উপরের শিরোনাম আর নবান্নের ছবি দেখে ভাবছেন সরকারের অফিস মানে কেবল এই নবান্ন না আমি নবান্নের কথা লিখতে যাচ্ছি না। আমি সিঙ্গুরের বি ডিওর কথা বা এই এলাকায় অবস্থিত আরও কয়েকটি অফিসের অফিসার আর সমানধন্য বি এল ও শিক্ষক সুভাষ চন্দ্র পাল মশাই ইনি নন্দন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক আগে সেনা বাহিনীতে ছিলেন। এই সব নিয়ে কয়েকটি কথা না লিখে পারলাম না। যা হোক গৌর চন্দ্রিকা বাদ দিয়ে আসল কথায় আসি। এই সুভাষচন্দ্র পাল কাজ করেন নন্দন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।এই বিদ্যালয়ে কোন ভোট কেন্দ্র হয় না। উনি বি এল ও না ডিও যাই হোন সেটার বুথ বা ভোট কেন্দ্র সিঙ্গুর গোলাপ মোহিনী তে। গত 2020 সালের যতটা সম্ভব 15ই জানুয়ারি পর্যন্ত একটা বসার কথা বি এল ও বা ডিও দের ইনি ভালো শিক্ষক বিদ্যালয়ে না আসতে হলে বাঁচেন। অনেক বলার পর উনি কেন বিদ্যালয় থেকে চলে যাচ্ছেন বা আসছেন না গোটা জানুয়ারি মাস , (এখানে বলে রাখি ঐ শিক্ষক এর আগেও এই ভাবে স্কুল থেকে গেছেন বি ডিও ডেকেছে বলে।) নিজেই নিজের স্বাক্ষরের স্থানে on duty লিখেছেন, যা হোক এবছর শুরুতেই আরম্ভ করে দিয়েছেন। ঐ একটা চিঠি যাতে পারামামেন্ট বি এল ও বলে লেখা আছে, নিচে কার স্বাক্ষর বোঝা যাচ্ছে না, তারিখ পর্যন্ত নেই, ওটাই নাকি on duty র চিঠি। কোথাও নেই উনি গত জানুয়ারি 2020 সারা মাস ঐ ডিউটি করেছেন তার উল্লেখ নেই, অন ডিউটি কথাটাও কোথাও লেখা নেই ঐ চিঠিতে, ঐ চিঠির বলে তিনি গত 1লা ফেব্রুয়ারি 2020 শনিবার বেলা 1টা 30 মিনিটে বিদ্যালয়ে এলেন ওনাকে নাকি বিডিও ডেকে ছিল। অন্য সকলের মত উনি 10টা 40 মিনিট এসেছেন এবং 2 টোর সময় গেছেন স্বাক্ষর করেন সাথে সাথে অন্য শিক্ষকরা ওনা কে বলেন আপনি এটা করবেন না। প্রধান শিক্ষক কে বলে আপনি এটা করতে দিলে আমরাও করব। উনি তখন জোর দিয়ে বলতে থাকেন ওটা আমার অন ডিউটি হবে, প্রধান শিক্ষকের কাছে কোন চিঠি নেই অন ডিউটির অথচ তাকে অন ডিউটি লিখতে হবে, প্রধান শিক্ষক ওখানে সি এল লিখেছেন আর যায় কোথায় কেন লিখবেন শুরু হয় চিৎকার ফোন করে বসলেন বিডিও তে তিনি বললেন আমি আসতে বলে ছিলাম ওটা অন ডিউটি করতে হবে, প্রধান শিক্ষক বলেন লিখিত চাই স্যার। তিনি ফোনে বলেন আপনার এস আই কে ফোন করছি। করেও ছিলেন, এদিকে ঐ শিক্ষক বার বার বলেন ঐ তো অন ডিউটির চিঠি যেটাতে কেবল স্থায়ী বি এল ও বলে উল্লেখ করা হয়েছে, অন ডিউটি কথাটা নেই। আমি স্মমাণনীয় অফিসার দের অবগতির জন্য বলছি এরকম ঘটনা বাম আমলে এক শিক্ষকা করে ছিলেন তার পনেরো দিনের বেতন কাটা হয়েছিল। পরে ছুটি মঞ্জুর করে তার বেতন ফেরত পেয়ে ছিলেন, সেই শিক্ষিকা এখন অবসর নিয়েছেন। আমি জানি আপনারা খুব ভালো কারণ আপনারা অফিসার আপনাদের মুখের কথা বর্তমানে আইন তথা G, O, আর প্রধান শিক্ষক না শুনলে তার পেছনে লাগার অস্ত্র হচ্ছে মি ডে মিল। সমাজে শিক্ষক শিক্ষিকার সণ্মাণ সেতো কাল দেখলাম দঃ দিনাজপুরের শিক্ষিকার হাল, আরও কত কি শাস্তি আছে। ধন্যবাদ সকলে ভালো থাকবেন আরও বেশি করে ফাঁকিবাজ শিক্ষক তৈরি করে দিন না স্কুলে এসে বাড়িতে বসে থেকে ঐ বি এল ও চিঠির দিয়ে বছরের অর্ধেক দিন অন ডিউটি করে কাটিয়ে দিতে পারে তার ব্যবস্থা করে দেওয়া কত সুন্দর। আপনাদের কাছে মার্জনা চেয়ে নিচ্ছি মাপ করে দেবেন মুখের কথায় অন ডিউটি লিখতে পারছি না বলে।
Anulekhon.blogspot.com
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
বাঙালি ও বর্তমান ভারত।
(ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...

-
সরস্বতী পুজোর পদ্ধতি, পরপর যা করতে হবে।১)আচমন ২)বিষ্ণু স্মরণ ৩)স্বত্ত্বি বাচন ৪) স্বত্ত্বি সূক্ত ৫) সাক্ষ্য মন্ত্র ৬) বরণ ৭) সংকল্প ৮) স...
-
আমি এর আগে একটি ব্লগে লিখেছি, দুর্গা যষ্টী পূজার মন্ত্র ।এখানে বলি আমি পণ্ডিত নই, বিভিন্ন ধরনের বই পড়ে, আর দু একজন ব্রাহ্মণের সাথে কাজ ...
-
ছবি টি কীসের বা কোন প্রাণীর নিশ্চয়ই বলে দিতে হবে না। মানুষের প্রথম পোষ মানা প্রথম প্রাণী, হয়তো অনেকেই পড়ে বলবেন এবার নতুন কী এতো আমরা স...
No comments:
Post a Comment