিয়ে দিল, একজন রাম মন্দির, সংসদ ভবন তৈরি করতে ব্যস্ত, আরেক জন দুর্গা পুজো ক্লাব কে টাকা পুরোহিত ভাতা, পদবী ঘোষ সেও শাসকের কল্যাণে সেও পুরোহিত হয়ে গেছে। আর এই কারণেই সাধারণ মানুষ কে ভোট দিতে বাধা দেওয়া হয়েছে বা হচ্ছে। সাধারণ মানুষের কাছে এই ব্লগের মাধ্যমে আবেদন আগামী ২৯ শে এপ্রিল আরেক দফা ভোট বাকি আছে। ঐ দিন যে ৩৫ টি আসনে ভোট হবে, নিজের ভোট নিজে দিন বাম সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থী দের বিপুল ভোটে নির্বাচিত করুন। 

Saturday, 24 April 2021

বাংলায় সেই বাঙালি কোথায়!

এই কয়েক দিন আগে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পূর্ণ হল সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র দামোদর দাস মোদী। ভারতে নরেন্দ্র মোদী বা তার দল বিজেপি মুসলিম দের উপর অত্যাচার করছে এই অজুহাতে হিন্দুদের উপর অত্যাচার নামিয়ে আনে, হেফাজতে ইসলাম নামে একটি ধর্মীয় সংগঠন তার কিছু ছবি এখানে দিলাম ।
আরো ছিল এগুলো তার কয়েকটি মাত্র। যারা এসব করলেন তাদের যুক্তি ভারতে বিজেেপি তথা নরেেন্দ্র মোদী সরকার মুুসলিম দের উপর অত্যাচার করছে সে কারণেই ওপার বাংলার সনাতন ধর্মের মানুষ এবং তাদের ধর্ম স্থানের উপর আক্রমণ। ওপার বাংলার মানুষ যারা এসব করলেন তাদের কাছে রোহিত ভেমুলা, গৌরী লঙ্কেশ এরা খুন হলেন এবং উত্তর প্রদেশের সেই দলিত মেয়ে মনীষা বাল্মিকি আবার জেলে বন্দি ৮০ বছরের উপর বয়স ভারভারা রাও আরও কত সাংবাদিক আজ জেলে আছে জানেন। বলুন তো এরা কেউ মুসলিম ছিল? আরেকটা বড়ো কথা আসামের দিকে তাকান সেখানে ১৯ লাখ বাঙালি ডিটেনশন  ক্যাম্পে বন্দি আছে, তার মধ্যে ১৪ লাখ সনাতন বা হিন্দু ধর্মের মানুষ। আসলে আপনারা নিজেদের বাঙালি বলে   ভাবতে চান না। নিজের ধর্ম দিয়ে ভাবেন। আপনি বা আপনারা ভাবেন আরব দেশের মানুষ স্বয়ং হজরত মুহাম্মদের বংশ ধর। আপনারা স্বীকার করুন আর না করুন সারা বিশ্ব জানে বাংলাদেশের অধিকাংশ মুসলিম সনাতন ধর্মের মানুষ,স্বেচ্ছায় বা জোর করে বা নিজের জীবন বাঁচাতে তারা ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে ছিলেন। অনেকেই সনাতন ধর্মের উচ্চ বর্ণের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে ছিলেন। আমার ভাবতে অবাক লাগে  আপনারা বাংলা ভাষার জন্য আন্দোলন করছেন, আর এই ভাাষা আন্দোলন থেকে একটা নতুন দেশের জণ্ম হয়েছে বা পশ্চিম পাকিস্তানের থেকে স্বাধীনতা পেয়েছেন। দেশটা তৈরি হওয়ার ইতিহাস ভাবুন বা জানুন  ইংরেজের বিরুদ্ধে সব থেকে বেশি লড়াই করা জাতি হচ্ছে বাঙালি,  ইংরেজ সব সময় চাইত বাঙালি জাতি  ধ্বংস হোক, তারা কিন্তু সফল কারণ সেই ১৯৪৬ এর দাঙ্গা দিয়ে শুরু এবং ধর্মের নামে দেশ ভাগের মধ্যে দিয়ে শেষ। ইংরেজ দের বিরুদ্ধে লড়াই বা স্বাধীনতার লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিত ওপার বাংলার মানুষ লড়াই আন্দোলন সংগঠিত   করতে পারত আর এ কারণেই বাংলা ভাগ, ইংরেজ জানত ইসলাম ধর্মের মানুষ পাশ্চাত্য শিক্ষায় বিশ্বাস করে না তারা ধর্ম ছাড়া আর কিছু জানেন না আর কেবল অপরের সম্পদ লুট করতে পারে।আপনি বা আপনার ধর্মান্ধতা পারবে বাঙালি কে ধ্বংস করতে। সেদিন বাংলা ভাগেে সহায়়তা কারী প্রধান বাঙালির নাম শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী যাকে বিজেপি তাদের প্রতিষ্ঠাতা মানে। এই শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী ছিলেন ইংরেজ দের চাকুরে বা গোলাম আর ইংরেজ ছিল বণিক আর এখন ভারতের ক্ষমতায় যারা সেই বিজেপি ও  বড়ো বড়ো কর্পোরেট বা ব্যবসা দার দের দালাল এবং বাঙালি বিদ্বেষী ঠিক ইংরেজ দের মত। এ কথা বলছি তার কারণ আসামে এবং ত্রিপুুুরার বাঙালি দের অবস্থা  দেখুুন। আপনারা আজও বাঙালি হয়ে উঠতে পারলেন । 

Friday, 23 April 2021

বিজেপি বাঙালি বিদ্বেষী, এরা বার বার নাগরিকত্বের কথা বলে কিন্তু বেকারত্ব নিয়ে কিছু বলে না। ।


এই ভদ্র মহিলা  বাংলা তথা বাঙালির উদ্দেশ্য বলছেন, যারা বাংলাদেশ থেকে এসেছেন, তাদের কাগজ পত্র ঠিক না থাকলে ফেরত যেতে হবে। ওনার পদবী দেখে মনে হচ্ছে উনি বাঙালি নন। আমি বাঙালি অবাঙালির মধ্যে বিভাজন করতে চাই না, কারণ আমি মনে করি আমি প্রথমে আমি একজন ভারতীয় তারপর বাঙালি। যাহোক আজ পর্যন্ত বিজেপির যে সব নেতা মন্ত্রী NRC, CAA NPR নিয়ে যে ভাবে বাঙালি কে ভয় দেখাচ্ছে সেটা নিয়ে আমার কয়েকটি প্রশ্ন আছে,  বাংলা তথা ভারত ভাগ করল কারা? বাংলা ভাগ করার সময় সাধারণ বাঙালির মতামত জানতে চাওয়া হয়েছিল কি? আমি জানি উত্তর আসবে না কারণ কয়েক জন তথা কথিত বাঙালি হিন্দু এবং মুসলিম নেতা বলি আর তখন কার ইংরেজের গোলাম বলি তাদের মতামত নিয়ে বাংলা ভাগ করে দেওয়া হয়েছিল। হিন্দু দের মধ্যে প্ররধা ব্যক্তিটি ছিলেন শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী আর মুসলিম লীগের হয়ে ছিলেন তখন কার দিনে কলকাতার শাসক সুরাবর্দী। এদের উস্ককানি তে 1946 সালে বাংলায় হিন্দু মুসলিম দাঙ্গা হয়েছিল, একটি জুটমিলের হিন্দু কর্মীদের প্রথম এই দাঙ্গায় বলি দেওয়া হয়েছিল। কলকাতায় বিভিন্ন হিন্দু বস্তিতে দাঙ্গা এবং লুট পাট চলার তিন দিন পর। গোপাল মুখার্জী, তিন কলকাতায় পাঁঠার মাংস বেচতেন সে কারণে লোকে তাকে গোপাল পাঁঠা নামে ডাকত। এই গোপাল পাঁঠার নেতৃত্বে শুরু হলো পাল্টা আক্রমণ বেশ কয়েক দিন চলার পর সুরাবর্দী শান্তির বার্তা দিলেন, থামল দাঙ্গা। এর পরই শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জীর নেতৃত্বে কয়েক জন বাঙালি ইংরেজের কাছে দাবি করেন বাংলা কে ভাগ করা হোক হিন্দুরা এই মুসলিম দের সাথে বাস করতে পারে না। ইংরেজ শাসক লুফে নিয়ে ছিল কথাটা কারণ তারা 1905 সালে বাংলা কে ভাগ করতে চেষ্টা করেও পারেনি, কারণ তখন বাংলায় রবীন্দ্র নাথ ঠাকুর আর অন্য অনেক বিশিষ্ট বাঙালি মানুষ বাংলা কে ভাগ করতে দেননি। শেষ পর্যন্ত শুরু হয়েছিল বঙ্গ ভঙ্গ আন্দোলন যে আন্দোলন চরম রূপ নেয় 1910 থেকে 1911 সালে ইংরেজ শাসক বঙ্গ ভঙ্গ রোধ করতে বাধ্য হন। ভারতের রাজধানী কলকাতা থেকে দিল্লিতে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
এত গেল ইতিহাস, অনেকেই বলছেন দেশ যখন স্বাধীন হয়ে ছিল তখন বিজেপি ছিল না, তাহলে বিজেপি কেন দেশ ভাগের দায় নেবে। যারা এই কথা বলছে তাদের মনে করিয়ে দিতে বলি তখন কার হিন্দু মহাসভা আর কত গুলো হিন্দুত্ব বাদী সংগঠন মিলে বর্তমান বিজেপি আর বাংলায় একটি হিন্দুত্ব বাদী সংগঠনের নেতা ছিলেন শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী। তিনি ইংরেজ কে দিয়ে বাংলা ভাগ করতে সমর্থ হন কারণ তিনি ইংরেজ সরকারের গোলাম ছিলেন। সব থেকে বড়ো লজ্জা লাগে এই শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী বাংলার বাঘ স্যার আশুতোষ মুখার্জীর সন্তান। বাংলা ভাগ হলো, ধর্মের নামে এবার ওপার বাংলার হিন্দুরা দলে দলে এপার বাংলায় আসতে লাগলো কিন্তু এপার বাংলার মানুষ তাদের মেনে নিতে পারে নি। এই শ্যমাপ্রসাদ মুখার্জি দের মতো কিছু মানুষ সুক্ষ্ম বিভাজন তৈরি করতে সমর্থ হন ওরা বাঙাল বাঙালি নন। কেন কি কারণে তারা নিজেদের ভিটে মাটি ছেড়ে এপার বাংলায় এসেছে সেটা বলা হয় নি। সে ইতিহাস মুছে ফেলা হল, এই বাঙালি হিন্দুরা 1947 সালের 15 আগষ্টের আগে পর্যন্ত ছিল ভারতীয়, তার পর তারা হয়ে গেছে পাকিস্তানের নাগরিক কারণ দেশ ভাগের সময় বাংলার এই পূর্ব ভাগ পূর্ব পাকিস্তান নামে পরিচিত ছিল। এই 1947 এর আগষ্ট থেকে 1972 সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত যে সব বাঙালি হিন্দু ওপার বাংলা থেকে ভিটে মাটি ছেড়ে এসেছে তারা পাকিস্তানি নাগরিক। আর 1972 এর 25 শে ডিসেম্বর পর যারা এসেছে তারা বাংলাদেশী। একটা জাতির নাগরিকত্ব কত তাড়াতাড়ি বদল করা যায় সেটা এই বাঙালি হিন্দু জাতি কে না দেখলে বিশ্বাস করা কঠিন। বিজেপি এই নেত্রী কে বলছি আপনি বিশ্বাস করুন আর না বাঙালি হিন্দু জাতির সাধারণ মানুষ কিন্তু এগুলো চায় নি। তরা চায় নি ধর্মের নামে দেশ ভাগ, আর ধর্মের নামে মানুষ খুন। ধর্ম নিয়ে যারা ক্ষমতা দখল করতে চায় সেই সব ক্ষমতা লোভী কিছু নেতার জন্য বাংলা ভাগ ।আপনি জানেন না, বাংলা কোনো দিন সহজে কোন অপশক্তির কাছে মাথা নত করে নি। একটু ইতিহাস টা পড়ে দেখুন দেখতে পাবেন বাংলায় মোঘল কে ঢুকতে বাধা দেওয়া সেই বার ভুইঞা অর্থাৎ বারো জন সামন্ত রাজা তারা কেউ পাঠান কেউ বাঙালি হিন্দু সকলে মিলে মোঘলের আগ্রাসন কে রুখে দিয়ে ছিল। নবাব আলীবর্দী খাঁ তিনি বর্গী দমন করে বাঙালি কে রক্ষা করে ছিলেন, তিনি হিন্দু মুসলমান দেখেন নি, সিরাজ অত্যাচারি এটার জন্যে সিরাজের বিরুদ্ধে ষঢ়যন্ত্র করে ইংরেজ শাসনের সুচনা করা সেই বাঙালির মধ্যে কেবল মিরজাফর ছিল না, ছিল জগৎ শেঠ, উমির চাঁদ, রাজা কৃষ্ণ চন্দ্র রায় আরও অনেকে এর মধ্যেও সিরাজ চেষ্টা করে ছিলেন তার প্রজারা যাতে শয়তান ইংরেজের কবলে না পরে। আপনি তো বাঙালির ভালো চান তাই বলছি বাঙালির নাগরিকত্ব নিয়ে আপনাকে ভাবতে হবে না সে তারা ঠিক বুঝে নিতে পারবে। আপনি বাঙালির বেকারত্ব নিয়ে বলুন কেন্দ্র সরকার কে বলুন কেবল বিজ্ঞাপনে চাকরি না দিয়ে বাস্তবে নিয়োগ করতে। দেশের সাধারণ মানুষের সম্পদ কর্পোরেট সংস্থার কাছে বিক্রি না করে নতুন করে তৈরি করতে। ইংরেজ সরকারের মত সাধারণ গরীব মানুষ কে বিভিন্ন ভাবে মৃত্যু মুখে ঠেলে না দিয়ে বা শোষণ না করে খাদ্য বাসস্থান স্বাস্থ্য বা চিকিৎসার ব্যবস্থা করে তাকে সুস্থ ভাবে শান্তি তে বাঁচাতে দিন। বাংলা কে আসাম করে তুলবেন না। বাঙালি কিন্তু লড়াই করতে জানে এটা মনে রাখবেন। 

Wednesday, 21 April 2021

আগামী কালকের ভোট শান্তিপূর্ণ হোক।


 আগামী কাল 22 /4/2021 রাজ্যের 43 টা বিধানসভা কেন্দ্রে নির্বাচন। বিভিন্ন মিডিয়ায় চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ দিল্লির শাসক কটা পাবে আর রাজ্যের শাসক কটা আসন পাবে এই নিয়ে গরমা গরম আলোচনা। কোন মিডিয়ায় দেখছি না বলছে না   রাজ্যের তথা দেশের করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মারাত্মক আকার নিয়েছে। মহারাষ্ট্র, দিল্লি, উত্তর প্রদেশ প্রভৃতি রাজ্যে করোনা মড়ক লেগেছে, এর মধ্যে ভাষণ বাজ প্রধানমন্ত্রী একচোট ভাষণ দিয়েেছ। হাসপাতালে বেড নেই, অক্সিজেন নেই, রাস্তায় পরে আছে করোনা রুগী তার মধ্য দিল্লি লক ডাউন ঘোষণা করে দিয়েছে। অন্য রাজ্যের শ্রমিক আবার ফিরে আসছে যা হোক এবার ট্রেন বন্ধ হয়ে যায় নি। এত খারাপ খবরের মধ্যেই পশ্চিমবঙ্গে ভোট যেন আর শেষ হয় না। দেখা যাবে আগামী কাল ভাষণ বাজ প্রধানমন্ত্রী পশ্চিমবঙ্গে কোথাও না কোথাও ভাষণ দিতে আসবে। কলকাতা হাইকোর্ট যতই নির্দেশ দিক ওসব থোরাই কেয়ার কারণ ওসব আইন আদালতের উর্ধ্বে এই ভাষণ বাজ প্রধানমন্ত্রী দেশের লজ্জা এই রকম একটা চোর চিটিংবাজ ঢপবাজ মিথ্যাবাদী অশিক্ষিত মানুষ আজ ভারতের প্রধানমন্ত্রী আর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী একজন খুনি। এদের কাছে সাধারণ মানুষের মানুষ নয় মানুষ মরলে এরা আনন্দ করে। যেমন দেশের সরকার তেমন এই রাজ্যের সরকার কিছুতেই শান্তি চায় না। কেবল উস্ককানি মুলক উগ্র কথা, রাজ্যের এত ভালো করেছেন তাহলে মানুষ কে এত ভয় কিসের মানুষ তো নাচতে নাচতে আপনাকে ভোট দেবে, তবুও আপনার এবং আপনার নিরাপত্তা নিয়ে ঘোরা নেতারা প্রতি নিয়ত মানুষ কে ভয় দেখিয়ে যাচ্ছে কেন? কেন বিরোধী দলের পোষ্টার ছিঁঁঁড়ে দিয়ে দেওয়াল লিখন মুছে দিচ্ছে, আসলে আপনার এবং মোদীর বিরোধীতা সহ্য  হয় না। বিরোধী শূন্য করতে চান, আসলে আপনি বুঝতে পারছেন আপনি যা বলেছেন বা করছেন সেটা উন্নয়ন নয়  দয়ার দান। 

সাধারণ শিক্ষিত মানুষ কে বলি আপনারা কালকের ভোটে এদের প্রচোনায় পা না দিয়ে নিজের ভোট নিজে দিন। মনে প্রকৃত উন্নয়ন কখনো এই সব শ্রী এবং সাথী হতে পারে না। দেশের খেটে খাওয়া মানুষের কাজের জায়গা করে দেওয়া, শিক্ষিত বেকারের চাকরি দেওয়া। নিজের ভোট নিজে দিন। বাঙালির জাতির সুনাম অক্ষুন্ন রাখুন, আসুন সকলে মিলে আমরা আবার 1977 ফিরিয়ে আনি। সংযুক্ত মোর্চা কে ভোট দিয়ে বাংলায় শান্তি ফিরিয়ে আনি। কারণ শান্তি ছাড়া কোন উন্নতি সম্ভব নয়। 

Saturday, 17 April 2021

2021 বাংলা কার? বাংলার মানুষ শান্তির পক্ষে।


 ২১ বাংলা কার বলে এই সব চ্যানেল প্রচার করে চলেছে বাংলা বর্তমান শাসক দলের আবার কোন সংবাদ চ্যানেল প্রচার করে চলেছে বাংলা বিজেপির বা কেন্দ্রীয় শাসক দলের। বাম কংগ্রেস আই এস এফ যারা বাংলায় শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করে যাচ্ছে তাদের কোন মূল্য নেই। বিগ্রেড সভায় অত লোক আর তার পরবর্তীতে বিভিন্ন প্রচার সভায় উপস্থিত জন জোয়ার সে সব মানুষ শান্তি চায় না, এদের মত ঘুষ খোর চ্যানেল চায়। আর দুর্নীতির গ্রস্থ দাঙ্গা বাজ খুনি  মাফিয়া চোর বদমাশ দের সরকারের আনতে চায়। আসলে এই চ্যানেল গুলো চায় না, বাঙালি শান্তিতে থাকুক। ভোট এলেই মানুষ মরুক রক্ত পাত হোক এসব এদের উদ্দেশ্য। আরেকটা চ্যানেল নিউজ 18 বাংলা ভোট চলছে তার মধ্যে দেখিয়ে যাচ্ছে কে কটা আসন পেতে পারে বা পেয়ে ছিল সেখানে বামে কংগ্রেস শূন্য জানা নেই নির্বাচন চলা কালীন এটা দেখানো যায় কিনা?ছবি টি দিলাম। 


এরা চায় ভোটের সময় এভাবেই বাংলার প্রতিটি প্রান্তে মানুষ ভোটের লাইনে আক্রান্ত হোক আর পুলিশ প্রশাসন চুপচাপ বসে থাকুক। ভোটের আগে এসব দূস্কৃতি দের গ্রেফতার করা দরকার ছিল তারা আজ জেলের বাইরে এই কারণেই অশান্তি এর মূলে বর্তমান শাসক দল। এই দেখুন দিদির কথায় বাহিনী কে ঘেরাও করে বিক্ষোভ। 


আরেকটা ছবি দিলাম কিভাবে চাকদহে নির্দল প্রার্থী প্রকাশ্য রাস্তায় বন্দুক নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। 



আরও কিছু অশান্তির খবর দিলাম, সব গুলোই ডেইলি হান্ট নামক নিউজ পোর্টাল থেকে নেওয়া ছবি। এই ছবি গুলো দেখে এবং যারা বাড়িতে টিভিতে দেখছেন তাদের বলছি তারা চান এই রকম বাংলার প্রতিটি নির্বাচনে কোন না কোন মায়ের কোল খালি হোক, আপনি আমি বা আমরা শান্তি প্রিয় বাঙালি এটা চাইছি না কিন্তু উপরে দেখানো টিভি চ্যানেল এবং আরও কিছু কর্পোরেট পরিচালিত টিভি চ্যানেল প্রতি নিয়ত এক পেশ সংবাদ পরিবেশন করে বাঙালি জাতির সর্বনাশ ডেকে আনতে চাইছে। আমার আবেদন ছবি গুলো দেখে বিচার করে আগামীতে যে তিন দফা ভোট বাকি আছে সে খানে সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থী দের ভোট দিয়ে জিতিয়ে আনুন শান্তি আসবে। কারণ 2011 সালের মত শান্তি পূর্ণ ভোট আমি চাই। আর এবারের ভোট হোক 1977 সালের মতো গোপনে সব ছাপ বাম বা সংযুক্ত মোর্চায়। এবার ছবি গুলো দিলাম। 






এগুলো কয়েকটি আরও আছে দিলাম না, বর্তমান শাসক দলের নেত্রী মাননীয়ার কাছে আবেদন আপনার ক্ষমতার লোভ, আর টাকার লোভ মানুষ কে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে আপনি চাইলে বাংলায় শান্তি আসবে বাংলা তথা বাঙালি কে শান্তি দিন। মানুষের সাথে মানুষের মত আচরণ করুন। 


পশ্চিমবঙ্গরে সর্বত্র গনতান্ত্র ধ্বংস করা হয়েছে গত দশ বছর ধরে।


 বিগত দশ বছর ধরে পশ্চিমবঙ্গে এই চিত্র সর্ববত্র, ভোট দান মানুষের গনতান্ত্রিক অধিকার মানুষ সরকার পক্ষের কাজ হল মানুষ কে নিরাপত্তা দেওয়ার। কেবল মাত্র নেতা মন্ত্রী দের নিরাপত্তার ব্যবস্থা না করে জনগণের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা। এই ছবিটি আজ অর্থাৎ 17 /4/2021 এর একটি বুথ এলাকার চিত্র, এখানে ভোট দিতে গিয়ে ছিল কিন্তু কিছু দুষ্কৃতী এরা বলছেন শাসক দলের দুস্কৃতি ভোট দিতে দেয় নি, মেরে মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে সকাল থেকে এই অবস্থা চলছে, এখন পুলিশ এসেছে বোঝাতে ভোট দিতে যাবার জন্য, কিন্তু এরা রাজি নয় কারণ ভোটের পর্ব মিটে গেলে আবার চরম অত্যাচারের হুমকি দেওয়া হয়েছে। আসলে এখন রাজ্যে দূস্কৃতির সরকার চলছে সাধারণ মানুষের কোনো অধিকার নেই, সত্যি কথা বলতে পারে। আচ্ছা এদের মধ্যে অনেকেই আছেন সরকার পক্ষের ভোটার জানি না। আদৌ এরা নিজেদের গনতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে পারবে কিনা? আমার একটাই কথা ভোট তো ঘোষণা করা হয়েছে কবে, পুলিশ জানে না কাদের কাছে অস্ত্র আছে বা এলাকায় দূস্কৃতি কারা তাদের ধরলেই এবং উপযুক্ত     শাস্তির ব্যবস্থা করলেই এগুলো বন্ধ হয়ে যায়, না তা করা যাবে না ওপর থেকে নির্দেশ আছে এসব করলেই বদলি না হলে অন্য শাস্তি অপেক্ষা করে আছে। কারণ রাজ্যের আর দেশের মাথা এই দুটোই বদের ধারী নররক্ত না দেখলে এদের রাতের ঘুম আসে না। এই সব গরীব খেটে খাওয়া মানুষ গুলোর অবস্থা দেখে সত্যিই মায়া হয়, এরাই দশ বছর আগে ভোট দিয়ে এই সরকার তৈরি করেছে, এখন এদেরি   বিশ্বাস করে না। এটা তো কেবল মাত্র একটা জায়গার ছবি, সকালে দেখলাম পুলিশের সামনে এক ব্যক্তি পিস্তল নিয়ে রাস্তায় নেমে পড়েছে ভোটার দের ভয় দেখিয়ে ভোট আদায় করতে। সকাল সাতটা বাজার আগেই বাইক পুড়িিয়ে দেওয়া হয়েছে। জানা নেই আর কত মানুষ মরলে এই নররক্ত পিপাসা মিটবে। আর মানুষ তাদের জীবন বিপন্ন করে একটা ভোট দেবে। পুলিশ প্রশাসন কে অনুরোধ করছি যদি সত্যি চান গনতান্ত্রিক ব্যবস্থায় সকল নাগরিক সুস্থ ভাবে ভোট দিতে পারেন তার ব্যযবস্থাপনা করে দিন। প্রতিটি এলাকার দূস্কৃতি দের ধরুন আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিন, না হলে পশ্চিমবঙ্গে গনতন্ত্র বলে কিছু থাকবে না। 

Friday, 16 April 2021

ক্ষমতা আর অর্থ লোভী কিছু নেতার জন্য নির্বাচনে প্রাণহানী।


 আজ পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চমদফা নির্বাচন, শুরু হলো, ইতিমধ্যে বিভিন্ন জায়গায় এজেন্ট বসা বা এজেন্ট কে বার করে দেওয়া হয়েছে বা হচ্ছে। আবার এজেন্টের বাইকে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। এসব ঘটনা ঘটছে কেবল মাত্র কিছু অবিবেচক অশিক্ষিত ক্ষমতা আর অর্থ লোভী নেতা নেত্রীর জন্য প্রায় প্রতিদিনই নিয়ম করে কিছু নেতার উস্ককানি মুলক উগ্র কথা আজ এই পরিস্থিতি তৈরি করেছে পশ্চিমবঙ্গে। এদের বিরুদ্ধে না আছে পুলিশের ব্যবস্থা না আছে অন্য কিছু কাল দেখলাম বীরভূমের মাথায় অক্সিজেন কম যাওয়া নেতা বলছেন প্রয়োজনে খুন খারাপি হবে। মুখ্যমন্ত্রী বলছেন বাহিনী কে ঘেরাও করে ভোট করতে, বিজেপির নেতাদের বক্তব্য, পাঁচ জন কে মেরেছে ওটা জায়গায় জায়গায় হবে। আমরা সাধারন মানুষ আমরা এদের ভোট দিয়ে   জয়ী করে ক্ষমতায় আনব এরা আমাদের নিরাপত্তা দেবে। যারা একটু লেখা পড়া  জানেন এবং বোঝেন তাদের কাছে প্রশ্ন ভাবুন ভাবতে শিখুন। আমরা কি বুঝি   পাঁচ বছর ক্ষমতায় থেকে যা যা মানুষের জন্য করেছ সে গুলো মানুষ দেখেছে সে গুলো দেখেই মানুষ ভোট দেবে, না মানুষের উপর আস্থা নেই কারণ  জানে কাটমানি চুরি বাটপারি চিটিংবাজি করে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছে সেটা মানুষ দেখেছে। জনগণের জন্য ঐ. পাঁচশ হাজার টাকা ভাতা আর 2000 টাকা থেকে 10000 টাকা বেতনের অস্থায়ী চাকরি সেটা পেতে হলেও ঘুষ নিয়েছে। এসব কারণে মানুষের উপর বিশ্বাস বা আস্থা নেই। সে কারণেই কিছু টাকা দিয়ে মদ মাংস খাইয়ে বোমা পিস্তল ধরিয়ে দিচ্ছে যুব সমাজের হাতে, তোরা মারামারি করে মর, আমি ক্ষমতা পেলেই হবে। যে মায়ের কোল খালি হচ্ছে সে জানে জ্বালা কতটা, আমি জানি না এরা কোন  মৃত  মানুষের প্রাণ ফিরিয়ে দিতে পারে কিনা? আমি সাধারণ মানুষের কাছে আবেদন করব নিজের বিচার বিবেচনা দিয়ে ভোট দিন মারামারি করবেন না। এতে নেতা দের কিছু হবে না উল্টো টা তারা নিরাপত্তা বাহিনী নিয়ে ঘুরে বেড়ায় আর তোমার আমার মধ্যে লড়াই লাগিয়ে মজা দেখে, সাধারণ মানুষ মারা গেলে এই সব নেতার আনন্দ হয়। দেখতে পাচ্ছেন না মানুষের এত উপকার করেছে, সাধারণ মানুষের সাথে মিশতে পারে, ইংরেজি A  থেকে Z   বিভিন্ন নামে ক্যাটাগরি নিরাপত্তা ব্যবস্থা করতে হয়। এদের লজ্জা শরম নেই। এদের কথায় বা এদের জন্য নিজের জীবন বিপন্ন করে তুলনা। এরা বেঁঁচে থাকবে এরা যতই চুরি করুক পুলিশ প্রশাসন এদের কিছু বলবে না। আর আমি বা আপনি মুরগী চুরি করলেও ধরে ফাঁসি দিয়ে দেবে। এই সব নেতা মন্ত্রী দের মানুষ বললে " মানুষ" শব্দের অপমান করা হয়। 

Wednesday, 14 April 2021

অনুলেখন পাঠক পাঠিকা দের শুভ নববর্ষের শুভেচ্ছা।


আজ বাংলা ক্যালেন্ডার একটি নতুন বছরের সুচনা হলো বিদায় নিল ১৪২৭, শুরু হলো ১৪২৮। আজকের এই শুভ দিনে অনুলেখনের প্রত্যেক পাঠক পাঠিকাকে জানাই নতুন বছরের শুভেচ্ছা। আগামী দিন গুলো ভালো কাটুক, সকলে সুস্থ থাকুন, এই শুভ দিনে কামনা করি বাংলা জুড়ে যে যে অমানিশা চলছে সেই অমানিশা দূরে যাক, সকলের জীবনে আসুক নতুন ভোর। সকলে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ।

নববর্ষের প্রীতি শুভেচ্ছা সহ।

                       অনুলেখন। ( শ্যামল বন্দ্যোপাধ্যায়) 

বাঙালির কি অধঃপতন চোর চিটিংবাজ মিথ্যাবাদী কেও স্বাগতম জানাচ্ছে।

 বাংলার মানুষ ভুলে যায় তাড়াতাড়ি, না হলে আবেগে ভেসে যেতে ভালো বাসে। চোর চিটিংবাজ মিথ্যাবাদী দের কেও স্বাগতম জানাচ্ছে। বর্তমান শাসক দলের নেতা দল বদলে বিজেপি তে নাম লিখিয়েছেন সদ্য তিনি সভাতে উপস্থিত হচ্ছেন, আর উপস্থিত যারা আছে তারা স্বাগতম ধ্বনি দিচ্ছে। সত্যিই বাঙালি জাতির একি অধঃপতন, ভুলে গেছে গত লক ডাউনের কথা, অন্য রাজ্যে কাজ করতে যাওয়া শ্রমিকরা পায়ে হেঁটে বাড়ি ফিরেছে, দেড় মাস পর যখন শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন চালু করা হলো তাদের ফেরানোর জন্য সেখানে পিপাসার জল টুকু দেয় নি সেই সব নেতা মন্ত্রী কে স্বাগতম জানাচ্ছে বাঙালি।এই দেখুন জল এবং খাবার না পেয়ে ট্রেনের কামরায় মৃত্যু। 


যারা অনেক আশা নিয়ে কষ্ট করে নিজ ফিরে এলেন, নিজ রাজ্যে ফিরে এসেও রেহাই নেই, এলাকায় ঢুকতে দেওয়া হয়নি, মারা হয়েছে। একটু জল আর খাদ্যের অভাবে মারা গেছে কত শ্রমিক সে সব বেমালুম ভুলে ঐ সব চোর চিটিংবাজ মিথ্যাবাদী কেও স্বাগতম জানাচ্ছে ।এর জন্য দায়ী তথাকথিত কর্পোরেট পরিচালিত বেশিরভাগ মিডিয়া তাদের টি আর পি থাকবে ভালো রোজগার হবে মানুষকে বিভ্রান্ত করে এই সব চোর চিটিংবাজ মিথ্যাবাদী কে মহান নেতা হিসেবে তুলে ধরতে হবে, না হলে মোটা টাকা বেতন এবং বাড়তি আয় হবে না। ছিঃ বাঙালি ছিঃ, কেবল ভোটের জন্য যে দেশের প্রধান মন্ত্রী একটা রাজ্যে প্রতিদিন আসছে সারা রাজ্যে লোক বাস ভাড়া করে গিয়ে মাঠ ভরিয়ে তুলেছে, এমনকি অন্য রাজ্যের বাসিন্দাও হাজির আছে ঐ সভায়। এক জন চরম মিথ্যাবাদী এবং দেশের সম্পদ লুটেরা কে স্বাগতম জানাচ্ছে বাঙালি। 

আপমোর শিক্ষিত শুভ বুদ্ধি সম্পন্ন মানুষের কাছে আমার আবেদন এই দূর্নীতি গ্রস্থ চোর চিটিংবাজ মিথ্যাবাদী ঘুষখোর ধাপ্পাবাজ বেকার ছেলে মেয়েদের ভবিষ্যত নিয়ে খেলা করা তৃণমূল সরকার আর দিল্লির চিটিংবাজ বাংলা তথা বাঙালির শত্রু বিজেপি কে স্বাগতম জানাবেন না। বিজেপি যে বাঙালির শত্রু আসামের দিকে তাকিয়ে দেখুন ভোট মিটতে দেরি শুরু করেছে  বাঙালি দের ডি নোটিশ ধরাতে। বিজেপি এবং তৃণমূল মিলে আবার বাঙালি ও বাংলা কে ভাগ করতে চাইছে,  বিশেষ করে বাঙালি হিন্দু জাতির উপর নেমে আসবে এই অত্যাচার কারণ মুসলিম জাতির প্রায় কেউই বাংলাদেশ থেকে আসেনি। আসুন সকলে মিলে এই অশুভ শক্তি কে বাংলা থেকে বিতাড়িত করি। এখনও ১৫৯ টি বিধানসভা কেন্দ্রে নির্বাচন বাকি আছে, বাঙালি এবং বাংলার শত্রু কে কোন রকম জায়গা দেওয়া যাবে না। ভোট দিতে গিয়ে নিজেদের মধ্যে মারামারি করবেন না। অনেক হয়েছে আর যেন রক্ত না ঝড়ে আর যেন কোন মায়ের কোল না খালি হয়ে যায়। আজ যে টা ঘটেছে সে গুলো এই সব নেতা নেত্রীর উগ্র ভাষণের জন্যে এদের স্বাগত জানাবেন। একটা বিষয় ভাবুন এই নেতা নেত্রীরা নিরাপত্তা নিয়ে ঘোরে, আর টাকার পাহাড় করে আপনি আমি এদের কথায় মারামারি করে মরি, এটা কখনই কাম্য নয়। মারামারি দাঙ্গা না করে নিজের ভোট নিজে দিন। সকলে ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন। 

Sunday, 11 April 2021

নির্বাচন কমিশন কি চান বাংলায় শান্তিতে নির্বাচন হোক?


 নির্বাচন কমিশন সত্যি চান পশ্চিমবঙ্গে শান্তিতে নির্বাচন হোক তাহলে বাকি চার দফা কে কমিয়ে দু দফা করুন আর বাংংলা বিহারের বর্ডার শিল করে দিন। যত দফা কমবে তত এই সব জানোয়ার নেতাদের ভাষণ বাজি কমবে, মানুষ কে এরা মানুষ বলে মনে করে কোন দিন মানুষের উপকার করে নি। কেবল হুমকি আর হুমকি, কখনো গুলি করে দেব, কখনো বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেব। জানা নেই এটা বাঙালি কিনা? আরেকটা আমাদের রাজ্যের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী দিদি তার উস্ককানির জন্য আজ এতো গণ্ডগোল নির্বাচন কমিশন কে বলছি ভেবে দেখুন শাসক দলের পোলিং এজেন্ট বিরোধী দলের পোলিং   এজেন্টের চোখে   লংকাগুঁড়ো দিচ্ছে এ কোন বাংলায় বাস করছি, কেন দিচ্ছে কেবল কাটমানির জন্য। আর এজেন্ট  হিসেবে বসেছে মনে হয় কিছু টাকা পেয়েছে, না হলে মদ আর ভাগারের মাংস তো আছে   ছিঃ ছিঃ বাঙালি  ছিঃ। 

নির্বাচন কমিশন সত্যিই যদি চান বাংলায় শান্তিতে নির্বাচন হোক তাহলে চার দফা কমিয়ে দু দফা করুন না হলে আরও রক্ত ঝরবে এই সব নেতা মন্ত্রী দের ভাষণের জন্য। সত্যিই শান্তি পূর্ণ নির্বাচন চান তাহলে এখনই কত গুলো নেতাকে জেলে বন্দি করুন। রাজ্যের কেন্দ্রের মাথাটা সহ, এ রাজ্যের কেন্দ্রীয় শাসক দলের নেতা যারা কেবল ভাষণ বাজি করে উত্তেজনা তৈরি করছে তাদের জেলে রাখুন। এর সাথে যদি মনে করেন করোনা থেকে বাঙালি কে বাঁঁচাবেন তাহলে বাকি চার দফা কে দু দফা করে দিন, তাহলে এই ভাষণ বাজি কমবে আর জমায়েত কমবে, শান্তি আসবে। 


Saturday, 10 April 2021

বধির প্রশাসন শুনতে পাচ্ছেন মায়ের আর্তনাদ!


 এক দল লোক লুটে  পুটে খাবে বলে সেই ২০০৬ থেকে উঠে পরে লেগেছে। বাঙালি কে নিঃস্ব না করে ছাড়বে না, বাংলা যতখন না শসান হচ্ছে এই ক্ষষমতা লোভী অর্থ লোভী হায়নার দল কিছুতেই থামবে না। এদের  মানবিকতার লেশ মাত্র নেই, এই অর্থ পিশাচ নেতা মন্ত্রীরা এবং প্রশাসন এরা জানি না আর কত নিষ্ঠুর হতে পারে। আমার মনে হয় এরা কোন মায়ের সন্তান নয়, এদের আচরণ তাই বলে, এক দল ক্রমাগত ক্ষমতায় আসার জন্যে উদগ্রীব প্রতি নিয়ত মিথ্যা কথা বলে অর্থাৎ ছলে বলে কৌশলে যেমন করে হোক ক্ষমতায় আসতে হবে, না হলে লুটে পুটে খাওয়া যাবে না। আরেকটা দল কেন্দ্রে ক্ষমতায় আছে তবুও ক্ষমতার লোভ আর যাচ্ছে না যেমন করে হোক বাঙালি জাতিকে ধ্বংস করতে হবে। এখন তো দুই দল রাজ্যের শাসক দল আর কেন্দ্রীয় শাসক দল খোলা খুলি জোট বেঁধে নেমেছে একজন খোঁড়া পা নিয়ে বলছে খেলা হবে। বাহিনী কে ঘিরে রেখে ছাপ্পা দিতে হবে, আরেক শাসক (দিল্লির) বাহিনীর সাথে সাথে কি উগ্র হিন্দুত্ব বাদী শয়তান কে পাঠিয়েছে প্রতি যাতে করে বাঙালি জাতির কে ধ্বংস করা যায়। ভোটের নামে গুলি চালানো যায়, ভয় দেখানো যায়, এর নাম গনতন্ত্র ছিঃ ছিঃ, অশিক্ষিত বাঙালি তুমি অশিক্ষিতরয়ে গেলে জানি না কবে তোমার সেই বোধ আসবে এরা ঐ ভিক্ষা দিয়ে তোমাকে ভিক্ষারি বানিয়ে ছেড়ে দেবে আর নিজেরা কোটি কোটি টাকার মালিক হবে। আমাদের এই পরিনতির জন্য দায়ী যেমন অশিক্ষিত বাঙালি তেমন কর্পোরেট পরিচালিত  কিছু দালাল মিডিয়া, কেন্দ্রীয় সরকার, রাজ্যের সরকারের মাথা, পি কে বা আই প্যাক নামক দালাল সর্বোপরি নির্বাচন কমিশন এরা সকলেই চাইছে বাঙালি জাতি ধ্বংস হয়ে যাক। সেই স্বাধীনতার সময় থেকে এ এক গভীর ষঢ়যন্ত্র চলে আসছে। নির্বাচন কমিশন জানে না পশ্চিমবঙ্গে আট দফা নির্বাচনে বহিরাগত এবং যেখানে ভোট হয়ে যাচ্ছে সেখানের দূস্কৃতির দল নির্বাচনে এক জায়গা থেকে  আরেক জায়গায় গিয়ে  ঝামেলা করতে পারে। কারণ বর্তমান সরকারের মাথা উন্নয়ন করে ভোট চায় না। সে জানে সে উন্নয়ন করেছে কিছু মুষ্ঠি মেয় মানুষের, কারণ যে যত বেশি কাটমানি তুলতে পারে সে ততবড়ো নেতা, আর তত বড় গুণ্ডা  মাস্তান। বাহিনী এসেছে শান্তি পূর্ণ ভোট করাতে নিশ্চয়ই গুলি করে মানুষ মারতে নয়। কেবল দিদির আর দাদার ঘনঘন বাংলায় এসে উস্ককানি মূলক বক্তব্য এবং জনগণের কাছে সেটাই বড় হয়ে গেছে। দেশ বিক্রি জিনিসের দাম, বেকারের চাকরি ওসব রসাতলে যাক কেবল ধর্মের নামে উস্ককানি আর মানুষের মধ্যে দাঙ্গা লাগিয়ে দিয়ে আনন্দ নেওয়া, আর আমাদের করের টাকায় চর্ব্যচোষ্যলেহ্য পেয়ে খেয়ে দেয়ে দেশ বিক্রি করে কোটি কোটি টাকার মালিক হবে। আমি তো দেখছি বাঙালি জাতির ধ্বংসের শুরু হয়েছে। এই দল যদি ক্ষমতায় আসে দিনে দুপুরে সেনা বাহিনীর লোক ঘরে ঘরে ঢুকে গুলি করে মারবে আর এন কাউন্টার বলে চালিয়ে দেবে। মিডিয়ায় দেখছি সেনা গুলি চালাচ্ছে আচ্ছা উল্টোটা দেখানো হোক যেখানে পাবলিক সেনা কে আক্রমণ করেছে সে কারণেই আত্মরক্ষার জন্য সেনা গুলি চালিয়েছে। যে চার জন মারা গেছে তাদের ফিরিয়ে দিতে পারবে এই সরকার নির্বাচন কমিশন! এর জন্যে দায়ী মাননীয়াা দিদি, দাদা আর নির্বাচন কমিশন। এই ব্লগের মাধ্যমে দিদির কাছে অনুরোধ দিদি আর কত মানুষ মরলে আপনি এবং আপনার সহযোগি মোদি শান্ত হবেন। বাঙালি  কে শেষ না করে আপনি মনে হয় শান্তি পাবেন আপনি আসলে বাঙালি তো না গুজরাতি বাঙালির তথা বাংলার উন্নতি চাইলে কারখানা ধ্বংস করতেন না। আর কত মায়ের কোল খালি করবেন বলুন আপনার নামটা মমতা কে রেখেছে আমার জানা নেই! ছিঃ ছিঃ বাঙালি ছিঃদু টাকার চাল আর পাঁচশ হাজার টাকা    পাওয়ার জন্য নিজের ভাইয়ের রক্তে হাত রাঙিয়ে. নিচ্ছেন।  

Thursday, 1 April 2021

বর্গী এলো দেশে। (সত্তর সালের অবৈধ ভাবে বাস করছে ওপার বাংলার মানুষ)


 "ছেলে ঘুমাল পাড়া   জুড়াল বর্গী এলো দেশে,
বুলবুলিতে ধান খেয়েছে খাজনা দেব কিসে? 
ধান ফুরাল পান ফুরাল খাজনার উপায় কি? 
আর কটা দিন সবুর কর রসুন বুনেছি।" 
বাচ্চা বয়সে মা ঠাকুর মার মুখে অনেকেই এই ছড়াটি শুনেছি, এটি কেবল ছড়া নয়, এটি ইতিহাসের একটি বাংলা তথা বাঙালির উপর মারাঠা দস্যু দের অত্যাচারে কাহিনী আছে। একটু বলে নিই তারপর আসল কথা লেখা যাবে। ১৭৪১ থেকে ১৭৫০ সাল পর্যন্ত বারবার মারাঠা দস্যূরা বাংলায় লুঠ পাঠ করতে আসত কখনো স্থল পথে কখনো জলপথে ভাস্কর পণ্ডিতের নেতৃত্বে তারা শষ্য শ্যামলা বাংলার ঘরে ঘরে লুট পাট করে নিয়ে যেত। সেই সময় বাংলার নবাব আলীবর্দী খাঁ খুব দক্ষতার সাথে এদের দমন করেন এবং বাংলা কে তথা বাঙালি কে লুঠের রাজ থেকে বাঁঁচান। 
এতো গেল একটি ঘটনা ইতিহাসের আরেকটা ঘটনা ইংরেজ বণিক লর্ড ক্লাইভ মিরজাফরের বেইমানি তে ১৭৫৭ সালে নবাব সিরাজ দৌল্লা কে পরাজিত করে বাংলা দখল করে ধীরে ধীরে গোটা ভারত এই বণিক দের দখলে আসে, তার পর ১৮৫৭ সালে সিপাহী বিদ্রোহ দিয়ে শুরু হয় ইংরেজ তাড়নোর আন্দোলন সেটা শুরু এই বাংলার মাটিতে বারাকপুরে। তার পর বাংলা মায়ের অনেক দামাল ছেলে নিজের জীবন বলি দেয় ইংরেজ তাড়াতে।
বাংলার সেই অগ্নিযুগের ইতিহাস আমার মনে হয় এই কালা ইংরেজ তথা ইংরেজর দালালরা জানে না। অত্যাচারি সাহেব কে হত্যা করার জন্য বাংলা মায়ের তিন দামাল সন্তান বিনয় বাদল দীনেশ রাইটার্স ব্লিডিং এ ঢুকে তাকে গুলি করে হত্যা করে ছিলেন। বাংলা অগ্নিযুগের বিপ্লবী দের প্রবল আন্দোলন এর ভয়ে রাজধানী কলকাতা থেকে দিল্লি নিয়ে চলে গিয়ে ছিল তথাকথিত প্রবল শক্তি শালী ইংরেজ। সেখানেও রেহাই ছিল না, পৌঁছে গিয়েছিলেন রাসবিহারী বসু, বটুকেশ্বর দত্ত, দিল্লি পার্লামেন্টের ভেতরে ঢুকে বোমা হামলা করেন ভগৎ সিং, রাজগুরু শুকদেও, মূল চক্রী কিন্তু বাঙালি রাসবিহারী বসু। বর্তমান এই বানিয়া বুক ফুলিয়ে বলছে আমি বানিয়া দেশ কে লুটে পুটে খেতে এসেছি। দেশের সব সম্পদ বেচে দিচ্ছে কর্পোরেট সংস্থার হাতে, দেশের এমন কোন সম্পদ নেই যা তারা দখল করছে না। ছলে বলে কৌশলে যে কোন প্রকারে ক্ষমতা দখল কর জনগণ কে কষ্টে রাখ তারা এক মুঠো খাবারের জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে মার পিট করবে আর আমি এবং আমার বানিয়ার দল দেশের সমস্ত কিছু দখল করে নেব। আমাদের রাজ্যের কয়েক জন মানুষ ইংরেজ আমলে যারা ইংরেজের গোলামী করত এবং ইংরেজ সরকারের কাছে বাংলা ভাগ করে নিয়েছে ধর্মের নামে। সেই থেকেই বাঙালি জাতির মেরুদন্ড ভাঙতে শুরু হয়েছে, ধর্মের নামে ভাগ, জাতি গত ভাগ, আবার স্বাধীনতার সময়ে ধর্মের নামে ভাগ হওয়ার পর ওপার বাংলায় হিন্দু দের উপর অত্যাচার সে ভাষায় বর্ননা করা যায় না। সেই অত্যাচার থেকে বাঁঁচতে এপার বাংলায় এসেছে এবং তাদের মধ্যে ভাগ করে রেখেছে কীভাবে ওপার বাংলার মানুষ গুলো বাঙালি হিন্দু নয় বাঙাল আর এপার বাংলার মানুষ ঘটি, কারণ ভাষা বাংলা ভাষার বহু আঞ্চলিক ভাষা আছে। সে বেশিরভাগ অশিক্ষিত বাঙালি জানেও না, তাই কেবল নিজে দের মধ্যে ভাগ এটা কেবল এপার বাংলার অশিক্ষিত রা নয় ভালো শিক্ষিত বাঙালিরাও বলে। আমি তো মনে করি এই ভাগ করা হয়েছে যাতে বাঙালি জাতি আর কোন দিন একসাথে লড়াই আন্দোলন না করতে পারে। এটা তৈরি করা হয়েছে সেই স্বাধীনতার পর থেকে হিন্দু মহাসভার নেতাদের কৌশল। আজ সেই হিন্দু মহাসভা বলুন, হিন্দু জাগরণ মঞ্চ বলুন, জন যুদ্ধ সব মিলে মিশে আর এস এস এর তৈরি বিজেপি। যাদের মহান নেতা সাভারকর সেই নীতি এক দেশ এক ভাষা এক দেশ এক জাতি এক দেশ একটাই সরকার এক দেশ এক আইন। এই কারণেই এই লোকটা বলছে বাংলায় সত্তর সালের বেশি সময় ধরে অবৈধ ভাবে বাস করছে তাদের আমরা তাড়াব বা দেশে ফেরত পাঠানো হবে। আর এই কারণেই আরেকটা ধাপ্পাবাজ আমাদের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ সফরে যাচ্ছেন সেখানে গিয়ে মতুয়া মন্দিরে পুজো দিচ্ছেন।
কারণ বাংলার ক্ষমতায় আসার পরে শুরু হবে এন পি আর আপনি আমি যে ভোটার কার্ড নিয়ে ভোট দিলাম সেটা দিয়ে এবং আপনার কাছে থাকা সমস্ত রকম কার্ড দিয়েও প্রমান করতে পারবে না আপনি ভারতীয়, সব থেকে বড়ো বিষয় যে পাসপোর্ট বিদেশে আপনার প্রমাণ করে আপনি ভারতীয় সেটাও কাজে লাগবে না। C AA সেই রকমই আইন, ভাবুন ভাবতে শিখুন আপনার ভোটে নির্বাচিত সরকার আপনাকে বলবে আপনি নাগরিক নন। প্রমাণ করতে না পারলে চলে যেতে হবে ডিটেনশন ক্যাম্পে অপেক্ষা করতে হবে কবে বাংলাদেশের সরকার আপনাকে ফিরিয়ে নেবে, এক্ষেত্রে কোন ধর্ম নয় কারণ ঐ বণিক ঠিক করে রেখেছে বাংলা হবে পূর্ব বিহার এখানে আপনার বাড়িতে বিহারের তথা হিন্দি ভাষার মানুষ এসে বাস করবে। কলকাতার বড়াবাজারের সেদিনের ঘটনা নিশ্চয়ই দেখেছেন, ওরকম ঘটনা হামেশাই ঘটেছে সব আমরা জানতেও পারি না। আরেকবার বাঙালি উদ্বাস্তু হবে, না খেয়ে মরবে, বাংলার এই সর্বনাশের জন্য দায়ী বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী এবং যারা বিজেপি বিজেপি করে চিৎকার করছেন তারা। একবার আসাম আর ত্রিপুরার বাঙালির দিকে দেখুন বাঙালির দিকে চেয়ে দেখুন। কি করে তুলেছে, সেখানেও দিদি তৃণমূল কংগ্রেস করে ছিল ত্রিপুরার তৃণমূল কংগ্রেস এখন পুরোপুরি বিজেপি হয়ে গেছে। কারণ আমাদের মুখ্যযমন্ত্রী সেই ১৯৯৮ সাল থেকে RSS এর সাথে চুক্তি বদ্ধ যে ভাবে হোক বাংলা কে বিজেপির হাতে তুলে দিতে হবে। স্বাধীনতা লড়াই করে বাঙালি কেবল পেল লাঞ্ছনা অত্যাচার তাহলে ভারত স্বাধীন হয়ে কী লাভ হল? বাঙালি জাতি টা কে পুরোপুরি ধ্বংস করে দিল ধর্মের নামে দেশ ভাগ, আর বর্তমানে এই ইংরেজের পা চাটারা। এই ভোটের পর তৃণমূল কংগ্রেস বলে কিছু থাকবে না সবটাই বিজেপি হবে, দিদি সেটা পরিষ্কার করে বলে দিয়েছেন ৩১ /৩/2021 এ সিঙ্গুরের সভায়। আর আজকের নন্দীগ্রাম ভোট দেখে মনে হল দিদির হার সময়ের অপেক্ষা।দিদি আপনি বাঙালি কে কে বাঁঁচাতে দিন, তাদের আর উদ্বাস্তু করবেন না।কারণ আপনি ডিটেনশন ক্যাম্পের জন্য জমি দিয়ে রেখেছেন, জানিনা ক্ষমতায় এলে সিঙ্গুরে কারখানা হবে না ডিটেনশন ক্যাম্প তৈরি করবে বিজেপি। আপনি রাজ্যের তথা বাঙালির যা সর্বনাশ করেছেন এবার সরে আসুন বাঙালি কে বুঝে নিতে দিন এই হিন্দি সাম্রাজ্য বাদ কে? দেখছেন পাঞ্জাব হরিয়ানায় বিজেপি নেতা মন্ত্রীরা সিকিউরিটি নিয়েও বাইরে আসতে পারে না। পাঞ্জাবিরা শুরু করেছে দ্বিতীয় স্বাধীনতার যুদ্ধ, বাংলা শেষ করার আগেই লড়াই শুরু করতে দিন না হলে দেরি হয়ে যাবে। আরেকটা বিষয় বাংলার মানুষ নিশ্চয়ই স্বাধীনতার ইতিহাসে সশস্ত্র সংগ্রামে বাঙালির কথা জানে নিশ্চয়। এখন তো ওসবের থেকেও অত্যাধুনিক অস্ত্র শস্ত্র বেড়িয়েছে। আমাদের দেশের দুই প্রধান মন্ত্রী - - - - - - ।ইংরেজ পুলিশ কে ধোঁকা দিয়ে তিন বাঙালি যুবক রাইটার্স ব্লিডিং এ ঢুকে অত্যাচারি কে শাস্তি দিতে পারলে, এই কালা ইংরেজ এবং এদের চামচা দের সাজা দিতে পারে না। 

বাঙালি ও বর্তমান ভারত।

 (ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...