Anulekhon.blogspot.com

Monday, 29 June 2020

আমার পঞ্চাশ বছর।

আমার ছোট বেলার অনেক কথা মায়ের কাছে শোনা। মায়ের কাছে শুনেছি আমি সিঙ্গুর হাসপাতালে বাংলার ১৩৭৪বা ১৩৭৫ সালের মাঘ মাসের শেষ বুধবার সকালে না রাতে বলে ছিল মনে নেই তবে আমি ১০ টা ৩০ মিনিটে জণ্ম গ্রহণ করে ছিলাম। আমাদের বাড়ি টা ছিল সিঙ্গুর থানার অন্তর্গত পল্তাগড় গ্রামে মাটির বাড়ি পেটোখোলার ছাউনি, টিনের দরজা। আমরা চার ভাই বোন আমার দিদি বড়ো তার পর আমি আমার পরে দু ভাই। আমার বাবা সুশীল কুমার বন্দ্যোপাধ্যায় অধুনা বাংলাদেশের বরিশাল সাব ডিভিশনের অর্ন্তগত গৌরনদী উপজিলার নলচিরার বাসিন্দা ছিলেন। তখন নলচিরা ছিল বাখরগঞ্জের গৌরনদী থানার অন্তর্গত ।এখন কী নাম হয়েছে জানা নেই। আমার পিতা ভারত স্বাধীন হবার আগেই এপার বাংলায় এসেছিলেন এবং সিঙ্গুর থানার অন্তর্গত পল্তাগড় গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন ।তিনি বিরামনগর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করতেন। আমার পিতামহের নাম ছিল উপেন্দ্র নাথ বন্দ্যোপাধ্যায়। আমার পিতামহীর নাম ছিল ননীবালা দেবী। আমার বাবার কাছে যে দলিল পরচা ছিল সেগুলি তে আরও কতগুলি নাম আছে তারা কারা আমার জানা নেই। যেমন ১)ধীরেন্দ্র নাথ মুখোপাধ্যায় ২)নরেন্দ্র নাথ বন্দ্যোপাধ্যায়েরধ্যায় ৩)বামা সুন্দরী দেবী
৪)গোপাল চন্দ্র মুখোপাধ্যায় ৫)মুকুন্দ চক্রবর্তী
৬)দুর্গাপদ ভট্টাচার্য ৭)ক্ষীরোদসুন্দরী দেবী এদের কার সাথে কী সম্পর্ক আমার জানা নেই। তবে এদের কারো কারো নামের নীচে থানা - গৌরনদী নলচিরা সাং - কান্ড পাশা লেখা আছে। বাবার কাছে শুনেছি বাবার মামা ধীরেন্দ্র নাথ মুখোপাধ্যায় ফৌজদারি কোর্টের উকিল ছিলেন। এতো কথা লিখছি কেন? যদি কেউ আমার ব্লগের লেখা পড়েন আমার পিতার সম্পর্কের কেউ এদেশে বাংলাদেশ থাকেন তবে command box এ মন্তব্য লিখবেন। কেন আমি আগেও চেষ্টা করেছি পিতার সম্পর্কের কেউ আছে কিনা। আমি শুধু জানতে চাই বাবা কেন দেশ স্বাধীন হবার আগেই এপার বাংলায় এসেছিলেন, এবং প্রায় কপর্দক শুন্য অবস্হায়। এখানে বলি যে আমি সম্পত্তির অধিকার পাব বলে খোঁজ করছি, তা কিন্তু নয়। এটি নিছক কৌতুহল।
আমার কথা না বলে কেমন বাবার কথা বলে ফেললাম, তবে হ্যাঁ বাবা মা ছাড়া কেউ পৃথিবীতে আসতে পারে না। তাই বাবার কথা হল, দরকার হলে আবার লিখব। এবার মায়ের কথা একটু লিখতে হবে, কারণ আমার মায়ের কথা না বললেই নয় কারণ আমার মা না হলে আমি আজ এই জায়গায় আসতে পারতাম না। আমার জন্য মা নিজের জীবন দিয়ে দিয়েছেন। আমার এক কূলাঙ্গার ভাই এর হাতে। মা আমাদের অনেক কষ্ট করে মানুষ করেছেন, মাকে আমরা পেয়ে ছিলাম অন্য ভাবে। তিনি জীবনের প্রতিদিন যুদ্ধ করে গেছেন। সুখ ভোগ করতে হয় নি। মায়ের সেই কষ্টের দিন গুলো আমি ভুলতে পারি না। কী অমানুষিক দুঃখ দিনের পর দিন না খেয়ে থাকতে হতো। বাবা নামেই চাকরি করতেন, আমরা অর্ধেক দিন খেতে পাইনি।কারণ তখন শিক্ষক দের বেতন কম ছিল আর অনিয়মিত ছিল, আর একটি কারণ আমার বাবার অপরিনাম দর্শিতা, আর একটি কারণ হল দোকান দারের চালাকি। কত বেতন জেনে নিয়ে ঠিক ঐ টাকা পর্যন্ত মাল দিত আবার বাড়তি দাম নেওয়া, ও জিনিস না এলেও ধারের খাতায় তা লিখে দেওয়া, এভাবে পনেরো দিনের মধ্যে বেতনের সবটাকা খরচ দেখিয়ে নিয়ে নেওয়া। আমরা বড়ো হয়ে বাবা কে দোকানে যেতে দিতাম না। আমরা যেতাম আর প্রতি দিন যা লাগতো নিয়ে আসতাম। সেই সময় ওই বেতনে সারা মাস খরচ করেও কিছু টাকা উদ্বৃত্ত হতে লাগলো।
আমাদের কষ্ট একটু লাঘব হল, তবুও মাকে কারখানায় কাজ করতে যেতে হতো। 1980 সালের পর থেকে অবস্থা উন্নতি হলেও। তার আগের অবস্থা অবর্ননীয়, পরের বাড়ি থেকে খাবার চেয়ে আনা ফ্যান চেয়ে খাওয়া। কোনো দূরবর্তী স্থানে কোনো সার্বজনীন অনুষ্ঠানে খাওয়ানো হলে, ঠাকুমার হাত ধরে খেতে যাওয়া, সে ট্রেন পথে হলেও চলে যেতাম। জামা কাপড় চেয়ে এনে দিতেন মা। মাঝে মাঝে কিনেও দিতেন, শীতের পোশাক কেনা ছিল অকল্পনীয়। পুরনো বিছানার ছেঁড়া চাদর সেলাই করে কেটে সমান করে গায়ে দিয়েছি। অর্ধেক দিন খাবার জুটত না, তার উপর লেখা পড়ার জন্যে অপরের বই চেয়ে আনা খাতা পেন পেনসিল চেয়ে আনা পেনসিল দিয়ে লিখে মুছে আবার লেখা।
তার উপর ছিল পাড়ার লোকের অত্যাচার তাদের কারো যদি সূঁচও যদি হারিয়ে যেতো সেটা চুরি করেছি আমরা আমাদের ভাঙা ঘরে চলত তল্লাশি আর ভাঙচুর তো ছিল। এসব নিয়ে আরও কিছু কথা লেখা আছে, এর আগে আমার কথা, ও অসত্বিতের সংকট এ দু টো লেখা তে। হয় তো কেউ পড়ে নি। জানি না ভবিষ্যতে কেউ পড়বেন কি না? তবু আমি লিখি আমি ছোট থেকে অনেক নাটক কবিতা লিখে ছিলাম যা এখন অতীত। কারণ সে সব লেখা খাতা এখন আর খুঁজে পাই না। আমার একটা প্রশ্ন মনে দীর্ঘদিন ধরে ঘোরে বাঙাল কী আলাদা কোনো জাত যেমন হিন্দু, মুসলিম, শিখ না হলে এপার বাংলায় শিক্ষিত মানুষ ও বাঙাল জাত বলে সম্বোধন করে কেন? আমি স্কুলে পড়ার সময় আমার স্কুলের প্রধান শিক্ষক এবং অন্য অনেক শিক্ষক বলতেন বাঙাল জাত। আমি পলতাগড় রাধারানী প্রাথমিক এবং পলতাগড় উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছি। এখনও অনেক ভালো শিক্ষিত মানুষ কে বাঙাল জাত বলতে শুনেছি। সেই জন্যই আমার মনে প্রশ্ন জাগে ওপার বাংলার মানুষ তথা ওপার বাংলা থেকে বিতাড়িত ভিটে মাটি ছেড়ে আসা মানুষ এপার বাংলায় বাঙাল জাত।
আমার ছোট থেকেই থেকেই আরেক টি প্রশ্ন জাগে, আমার মনে হয় এই প্রশ্ন টি শুধু আমার নয় যেসব মানুষ ওপার বাংলা থেকে এপার বাংলায় এসেছিলেন, আমার বাবার মতো নিস্ব রিক্ত হয়ে, নিজের প্রাণ টুকু হাতে করে, তাদেরও এই প্রশ্ন। এই তথাকথিত বাঙাল জাত তৈরী করল কারা? দেশ স্বাধীন হল, দেশ তিন টুকরো হলো, বাংলা ও পাঞ্জাব ভাগ হলো। হাজার হাজার মানুষের ঘর বাড়ি জ্বলল। কত মানুষের প্রাণ গেল, আমি মনে করি এর জন্যে দায়ী গান্ধী এবং নেহরু এবং জিন্নাহ। ক্ষমতার লোভে তারা দেশ ভাগ করেছেন। এরা সুভাষচন্দ্র বোস থেকে শুরু অন্য বাঙালি নেতা দের সহ্য করতে পারতেন না। আর এই তীব্র জাতি বিদ্বেষ থেকে বাংলা ভাগ এবং সুভাষচন্দ্র বোস কে দেশে ঢুকতে না দেওয়া। এতেই ক্ষান্ত হননি ওপার বাংলা থেকে আসা মানুষ গুলো কে আশ্রয় দিয়েছেন। আন্দামান এবং দন্ডকারণ্যে কিন্তু বেঁচে থাকার সুব্যবস্থা করেন নি। আমার ভীষণ ঘৃনা হয় তথা কথিত এই সব বড়ো বড়ো দেশপ্রেমিক নেতাদের যারা দেশে প্রেমের নামে ক্ষমতার লোভে একটা জাতির ঐক্য ভেঙে দিয়ে নিজেদের ক্ষমতা জাহির করে। এদের এই কুচক্রী সিদ্ধান্তের ফলে পরিবার গুলো ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে গেছে, সামাজিক সম্পর্ক গুলো কাকা দাদা পিসি মাসি হারিয়ে তারা দেশ ছেড়ে চলে এসেছে। আবার অনেকর প্রিয়জন দের মরতে দেখেছেন। আর তখন ঐ সব নামি স্বাধীনতা সংগ্রামী ইংরেজ দের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে সাজানো জেলে গিয়ে স্বাধীনতা সংগ্রামী সেজে। দেশটাকে ভাগ করে নিয়ে ক্ষমতা ভোগ করতে আরম্ভ করে দিয়ে ছিলেন। তারাই আসলে এই নতুন জাতি অর্থাৎ "বাঙাল জাতি" তৈরী করে দিয়েছে। আর এদের জন্য এখন অনেক রকম অত্যাচার সহ্য করতে হয়। এমনকি তাদের এপার বাংলায় মেয়ে দের বিবাহ করার অধিকার টুকু নেই। যদিও হয়ে থাকে তবে সেটা অজান্তেই। জেনে সত্যিই বলে যদি বিবাহ হয়। তাহলে অনেক তথ্য গোপন রেখে না হলে কী করে ছেলেটি কে ঠকানো যায় তার ব্যবস্থা পাকা করে রাখে। কেন এতো কথা কারণ আমার বাবাকে বিয়ে করতে হয়েছিল। নদিয়া জেলার ক্ষীতীশ চক্রবর্তীর মেয়ে যোগমায়া কে, যারা বাংলাদেশের পাবনা জেলা থেকে এপার বাংলায় এসেছিল। এ তো গেল একটা দিক, আরেকটা দিকও আছে, যেমন ওপার বাংলার থেকে আসা মানুষ ব্রাহ্মণ হতে পারে না। আবার সে যদি আমার বাবার মতো সব হারিয়ে এপার বাংলায় আসে তবে, তিনি ব্রাহ্মণ হলেও ব্রাহ্মণ নন। শুনতে হয় ওপার থেকে এসে গলায় পৈতে ঝুলিয়ে ব্রাহ্মণ হয়েছে। আর মুখের ভাষা হলো শালা বাঙাল বামুন। আমি জানি না এসব কোনো কথা যারা শহরে বাস করেছেন। ওপার থেকে টাকা পয়সা সঙ্গে এনেছেন, তাদের শুনতে হয়েছে কিনা? আমার জানা নেই, কিন্তু  ছিন্নমূল, সর্বস্ব হারানো, আত্মীয় স্বজন হারানো, মানুষ গুলো কে প্রতি নিয়ত এপার বাংলার শিক্ষিত অশিক্ষিত মানুষের কাছে অপমানিত হতে হয়েছে। জীবন যন্ত্রণা সহ্য করে বেঁচে থেকে এসেছে। শুধু ঐ তিন নেতার ক্ষমতা বা গোদির লোভে বা প্রধানমন্ত্রী বা মন্ত্রী হবার লোভে। লোভের স্বীকার হতে হয়েছে বাঙালি হিন্দু দের আর পাঞ্জাবের অধিবাসী শিখ দের। এখনো এরা অত্যাচারিত। আমাদের পলতাগড় গ্রামের ভিটেরে সামান্য জমি দখল করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে সেই বাবার আমল থেকে। যা আমি আগেই লিখেছি, বাবার আমলে আমি দেখেছি দড়ি দিয়ে জমি মেপে অশান্তি করতে। আমাদের বাড়িতে অনেক রকম ফলের গাছ ছিল। সেসব গাছে ফল হলে এসব হতো। ফল গুলো পেড়ে নিয়ে যেত নষ্ট করে দিত। আর মুখের ভাষা ছিল বাঙাল তাড়াতে হবে। আমিন এনে মাপা হতো তখন ঠিক হতো। একটা কথা বারবার বলতে শুনেছি ওজমি আমাদের নয় দান করা, বাবার কাছে শুনেছি দলিল করার খরচ কমানোর জন্য দানপত্র করা হয়েছিল। সকলেই হয়তো ভাবছেন তোমারা খুব ভালো কিছু বলতে না, শুধু শুধু পেছনে লাগতো। আমারা কি করতাম আগে বলে ছি। ওদেরি কারও কারও চাকর গিরি করতাম একমুঠো মুড়ি খাবার আশায়। যদি একটু ভুল হতো আর আমাদের বাড়িতে পোষা কোনো পশু জমিতে বা বাড়ির আশ পাশে যেতো তাহলে তো কথাই নেই শুরু হয়ে যেতো, ওদের বাঙাল তাড়ানো অভিযান। আমার বাবার আসল নামটাই অনেকেই জানেন না, তিনি হয়ে গিয়েছিলেন। বরিশাল মাস্টার, যদি এলাকায় কোন কেউ ভালো ভাবে বলত, তবে আমার পরিচয় বরিশাল মাস্টারের ছেলে। কারণ বাবা বরিশাল জেলা থেকে এসেছেন বলে। 
আমার পঞ্চাশ বছর জীবনের অভিজ্ঞতা। কারণ আমার ব্যক্তিগত জীবনটাই একটা নাটক, হয়তো অনেকর ভালো লাগছে না। কিন্তু কী করি বলুন, আগে অন্য বিষয়ে কিছু লিখেছি। আমার ব্লগে কেউ পড়েছন বলে মনে হচ্ছে না। আমি সবটাই লিখছি আমার ব্যক্তিগত অভিমত অভিজ্ঞতা থেকে। আমার এই দুঃখের কথায় কেউ যদি সুযোগ খোঁজেন কিছু করার নেই। কারোর ভালো লাগছে না। তবে সবটাই সত্যি কথা, কারণ সকাল থেকে রাত পর্যন্ত আর জণ্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত, মানুষের জীবন নিয়ন্ত্রণ করে রাজনীতি।যেমন আমি দেখেছি আমাদের পরিবার ছিল রাজনৈতিক দল দ্বারা আক্রান্ত যখন যে দল ক্ষমতায় তখনই সে তার ক্ষমতা দেখিয়েছে। আগেই লিখেছি আমার বাবার বেতন বন্ধ ছিলো 1971 সালে, আবার 1986 থেকে 1988 পর্যন্ত প্রায় দু বছর। অথচ 1986 থেকে 1988 প্রতিদিনই আমি নিজে স্কুলে পৌঁছে দিয়েছি। পেছনে কারণ সেই রাজনীতির। যাহোক আরও অনেক কিছু লেখার আছে। তবে নীচের পুরনো দলিলের টুকরো অংশ দিলাম যেটি বাংলাদেশের বরিশালের নলচিরা গ্রামের গৌরনদী থানার অন্তর্গত ।আমার বাবার বা আমার বংশ পরিচয় জানার জন্য। এমন কেউ থাকেন যিনি ঐ নাম চেনন। তাহলে আমার ফেসবুকে লিখবেন এই আশায় রইলাম। এর আগেও আমি "আমার কথা" শিরোনামে লিখেছি তবুও যেন শেষ হয় নি। কারণ আগেই বলেছি আমার জীবনে ঘটে যাওয়া প্রতি টি ঘটনা স্মরণীয়। তবে সমাজে ভালো মন্দ মানুষ থাকেন। প্রতিবেশী রা প্রতিবেশী না হয়ে উঠতে পারেন। কিন্তু অনেক ভালো মানুষ ছিলেন না হলে আমরা হয় তো বেঁচে থাকতাম না।যাই হোক বর্তমানে আমার বয়স পঞ্চাশ পার হয়েছে। তাই শিরোনামে আমার পঞ্চাশ বছর, এই পঞ্চাশ বছরের স্মৃতি থেকে আমার এবং আমার পরিবারের সুখ দুঃখের কথা সবার সাথে ভাগ করে নেব। আগেই লিখেছি দুঃখের কথায় মানুষ সুযোগ খোঁজেন। আবার অনেকে অপরের দুঃখে আনন্দ পান। 

আবার এরকম একটা কথা আমি শুনেছি ভারাক্রান্ত মন কে হাল্কা করে নেওয়া যায়, তাই  আজ আমি আমার জীবনের সকল সুখ দুঃখের কথা লিখে যাব। প্রথম আমি বলি আমার যখন একটু জ্ঞান হলো আমি বুঝতে শিখলাম, তখন থেকে অভাব আর অভাব বাড়িতে প্রতিদিন খাবার জুটত না।    কেন ঠিক জানি না, তবে শুনেছি বাবার বেতন ঠিক মতো আসত না। বিভিন্ন মুদির দোকান খালি ধার অনেকে দোকান দার কিছু দিন দিত তার পর আর মাল দিত না। একটু বড়ো হয়ে বেতন অনিয়মিত কিন্তু কিছু দোকান দার ছিল অসাধু। তারা আগে জেনে নিত বেতন কত, তারা পনেরো কুড়ি দিন জিনিস পত্র দেওয়ার পর জিনিস পত্রের দাম বাড়িয়ে বেতনের সব টাকা টা করে রাখত। এটা আমরা বুঝতে পারলাম যখন আমরা বড়ো হলাম, মুদি দোকান থেকে মাল গুলো আনতে লাগলাম। খাতা আমাদের কাছে থাকতো রোজ দাম লিখিয়ে আনতাম। হিসেবে রাখতে শুরু করলাম তখন থেকেই পরিবর্তন হল। তবে বেতন অনিয়মিত হলেই গণ্ডগোল হতো। এবার আমার জণ্ম ভিটের কথা বলি। জণ্ম ভিটে বলতে সিঙ্গুর থানার অন্তর্গত পল্তাগড় গ্রামের বড়ো রাস্তা থেকে ভিতরে দু দিক বাঁশ বন দিয়ে ঘেরা একটি জায়গা। এখানেই আমাদের মাটির দেওয়াল, পেটো খোলার ছাউনি দেওয়া টিনের দরজা দেওয়া এক কামরার ঘর।বাড়িতে নানা ফল আর ফুলের গাছ। প্রাচীর দিয়ে ঘেরা ছিল না সব দিক ফাঁকা। একটু বৃষ্টি আর জোর হাওয়া দিলে বাঁশের ডগ লেগে পেটো সরে যেতো, তখন বৃষ্টির জল আর বাইরে পড়ত না। ইঁদুরের গর্তে ভর্তি দেওয়াল কোনো কোনো সময় ভেঙে পড়েছে। তবে মূল ঘরের নয় পাশের আরেক টি ছোট চালা মতো রান্না ঘর ছিল তার দেওয়াল বেশি ভাঙত। বড়ো ঘরের দেওয়াল একবার ভেঙে পড়ে ছিল। কেন জানি না আমাদের প্রতি মানুষের এত রাগ কেন ছিল! আমার বাবা দেশ স্বাধীন হবার দু তিন বছর আগে এপার বাংলায় এসেছিলেন। আর ভারত ভাগ হয়ে যখন দেশ স্বাধীন হলো তখন তো পূর্ব পাকিস্তানে হিন্দু দের কচু কাটা করছিল। বাবা ঠাকুমার মুখে শুনেছি সব থেকে বেশি দাঙ্গা পীড়িত ছিল নোয়াখালী যশোহর খুলনা বরিশাল বাবা 1948 এর এপ্রিল মাসে তত কালীন পূর্ব পাকিস্তান থেকে ঠাকুমা কে নিয়ে আসেন। ঠাকুমার ভাষায় বাংলাদেশী টান ছিল। আমরা ছিলাম বাঙাল বাচ্চা, আরও কত কী। শিক্ষিত মাষ্টার মশায়রা পর্যন্ত বলতো। ঐ সব শুনতাম আর ভাবতাম তাহলে পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দারা বাঙালি নয়! ভীষণ হীনমন্যতায় ভুগেছি। এখন ভাবি আমার বাবা তাহলে কত সহ্য করেছেন, এপার বাংলার তথাকথিত শিক্ষিত ও এবং অশিক্ষিত মানুষ গুলোর অত্যাচার। অনেকেই ভাববেন এখন হয়তো এই অত্যাচার বন্ধ হয়ে গিয়েছে, না। আছে কারণ ঐ রকম প্রতিবেশী নাম ধারী কিছু মানুষ এবং তাদের বংশধর রা এখনও পর্যন্ত সুযোগ পেলে ভিটে দখল করতে আসে। 

অসত্বিতের সংকট।

ওপার বাংলা থেকে আসা মানুষের অস্তিত্বের সংকট। কীভাবে বলছি যে সব পরিবার এপার বাংলার গ্রামের দিকে বসবাস শুরু করেন। যেমন আমার বাবা তিনি দেশ স্বাধীন হওয়ার অনেক আগেই এপার বাংলায় এসেছিলেন। কিন্তু দেশ ভাগের পর হতেই শুরু হয়েছিল নানা রকম অত্যাচার তোর বাড়ি এখানে নয় তোকে থাকতে দেবনা। চাকরি করতে দেব না। আমরা বড়ো হয়েও দেখেছি সেই অত্যাচার। সব সময় আসত এবং বলত তোদের এখানে থাকতে দেবে না। কারণ এ জমি তোদের নয় আর গালাগাল খিস্তি ওটা ছিল উপরই পাওনা। 1971 - 1972 সালে এই অত্যাচার চরমে ওঠে। কারণ ছিল বাবা নাকি যুক্ত ফ্রন্টের পোষ্টার মের ছিলেন না ছিঁড়ে ছিলেন। কারণ দলের লোকজন এসে অত্যাচার করত। এক দল বলত মাষ্টার ফ্রন্টের পোষ্টার মেরেছে আরেক দল বলত ফ্রন্টের পোষ্টার ছিঁড়েছে। এই অযুহাতে বাবাকে 11মাস স্কুলে ঢুকতে দেয় নি, শেষে কয়েক জন ভাল মানুষের চেষ্টায় বাবাকে বদলি করা হয়েছিল অন্য স্কুলে। আমরা পড়তে গেছি কোনো সমস্যা হয়েছে একটু যেই বলেছি অমনি শুনতে হত এই বাঙল বাচ্চা চুপ কর। যেন আমরা অমানুষ আমাদের কথাবলার অধিকার নেই। ছোট থেকে বড় হয়ে প্রচুর অর্থ নৈতিক কষ্ট পেয়েছি। 1980 সালের পর একটু কষ্ট লাঘব হয়েছিল। ছোট থেকে বড় হয়েছি প্রচুর হীনমন্যতায় ভুগেছি। 1986 থেকে 1989 সালের মার্চ মাস পর্যন্ত কষ্টে কেটেছে। কারণ এই সময় বাবা অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং তিনি 1988 সালের এপ্রিল মাসে মারা যান।
এবার আমার কথা। আমি 1989 সালের মার্চ মাসে বাবার চাকরিতে যোগ দিই সে নাটকের কথা আগেই লিখেছি। চাকরি পাওয়ার এক বছর পর আমি মাটির ঘর ফেলে ইঁট দিয়ে দু কামরা ঘর করলাম টালি দিয়ে ছাওয়া। তার পর 1994 সালে বিবাহ করলাম। আমার পক্ষ থেকে সব সত্য জানান হলো। কিন্তু অপর পক্ষ যা করল ঠিক তার উল্টো তাই মিথ্যা আর অবিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠল আমার সংসার। অবিশ্বাস থাকলে যা হয়। এপর 1999 সালে বাড়ি সংস্কার করে নিতে চাইলাম। জায়গা মাপতে গিয়ে বাধা এল তথা কথিত প্রতিবেশী দের কাছ থেকে। আগেই বলেছি পাড়ার সি পি আই এম দলের রাজনৈতিক দাদা সতীশ দাস দলবল নিয়ে চড়াও হল আমার বাড়িতে। আমিও ঐদলকেই সর্মথন করি কিন্তু তাতে কী আমার বাড়িতে চারটি ভোট ওরা অনেক সুতরাং পার্টি ওদের দিকে। আমার পক্ষে নেই এখানে সি পি আই এম পার্টি যারা সেই সময় ক্ষমতায় ছিল। ঠিক আমার বাবার সঙ্গে যা ঘটে ছিল আমার সাথে অল্প বিস্তর ঘটলো আমার বাবাকে প্রশাসন সাহায্য করে ছিল। আমাকে প্রশাসন সাহায্য করল না। তার পর যা হবার হল ওরকম ফাঁকা বাড়িতে দিনের পর দিন রয়ে গেলাম। তবুও ওই দল ছাড়লাম না। কিন্তু ওই দলের সাঙ্গ পাঙ্গরা আমায় বিশ্বাস করতে পারল না। অথচ ভোট এলেই চাঁদা দিতে বলে। সব রকমের সাহায্য গত বছর পর্যন্ত করেছি। মিছিল মিটিংয়ে অংশ গ্রহণ করেছি। তাও এদের শিক্ষক সংগঠন যার আমি সদস্য তারা অপমান কর কথা বলে সংগঠন থেকে বের করে দেয়। আমার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি করব তবে সিদ্ধান্ত নিতেই হবে না হলে আরও অপমানিত হতে হবে। তা হলে এখন আপনারা বিচার করে দেখুন আমার অস্তিত্বের সংকট দেখা দিয়েছে কিনা। যদি কেউ আমার লেখা পড়েন অবশ্যই মতামত দেবেন। আপনাদের মতামতের আশায় রইলাম।

গ্রামের দাদা আর আমি

ভূমিকা । এখন যে গল্প লিখতে যাচ্ছি সেটি এক রাজনৈতিক দাদার গল্প কিন্তু চরম বাস্তব। আমার জীবনে প্রথম আমি বাইরের লোকের কাছে মার খেয়ে ছিলাম। সেটা ছিল 1978 সদ্য ক্ষমতায় এসেছে cpim। আর ঐ বছর বাংলায় বন্যা ব্যাপকভাবে CPIM দলের তরফে বা সরকার থেকেই হোক আটা বিলি করা হচ্ছে। আমিও গিয়েছি লাইনে দাঁড়িয়ে পড়েছি। যত বার সামনে যাই আমাকে আর দেয় না। আমি ছোট ছিলাম অত বুঝি নি যে আমাকে দেওয়া হবে না। যখন প্রায় শেষ হয়ে গেছে সবাই চলে গেছে আমি দাঁড়িয়ে আছি। তখন ললিত পাল নামে CPM এক নেতা অমুকের বাচ্ছা বলে গালে সপাটে চড় মারেন। আমি পড়ে গেলাম। মার খেয়ে চলে আসছি এমন সময় শুনছি ললিত পাল বলছে শালা অমুকের বাচ্ছার জান শক্ত মরবে না। সতীশ দার কী দয়া হল ডাকল ওই শোন আমি ভয়ে কাছে যাচ্ছিলাম না যদি আবার মারে। সতীশ দাস বলল ভয় নেই মারব না। আমি কাছে গেলাম সে যারা আটা দিচ্ছিল তাদের বলল বস্তাগুলো ঝাড় বস্তা ঝাড়া হল। আটা শানে পড়ল ঝাঁড় দিয়ে জড়ো করে আমার ব্যাগে ভরে দেওয়া হল। আমি তাই নিয়ে বাড়ি এলাম।
সতীশ দাস সর্ম্পকে কিছু কথা। এই সতীশ বাবার কাছে ছোট বেলায় পড়তো। পড়তে চাইতো না। বাবা জোর করে ধরে রেখে পড়াতো । সতীশ দাসের অনেক গুন ছিল, একদিন সন্ধ্যায় আমি পড়ে আসছি ওখানে একটা ক্লাব ছিল তারা ডাকল নাটকের বই পড়ে বলার জন্য। সেই শুরু হলো আমার  CPM এ যাওয়া তারপর বুথে বসা। মিটিং মিছিলে যাওয়া তখন আমার বয়স কম ক্লাস সেভেনে বা এইটে পড়ি। মতীশ দাদা 1980 সালে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিযুক্ত হল। দেখলাম যারা CPM কে দেখে ঘৃণা করত তারাও CPM এ এল কারণ সতীশ দাস তাদের বাড়ি আড্ডা দিত। ওই বাড়িতে দুটি মেয়ে ছিল আমি যতই মিটিং মিছিল বুথে বসা দেওয়াল লেখা করিনা কেন আমি সদস্য হলাম না। ওরা সদস্য হল ভোটে দাঁড়াল হেরে গেল চরিত্র খারাপের জন্য। অনেক পরে ওদের এক ভাই CPM থেকে দাঁড়িয়ে জিতল। এখানে আমি পঞ্চায়েত ভোটের কথা বলছি। ভাইটি সতীশ দাসের সাথে এক সঙ্গে দাঁড়িয়ে জিতল তার কী দেমাকে ধরাকে সরা জ্ঞান করতে লাগল। আমি কোনো একটা কাজে পঞ্চায়েতে গিয়েছি আমার থেকে কাগজটা নিয়ে বলল এখানে আমার পাওয়ার বেশি তোমার পাওয়ার কাজ করবে না। আমার কাজ টা আর হলই না। এসব মানে ভাইটার সঙ্গে যে ঘটনা সেটা ঘটে ছিল আমি চাকরি পাওয়ার পর। এখন ঐ ভাইটা বাবার চাকরি পেয়েছে আমার মত। এবং  CPM ছেড়ে দিয়েছে। এখন মানে আমি 2011 সালের পরের কথা বলছি। আমি কিন্তু CPM ছাড়েনি। এখনও মিটিং মিছিলে যাই সংগঠনের কাজ করি। এখন মানে 2017 সাল পর্যন্ত।
এবার আমার কথা। আগেই লিখেছি আমি চাকরি করি এই চাকরি পাওয়ার একটা ইতিহাস আছে। 1986 সালে আমার বাবা অসুস্থ হয়ে পড়েন। বাবার পায়ে পচা ঘা হয়ে ছিল সঙ্গে সুগার প্রায় এক বছর রোগ ভোগের পর বাবা চাকরিতে যোগ দেন। এই এক বছরের কোন বেতন পেলেন না। কাজ করেন নি বেতন দেওয়া হয়নি। এ পর্যন্ত ঠিক ছিল। 1987 সালের ফেব্রুয়ারি থেকে 1988 সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তিনি কাজ করা সত্বেও কোন বেতন পেলেন না। মার্চ মাসের বেতন দেওয়া হল। এর মধ্যে তিনি আবার অসুস্থ হলেন চিকিৎসা করার পয়সা ছিল না। তিনি মারা গেলেন 1988 সালের 20 শে এপ্রিল। আমি বাড়ির বড়ো ছেলে তাই মা আমাকে চাকরিটি দেবন ঠিক করলেন। এ পর্যন্ত ঠিক আছে। চাকরিটি পেতে হলে বাবার ডেথ সার্টিফিকেট বা বার্নিংঘাট সার্টিফিকেট লাগে বাবার বার্নিং এর সময় সতীশ দা ছিল কাগজ তার কাছে যতবার আনতে যাই ঘোরায়। শেষে জুন 1988 দাদার বাড়িতে বসে থেকে একটা আধ ছেঁড়া কাগজ দিল সেটি সার্টিফিকেট নয়। ওই কাগজ দেখিয়ে সার্টিফিকেট আনতে হবে। সে অনেক বার নাকি গেছে তাকে দেয়নি। এদিকে আমাদের সংসার চলে না মা কারখানায় কাজে যায়। আমি কাগজটা নিয়ে গেলাম তারা আমাকে একটা ডেট দিল এবং কত টাকা লাগবে বলে দিল। আমি সেই দিন যাব দেখি পাড়ার দাদাও আমার সঙ্গে গেলেন। সেদিন কাজ হল। এবার আবেদন করার পালা জুলাই মাসের শেষ সপ্তাহে আবেদন পত্র নিয়ে আমি আর আমার আরেক ভাই অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক অফিসে জমা দিতে গেলাম তিনি নানা ফিরিস্তি শুনিয়ে ফিরিয়ে দিলেন। এবার আগষ্ট মাসে আবার গেলাম তিনি যা বলেছিলেন সেই রকম সব করে নিয়ে। এবার আমার থেকে জমা নিলেন কিন্তু সব আসল কাগজ নিয়ে রাখলেন। রিসিভ করেও দিলেন না বাড়িতে বলার পর ভাই রেগে গিয়ে অফিসে গেল ও রিসিভ করিয়ে আনল। আসল কাগজ কেবল বাবার appointment ও আর কয়েকটা আসল কাগজ ফেরত নিয়ে এল। বলল আমি নাকি ফেলে এসেছি। তার ঠিক এক মাস পর গেলাম আমাকে একটা মেমো নং ও তারিখ দেওয়া হল। এবং হুগলি জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্ষদে যোগাযোগ করতে বলা হল। আমি গেলাম এ টেবিল ও টেবিলে ঘোরার পর এক জনের দয়া হল। তিনি একটি ছোট ঘরে নিয়ে গেলেন এবং সব খুঁজে বলেন কাগজ হারিয়ে গেছে। এই ঘটনার মাস দুয়েক বাদে আবার গেলাম ওই মেমো নং নিয়ে আমাকে যাচ্ছেতাই ব্যবহার করে তাড়িয়ে দেওয়া হল। বাড়ি ফিরে সন্ধ্যায়  CPM এর ক্লাবে বসে আছি হঠাৎ একজন আমাকে বলল তোর চাকরিটা   রমেশকে দেওয়া হবে। আমি বললাম সে আবার হয় নাকি আমার মায়ের দাবি পত্র চাই। বলল জানি না তবে কাগজ পত্র তৈরি হচ্ছে তাতে তোর মায়ের লেখা কাগজ বাবার পোড়ানোর কাগজ সব আছে। আমি বাড়িতে এসে মা কাজ থেকে ফিরতেই সব বললাম। মাকে এও বললাম মনে হয় হারিয়ে যাওয়ার নাম করে কাগজ এখানে নিয়ে এসেছে। মা শুনলেন কিছু বললেন না। পরের দিন সন্ধ্যায় মা কাজ থেকে একটু তাড়াতাড়ি ফিরে এলেন। আমাকে তপন স্যারের লেখা একটা চিঠি দিলেন সেটি নিয়ে ভোর বেলায় হাওড়া সালকিয়ায় এক জনের সাথে সাক্ষাৎ করতে বললেন। তিনি হাওড়া জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্ষদের চেয়ারম্যান। আরো বললেন সন্ধ্যার পর ক্লাবে গিয়ে আমি যেন বলি পনেরো দিনের মধ্যে চাকরিটা না হলে কোর্টে কেস করা হবে। আমি সন্ধ্যায় ক্লাবে গিয়ে তাই বললাম। অনেক অনেক শুনে হাসল কারণ আমাদের খাবার পয়সা নেই আমরা আবার কেস করব। আমি বললাম আমার স্যার বলেছেন তিনি আমার জন্য এটা করবেন। তপনবাবুর কাছে আমি অঙ্ক করতে যেতাম তিনি আমাকে বিনা পয়সায় পড়াতেন। তিনি ছিলেন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের অঙ্কের অধ্যাপক। পরের দিন ভোরে উঠে আমি হাওড়া সালকিয়ায় গেলাম ওই ভদ্রলোকের সাথে দেখা করতে তিনি তপন স্যারের চিঠি নিলেন এবং আমায় আরেকটা চিঠি লিখে দিলেন আর বললেন ঐদিনই যেন হুগলি জেলার চেয়ারম্যানের সঙ্গে দেখা করি। হাওড়া জেলার চেয়ারম্যানের নাম কী ছিলো ভুলে গেছি কী সাম মুখার্জী। ওই দিন সকাল দশটার পর আমি হুগলি জেলার চেয়ারম্যান অমিয় মৈত্র সঙ্গে দেখা করি। তিনি a. I. কল্যাণ বাবুকে ডেকে পাঠান আমি তার তাঁর ঘরে যাই অনেক খোঁজার পরে তাঁর ড্রয়ার থেকে কাগজ বেরিয়ে আসে। আবার নীচ থেকে অমিয় মৈত্র ডাকেন আমাকে জিজ্ঞেস ঐ চেয়ারম্যান কে হন। আরও নানা রকম প্রশ্ন যার অনেক মনে নেই। আর কল্যাণ বাবুকে বলেন কাগজ গুলো রাজ্য দপ্তরে ঐ দিনই পাঠিয়ে দিতে। পরে শুনেছি উনি কাগজ গুলো ঐ দিনই জমা করে এসেছিলেন। এটা ছিলো ডিসেম্বর মাস। ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময়ে রাজ্য দপ্তর থেকে খবর আসে আঠাশে ফেব্রুয়ারি আমার appointment latter লেখা হবে। আমি গেলাম appointment latter আমার হাতে দেওয়া হল না। বলা হল ডাক যোগে পাব। সে এক নাটক মার্চ মাসের এক তারিখেই আমার appointment latter নাকি S. I. S. এসেছে বাড়িতে দফাদার সে বই আনতে গিয়ে ছিল তাকে খবর দিতে বলেছে। আমাকে XEROX করে আনতে হবে। Appointment latter আবার xerox বললাম ওতো post মারফৎ আসবে। এটাও প্রচার হল পনেরো মার্চের মধ্যে joint করতে হবে। কী করি ভেবে পাচ্ছি না শেষে 3রা মার্চ s. I. S. থেকে Xerox করে নিলাম। এবার attested করতে হবে। তবে joint করা যাবে। s. I. S. যখনই যাই s. I. S থাকে না। তখন 12 তারিখ হয়ে গেছে। তপন স্যার বলেছেন যিনি চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন তিনি attested করে দেন তবে ওটাই আসল কপি হবে। 12 তারিখ সকালে এক জন শিক্ষক ও পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষক সমিতির সদস্য দিলীপ চক্রবর্তীর কাছে মা আর আমরা দুভাই গেলাম তিনি বললেন নিশ্চিন্তে যান আমি আজই করে এনে দেবে। তিনি কথা রাখলেন এবং আমি রাম নগর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহ শিক্ষক হিসেবে যোগদান করলাম। এটা ছিল 1989 সালের 14 ই মার্চ। আমার জীবনে আরও অনেক স্মরণীয় ঘটনা আছে সে সব অন্য সময় লিখব। আজ এই পর্যন্ত থাক।যদি কোন সহৃদয় ব্যক্তি আমার পুরোনো শিকড়ের সন্ধান পান তাহলে     7980951395 এই নম্বরে ফোন করতে পারেন। 

Friday, 26 June 2020

খুব সাবধান আবার শুরু হয়েছে ধাপ্পাবাজি আর মিথ্যে কথা।

পৃথিবীর এক নম্বর মিথ্যাবাদী দের প্রতিযোগীতা শুরু হয়েছে। কে কত মিথ্যা কথা বলে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে 2021 সালের ক্ষমতা দখল করতে পারে। এদের সংসার না থাকলে কি হবে, এরা অর্থ লোভী পিশাচ এরা নিজেদের জাহান্নামে পাঠিয়েও অর্থ অর্থাৎ টাকা যোগার বা উপায় করে। দুজনের এক কথা আমাদের সংসার নেই, তাহলে এত মিথ্যা কথা কেন, কেন এত ধাপ্পাবাজি চিটিংবাজী, আর মিথ্যে কথা বলে ক্ষমতা দখল করা। রাজ্যের টা যে পৃথিবীর এক নম্বর মিথ্যাবাদী এটা আমার কথা নয়। দিপক ঘোষ না অধিকারী একটা বই লিখে ছিলেন,  ____ কে আমি যেমন দেখেছি। এই বই টা বাজারে এখনও গোপনে বিক্রি করে পারলে কিনে পড়ে নেবেন। না আবার এই মিথ্যাবাদী এবং চোরের পাল্লায় পরবেন। যারা 75 % আর 25% ভাগ পায় তাদের কথা বাদ দিন। যারা পায় না সেই সব গরীব খেটে খাওয়া মানুষ, দু বেলা দু মুটো অন্ন জুটছে না। আবার 2011 আগে যেমন সততার প্রতীক এবং সিঙ্গুর নন্দীগ্রাম করে ক্ষমতা দখল করে ছিলেন। 2016 সালে বললেন পাঁচ বছর খুব কম সময়, আমাকে দেখে ভোট দিন। কিছু মানুষ তো চুরির টাকা ভাগ পায় তারা মানুষ কে মেরে ভয় দেখিয়ে মদ মাংস খাইয়ে ভোট করে নিলেন। আর সারদা সহ নানা চিটফাণ্ডের টাকা আত্মসাৎ হয়ে গেল। সততার প্রতীক আবার একটা ভেলকি আরম্ভ করে দিয়েছেন। দূর্নীতি মুক্ত প্রশাসন করতে সাহায্য করুন। উনি যেন জাননে না কে কে এই 75 % আর 25 % এর ভাগ পায়। সব জানেন যেমন দিদি কে বল, ফেল করে যাওয়ার পর শুরু হল বাংলার গর্ব, আমি আর নাম লিখছি না। এমন গর্ব যে বাঙালি চোর মিথ্যাবাদী ধাপ্পাবাজি তে গর্ব করতে পারে তার ব্যবস্থাপনা করে তুলেছেন। কোথায় বিবেকানন্দর বাণী,প্রতি বছর বিবেক চেতনা উৎসব হয় ঘটা করে। কারণ উৎসবের নাম করে কিছু টাকা কর্মী দের পাইয়ে দেওয়া।আমরা জানি এরকম অনেক উৎসব মেলা খেলা আছে যার নাম গুলো আমার এই মূহুর্তে মনে পড়ছে না। সব কটা হচ্ছে চুরির ফাঁদ। ক টাকা এসেছে আর কত টাকা খরচ হলো কেউ জানতে পারে না। এখন শিল্প কেবল চপ শিল্প, মুড়ি, ঘুঁটে শিল্প। শিক্ষিত বেকার দের চাকরি দেখা নেই। কেবল বিজ্ঞাপন আছে, বিজ্ঞাপন দেখে আবেদন আছে, ঘুষ আছে, উপর তলা পর্যন্ত ঘুষ পৌঁছে যায়, তবে চাকরি আবেদন পত্রের সাথে আছে টাকা, সেই টাকা থেকে টেটের একজন আধিকারিক দামি ফোন কিনে ছিলেন। জানেন না, সব জানেন, জানেন না ঘুষ দিতে পারে নি, চাকরির তালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও চাকরি হয় নি। তারা অনশনে বসে ছিল তবুও তাদের চাকরি হয় নি। ইচ্ছা কৃত এক একটা কজ রেখে বিজ্ঞপ্তি জারি করে যাতে কেউ না কেউ কেস করে আর চাকরি দিতে হবে না। অনশনে বসে এক মা তার আগামী দিনের সন্তান জন্ম দেবার আগেই হারিয়েছে। সব থেকে বড় মাথাটা হচ্ছে শয়তানের কারখানা, খালি আমার টাকা চাই টাকা চাই, আর টাকার জন্য ক্ষমতা চাই। মানুষ মরুক তাতে কি যে কোন ভাবে চুরি করতে পারলেই হবে। মুখে হাসি আর ভালো ভালো কথা আর পেছনে বাঁশ দেবার পরিকল্পনা। মিছরির ছুরি, কে বলে উন্নয়ন হয়নি ভাই ভাইপো ভাইঝি নীচে তলার নেতা কর্মীরা। আরেকজন চরম মিথ্যাবাদী চার ঘন্টা আগে নোটিশ জারি করে লক ডাউনে নিয়ে গেছে দেশ কে। এখন কি করছে, খালি তালিকা তৈরি করে করে দেশের সম্পদ বণিক ও বিদেশি দের বিক্রি করে দিচ্ছে। কয়লা, বিদ্যুৎ, আর টেলিফোন আগেই গেছে, ওষুধ শিল্প গেছে এখন চীনের কাঁচা মাল ছাড়া ওষুধ তৈরি অসম্ভব। এবার রেলের পালা একটু একটু করে রেলও বিক্রি করে দেওয়া হবে। ঐ যে শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন তিন হাজার টাকা ভাড়া। আর ধনীরা বিদেশ থেকে আসবে বিনা
ভাড়ায় বন্দে ভারত প্রকল্প উড়ো জাহাজে। একদিকে করোনা লক ডাউন বা আন লক ডাউন সব চলছে। এই সুযোগে দেশ বিক্রি করে দিতে হবে না। আবার দেখছে মানুষ করোনা কে ভয় পাচ্ছে না। তখন পাকিস্তান তো ছিলই এখন চীনের সাথে লেগে গেছেন সীমান্ত নিয়ে। আর এই রাজ্যে এক শ্রেণীর ষাঁড় আছে যারা লাল দেখলে ভয় পায়। কেবল তেড়ে আসছে, আর মুখে একটা কথা লাল জিততে পারবে না। আমি চ্যালেঞ্জ নিচ্ছি সঠিক ভাবে শান্তি পূর্ণ ভোট হোক কোন মানুষ খুন এবং ভয় দেখানো। টাকা বিলি, বাঁশ বাগানে মদ মাংসের আসর এসব বন্ধ হয়ে যায় তাহলে মানুষ দেখিয়ে দেবে কারা জেতে। আমি চাই শান্তি পূর্ণ ভোট, যদি সত্যি সত্যি বামপন্থী রা না জেতে তাহলে আ
তাদের কর্মীদের উপর অত্যাচার করা হয় কেন? বামপন্থী এজেন্ট দের বসতে দেওয়া হয় না কেন? তারা তো জিতবে না জানে, এরা মদ মাংস খাওয়াতে পারে না। এরা অসময়ে মানুষের পাশে থাকে। দুই ফুলের দল যখন জানে বামপন্থীরা আর কোনো দিন ক্ষমতায় আসতে পারে না। কেবল চোর ডাকাতের দল লুটপাট করতে ক্ষমতা দখল করে। লুটে খাওয়ার জন্য মানুষ এই লুটেরা দের ভোট দেবে, তাহলে বামপন্থী দের উপর এত হামলা কেন? আজও এক বিক্ষোভ ছলা কালীন আক্রান্ত হয়েছেন। বামপন্থীরা, আসলে বামপন্থীরা মানুষের কথা বলে। মানুষের দাবি নিয়ে তাদের পাশে থাকে। আর মানুষ চোরেদের ভোট দিয়ে জিতিয়ে আনে। চুরি গুলো চোখের সামনে দেখতে পাওয়া যায় তা সত্ত্বেও তারা ভোটে জেতে, এসব আমাদের বিশ্বাস করে নিতে হবে। বামপন্থীরা চোর তাদের ধরতে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে কমিশন গঠন করা হয়েছিল। আজ 9 বছর হয়েছে কেউ ধরা পড়েনি একটা কমিশনের রিপোর্ট জমা পড়েনি বলতে চান। আসলে চোরের মায়ের বড়ো গলা। সব জানে কারা চুরি করে 75 % আর 25 % করে ভাগ পাঠায়, জানেন না তোয়ালের নীচে টাকা নিয়েছে টিভি তে দেখা গেছে। সে আজ সুভাষ চন্দ্র বসুর চেয়ারে বসে আছে। ঐ চেয়ার টিকে কলঙ্কিত করে তুলেছে। জানেন না সারদা সহ যাবতীয় চিটিংবাজ সংস্থার টাকা কারা কারা খেয়েছে। জানেন না চাকরি পেতে হলে কাকে ঘুষ দিতে হবে। আসলে এরা দলের সম্পদ, না হলে কবে ধরা পড়ে জেল হয়ে যেত। আর এদের বাঁচাতে পুলিশ কমিশনার কে লুকিয়ে বেড়াতে হয়। সব জানেন জেনে শুনে, তাদের কিছু না বলে উল্টে জামাই আদর করে দলে রেখে দেওয়া হয়েছে। এখন ভোট এসেছে এখন দূর্নীতি মুক্ত সরকার চাই বা সুন্দর কথা এই তো কদিন আগে আমফান ঝড়ের ত্রাণের টাকা কারা খেয়েছে উনি জানেন না। কোন ব্যবস্থা নিয়েছেন। না কারণ সামনে ভোট টাকার দরকার মদ মাংস খাওয়াতে হবে। বোমা পিস্তল কিনতে হবে। বামপন্থী দের মারতে হবে, ওরা বড্ড চেঁচামেচি করে। অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় বলছেন বামপন্থীরা ভোটে জিতে আসতে পারবে না। তারা ফিনিশ, অথচ তাদের উপর হামলা করে বেশি, কিসের জন্য কিসের ভয় বামপন্থী দের। কোন কোন পা চাটা ঘুষ খোর খবরের চ্যানেল এখুনি আরম্ভ করে দিয়েছেন কে জিতবে। চার পাশে বামপন্থী দের মানুষের পাশে দাঁড়ান কমনিটি কিচেন করে দুস্থ মানুষের পাশে দাঁড়ান এসব দেখতে পান না। প্রতিনিয়ত অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের সাহায্য করে যাওয়া যারা করছে তাদের প্রচার নেই। কেবল চোরে দের প্রচার কারণ চুরির টাকা ভাগ পায় ঐ সব চ্যানেল। কেউ দাদার ভক্ত কেউ দিদির প্রতি নিয়ত ঐ চোরকে সাধু বানাতে উঠে পরে লেগেছে খবরের চ্যানেল গুলো। ভালো কাজ চোখে পড়ে না। আমি বলছি বামপন্থীরা ক্ষমতায় না এলে বেকার ছেলে মেয়ে দের ভবিষ্যৎ আরও অন্ধকার দাদার দল ক্ষমতায় এলে মানুষ খেতে পাবে না। গুজরাত করা হবে। না খেতে পাওয়া মানুষ কে ডিটেশন ক্যাম্পে রেখে ক্রীতদাস বানান হবে। আর যাতে না বেড়িয়ে যেতে পারে তার জন্য চার পাশে উঁচু পাঁচিল তুলে দেওয়া হবে। বাঙালি কে নিয়ে এই তো পরিকল্পনা ঐ দাদার দলের। তবে সবাই নয় তথাকথিত যারা ধনী টাকা আছে তারা বাদ। তাই মানুষের কাছে আমার আবেদন সত্যি যদি মানুষ হয়ে থাকেন এবং মানুষের অধিকার নিয়ে বাঁচাতে চান। তাহলে আগামী দিনে অর্থাৎ 2021শে ভোট টা ভেবে চিন্তে দেবেন। চোর ও ডাকাত আর গরীব মানুষ কে মানুষ বলে মনে না করা ঐ সব চিটিংবাজের দল কে নয়।

Thursday, 18 June 2020

সারা দেশে লাল ঝাণ্ডার উড়ছে দেখে, ওরা ভয় পেয়েছে।

মেহনতি মানুষ একতা বদ্ধ প্রতিবাদ সামিল হয়েছেন লাল ঝাণ্ডা নিয়ে। এটা দেখে ওরা ভয় পেয়েছে, এটা অনেক দিন থেকেই প্রচলিত ছিল। ফ্যাসিবাদ সব সময় গরীব খেটে খাওয়া মানুষের আন্দোলন কে ভয় খায়। আমার এর আগে একটা লেখা লিখেছিলাম, বি জে পি আই টি সেল এবং কিছু চোর পন্থী চুরির 75 % পাওয়া দালাল গুলো বিভিন্ন ভাবে বামপন্থী দের বিরুদ্ধে এবং ছাত্র যুব দের লড়াই আন্দোলন কে থামিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছে। বিভিন্ন রকম কুরুচি কর মন্তব্য করে যাচ্ছে। সুজন চক্রবর্তী কে লিখেছেন কুজন চক্কোবটি। ভামপন্থী আরও ইচ্ছা করে বামপন্থী গ্রুপে ঢুকে পড়ে তারা এ মন্তব্য করে যাচ্ছেন। অনেকেই আছেন সূর্য কান্তি মিশ্র ফ্যান বলে গ্রুপ খুলে বাম বিরোধী প্রচার করে যাচ্ছে। লেখা আছে সি পি আই এম পশ্চিমবঙ্গ কিন্তু পোস্ট করা হয়েছে শাসক দলের বা বি জে পির আর নিরপেক্ষ মতামত বলে একজন ঐ সব গ্রুপে মন্তব্য করে যাচ্ছে।এর একটাই কারণ সারা দেশে লাল ঝাণ্ডার উড়ছে দেখে ওরা ভয় পেয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের আনাচে কানাচে আজ আবার লাল ঝাণ্ডা হাতে মানুষ তাদের দাবি নিয়ে পথে নেমেছে। সে কারণেই বুঝতে পারছে দিন শেষ হয়ে আসছে আর চুরি ডাকাতি তোলাবাজি জুমলা বাজি করে দেশের মানুষ কে শোষণ করা যাবে না। এই সব দাঙ্গা বাজ মানুষ খুন কারি লুটেরা দের ভয় করো না। এগিয়ে যাও বন্ধু আগামী দিনে শোষণ মুক্ত ভারত তথা পশ্চিমবঙ্গ তৈরির লক্ষ্যে। পশ্চিমবঙ্গের বেকার যুবক যুবতী এবং ছাত্র ছাত্রী দের এই লড়াই কখনো বৃথা যাবে না। নতুন ভাবে নতুন রূপে গনতান্ত্রিক ব্যবস্থার মধ্যে দিয়ে পশ্চিমবঙ্গে লাল ঝাণ্ডা সরকার আসবে। বেকারের স্বপ্ন পূরণ করতে, চাকরির নামে প্রহসন বন্ধ করতে, চাকরির তালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও চাকরি হয়নি। অনশন করতে হয়েছে, তাতেও নিয়োগ পায় নি তারা, এক মা তার গর্ভের সন্তান হারিয়েছে। বেকার ছাত্র যুব দের রক্তে ভেসে গেছে হাওড়ার নবান্নের পথ। তবুও চোদ্দ তলায় পৌঁছয়নি তাদের দাবি, নির্মম নিষ্ঠুর এই সরকার মানুষের পাশে থাকার বদলে কেবল লুটে খেতে বসে আছে। কীভাবে 280 টাকার মজুর 280 কোটি টাকার মালিক হবে সেই চেষ্টা। টালির চাল মাটির দেওয়াল ফেলে চার তোলা রাজ প্রাসাদ। আর গেটের সামনে দামি চার চাকা, কি করনে খোঁজ নিয়ে দেখুন বর্তমানে সে হয় শাসক দলের নেতা না হয় মন্ত্রী, নিদেন পক্ষে এম পি এম এল এ, না হলে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, বা ছোট খাটো হলেও পঞ্চায়েত প্রধান। আসলে এটা যদি কোন বাম নেতা মন্ত্রীরা করত তাহলে ঐ দালাল মিডিয়া ঝাঁপিয়ে পড়ত, হাজার বার দেখাতে থাকত। ঐ বাম আমলে একটি কাগজ এখনও আছে যে নাকি ভগবান কে ছাড়া কাউকে ভয় খায় না। সে প্রতিদিন বাম সরকারের এবং বাম নেতা কর্মীদের সম্পর্কে প্রতিদিন কুৎসা না করে জল খেত না। এখন তার ভগবান ক্ষমতায় আছে তাই তিনি ভয়ে চুপসে গেছেন। টাকার কাছে সবাই জব্দ, এখন যে সব মানুষ সমর্থন করে যাচ্ছে তারা জানে না কেবল সারদা নারদা না আরো অনেক চিটিংবাজ ফাণ্ড নিত্য নতুন নামে তৈরি করা হয়েছে কেবল জনগণ কে লুটে খাবার জন্য। সেই সব কোটি কোটি টাকা সব আছে, ভাগারে মাংস আর মদ খাওয়ানোর জন্যে। আর সাথে আছে মিথ্যা কথা পৃথিবীর এক নম্বর মিথ্যাবাদী। মিথ্যা কথা বলতে পারার জন্য নোবেল পুরস্কার থাকলে বর্তমানে দুই শাসক প্রধান পেয়ে যেতেন। মিথ্যার বেসাতি করে জোর জুলম করে যেমন করে পার লুটে খাও। কেউ প্রতিবাদ করলেই তার উপর চড়াও হয়ে অত্যাচার কর কারণ আমি চুরি করছি সরকারি টাকা তোর কি? এখন চিটিংবাজ ফাণ্ড নেই, এখন সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা আছে আর সিন্ডিকেট আছে। লুট লুট হরির লুট চলছে, একটা রাস্তা তৈরি হবে, ছ মাসের বেশি যাচ্ছে না পিচ উঠে চলে যাচ্ছে, ঢালাই উটে খানা খন্দ তৈরি হয়েছে। এদের চুরির শেষ নেই, মানুষের দূর্দিনেও এরা ছাড়ে না। নিজেদের পাওনা নিয়ে তবে শান্তি না হলে অশান্তি সৃষ্টি করে মানুষের জীবন অতিষ্ঠ করে তুলবে। এ রকম মানুষ আজ বেশি আগামী দিনে নিজের সন্তান বা বেকার ছেলে মেয়েদের কাজ ওসব বাদ আমার টাকা চাই। আমরা কি জানি দেশ এবং রাজ্যের শাসক প্রধান দু জনেই বলেছেন তাদের সংসার নেই, তাহলে এত টাকা নিয়ে কি করছেন? টাকার তো পাহাড় বানিয়ে ফেলেছেন, দুজনেই, অবশ্য কাগজে যে টুকু বেড়িয়েছে। এসব কে তুচ্ছ করে এগিয়ে যাও বন্ধু আগামী 2021 সাল তোমাদের। গরীবের রক্ত শোষণ কারি শোষকের রক্ত চক্ষু এবং সমস্ত রকম কুৎসা কে ও সমস্ত বাধা কে উপেক্ষা করে বুক চিতিয়ে এগিয়ে চল বন্ধু। আগামী দিন তোমাদের, তোমাদের এই লড়াইয়ের পিছনে আমিও আছি। 1977 সালের মত 2021 সাল ও লেখা থাকবে ইতিহাসের পাতায়। কারণ শাসক আজ ভয় পেয়েছে, সেই জন্যই কুৎসা ও কুৎসিত আক্রমণ নামিয়ে আনছে। যা তারা 2011 তে ক্ষমতায় আসার আগে করে ছিল, ঠিক সেই পথ আবার বেছে নিতে চাইছে, কারণ এখনও অনেকের খিদে মেটেনি। আরও চাই, আরও চাই, গরীব খেটে খাওয়া মানুষ মরছে মরুক, বেকার যুবক চাকরি বা কাজ না পেয়ে আত্মহত্যা করেছে করুক, কৃষক ফসলের দাম না পেয়ে মরছে মরুক। আর এখন মানুষ সর্ব হারা, কাজ নেই, ঘরে খাবার নেই অসুস্থ হয়ে পড়েন চিকিৎসা নেই। এই নেই এর দেশে বামপন্থী ছাত্র যুবরা মানুষ কে ভরসা দিচ্ছে বেঁচে থাকার এবং সামান্য হলেও যুগিয়ে যাচ্ছে তাদের বেঁচে থাকার রসদ। এটা দেখে ভয় পেয়েছে শাসক, শোষণ করা আর যাবে না। এবার প্রতিবাদ করবে এমন ভাবে এরা ঐ সব কমেন্ট গুলো করছে মনে হচ্ছে কেন্দ্র এবং রাজ্যের ক্ষমতায় আছে বামেরা। তোমাদের লড়াই জারি থাকুক, তোমাদের এই দৃঢ় প্রতিজ্ঞ লড়াই এর মধ্যে দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ লুটেরা মুক্ত হোক। দিকে দিকে আরও জোরে আওয়াজ তোল মুক্তি চাই, মুক্তি, শোষণ বঞ্চনা, লাঞ্ছনা, আর দূর্বিষহ জীবন যন্ত্রণা থেকে মুক্তি চাই। এস সকলে মিলে এক সাথে গাই মুক্তির গান। লড়াই জারি থাকুক বন্ধু। 

Wednesday, 17 June 2020

পশ্চিমবঙ্গরে সর্বত্র যখন লাল ঝাণ্ডা উড়ছে, চোর ডাকাতের দল চীনের দালাল দালাল করছে।

এ লেখা তাদের জন্য যারা বামেদের বিভিন্ন পোস্টের নিচে চীনের দালাল বলে কমেন্ট করছে তাদের জন্য। যদি সত্যি কার মানুষ হয়ে থাকেন তবে সব লেখা পড়ে মন্তব্য করবেন। আর যদি দিলীপ ঘোষের কথা মতো কুকুর ছাগল হয়ে থাকেন তাহলে মন্তব্যের প্রয়োজন নেই। পশ্চিমবঙ্গের সর্বত্র যখন মানুষের ভীড় বাড়ছে, চোর মিথ্যাবাদী ডাকাত তোলাবাজ কাটমানি ঘুষখোর দের কাছ থেকে মুক্তি পেতে ছাত্র যুব সাধারণ মানুষ দিন এক করে দিচ্ছে। কোভিড 19 ও আমফান ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের কাছে আজ বামপন্থীরা আশ্রয় স্থল, লাল ঝাণ্ডায় বিশ্বাস রেখে এগিয়ে আসছে, আগামী দিনের আরো বড় লড়াই সংগ্রামের জন্য তৈরি হচ্ছে। আর এদিকে চোর ডাকাত কাটমানির 75% ও 25% ভাগ নেওয়া একদল দালাল চীনের দালাল বলে পূরন একটা কথা প্রতি নিয়ত লাল ঝাণ্ডার বিভিন্ন পোস্টের নীচে কমেন্ট করে যাচ্ছে। গত কয়েক দিন ধরে লাদাখে চীন ভারত যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছে, এবং সেটা এখন ভয়ানক আকার নিয়েছে। আমি খুব দুঃখিত আমাদের কয়েক জন সৈন্য প্রাণ হারিয়েছেন। আমিও চাই ভারত জবাব দিক, এর পাশাপাশি চেষ্টা করুক শান্তি পূর্ণ ভাবে মিটিয়ে নিতে কারণ যুদ্ধ মানে মানুষের জীবন আরও দূর্বিষয় হবে। এই করোনা ভাইরাসে মানুষ কখন আক্রান্ত হয়ে পড়ে তার ঠিক নেই তার উপর যুদ্ধ। তবে এটাও ঠিক চীনের বাড়াবাড়ির জবাব দিতে হবে। আমার প্রশ্ন পাকিস্তান ছিল চির শত্রু তাহলে চীন ও নেপাল আবার ভারতের ভুখণ্ড দখল করতে চাইছে কেন? এসব বাদ দিন যারা চীনের দালাল বলে নিজেদের দোষ ঢাকার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। আর চুরি ডাকাতি রাহাজানি কে আড়াল করতে চাইছেন। তাদের বলি ভারত তথা পশ্চিমবঙ্গের বামপন্থীরা চীনের এই আগ্রাসন কে সমর্থন করে না। কারণ চীন একমাত্র কমিউনিস্ট  শাসিত দেশ নয়। চীনে কম্যুনিনিজিমের ধারণা তৈরি হয়, এই কম্যুনিনিজিম মহামান্য কার্ল মার্ক্স এর তৈরি সারা বিশ্বের খেটে খাওয়া গরীব মানুষের দলিল। ভারতে আজ এই গরীব মানুষ শোষিত নীপিড়ীত এদের হয়ে কথা বলার লোক আজ খুব কম, যে যার স্বার্থ গুছাতে ব্যস্ত। দেশের সম্পদ আজ ধনী বনিক সম্প্রদায়ের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে। কিছু দিন পর ঐ ধনিক বনিক শ্রেণি দেশ শাসন করবে। এখনই করছে, গরীব শ্রম জীবি মানুষের উপর কীটনাশক স্প্রে করা হচ্ছে। তাদের কুকুর ছাগল বলা হচ্ছে। চীনের আগ্রাসন একে আমি কোনো মতেই সহ্য করতে পারি না। চীন তিব্বত, দখল করে বসে আছে, হংকং দখল করে আছে, তাইওয়ান কে চোখ রাঙাচ্ছে ভারত কে চোখ রাঙাচ্ছে, ভারত কে চার পাশ থেকে জব্দ করতে, নেপালের সাথে হাত মিলিয়েছে, বাংলাদেশের অন্দরে প্রবেশ করে বসে আছে। রোহিঙ্গা তাড়াতে মানায়ানমার কে সাহায্য করেছে। পাকিস্তানের তো কথাই নেই, গিলে খেল বলে কিছু দিন পর শুনবেন পাকিস্তান চীনের অংশ। শ্রীলঙ্কা, মালয়েশিয়ায় ঢুকেছে। চীনের নীতি হচ্ছে, অর্থনৈতিক উন্নয়নে সাহায্য করতে করতে সেখানে চীনা শহর বসানো এবং আস্তে আস্তে গোটা দেশ টা কব্জা করা। এই ভাবে তারা হংকং দখল করে বসে আছে। তাইওয়ান আজ ভুগছে এই চীন কে নিয়ে। পাকিস্তান কে গিলে এখন নেপাল ও বাংলাদেশের দিকে হাত বাড়িয়েছে। আর এসব কারণে আমি চীন কে দেখতে পারি না। আমার মনে হয় চীনের এই আগ্রাসন ভারতের তথা পশ্চিমবঙ্গের কোন বামপন্থী মানুষ মেনে নিতে পারে না। আবার এটাও ঠিক বর্তমান ভারতের সাথে যে যুদ্ধ শুরু হয়েছে বা হবে হবে করছে। তার জন্যে একা চীন দায়ি নাকি এই অর্থনৈতিক মন্দা গরীব মানুষের না খেয়ে মৃত্যু চুরি দেশের সম্পদ বিক্রি এসব থেকে নজর ঘোরাতে এসব তৈরি করা হচ্ছে। এবার আসি যারা চীনা দ্রব্য বয়কট করতে বলছেন। তাদের কাছে আমার একটা প্রশ্ন চীনের সাথে বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর করেছে কে চীনের ঐ জিনিস পত্র কারা আসার অনুমতি দিয়েছেন। নিশ্চয়ই বামপন্থীরা নয়। এই দু দিন আগে চীনের এক কোম্পানি কে রাস্তা তৈরির বরাত দেওয়া হয়েছে। মেক ইন ইন্ডিয়ার সুফল হচ্ছে, দু তিন টি চীনা মোবাইল কোম্পানি ভারতে তাদের মোবাইল এসেম্বল করছে। আমরা যে সব মোবাইল কিনি তার প্রতিটির পার্টস বা যন্ত্রাংশ তৈরি হয়ে আসছে চীন থেকে। চীন ছাড়া মোবাইল তৈরি অসম্ভব। যে এ্যাপ গুলো ব্যবহার করেন বা নেট সার্চ করেন U C ব্রাউজার চীনের তৈরি গুগুল আমেরিকার অথচ ভারত ভাল স্যাটেলাইট বা উপগ্রহ পাঠাচ্ছে। ইসরো অনেক ভালো কাজ করে যাচ্ছে, কিন্তু কোথায়? একটা নেট সার্চ করতে বিদেশী ব্রাউজার লাগে, এমনকি ভারত সরকার যে সব এ্যাপ তৈরি করেছে চীনা ব্রাউজারের সহায়তা নিয়ে। আর আমাদের সরকার কি করছে, বি এস এন এল কে তুলে দিতে জিও কে মদত দিচ্ছে। সরকারি সংস্থা বেঙ্গল কেমিক্যাল কে তুলে দিতে পতঞ্জলি কে উৎসাহিত করে যাচ্ছে। কোটি কোটি টাকা ঋন মুকুব ট্যাক্স ছাড় দিয়ে যাচ্ছে। বামপন্থীরা ভারতের গনতান্ত্রিক আবহে থেকে মানুষের পাশে থেকে এই দুঃসময়ে তাদের যতটুকু সাহায্য করা যায় করে যাচ্ছে। এটাই অনেকের সহ্য হচ্ছে না। ভারত বিভিন্ন ভাষাভাষির দেশ এবং জাতি বৈষম্যে জর্জরিত একটি দেশ এখানে অন্য কোন বামপন্থী দেশের মতো বাম শাসন, সম্ববত সম্ভব নয়। এলেও বহু বছর সময় লাগবে ততদিনে বামপন্থা এই দেশের নিয়ম নীতি অনুসারে পাল্টে নেবে। কারণ গনতান্ত্রিক আবহে থেকে বামপন্থা সম্পূর্ণ রূপে প্রয়োগ করা যাবে না, এটা মনে হয় বামপন্থী নেতারা ভালো জানে।আর চীনের ঐ আগ্রাসন কে নীতি কে কোন মানুষ সমর্থন করে বলে আমার মনে হয় না। এবার যারা চোর পন্থী ডাকাত পন্থী দেশ বেচা সম্পদ তথা গরীব মানুষ মারা কে সমর্থন করে যাচ্ছেন। তাদের বুকে হাত দিয়ে বলুন কাটমানির আর তোলার বা মেহুল চোকসি, বিজয় মালিয়া, নীরব মোদী এদের টাকার কত টাকা ভাগ পেয়েছেন। যখন গরীব মানুষ না খেয়ে মারা যাচ্ছে। তখন আপনারা চুরি করতে আর লুট করতে ব্যাস্ত আর এগুলোর বিরুদ্ধে যারা প্রতিবাদ করে যাচ্ছে যারা নিজেদের জীবন বিপন্ন করে মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে সাহায্য করে যাচ্ছে। তাদের বিভিন্ন ভাবে ছোট করে যাচ্ছেন। আগে মানুষ হোন চোখের চোরের দশ লক্ষ টাকার চশমা খুলে দেখুন। অসহায় মানুষের আর্তনাদ। 

Sunday, 14 June 2020

বাঙালি সব বিষয়ে পারদর্শী, এটাই যদি হয় তাহলে ভোটের কি দরকার?

দেখুন অতনু ব্যানার্জ্জী বাবু 2021 সালের ভোটের রেজাল্ট বলে দিয়েছেন। অবশ্য পরে বলছেন এটা আমার ব্যক্তিগত মতামত। আমার মত হলো তাহলে ভোট করে কি লাভ? বেকার এই অর্থনৈতিক মন্দার সময়ে কোটি কোটি টাকা খরচ করে ভোট মানে তো সাধারণ মানুষের উপর আবার করের বোঝা চাপবে। লাইন দিয়ে ভোট দিতে হবে মার খেতে হবে, কত মানুষ খুন হয়ে যাবে। কারণ 2011 সালের পর থেকে নির্বাচন গুলো দেখছি তো কি হচ্ছে। প্রিসাইডিং অফিসার পর্যন্ত খুন হয়েছে কোন বিচার নেই। ঐ যে কবি গুরুর বাণী " প্রতিকার হীন শক্তের অপরাধে, বিচারের বাণী নিরবে নিভৃতে কাঁদে।" সেই কারণেই বলছি উনি যখন আগেই জেনে গেছেন ফল কি হবে? আবার উনি কেন কিছু দিন পর থেকেই চ্যানেল গুলো দায়িত্ব নিয়ে নেবে কে সরকার তৈরি করবে তার। অর্থাৎ জনগণ কে প্রভাবিত করে ভোট করা যেটা চ্যানেল গুলো এখনই শুরু করে দিয়েছে। কেবল মুনাফার জন্য নিউজ চ্যানেল গুলো বসে আছে। নেতারা যেমন ভোটে যেতার জন্য টাকা খরচ করে জানে একবার জিতে এলে কোটি কোটি টাকা ইনকাম। অবশ্যই সব নেতা মন্ত্রী না ভালো অবশ্যই আছে না হলে সব ধ্বংস হয়ে যাবে যে। অতনু বাবু, ওদিকে কয়েক কোটি টাকার হেড স্যার বলছেন যে এবারে দিদির জিতে আসা কঠিন। অবশ্য আমি মনে করি ওটা হেড স্যারের একটা কৌশল যাতে মানুষ সহানুভূতিশীল হয়ে পরে। আর চোরের চিটিংবাজ কে জিতিয়ে আনে। গত 2013 পঞ্চায়েত, 2014 লোকসভা 2016 বিধানসভা এবং মাঝে পৌরসভা নির্বাচন ও 2018 সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় কিভাবে বিরোধী দল গুলোর উপর অত্যাচার করেছে। বিরোধী দলের পতাকা পোস্টার এমনকি বুথে পর্যন্ত লোক বসতে দেয়নি। মারামারি খুধখুনি কিছু বাধ ছিল না। ভোট তো হয়নি প্রহসন হয়েছে। আপনি 2006 এর বিধানসভা, 2008 এর 2009 এর লোকসভা মাঝে পৌরসভা নির্বাচন ও 2011সালের বিধানসভা দেখেছেন। কি রকম ছিল? আমি জানি আপনার উত্তর বাম আমলেও হোত বিরোধী দলের লোকজন কে কিছু করতে দিত না। আমার উত্তর জানেন সেই কারণেই মানুষ পরিবর্তন করে দিয়েছেন। একটু শান্তি পাবে বলে। বাম আমলে যদি বিরোধী দল প্রচার করা বা আন্দোলন করতে না পারে তাহলে সিঙ্গুর আন্দোলন, নন্দীগ্রাম, বিধানসভা ভাঙচুর পথ অবরোধ 69 বার বনধ বা হরতাল হলো কি করে? বামেরা যদি ভোট করতে না দিয়ে থাকে তাহলে 2006 থেকে 2011 পর্যন্ত নির্বাচন গুলো তে বিরোধীরা বেশি সংখ্যক আসন পেল কি করে? আমার ভালো লাগে আপনি 2021 সালের ফলাফল বলে দিয়েছেন, আর ভোটের দরকার নেই। যেমন এখন পৌরসভা গুলো নির্বাচন করা কথা হলো না কোভিড 19 এর জন্যে। দেখা যেত কি হয়? শহরের মানুষ কি চান? বাধ সেধেছে প্রকৃতি, বিধানসভা নির্বাচনের কি করে আমার জানা নেই? আপনার ফলাফল দিয়ে সরকার গঠন হয়ে যাবে তাই না। বাঙালি সব বিষয়ে পারদর্শী কেবল স্বাধীনতার সময় বাংলা ভাগ বন্ধ করতে পারে না। আর নিজের নাক কেটে অপরের যাত্রা ভঙ্গ করতে ভালো পারে। সাধারণ গরীব খেটে খাওয়া মানুষ ওরা তো মানুষ নয় ঐ যে নেতা বলে দিয়েছেন ওরা কুকুর ছাগল। আপনি ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। আর দুটো নৌকা পা দিয়ে রাখবেন সুযোগ বুঝে যে কোন একটায় ঝাঁপ দিয়ে দেবেন। দেখবেন আবার দু নৌকার মাঝখানে পড়ে না যান। 

বাঙালি কি সত্যি তার বিচার বুদ্ধি হারিয়ে ফেলেছে।

বাঙালি জাতি সত্যিই তার বিচার বুদ্ধি হারিয়ে ফেলেছে ।বর্তমানে সারা দেশে যে অরাজকতা চলছে, সরকারি বেসরকারি কোথাও কোন নিয়োগ নেই। রাজ্য সহ দেশে বেকারের সংখ্যা প্রতিনিয়ত বাড়ছে, উপায় নেই অথচ খরচ বেড়ে চলেছে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম আকাশ ছোঁয়া। দুই সরকার মানুষের জীবন জীবিকা ধ্বংস করে দিচ্ছে, কতিপয় নেতা মন্ত্রী টাকার কুমীর হয়ে যাচ্ছে। 280 টাকার মজুর আজ দুশ আশি কোটি টাকার মালিক, মানুষ কে ভয় দেখিয়ে মেরে ধরে এবং চটকদারি বিজ্ঞাপন দিয়ে জনগণ কে বিভ্রান্ত করে
যেমন করে হোক ভোট চাই বা ভোটে নির্বাচিত হতে হবে। জনগণের করের বা ট্যাক্সের টাকা চ্যানেল আর খবরের কাগজ ভর্তি বিজ্ঞাপন দিয়ে জেতা চাই। মিথ্যা কথার ফুলঝুরি ছুটিয়ে, সরকারি ভাবে মানুষ কে আজ ভিক্ষারী তে পরিনত করে দিয়েছে। সব দেখে শুনে মনে হচ্ছে সত্যিই বাঙালি জাতি আজ আত্মঘাতী জাতি। নেতা মন্ত্রীরা কোটি কোটি টাকার মালিক হচ্ছে, আমি তার হয়ে গুণ্ডামি করে মদ আর ভাগারের মাংস তো পাচ্ছি। অর্থাৎ কুত্তার মতো আমাকে একটুকরো রুটি দিলেই আমি ল্যাজ নাড়ব, মানুষ ভয়ে থাকবে কেউ কিছু যদি বলেছে অমনি নেতার কথায় তার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ব। যেমন ইংরেজ আমলে কিছু পা চাটা কুত্তার দল ছিল একদিকে বাঙালি জাতি কে ধ্বংস করছে, তাতে কি আমি তো রায় বাহাদুর রায় চৌধুরী রাজ চক্রবর্তী উপাধি পাচ্ছি। যে দলের প্রতিষ্ঠাতা বাংলা কে ভাগ করে বাঙালি জাতির জীবনে, বিশেষ করে বাঙালি হিন্দু জাতির অস্তিত্ব ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিয়েছিল তারা আজ বাঙালির জাতির মাথায় বসতে চাইছে। কিছু মানুষ এদের মুখের কথায় ভীষণ আনন্দ পাচ্ছে, এরা এখনই বলছে অর্ধেক বাংলাদেশের মানুষ এই পশ্চিমবঙ্গে এসেছে। কেন এসেছে সেটা ইচ্ছাকৃত ভাবে বলছে না। এরা পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতা দখল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। এই দল যদি ক্ষমতা পায় তবে বাঙালি জাতির কপালে অশেষ দূর্গতি কেউ খণ্ডন করতে পারবে না। বিশেষ করে যারা নির্মম অত্যাচারেহাত থেকে রক্ষা পেতে  ওপার বাংলা থেকে ভিটে মাটি ছেড়ে এপার বাংলায় এসেছে একটু শাান্তির আশায় তাদের কপালে দুঃখ আছে। কারণ এদের দলের পূূর্বজ দেশ তথা বাংলা ভাগের নায়ক, এরা তার না কর কাজ করে তবে ছাড়বে। ডিটেশন ক্যাম্পে নিয়ে গিয়ে রাখা বিশেষ করে যারা 1971 সালের পরে এদেশে এসেছে তাদের। এরা নতুন কিছু গড়তে পারে না কিন্তু ভাঙতে পারে ভালো। এখনও আছে বাঙালি তুমি রুখে দাঁড়াও কারণ এখন ঐ 1946 সালের মতো রুখে দাঁড়াতে পারে এ রকম মানুষ অর্থাৎ গোপাল পাঁঠা নেই। নিজেরাই নিজেদের রক্ষা করতে হবে। কোথায় গেল তোমার সে বীরত্ব যা   দিয়ে তুমি ইংরেজ শাসনের ভিত নাড়িয়ে দিয়ে ছিলে। ব্রিটিশ তার রাজধানী কলকাতা থেকে সরিয়ে দিল্লি নিয়ে গিয়েছিল তোমার ভয়ে। জাগিয়ে তোল তোমার অন্তরের এ্যালফ্রেড কে জাগিয়ে তোল বিনয় বাদল দীনেশ ও মাস্টার দা সূর্য সেন কে জেগে উঠুক প্রীতিলতা জেগে উঠুক ক্ষুদিরাম প্রফুুল্ল   চাকি আরও শত সহস্র বীর বিপ্লবী। কেবল মাত্র এই বাংলায় নয় গোটা
 বাংলাদেশে কেন পরে পরে মার খাচ্ছ আর বাহ্মণ শুদ্র কায়েত দলিত হরিজন আদিবাসী নয় সকলে মিলে এক সাথে এক জায়গায় প্রতিবাদ করে উঠ। উল্লাস কর দত্তের কথা মনে আছে যিনি বোমা তৈরির কৌশল রপ্ত করে ছিলেন বিপ্লবী দের শেখানোর জন্য এখন আধুনিক যুগে শিক্ষিত বাঙালি তোমরা পিছিয়ে আছ। বাংলাদেশে প্রতি দিন অত্যাচার করে যাচ্ছে খিলজির দল কেবল সম্পত্তি দখল করতে। ধর্ম পাল্টেও রেহাই নেই, কত ধর্ম পাল্টাবে। মানবতার এই শত্রু দের দেশ থেকে বের করে দিতে হবে। ক্ষমতা লোভী মানবতার শত্রু দের বুঝিয়ে দিতে হবে দেশ ভাগ করা যায় কিন্তু জোরা লাগতে কষ্ট করতে হয়। আজ বাংলা মায়ের বুকে কাঁটাতারের বেড়া উঠেছে এই দলের প্রতিষ্ঠাতা কত গুলো মানুষের জন্য, 1905 সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মত কিছু মানুষ ছিলেন যারা কার্জন কে বাংলা ভাগ করতে দেয় নি। ইংরেজ জানত বাঙালি জাতির মেরুদন্ড ভাঙতে হলে ধর্মের নামে বাংলা ভাগ করে দিতে হবে। 1946 থেকে বা তার আগে থেকেই শ্যমাপ্রসাদ মুখার্জির মতো কিছু ইংরেজের দালাল ছিল যাদের সহায়তায় ইংরেজ তথা ব্রিটিশ তার ইচ্ছা পূরণ করে। ভাবতেও অবাক লাগে এই শ্যমাপ্রসাদ মুখার্জি, স্যার আশুতোষ মুখার্জির সন্তান যাকে আমরা বাংলার বাঘ বলে জানি। এই শ্যমাপ্রসাদ মুখার্জি হিন্দুত্ব বাদী একটি দল গঠন করে ছিলেন ভারতীয় জন সংঘ। তিনি হিন্দু মহাসভার সভাপতি ছিলেন। এই ভারতীয় জন সংঘ পরবর্তীতে বি জে পি এরা ক্ষমতা লোভী মানবতা বিরোধী একটি দল হিন্দু ধর্মের নামে এরা হিন্দু ধর্মের নীচু তলার মানুষ দের জীবন বিপন্ন করে তোলে। তাকিয়ে দেখুন উত্তর প্রদেশের দিকে বিহারের দিকে। দলিত নির্যাতন এদের রক্তে এখন তো আবার উচ্চবর্ণের নয় কেবল ধনীদের স্বার্থ রক্ষা করে চলে। গরীব খেটে খাওয়া মানুষ সে যে বর্ণের হোক তিনি কুকুর ছাগল। এদের এড়িয়ে যেতে হবে, বাংলার মানুষ এক হও আবার তোমার শিয়রে বিপদ এই বি জে পি নামক দলটি। উঠ জাগো ফিরিয়ে আনো সেই স্বাধীনতা আন্দোলনের দিন গুলো যা দেখে এরা ভয় পায়, বাংলার মাটিতে এদের বাড়তে দিলে হবে না। এরা একবার তোমার ঘর ভেঙেছে তোমাকে গৃহ হারা করে ছেড়েছে আর না অনেক হয়েছে। তোমার শরীরের যদি সত্যি বাঘা যতীন, রাস বিহারী বসু ও সুভাষচন্দ্র বসু রক্ত ধারা থাকে তবে উঠে পরে লেগে পর বাঙালি বিরোধী বাঙালি জাতি বিরোধী এই দল কে বাংলা থেকে তারাও আর দ্বিতীয় বারের জন্য বাঙালির দুঃখ ডেকে আনতে চাইলে একে ক্ষমতায় নিয়ে এস।



Thursday, 11 June 2020

ভদ্রলোক কে উত্তর দিলাম ছোটলোকের ভাষায়।

ছবিটি দেখে নিন ইনি ফেসবুকে তৃণমূল তথা শাসক দলের হয়ে প্রচারের দায়িত্ব নিয়েছেন। এবার কিছু পোস্ট দিলাম,
দেখুন ভদ্রলোক কেমন কুৎসিত ভাষা প্রয়োগ করেছেন। এনাকে ভদ্রলোক বলা যাবে! উনি কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মী ছিলেন নিশ্চয়ই জানি না কোন বিভাগের কর্মী নিশ্চয়ই ঘুষ নিতেন না হলে ঘুষ পন্থী হবেন কি করে? আর উনি যে দলের হয়ে প্রচারের দায়িত্ব নিয়েছেন তাতে ওনার কাছে এর থেকে ভদ্র ভাষা আশা করা যায়। সারদা সহ চিট ফান্ডের টাকার বা কাট মানির নিশ্চয়ই ভাগ পান।যা হোকআরেকটা পোস্ট দেখুন,
লেখার ভাষা দেখুন, এর পরেও এনাকে বলবেন সুস্থ মানুষ, যে সামাজিক জীব, জানি না কে কী ভাবে এই ভদ্রলোক কে গ্রহণ করছেন। আমি দেখেছি এনার পোস্টে অনেকেই কমেন্ট করেছেন। আজ হঠাৎ দেখি ইনি আমার শেয়ার করা বামপন্থীদের পক্ষের পোস্ট। যেখানে আমার স্ট্যাটাসে ঢুকে উনি কমেন্ট করতে আরম্ভ করে দিয়েছেন। কমেন্ট করছেন আমার কোন আপত্তি নেই, কিন্তু ভদ্রলোকের ভাষায় নয়। আমি কারো কমেন্টের উত্তর এই ব্লগের মাধ্যমে দিই, তাই লিখতে বসেছি।
আমার পোস্টের পর উনি স্ট্যাটাসে কমেন্ট করেছেন। কোথাও লিখেছেন ফেক ভিডিও কোথাও লিখেছেন জেলে বন্দি হয়েছেন। লক্ষণ শেঠ, সুশান্ত ঘোষ আবার কোথাও লিখেছেন রামের দল ভামে যাচ্ছে। বামেদের প্রতি ওনার প্রচণ্ড ঘৃণা এটা বোঝা যাচ্ছে, ভালো করে প্রচার করুন দিদির হয়ে কেউ আপনাকে বাধা দেয়নি। অপরের পোস্টে এসে ফালতু মন্তব্য না করা ভালো। আপনি তো শিক্ষিত কেন্দ্র সরকারের চাকরি করেছেন। আপনি যাদের নাম করেছেন এক জন এখন অন্য দলে, আর এক জনের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের প্রমাণ হয়নি পুলিশ চারসিট দাখিল করতে পারে নি। এবার আমি বলি মদন মিত্র, তাপস পাল, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এদেরকে সি বি আই কি ভুবনেশ্বর বেড়াতে নিয়ে গিয়ে ছিল। সি পি আই এম কি করে দূর্নীতি গ্রস্থ দের দল থেকে তাড়িয়ে দেয়, কিন্তু আমি দেখেছি অন্য নারদায় ঘুষ নেওয়া ব্যক্তি মেয়র হয়েছেন। আরও আছে, আপনি যেমন চোর পন্থী মিথ্যাবাদী পন্থী চিটিংবাজ বাজ পন্থীদের প্রচার করার দায়িত্ব নিয়েছেন। আমিও আমার প্রিয় দলের হয়ে একটু শেয়ার করি ঘটনা গুলো বা অন্যের করা পোস্ট গুলো। কারণ আমি জানি বাম নেতা মন্ত্রী দের জেলে ভরবে বলে অনেক গুলো কমিশন গঠন করা হয়েছিল 2011 সালে ক্ষমতায় এসেই সিঙ্গুর নন্দীগ্রাম জ্ঞানেশ্বরী দূর্ঘটনার সি বি আই তদন্ত আরও অনেক কিছু নিয়েই তদন্ত তা তে নাকি বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য থেকে শুরু করে সকলের জেল অনিবার্য, কিন্তু দূর্ভাগ্য এত গুলো বছর কেটে গেছে কেউ জেলে যান নি। উল্টে শাসক দলের অনেক নেতা মন্ত্রী জেল খেটে এসেছে, অনেকেই জেল খাটার ভয়ে বি জে পি তে গিয়ে ভিরেছে।বাঙালির তথা বাংলার ইতিহাসে একটা লজ্জার অধ্যায় বাঙালি চোর অথচ বাঙালির দীর্ঘ ইতিহাস ঘেঁটে দেখতে পারেন স্বাধীনতার পর থেকে যত মন্ত্রী এসেছে তারা কেউ চুরির দায়ে জেল গেছে কিনা! আপনি চোর পন্থা অবলম্বন করতে পারেন জানেন নিশ্চয়ই বাংলায় একটা প্রবাদ আছে চোরের দলে থাকলেই সে চোর। তবে এটাও ঠিক বামপন্থীরা আমাকে প্রচার করার দায়িত্ব দেয়নি, আমি সমর্থন করি এবং জানি বামেদের বিজ্ঞাপন টিভিতে দেখানোর জন্য কোন শিল্পপতি টাকা দেয় না, আর বামেরা নেন না। কোন টিভি চ্যানেলে দেখেছেন এত জন গনের রান্না ঘর চলছে লকডাউন ঘোষণার পর থেকেই একবারও দেখিয়েছে না। আমফানে ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে বামপন্থীরা প্রতি নিয়ত বিভিন্ন রাজ্যের বসবাস কারি এই রাজ্যের শ্রমিক দের যথা সাধ্য সাহায্য করে যাচ্ছে বামপন্থীরা এক ঝলক দেখিয়েছে এই সব মিডিয়া না। কারণ একটাই টাকা বিভিন্ন ভাবে টাকা পায় এই সব টিভি চ্যানেল গুলো বিজ্ঞাপন দিয়ে হোক আর অন্য ভাবে হোক এদের কিনে রেখেছে দুটি দল এক কেন্দ্রীয় শাসক দল আর রাজ্যের শাসক দল যত খারাপ হয়ে যাক সেটা কে রং চড়িয়ে দেখাচ্ছে সারাদিন। বামেদের মানুষের কাছে সাহায্য তুলে যে টুকু টাকা আসছে তাও তো দূর্গত মানুষ কে সাহায্য করতে চলে যাচ্ছে। সাধারণ মানুষের সাহায্য ছাড়া এরা চলতে পারে না। আমি স্বেচ্ছায় কেবল বামপন্থী মতাদর্শে বিশ্বাস করি বলে একটু পোস্ট গুলো শেয়ার করি। যা মানুষের কাছে পৌঁছে গেল। আপনার মতো চোরের সমর্থন কারি মানুষের ভালো নাও লাগতে পারে। তবে কমেন্ট করতে আমি বারণ করছি না করুন ভাষা ঠিক করে শিক্ষিত মানুষ অশিক্ষিতের মত ভাষা ব্যবহার করছেন। তবে এটাও ঠিক যে দল কে আপনি সমর্থন করেন ঐ দলের কালচার টাই ঐ রকম। শেষে বলি ভালো থাকুন আর চোরে দের সমর্থন করে যান। নিজে চুরির বা তোলার ভাগ না নিলেই হবে। তবে ঐ যে 75 % আর 25% না হলে ভাইপোরা বাঁচে কি করে বলুন। সুস্থ থাকুন ভালো থাকবেন কেমন।



ওহে ধ্রুব তারা।

ওহে ধ্রুব তারা, আমি আগেই বলেছিলাম আমি ফেসবুকের কিছু কমেন্ট বা উত্তর এই ব্লগের মাধ্যমে দেব। তাই আজ আপনার একটা পোস্ট দেখে উত্তর না দিয়ে পারলাম না। প্রথম বলি, "ধ্রুব তারা" আপনার আসল নাম কি না জানি না! কারণ "ধ্রুব" এক ঋষি পুত্র তিনি সত্য কথা বলতেন সৎপথে চলতেন। তার  ভালো কাজের জন্য তার নাম অক্ষয় অমর করে রাখতে পরবর্তী কালে আকাশে একটি তারার নাম রাখা হয়েছিল ধ্রুব তারা। যাকে দেখে আমরা দিক নির্নয় করেতে পারি। প্রাচীন কালে নাবিকরা ধ্রুব তারা দেখে দিগ নির্নয় করতেন। কারণ এই তারা সর্বদা উত্তর দিক নির্দেশ করে।
ছাড়ুন এসব কথা আপনি নিশ্চয়ই এসব জানেন, আপনার পোস্ট দেখে বা পড়ে আমি দিক নির্নয় করতে পারছি না। কারণ এই সব পোস্ট সঠিক নয়। আপনার কাছে আমার প্রশ্ন, বলুন স্বাধীনতার পর কংগ্রেস এবং তার পরে বাম আমলে কোন দিন শুনেছেন না দেখেছেন, পূজো বন্ধ করে দিতে বলেছে, না মসজিদের আযান দেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ঐ দুই আমলে। আপনি মনে হয় জানেন বাম আমলে জোর করে ঠাকুর পূজোর চাঁদা আদায় করা যাবে না এ রকম একটা আইন তৈরি করা হয়েছিল। আর জোরে মাইক বাজানো বা শব্দ বাজি পড়ানো যাবে না, এরকম একটা আইন চালু করা হয়েছিল। আরেকটা কথা আপনি জেনে থাকবেন পূজো বেশি করে গরীব খেটে খাওয়া মানুষ। ঘরে ঘরে  বিভিন্ন দেব দেবীর পুজো লক্ষী, নারায়ণ, কালি আরও কত ধরনের দেব দেবী তাদের ব্রত উপোস করে থাকে বেশিরভাগ গরীব মানুষ। কারণ কিছু মানুষ আদি কাল থেকে প্রচার করে আসছে, দারিদ্র দূর করতে পারে একমাত্র দেবতা। মানুষ যে মানুষ কে শোষণ করে আসছে সেটা কে চাপা দেওয়ার জন্য এই প্রচার। গরীব মানুষ এগুলো মেনে নিয়েছে দিন রাত ঠাকুর কে ডাকে তার প্রতিকুল অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে। আমি বাম আমলে দেখিনি কোন দিন কাউকে ঠাকুর পুজো করতে বাধা দিয়েছেন, কিছু ক্ষেত্রে দেখেছি গ্রামের অনেক কমরেড বাড়িতে ধুমধাম করে কালি পূজো করে লোক জন নিমন্ত্রণ করে খাওয়াতো। একটা উপলক্ষ আর কি, কিছু মানুষ কে একটা দিন বা দুটি দিন এক জায়গায় করা যেত। ভারত বর্ষ বিভিন্ন ভাষাভাষির দেশ, তাদের উপাস্য দেব দেবিও ভিন্ন এই পরিস্থিতিতে কোনো রাজনৈতিক দল যদি তাদের কর্ম কাণ্ডে ঐ পূজো করা বন্ধ করতে যায়, তাহলে সেই দল পিছিয়ে পরবে সমাজের নিম্ন শ্রেণীর মানুষের সাথে মিশতে পারবে না। তাই কোন রাজনৈতিক দল আজ পর্যন্ত কারো উপাসনা বন্ধ করবে না। আপনি ধর্মান্ধ ধর্ম নিয়ে বেশি ভাবেন, আপনি পূজো করুন ভোগ বিতরণ করুন কেউ কিছু বলবে না। আসলে তা নয় আপনি আপনার ঐ দাম্ভিক ভদ্রলোকের মুখোশ ধারি নেতাদের মতো গরীব খেটে খাওয়া মানুষ গুলো কে মানুষ বলে ভাবতে পারেন না। তাই যদি পারতেন তাহলে দেখতে পেতেন, মায়ের মৃত দেহের চাদর ধরে টানা শিশুটি কে? আপনি দেখতে পেতেন শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনের মধ্যে না খেয়ে এমনকি খাবার জল টুকু না পেয়ে আশি জন মানুষের মৃত্যু কে, আপনি দেখতে পেতেন দলে দলে গরীব মানুষ রাস্তা দিয়ে হেঁটে চলে যাচ্ছে না খাবার না জল তার উপর পুলিশের বর্বরের মত আক্রমণ। আপনি দেখতে পেতেন, গরীব মানুষ গুলো কে শুদ্ধ করার নাম করে কীট নাশক স্প্রে করার দৃশ্য। আপনি দেখতে পেতেন গরীব মানুষের মুখের খাবার কেড়ে বা চুরি করে নিয়ে যাওয়ার দৃশ্য। আপনি দেখতে পেতেন চোর কে জেলে বন্দি না করে দলে নিয়ে সাধু বানানোর দৃশ্য। আর চুরি রাহাজানি কাটমানি তোলাবাজি ঘুষ খাওয়া, কোটি কোটি টাকা ঋণ নিয়ে শোধ না করে দেশ ছেড়ে চলে যেতে সাহায্য করা সেই সব দালাল দেরে। পি এম কেয়ার ফাণ্ড খুলে কোটি কোটি টাকা চাঁদা তুলে দলের ফাণ্ড বাড়ানো কে আর সেই টাকা দিয়ে কয়েক লক্ষ LED T. V. লাগিয়ে ভোট প্রচার করতে। মানুষ খেতে পাচ্ছে না, বাঁশবাগানে আছে সেখানে পর্যন্ত ঐ টিভি পৌঁছে গেছে। আপনার নজরে এসব আসে না, আপনি গরীব মানুষ গুলো কে মানুষ বলে ভাবতে পারেন না। কারণ আপনার চোখে ধর্মের পোট্টি বাঁধা আছে। আপনি নিজে কে পাল্টাতে পারবেন না, আমি জানি না আপনি ঐ ধর্মের কারবারি দলের বেতন করা আই টি সেলের মানুষ কি না! ধর্মের পোট্টি খুলে পবিত্র চোখ দিয়ে দেখুন দেখবেন অসহায় মানুষের আর্তনাদ আসবে, এক মুঠো ভাতের জন্য হাহাকার শুনতে পাবেন, ঝড় জল বৃষ্টি তে ভেজা অসুস্থ শিশুদের কান্না শুনতে পাবেন। যদি সত্যি মানুষের ভাল চান ঐ অসৎ মিথ্যাবাদী মানুষ রূপি পশুর দল ছেড়ে চলে আসুন। মানুষের সাথে মিশে দেখুন ঐ গরীব মানুষ জন দেবতা যারা আমার আপনার মত মানুষের মুখে অন্ন তুলে দিতে এবং ইমারতে বাস করতে প্রতিদিন মাথার ঘাম পায়ে ফেলে চলেছে। কবির ভাষায় " তাহারাই মানুষ গাহি তাহাদের গান। তাহাদের পদ রজ অঞ্জলি করি লইব মাথায় তুলি সকলের সাথে পথে চলি যার লাগিয়াছে ধুলি।"



Friday, 5 June 2020

বুথে বুথে স্কুল গুলো কোয়ারেন্টাইন!

বুঝতে পারছেন ছবি টি ফেসবুক থেকে নেওয়া, সি পি আই এম প্রকাশ করেছে, এটা মিথ্যা হতে পারে। আবার এটা যদি মিথ্যা হয় তাহলে নবান্ন থেকে মিথ্যা কথা বলা হয়েছে। যে ভাবে বুথে বুথে সদস্য গন বিদ্যালয়ের চাবি নেওয়ার জন্য বিভিন্ন ভাবে ঝাঁপিয়ে পড়েছে তাতে কিছুটা হলেও সত্য হতে পারে। আবার এটাও ভাবার বিষয়, যে খানে সরকারের টাকা নেই, আমফান বা উম্ফুন দূর্গতদের সাহায্য করতে পারে না। সেখানে দাঁড়িয়ে এত টাকা খরচ, তবে যা রটে তার কিছু তো বটে, এখানে একটা কোটেশন বা হোয়টস এ্যপ ম্যাসেজ দিই,
দেখুন এখানে 1লা জুন একজন শিক্ষিক তার উর্ধতন অফিসার কে জিজ্ঞেস করছেন, সে কি চাবি গ্রামের সদস্য মানে পঞ্চায়েতের নির্বাচিত সদস্য কে দিতে পারে??? চাবি দেবার অর্ডার বা আদেশ কে দেবে? সত্যি তো সরকার আদেশ দিলেই ভালো হয়, কিন্তু ঐ অফিসার কোন উত্তর দেন নি এখানে, হয় তো ফোনে কিছু বলে থাকতে পারে আমার জানা নেই। আমার তো মনে হয় কিছু কিছু সরকারি অফিসার জড়িত এই টাকার ব্যপারে জানেন, না হলে কথায় কথায় নির্বাচিত সদস্য বলেন তাকে বি ডি ও চাবির জন্য ঘন ঘন ফোন করে চলেছেন। অথচ বিডিও অফিসের ফোন নম্বর তার কাছে নেই, কেমন আশ্চর্য লাগে তাই না! তবে কিছু কিছু বুথের মানুষ মনে হয় জানেন এই টাকার ব্যপারে সেই জন্যই কোয়ারেন্টাইন সেন্টার করতে বাধা দিয়েছেন। আবার ঘিঞ্জি বসতি পূর্ণ এলাকায় এই বিদ্যালয় হলেও অনেকেই বাধা দিয়েছেন। অনেক জায়গায় বাধা মানা হচ্ছে, অনেক জায়গায় নয়। যাহোক এটা যেন সত্যি না হয়, আর সত্য হলে যাদের জন্য সরকার এই টাকা খরচ করছেন তারা যেন ভালো থাকে সুস্থ থাকে। তিন হাজার, তিন লক্ষ আর তিন কোটি হোক যে টাকা সরকার খরচ করছে যাদের জন্য এই খরচ তারা ভালো থাকুক। সবশেষে সরকারের এই মহৎ উদ্দেশ্য কে সাধু বাদ জানাই।

বাঙালি ও বর্তমান ভারত।

 (ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...