Anulekhon.blogspot.com

Tuesday, 4 February 2020

শিক্ষক দের জব্দ করবে সরকার এ আবার নতুন কী?

পশ্চিমবঙ্গ সরকার নাকি শিক্ষক দের জব্দ করবে কারণ ব্যালট বক্সে হার। এসব ফালতু কথা শাসক দল আর বি জে পি সমর্থক হলে সেই শিক্ষকের সব দোষ মাপ। তবে এটা ঠিক এখন কার প্রতিটি সরকারি অফিসারের মুখের কথা G. O. কোন কাগজ পত্র দরকার নেই, কেবল বিদ্যালয়ের শিক্ষক দরকার হলে মি ডে মিলের টাকা দরকার হলে চাল দরকার হলে ঘরের প্রয়োজন হলে প্রধান শিক্ষক বা দায়িত্ব প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কে লিখিত দিতে হবে। মি ডে খাওয়ানো হয়নি কেন ফোনে শোকজ হবে লিখিত দিতে হবে। টাকা থাক বা না থাক খাওয়ানো বাধ্যতামূলক এই যে জানুয়ারি মাসে নতুন বছরের ছাত্র বাড়ল সারা মাস খাওয়ানোর পর অনেক কষ্টে টাকা দেওয়া হয়েছে লিখিত দেওয়ার পর যা খরচ হয়েছে তার থেকে কম বিদ্যালয়ের ডিসেম্বর পর্যন্ত যে সব বিদ্যালয়ের ছাত্র কম ছিল, জানুয়ারি তে ছাত্র বেড়েছে।সে সব বিদ্যালয়ে কীভাবে জানুয়ারী মাসে টাকা দেওয়া হয়েছে কত দিনের তারা তো এই আকাশ ছোঁয়া জিনিসের দাম দেনা করে খাইছে টাকা পেল কম। যাদের ছাত্র বেশি সেখানে এই দু মাসে ঘাটতি 14 থেকে 15 হাজার টাকা কে শোধ করবে কেন প্রধান শিক্ষকের বেতন আছে। কারণ ভালো রকম খাওয়াতেই হইবে। জিনিস পত্রের দাম যাই ঘাটতি সে দেবে প্রধান শিক্ষক খাওয়াতে তিনি বাধ্য, কিছু বলা যাবে না আবার এই ফেব্রুয়ারি মাসে কত দিন খাওয়াতে হবে কত টাকা দেবেন জানা নেই আবার যদি কোন কারণে টাকা না তুলে পরের মাসে বা মাস শেষে তুলে জানুয়ারি মাসের টাকা ফেব্রুয়ারি মাসে তোলা হবে ক্যাশ বুকে দেখানো হবে জানুয়ারি টাকা খরচ হয় নি ব্যাঙ্কে আছে ব্যাস আর যায় কোথায় ফেব্রুয়ারি মাসে টাকা বাধ একদম সোনায় সোহাগা শিক্ষক যতই যা করুক তিনি আর টাকা পাবেন না। এর উপর আছে ভিজিটিটর হুগলির সাংসদ লকেট চ্যাটার্জি আর এই সরকারের অফিসার কে যে পরিদর্শক নয় যে পারে সে একবার করে পরিদর্শন করে কেবল টাকা আর চালের কথা জানেন না, ওটা শিক্ষক কে জানতে হবে লিখিত দিয়ে। এতো গেল একটা দিক মি ডে মিলের ব্যাপার শিক্ষক জব্দ করার একটা পথ আর আছে সর্বশিক্ষা নামক সংস্থার কাগজ এখন সপ্তাহে তিন চার রকমের ফর্ম পূরণ করতে হবে একই ফর্ম তাতে কি করতে হবে। ওগুলো কি কাজে লাগে জানি না। শিক্ষক তথা প্রধান শিক্ষক না বাজার সরকার না করনিক বোঝাই যায় না। এত পরিদর্শনের পরেও বিদ্যালয়ের ঘরের প্রয়োজন লিখিত দিতে হবে এবং নীচে ঘরের জায়গা থাকা চাই। অথচ দেখুন খেলার মাঠ নেই সব বিদ্যালয়ে কোন G. O. নেই ঐ যে অফিসার বলে দিয়েছেন খেলাতে হবে আবার খেলার তালিকা আছে তার বাইরে কিছু করতে হলে ওনাদের লিখিত দিতে হবে, কারণ ওনারা পরিদর্শন করেছেন সেখানে লিখেছেন তবুও। একি অদ্ভুত না, এই যে খেলার পিরিয়ড শুরু সহ সব কিছু হচ্ছে সরকারের আদেশ ছাড়া আর যখন ঐ রুটিন বা খেলার তালিকায় নেই এমন কিছু খেলালে লিখিত অনুমতি নিতে হবে। কারণ অফিসারের হুকুম। আরও আছে বিনা নিয়োগ পত্রে মানে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কে না জানিয়ে শিক্ষক কে বি এল ও বা ডি ও ডিউটি, যদিও এই সব অফিসারের কাছে প্রধান শিক্ষক সে আবার মানুষ নাকি সেতো ফালতু যা বলব তাই করবে। যে শিক্ষক ঐ দায়িত্ব পেলেন তিনি হাতে স্বর্গ পেলেন, বিদ্যালয়ে যখন খুশি আসা যাওয়া যাবে বিডিও ডেকেছে বলে চলে যাওয়া যাবে। দায়িত্ব প্রাপ্ত শিক্ষক যদি শাসক দলের হন তাহলে সোনায় সোহাগা কে পায় তাকে অফিসারও তাদের পক্ষে, বিদ্যালয়ের পঠনপাঠন সে না হোক বিডিও ডেকেছে বলে চলে যাব যখন খুশি আসব কি ভালো ব্যবস্থা প্রধান শিক্ষক সে কি করে দেখব। সে তো রাস্তার সারমেয় অফিসারের মৌখিক আদেশ পালনে সে বাধ্য। আরও অনেক কিছু আছে লেখার আছে এমনই কেউ আমার লেখা পড়ে না আবার বড় বা বেশি হলে কেউ পড়বেন না। সকল কে নমস্কার আর ধন্যবাদ জানিয়ে শেষ করছি।

No comments:

Post a Comment

বাঙালি ও বর্তমান ভারত।

 (ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...