Anulekhon.blogspot.com

Sunday, 23 February 2020

বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী সঠিক বলছেন উনি বিধানসভা ভাঙচুর করেন নি।

ছবি টা দেখুন আর সেদিনের টিভি ফুটেজ দেখেও বলা যাবে উনি ভাঙেনি। কেবল চিৎকার করে বল ছিলেন আর হাতে একটা সংবিধান না অন্য কোন বই ছিল। ভাঙছিল ওনার সাঙ্গ পাঙ্গরা। আবার দেখুন উনি বিধায়ক নন তবুও বিধানসভায় ঢুকে ছিলেন, উনি সততার প্রতীক উনি কখনও মিথ্যা বলেন, সারদার, রোজভ্যালী আর সব চিটফাণ্ডের টাকা কারা কি করেছেন উনি জানেন না। কেবল ডেলো পাহাড়ে বৈঠক করে ছিলেন এটাও ওনার মনে নেই, ওনার দলের বিধায়ক মন্ত্রী সাংসদ জেলে যাচ্ছে কেন উনি জানেন না। বাম আমলে মন্ত্রী নেতা দের ধরতে এতো কমিটি না কমিশন গঠন করলেন একটা রিপোর্টও জনগণ জানতে পারল না। এমনকি সিঙ্গুর, নন্দীগ্রামের সি বি রিপোর্ট আর ঐ শহীদ দিবস 21 শে জুলাই তার রিপোর্ট রিজায়ূনুর, তাপসী মালিক সব চাপা পড়ে গেল। নেতা মন্ত্রীরা তোলা বাজ চাকরি দেওয়ার নামে টাকা তোলেন উনি জানেন না, কলেজে ভর্তি জন্য টাকা নেওয়া, সরকারের সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার জন্য টাকা নেওয়া, এসবে একদম ওনার কোনো দোষ নেই। আমি জানি উনি নিজে কিছু করেন না, যা করে সাঙ্গ পাঙ্গরা, উনি বারণ করেন কিন্তু না শুনলে কি করেন?
রাজ্যের সকলেই জানেন উনি এসব করেন না, করে সাঙ্গ পাঙ্গরা আর বদনাম হয় দিদির, কেন যে উনি রাজীব কুমারের জন্য ধর্ণায় বসলেন কে বলল ধর্ণায় বসতে, যা হোক যা কিছু হয়ছে ভালোর জন্য হয়েছে। দিদি যে সৎ সেটা সঠিক।
অনেক দিন আগেই প্রমাণ দিয়েছেন। ঐ যে তহলকা ডট কম কী একটা কেলেঙ্কারি বার করল আর উনি রেল মন্ত্রক ছেড়ে চলে এলেন। দিদি আপনি সব পারেন। এই যে নিয়োগ নেই, সরকারি কর্মীদের ডিএ নেই, যা খুশি তাই পে কমিশন। ক্লাব গুলো কে টাকা দেওয়া পূজো করতে টাকা খেলা মেলা হাজারো শ্রী এসব সবটাই ওনার বদনাম করার জন্য সাঙ্গ পাঙ্গরা করে, দিদি আপনি নতুন করে শুরু করুন এসব সাঙ্গ পাঙ্গ দের বাদ দিয়ে নতুন করে শুরু করুন। একদম ভোটের সময় কোনও গণ্ডগোল হবে না, কেউ মরবে না, দাঙ্গা হবে না। ভয় দেখানো হবে না। মানুষ শান্তিতে ভোট দেবে আপনি তহলকা কাণ্ডে দেশের গুরুত্ব পূর্ণ মন্ত্রীর পদ ছেড়ে চলে এলেন আর রাজ্যের ভালোর জন্য এক বছর আগে ভোট করতে পারেন না। বাম সরকার একবার চার বছর পর ভোট করে ছিল ঐ জন্য 34 বছর না হলে 35 বছর হতো। আপনি কু পরামর্শ দাতা দের এবং দূর্নীতি গ্রন্থ দের সরিয়ে নতুন করে করুন, আপনি ক্ষমতা দখল করবেন। হলই বা এক বছর আগে ভোট একুশের জুনে না করে কুড়ি সালে মাঝামাঝি হোক ভোট। কিছু মনে করবেন না দিদি আপনি ভালো থাকবেন সবাই কে ভালো রাখবেন। আমরা আপনাকে নতুন করে মুখ্যমন্ত্রী পাব, ভালো থাকুন সবটাই আপনার উপর নির্ভর করছে। সকলের মঙ্গল হোক শুভ হোক সকলে সুস্থ থাকুন।



দেশে কি সুকুমার রায়ের একুশে আইন চলছে?


পাকিস্তান জিন্দাবাদ বলা টা ঐ মেয়েটির ঠিক হয় নি। এটা আমার রাষ্ট্রের শাসক মনে করে যে এই কথাটা বলবে তিনি দেশদ্রোহী, আচ্ছা কোনো মানুষ যদি বাংলাদেশে জিন্দাবাদ বলে, আফগানিস্তান জিন্দাবাদ বলে, ভূটান, নেপাল, চীন, মায়ানমার জিন্দাবাদ বলে তাহলে তিনিও কি সমান অপরাধী ভারত বর্ষে থেকে অন্য দেশের কথা বলতে বা মনে করতে পারবে না। এই ট্রাম্প আসছেন কেউ আমেরিকা জিন্দাবাদ বলল তাহলে সেও কি অপরাধী সাবস্ত হবে! যদি এরকম আইন থাকে তাহলে জনগণ কে জানানো দরকার না হলে কোথায় কখন কে কোন দেশের কথা বলবে আর দেশদ্রোহী বলে গ্রেফতার করা হবে। এটা একটা বিপদ, আইন প্রণেতা গন ভালো করে ভাবুন আমাদের দেশে কি বাক স্বাধীনতা বলে বিষয়টা নেই, যদি না থাকে তাহলে নেতা মন্ত্রী এমনকি দিল্লির এক সাংসদ বলেন  গুলি করে মারা উচিত বা মেরে দেব শ্মশানে নিয়ে যেতে হবে না যে খানে মারব ওখানে পুঁতে দেব, এনারা বড়ো নেতা তাই এনারা এ সব কথা বলতে পারেন। এনাদের বাক স্বাধীনতা আছে, আমরা সাধারণ মানুষ নেতা খারাপ কাজ করলেও কিছু বলতে পারব না। চোখের সামনে দেখতে পেলাম তোয়ালের নীচে টাকা নিচ্ছে, তবুও তিনি সাধু সারদা রোজভ্যালী আরও কত গুলো চিটফাণ্ডের টাকা আত্মসাৎ করে নিয়ে সাধারণ মানুষ কে নিঃস্ব করে দিল, কত গুলো মানুষ আত্মহত্যা করতে বাধ্য হল। আর সেই চোর দল পরিবর্তন করে সাধু হয়ে গেল, প্রতিনিয়ত দেখছি মিথ্যা বলে ঠকান হচ্ছে, যে ভোটার কার্ড আধার কার্ড দেখিয়ে ভোট দিল সেই ভোটে জিতে সাংসদ বিধায়ক হলো এখন ঐ সব কার্ড  গুলো নাগরিকত্বের প্রমাণ নয়, কিন্তু তার ভোট বৈধ, অতএব দেখা যাচ্ছে একবার ক্ষমতা দখল করতে পারে তাহলে জনগণ আর মানুষ নয় তখন তারা গরু ছাগল। ক্ষমতা কিন্তু বেশিদিন থাকে না, কারণ একটা কথা আছে মানুষের সব দিন সমান যায় না। আমার তো মনে হয় নেতা দের এই ঔদ্ধত্ব তার কারণ চাটুকার কিছু জনগণ, দু টাকা কিল চাল, ভাগরের মাংস আর মদ খাইয়ে ভোট নেওয়া ভোটে নির্বাচিত হবে না, বুঝতে পারলে রিগিং চোখের সামনে দেখা যাচ্ছে জোর করে ভোট হচ্ছে এমনকি গননা কেন্দ্রের মধ্যে ব্যালটে ছাপ দিয়ে জিতে যাচ্ছে। যে সব মানুষ নেতা দের কথায় এসব করছে হয় তারা তোলা তোলে নয় মদ মাংস পায় নেতার কাছ থেকে,নেতার কাছ থেকে সামান্য ঐ উপঢৌকন পাবার জন্য নিজের জীবন বিপন্ন করে মারপিট করে। জেল তো দূর তার ঠিকি পর্যন্ত ছোঁয় না পুলিশ। আর এই কারণেই নেতা দের এই ঔদ্ধত্ব। দেশে সুকুমার রায়ের একুশে আইন চলছে, জনগণের জন্য আইন নেতা মন্ত্রী তোলা বাজ চিটিংবাজ বড়ো বড়ো চোর ( কোটি কোটি টাকা চুরি) তাদের জন্য আইন নেই। 

Friday, 21 February 2020

আসামের আদালত বলছে যে 15 টি নথি নাগরিকত্বের প্রমাণ নয়।

আসামের আদালত বলছে যে 15 টি নথি নাগরিকত্বের প্রমাণ নয় ।নাগরিক এর প্রমান কোন নথি, নেতা মন্ত্রী বলেন ভোটার কার্ড, আধার কার্ড, পাসপোর্ট কোন কিছুই নাগরিক হিসেবে প্রমাণ নয়। ভাবুন ভাবতে শিখুন এই কার্ড গুলো দেখিয়ে আপনি ভোট দিয়েছেন, ব্যাঙ্কের পাশবই করেছেন। আবার আপনি যখন বিদেশে যাচ্ছেন, বিদেশি সরকার বা লোকজন ঐ পাসপোর্ট দেখে বলছেন আপনি ভারতীয় নাগরিক, আর আপনার দেশের সরকার বলছে না ওসব প্রমাণ করে না আপনি নাগরিক, তাহলে যে টা দিয়ে প্রমাণ করার সেটা কি? আবার শুনলাম বা কাগজে পড়লাম এক দেশ এক রেশন কার্ড হবে। ঐ রেশন কার্ড কি নাগরিক হিসেবে প্রমাণ করার জন্য হবে, যদি হয় তাহলে খুব ভালো না হলে কেবল মাত্র কোটি কোটি টাকা খরচ করে একটা কাগজ বাড়ানো আর জনগণ কে রাস্তায় এনে দিনের পর দিন লাইনে দাঁড় করিয়ে রাখা কোনো মানে হয় না। যেমন এখন চলছে, মানুষ কাজ কর্ম বাদ দিয়ে আধার, ভোটার আর রাজ্য সরকারের রেশন কার্ড করতে লাইন দিচ্ছে। একটার পর একটা ফিরিস্তি, কিছুতেই শেষ হয় না। আমি এক বছর আগে আবেদন করেছি এখনও পর্যন্ত তার মানে রাজ্য সরকারের রেশন কার্ডের দেখা নেই। আমার মনে হয় দুর্গা দালানের লোক পারমিশন দেয় নি। কারণ রাজ্যের সব কিছু এখন পাড়ার ছোট বড়ো শাসক দলের নেতাদের কথায় হয়। আর এই জন্যই আসামের আদালত বলছে ঐ 15 টি নথি নাগরিকত্বের প্রমাণ নয়।নেতা মন্ত্রী দের টাকা দিয়ে একটা কাগজে লিখে আনতে হবে সেটা হবে প্রমাণ, আর আপনার ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন নেতা মন্ত্রী সে বৈধ্য নাগরিক আপনি যখন ভোট দিলেন তখন আপনি বৈধ্য নাগরিক, আপনার ভোটে নির্বাচিত সরকার ও বৈধ্য কেবল আপনি অবৈধ নাগরিক। কত সুন্দর দেশে আমরা বাস করছি, ভোট বৈধ্য নাগরিক অবৈধ। 

Thursday, 20 February 2020

ভোট এলেই,(পুরোসভার ভোট) চাকরির বিজ্ঞাপন, এত চাকরি এরপরেও আত্মহত্যা, আর বিক্ষোভ।

এখনও পাকাপাকি ভাবে দিনখন ঘোষণা না হলেও শুরু হয়েছে ভোট নেওয়ার আগে প্রতি বারের মত এই সরকারের নিয়োগ নিয়ে যুবক দের সাথে ভাঁওতা বাজি গত লোকসভা নির্বাচনের সময়েও দেখা গিয়েছিল একই বিষয়ে বিজ্ঞাপন গ্রুপ ডি থেকে, ক্লার্ক, পুলিশে নিয়োগের বিজ্ঞাপন এবার পুরোসভার ভোটের আগেও শুরু করেছে সেই একই রকম বিজ্ঞাপন এই বিজ্ঞাপন ধরেই অর্থ মন্ত্রী বলে দেবেন চল্লিশ ভাগ বেকারের কাজ হয়েছে। রাজ্যে বেকার সমস্যা কমেছে। কাগজে কলমে সব কিছুতেই এই রাজ্য প্রথম সে সরকারি কর্মী দের বেতন থেকে শিক্ষা থেকে কৃষি সবেতেই প্রথম। কেবল টাকা নেই তাই না হলে রাজ্যটা কে সোনা দিয়ে মুড়ে দিত। চাকরির বিজ্ঞাপন গুলো দেখুন। বুঝতে পারবেন, যেমন দাদা তেমন দিদি বিশ্বের এক নম্বর, মিথ্যাবাদী। মিথ্যা বলার জন্য নোবেল পুরস্কার থাকলে এরা দুজনে মনোনীত হতো।

এত চাকরি বিজ্ঞাপন এর পর বেকার ছেলে বেকারের জ্বালাসহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করে 


দশ বছর ধরে চাকরির তালিকা ভুক্তি হয়েও চাকরি হয় না। 



এরপরেও বেকার যুবক দের বলছি আবেদন করতে, আবেদন করবেন কিন্তু এই চিটফাণ্ড কেলেঙ্কারি এবং নারদা আর ঘুষখোর তোলা বাজের দল এবং দিল্লির আরেক চিটিংবাজ যে পাহারাদারের পাহারায় প্রায় চল্লিশ জন ব্যাঙ্ক থেকে কোটি কোটি টাকা ঋণ নিয়ে শোধ না করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে। দেশের মানুষ আজ ভিক্ষারীতে পরিনত হয়েছে, তাদের হয়ে লড়াই করে নিজের জীবন বিপন্ন করে ভোটের সময় মারামারি করতে যাবে না। যাকে তুমি বা তোমরা মারছ সে তোমার পাড়ার ছেলে, যার জন্য এই কাজ করছ সে এক বোতল মদ আর ভাগারের মাংস খাইয়ে তোমাকে দিয়ে মারপিট খুন খুনি করাচ্ছে, সে ভোটে জিতে আসবে তার উন্নয়ন হবে টালির বাড়ি দোতলা হবে 350 টাকার মজুর 350 কোটি টাকার মালিক হবে। তোমার জন্য বরাদ্দ ঐ পচা ভাগারের মাংস আর নকল বিষ মদ। ভোট দেবে তাকেই যারা 34 বছর রাজত্ব চালিয়েছে, তদন্ত কমিটি করেও জেলে কেন তাদের চোর প্রমান করতে পারেনি। কারণ এই পুরো ভোটে ক'জন মারা যাবে সেটা বিজ্ঞাপন দিয়ে বলবে না। চোরের দল জিততে মরিয়া হবে, মানুষ কে কি করে ভিক্ষারীতে পরিনত করা যায় তার পরিকল্পনা করবে, এ ভোট শহরের শিক্ষিত মানুষের তারা আমার থেকেও বেশি বিবেচক, এই ভোটে যদি চোর ঘুষ খোর দাঙ্গা বাজ মিথ্যাবাদী তোলাবাজের দল জেতে, তাহলে আমাদের মতো গ্রামের মানুষ কি ভাববে, শিক্ষার কোনো দাম নেই। মুন্না দের দাম বেশি, তাদের কাছে বিনা অনুমতির বন্দুক আছে। কি সুন্দর ব্যবস্থা তাই না। আশা করি শহরের শিক্ষিত মানুষ শিক্ষার পরিচয় দেবেন। 

আমার কাছে 21 শে ফেব্রুয়ারি।

আমি জানি না একটি ভাষা নিয়ে একটা জাতি কে এক করে দিতে পারে। তা এই বাংলার ভাষা আন্দোলন না দেখলে বোঝা যেত না। যদি 1952 সালে একটি ভাষা কে সরকারি ভাষা করার আন্দোলন একটা জাতির স্বাধীনতা আন্দোলনে পরিবর্তন হয়েছিল। সে আন্দোলন সফল হয়েছিল, সেই ভাষা আন্দোলন বা স্বাধীনতা কিন্তু কোন ধর্মের ছিল না, কারণ ভাষা কোনো ধর্মের হতে পারে না। কিন্তু আজ বাংলাদেশ কে দেখে মনে হচ্ছে ঐ ভাষার জন্য আন্দোলন ছিল কেবল বাহানা মাত্র একটা বিশেষ ধর্মের মানুষের কাছে ক্ষমতা দখল, 1947 সালে ধর্মের নামে ভারত ভাগ করে পূর্ব পাকিস্তানের জণ্ম মুসলিম বা ইসলাম অধ্যুষিত এই বাংলা ভাষা আন্দোলন মধ্যেও ধর্মের রং লাগিয়ে প্রতি নিয়ত হিন্দু জন গোষ্ঠীর উপর অত্যাচার করে যাচ্ছে তাদের নিজেদের দেশে এখনও তারা পরবাসী, দেশ ভাগের কলঙ্ক এখনও তারা ঢাকতে পারেনি। কারণ বেশিরভাগ ইসলাম ধর্মের মানুষ এখনো ধর্মের নামে দাঙ্গা করে অন্য ধর্মের প্রতি ঘৃনা করে জোর করে তাদের সম্পদ কেড়ে নেওয়া বা ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে বাধ্য আবার ইসলাম গ্রহণ করেও রেহাই নেই, কারণ এদের মজ্জাগত দোষ অপরের সম্পদ জোর করে দখল করা। যে জাতি প্রায় সাতশ বছর একটা দেশে বসবাস করে তাদের মহল্লায় কোন হিন্দু ধর্মের মানুষ যদি যায় তখন তাদের কথাই হচ্ছে বাঙালি এসেছে, সে বাংলা ভাষায় কথা বলছে, তবুও সে নিজেকে বাঙালি মনে করে না। সকল মুসলিম বা ইসলাম ধর্মের মানুষের কাছে নয় কারণ যারা আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত তারা বর্তমান যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে জানে। বেশিরভাগ আছে যারা তরোয়াল নিয়ে মিসাইলের সাথে লড়াই এর কথা বলে, আর অপর ধর্মের মানুষ কে ঘৃণা করে,যদি ভাষা রক্ষার জন্যে ঐ আন্দোলন হতো তাহলে আজও বাংলাদেশ হিন্দু দের উপর অত্যাচার হতো না। কারণ ভাষা কোনো ধর্মের হতে পারে না, সেখানে কোনও ধর্মের স্থান নেই, তাই তো আমি আমার মাতৃভাষার জন্য প্রাণ দেওয়া আব্দুল জব্বার, রফিক উদ্দিন আহমদ আর আবুল বরকত কে শ্রদ্ধা সাথে স্মরণ করি, পাশাপাশি প্রশ্ন আমার ক'জন ইসলামের ধর্মের মানুষ ক্ষুদিরাম প্রফুল্ল চাকি, রাস বিহারি বোস, মাষ্টারদা সূর্য সেন, কে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে একটু জানতে ইচ্ছা করে। আমার তো মনে হচ্ছে অধিকাংশ এদের নাম জানে না কারণ ওদের বেশিরভাগ ধর্মীয় শিক্ষা, ভারতের ইতিহাস বাংলার ইতিহাস পড়ে না। আমি স্মরণ করি এরা যে আন্দোলন শুরু করে ছিল সেটা ছিল আমার মাতৃভাষা বাংলা ভাষার মর্যাদা রক্ষার জন্য সেই কারণেই এরা চির স্মরণীয়। মানুষ তথা আপামর বাঙালি জাতি এদের মনে রাখবে, সর্ব শেষে একটা কথা এরা মাতৃভাষা রক্ষা করতে নিজের প্রাণ দিয়েছেন, তাই এদের স্মরণ করার পাশাপাশি এটা বলি এদের স্বপ্ন সত্যি হোক ভাষাই হোক বাঙালি জাতির মূল ভিত্তি ধর্ম নয়। বাঙালি জাতি যদি ভাষা গত ভাবে এক হতে পারে এবং ধর্মীয় শিক্ষা বাদে সঠিক শিক্ষায় শিক্ষিত হতে পারে তাহলে একদিন বাঙালি জাতি গোটা বিশ্ব শাসন করবে এ আমার দৃঢ় বিশ্বাস। কারণ এখন বাংলা ভাষা সারা বিশ্বে চতুর্থ স্থানে। আসুন আমরা সবাই মিলে প্রতিজ্ঞা করি, আমরা ধর্ম দিয়ে নয় ভাষা দিয়ে করব বিশ্ব জয়। যে ভাষা নজরুলের ভাষা যে ভাষা রবীন্দ্রনাথের ভাষা সে সুকান্তের ভাষা, যে ভাষায় কবি করেছেন বিশ্ব জয়। আমারাও এগিয়ে যাই, ধর্ম কে পিছনে ফেলে, আব্দুল জব্বার, রফিক উদ্দিন, আর আবুল বরকতের স্বপ্ন কে সফল করি। বিশ্বের এক নম্বর ভাষায় পরিণত হোক আমাদের মাতৃভাষা। 

Sunday, 16 February 2020

কেন্দ্রের নয়া পি এফ বিধি।

অন লাইন সংবাদ পত্র "আজ বিকেল" খবর কেন্দ্র সরকার নয়া পি এফ বিধি আনছে। ই পি এফ বলে কাটা টাকা সংস্থার বন্ধ হলে আর ফেরত দিতে হবে না। এরা যে ইংরেজ দের দালাল সেটা পরিষ্কার আগে ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির ব্যবসা করত ভারত কে শোষণ করতে, তাদের দালালরা যে দল খুলে ছিল আজ তারা ক্ষমতা দখল করেছে। এখন ইংরেজ তাই বড়ো বড়ো শিল্পপতি দের দালালি করে দেশটাকে আবার বনিকের হাতে তুলে দিতে চাইছেন। সরকারি সব কিছু বিক্রি করে দিতে চাইছে, যাতে এই বনিকের দল কিনতে পারে তার ব্যবস্থাপনা করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার। বি এস এন এল আগেই বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে, রেল বিক্রির পথে, LIC সরকারি হলো বলে, যদিও LIC সরকারি ছিল না কোন দিন, সরকার সামান্য অংশের অংশীদার ছিল। সেই অংশটাই বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়া হবে। ধীরে ধীরে শিক্ষা স্বাস্থ্য সব ঐ মুষ্ঠি মেয় শিল্পপতি দের হাতে তুলে দেওয়া হবে। গোটা দেশের সম্পদ তুলে দেওয়া হবে ঐ মুষ্ঠিমেয় শিল্পপতিদের হাতে। তারা দেশ চালাবে, সাধারণ খেটে খাওয়া গরীব মানুষ এবং দলিত বা হরিজন বর্গক্ষেত্রী সকলেই এদের ক্রীতদাসে পরিনত হবে, সেই কারণেই NRC CAA যেটা গুজরাতে আগেই করা হয়েছে। এদের সংবিধান ইংরেজ সরকার কে লেখা সাভারকারের 700 পাতার চিঠি আর নীতি হচ্ছে মনুসংহিতার। মনুসংহিতার ছত্রে ছত্রে আছে উচ্চ বর্ণের ক্ষমতার বিবরণ আর নিম্ন বর্ণ সেখানে ক্রীতদাস। গুজরাতের আগে করা হয়েছে, আর আজ ট্রাম্প আসবে বলে সেই ডিটেশণ ক্যাম্প সাত ফুট উঁচু পাঁচিল দিয়ে ঢেকে দেওয়া হচ্ছে। দেশের উন্নতি বিদেশিদের দেখানো যাবে না। দারুণ দেশ চলছে, আসুন আমরা সকলে মিলে এই মনুসংহিতার দল কে বাংলায় ক্ষমতায় নিয়ে আসি, দিদি খুব চালাকির সাথে রাজ্যটা কে গুজরাত করতে চাইছে। NPR হবে না বলে সরকারি কর্মীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আগামী 1লা এপ্রিল থেকে শুরু হবে এই রাজ্যে। আমার একটা কথা ভীষণ খারাপ লাগে যখন দেখি বেশিরভাগ শিক্ষিত মানুষ এই সব চরম মিথ্যাবাদী চোর চিটিংবাজ তোলাবাজ দের হয়ে প্রচার করে এবং ভোট দিয়ে আসে। রাজ্যে তথা দেশের কোটি কোটি বেকার, চাকরি নেই কল কারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। নতুন করে কিছু হচ্ছে না, মানুষের হাতে টাকা নেই, নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস থেকে সমস্ত কিছুর দাম আকাশ ছোঁয়া, নেতা মন্ত্রী ভাই ভাইপো দের তোলার চাপে মানুষের সুস্থ ভাবে বাঁচা দায় সেখানে দাঁড়িয়ে শিক্ষিত মানুষ গুলো এর পেছনে দৌড়ে বেড়াচ্ছে। যে গা জোরে বলে দিচ্ছে আমি ডিএ দিতে পারব না সব চাকরি বেতন হবে 5000 হাজার থেকে 10000 হাজার টাকা।আর চুক্তি ভিত্তিতে, কোনো স্থায়ী চাকরি নেই, সর্বত্র সিভিক পুলিশ আরকি। চাকরি তালিকা ভুক্ত হয়েছে কিন্তু ঘুষ দেয় নি সেই জন্য তাদের চাকরি হয়নি। এই সব চাকরি প্রার্থী অনশনে বসেছে এক সন্তান গর্ভা মা এই অনশন করতে গিয়ে নিজের সন্তান গর্ভে নষ্ট করে ফেলেছে। এর পরেও তাদের চাকরি হয়নি, প্রতিনিয়ত নাটক চলছে, নিয়োগের বিজ্ঞাপন আছে বেকার যুবক দের থেকে কোটি কোটি টাকা তোলার জন্য, পরীক্ষার নামে প্রহসন আছে, কেবল চাকরি নেই। কেন্দ্রের দাদা রাজ্যের দিদি দুই সমান, শিক্ষা ব্যবস্থা আজ উচ্ছন্নের পথে, বই হয়েছে মজারু আর কাঠুম কুটুম বাংলা অঙ্ক ইংরেজি কোন বালাই নেই আবার বাইরের বই পড়ান যাবে না, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানো যাবে। ভর্তি বাচ্চার জন্ম তারিখ হতে হবে 31 শে ডিসেম্বরের মধ্যে একদিন এদিক ওদিক হলেই তার একটা বছর গেল। অর্থাৎ স্ত্রীকে গর্ভবতী করতে হবে এমন ভাবে যাতে সন্তান জন্ম নেয় ডিসেম্বরের মধ্যে। এই নিয়ম কেবল সরকারি বিদ্যালয়ের জন্য, বেসরকারি বিদ্যালয়ের এসব কোনো নিয়ম নেই। সরকারের ইচ্ছা নেই শিক্ষক নিয়োগের ইচ্ছা নেই গরীব মানুষ তাদের ছেলে মেয়ে দের সঠিক ভাবে শিক্ষিত করুন। অতএব দ্বিতীয় গুজরাত হোলো বলে। সকলে ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন, আর মিড ডে মিল খাওয়ার জন্য প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠাবেন, মিড ডে মিল না হলে মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে যাবে। ঐ ব্লকে একজন দুজন করে চুক্তি ভিত্তিতে নিয়োগ পেয়েছে তিনি কথায় কথায় হুমকি দেবেন টাকা থাক আর না জিনিসের দাম যাইহোক টাকায় কুলক আর নাই হোক খাওয়াতেই হবে। কারণ বাড়িতে তো খেতে পায় না। ছুটির সময় ঐ চুক্তির কর্মী বাড়িতে গিয়ে খেতে দিয়ে আসে। এসব আগেও লিখছি কোনো ব্যাপার না। এই সব চুরি আমাদের কাছে গা সওয়া হয়ে গেছে। তাই বলছি আগামী বার - - - - - - সরকার। 

Wednesday, 12 February 2020

কী আজব দেশ, নেতা মন্ত্রী নিরাপত্তা লাগে, জনগণের নেই।

খবরে যেটা লেখা নেই, সেটা আমি লিখি জনগণ দ্বারা নির্বাচিত হন জনগণের নেতা যখন আম জনতা পার্টির বা দলের কর্মী বা নেতা ভালো ভালো কথা বলে মানুষ গুলো কে প্রভাবিত করেন তখন নিরাপত্তা লাগে না ।তখন বাইকে চেপে সাইকেল নিয়ে ঘুরে বেড়ায়, যেই নির্বাচিত হয়েছেন বেশ আর যায় লাগে নিরাপত্তা কারণ একটাই কথা বা প্রতিশ্রুতি যা দেন তার উল্টো কাজ করেন বলে। নির্বাচন জেতার জন্য যা বলেন সে গুলো জুমলা হয়ে যায় আর মিথ্যে কথা বলতে এরা ভীষণ পটু আমার মনে জ্ঞানে এরা কোনদিন সত্য কথা বলেন না। আমাদের দেশ তথা রাজ্যের মন্ত্রী নেতা সকলে এত মিথ্যা কথা বলে কল্পনা করা যায় না। যদি মিথ্যা কথা বলার জন্য নোবেল পুরস্কার থাকত তাহলে এরা প্রত্যেকেই সেই পুরস্কার লাভ করতেন, চুরি ঘুষ খাওয়া তোলা তোলা কাটমানি 75%আর 25%ভাগ চিটফাণ্ড কী থাকে না জমির দালালি না হলে যে নেতা এক সময় 280 টাকা বেতনে কাজ করত, আর সাইকেল বা বাইক চেপে ঘুরে বেড়াত সেই নেতা এখন 280 কোটি টাকার মালিক আর বাড়ির খানা দেখলে চোখ কপালে উঠবে বাড়ির সামনে দু তিন খানা দামী চার চাকা। জনগণ উচ্ছন্নে যাক না খেতে পেয়ে মরুক, ভোট এলেই 2 টাকা কিলো চাল কিছু টাকা উপঢৌকন পেনশনের নামে ঘোষণা সেটা থেকে নেতাদের ভাগ কত ইনকাম। জনগণ মরুক আমি মন্ত্রী জনগণের কাজের করের টাকায় আমার নিরাপত্তা চাই। জনগণ কেবল মাত্র একটা ভোট দেওয়ার জন্য ও আমি ঠিক আদায় করে নিতে জানি, ভোটের আগে কিছু মিথ্যা কথা বলে প্রতিশ্রুতি দেব কোটি কোটি বেকারের চাকরি দেব চাকরির ফর্ম বা পরীক্ষা দেওয়ার জন্য 500 টাকা করে নেব কোটি কোটি টাকা আসবে পরীক্ষা আর হবে না। চাকরি সে তো অনশন করলেও মিলবে না, আমি চাকরি 2000 টাকা থেকে 5000 টাকা বেতনের আমার বেতন লক্ষ টাকার উপরে, বিনামূল্যে প্লেন ভাড়া বিনামূল্যে সব কিছু জনগণ মরুক আমি নেতা মন্ত্রী আমি বেঁচে থাকব। কিছু মানুষ তো ঐ মিথ্যা কথা আর দু পাঁচ শ টাকা পাওয়ার জন্য এবং শিক্ষিত বেকারের দল চাকরি পাওয়ার লোভে পড়ে আমায় আবার নির্বাচিত করবে। আমি জানি কীভাবে জনগণের টাকা লুঠ করতে হয়, টেন্ডার ডেকে তার ভাগ বার ফুট চওড়া রাস্তা আট ফুট, দুশো বা পাঁচ শ হাজার টাকার পাইয়ে দিয়ে ক্লাব গুলো কে টাকা দিয়ে পুজোর জন্য টাকা দিয়ে আমি ঠিক ভোটে জিতে আসব। জনগণের টাকা তো কি হয়েছে, আমি আর আমার পরিবারের লোকজন ঠিক থাকলেই হবে। ক্ষমতা দখল করার আগে আমার নিরাপত্তা ছিল না কিন্তু আমি তো চরম মিথ্যাবাদী একটু রাস্তা করা ছাড়া আর কিছু করিনি সেটা আমি ভালো রকম জানি সেই জন্যই আমার কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা চাই। আমি জনগণের সাথে মিশতে পারি না, তাদের হেয় জ্ঞান করি মুখে বড় বড় কথা বলি কাজে করি না। আমাকে জনগণ দূর থেকে দেখে খুশি ঐ যে সামান্য ভিক্ষা পাওয়ার জন্য সত্যিই আমরা এই জনগণ কি বোকা। আমরাই এদের বাড়বাড় নির্বাচিত করি, আর সোশাল মিডিয়ায় ঝড় তুলি, আমার মনে হয় ভারতের তথা আমাদের রাজ্যের জনগণের নোবেল পুরস্কার একদম বাঁধা। না খেয়ে মরে তবুও নেতার কথায় ভুলে সামান্য ভিক্ষা নেওয়ার জন্য তাকেই ভোট দিয়ে জিতিয়ে আনে। শিক্ষিত অর্দ্ধ শিক্ষিত বেকার ছেলে মেয়েরা জানে প্রতিটি নির্বাচনের আগে চাকরির ফর্ম বিলি করা হয় এবং বর্তমানে এই রাজ্যে চাকরি দেওয়ার নামে ঘুষের টাকা নেওয়া হবে আর সাথে উপরি হচ্ছে ফর্মের টাকা, তবুও এরা গিয়ে এদের জিতিয়ে আনে। সরকারি কর্মী জানে যে তার বেতন বাড়বে না, উল্টে অফিসের বিভিন্ন কাজে নিজের বেতন থেকে খরচ করতে হবে, আর কাজ না করলে জুটবে তিরস্কার, কবিগুরুর 'পুরাতন ভৃত্য'। জনগণের সাথে মিশতে পারে না, মিথ্যা কথা বলে, ঘুষ নিয়ে তোলা তুলে কাটমানি নিয়ে এরা বড়ো নেতা সেই জন্যই এদের নিরাপত্তা লাগে যে জনগণ এদের নেতা মন্ত্রী বানালো তাদের নিরাপত্তা নেই। কী আজব দেশ, ঐ যে "রাত্রিতে বেজায় রোদ দিনে চাঁদের আলো"!


আম বাঙালির বাংলা বাজেট।

সত্যিই এই আম বাঙালির বাংলা বাজেট আজ প্রথমেই খবরের কাগজ গুলো সকালে সকলে খুব জোরে জোরে পড়ে শোনাচ্ছেন আবার যদি কাছাকাছি চেনা কোনো বিরোধী দলের সমর্থক থাকে তাহলে আরও জোর বাড়ছে গলার। পড়ে কী শোনাচ্ছেন কত গুলো নতুন শ্রী ঘোষণা করা হয়েছে। বাঙালি 2011 থেকে জানে বাংলায় অনেক ধরনের শ্রী হচ্ছে এবং হবে ধর্ষণ শ্রী থেকে শুরু করে খাদ্য শ্রী যা দু একজন পায় তাদের নিয়ে ঘটা করে ঢাক ঢোল পিটিয়ে প্রচার করা হয়। প্রচার করতে যত কোটি টাকা খরচ করা হয় সেই টাকা মাসে মাসে কন্যাশ্রী দেওয়া যেত, আসলে তা নয় মানুষের ক্রয় ক্ষমতা কমে গেছে ক্রমশ আরও তলানিতে যাচ্ছে, নোটবন্দি, জি এস টি এফ ডি আই অন লাইন মার্কেটিং সব মিলিয়ে গোটা দেশের সাথে এই রাজ্যের মানুষ ও ধুঁকছে। গোটা দেশের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা খারাপ ত্রিপুরার থেকে একটু ভালো। ত্রিপুরারার মানুষ অজগর সাপের মাংস খাচ্ছে আর পশ্চিম বাংলার মানুষ গাছের পাতা আর শেকড় সেদ্ধ করে খাচ্ছে যারা এই সব খেতে পারছে না তারা ধার দেনা করেও চল্লিশ টাকা কিলো চাল কিনে আনছে। থুরি দু টাকা কিলো আছে সপ্তাহে পাঁচ জনের জন্য পাঁচ শ গ্রাম বরাদ্দ।কারা পাচ্ছে কেন যারা শাসক দলের সমর্থক তারা আশি হাজার টাকার বাইক নিয়ে দু টাকা কিল চাল আনতে যাচ্ছে। গরীব মানুষ হাওয়া খাচ্ছে, মানুষ এখন লাইন দিতে ব্যস্ত রেশন কার্ড থেকে আধার কার্ড ভোটার কার্ড আরও কত কি? যা হোক তবুও এগারো টা নতুন প্রকল্প চালু করতে চলেছে এই সরকার। পোশাকি নাম গুলো ভালো। বিদ্যালয়ের পোশাক দেওয়া নিয়ে আগেও লিখেছি এখন আর ভালো লাগছে না, প্রাক প্রাথমিক শ্রেণীর পোশাকের টাকা এসেছে তারা এখন প্রথম শ্রেণীর ছাত্র এখনও পোশাক দেওয়া হয় নি, কারণ গোষ্ঠী যোগাযোগ করে নি, গোষ্ঠী যোগাযোগ করবে কি করে তাদের সাথে ভাইপো ভাইঝি দের টাকার ভাগ নিয়ে রফা হয় নি তাই মুখে যা বলুন ভেতরে ভেতরে নির্দেশ দিয়েছেন টাকা চাই। তোলা তুলতেই হবে, আবার সামনে বিধানসভা নির্বাচনের জিততে হবে, তার জন্য জনগণ কে বিভ্রান্ত করতে হবে, নিয়োগের ঘোষণা করা হয়েছে বিভিন্ন জায়গায় আবার আট লাখ দশ লাখ টাকার ঘুষ নির্বাচনের সময় মদ মাংস খাওয়াতে হবে। চাকরি সে তো তালিকা তৈরি করা হবে কিন্তু নিয়োগের জন্য অনশন করতে হবে তার পরেও নিয়োগ করা হবে না। অনশন করতে গিয়ে গর্ভস্থ সন্তান নষ্ট হয়ে যাবে তাতে কি? যার যাবে তার যাবে আমি আর আমার ভাই ভাইপোর দল কোটি টাকা পেলেই হলো। রাজ্যের শিক্ষিত বেকার বা শিক্ষিত মানুষ কে আমি আমার দিকে রেখে দিয়েছি একটা পদ আর বাৎসরিক কিছু টাকা দিয়ে। সরকারি কর্মী তারা তো কুকুর ঘেউ ঘেউ করে কাজ না করে যাবে কোথায়, ওরা কাজ ছেড়ে দিলে আমি 2000 থেকে 5000 টাকা বেতনের সিভিক নিয়োগ করে দেব হোক না বাজার আগুন একবার খেয়ে সারাদিন না খেয়ে রোগ হবে চিকিৎসা করাতে না পারে মারা যাবে আমি আবার নিয়োগ দোব আমার ভাইপোরা আর ভাইঝির দল টাকার কুমির হয়ে সুখে শান্তিতে বসবাস করবে জনগণ না খেয়ে মারা যাক সরকারি চাকরি করবে নামে সংসার চালাতে নাজেহাল হবে তাতে কি? বাম আমলে যে মোটা চাল 13 টাকা এখন সেটা 39 টাকা আর ভালো সরু চাল যেটা 18 টাকা ছিল এখন সেটা 42 টাকা 55টাকার স: তেল এখন 115 থেকে কুড়ি টাকা। মানুষের আয় বৃদ্ধি হয় নি দোকান গুলো ধুঁকছে। বাম আমলে যে পাঁচ হাজার টাকা উপায় করত এখনও তাই কারণ সরকার 1500 টাকায় MDM এর রাঁধুনি রাখে তাও দশ মাসের বেতন দেওয়া হয় তাদের, বলবে ওরা করছে কেন? করছে এই কারণে ওখানে গিয়ে বাড়তি রান্না করা খাবার টা নিয়ে এসে অভুক্ত পরিবারের সদস্যদের খাওয়াতে পারবে আর স্কুলে তো যদি কোনো দিন সরকারের দয়া হয় বেতন বাড়ায়। বর্তমান সরকারের আর তার অর্থমন্ত্রী কিছুতেই এদের বেতন বাড়াবে না। নিজেদের বেতন দু লক্ষ টাকা হলেও এদের সেই বাম আমলে যা 1500 করে ছিল সেই শেষ। নিজের বেতন বাড়লেও খরচ করার জন্য সরকারি তথা জনগণের করের টাকা। আর বাজার থেকে ঋণ যা এই বঙ্গে এখন রেকর্ড করে ফেলছে। অর্থমন্ত্রীর দপ্তরের হিসেবে বেকার কমেছে ঠিক বলেছেন কাগজে কলমে আপনি কমিয়ে দেবেন এ আর মন্দ কি আপনি বাস্তব পরিস্থিতি জেনেও মিথ্যা বলবেন না হলে মন্ত্রী হলেন কেন? বাস্তব অন্য কথা বলে, ছোট ছোট কল কারখানা আপনার ভাই ভাইপো ভাইঝিরা তোলা তুলে কবে বন্ধ করে দিয়েছে, আর বড়ো শিল্প সে প্রায় বন্ধ চট শিল্প নেই বললেই চলে, সামান্য সাইকেল দিচ্ছেন তাও লুধিয়ানা থেকে আনতে হচ্ছে, বাচ্চা দের জুতো সেও দিল্লির তৈরি, যাহোক তবুও তো দিচ্ছেন পায়ে হোক আর না হোক সাইকেল প্রতি সপ্তাহে সারাতে হোক যার বাবার চার চাকা কিনে দেওয়ার সামর্থ্য আছে তাকেও একটা সাইকেল ঠিক আছে তবুও ভাইপো ভাইঝিরা টেন্ডার পাচ্ছে, কারণ এখন তো আর সারদা রোজভ্যালি ইত্যাদি চিটফাণ্ড নেই, আপনাকে 75% দেবে কি করে টেন্ডার আর ঐ বাচ্চা দের পোশাক 400 টাকা ছিল 600 টাকা করে দিলেন, তবুও ভাইপো ভাইঝি আর দালাল কর্মী ঐ যাদের আপনি ডিএ দেন না কিন্তু শিক্ষক জব্দ করার জন্য নির্দেশ দেন কিছুতেই তাদের পোষাচ্ছে না। আপনার চিন্তা নেই ওরা আপনার নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করছে MDM দিয়ে একে আপনি কিছুতেই টাকা বাড়াবেন না কারণ ওখানে ভাইপো ভাইঝি দের ভাগ বসাতে পারে না কিন্তু এই অফিসের দল যারা আপনার পা চেটে পরিস্কার করে দেয়। তারা ব্যবস্থা করে দিচ্ছে, জিনিসপত্র দাম অনুযায়ী খরচ হলো 12000 টাকা কেটে রেখে দেওয়া। হলো 7000 টাকা। বাকি টাকা ঐ যে আপনি শিক্ষা রত্ন দিচ্ছেন, সেই শিক্ষক তার বেতন থেকে দেবে কেন এই অনেক টাকা বেতন বাড়িয়েছেন। আপনি চিন্তা করবেন না এখানেও আপনি সফল 2014 থেকে 2017 আপনার ভাইপো ভাইঝিরা আট লাখ দশ লাখ টাকা নিয়ে চাকরি দিয়েছে তারা আপনার পা চাটবে। ঐ ঋণ বা দেনা সে তো প্রধান শিক্ষক যে বাম আমলে নিয়োগ পেয়েছে, সে শোধ করতে বাধ্য না হলে পাওয়া দার তার কলার ধরে টানাটানি করবে, চিন্তা করবেন না, আপনার পা চাটা শিক্ষক কুল আছে প্রধান শিক্ষক কে জব্দ করার জন্য শুধু মাত্র এরা পড়াতে চায় না এটাই ওদের দোষ সময়ে আসতে চায় না। পড়াতে গায়ে জ্বর আসে, আবার ছাত্র না হলে ভালো হয়, আপনার সুন্দর বই তথা সিলেবাস কমিটি কে বলুন বই গুলো তে আপনার কীর্তি ফলাও করে দিতে কি হবে রবীন্দ্রনাথ উপেন্দ্র কিশোরের গল্প পড়িয়ে। আপনি পাশ ফেল তুলে দিয়েছেন, কত ভালো কাজ করেছেন জানেন। ছাড়ুন অনেক বেকার ছেলে মেয়ে আপনার পা ধুয়ে রোজ জল খায় তাদের ও যদি একটা চাকরি করে দিতেন খুব ভাল হতো। দিল্লির সরকার আর আপনার সরকার চাকরির ফর্ম পূরণ করার নামে বেকার ছেলে মেয়ে দের কাছ থেকে যে কোটি কোটি টাকা তুলছেন ঐ দিয়েই অনেক মাসের বেতন দেওয়া যায়। সব শেষে আপনাকে আর অর্ধ মন্ত্রী কে ধন্যবাদ। কারণ আপনি বেতন বাড়িয়েছেন, দিল্লির দাদা বলছে ট্যাক্স কাটব আপনি অনেক কষ্টে সততার পরিচয় দিয়ে যার বেতন 45000 হাজার থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকা করলেন, তার ইনকাম বছরে 600000 টাকা হোল তার ট্যাক্স পরবে বছরে দশ হাজার টাকা। কারণ সব ধরনের ট্যাক্স ছাড় তুলে দেওয়া হয়েছে। 100 রকম ছিল 70 রকম ট্যাক্স ছাড় বাধ দেওয়া হয়েছে। আপনারা ভালো থাকবেন জনগণের টাকায় নিরাপত্তা নিয়ে ঘুরে বেড়াবেন, না হলে আর নেতা মন্ত্রী, দেশ আর রাজ্য ভালো চলছে আপনাদের পা চাটার দল মানে লোক জন অনেক আছে।





Monday, 10 February 2020

বুদ্ধিমান চোর।

সত্যিই এই চোর  বুদ্ধিমান চোর, তবে এর থেকে বড় চোর আর মিথ্যাবাদী আমাদের দেশের তথা রাজ্যের নেতা মন্ত্রীরা। চুরি করা এবং মানুষ ঠকান মিথ্যা কথা বলে মানুষের জীবন কে অতিষ্ঠ করে তোলা কথায় কথায় কেস দেওয়া ভয় দেখিয়ে ভোটে জেতা এসব নেতা মন্ত্রীরা করে জনগণের পকেট কাটার কত রকম ফন্দি সে চিটফাণ্ড মারফত হোক তোলা তুলে হোক আর চাকরি দেওয়ার নামে ঘুষ নিয়ে হোক টাকা এদের চাই।এমন সব নেতা মন্ত্রীরা ভোটের আগে কোনো নিরাপত্তা লাগত না, বাইকের পেছনে চেপে ঘুরে বেড়িয়েছে আর এখন এমন হয়েছে জনগণের সাথে মিশতে পারে না। ইংরেজি A থেকে Z পর্যন্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আজ দেশের তথা রাজ্যের কী অবস্থা 40 জনের অধিক লোক ব্যবসার নামে লোন  নিয়ে ব্যবসা না করে বা ঐ ঋণ শোধ না করে দেশের সবচেয়ে বড় নেতাদের কল্যাণে দেশ ছাড়া, আর রাজ্যের কথা নাই বা বললাম চিটফাণ্ডের নাম করে কোটি কোটি টাকা গরীব খেটে খাওয়া মানুষের টাকা লুঠ করে তোলা তুলে বড়ো বড়ো কথা বলে মানুষের জীবন অতিষ্ঠ করে তোলা এই সব চোর এবং চোরের সমর্থক দের কোন সাজা নেই। টাকা হলেই হবে টাকার গায়ে তো লেখা নেই কোথায় থেকে এসেছে কে দিয়েছে। আর মিথ্যা কথা এই সব নেতা মন্ত্রী দের জণ্ম গত, জণ্ম সূত্রে পাওয়া। আমি তো মনে করি এদের থেকেও সবচেয়ে বেশি মিথ্যাবাদী শিক্ষিত মানুষ যারা এই চোরের দল কে সমর্থন করে এদের হয়ে প্রচার করে নিজেদের শিক্ষা কে বিক্রি করে দিতে কুণ্ঠা বোধ করে না। আমি বেশ বুঝতে পারছি আগামী পুরসভা আর বিধানসভা নির্বাচনে বর্তমান শাসক দল আর কেন্দ্রীয় শাসক দলের মধ্যে লড়াই হবে এই রাজ্যে আর এদের সমর্থন করবে কারা তথাকথিত শিক্ষিত মানুষ শিক্ষিত বেকারের দল। কোটি কোটি মানুষের জীবন জীবিকা আজ বন্ধের পথে দুবেলা খাবার জোটে না এই রাজ্যে জিনিসের দাম আকাশ ছোঁয়া, একদিকে নানা রকম মিথ্যা প্রতিশ্রুতি অন্যদিকে লুঠপাট। অবশ্য এদের ছোঁবে কে যারা এদের ধরবে তারা তো এদের দ্বারা নিয়োগ প্রাপ্ত কর্মী আর কয়েক কোটি টাকার এক কোটি ঘুষ পেলেই এই সব অফিসারা সব চুপচাপ, চোরের সমর্থক হয়ে যাবে। তবে এটাও ঠিক আমাদের রাজ্যে চোরের রেহাই নেই, কারণ মুরগি চুরি করছে সন্দেহ হলেই তার জেল জরিমানা অবশ্যই হবে। সরকারি আমলা আইন জীবি মার খাচ্ছে ডিএ পাচ্ছে না তাতে কি উপরি ইনকাম ভালো আছে। সৎপথে কত জন বড়ো হয়েছে, নেতা মন্ত্রীরা হচ্ছে ভালো চোর অফিসারের দল হচ্ছে শুদ্ধ চোর এ চোর হচ্ছে দাগি চোর। সেই জন্যই চুরি করা গয়না বা সোনা বন্ধক রেখে ঋণ নিয়েছে। সাবাস চোর সাবাস চোরের দেশে সবাই চোর। মিথ্যাবাদীর দেশে সবাই মিথ্যাবাদী কারণ যে সব তথাকথিত শিক্ষিত মানুষ এদের সমর্থন করে তারা চুরির টাকা ভাগ না পেলেও তারাও চোর চোর কে সমর্থন করেন বলে। চোর মিথ্যাবাদীর দলে আছেন বলে। 

পশুর মানব প্রেম।

জানি না এটি ফোটশপ করে তৈরি কিনা, আনন্দ বাজারের খবর কি না? যা হোক ছবি আমার খুব ভালো লাগলো, একজন মানুষ কাদায় আটকে পড়েছে তাকে বাঁচাতে একটি গরিলা হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। আজকের দিনে যেখানে একজন মানুষ যখন বিপদে পড়ে আরেক জন পাশ কাটিয়ে চলে যায়, সেখানে একটা পশু বা অমানুষ জীব সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে এ দৃশ্য সত্যিই বিরল। মানুষের সমাজে যেখানে মানুষের মন থেকে পশুত্ব এখনও যাইনি ছলে বলে কৌশলে যেমন করে হোক মানুষ কে শোষণ করে নিজে সুখের সংসার বা জীবন চলে সেখানে এই দৃশ্য সত্যিই একটা শিক্ষা দিয়ে যায়।


Tuesday, 4 February 2020

শিক্ষক দের জব্দ করবে সরকার এ আবার নতুন কী?

পশ্চিমবঙ্গ সরকার নাকি শিক্ষক দের জব্দ করবে কারণ ব্যালট বক্সে হার। এসব ফালতু কথা শাসক দল আর বি জে পি সমর্থক হলে সেই শিক্ষকের সব দোষ মাপ। তবে এটা ঠিক এখন কার প্রতিটি সরকারি অফিসারের মুখের কথা G. O. কোন কাগজ পত্র দরকার নেই, কেবল বিদ্যালয়ের শিক্ষক দরকার হলে মি ডে মিলের টাকা দরকার হলে চাল দরকার হলে ঘরের প্রয়োজন হলে প্রধান শিক্ষক বা দায়িত্ব প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কে লিখিত দিতে হবে। মি ডে খাওয়ানো হয়নি কেন ফোনে শোকজ হবে লিখিত দিতে হবে। টাকা থাক বা না থাক খাওয়ানো বাধ্যতামূলক এই যে জানুয়ারি মাসে নতুন বছরের ছাত্র বাড়ল সারা মাস খাওয়ানোর পর অনেক কষ্টে টাকা দেওয়া হয়েছে লিখিত দেওয়ার পর যা খরচ হয়েছে তার থেকে কম বিদ্যালয়ের ডিসেম্বর পর্যন্ত যে সব বিদ্যালয়ের ছাত্র কম ছিল, জানুয়ারি তে ছাত্র বেড়েছে।সে সব বিদ্যালয়ে কীভাবে জানুয়ারী মাসে টাকা দেওয়া হয়েছে কত দিনের তারা তো এই আকাশ ছোঁয়া জিনিসের দাম দেনা করে খাইছে টাকা পেল কম। যাদের ছাত্র বেশি সেখানে এই দু মাসে ঘাটতি 14 থেকে 15 হাজার টাকা কে শোধ করবে কেন প্রধান শিক্ষকের বেতন আছে। কারণ ভালো রকম খাওয়াতেই হইবে। জিনিস পত্রের দাম যাই ঘাটতি সে দেবে প্রধান শিক্ষক খাওয়াতে তিনি বাধ্য, কিছু বলা যাবে না আবার এই ফেব্রুয়ারি মাসে কত দিন খাওয়াতে হবে কত টাকা দেবেন জানা নেই আবার যদি কোন কারণে টাকা না তুলে পরের মাসে বা মাস শেষে তুলে জানুয়ারি মাসের টাকা ফেব্রুয়ারি মাসে তোলা হবে ক্যাশ বুকে দেখানো হবে জানুয়ারি টাকা খরচ হয় নি ব্যাঙ্কে আছে ব্যাস আর যায় কোথায় ফেব্রুয়ারি মাসে টাকা বাধ একদম সোনায় সোহাগা শিক্ষক যতই যা করুক তিনি আর টাকা পাবেন না। এর উপর আছে ভিজিটিটর হুগলির সাংসদ লকেট চ্যাটার্জি আর এই সরকারের অফিসার কে যে পরিদর্শক নয় যে পারে সে একবার করে পরিদর্শন করে কেবল টাকা আর চালের কথা জানেন না, ওটা শিক্ষক কে জানতে হবে লিখিত দিয়ে। এতো গেল একটা দিক মি ডে মিলের ব্যাপার শিক্ষক জব্দ করার একটা পথ আর আছে সর্বশিক্ষা নামক সংস্থার কাগজ এখন সপ্তাহে তিন চার রকমের ফর্ম পূরণ করতে হবে একই ফর্ম তাতে কি করতে হবে। ওগুলো কি কাজে লাগে জানি না। শিক্ষক তথা প্রধান শিক্ষক না বাজার সরকার না করনিক বোঝাই যায় না। এত পরিদর্শনের পরেও বিদ্যালয়ের ঘরের প্রয়োজন লিখিত দিতে হবে এবং নীচে ঘরের জায়গা থাকা চাই। অথচ দেখুন খেলার মাঠ নেই সব বিদ্যালয়ে কোন G. O. নেই ঐ যে অফিসার বলে দিয়েছেন খেলাতে হবে আবার খেলার তালিকা আছে তার বাইরে কিছু করতে হলে ওনাদের লিখিত দিতে হবে, কারণ ওনারা পরিদর্শন করেছেন সেখানে লিখেছেন তবুও। একি অদ্ভুত না, এই যে খেলার পিরিয়ড শুরু সহ সব কিছু হচ্ছে সরকারের আদেশ ছাড়া আর যখন ঐ রুটিন বা খেলার তালিকায় নেই এমন কিছু খেলালে লিখিত অনুমতি নিতে হবে। কারণ অফিসারের হুকুম। আরও আছে বিনা নিয়োগ পত্রে মানে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কে না জানিয়ে শিক্ষক কে বি এল ও বা ডি ও ডিউটি, যদিও এই সব অফিসারের কাছে প্রধান শিক্ষক সে আবার মানুষ নাকি সেতো ফালতু যা বলব তাই করবে। যে শিক্ষক ঐ দায়িত্ব পেলেন তিনি হাতে স্বর্গ পেলেন, বিদ্যালয়ে যখন খুশি আসা যাওয়া যাবে বিডিও ডেকেছে বলে চলে যাওয়া যাবে। দায়িত্ব প্রাপ্ত শিক্ষক যদি শাসক দলের হন তাহলে সোনায় সোহাগা কে পায় তাকে অফিসারও তাদের পক্ষে, বিদ্যালয়ের পঠনপাঠন সে না হোক বিডিও ডেকেছে বলে চলে যাব যখন খুশি আসব কি ভালো ব্যবস্থা প্রধান শিক্ষক সে কি করে দেখব। সে তো রাস্তার সারমেয় অফিসারের মৌখিক আদেশ পালনে সে বাধ্য। আরও অনেক কিছু আছে লেখার আছে এমনই কেউ আমার লেখা পড়ে না আবার বড় বা বেশি হলে কেউ পড়বেন না। সকল কে নমস্কার আর ধন্যবাদ জানিয়ে শেষ করছি।

Monday, 3 February 2020

কী রাজত্ব এলো অফিসারের মুখের কথা সরকারি আদেশ।

উপরের শিরোনাম আর নবান্নের ছবি দেখে ভাবছেন সরকারের অফিস মানে কেবল এই নবান্ন না আমি নবান্নের কথা লিখতে যাচ্ছি না। আমি সিঙ্গুরের বি ডিওর কথা বা এই এলাকায় অবস্থিত আরও কয়েকটি অফিসের অফিসার আর সমানধন্য বি এল ও শিক্ষক সুভাষ চন্দ্র পাল মশাই ইনি নন্দন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক আগে সেনা বাহিনীতে ছিলেন। এই সব নিয়ে কয়েকটি কথা না লিখে পারলাম না। যা হোক গৌর চন্দ্রিকা বাদ দিয়ে আসল কথায় আসি। এই সুভাষচন্দ্র পাল কাজ করেন নন্দন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।এই বিদ্যালয়ে কোন ভোট কেন্দ্র হয় না। উনি বি এল ও না ডিও যাই হোন সেটার বুথ বা ভোট কেন্দ্র সিঙ্গুর গোলাপ মোহিনী তে। গত 2020 সালের যতটা সম্ভব 15ই জানুয়ারি পর্যন্ত একটা বসার কথা বি এল ও বা ডিও দের ইনি ভালো শিক্ষক বিদ্যালয়ে না আসতে হলে বাঁচেন। অনেক বলার পর উনি কেন বিদ্যালয় থেকে চলে যাচ্ছেন বা আসছেন না গোটা জানুয়ারি মাস , (এখানে বলে রাখি ঐ শিক্ষক এর আগেও এই ভাবে স্কুল থেকে গেছেন বি ডিও ডেকেছে বলে।) নিজেই নিজের স্বাক্ষরের স্থানে on duty লিখেছেন, যা হোক এবছর শুরুতেই আরম্ভ করে দিয়েছেন। ঐ একটা চিঠি যাতে পারামামেন্ট বি এল ও বলে লেখা আছে, নিচে কার স্বাক্ষর বোঝা যাচ্ছে না, তারিখ পর্যন্ত নেই, ওটাই নাকি on duty র চিঠি। কোথাও নেই উনি গত জানুয়ারি 2020 সারা মাস ঐ ডিউটি করেছেন তার উল্লেখ নেই, অন ডিউটি কথাটাও কোথাও লেখা নেই ঐ চিঠিতে, ঐ চিঠির বলে তিনি গত 1লা ফেব্রুয়ারি 2020 শনিবার বেলা 1টা 30 মিনিটে বিদ্যালয়ে এলেন ওনাকে নাকি বিডিও ডেকে ছিল। অন্য সকলের মত উনি 10টা 40 মিনিট এসেছেন এবং 2 টোর সময় গেছেন স্বাক্ষর করেন সাথে সাথে অন্য শিক্ষকরা ওনা কে বলেন আপনি এটা করবেন না। প্রধান শিক্ষক কে বলে আপনি এটা করতে দিলে আমরাও করব। উনি তখন জোর দিয়ে বলতে থাকেন ওটা আমার অন ডিউটি হবে, প্রধান শিক্ষকের কাছে কোন চিঠি নেই অন ডিউটির অথচ তাকে অন ডিউটি লিখতে হবে, প্রধান শিক্ষক ওখানে সি এল লিখেছেন আর যায় কোথায় কেন লিখবেন শুরু হয় চিৎকার ফোন করে বসলেন বিডিও তে তিনি বললেন আমি আসতে বলে ছিলাম ওটা অন ডিউটি করতে হবে, প্রধান শিক্ষক বলেন লিখিত চাই স্যার। তিনি ফোনে বলেন আপনার এস আই কে ফোন করছি। করেও ছিলেন, এদিকে ঐ শিক্ষক বার বার বলেন ঐ তো অন ডিউটির চিঠি যেটাতে কেবল স্থায়ী বি এল ও বলে উল্লেখ করা হয়েছে, অন ডিউটি কথাটা নেই। আমি স্মমাণনীয় অফিসার দের অবগতির জন্য বলছি এরকম ঘটনা বাম আমলে এক শিক্ষকা করে ছিলেন তার পনেরো দিনের বেতন কাটা হয়েছিল। পরে ছুটি মঞ্জুর করে তার বেতন ফেরত পেয়ে ছিলেন, সেই শিক্ষিকা এখন অবসর নিয়েছেন। আমি জানি আপনারা খুব ভালো কারণ আপনারা অফিসার আপনাদের মুখের কথা বর্তমানে আইন তথা G, O, আর প্রধান শিক্ষক না শুনলে তার পেছনে লাগার অস্ত্র হচ্ছে মি ডে মিল। সমাজে শিক্ষক শিক্ষিকার সণ্মাণ সেতো কাল দেখলাম দঃ দিনাজপুরের শিক্ষিকার হাল, আরও কত কি শাস্তি আছে। ধন্যবাদ সকলে ভালো থাকবেন আরও বেশি করে ফাঁকিবাজ শিক্ষক তৈরি করে দিন না স্কুলে এসে বাড়িতে বসে থেকে ঐ বি এল ও চিঠির দিয়ে বছরের অর্ধেক দিন অন ডিউটি করে কাটিয়ে দিতে পারে তার ব্যবস্থা করে দেওয়া কত সুন্দর। আপনাদের কাছে মার্জনা চেয়ে নিচ্ছি মাপ করে দেবেন মুখের কথায় অন ডিউটি লিখতে পারছি না বলে। 

Sunday, 2 February 2020

NRC র মাধ্যমে গরীব খেটে খাওয়া মানুষ কে ক্রীতদাসে পরিনত করতে চাইছে।

যারা বা যে সব বাঙালি হিন্দু ওপার বাংলা থেকে ভিটে মাটি ছেড়ে নির্মম অত্যাচারে হাত থেকে রক্ষা পেতে এপার বাংলায় এসেছে এবং যারা হাজারো অত্যাচার সহ্য করে নিজের জীবন বিপন্ন করে রয়েছে তাদের অনেকেই নিজের ধর্ম পরিবর্তন করতে বাধ্য করা হচ্ছে বা হয়েছে। এই সব সব হারানো মানুষ গুলো ১৯৪৭ সালের পর থেকে অর্থাৎ দেশ ভাগের পর থেকে স্বাধীন বাংলাদেশ তৈরি হওয়ার পরেও স্বাধীন বাংলাদেশে আজও অত্যাচারিত সনাতন ধর্মের মানুষ। এই অত্যাচার থেকে বাঁচতে তারা এপার বাংলায় বা ভারতে এসেছে। এই সব মানুষ ভাবছেন বি জে পি তাদের রক্ষা কর্তা, এই সব মানুষ দের বলছি আপনাদের ধারণা খুব ভুল কারণ আসামের দিকে তাকান দেখবেন সেখানে বাঙালি হিন্দুরা বেশি অত্যারিত NRCর জন্য। বাঙালি হিন্দুরাই বেশি ডিটেশন ক্যাম্পে আছে, এই ডিটেশন ক্যাম্প কি ভুক্তভোগী ছাড়া আর কেউ ভালো বলতে পারবে না। এটা নয়া জেল খানা ক্রীতদাস বানানোর জন্য তৈরি, আস্তে আস্তে ব্রাহ্মণ ক্ষত্রিয় বৈশ্য এদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। বাকি সকলকেই নাগরিকত্ব দেওয়া হবে কিন্তু ঐ ক্যাম্পে থাকতে হবে, যখন শ্রমিক বা লেবার প্রয়োজন হবে ক্যাম্প থেকে এনে কাজে লাগানো হবে আবার ঐ ক্যাম্পে রেখে আসা হবে। এটা আর এস এস তথা হিন্দু মহাসভা ও বর্তমান বি জে পির সংবিধান। দেশ চালাবে বড়ো বড়ো শিল্পপতিরা, তাদের লেবার বা শ্রমিক দরকার হলে ঐ ক্যাম্প থেকে নিয়ে আসা হবে। একবেলা খাদ্যের বিনিময়ে, বিনাপয়সার শ্রমিক অর্থাৎ ক্রীতদাস। এই পরিস্থিতি করা হয়েছিল জার্মানি তে হিটলারের শাসনকালে। না প্রয়োজন শিক্ষা না থাকবে স্থায়ী চাকরি, আর চিকিৎসা সেত দূরস্ত। স্থায়ী কোন বাসস্থান ও প্রয়োজন পড়বে না। সরকার কেবল নামে থাকবে, এত ভোটার ভোট নেওয়ার খরচ কমে যাবে, শিক্ষা স্বাস্থ্য ব্যাঙ্ক কোন প্রয়োজন নেই সব বেসরকারি ভাবে চলবে। সরকারি খরচ কমবে, এরা তথা বিজেপি ইংরেজ সরকারের বিরুদ্ধে ছিল না। ঘুরিয়ে সেই শাসন ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনা হবে তবে এখানে ইংরেজ সরকার থাকবে না, থাকবে আমেরিকার বা অন্য কোন দেশের দালাল তথা পুতুল সরকার যেমন আরবের বিভিন্ন দেশে আছে। অনেকেই ভাবছেন আমাদের কি পশ্চিমবঙ্গে দিদি আছে, ভুল ভাবনা দিদি মুখে এক বলছেন আর কাজে আরেক করছেন। এই ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে জনগণনার সাথে NPR জুড়ে দেওয়া হয়েছে, দিদির সরকার প্রশিক্ষণ দিয়ে দিয়েছেন। তার কারণ সি বি আই সারদা রোজভ্যালি সহ বিভিন্ন চিটফাণ্ড আর নারদা দূর্নীতি, তাছাড়া এই সরকারের আমলে আমলারা এত সক্রিয় দিদি বলার আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে ফেলে। যেমন একটা উদাহরণ দিই শিক্ষা দপ্তর একটা নাকি রুটিন বা সময় সারনি তৈরি করেছে প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলোর জন্য যা এখনও কোনও বিদ্যালয়ের কাছে এসে পৌঁছয় নি। বিদ্যালয়ে কেন জেলা পরিদর্শক অফিসে আসেনি।অফিসার দের কথা হচ্ছে আসুক আর না আসুক 1লা ফেব্রুয়ারি থেকে করতেই হবে অর্থাৎ একই পিরিয়ডে পাঁচ টা কোথাও ছয় টা শ্রেণীর খেলা বেলা ১টা থেকে ১টা ৪০ পর্যন্ত, তার পর মি ডে মিল কামারকুণ্ডুর এস আই আরও এক ধাপ এগিয়ে বলেন সতেরটা খেলার তালিকা থেকেই খেলতে হবে বাড়তি বা অন্য খেলা করতে হলে এস আই এর অনুমতি লাগবে। সামান্য এই প্রাথমিক বিদ্যালয়ে খেলা নিয়ে যে অফিসার এভাবে বলতে পারেন তারা NPR করব না এটা বিশ্বাস করা যায়। আর এসবে দিদির অনুমতি আছে কারণ ওনার অনুপ্রেরণা ছাড়া গাছের পাতাও নড়ে না। এবার জনগণের ভাববার সময় এসেছে, এরকম একটা মিথ্যে বাদি কে বিশ্বাস করবে কিনা? বিশ্বাস করলেই ডিটেশন ক্যাম্প আর তার জন্য দিদি জমি অধিগ্রহণ করে দেবেন, জমি অধিগ্রহণ করে শিল্প করতে না দিলে কি হবে, ডিটেশন ক্যাম্প তৈরি করার জন্য অবশ্যই জমি অধিগ্রহণ হবেই। যারা ডিটেশন ক্যাম্পে থেকে ক্রীতদাস হতে চান তারা দিদি বিশ্বাস করে ওনার মিছিল মিটিং এ যান, আর বি জে পি নামক চিটিংবাজ দল টা কে যে সব হিন্দু তথা ওপার বাংলা থেকে আসা লোকজন বিশ্বাস করছে তাদের কপালে অশেষ দূর্গতি আছে, আসাম ত্রিপুরা উত্তর প্রদেশের দিকে তাকান তাহলেই বুড়ো
7:00ঝতে পারবেন। আগামী দিনে বুঝে শুনে সমর্থন করুন ভালো থাকবেন সবাই নিজের ভোট দেবেন শত প্রলোভনেও ভুল করবেন না, তাহলেই ডিটেশন ক্যাম্প আর ধীরে ধীরে আপনি ক্রীতদাসে পরিণত হবেন। 

বাঙালি ও বর্তমান ভারত।

 (ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...