Anulekhon.blogspot.com

Sunday, 14 June 2020

বাঙালি কি সত্যি তার বিচার বুদ্ধি হারিয়ে ফেলেছে।

বাঙালি জাতি সত্যিই তার বিচার বুদ্ধি হারিয়ে ফেলেছে ।বর্তমানে সারা দেশে যে অরাজকতা চলছে, সরকারি বেসরকারি কোথাও কোন নিয়োগ নেই। রাজ্য সহ দেশে বেকারের সংখ্যা প্রতিনিয়ত বাড়ছে, উপায় নেই অথচ খরচ বেড়ে চলেছে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম আকাশ ছোঁয়া। দুই সরকার মানুষের জীবন জীবিকা ধ্বংস করে দিচ্ছে, কতিপয় নেতা মন্ত্রী টাকার কুমীর হয়ে যাচ্ছে। 280 টাকার মজুর আজ দুশ আশি কোটি টাকার মালিক, মানুষ কে ভয় দেখিয়ে মেরে ধরে এবং চটকদারি বিজ্ঞাপন দিয়ে জনগণ কে বিভ্রান্ত করে
যেমন করে হোক ভোট চাই বা ভোটে নির্বাচিত হতে হবে। জনগণের করের বা ট্যাক্সের টাকা চ্যানেল আর খবরের কাগজ ভর্তি বিজ্ঞাপন দিয়ে জেতা চাই। মিথ্যা কথার ফুলঝুরি ছুটিয়ে, সরকারি ভাবে মানুষ কে আজ ভিক্ষারী তে পরিনত করে দিয়েছে। সব দেখে শুনে মনে হচ্ছে সত্যিই বাঙালি জাতি আজ আত্মঘাতী জাতি। নেতা মন্ত্রীরা কোটি কোটি টাকার মালিক হচ্ছে, আমি তার হয়ে গুণ্ডামি করে মদ আর ভাগারের মাংস তো পাচ্ছি। অর্থাৎ কুত্তার মতো আমাকে একটুকরো রুটি দিলেই আমি ল্যাজ নাড়ব, মানুষ ভয়ে থাকবে কেউ কিছু যদি বলেছে অমনি নেতার কথায় তার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ব। যেমন ইংরেজ আমলে কিছু পা চাটা কুত্তার দল ছিল একদিকে বাঙালি জাতি কে ধ্বংস করছে, তাতে কি আমি তো রায় বাহাদুর রায় চৌধুরী রাজ চক্রবর্তী উপাধি পাচ্ছি। যে দলের প্রতিষ্ঠাতা বাংলা কে ভাগ করে বাঙালি জাতির জীবনে, বিশেষ করে বাঙালি হিন্দু জাতির অস্তিত্ব ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিয়েছিল তারা আজ বাঙালির জাতির মাথায় বসতে চাইছে। কিছু মানুষ এদের মুখের কথায় ভীষণ আনন্দ পাচ্ছে, এরা এখনই বলছে অর্ধেক বাংলাদেশের মানুষ এই পশ্চিমবঙ্গে এসেছে। কেন এসেছে সেটা ইচ্ছাকৃত ভাবে বলছে না। এরা পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতা দখল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। এই দল যদি ক্ষমতা পায় তবে বাঙালি জাতির কপালে অশেষ দূর্গতি কেউ খণ্ডন করতে পারবে না। বিশেষ করে যারা নির্মম অত্যাচারেহাত থেকে রক্ষা পেতে  ওপার বাংলা থেকে ভিটে মাটি ছেড়ে এপার বাংলায় এসেছে একটু শাান্তির আশায় তাদের কপালে দুঃখ আছে। কারণ এদের দলের পূূর্বজ দেশ তথা বাংলা ভাগের নায়ক, এরা তার না কর কাজ করে তবে ছাড়বে। ডিটেশন ক্যাম্পে নিয়ে গিয়ে রাখা বিশেষ করে যারা 1971 সালের পরে এদেশে এসেছে তাদের। এরা নতুন কিছু গড়তে পারে না কিন্তু ভাঙতে পারে ভালো। এখনও আছে বাঙালি তুমি রুখে দাঁড়াও কারণ এখন ঐ 1946 সালের মতো রুখে দাঁড়াতে পারে এ রকম মানুষ অর্থাৎ গোপাল পাঁঠা নেই। নিজেরাই নিজেদের রক্ষা করতে হবে। কোথায় গেল তোমার সে বীরত্ব যা   দিয়ে তুমি ইংরেজ শাসনের ভিত নাড়িয়ে দিয়ে ছিলে। ব্রিটিশ তার রাজধানী কলকাতা থেকে সরিয়ে দিল্লি নিয়ে গিয়েছিল তোমার ভয়ে। জাগিয়ে তোল তোমার অন্তরের এ্যালফ্রেড কে জাগিয়ে তোল বিনয় বাদল দীনেশ ও মাস্টার দা সূর্য সেন কে জেগে উঠুক প্রীতিলতা জেগে উঠুক ক্ষুদিরাম প্রফুুল্ল   চাকি আরও শত সহস্র বীর বিপ্লবী। কেবল মাত্র এই বাংলায় নয় গোটা
 বাংলাদেশে কেন পরে পরে মার খাচ্ছ আর বাহ্মণ শুদ্র কায়েত দলিত হরিজন আদিবাসী নয় সকলে মিলে এক সাথে এক জায়গায় প্রতিবাদ করে উঠ। উল্লাস কর দত্তের কথা মনে আছে যিনি বোমা তৈরির কৌশল রপ্ত করে ছিলেন বিপ্লবী দের শেখানোর জন্য এখন আধুনিক যুগে শিক্ষিত বাঙালি তোমরা পিছিয়ে আছ। বাংলাদেশে প্রতি দিন অত্যাচার করে যাচ্ছে খিলজির দল কেবল সম্পত্তি দখল করতে। ধর্ম পাল্টেও রেহাই নেই, কত ধর্ম পাল্টাবে। মানবতার এই শত্রু দের দেশ থেকে বের করে দিতে হবে। ক্ষমতা লোভী মানবতার শত্রু দের বুঝিয়ে দিতে হবে দেশ ভাগ করা যায় কিন্তু জোরা লাগতে কষ্ট করতে হয়। আজ বাংলা মায়ের বুকে কাঁটাতারের বেড়া উঠেছে এই দলের প্রতিষ্ঠাতা কত গুলো মানুষের জন্য, 1905 সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মত কিছু মানুষ ছিলেন যারা কার্জন কে বাংলা ভাগ করতে দেয় নি। ইংরেজ জানত বাঙালি জাতির মেরুদন্ড ভাঙতে হলে ধর্মের নামে বাংলা ভাগ করে দিতে হবে। 1946 থেকে বা তার আগে থেকেই শ্যমাপ্রসাদ মুখার্জির মতো কিছু ইংরেজের দালাল ছিল যাদের সহায়তায় ইংরেজ তথা ব্রিটিশ তার ইচ্ছা পূরণ করে। ভাবতেও অবাক লাগে এই শ্যমাপ্রসাদ মুখার্জি, স্যার আশুতোষ মুখার্জির সন্তান যাকে আমরা বাংলার বাঘ বলে জানি। এই শ্যমাপ্রসাদ মুখার্জি হিন্দুত্ব বাদী একটি দল গঠন করে ছিলেন ভারতীয় জন সংঘ। তিনি হিন্দু মহাসভার সভাপতি ছিলেন। এই ভারতীয় জন সংঘ পরবর্তীতে বি জে পি এরা ক্ষমতা লোভী মানবতা বিরোধী একটি দল হিন্দু ধর্মের নামে এরা হিন্দু ধর্মের নীচু তলার মানুষ দের জীবন বিপন্ন করে তোলে। তাকিয়ে দেখুন উত্তর প্রদেশের দিকে বিহারের দিকে। দলিত নির্যাতন এদের রক্তে এখন তো আবার উচ্চবর্ণের নয় কেবল ধনীদের স্বার্থ রক্ষা করে চলে। গরীব খেটে খাওয়া মানুষ সে যে বর্ণের হোক তিনি কুকুর ছাগল। এদের এড়িয়ে যেতে হবে, বাংলার মানুষ এক হও আবার তোমার শিয়রে বিপদ এই বি জে পি নামক দলটি। উঠ জাগো ফিরিয়ে আনো সেই স্বাধীনতা আন্দোলনের দিন গুলো যা দেখে এরা ভয় পায়, বাংলার মাটিতে এদের বাড়তে দিলে হবে না। এরা একবার তোমার ঘর ভেঙেছে তোমাকে গৃহ হারা করে ছেড়েছে আর না অনেক হয়েছে। তোমার শরীরের যদি সত্যি বাঘা যতীন, রাস বিহারী বসু ও সুভাষচন্দ্র বসু রক্ত ধারা থাকে তবে উঠে পরে লেগে পর বাঙালি বিরোধী বাঙালি জাতি বিরোধী এই দল কে বাংলা থেকে তারাও আর দ্বিতীয় বারের জন্য বাঙালির দুঃখ ডেকে আনতে চাইলে একে ক্ষমতায় নিয়ে এস।



No comments:

Post a Comment

বাঙালি ও বর্তমান ভারত।

 (ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...