Anulekhon.blogspot.com

Thursday, 28 November 2019

পশ্চিমবঙ্গের নতুন নতুন কর্মসংস্থান।

বাংলার আজ সুদিন সোনার বাংলায় আজ নতুন নতুন শিল্প আসছে। চপ শিল্প মুড়ি শিল্প ঘুগনি ও ঝালমুড়ি বিক্রি। কেনার জন্য লোক নেই, কেনার জন্য লোক হলেও হবে না, মানুষের হাতে টাকা খরচ করার জন্য, তবে দিদি অনেক সাইকেল বিতরন করেছেন। সাইকেল সারানোর দোকান করার কথা উনি বলতে পারেন, দিনে একটা বা দুটো লিক সারিয়ে ক টাকা হবে। কারণ মানুষের হাতে টাকা কম খাবার জন্য টাকা খরচ করতে গিয়ে নিজের চিকিৎসা ঠিক মতো করতে পারে না। বাজারে টাকা যোগান দেওয়ার মূল জায়গা সরকারি কর্মীদের বেতন ঠিক মতো বৃদ্ধি। যেটা কেন্দ্রীয় সরকার ও অন্য রাজ্যের সরকার নিয়মিত ভাবে করে আসছে মূল্য সূচক দেখে ডিএ দেওয়া হয়। এই রাজ্যে সেটা নেই, এ রাজ্যে বেতন বৃদ্ধির জন্য অনশন করতে হয়। আর এই রাজ্যে সব থেকে কম বেতনে কর্মী বেশি। সে মি ডে মিলের রান্নার কর্মী থেকে সরকারি কর্মীদের কাগজে কলমে বেতন বাড়ানো হয়, বাস্তবে তা দেখতে পাওয়া যায় না। আমার কথা বিশ্বাস না হলে নিজেরা একটু মফস্বলে ঘুরে বাজার গুলো দেখুন, বুঝতে পারবেন ক্রেতার অভাব অনেক ঐ রকম সাইকেল সারার দোকান গ্রামের দিকে বন্ধ হয়ে গেছে। চপ বাজবে তেল ব্যাসমের দাম আর খরচ করে সেই সব জিনিস বিক্রি করবে কাকে। আমি জানি না এই রাজ্যের অর্থমন্ত্রী কেমন অর্থ নীতি বিদ। কর্মচারী দের বেতন দিতে ওনার অত আপত্তি কেন? আমি এটা শুনে ছিলাম উনি ফিকির অর্থ উপদেষ্টা ছিলেন, কি ভাবে কর ফাঁকি দিতে হবে আর কর্মী বা শ্রমিক দের বেতন না দিয়ে খাটাতে হবে, তিনি খুব ভাল করে জানেন। পশ্চিমবঙ্গে এখন অঘোষিত অর্থনৈতিক জরুরি অবস্থা চলছে। সরকার এবং তার অর্থ মন্ত্রী যত দিন না বুঝবেন প্রতিদিন বাজার কে সচল রাখতে নিয়মিত অর্থের যোগান দিতে হয়। জিনিসের দাম আকাশ ছোঁয়া মানুষের কেনার ক্ষমতা নেই। শ্রমিক কর্মচারীদের বেতন বাড়ানো জন্য অনশন আন্দোলন করতে হচ্ছে যা এই রাজ্যে বিগত দশ বছর আগেও দেখা যেত না। এই দশ বছরের মধ্যে কিছু নেতা মন্ত্রী টাকার পাহাড় করে ফেলেছে। ঘুষ কাটমানি আরও নানা ভাবে, মন্ত্রীর কুঁড়ে এখন অট্টালিকায় পরিনত হচ্ছে এরই নাম পরিবর্তন! গ্রামের রাস্তা গুলো পাকা হচ্ছে কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে, গুর দিয়ে এত মিষ্টি করে দিচ্ছে গরু, ছাগল,কুকুর, পিঁপড়ে তে খেয়ে নিচ্ছে। কেবল মাত্র রাস্তা ঘাট প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলোর পোশাক জুতো সর্বশিক্ষার টাকা, যেখানে ঐ মিষ্টি পাচ্ছে না, সেখানে সভাপতি কে শিখিয়ে দিচ্ছে কিছুতেই চেকে সই করবে না। তাতে উন্নয়ন হোক আর যাই হোক হোক শিক্ষক কে কিছুতেই টাকা খরচ করতে দেওয়া যাবে না, দারুণ উন্নয়ন কি ভালো ব্যবস্থা। আর কথা বললেই অপরাধী ছ মাস জেল আর সাত দিনের ফাঁসি। জনগণ জানি না কিভাবে সব জেনে বুঝে দেখে একে নির্বাচিত করছে। আসলে ভয়ে ভক্তি বলে, মিথ্যে কথার চটক দারি, এই মুখে বলছেন NRC বা NRIC হবে না। অথচ ডিটেনশন ক্যাম্প করার জন্য জায়গা দিচ্ছেন, আর NRC বা NRIC প্রথম ধাপ NPR শুরু করার নোটিশ দিয়েছেন। বলছেন ওটা জনগননা যা হোক NRIC এ রাজ্যে হবে এই সরকার তার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জনগণনার নাম করে সেটা চলবে। আমি জানি না মানুষকে বোকা বানিয়ে কিভাবে নির্বাচিত হন, টাকা আর কিছু উপঢৌকন পাবার লোভে বা নেতা মন্ত্রী হতে পারলে, কুঁড়ে ঘর অট্টালিকায় পরিনত করা যাবে। সেই কারণেই, মানুষ নির্বাচিত করছে। এবিষয়ে কাজি নজরুল ইসলামের একটি কবিতার একটা লাইন মনে পড়ে যাচ্ছে। প্রায় হাফ নেতা হয়ে উঠেছিস - - - - - - ।

No comments:

Post a Comment

বাঙালি ও বর্তমান ভারত।

 (ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...