Anulekhon.blogspot.com

Tuesday, 26 November 2019

কাঁটাতার বাংলার বুকে কলঙ্কের দাগ।

এই কাঁটাতারের বেড়া আর একটি বিশেষ ধর্ম বাঙালি জাতি কে বিপন্ন করে তুলেছে।দেশ ভাগের পর আজ যেটা বাংলাদেশ সেখানে যা হিন্দু ধর্মের লোকসংখ্যা ছিল (একশ শতাংশ।) সেখানে নানা অত্যাচারে তারা ধর্ম পাল্টে ঐ বিশেষ ধর্ম গ্রহণ করেছে, নয়ত অত্যাচার থেকে বাঁচতে কাঁটাতারের বেড়া টপকে এপার বাংলায় আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন।বিভিন্ন সোশাল মিডিয়া দেখুন প্রতি মুহূর্তে দেখতে পাবেন ধর্মের নামে অত্যাচার।  বঙ্গ ভঙ্গের ধর্মের কারবারিরা আজ আবার ভারতের ক্ষমতা দখল করেছে। তারা দেখছে বাংলা ভাগ করে কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে বাঙালি কে আটকাতে পারছে না, তখন নতুন কৌশল অবলম্বন করেছেন NRC বা NRIC করে ডিটেনশন ক্যাম্পে বন্দি করে রাখতে হবে বাঙালি কে ।সেই সময়ে অনেক বাঙালি এদের সাহায্য করে ছিল, ভেবে ছিল এক আর হয়েছে আরেক, এখনও কিছু বাঙালি গনতন্ত্রের নামে গোপনে এদের সাহায্য করে যাচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গে তৈরি করা হচ্ছে ডিটেনশন ক্যাম্প। বাঙালি ধর্ম নিয়ে ব্যস্ত থাক আর তারা আবার বাংলা তথা ভারত ভাগ করে বাঙালি জাতি কে শেষ করে দেবে এই তাদের চিন্তা। ১৯০৫ বাংলার কিছু মহান মানুষের আন্দোলনের ফলশ্রুতিতে লর্ড কার্জন বঙ্গ ভঙ্গ রোধ করতে বাধ্য হন। সেই সময়ে বঙ্গ ভঙ্গের তুমুল আন্দোলনের ফলে,
ব্রিটিশ সরকার তার সিদ্ধান্ত বদল করতে বাধ্য হন। সেই সময়ের ব্রিটিশ সরকারের ইচ্ছা কে বাস্তবে রূপ দেওয়ার জন্য ১৯৪৭ সালে তৎকালীন কংগ্রেসের কিছু মহান নেতা আর কিছু বাঙালি উঠে পরে লাগে। তাদের ইচ্ছা মতো ব্রিটিশ সরকার ও ঐ সব নেতা মিলে বাংলা কে ভাগ করে দেয় নাম দেওয়া হয় পূর্ব পাকিস্তান। আবার ১৯৭১ সালের যুদ্ধে পশ্চিম পাকিস্তানের থেকে মুক্ত হয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের জণ্ম হয়। বাংলা মায়ের বুকে কাঁটাতারের বেড়া নামক কলঙ্কের দাগ পড়ে। কিছু ক্ষমতা লোভী মানুষ তাদের স্বার্থে বাংলা তথা বাঙালি কে দুটি ভাগে ভাগ করে দেয়। কারণ তারা জানত বাঙালি এক থাকলে তারা ক্ষমতা দখল করতে পারবে না। কিছু বাঙালি ব্রিটিশদের দালাল ছিল ঠিক কিন্তু বেশিরভাগ মানুষ ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে লড়াই করছিল। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ছিল সশস্ত্র আন্দোলন।হিন্দু দের মধ্যে জাতি গত বিভাজন এতো কঠোর যে তারা এক জাতি এটা ভাবতেই পারে না। তথা কথিত নীচু জাত মুচি, মেথর, চণ্ডাল, ডোম বর্গক্ষেত্রী এরা হিন্দুদের একটা অংশ এদেরকে নিয়ে চলতে হবে। এই কথাটা ভুলে এদের উপর অত্যাচার করে অন্য হিন্দু ধর্মের লোকজন বা বর্ণ হিন্দুরা। এই অত্যাচার পশ্চিমবঙ্গে কম হলেও অন্য রাজ্যে এরা ভীষণ ভাবে অত্যাচারিত। অতীত এবং বর্তমানে এরা ধর্ম পরিবর্তন করে অন্য ধর্ম গ্রহণ করে নিয়েছে। বাংলাদেশের হিন্দুর সংখ্যা কমতে কমতে এখন হাতে গোনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কেবল বাংলাদেশের কথা এই ভারত তথা পশ্চিমবঙ্গেও ক্রমশ কমছে, এর কারণ গুলোর মধ্যে একটা কারণ হতে পারে ধর্মান্তর। আর অন্য দিকে ঐ বিশেষ শাস্তি ধর্মের অত্যধিক হারে সন্তান জন্ম দেওয়ার জন্য। তিন চারটে বিবাহ করে এবং জণ্মের হার বাড়ানো, এর ফলে আজ দেশে খাদ্য সংকট দেখা দিচ্ছে। জিনিস পত্রের চাহিদা আছে কিন্তু উৎপাদন বা যোগান কম। মানুষের কাজের বা উপায় করার জায়গা কমে গেছে। অল্প মজুরিতে কাজের লোক বেশি অদক্ষ শ্রমিক বেশি। আজ থেকে পঞ্চাশ বছর আগেও এই পরিস্থিতি ছিল না, আর আজকের এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী কিন্তু ঐ শান্তির ধর্মের লোক সংখ্যা। এক সময় এই বাংলায় একশ শতাংশ হিন্দু ধর্মের মানুষ বাস করত তাদের সংখ্যা যত কমছে তার দ্বিগুণ বা কোথাও তিগুন হারে বাড়ছে ঐ শান্তির ধর্মের লোকজন। হিন্দুদের অনৈক্য আর সহনশীলতা তাদের আরও কোন ঠাসা করে তুলেছে। তার সাথে আছে ধর্মের নামে দেশ ভাগ।এই কাঁটাতারের বেড়া বাঙালি জাতির জন্য অভিশাপ। ধর্মের নামে রাজনীতি ধর্মের নামে দেশ ভাগ এবং ভারতের গনতন্ত্র ও ধর্ম নিরপেক্ষতার নামে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল গুলোর একটা বিশেষ ধর্ম কে নানা ভাবে তোলাই দেওয়া ভোটের আশা ছলে বলে কৌশলে ধর্মের প্রসারে সাহায্য করা। আজ এই বাংলায় হিন্দু ধর্মের লোকসংখ্যা কমে যাচ্ছে, তারা কোনঠাসা হয়ে পড়ছে। কত গুলো রাজনৈতিক দল যারা প্রচার করছে আমরা ধর্ম নিরপেক্ষ তারা এদের ভোট পাওয়ার জন্য এদের জণ্ম নিয়ন্ত্রণে উৎসাহিত করে নি, বা অন্য ধর্মের মানুষ কে ধর্মান্তর করা থেকে বিরত করে নি কোন দিন। ভোট বড় বালাই, আর এখন তো ধর্মের কারবারিরা ক্ষমতায় এসেছে।আসুন আমরা সাধারণ মানুষ উচ্চ কণ্ঠে বলি আর ধর্ম নয়, বাংলার কলঙ্ক মোচন করতে সবাই একসাথে লড়াই। ধর্ম অনেক হয়েছে, আগে দেশ রক্ষা করি।



No comments:

Post a Comment

বাঙালি ও বর্তমান ভারত।

 (ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...