Anulekhon.blogspot.com

Thursday, 28 November 2019

পশ্চিমবঙ্গের নতুন নতুন কর্মসংস্থান।

বাংলার আজ সুদিন সোনার বাংলায় আজ নতুন নতুন শিল্প আসছে। চপ শিল্প মুড়ি শিল্প ঘুগনি ও ঝালমুড়ি বিক্রি। কেনার জন্য লোক নেই, কেনার জন্য লোক হলেও হবে না, মানুষের হাতে টাকা খরচ করার জন্য, তবে দিদি অনেক সাইকেল বিতরন করেছেন। সাইকেল সারানোর দোকান করার কথা উনি বলতে পারেন, দিনে একটা বা দুটো লিক সারিয়ে ক টাকা হবে। কারণ মানুষের হাতে টাকা কম খাবার জন্য টাকা খরচ করতে গিয়ে নিজের চিকিৎসা ঠিক মতো করতে পারে না। বাজারে টাকা যোগান দেওয়ার মূল জায়গা সরকারি কর্মীদের বেতন ঠিক মতো বৃদ্ধি। যেটা কেন্দ্রীয় সরকার ও অন্য রাজ্যের সরকার নিয়মিত ভাবে করে আসছে মূল্য সূচক দেখে ডিএ দেওয়া হয়। এই রাজ্যে সেটা নেই, এ রাজ্যে বেতন বৃদ্ধির জন্য অনশন করতে হয়। আর এই রাজ্যে সব থেকে কম বেতনে কর্মী বেশি। সে মি ডে মিলের রান্নার কর্মী থেকে সরকারি কর্মীদের কাগজে কলমে বেতন বাড়ানো হয়, বাস্তবে তা দেখতে পাওয়া যায় না। আমার কথা বিশ্বাস না হলে নিজেরা একটু মফস্বলে ঘুরে বাজার গুলো দেখুন, বুঝতে পারবেন ক্রেতার অভাব অনেক ঐ রকম সাইকেল সারার দোকান গ্রামের দিকে বন্ধ হয়ে গেছে। চপ বাজবে তেল ব্যাসমের দাম আর খরচ করে সেই সব জিনিস বিক্রি করবে কাকে। আমি জানি না এই রাজ্যের অর্থমন্ত্রী কেমন অর্থ নীতি বিদ। কর্মচারী দের বেতন দিতে ওনার অত আপত্তি কেন? আমি এটা শুনে ছিলাম উনি ফিকির অর্থ উপদেষ্টা ছিলেন, কি ভাবে কর ফাঁকি দিতে হবে আর কর্মী বা শ্রমিক দের বেতন না দিয়ে খাটাতে হবে, তিনি খুব ভাল করে জানেন। পশ্চিমবঙ্গে এখন অঘোষিত অর্থনৈতিক জরুরি অবস্থা চলছে। সরকার এবং তার অর্থ মন্ত্রী যত দিন না বুঝবেন প্রতিদিন বাজার কে সচল রাখতে নিয়মিত অর্থের যোগান দিতে হয়। জিনিসের দাম আকাশ ছোঁয়া মানুষের কেনার ক্ষমতা নেই। শ্রমিক কর্মচারীদের বেতন বাড়ানো জন্য অনশন আন্দোলন করতে হচ্ছে যা এই রাজ্যে বিগত দশ বছর আগেও দেখা যেত না। এই দশ বছরের মধ্যে কিছু নেতা মন্ত্রী টাকার পাহাড় করে ফেলেছে। ঘুষ কাটমানি আরও নানা ভাবে, মন্ত্রীর কুঁড়ে এখন অট্টালিকায় পরিনত হচ্ছে এরই নাম পরিবর্তন! গ্রামের রাস্তা গুলো পাকা হচ্ছে কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে, গুর দিয়ে এত মিষ্টি করে দিচ্ছে গরু, ছাগল,কুকুর, পিঁপড়ে তে খেয়ে নিচ্ছে। কেবল মাত্র রাস্তা ঘাট প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলোর পোশাক জুতো সর্বশিক্ষার টাকা, যেখানে ঐ মিষ্টি পাচ্ছে না, সেখানে সভাপতি কে শিখিয়ে দিচ্ছে কিছুতেই চেকে সই করবে না। তাতে উন্নয়ন হোক আর যাই হোক হোক শিক্ষক কে কিছুতেই টাকা খরচ করতে দেওয়া যাবে না, দারুণ উন্নয়ন কি ভালো ব্যবস্থা। আর কথা বললেই অপরাধী ছ মাস জেল আর সাত দিনের ফাঁসি। জনগণ জানি না কিভাবে সব জেনে বুঝে দেখে একে নির্বাচিত করছে। আসলে ভয়ে ভক্তি বলে, মিথ্যে কথার চটক দারি, এই মুখে বলছেন NRC বা NRIC হবে না। অথচ ডিটেনশন ক্যাম্প করার জন্য জায়গা দিচ্ছেন, আর NRC বা NRIC প্রথম ধাপ NPR শুরু করার নোটিশ দিয়েছেন। বলছেন ওটা জনগননা যা হোক NRIC এ রাজ্যে হবে এই সরকার তার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জনগণনার নাম করে সেটা চলবে। আমি জানি না মানুষকে বোকা বানিয়ে কিভাবে নির্বাচিত হন, টাকা আর কিছু উপঢৌকন পাবার লোভে বা নেতা মন্ত্রী হতে পারলে, কুঁড়ে ঘর অট্টালিকায় পরিনত করা যাবে। সেই কারণেই, মানুষ নির্বাচিত করছে। এবিষয়ে কাজি নজরুল ইসলামের একটি কবিতার একটা লাইন মনে পড়ে যাচ্ছে। প্রায় হাফ নেতা হয়ে উঠেছিস - - - - - - ।

Tuesday, 26 November 2019

কাঁটাতার বাংলার বুকে কলঙ্কের দাগ।

এই কাঁটাতারের বেড়া আর একটি বিশেষ ধর্ম বাঙালি জাতি কে বিপন্ন করে তুলেছে।দেশ ভাগের পর আজ যেটা বাংলাদেশ সেখানে যা হিন্দু ধর্মের লোকসংখ্যা ছিল (একশ শতাংশ।) সেখানে নানা অত্যাচারে তারা ধর্ম পাল্টে ঐ বিশেষ ধর্ম গ্রহণ করেছে, নয়ত অত্যাচার থেকে বাঁচতে কাঁটাতারের বেড়া টপকে এপার বাংলায় আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন।বিভিন্ন সোশাল মিডিয়া দেখুন প্রতি মুহূর্তে দেখতে পাবেন ধর্মের নামে অত্যাচার।  বঙ্গ ভঙ্গের ধর্মের কারবারিরা আজ আবার ভারতের ক্ষমতা দখল করেছে। তারা দেখছে বাংলা ভাগ করে কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে বাঙালি কে আটকাতে পারছে না, তখন নতুন কৌশল অবলম্বন করেছেন NRC বা NRIC করে ডিটেনশন ক্যাম্পে বন্দি করে রাখতে হবে বাঙালি কে ।সেই সময়ে অনেক বাঙালি এদের সাহায্য করে ছিল, ভেবে ছিল এক আর হয়েছে আরেক, এখনও কিছু বাঙালি গনতন্ত্রের নামে গোপনে এদের সাহায্য করে যাচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গে তৈরি করা হচ্ছে ডিটেনশন ক্যাম্প। বাঙালি ধর্ম নিয়ে ব্যস্ত থাক আর তারা আবার বাংলা তথা ভারত ভাগ করে বাঙালি জাতি কে শেষ করে দেবে এই তাদের চিন্তা। ১৯০৫ বাংলার কিছু মহান মানুষের আন্দোলনের ফলশ্রুতিতে লর্ড কার্জন বঙ্গ ভঙ্গ রোধ করতে বাধ্য হন। সেই সময়ে বঙ্গ ভঙ্গের তুমুল আন্দোলনের ফলে,
ব্রিটিশ সরকার তার সিদ্ধান্ত বদল করতে বাধ্য হন। সেই সময়ের ব্রিটিশ সরকারের ইচ্ছা কে বাস্তবে রূপ দেওয়ার জন্য ১৯৪৭ সালে তৎকালীন কংগ্রেসের কিছু মহান নেতা আর কিছু বাঙালি উঠে পরে লাগে। তাদের ইচ্ছা মতো ব্রিটিশ সরকার ও ঐ সব নেতা মিলে বাংলা কে ভাগ করে দেয় নাম দেওয়া হয় পূর্ব পাকিস্তান। আবার ১৯৭১ সালের যুদ্ধে পশ্চিম পাকিস্তানের থেকে মুক্ত হয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের জণ্ম হয়। বাংলা মায়ের বুকে কাঁটাতারের বেড়া নামক কলঙ্কের দাগ পড়ে। কিছু ক্ষমতা লোভী মানুষ তাদের স্বার্থে বাংলা তথা বাঙালি কে দুটি ভাগে ভাগ করে দেয়। কারণ তারা জানত বাঙালি এক থাকলে তারা ক্ষমতা দখল করতে পারবে না। কিছু বাঙালি ব্রিটিশদের দালাল ছিল ঠিক কিন্তু বেশিরভাগ মানুষ ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে লড়াই করছিল। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ছিল সশস্ত্র আন্দোলন।হিন্দু দের মধ্যে জাতি গত বিভাজন এতো কঠোর যে তারা এক জাতি এটা ভাবতেই পারে না। তথা কথিত নীচু জাত মুচি, মেথর, চণ্ডাল, ডোম বর্গক্ষেত্রী এরা হিন্দুদের একটা অংশ এদেরকে নিয়ে চলতে হবে। এই কথাটা ভুলে এদের উপর অত্যাচার করে অন্য হিন্দু ধর্মের লোকজন বা বর্ণ হিন্দুরা। এই অত্যাচার পশ্চিমবঙ্গে কম হলেও অন্য রাজ্যে এরা ভীষণ ভাবে অত্যাচারিত। অতীত এবং বর্তমানে এরা ধর্ম পরিবর্তন করে অন্য ধর্ম গ্রহণ করে নিয়েছে। বাংলাদেশের হিন্দুর সংখ্যা কমতে কমতে এখন হাতে গোনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কেবল বাংলাদেশের কথা এই ভারত তথা পশ্চিমবঙ্গেও ক্রমশ কমছে, এর কারণ গুলোর মধ্যে একটা কারণ হতে পারে ধর্মান্তর। আর অন্য দিকে ঐ বিশেষ শাস্তি ধর্মের অত্যধিক হারে সন্তান জন্ম দেওয়ার জন্য। তিন চারটে বিবাহ করে এবং জণ্মের হার বাড়ানো, এর ফলে আজ দেশে খাদ্য সংকট দেখা দিচ্ছে। জিনিস পত্রের চাহিদা আছে কিন্তু উৎপাদন বা যোগান কম। মানুষের কাজের বা উপায় করার জায়গা কমে গেছে। অল্প মজুরিতে কাজের লোক বেশি অদক্ষ শ্রমিক বেশি। আজ থেকে পঞ্চাশ বছর আগেও এই পরিস্থিতি ছিল না, আর আজকের এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী কিন্তু ঐ শান্তির ধর্মের লোক সংখ্যা। এক সময় এই বাংলায় একশ শতাংশ হিন্দু ধর্মের মানুষ বাস করত তাদের সংখ্যা যত কমছে তার দ্বিগুণ বা কোথাও তিগুন হারে বাড়ছে ঐ শান্তির ধর্মের লোকজন। হিন্দুদের অনৈক্য আর সহনশীলতা তাদের আরও কোন ঠাসা করে তুলেছে। তার সাথে আছে ধর্মের নামে দেশ ভাগ।এই কাঁটাতারের বেড়া বাঙালি জাতির জন্য অভিশাপ। ধর্মের নামে রাজনীতি ধর্মের নামে দেশ ভাগ এবং ভারতের গনতন্ত্র ও ধর্ম নিরপেক্ষতার নামে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল গুলোর একটা বিশেষ ধর্ম কে নানা ভাবে তোলাই দেওয়া ভোটের আশা ছলে বলে কৌশলে ধর্মের প্রসারে সাহায্য করা। আজ এই বাংলায় হিন্দু ধর্মের লোকসংখ্যা কমে যাচ্ছে, তারা কোনঠাসা হয়ে পড়ছে। কত গুলো রাজনৈতিক দল যারা প্রচার করছে আমরা ধর্ম নিরপেক্ষ তারা এদের ভোট পাওয়ার জন্য এদের জণ্ম নিয়ন্ত্রণে উৎসাহিত করে নি, বা অন্য ধর্মের মানুষ কে ধর্মান্তর করা থেকে বিরত করে নি কোন দিন। ভোট বড় বালাই, আর এখন তো ধর্মের কারবারিরা ক্ষমতায় এসেছে।আসুন আমরা সাধারণ মানুষ উচ্চ কণ্ঠে বলি আর ধর্ম নয়, বাংলার কলঙ্ক মোচন করতে সবাই একসাথে লড়াই। ধর্ম অনেক হয়েছে, আগে দেশ রক্ষা করি।



Monday, 25 November 2019

কী অদ্ভুত বাবা বাংলাদেশী ছেলে ভারতীয়।

ছবির নীচের লেখা টি পড়ুন কী অদ্ভুত ব্যাপার বাবা বাংলাদেশী ছেলে ভারতীয়। বাবা কে বাংলাদেশী বলে ডিটেনশন ক্যাম্পে বন্দি করে রাখা হয়েছিল। ঐ ক্যাম্পে বন্দি থাকা অবস্থায় নানান রকমের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে মারা গেছেন এখন ঐ মৃতদেহ ছেলেদের কাছে পৌঁছতে হবে। ছেলেরা বলছে বাবার মৃত্যু আমাদের কাছে কষ্টের কিন্তু ঐ মৃতদেহ আমারা নিতে পারব না, কারণ বাবা বাংলাদেশী বলে ডিটেনশন ক্যাম্পে বন্দি ছিল। চিন্তা নেই আমাদের রাজ্যেও তৈরি হয়েছে ডিটেনশন ক্যাম্পে যেতে হবে। সবার প্রিয় দিদি মুখে বলছেন NRC বা NRIC আমি করতে দেব না, কিন্তু তিনি ইতিমধ্যেই দুটো ডিটেনশন ক্যাম্প তৈরি করছেন। বলছেন। বিদেশী বন্দি দের সঠিক ভাবে রাখার জন্য। এই রাজ্যে সব জেল মিলে কত জন বিদেশি বন্দি আছে। কাগজ মিডিয়া বলছেন ১১০ জন, আর এই ১১০ জন কে রাখতে রাজারহাট আর বনগাঁয় তৈরি করা হচ্ছে। কয়েক বিঘা জমিতে ডিটেনশন ক্যাম্প, আমরা এটা জানি উনি মুখে অনেক ভালো কথা বলেন কিন্তু বাস্তবে তার উল্টো দেখা যায়। উনি রেল মন্ত্রী থাকার সময় গ্রুপ ডি নিয়োগের ফর্ম দিয়ে ছিলেন যা আজ পর্যন্ত দিনের আলো দেখেনি। মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার আগে কত প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তার ঠিক নেই। যে টা ক্ষতি কর বা তিনি ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবেন সেটা করেছেন। আর বাঙালি জাতি কে নিয়ে যখন নোংরা রাজনীতি চলছে তখন ক্ষমতা দখল করতে নানা কৌশল অবলম্বন করতে শুরু করে দিয়েছেন। ও দিকে সি বি আই আছে এই ভয়ে তিনি গোপনে কেন্দ্রীয় সরকারের এই বাঙালি বিদ্বেষী নীতি সমর্থন করেন। আসামের যে বাঙালি জাতি আজ বাংলাদেশী বলে ঘোষিত হয়েছেন, তার অধিকাংশই এই পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা তারা সরকারের কাছে আবেদন করে নথি চেয়েও পাননি। সেই জন্য শাসক দলের প্রতিনিধি অনেক বার আসামে গেছে, পাত্তা করতে পারে নি। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ সহ সারা দেশে NRC বা NRIC যা হোক সেই সময়েও অনেকেই নথি খুঁজে পাবে না। অনেক জায়গায় বন্যা আগুনে পুড়ে যাওয়া অনেক ঘটনাই ঘটেছে। অর্থাৎ এই রাজ্যে NRC বা NRIC নামে বাঙালি কে বন্দি করতে হবে তাই আগে থেকেই তৈরি করা হচ্ছে ডিটেনশন ক্যাম্প। 

আবার ফেরত আসছে ভুট্টা, মাইলো, খুদ, আর বাবু গো একটু ফ্যান দেবে।

বিজন ভট্টাচার্যের লেখা "নবান্ন" নাটক পড়েছেন। ঐ নাটকের প্রধান নামে একটি চরিত্র ছিল। যে গ্রাম থেকে শহরে এসেছে একটা কাজের খোঁজে পেটে ভাত নেই এই সময়ে শহরের এক জমকালো বিয়ে বাড়ির সামনে প্রচুর উছিষ্ট খাবার ফেলে দেওয়া হয়েছে কিন্তু এই সব মানুষ কে খেতে দেওয়া হয় নি। চাইলে তাড়া করেছে কুকুরের সাথে ভাগ করে খেয়েছে এসব নাটকের দৃশ্য নয় ভাই বাস্তব ছিল। নাটকে একটি কথা ছিল বারবার খাবার চেয়ে না পেয়ে ঐ চরিত্র বলছে, " বাবু গো তোমরা কি বধির হয়ে গেছ।" একটু ফ্যান দাও বাবু গো। ১৯৭৭ সালের আগের দিন আবার ফেরত আসছে। খাদ্য দ্রব্য থেকে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম আকাশ ছোঁয়া। মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে। ২০১১ সালের আগে যে চালের দাম ছিল ১৪ টাকা এখন ২৮ টাকা। দু টাকা কিলো চাল দেওয়ার নামে চলছে প্রহশন যাদের পাওয়ার কথা তারা পাচ্ছে না। পাঁচ ছ হাজার টাকার কাজ পেতে আজ কালঘাম ছুটে যাচ্ছে। মাসে পাঁচ ছ হাজার টাকা বেতনে এই বাজারে কিছু হবে না। একজন মানুষের কোন রকমে চলে। প্রতি টি জিনিসের দাম আকাশ ছোঁয়া। আবার সেই দিন ফেরত আসছে, ধনীর লঙ্গর খানায় লাইন দেবে মানুষ। খুদ মাইলো কিনে খাবে। কারণ মুগ কড়াই কেনার টাকা ক্ষমতা এখন আর মানুষের নেই। চাষের কাজে যাবে সেও এখন প্রায় বন্ধ। কারণ চাষিদের অবস্থা খারাপ, সার বীজের যা দাম ফসলের দাম নেই। আজ দেখুন চাষিদের কাছ থেকে ছ টাকায় কেনা আলু বিক্রি হচ্ছে বাইশ বা চব্বিশ টাকায়। পেঁয়াজ সেঞ্চুরি করে ফেলেছে। আবার সেই দিন ফেরত আসছে, ২০১২ সাল থেকে সরকারি চাকরির আকাল লেগেছে। যদি বা চাকরি আছে বেতন নেই। বিজন ভট্টাচার্যের সেই চরিত্র এবার বাস্তবে বলে উঠবে, "বাবু গো তোমার কি বোধির হয়ে গেছ।" আজ স্টেশন চত্বরে ট্রেনের মধ্যে ভীক্ষারি ক্রমশ বাড়ছে। ট্রেনের মধ্যে বেকার ছেলের দল গান করে সাহায্য চাইছে। অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে ১৯৭৭ এর আগের দিন আবার ফেরত আসছে।

Wednesday, 20 November 2019

কর্মের সন্ধানে।

বিজ্ঞাপন নম্বর :- 20/2019/WBPRB
যারা প্রাথমিক লিখিত পরীক্ষার ফলাফল বেড়িয়েছে। Wbpolice.gov.in এই ওয়েব সাইটে গিয়ে নিজের আবেদন পত্রের ক্রমিক সংখ্যা ও জণ্ম তারিখ দিলে দেখতে পাবেন। যারা পাশ করছেন তারা কবে কোথায় শারিরীক যোগ্যতার পরীক্ষার জন্য কোথায় কবে হাজির হবেন। যারা পাশ করে এই চাকরি পাবেন তাদের প্রত্যেকের জন্য আগাম শুভেচ্ছা রইলো। চাকরির আকালের বাজারে একটা চাকরি পাওয়া সত্যিই অনেক ভগবানের দেখা পাওয়া। 

অনুলেখনে নতুন বিষয়ে লেখা থাকবে। ( কর্মের সন্ধান)

বর্তমানে দেশে ও রাজ্যে বেকার সমস্যা খুব একটা ভালো কাজের জন্য হাহাকার করছে বেকার ছেলে মেয়ে। এই পরিস্থিতিতে আমার এই ব্লগ কর্মের সন্ধান দিতে একটু চেষ্টা করবে আরককিছু সাধারণ জ্ঞানের প্রশ্ন এই লেখা পড়ে একজন ছেলে মেয়েও যদি কাজ পায় তার চেষ্টা। অনেক বেসরকারি সংস্থা বড় বড় কাগজে বিজ্ঞাপন না দিয়ে লোক নিয়োগ করেন তাদের বলছি, আপনারা আমার এই ব্লগে কোন রকম পয়সা ছাড়া আপনার সংস্থার লোক নিয়োগের খবর অনলাইন প্রচার করতে পারেন। এখানে একটা ফোন নম্বর দেওয়া হবে সেই নম্বরে ফোন করে, সঠিক তথ্য দিন আপনার সংস্থার লোক নিয়োগের জন্য। আসুন আমরা সবাই মিলে এই প্রচন্ড বেকাসমস্যার যুগে কিছুটা সমাধা:-

ফোন নম্বর 7687870383 

Sunday, 10 November 2019

MDM নিয়ে এতো তোলপাড় হল পূজোর আগে, তবুও বইছে ২০১১ সালের হাওয়া।

আগে লিখি ২০১১ সালের এপ্রিল মে জুন কী ঘটেছিল। মিড ডে মিলের খরচ করার পর আসে বিশেষ করে টাকা শিক্ষকরা ধার দেনা করে খাওয়ান তার ঠিক তিন মাস বা চার মাস পরে টাকা আসে। ঐ বছর ঐ তিন মাসের চাল দেওয়া হয়নি ( সিঙ্গুর ব্লকে) আর টাকাও দেওয়া হয়নি। এখানে প্রশ্ন চাল নেই খাওয়ালেন কী করে? একদম ঠিক কথা কিন্তু এপ্রিল মাসে জানুয়ারি ফেব্রুয়ারি মার্চ মাসের চাল পৌঁছে ছিল এবং জানুয়ারি ফেব্রুয়ারি মার্চ মাসের টাকা। যা দিয়ে দোকান দারের দেনা শোধ হয়ে ছিল মার্চ পর্যন্ত। এবার যখন জুলাই মাসে এপ্রিল মে জুন মাসের চাল টাকা আসার কথা তখন সরকার বদল হয়েছে। জুলাই মাসে আর এপ্রিল মে জুন মাসের টাকা ও চাল দেওয়া হলো না। আগষ্ট মাসে জুলাই আগষ্ট মাসের চাল এলো কিন্তু টাকা নেই ওদিকে ঐ তিন মাসের টাকা বাকি চাল দেওয়া হয় নি। শিক্ষকরা বিডিও অফিসে গেলেন বিডিও এবং স্কুলের স্থানীয় প্রশাসন জবাব দিল চাল দেওয়া হয়নি খাওয়ালেন কী করে? ভাবুন এপ্রিল মাসে জানুয়ারি ফেব্রুয়ারি মার্চ মাসের চাল দেওয়া হয়েছিল। সেই চাল দিয়ে ঐ তিন মাস তারা খাওয়াল ধার দেনা করে, পরে সেই চাল ও টাকা জুলাই মাসে দেওয়ার কথা না জুলাই মাসের জুলাই ও আগষ্ট মাসের চাল গেল পরে সেপ্টেম্বর মাসের শেষে জুলাই আগষ্ট সেপ্টেম্বর মাসের টাকা দেওয়া হলো। আর ঐ দেনা শিক্ষকরা তাদের বেতন থেকে শোধ করতে বাধ্য হলো। গত সেপ্টেম্বর১৯ মাসে ঠিক পূজোর আগে মিড ডে মিল নিয়ে
ভীষণ হৈচৈ তার কারণ কোনো এক স্কুলে নুন ভাত খেতে দেওয়া হচ্ছিল। সেই কারণেই সমস্ত বিদ্যালয় দোষী সোসাল মিডিয়ায় কত রকম কথা পোষ্ট দেখতে দেখতে মনে হোত সত্যিই মিডে মিল শিক্ষক জব্দ করার প্রকল্প। এখনো আমার তাই মনে হচ্ছে, পূজোর ছুটির আগে প্রতিটি বিদ্যালয় বিডিও অফিসে মিডে মিলের হিসেবে দিয়েছে। (যে টা প্রতি মাসে দিতে হয়) সেখানে চালের হিসেবে ছিল টাকার হিসেব ছিল। আবার বিদ্যালয় খোলার পর অক্টোবর মাসের হিসেবে নভেম্বর মাসে জমা হয়েছে। সেখানেও একই হিসেবে আছে চাল নেই রান্না বন্ধ হয়ে যাবে। অনেক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তার উদ্যোগে ভ্যান রিকশা ভাড়া করে চাল যে খান থেকে আসে সেখান থেকে চাল এনে খাওয়াচ্ছে। (সিঙ্গুর ব্লকে) আজ নভেম্বর মাসের প্রায় অর্ধেক দিন পার হতে চলেছে টাকার কোনও গল্প নেই। অর্থাৎ চালও নেই আর টাকাও নেই, আবার সেই ২০১১ সালের ঘটনা ঘটবে না তো। অফিস থেকে মিড ডে মিল খাওয়ালেন কীনা তার মেসেজ চেয়ে যাচ্ছে না পাঠালে সেই শিক্ষকের অবস্থা খারাপ কিন্তু চাল টাকার দেখা নেই। সেই ব্যাপারে কোন উদ্যোগ নেই, দারুণ ব্যাপার, তাই না এখন আর কোনো মিডিয়া নেই কোন সোসাল মিডিয়া নেই। শিক্ষকদের জব্দ করতে এই একটা প্রকল্প যথেষ্ট।





Saturday, 9 November 2019

বিশ্বের কয়েকটি দেশের মানুষ বামপন্থীদের জয়ী করছে, আমরা পিছিয়ে থাকি কেন?

বিশ্বের কয়েকটি দেশ, বিশেষ করে লাতিন আমেরিকার কয়েকটি দেশে বামপন্থীদের মানুষ আবার ফিরিয়ে এনেছে, নির্বাচনের
মাধ্যমে। ইন্দোনেশিয়া থেকে শুরু করে আমাদের পাশের দুই প্রতিবেশী দেশ ভুটান ও শ্রীলঙ্কায় দেখা যাচ্ছে লাল ঝাণ্ডার আন্দোলন। আমাদের লাখ টাকার প্রশ্ন আমরা কি আমাদের রাজ্যে লাল ঝাণ্ডা কে ফিরিয়ে আনতে পারি না! কারণ আমাদের দেশে লাল ঝাণ্ডা ক্ষমতায় আসবে কিনা জানি না, কিন্তু এই বাংলায় দীর্ঘ ৩৪ বৎসর বাম শাসন ছিল। মানুষ এই বাম শাসন কে সরিয়ে এ রকম একটা মিথ্যাবাদী ধাপ্পাবাজ চোর ডাকাত দের ক্ষমতায় নিয়ে এলো কেন? এটা এখন লাখ টাকার প্রশ্ন। কিছু আছে বলছেন সেই সময়ে বাম নেতাদের একাংশের আচার আচরণ রাজার মতো বা সামন্ত প্রভুদের মতো হয়ে গিয়েছিল। আবার অন্য আরেকটা কথা ইনি ভোটের আগে প্রতিশ্রুতি দিয়ে ছিলেন। সাধারণ ভোটার দেখে ছিল যে উনি যদি সত্যি ঐ সব প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেন, তবে বাংলার উন্নয়ন হবে। বেকার ছেলে মেয়েরা কাজ পাবে। সেই কারণেই বর্তমান শাসক দল কে মানুষ ক্ষমতায় এনে ছিল। আবার এটাও ঠিক বর্তমান সরকার গ্রামের রাস্তা ঘাট করে দিয়েছে কিছু নেতা কর্মীরা যারা তোলা তুলে টাকা খেয়ে বিভিন্ন রকম ভাবে সাধারণ মানুষের থেকে টাকা নিয়েছে।এই সব কর্মীদের বর্তমান শাসক দল প্রশয় দিয়ে যাচ্ছে। মানুষ দেখছে সারদা রোজভ্যলী আরও নানা চিট ফান্ডের টাকা এবং নারদা ঘুষ কাণ্ড ঘটে গেছে আর তাতে বর্তমান শাসক দল জড়িত তাদের অনেকে নেতা মন্ত্রী জেল খেটে এসেছে। প্রতি টি নির্বাচনের আগে সি বি আই নামক তদন্ত সংস্থা একজন না একজন কে জেলে নিয়ে যাচ্ছে। অথচ এরকম হবার কথা ছিলো না সে দিক থেকে ৩৪ বৎসর শাসন করে বাম নেতা মন্ত্রী রা এখনো জেল খাটেনি। ক্ষমতায় আসার আগে এই শাসক দল বলে ছিল বাম নেতা কর্মী এবং মন্ত্রীরা চোর এদের জেলে যেতে হবে। এগারো না বারোটা কমিশন গঠন করা হয়েছিল। নন্দীগ্রাম ও সিঙ্গুর নিয়ে সি বি আই তদন্ত করে ছিল। নন্দীগ্রাম তদন্তের রিপোর্ট জমা পরেছে দূর্ভাগ্য সেই রিপোর্টে কি আছে কারা অপরাধী তাদের শাস্তি আজও হোল না। সিঙ্গুর যে সাজানো ঘটনা সেটা আজ দিনের আলোর মতো পরিস্কার। কল কারখানা অব্যশই দরকার না হলে বেকার ছেলে মেয়েদের কাজ হবে কোথায়? বর্তমানে কিছু সি পি আই এম নেতা অবশ্যই নিজে কে পাল্টেছেন। কিছু দূর্নীতি গ্রস্ত ধান্ধা বাজ বর্তমান শাসক দলে যোগ দিয়েছেন। আর কিছু পাড়ার দাদা তথা সিপিএমের মাতবর বসে গেছেন। আর সে ভাবে পার্টির কাজ করে না। সি পি আই এম এই সব দাদার উপর নির্ভর করে চলত নতুন কাউকে এই দাদার দল তুলতে দেয় নি। আর এই সব কারণে অনেক গ্রামে সি পি আই এম কে নেতৃত্ব দেবার লোক নেই। আর এই কারণেই নিচু তলার বেশ কিছু সমর্থক যারা ভালো কর্মী হতে পারত তারা শাসকের অত্যাচারের হাত থেকে রক্ষা পেতে বি জে পি তে নাম লেখাছে। বামফ্রন্ট বা সি পি আই এম তাদের চোর তোলা বাজ হীন স্বচ্ছ দল হয়েও মানুষের সাথে মিশতে না পারার কারণে সঠিক ভাবে আন্দোলন করতে পারছে না। মানুষ ভীর করছে তাদের সভায় কিন্তু সেই মানুষের ভোট ভোট বাস্কে আনতে পারছে না। অথচ বাংলার বর্তমান অবস্থার পরিবর্তন করতে পারে একমাত্র বামফ্রন্ট। কারণ কেবল মাত্র সি পি আই এম থেকে বি জে পি তে গেছে তা নয়। বর্তমান শাসক দল থেকে অনেক নেতা মন্ত্রী ঐ বি জে পি তে নাম লিখিয়েছে। তাদের মধ্যে অনেকেই দূর্নীতি গ্রস্ত, অর্থাৎ চুরি করে সাধু সাজতে বা সি বি আই এর হাত থেকে রক্ষা পেতে তারা বি জে পি মুখী। আর সাধারণ মানুষ শাসকের অত্যাচার থেকে বাঁচতে বি জে পি মুখি। বাম মুখি কেন নয় জনতা তার জন্য অতীতে গ্রামে গ্রামে গজিয়ে ওঠা বামপন্থী দাদারা মানুষ ভাবছে যে দাদার ভয়ে বর্তমান শাসক দল কে ক্ষমতায় নিয়ে এলাম ঐ বামপন্থী দাদারা শাসক দলের নেতা হয়ে গেল। এবার বি জে পি দরকার, কিন্তু ও রা আবার বি জে পি তে। এই দিশেহারা মানুষ কে অভয় দিতে হবে বামপন্থীদের যে ঐ গ্রামের দাদার দল যেন না ফেরে দলে। আর নতুন করে যেন দাদা তৈরি না হয়। গ্রামের দাদার কথা শেষ কথা সেই সব যেন না ফিরে আসে। পশ্চিমবঙ্গের মানুষ আবার বাম দিকে ফিরে আসবে এই গুলো না হলে। সবাই ভালো থাকবেন পশ্চিমবঙ্গে আবার বামফ্রন্ট সরকার আসুক ২০২১ আবার বামপন্থীদের জয় জয়কার হোক। না হলে বেকারের চাকরি কেবল প্রতিশ্রুতি রয়ে যাবে। চাকরি হবে না নিয়োগের তালিকা পর তালিকা বেড়বে বাস্তবে রূপ নেবে না। আসুন সকলে মিলে আগামী ২০২১ অষ্টম বামফ্রন্ট সরকার তৈরি করি। 

Monday, 4 November 2019

একি কাণ্ড সব বিরোধী দের ষঢ়যন্ত্র ।

একি কাণ্ড সব বিরোধী দের ষঢ়যন্ত্র ।গত লোকসভা নির্বাচনে একটু কম আসন পেয়েছি আর ষঢ়যন্ত্র করে আমার নেতা কর্মীদের ফাঁসানো। সি পি আই এম ভেবেছে টা কি, আমি যতদূর জানি দোষারোপ টা এ ভাবেই করা হয়েছে বা হবে। একটা ঘটনা দেখলাম না অনেক ঘটনা অপরাধী কে আড়াল করার। আর অপরাধী কে আড়াল করলে অপরাধ বাড়ে কমে না। এটা আমরা সকলেই জানি কিন্তু এই রাজ্যে এটা দস্তুর আসল অপরাধী কে আড়াল কর বা অপরাধী কে লঘু শাস্তি দাও সে যদি শাসক দলের হয় তবে তাকে জামাই আদর করও কারণ সে হচ্ছে দলের সম্পদ। এই ভাবে দীর্ঘ দিন চলতে চলতে রাজ্য টা আজ অপরাধী দের স্বর্গ রাজ্যে পরিণত হয়েছে। আবার উল্টো টা আছে বিনা অপরাধে বা লঘু অপরাধে গুরু শাস্তি। সত্যি কি বিচিত্র এই রাজ্যের শাসন ব্যবস্থা, চিরটা কাল এক রয়ে গেল বদল হল না একটুও। অপরাধী যখন যে শাসক আসে সেই দলে নাম লিখিয়ে পার পেয়ে যায়। 

Friday, 1 November 2019

বিবেকানন্দ আজও প্রাসঙ্গিক।

ভারতের বিবেক যার জীবনী না পড়লে যার সম্পর্কে না জানালে জীবন টা ব্যর্থ। শিক্ষা দীক্ষা সব যেন নিরস অসাড় বলে মনে হয়। সেই মহান পুরুষ কেবল মাত্র ভারতের নয় গোটা বিশ্বের মানুষের বিবেক। ধর্ম ধর্মে হানা হানি বন্ধের জন্য ১৮৯৩ খ্রীষ্টাব্দের ১১ ই সেপ্টেম্বর শিকাগো মহা ধর্ম সন্মেলনে ভাষন দিয়ে ছিলেন। আজ থেকে একশ পঁচিশ বছর আগে, যে কথা তিনি ধর্ম সন্মেলনে বলেছিলেন আজও প্রাসঙ্গিক ।কোন ধর্ম ছোট নয়, হিন্দু ধর্ম প্রথম থেকেই পর ধর্ম সহিষ্ণু, যুগে যুগে বিভিন্ন ধর্মের মানুষ কে আশ্রয় দিয়ে এসেছে। এরকম একজন মহাপুরুষের প্রতি টি কথাই আমার বানী বলে মনে হয়। সেই মহান পুরুষের বলা বেশ কিছু বিখ্যাত কথা যা চির সত্য সে গুলো লিখব। ব্যাখ্যা আপনারা করে নেবেন কেমন। ১)অজ্ঞতা বশতই আমরা পরস্পর কে ঘৃণা করি। ২)অজ্ঞান অসাম্য ও বাসনা -- এই তিন টি মানব জাতির দুঃখের কারণ ৩)অনন্ত ধৈর্য্য ধরিয়া থাকো, সিদ্ধি তোমার করতলে ।৫)আমরা পাঁচ মিনিটের জন্য কোনো ব্যক্তির ক্ষুধা নিবৃত্ত করিতে পারি , কিন্তু সে আবার ক্ষুধার্ত হইবে।
৬)আমরা মানুষ কে যাহা কিছু সুখ দিতে পারি, ক্ষনস্থায়ী 
৭)আদর্শ সন্ন্যাসী হওয়া অপেক্ষা আদর্শ গৃহী হওয়া কঠিন।
৮)মানুষ কে পাপী বলাই এক মহা পাপ।
৯)যখন পদ্ম ফোটে, তখন ভ্রমর নিজে নিজেই মধু খুঁজিতে আসে। এই রূপে যখন তোমার হৃদ - পদ্ম ফুটিবে তখন শত শত মানুষ তোমার নিকট শিক্ষা লইতে আসিবে।
১০)প্রথমে চরিত্র গঠন কর---এই টিই তোমার প্রথম কর্তব্য।
১১)সকলের উচিত, হুকুম করার আগে হুকুম তামিল করতে শেখা।
১৩)যিনি অর্থ যশ বা অন্য কোনো অভিসন্ধি ব্যতীত কর্ম করেন, তিনিই সর্বাপেক্ষা ভালো কর্ম করেন।
১৪)যিনি নিজে পাপী, তিনি কেবল অপরকে পাপী দেখিয়া থাকেন।
১৫) সর্বদা কর্ম কর, কিন্তু দাসের মতো কর্ম করিও না। ১৬) আমরাই আমাদের দুর্দশা অবনতি ও দুঃখ কষ্টের জন্য দায়ী।
১৭) আমরা তিন জন এক সঙ্গে মিলিত হলেই পরস্পর কে ঘৃণা করিয় থাকি, ঈর্ষা বা হিংসা করিয়া থাকি।
১৮)সত্য কখনও পক্ষপাতী হতে পারে না।
20)সৎসঙ্গে বাস করো অথবা নিঃসঙ্গ হও।
২১) যে কোন কিছু বিশ্বাস করে না, সে দেখলেও বিশ্বাস করে না।
২২)যাহা শরীর মনকে দুর্বল করে, তাহাই পাপ। এই দুর্বলতা পরিত্যাগ কর। 
২৩)মানুষ কে অধ্যায়ন কর, মানুষই জীবন্ত কাব্য। 
২৪)সত্য কে সত্যের দ্বারা বিচার করতে হবে, অন্য কিছু দ্বারা নয়। 
২৫)যেখানে স্ত্রী লোক বা নারী দের মর্যাদা নেই, যেখানে স্ত্রী লোক বা নারীরা অত্যাচারিত, সে সংসার বা দেশের উন্নতির কখনো আশা নেই। 
২৬)চিত্ত শুদ্ধি ও মৌনতা থেকেই কথার ভেতর জোর আসে। 
২৭)যত দিন না আমার হৃদয় রূপ শাস্ত্র খুলছে, ততদিন শাস্ত্র পাঠ বৃথা। 
২৮)যখনই সুখ ভোগ করিবে, তারপরেই দুঃখ আসবেই আসবে। 
২৯)তোমার ভেতরে যে দোষ গুলি আছে সব দূর করে ফেলো, তাহলেই তুমি আর বাইরের দোষ দেখতে পাবে না। 
৩০)সমগ্র বিশ্বই পাগল -- কেহ ধনের বা টাকা পয়সার জন্য, কেহ সুখের জন্য, কেহ বা নামের জন্য, কেহ বা অন্য কিছুর জন্য। সেই ধন্য, যে ঈশ্বরের জন্য পাগল। 
৩১)যে অপর কে স্বাধীনতা দিতে চায় না, অপরের অধিকার খর্ব করে। সে কি স্বয়ং স্বাধীনতা বা অধিকার পাবার যোগ্য

বাঙালি ও বর্তমান ভারত।

 (ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...