সত্যিই এই আম বাঙালির বাংলা বাজেট আজ প্রথমেই খবরের কাগজ গুলো সকালে সকলে খুব জোরে জোরে পড়ে শোনাচ্ছেন আবার যদি কাছাকাছি চেনা কোনো বিরোধী দলের সমর্থক থাকে তাহলে আরও জোর বাড়ছে গলার। পড়ে কী শোনাচ্ছেন কত গুলো নতুন শ্রী ঘোষণা করা হয়েছে। বাঙালি 2011 থেকে জানে বাংলায় অনেক ধরনের শ্রী হচ্ছে এবং হবে ধর্ষণ শ্রী থেকে শুরু করে খাদ্য শ্রী যা দু একজন পায় তাদের নিয়ে ঘটা করে ঢাক ঢোল পিটিয়ে প্রচার করা হয়। প্রচার করতে যত কোটি টাকা খরচ করা হয় সেই টাকা মাসে মাসে কন্যাশ্রী দেওয়া যেত, আসলে তা নয় মানুষের ক্রয় ক্ষমতা কমে গেছে ক্রমশ আরও তলানিতে যাচ্ছে, নোটবন্দি, জি এস টি এফ ডি আই অন লাইন মার্কেটিং সব মিলিয়ে গোটা দেশের সাথে এই রাজ্যের মানুষ ও ধুঁকছে। গোটা দেশের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা খারাপ ত্রিপুরার থেকে একটু ভালো। ত্রিপুরারার মানুষ অজগর সাপের মাংস খাচ্ছে আর পশ্চিম বাংলার মানুষ গাছের পাতা আর শেকড় সেদ্ধ করে খাচ্ছে যারা এই সব খেতে পারছে না তারা ধার দেনা করেও চল্লিশ টাকা কিলো চাল কিনে আনছে। থুরি দু টাকা কিলো আছে সপ্তাহে পাঁচ জনের জন্য পাঁচ শ গ্রাম বরাদ্দ।কারা পাচ্ছে কেন যারা শাসক দলের সমর্থক তারা আশি হাজার টাকার বাইক নিয়ে দু টাকা কিল চাল আনতে যাচ্ছে। গরীব মানুষ হাওয়া খাচ্ছে, মানুষ এখন লাইন দিতে ব্যস্ত রেশন কার্ড থেকে আধার কার্ড ভোটার কার্ড আরও কত কি? যা হোক তবুও এগারো টা নতুন প্রকল্প চালু করতে চলেছে এই সরকার। পোশাকি নাম গুলো ভালো। বিদ্যালয়ের পোশাক দেওয়া নিয়ে আগেও লিখেছি এখন আর ভালো লাগছে না, প্রাক প্রাথমিক শ্রেণীর পোশাকের টাকা এসেছে তারা এখন প্রথম শ্রেণীর ছাত্র এখনও পোশাক দেওয়া হয় নি, কারণ গোষ্ঠী যোগাযোগ করে নি, গোষ্ঠী যোগাযোগ করবে কি করে তাদের সাথে ভাইপো ভাইঝি দের টাকার ভাগ নিয়ে রফা হয় নি তাই মুখে যা বলুন ভেতরে ভেতরে নির্দেশ দিয়েছেন টাকা চাই। তোলা তুলতেই হবে, আবার সামনে বিধানসভা নির্বাচনের জিততে হবে, তার জন্য জনগণ কে বিভ্রান্ত করতে হবে, নিয়োগের ঘোষণা করা হয়েছে বিভিন্ন জায়গায় আবার আট লাখ দশ লাখ টাকার ঘুষ নির্বাচনের সময় মদ মাংস খাওয়াতে হবে। চাকরি সে তো তালিকা তৈরি করা হবে কিন্তু নিয়োগের জন্য অনশন করতে হবে তার পরেও নিয়োগ করা হবে না। অনশন করতে গিয়ে গর্ভস্থ সন্তান নষ্ট হয়ে যাবে তাতে কি? যার যাবে তার যাবে আমি আর আমার ভাই ভাইপোর দল কোটি টাকা পেলেই হলো। রাজ্যের শিক্ষিত বেকার বা শিক্ষিত মানুষ কে আমি আমার দিকে রেখে দিয়েছি একটা পদ আর বাৎসরিক কিছু টাকা দিয়ে। সরকারি কর্মী তারা তো কুকুর ঘেউ ঘেউ করে কাজ না করে যাবে কোথায়, ওরা কাজ ছেড়ে দিলে আমি 2000 থেকে 5000 টাকা বেতনের সিভিক নিয়োগ করে দেব হোক না বাজার আগুন একবার খেয়ে সারাদিন না খেয়ে রোগ হবে চিকিৎসা করাতে না পারে মারা যাবে আমি আবার নিয়োগ দোব আমার ভাইপোরা আর ভাইঝির দল টাকার কুমির হয়ে সুখে শান্তিতে বসবাস করবে জনগণ না খেয়ে মারা যাক সরকারি চাকরি করবে নামে সংসার চালাতে নাজেহাল হবে তাতে কি? বাম আমলে যে মোটা চাল 13 টাকা এখন সেটা 39 টাকা আর ভালো সরু চাল যেটা 18 টাকা ছিল এখন সেটা 42 টাকা 55টাকার স: তেল এখন 115 থেকে কুড়ি টাকা। মানুষের আয় বৃদ্ধি হয় নি দোকান গুলো ধুঁকছে। বাম আমলে যে পাঁচ হাজার টাকা উপায় করত এখনও তাই কারণ সরকার 1500 টাকায় MDM এর রাঁধুনি রাখে তাও দশ মাসের বেতন দেওয়া হয় তাদের, বলবে ওরা করছে কেন? করছে এই কারণে ওখানে গিয়ে বাড়তি রান্না করা খাবার টা নিয়ে এসে অভুক্ত পরিবারের সদস্যদের খাওয়াতে পারবে আর স্কুলে তো যদি কোনো দিন সরকারের দয়া হয় বেতন বাড়ায়। বর্তমান সরকারের আর তার অর্থমন্ত্রী কিছুতেই এদের বেতন বাড়াবে না। নিজেদের বেতন দু লক্ষ টাকা হলেও এদের সেই বাম আমলে যা 1500 করে ছিল সেই শেষ। নিজের বেতন বাড়লেও খরচ করার জন্য সরকারি তথা জনগণের করের টাকা। আর বাজার থেকে ঋণ যা এই বঙ্গে এখন রেকর্ড করে ফেলছে। অর্থমন্ত্রীর দপ্তরের হিসেবে বেকার কমেছে ঠিক বলেছেন কাগজে কলমে আপনি কমিয়ে দেবেন এ আর মন্দ কি আপনি বাস্তব পরিস্থিতি জেনেও মিথ্যা বলবেন না হলে মন্ত্রী হলেন কেন? বাস্তব অন্য কথা বলে, ছোট ছোট কল কারখানা আপনার ভাই ভাইপো ভাইঝিরা তোলা তুলে কবে বন্ধ করে দিয়েছে, আর বড়ো শিল্প সে প্রায় বন্ধ চট শিল্প নেই বললেই চলে, সামান্য সাইকেল দিচ্ছেন তাও লুধিয়ানা থেকে আনতে হচ্ছে, বাচ্চা দের জুতো সেও দিল্লির তৈরি, যাহোক তবুও তো দিচ্ছেন পায়ে হোক আর না হোক সাইকেল প্রতি সপ্তাহে সারাতে হোক যার বাবার চার চাকা কিনে দেওয়ার সামর্থ্য আছে তাকেও একটা সাইকেল ঠিক আছে তবুও ভাইপো ভাইঝিরা টেন্ডার পাচ্ছে, কারণ এখন তো আর সারদা রোজভ্যালি ইত্যাদি চিটফাণ্ড নেই, আপনাকে 75% দেবে কি করে টেন্ডার আর ঐ বাচ্চা দের পোশাক 400 টাকা ছিল 600 টাকা করে দিলেন, তবুও ভাইপো ভাইঝি আর দালাল কর্মী ঐ যাদের আপনি ডিএ দেন না কিন্তু শিক্ষক জব্দ করার জন্য নির্দেশ দেন কিছুতেই তাদের পোষাচ্ছে না। আপনার চিন্তা নেই ওরা আপনার নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করছে MDM দিয়ে একে আপনি কিছুতেই টাকা বাড়াবেন না কারণ ওখানে ভাইপো ভাইঝি দের ভাগ বসাতে পারে না কিন্তু এই অফিসের দল যারা আপনার পা চেটে পরিস্কার করে দেয়। তারা ব্যবস্থা করে দিচ্ছে, জিনিসপত্র দাম অনুযায়ী খরচ হলো 12000 টাকা কেটে রেখে দেওয়া। হলো 7000 টাকা। বাকি টাকা ঐ যে আপনি শিক্ষা রত্ন দিচ্ছেন, সেই শিক্ষক তার বেতন থেকে দেবে কেন এই অনেক টাকা বেতন বাড়িয়েছেন। আপনি চিন্তা করবেন না এখানেও আপনি সফল 2014 থেকে 2017 আপনার ভাইপো ভাইঝিরা আট লাখ দশ লাখ টাকা নিয়ে চাকরি দিয়েছে তারা আপনার পা চাটবে। ঐ ঋণ বা দেনা সে তো প্রধান শিক্ষক যে বাম আমলে নিয়োগ পেয়েছে, সে শোধ করতে বাধ্য না হলে পাওয়া দার তার কলার ধরে টানাটানি করবে, চিন্তা করবেন না, আপনার পা চাটা শিক্ষক কুল আছে প্রধান শিক্ষক কে জব্দ করার জন্য শুধু মাত্র এরা পড়াতে চায় না এটাই ওদের দোষ সময়ে আসতে চায় না। পড়াতে গায়ে জ্বর আসে, আবার ছাত্র না হলে ভালো হয়, আপনার সুন্দর বই তথা সিলেবাস কমিটি কে বলুন বই গুলো তে আপনার কীর্তি ফলাও করে দিতে কি হবে রবীন্দ্রনাথ উপেন্দ্র কিশোরের গল্প পড়িয়ে। আপনি পাশ ফেল তুলে দিয়েছেন, কত ভালো কাজ করেছেন জানেন। ছাড়ুন অনেক বেকার ছেলে মেয়ে আপনার পা ধুয়ে রোজ জল খায় তাদের ও যদি একটা চাকরি করে দিতেন খুব ভাল হতো। দিল্লির সরকার আর আপনার সরকার চাকরির ফর্ম পূরণ করার নামে বেকার ছেলে মেয়ে দের কাছ থেকে যে কোটি কোটি টাকা তুলছেন ঐ দিয়েই অনেক মাসের বেতন দেওয়া যায়। সব শেষে আপনাকে আর অর্ধ মন্ত্রী কে ধন্যবাদ। কারণ আপনি বেতন বাড়িয়েছেন, দিল্লির দাদা বলছে ট্যাক্স কাটব আপনি অনেক কষ্টে সততার পরিচয় দিয়ে যার বেতন 45000 হাজার থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকা করলেন, তার ইনকাম বছরে 600000 টাকা হোল তার ট্যাক্স পরবে বছরে দশ হাজার টাকা। কারণ সব ধরনের ট্যাক্স ছাড় তুলে দেওয়া হয়েছে। 100 রকম ছিল 70 রকম ট্যাক্স ছাড় বাধ দেওয়া হয়েছে। আপনারা ভালো থাকবেন জনগণের টাকায় নিরাপত্তা নিয়ে ঘুরে বেড়াবেন, না হলে আর নেতা মন্ত্রী, দেশ আর রাজ্য ভালো চলছে আপনাদের পা চাটার দল মানে লোক জন অনেক আছে।
Anulekhon.blogspot.com
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
বাঙালি ও বর্তমান ভারত।
(ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...

-
সরস্বতী পুজোর পদ্ধতি, পরপর যা করতে হবে।১)আচমন ২)বিষ্ণু স্মরণ ৩)স্বত্ত্বি বাচন ৪) স্বত্ত্বি সূক্ত ৫) সাক্ষ্য মন্ত্র ৬) বরণ ৭) সংকল্প ৮) স...
-
আমি এর আগে একটি ব্লগে লিখেছি, দুর্গা যষ্টী পূজার মন্ত্র ।এখানে বলি আমি পণ্ডিত নই, বিভিন্ন ধরনের বই পড়ে, আর দু একজন ব্রাহ্মণের সাথে কাজ ...
-
ছবি টি কীসের বা কোন প্রাণীর নিশ্চয়ই বলে দিতে হবে না। মানুষের প্রথম পোষ মানা প্রথম প্রাণী, হয়তো অনেকেই পড়ে বলবেন এবার নতুন কী এতো আমরা স...
No comments:
Post a Comment