Anulekhon.blogspot.com

Wednesday, 12 February 2020

কী আজব দেশ, নেতা মন্ত্রী নিরাপত্তা লাগে, জনগণের নেই।

খবরে যেটা লেখা নেই, সেটা আমি লিখি জনগণ দ্বারা নির্বাচিত হন জনগণের নেতা যখন আম জনতা পার্টির বা দলের কর্মী বা নেতা ভালো ভালো কথা বলে মানুষ গুলো কে প্রভাবিত করেন তখন নিরাপত্তা লাগে না ।তখন বাইকে চেপে সাইকেল নিয়ে ঘুরে বেড়ায়, যেই নির্বাচিত হয়েছেন বেশ আর যায় লাগে নিরাপত্তা কারণ একটাই কথা বা প্রতিশ্রুতি যা দেন তার উল্টো কাজ করেন বলে। নির্বাচন জেতার জন্য যা বলেন সে গুলো জুমলা হয়ে যায় আর মিথ্যে কথা বলতে এরা ভীষণ পটু আমার মনে জ্ঞানে এরা কোনদিন সত্য কথা বলেন না। আমাদের দেশ তথা রাজ্যের মন্ত্রী নেতা সকলে এত মিথ্যা কথা বলে কল্পনা করা যায় না। যদি মিথ্যা কথা বলার জন্য নোবেল পুরস্কার থাকত তাহলে এরা প্রত্যেকেই সেই পুরস্কার লাভ করতেন, চুরি ঘুষ খাওয়া তোলা তোলা কাটমানি 75%আর 25%ভাগ চিটফাণ্ড কী থাকে না জমির দালালি না হলে যে নেতা এক সময় 280 টাকা বেতনে কাজ করত, আর সাইকেল বা বাইক চেপে ঘুরে বেড়াত সেই নেতা এখন 280 কোটি টাকার মালিক আর বাড়ির খানা দেখলে চোখ কপালে উঠবে বাড়ির সামনে দু তিন খানা দামী চার চাকা। জনগণ উচ্ছন্নে যাক না খেতে পেয়ে মরুক, ভোট এলেই 2 টাকা কিলো চাল কিছু টাকা উপঢৌকন পেনশনের নামে ঘোষণা সেটা থেকে নেতাদের ভাগ কত ইনকাম। জনগণ মরুক আমি মন্ত্রী জনগণের কাজের করের টাকায় আমার নিরাপত্তা চাই। জনগণ কেবল মাত্র একটা ভোট দেওয়ার জন্য ও আমি ঠিক আদায় করে নিতে জানি, ভোটের আগে কিছু মিথ্যা কথা বলে প্রতিশ্রুতি দেব কোটি কোটি বেকারের চাকরি দেব চাকরির ফর্ম বা পরীক্ষা দেওয়ার জন্য 500 টাকা করে নেব কোটি কোটি টাকা আসবে পরীক্ষা আর হবে না। চাকরি সে তো অনশন করলেও মিলবে না, আমি চাকরি 2000 টাকা থেকে 5000 টাকা বেতনের আমার বেতন লক্ষ টাকার উপরে, বিনামূল্যে প্লেন ভাড়া বিনামূল্যে সব কিছু জনগণ মরুক আমি নেতা মন্ত্রী আমি বেঁচে থাকব। কিছু মানুষ তো ঐ মিথ্যা কথা আর দু পাঁচ শ টাকা পাওয়ার জন্য এবং শিক্ষিত বেকারের দল চাকরি পাওয়ার লোভে পড়ে আমায় আবার নির্বাচিত করবে। আমি জানি কীভাবে জনগণের টাকা লুঠ করতে হয়, টেন্ডার ডেকে তার ভাগ বার ফুট চওড়া রাস্তা আট ফুট, দুশো বা পাঁচ শ হাজার টাকার পাইয়ে দিয়ে ক্লাব গুলো কে টাকা দিয়ে পুজোর জন্য টাকা দিয়ে আমি ঠিক ভোটে জিতে আসব। জনগণের টাকা তো কি হয়েছে, আমি আর আমার পরিবারের লোকজন ঠিক থাকলেই হবে। ক্ষমতা দখল করার আগে আমার নিরাপত্তা ছিল না কিন্তু আমি তো চরম মিথ্যাবাদী একটু রাস্তা করা ছাড়া আর কিছু করিনি সেটা আমি ভালো রকম জানি সেই জন্যই আমার কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা চাই। আমি জনগণের সাথে মিশতে পারি না, তাদের হেয় জ্ঞান করি মুখে বড় বড় কথা বলি কাজে করি না। আমাকে জনগণ দূর থেকে দেখে খুশি ঐ যে সামান্য ভিক্ষা পাওয়ার জন্য সত্যিই আমরা এই জনগণ কি বোকা। আমরাই এদের বাড়বাড় নির্বাচিত করি, আর সোশাল মিডিয়ায় ঝড় তুলি, আমার মনে হয় ভারতের তথা আমাদের রাজ্যের জনগণের নোবেল পুরস্কার একদম বাঁধা। না খেয়ে মরে তবুও নেতার কথায় ভুলে সামান্য ভিক্ষা নেওয়ার জন্য তাকেই ভোট দিয়ে জিতিয়ে আনে। শিক্ষিত অর্দ্ধ শিক্ষিত বেকার ছেলে মেয়েরা জানে প্রতিটি নির্বাচনের আগে চাকরির ফর্ম বিলি করা হয় এবং বর্তমানে এই রাজ্যে চাকরি দেওয়ার নামে ঘুষের টাকা নেওয়া হবে আর সাথে উপরি হচ্ছে ফর্মের টাকা, তবুও এরা গিয়ে এদের জিতিয়ে আনে। সরকারি কর্মী জানে যে তার বেতন বাড়বে না, উল্টে অফিসের বিভিন্ন কাজে নিজের বেতন থেকে খরচ করতে হবে, আর কাজ না করলে জুটবে তিরস্কার, কবিগুরুর 'পুরাতন ভৃত্য'। জনগণের সাথে মিশতে পারে না, মিথ্যা কথা বলে, ঘুষ নিয়ে তোলা তুলে কাটমানি নিয়ে এরা বড়ো নেতা সেই জন্যই এদের নিরাপত্তা লাগে যে জনগণ এদের নেতা মন্ত্রী বানালো তাদের নিরাপত্তা নেই। কী আজব দেশ, ঐ যে "রাত্রিতে বেজায় রোদ দিনে চাঁদের আলো"!


No comments:

Post a Comment

বাঙালি ও বর্তমান ভারত।

 (ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...