Anulekhon.blogspot.com

Thursday, 18 June 2020

সারা দেশে লাল ঝাণ্ডার উড়ছে দেখে, ওরা ভয় পেয়েছে।

মেহনতি মানুষ একতা বদ্ধ প্রতিবাদ সামিল হয়েছেন লাল ঝাণ্ডা নিয়ে। এটা দেখে ওরা ভয় পেয়েছে, এটা অনেক দিন থেকেই প্রচলিত ছিল। ফ্যাসিবাদ সব সময় গরীব খেটে খাওয়া মানুষের আন্দোলন কে ভয় খায়। আমার এর আগে একটা লেখা লিখেছিলাম, বি জে পি আই টি সেল এবং কিছু চোর পন্থী চুরির 75 % পাওয়া দালাল গুলো বিভিন্ন ভাবে বামপন্থী দের বিরুদ্ধে এবং ছাত্র যুব দের লড়াই আন্দোলন কে থামিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছে। বিভিন্ন রকম কুরুচি কর মন্তব্য করে যাচ্ছে। সুজন চক্রবর্তী কে লিখেছেন কুজন চক্কোবটি। ভামপন্থী আরও ইচ্ছা করে বামপন্থী গ্রুপে ঢুকে পড়ে তারা এ মন্তব্য করে যাচ্ছেন। অনেকেই আছেন সূর্য কান্তি মিশ্র ফ্যান বলে গ্রুপ খুলে বাম বিরোধী প্রচার করে যাচ্ছে। লেখা আছে সি পি আই এম পশ্চিমবঙ্গ কিন্তু পোস্ট করা হয়েছে শাসক দলের বা বি জে পির আর নিরপেক্ষ মতামত বলে একজন ঐ সব গ্রুপে মন্তব্য করে যাচ্ছে।এর একটাই কারণ সারা দেশে লাল ঝাণ্ডার উড়ছে দেখে ওরা ভয় পেয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের আনাচে কানাচে আজ আবার লাল ঝাণ্ডা হাতে মানুষ তাদের দাবি নিয়ে পথে নেমেছে। সে কারণেই বুঝতে পারছে দিন শেষ হয়ে আসছে আর চুরি ডাকাতি তোলাবাজি জুমলা বাজি করে দেশের মানুষ কে শোষণ করা যাবে না। এই সব দাঙ্গা বাজ মানুষ খুন কারি লুটেরা দের ভয় করো না। এগিয়ে যাও বন্ধু আগামী দিনে শোষণ মুক্ত ভারত তথা পশ্চিমবঙ্গ তৈরির লক্ষ্যে। পশ্চিমবঙ্গের বেকার যুবক যুবতী এবং ছাত্র ছাত্রী দের এই লড়াই কখনো বৃথা যাবে না। নতুন ভাবে নতুন রূপে গনতান্ত্রিক ব্যবস্থার মধ্যে দিয়ে পশ্চিমবঙ্গে লাল ঝাণ্ডা সরকার আসবে। বেকারের স্বপ্ন পূরণ করতে, চাকরির নামে প্রহসন বন্ধ করতে, চাকরির তালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও চাকরি হয়নি। অনশন করতে হয়েছে, তাতেও নিয়োগ পায় নি তারা, এক মা তার গর্ভের সন্তান হারিয়েছে। বেকার ছাত্র যুব দের রক্তে ভেসে গেছে হাওড়ার নবান্নের পথ। তবুও চোদ্দ তলায় পৌঁছয়নি তাদের দাবি, নির্মম নিষ্ঠুর এই সরকার মানুষের পাশে থাকার বদলে কেবল লুটে খেতে বসে আছে। কীভাবে 280 টাকার মজুর 280 কোটি টাকার মালিক হবে সেই চেষ্টা। টালির চাল মাটির দেওয়াল ফেলে চার তোলা রাজ প্রাসাদ। আর গেটের সামনে দামি চার চাকা, কি করনে খোঁজ নিয়ে দেখুন বর্তমানে সে হয় শাসক দলের নেতা না হয় মন্ত্রী, নিদেন পক্ষে এম পি এম এল এ, না হলে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, বা ছোট খাটো হলেও পঞ্চায়েত প্রধান। আসলে এটা যদি কোন বাম নেতা মন্ত্রীরা করত তাহলে ঐ দালাল মিডিয়া ঝাঁপিয়ে পড়ত, হাজার বার দেখাতে থাকত। ঐ বাম আমলে একটি কাগজ এখনও আছে যে নাকি ভগবান কে ছাড়া কাউকে ভয় খায় না। সে প্রতিদিন বাম সরকারের এবং বাম নেতা কর্মীদের সম্পর্কে প্রতিদিন কুৎসা না করে জল খেত না। এখন তার ভগবান ক্ষমতায় আছে তাই তিনি ভয়ে চুপসে গেছেন। টাকার কাছে সবাই জব্দ, এখন যে সব মানুষ সমর্থন করে যাচ্ছে তারা জানে না কেবল সারদা নারদা না আরো অনেক চিটিংবাজ ফাণ্ড নিত্য নতুন নামে তৈরি করা হয়েছে কেবল জনগণ কে লুটে খাবার জন্য। সেই সব কোটি কোটি টাকা সব আছে, ভাগারে মাংস আর মদ খাওয়ানোর জন্যে। আর সাথে আছে মিথ্যা কথা পৃথিবীর এক নম্বর মিথ্যাবাদী। মিথ্যা কথা বলতে পারার জন্য নোবেল পুরস্কার থাকলে বর্তমানে দুই শাসক প্রধান পেয়ে যেতেন। মিথ্যার বেসাতি করে জোর জুলম করে যেমন করে পার লুটে খাও। কেউ প্রতিবাদ করলেই তার উপর চড়াও হয়ে অত্যাচার কর কারণ আমি চুরি করছি সরকারি টাকা তোর কি? এখন চিটিংবাজ ফাণ্ড নেই, এখন সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা আছে আর সিন্ডিকেট আছে। লুট লুট হরির লুট চলছে, একটা রাস্তা তৈরি হবে, ছ মাসের বেশি যাচ্ছে না পিচ উঠে চলে যাচ্ছে, ঢালাই উটে খানা খন্দ তৈরি হয়েছে। এদের চুরির শেষ নেই, মানুষের দূর্দিনেও এরা ছাড়ে না। নিজেদের পাওনা নিয়ে তবে শান্তি না হলে অশান্তি সৃষ্টি করে মানুষের জীবন অতিষ্ঠ করে তুলবে। এ রকম মানুষ আজ বেশি আগামী দিনে নিজের সন্তান বা বেকার ছেলে মেয়েদের কাজ ওসব বাদ আমার টাকা চাই। আমরা কি জানি দেশ এবং রাজ্যের শাসক প্রধান দু জনেই বলেছেন তাদের সংসার নেই, তাহলে এত টাকা নিয়ে কি করছেন? টাকার তো পাহাড় বানিয়ে ফেলেছেন, দুজনেই, অবশ্য কাগজে যে টুকু বেড়িয়েছে। এসব কে তুচ্ছ করে এগিয়ে যাও বন্ধু আগামী 2021 সাল তোমাদের। গরীবের রক্ত শোষণ কারি শোষকের রক্ত চক্ষু এবং সমস্ত রকম কুৎসা কে ও সমস্ত বাধা কে উপেক্ষা করে বুক চিতিয়ে এগিয়ে চল বন্ধু। আগামী দিন তোমাদের, তোমাদের এই লড়াইয়ের পিছনে আমিও আছি। 1977 সালের মত 2021 সাল ও লেখা থাকবে ইতিহাসের পাতায়। কারণ শাসক আজ ভয় পেয়েছে, সেই জন্যই কুৎসা ও কুৎসিত আক্রমণ নামিয়ে আনছে। যা তারা 2011 তে ক্ষমতায় আসার আগে করে ছিল, ঠিক সেই পথ আবার বেছে নিতে চাইছে, কারণ এখনও অনেকের খিদে মেটেনি। আরও চাই, আরও চাই, গরীব খেটে খাওয়া মানুষ মরছে মরুক, বেকার যুবক চাকরি বা কাজ না পেয়ে আত্মহত্যা করেছে করুক, কৃষক ফসলের দাম না পেয়ে মরছে মরুক। আর এখন মানুষ সর্ব হারা, কাজ নেই, ঘরে খাবার নেই অসুস্থ হয়ে পড়েন চিকিৎসা নেই। এই নেই এর দেশে বামপন্থী ছাত্র যুবরা মানুষ কে ভরসা দিচ্ছে বেঁচে থাকার এবং সামান্য হলেও যুগিয়ে যাচ্ছে তাদের বেঁচে থাকার রসদ। এটা দেখে ভয় পেয়েছে শাসক, শোষণ করা আর যাবে না। এবার প্রতিবাদ করবে এমন ভাবে এরা ঐ সব কমেন্ট গুলো করছে মনে হচ্ছে কেন্দ্র এবং রাজ্যের ক্ষমতায় আছে বামেরা। তোমাদের লড়াই জারি থাকুক, তোমাদের এই দৃঢ় প্রতিজ্ঞ লড়াই এর মধ্যে দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ লুটেরা মুক্ত হোক। দিকে দিকে আরও জোরে আওয়াজ তোল মুক্তি চাই, মুক্তি, শোষণ বঞ্চনা, লাঞ্ছনা, আর দূর্বিষহ জীবন যন্ত্রণা থেকে মুক্তি চাই। এস সকলে মিলে এক সাথে গাই মুক্তির গান। লড়াই জারি থাকুক বন্ধু। 

No comments:

Post a Comment

বাঙালি ও বর্তমান ভারত।

 (ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...