Anulekhon.blogspot.com

Sunday, 16 February 2020

কেন্দ্রের নয়া পি এফ বিধি।

অন লাইন সংবাদ পত্র "আজ বিকেল" খবর কেন্দ্র সরকার নয়া পি এফ বিধি আনছে। ই পি এফ বলে কাটা টাকা সংস্থার বন্ধ হলে আর ফেরত দিতে হবে না। এরা যে ইংরেজ দের দালাল সেটা পরিষ্কার আগে ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির ব্যবসা করত ভারত কে শোষণ করতে, তাদের দালালরা যে দল খুলে ছিল আজ তারা ক্ষমতা দখল করেছে। এখন ইংরেজ তাই বড়ো বড়ো শিল্পপতি দের দালালি করে দেশটাকে আবার বনিকের হাতে তুলে দিতে চাইছেন। সরকারি সব কিছু বিক্রি করে দিতে চাইছে, যাতে এই বনিকের দল কিনতে পারে তার ব্যবস্থাপনা করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার। বি এস এন এল আগেই বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে, রেল বিক্রির পথে, LIC সরকারি হলো বলে, যদিও LIC সরকারি ছিল না কোন দিন, সরকার সামান্য অংশের অংশীদার ছিল। সেই অংশটাই বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়া হবে। ধীরে ধীরে শিক্ষা স্বাস্থ্য সব ঐ মুষ্ঠি মেয় শিল্পপতি দের হাতে তুলে দেওয়া হবে। গোটা দেশের সম্পদ তুলে দেওয়া হবে ঐ মুষ্ঠিমেয় শিল্পপতিদের হাতে। তারা দেশ চালাবে, সাধারণ খেটে খাওয়া গরীব মানুষ এবং দলিত বা হরিজন বর্গক্ষেত্রী সকলেই এদের ক্রীতদাসে পরিনত হবে, সেই কারণেই NRC CAA যেটা গুজরাতে আগেই করা হয়েছে। এদের সংবিধান ইংরেজ সরকার কে লেখা সাভারকারের 700 পাতার চিঠি আর নীতি হচ্ছে মনুসংহিতার। মনুসংহিতার ছত্রে ছত্রে আছে উচ্চ বর্ণের ক্ষমতার বিবরণ আর নিম্ন বর্ণ সেখানে ক্রীতদাস। গুজরাতের আগে করা হয়েছে, আর আজ ট্রাম্প আসবে বলে সেই ডিটেশণ ক্যাম্প সাত ফুট উঁচু পাঁচিল দিয়ে ঢেকে দেওয়া হচ্ছে। দেশের উন্নতি বিদেশিদের দেখানো যাবে না। দারুণ দেশ চলছে, আসুন আমরা সকলে মিলে এই মনুসংহিতার দল কে বাংলায় ক্ষমতায় নিয়ে আসি, দিদি খুব চালাকির সাথে রাজ্যটা কে গুজরাত করতে চাইছে। NPR হবে না বলে সরকারি কর্মীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আগামী 1লা এপ্রিল থেকে শুরু হবে এই রাজ্যে। আমার একটা কথা ভীষণ খারাপ লাগে যখন দেখি বেশিরভাগ শিক্ষিত মানুষ এই সব চরম মিথ্যাবাদী চোর চিটিংবাজ তোলাবাজ দের হয়ে প্রচার করে এবং ভোট দিয়ে আসে। রাজ্যে তথা দেশের কোটি কোটি বেকার, চাকরি নেই কল কারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। নতুন করে কিছু হচ্ছে না, মানুষের হাতে টাকা নেই, নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস থেকে সমস্ত কিছুর দাম আকাশ ছোঁয়া, নেতা মন্ত্রী ভাই ভাইপো দের তোলার চাপে মানুষের সুস্থ ভাবে বাঁচা দায় সেখানে দাঁড়িয়ে শিক্ষিত মানুষ গুলো এর পেছনে দৌড়ে বেড়াচ্ছে। যে গা জোরে বলে দিচ্ছে আমি ডিএ দিতে পারব না সব চাকরি বেতন হবে 5000 হাজার থেকে 10000 হাজার টাকা।আর চুক্তি ভিত্তিতে, কোনো স্থায়ী চাকরি নেই, সর্বত্র সিভিক পুলিশ আরকি। চাকরি তালিকা ভুক্ত হয়েছে কিন্তু ঘুষ দেয় নি সেই জন্য তাদের চাকরি হয়নি। এই সব চাকরি প্রার্থী অনশনে বসেছে এক সন্তান গর্ভা মা এই অনশন করতে গিয়ে নিজের সন্তান গর্ভে নষ্ট করে ফেলেছে। এর পরেও তাদের চাকরি হয়নি, প্রতিনিয়ত নাটক চলছে, নিয়োগের বিজ্ঞাপন আছে বেকার যুবক দের থেকে কোটি কোটি টাকা তোলার জন্য, পরীক্ষার নামে প্রহসন আছে, কেবল চাকরি নেই। কেন্দ্রের দাদা রাজ্যের দিদি দুই সমান, শিক্ষা ব্যবস্থা আজ উচ্ছন্নের পথে, বই হয়েছে মজারু আর কাঠুম কুটুম বাংলা অঙ্ক ইংরেজি কোন বালাই নেই আবার বাইরের বই পড়ান যাবে না, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানো যাবে। ভর্তি বাচ্চার জন্ম তারিখ হতে হবে 31 শে ডিসেম্বরের মধ্যে একদিন এদিক ওদিক হলেই তার একটা বছর গেল। অর্থাৎ স্ত্রীকে গর্ভবতী করতে হবে এমন ভাবে যাতে সন্তান জন্ম নেয় ডিসেম্বরের মধ্যে। এই নিয়ম কেবল সরকারি বিদ্যালয়ের জন্য, বেসরকারি বিদ্যালয়ের এসব কোনো নিয়ম নেই। সরকারের ইচ্ছা নেই শিক্ষক নিয়োগের ইচ্ছা নেই গরীব মানুষ তাদের ছেলে মেয়ে দের সঠিক ভাবে শিক্ষিত করুন। অতএব দ্বিতীয় গুজরাত হোলো বলে। সকলে ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন, আর মিড ডে মিল খাওয়ার জন্য প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠাবেন, মিড ডে মিল না হলে মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে যাবে। ঐ ব্লকে একজন দুজন করে চুক্তি ভিত্তিতে নিয়োগ পেয়েছে তিনি কথায় কথায় হুমকি দেবেন টাকা থাক আর না জিনিসের দাম যাইহোক টাকায় কুলক আর নাই হোক খাওয়াতেই হবে। কারণ বাড়িতে তো খেতে পায় না। ছুটির সময় ঐ চুক্তির কর্মী বাড়িতে গিয়ে খেতে দিয়ে আসে। এসব আগেও লিখছি কোনো ব্যাপার না। এই সব চুরি আমাদের কাছে গা সওয়া হয়ে গেছে। তাই বলছি আগামী বার - - - - - - সরকার। 

No comments:

Post a Comment

বাঙালি ও বর্তমান ভারত।

 (ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...