Anulekhon.blogspot.com

Sunday, 2 February 2020

NRC র মাধ্যমে গরীব খেটে খাওয়া মানুষ কে ক্রীতদাসে পরিনত করতে চাইছে।

যারা বা যে সব বাঙালি হিন্দু ওপার বাংলা থেকে ভিটে মাটি ছেড়ে নির্মম অত্যাচারে হাত থেকে রক্ষা পেতে এপার বাংলায় এসেছে এবং যারা হাজারো অত্যাচার সহ্য করে নিজের জীবন বিপন্ন করে রয়েছে তাদের অনেকেই নিজের ধর্ম পরিবর্তন করতে বাধ্য করা হচ্ছে বা হয়েছে। এই সব সব হারানো মানুষ গুলো ১৯৪৭ সালের পর থেকে অর্থাৎ দেশ ভাগের পর থেকে স্বাধীন বাংলাদেশ তৈরি হওয়ার পরেও স্বাধীন বাংলাদেশে আজও অত্যাচারিত সনাতন ধর্মের মানুষ। এই অত্যাচার থেকে বাঁচতে তারা এপার বাংলায় বা ভারতে এসেছে। এই সব মানুষ ভাবছেন বি জে পি তাদের রক্ষা কর্তা, এই সব মানুষ দের বলছি আপনাদের ধারণা খুব ভুল কারণ আসামের দিকে তাকান দেখবেন সেখানে বাঙালি হিন্দুরা বেশি অত্যারিত NRCর জন্য। বাঙালি হিন্দুরাই বেশি ডিটেশন ক্যাম্পে আছে, এই ডিটেশন ক্যাম্প কি ভুক্তভোগী ছাড়া আর কেউ ভালো বলতে পারবে না। এটা নয়া জেল খানা ক্রীতদাস বানানোর জন্য তৈরি, আস্তে আস্তে ব্রাহ্মণ ক্ষত্রিয় বৈশ্য এদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। বাকি সকলকেই নাগরিকত্ব দেওয়া হবে কিন্তু ঐ ক্যাম্পে থাকতে হবে, যখন শ্রমিক বা লেবার প্রয়োজন হবে ক্যাম্প থেকে এনে কাজে লাগানো হবে আবার ঐ ক্যাম্পে রেখে আসা হবে। এটা আর এস এস তথা হিন্দু মহাসভা ও বর্তমান বি জে পির সংবিধান। দেশ চালাবে বড়ো বড়ো শিল্পপতিরা, তাদের লেবার বা শ্রমিক দরকার হলে ঐ ক্যাম্প থেকে নিয়ে আসা হবে। একবেলা খাদ্যের বিনিময়ে, বিনাপয়সার শ্রমিক অর্থাৎ ক্রীতদাস। এই পরিস্থিতি করা হয়েছিল জার্মানি তে হিটলারের শাসনকালে। না প্রয়োজন শিক্ষা না থাকবে স্থায়ী চাকরি, আর চিকিৎসা সেত দূরস্ত। স্থায়ী কোন বাসস্থান ও প্রয়োজন পড়বে না। সরকার কেবল নামে থাকবে, এত ভোটার ভোট নেওয়ার খরচ কমে যাবে, শিক্ষা স্বাস্থ্য ব্যাঙ্ক কোন প্রয়োজন নেই সব বেসরকারি ভাবে চলবে। সরকারি খরচ কমবে, এরা তথা বিজেপি ইংরেজ সরকারের বিরুদ্ধে ছিল না। ঘুরিয়ে সেই শাসন ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনা হবে তবে এখানে ইংরেজ সরকার থাকবে না, থাকবে আমেরিকার বা অন্য কোন দেশের দালাল তথা পুতুল সরকার যেমন আরবের বিভিন্ন দেশে আছে। অনেকেই ভাবছেন আমাদের কি পশ্চিমবঙ্গে দিদি আছে, ভুল ভাবনা দিদি মুখে এক বলছেন আর কাজে আরেক করছেন। এই ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে জনগণনার সাথে NPR জুড়ে দেওয়া হয়েছে, দিদির সরকার প্রশিক্ষণ দিয়ে দিয়েছেন। তার কারণ সি বি আই সারদা রোজভ্যালি সহ বিভিন্ন চিটফাণ্ড আর নারদা দূর্নীতি, তাছাড়া এই সরকারের আমলে আমলারা এত সক্রিয় দিদি বলার আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে ফেলে। যেমন একটা উদাহরণ দিই শিক্ষা দপ্তর একটা নাকি রুটিন বা সময় সারনি তৈরি করেছে প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলোর জন্য যা এখনও কোনও বিদ্যালয়ের কাছে এসে পৌঁছয় নি। বিদ্যালয়ে কেন জেলা পরিদর্শক অফিসে আসেনি।অফিসার দের কথা হচ্ছে আসুক আর না আসুক 1লা ফেব্রুয়ারি থেকে করতেই হবে অর্থাৎ একই পিরিয়ডে পাঁচ টা কোথাও ছয় টা শ্রেণীর খেলা বেলা ১টা থেকে ১টা ৪০ পর্যন্ত, তার পর মি ডে মিল কামারকুণ্ডুর এস আই আরও এক ধাপ এগিয়ে বলেন সতেরটা খেলার তালিকা থেকেই খেলতে হবে বাড়তি বা অন্য খেলা করতে হলে এস আই এর অনুমতি লাগবে। সামান্য এই প্রাথমিক বিদ্যালয়ে খেলা নিয়ে যে অফিসার এভাবে বলতে পারেন তারা NPR করব না এটা বিশ্বাস করা যায়। আর এসবে দিদির অনুমতি আছে কারণ ওনার অনুপ্রেরণা ছাড়া গাছের পাতাও নড়ে না। এবার জনগণের ভাববার সময় এসেছে, এরকম একটা মিথ্যে বাদি কে বিশ্বাস করবে কিনা? বিশ্বাস করলেই ডিটেশন ক্যাম্প আর তার জন্য দিদি জমি অধিগ্রহণ করে দেবেন, জমি অধিগ্রহণ করে শিল্প করতে না দিলে কি হবে, ডিটেশন ক্যাম্প তৈরি করার জন্য অবশ্যই জমি অধিগ্রহণ হবেই। যারা ডিটেশন ক্যাম্পে থেকে ক্রীতদাস হতে চান তারা দিদি বিশ্বাস করে ওনার মিছিল মিটিং এ যান, আর বি জে পি নামক চিটিংবাজ দল টা কে যে সব হিন্দু তথা ওপার বাংলা থেকে আসা লোকজন বিশ্বাস করছে তাদের কপালে অশেষ দূর্গতি আছে, আসাম ত্রিপুরা উত্তর প্রদেশের দিকে তাকান তাহলেই বুড়ো
7:00ঝতে পারবেন। আগামী দিনে বুঝে শুনে সমর্থন করুন ভালো থাকবেন সবাই নিজের ভোট দেবেন শত প্রলোভনেও ভুল করবেন না, তাহলেই ডিটেশন ক্যাম্প আর ধীরে ধীরে আপনি ক্রীতদাসে পরিণত হবেন। 

No comments:

Post a Comment

বাঙালি ও বর্তমান ভারত।

 (ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...