Anulekhon.blogspot.com

Sunday, 23 February 2020

দেশে কি সুকুমার রায়ের একুশে আইন চলছে?


পাকিস্তান জিন্দাবাদ বলা টা ঐ মেয়েটির ঠিক হয় নি। এটা আমার রাষ্ট্রের শাসক মনে করে যে এই কথাটা বলবে তিনি দেশদ্রোহী, আচ্ছা কোনো মানুষ যদি বাংলাদেশে জিন্দাবাদ বলে, আফগানিস্তান জিন্দাবাদ বলে, ভূটান, নেপাল, চীন, মায়ানমার জিন্দাবাদ বলে তাহলে তিনিও কি সমান অপরাধী ভারত বর্ষে থেকে অন্য দেশের কথা বলতে বা মনে করতে পারবে না। এই ট্রাম্প আসছেন কেউ আমেরিকা জিন্দাবাদ বলল তাহলে সেও কি অপরাধী সাবস্ত হবে! যদি এরকম আইন থাকে তাহলে জনগণ কে জানানো দরকার না হলে কোথায় কখন কে কোন দেশের কথা বলবে আর দেশদ্রোহী বলে গ্রেফতার করা হবে। এটা একটা বিপদ, আইন প্রণেতা গন ভালো করে ভাবুন আমাদের দেশে কি বাক স্বাধীনতা বলে বিষয়টা নেই, যদি না থাকে তাহলে নেতা মন্ত্রী এমনকি দিল্লির এক সাংসদ বলেন  গুলি করে মারা উচিত বা মেরে দেব শ্মশানে নিয়ে যেতে হবে না যে খানে মারব ওখানে পুঁতে দেব, এনারা বড়ো নেতা তাই এনারা এ সব কথা বলতে পারেন। এনাদের বাক স্বাধীনতা আছে, আমরা সাধারণ মানুষ নেতা খারাপ কাজ করলেও কিছু বলতে পারব না। চোখের সামনে দেখতে পেলাম তোয়ালের নীচে টাকা নিচ্ছে, তবুও তিনি সাধু সারদা রোজভ্যালী আরও কত গুলো চিটফাণ্ডের টাকা আত্মসাৎ করে নিয়ে সাধারণ মানুষ কে নিঃস্ব করে দিল, কত গুলো মানুষ আত্মহত্যা করতে বাধ্য হল। আর সেই চোর দল পরিবর্তন করে সাধু হয়ে গেল, প্রতিনিয়ত দেখছি মিথ্যা বলে ঠকান হচ্ছে, যে ভোটার কার্ড আধার কার্ড দেখিয়ে ভোট দিল সেই ভোটে জিতে সাংসদ বিধায়ক হলো এখন ঐ সব কার্ড  গুলো নাগরিকত্বের প্রমাণ নয়, কিন্তু তার ভোট বৈধ, অতএব দেখা যাচ্ছে একবার ক্ষমতা দখল করতে পারে তাহলে জনগণ আর মানুষ নয় তখন তারা গরু ছাগল। ক্ষমতা কিন্তু বেশিদিন থাকে না, কারণ একটা কথা আছে মানুষের সব দিন সমান যায় না। আমার তো মনে হয় নেতা দের এই ঔদ্ধত্ব তার কারণ চাটুকার কিছু জনগণ, দু টাকা কিল চাল, ভাগরের মাংস আর মদ খাইয়ে ভোট নেওয়া ভোটে নির্বাচিত হবে না, বুঝতে পারলে রিগিং চোখের সামনে দেখা যাচ্ছে জোর করে ভোট হচ্ছে এমনকি গননা কেন্দ্রের মধ্যে ব্যালটে ছাপ দিয়ে জিতে যাচ্ছে। যে সব মানুষ নেতা দের কথায় এসব করছে হয় তারা তোলা তোলে নয় মদ মাংস পায় নেতার কাছ থেকে,নেতার কাছ থেকে সামান্য ঐ উপঢৌকন পাবার জন্য নিজের জীবন বিপন্ন করে মারপিট করে। জেল তো দূর তার ঠিকি পর্যন্ত ছোঁয় না পুলিশ। আর এই কারণেই নেতা দের এই ঔদ্ধত্ব। দেশে সুকুমার রায়ের একুশে আইন চলছে, জনগণের জন্য আইন নেতা মন্ত্রী তোলা বাজ চিটিংবাজ বড়ো বড়ো চোর ( কোটি কোটি টাকা চুরি) তাদের জন্য আইন নেই। 

No comments:

Post a Comment

বাঙালি ও বর্তমান ভারত।

 (ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...