এ লেখা তাদের জন্য যারা বামেদের বিভিন্ন পোস্টের নিচে চীনের দালাল বলে কমেন্ট করছে তাদের জন্য। যদি সত্যি কার মানুষ হয়ে থাকেন তবে সব লেখা পড়ে মন্তব্য করবেন। আর যদি দিলীপ ঘোষের কথা মতো কুকুর ছাগল হয়ে থাকেন তাহলে মন্তব্যের প্রয়োজন নেই। পশ্চিমবঙ্গের সর্বত্র যখন মানুষের ভীড় বাড়ছে, চোর মিথ্যাবাদী ডাকাত তোলাবাজ কাটমানি ঘুষখোর দের কাছ থেকে মুক্তি পেতে ছাত্র যুব সাধারণ মানুষ দিন এক করে দিচ্ছে। কোভিড 19 ও আমফান ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের কাছে আজ বামপন্থীরা আশ্রয় স্থল, লাল ঝাণ্ডায় বিশ্বাস রেখে এগিয়ে আসছে, আগামী দিনের আরো বড় লড়াই সংগ্রামের জন্য তৈরি হচ্ছে। আর এদিকে চোর ডাকাত কাটমানির 75% ও 25% ভাগ নেওয়া একদল দালাল চীনের দালাল বলে পূরন একটা কথা প্রতি নিয়ত লাল ঝাণ্ডার বিভিন্ন পোস্টের নীচে কমেন্ট করে যাচ্ছে। গত কয়েক দিন ধরে লাদাখে চীন ভারত যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছে, এবং সেটা এখন ভয়ানক আকার নিয়েছে। আমি খুব দুঃখিত আমাদের কয়েক জন সৈন্য প্রাণ হারিয়েছেন। আমিও চাই ভারত জবাব দিক, এর পাশাপাশি চেষ্টা করুক শান্তি পূর্ণ ভাবে মিটিয়ে নিতে কারণ যুদ্ধ মানে মানুষের জীবন আরও দূর্বিষয় হবে। এই করোনা ভাইরাসে মানুষ কখন আক্রান্ত হয়ে পড়ে তার ঠিক নেই তার উপর যুদ্ধ। তবে এটাও ঠিক চীনের বাড়াবাড়ির জবাব দিতে হবে। আমার প্রশ্ন পাকিস্তান ছিল চির শত্রু তাহলে চীন ও নেপাল আবার ভারতের ভুখণ্ড দখল করতে চাইছে কেন? এসব বাদ দিন যারা চীনের দালাল বলে নিজেদের দোষ ঢাকার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। আর চুরি ডাকাতি রাহাজানি কে আড়াল করতে চাইছেন। তাদের বলি ভারত তথা পশ্চিমবঙ্গের বামপন্থীরা চীনের এই আগ্রাসন কে সমর্থন করে না। কারণ চীন একমাত্র কমিউনিস্ট শাসিত দেশ নয়। চীনে কম্যুনিনিজিমের ধারণা তৈরি হয়, এই কম্যুনিনিজিম মহামান্য কার্ল মার্ক্স এর তৈরি সারা বিশ্বের খেটে খাওয়া গরীব মানুষের দলিল। ভারতে আজ এই গরীব মানুষ শোষিত নীপিড়ীত এদের হয়ে কথা বলার লোক আজ খুব কম, যে যার স্বার্থ গুছাতে ব্যস্ত। দেশের সম্পদ আজ ধনী বনিক সম্প্রদায়ের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে। কিছু দিন পর ঐ ধনিক বনিক শ্রেণি দেশ শাসন করবে। এখনই করছে, গরীব শ্রম জীবি মানুষের উপর কীটনাশক স্প্রে করা হচ্ছে। তাদের কুকুর ছাগল বলা হচ্ছে। চীনের আগ্রাসন একে আমি কোনো মতেই সহ্য করতে পারি না। চীন তিব্বত, দখল করে বসে আছে, হংকং দখল করে আছে, তাইওয়ান কে চোখ রাঙাচ্ছে ভারত কে চোখ রাঙাচ্ছে, ভারত কে চার পাশ থেকে জব্দ করতে, নেপালের সাথে হাত মিলিয়েছে, বাংলাদেশের অন্দরে প্রবেশ করে বসে আছে। রোহিঙ্গা তাড়াতে মানায়ানমার কে সাহায্য করেছে। পাকিস্তানের তো কথাই নেই, গিলে খেল বলে কিছু দিন পর শুনবেন পাকিস্তান চীনের অংশ। শ্রীলঙ্কা, মালয়েশিয়ায় ঢুকেছে। চীনের নীতি হচ্ছে, অর্থনৈতিক উন্নয়নে সাহায্য করতে করতে সেখানে চীনা শহর বসানো এবং আস্তে আস্তে গোটা দেশ টা কব্জা করা। এই ভাবে তারা হংকং দখল করে বসে আছে। তাইওয়ান আজ ভুগছে এই চীন কে নিয়ে। পাকিস্তান কে গিলে এখন নেপাল ও বাংলাদেশের দিকে হাত বাড়িয়েছে। আর এসব কারণে আমি চীন কে দেখতে পারি না। আমার মনে হয় চীনের এই আগ্রাসন ভারতের তথা পশ্চিমবঙ্গের কোন বামপন্থী মানুষ মেনে নিতে পারে না। আবার এটাও ঠিক বর্তমান ভারতের সাথে যে যুদ্ধ শুরু হয়েছে বা হবে হবে করছে। তার জন্যে একা চীন দায়ি নাকি এই অর্থনৈতিক মন্দা গরীব মানুষের না খেয়ে মৃত্যু চুরি দেশের সম্পদ বিক্রি এসব থেকে নজর ঘোরাতে এসব তৈরি করা হচ্ছে। এবার আসি যারা চীনা দ্রব্য বয়কট করতে বলছেন। তাদের কাছে আমার একটা প্রশ্ন চীনের সাথে বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর করেছে কে চীনের ঐ জিনিস পত্র কারা আসার অনুমতি দিয়েছেন। নিশ্চয়ই বামপন্থীরা নয়। এই দু দিন আগে চীনের এক কোম্পানি কে রাস্তা তৈরির বরাত দেওয়া হয়েছে। মেক ইন ইন্ডিয়ার সুফল হচ্ছে, দু তিন টি চীনা মোবাইল কোম্পানি ভারতে তাদের মোবাইল এসেম্বল করছে। আমরা যে সব মোবাইল কিনি তার প্রতিটির পার্টস বা যন্ত্রাংশ তৈরি হয়ে আসছে চীন থেকে। চীন ছাড়া মোবাইল তৈরি অসম্ভব। যে এ্যাপ গুলো ব্যবহার করেন বা নেট সার্চ করেন U C ব্রাউজার চীনের তৈরি গুগুল আমেরিকার অথচ ভারত ভাল স্যাটেলাইট বা উপগ্রহ পাঠাচ্ছে। ইসরো অনেক ভালো কাজ করে যাচ্ছে, কিন্তু কোথায়? একটা নেট সার্চ করতে বিদেশী ব্রাউজার লাগে, এমনকি ভারত সরকার যে সব এ্যাপ তৈরি করেছে চীনা ব্রাউজারের সহায়তা নিয়ে। আর আমাদের সরকার কি করছে, বি এস এন এল কে তুলে দিতে জিও কে মদত দিচ্ছে। সরকারি সংস্থা বেঙ্গল কেমিক্যাল কে তুলে দিতে পতঞ্জলি কে উৎসাহিত করে যাচ্ছে। কোটি কোটি টাকা ঋন মুকুব ট্যাক্স ছাড় দিয়ে যাচ্ছে। বামপন্থীরা ভারতের গনতান্ত্রিক আবহে থেকে মানুষের পাশে থেকে এই দুঃসময়ে তাদের যতটুকু সাহায্য করা যায় করে যাচ্ছে। এটাই অনেকের সহ্য হচ্ছে না। ভারত বিভিন্ন ভাষাভাষির দেশ এবং জাতি বৈষম্যে জর্জরিত একটি দেশ এখানে অন্য কোন বামপন্থী দেশের মতো বাম শাসন, সম্ববত সম্ভব নয়। এলেও বহু বছর সময় লাগবে ততদিনে বামপন্থা এই দেশের নিয়ম নীতি অনুসারে পাল্টে নেবে। কারণ গনতান্ত্রিক আবহে থেকে বামপন্থা সম্পূর্ণ রূপে প্রয়োগ করা যাবে না, এটা মনে হয় বামপন্থী নেতারা ভালো জানে।আর চীনের ঐ আগ্রাসন কে নীতি কে কোন মানুষ সমর্থন করে বলে আমার মনে হয় না। এবার যারা চোর পন্থী ডাকাত পন্থী দেশ বেচা সম্পদ তথা গরীব মানুষ মারা কে সমর্থন করে যাচ্ছেন। তাদের বুকে হাত দিয়ে বলুন কাটমানির আর তোলার বা মেহুল চোকসি, বিজয় মালিয়া, নীরব মোদী এদের টাকার কত টাকা ভাগ পেয়েছেন। যখন গরীব মানুষ না খেয়ে মারা যাচ্ছে। তখন আপনারা চুরি করতে আর লুট করতে ব্যাস্ত আর এগুলোর বিরুদ্ধে যারা প্রতিবাদ করে যাচ্ছে যারা নিজেদের জীবন বিপন্ন করে মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে সাহায্য করে যাচ্ছে। তাদের বিভিন্ন ভাবে ছোট করে যাচ্ছেন। আগে মানুষ হোন চোখের চোরের দশ লক্ষ টাকার চশমা খুলে দেখুন। অসহায় মানুষের আর্তনাদ।
Anulekhon.blogspot.com
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
বাঙালি ও বর্তমান ভারত।
(ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...

-
সরস্বতী পুজোর পদ্ধতি, পরপর যা করতে হবে।১)আচমন ২)বিষ্ণু স্মরণ ৩)স্বত্ত্বি বাচন ৪) স্বত্ত্বি সূক্ত ৫) সাক্ষ্য মন্ত্র ৬) বরণ ৭) সংকল্প ৮) স...
-
আমি এর আগে একটি ব্লগে লিখেছি, দুর্গা যষ্টী পূজার মন্ত্র ।এখানে বলি আমি পণ্ডিত নই, বিভিন্ন ধরনের বই পড়ে, আর দু একজন ব্রাহ্মণের সাথে কাজ ...
-
ছবি টি কীসের বা কোন প্রাণীর নিশ্চয়ই বলে দিতে হবে না। মানুষের প্রথম পোষ মানা প্রথম প্রাণী, হয়তো অনেকেই পড়ে বলবেন এবার নতুন কী এতো আমরা স...
No comments:
Post a Comment