Anulekhon.blogspot.com

Monday, 25 February 2019

মানুষ আইন নিজের হাতে তুলে নিচ্ছে।

অন লাইন নিউজ কোন টি বিশ্বাস যোগ্য এখনও পর্যন্ত আমি বিশ্বাস করে উঠতে পারিনি। আজ কাল কেবল অন লাইন পড়ে কিছু লেখা বা বিশ্বাস করা, অনেকটাই ফেক, আবার কিছুটা ঠিক, তবে একই খবর বারবার পড়ে যখন, অন লাইন এবং অফ লাইন পড়ি, তখন কিছু টা হলেও বিশ্বাস করতে হয়। এখন একটা খবর প্রকাশিত হচ্ছে, বিভিন্ন
ছবি টি ডেইলি হান্ট নিউজ ওয়েব সাইট থেকে নেওয়া ।আমাদের রাজ্যের প্রায় দশ বছর ধরে যা ঘটে চলছে। আগে সি পি আই এম এর পার্টি অফিসে ভাঙচুর চলত, পুড়িয়ে দেওয়া হতো। এখন উল্টো হচ্ছে, করছে কারা শাসক দল বলছেন, বিরোধী দলের কাজ, হামেশাই তৃণমূল নেতা কর্মীরা খুন হচ্ছেন। শাসকের কথায় করছে বিরোধী দলের লোকজন, পুলিশ ও তাদের কথা মতো কেস ডায়েরি সাজিয়ে পাঠাচ্ছেন ।বিরোধী দলের কিছু নীরিহ কর্মী সমর্থকরা মামলার ফাঁসে জড়িয়ে পড়ছে । আমি গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে শাসক দলের এক নামী নেতা কে ভাষণ দেওয়ার সময় বলতে শুনেছি, বিরোধী দের কেসের মালা পড়িয়ে দেওয়া হবে, সেটাই চলছে । শাসক দলের মনে প্রশ্ন জাগে তাহলে করছে কারা, যারা বাম আমলে বামেদের শেষ দিকে এসব করেছে, সে সব দূস্কৃতি তারা সে সময় বর্তমান শাসক দলে যোগ দিয়ে ছিল, কারণ বামেদের শেষ মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য মহাশয়, কোন রং না দেখে দূস্কৃতি দের গ্রেফতার করতে পুলিশ কে নির্দেশ দেন, অনেক বড়ো বড়ো দূস্কৃতি গ্রেফতার হয়েছিল। সেই সময় বেশ কিছু দূস্কৃতি বর্তমান শাসক দলের হয়ে কাজ করতে শুরু করে। সি পি আই এমের পার্টি অফিস ভাঙচুর করে, সি পি আই এমের নেতাদের উপর অত্যাচার করতে শুরু করেন।এই সব দূস্কৃতি জামার রং পাল্টে শাসক দলের লোক, তারা জানে নির্ভয়ে তাদের কুকর্ম করে যেতে পারবে, কেবলমাত্র তোলার একটা শতাংশ দিলেই হবে। সেই কারণেই আজও পশ্চিম বঙ্গ থেকে দূস্কৃতি রাজ নির্মূল হয় নি, গত দশ বারোটা বছর ধরে সমানে চলছে, নির্বাচন এলে তো কথাই নেই, তাণ্ডব আরও বাড়ে, সামান্য টাকা পয়সা দিয়ে ঝামেলা হলেই খুন, পিটিয়ে মারা, মানুষ যে কারণে পরিবর্তন করে ছিল যে রাজ্যে শান্তি আসবে সেই শান্তি আজও অধরা, কোথাও বিধায়ক খুন কোথাও নির্বাচিত প্রতিনিধি খুন, কী জানি কবে বাংলা থেকে এই খুন খারাপি বন্ধ হবে। আগে বিহারে এরকম হতো এখন সেটা বাংলায় আমদানী করা হয়েছে। আমাদের শাসক কবে বুঝবে যে মানুষ শান্তি চায় খুন খারাপি ঘর পোড়নো চায় না। আমি যত দূর জানি সুস্থ ভাবে ভোট হলেও বর্তমান শাসক দল জিতবে, আমি তো তাদের ভয় কিছু দেখছি না। জানি না শাসক দল কেন জনগণ কে বিশ্বাস করতে পারছে না ।

মুখ্যমন্ত্রী মুখে কালী মাখানো খারাপ কাজ করেছেন।

ছবি টি ডেইলি হান্ট নিউজ ওয়েব সাইট থেকে নেওয়া হয়েছে। যে রাজনৈতিক দল করুক কাজ টা মোটেও ভালো হয় নি। তবুও ভালো যারা কাজ টা করেছে তারা ছবি তে কালি মাখিয়েছে। যে রাজ্যে বিবেকানন্দ ও নেতাজির মত মহান ব্যক্তি দের মূর্তি তে কালি দেওয়া হয়। পুলিশ প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয় না। আর ইনি জীবন্ত কিংবদন্তি কী জানেন না। বাঙালির গর্বের মুখ্যমন্ত্রী যিনি চিটফাণ্ডে গরীব মানুষ সর্বসান্ত্র হওয়ার পর বলেন যা গেছে যাক ও নিয়ে দুঃখ করে লাভ নেই। ধর্ষণ সে তো শরীরের জ্বর জ্বালার মতো, ও হবেই, সারা বছর মশা মারার মতো মানুষ খুন হবে ও স্বাভাবিক ঘটনা। অধ্যাপক অধ্যক্ষ শিক্ষক নিগ্রহ বেকার যুবক দের চাকরি না পেয়ে আন্দোলন পুলিশের লাঠি খাওয়া ও স্বাভাবিক ও ছোট্ট ঘটনা। চাকরি দেওয়ার নামে প্রহশন সবই ভালো, কর্মীদের বেতন না দিয়ে নিজের বেতন বাড়ানো সেটাও ঠিক। আমি ছোট ভাই হিসেবে একটা পরামর্শ দিতে পারি দিদি আপনি ভালো ছবি আঁকতে পারেন। তুলির একটান দুটান দিলেই ছবি আপনার ছবি কোটি টাকা দাম। দয়া করে আপনি যদি ছবি এঁকে রাজ্যের দেনা শোধ করে দেন, তবে রাজ্যবাসি আপনার কাছে চিরকৃতজ্ঞ থাকবে। আপনি ভালো বই লেখেন আপনার লেখা কবিতা পড়ে কিছু খারাপ লোক মজা করে, ওদের পাত্তা দেবেন না কেমন। গত পূজোয় আপনার লেখা গান সর্বত্র শোনা যাচ্ছিল। আপনার এতো গুন তবুও আপনার ভালো দেখতে পারে না। আপনি কী করেন আপনার দলে হাজার গোষ্ঠী সবাই মিলে একে অপর কে মারছে। আপনি কী করেন, জনগণ তো আর মানুষ নয় ও দু টাকার মুরগির মতো, আপনার ভাইয়েদের বলুন যত পারবে মারুক। আসছে লোকসভা নির্বাচনে কর্মসংস্থানের ঘোষণার ফুলঝুরি ছুটছে। কোন কাগজে বিজ্ঞাপন নেই, মুখে কর্মী নিয়োগ হলে বেতন দিতে হবে না। আর যদি নিয়োগ করা হয় তবে বেতন মেলা দূস্কর, রাজ্যের অনেক কর্মী সর্বোচ্চ দশ হাজার টাকা বেতন পাচ্ছেন। চপ শিল্প হয়েছে, মুড়ি শিল্প হয়েছে, কত কিছু যে হলো কবে যে মানুষ মুক্তি পাবে জানি না। আজ পড়লাম মদ খেয়ে বাড়িতে রোজ অশান্তি হচ্ছিল, শিলিগুড়ির একটি পরিবারের আজ চরম পরিনতি ঘটেছে, মাতাল তার স্ত্রী কে খুন করেছে । আর এই রাজ্যে দেদার মদের দোকান খোলা হচ্ছে। আমরা বিহারের থেকেও পিছনে সেখানে মদ বন্ধ বা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আর আমাদের রাজ্যে মদ চুল্লুর বাড় বাড়ন্ত পূজার আগে আর বিষ মদ খেয়ে কেউ মারা গেলে অভিযানে নামে, তার পর যে কে সেই, আর পুলিশ যাওয়ার আগে ডাক বাবু ফোন করে বলে দেয় আমরা যাচ্ছি। এই তো চল্লু ধ্বংস করার চেহারা। আর লিখছি না, কারণ যে নিজে প্রতিদিন দেখছেন মানুষ খুন হচ্ছে। করছে কারা কাগজ টিভি চ্যানেল যেই শাসক দলের নাম বলছে, পুলিশের ঘাড়ে কটা মাথা আছে তাকে ছোঁয়। এমনিতেই নানা চিটফাণ্ড কেলেঙ্কারির কালি মেখে বসে আছেন। তাই ছবিতে আর কালি মাখিয়ে লাভ কী? যে অঙ্গে এতো কালি তার ছবিতে কালি মাখিয়েছে যারা সত্যিই অন্যায় করেছ।

সমীক্ষা রিপোর্ট পাঠ্যসূচীর জন্য পিছিয়ে পড়ছে রাজ্যের পড়ুয়ারা।  সমীক্ষা রিপোর্ট পাঠ্যসূচীর জন্য পিছিয়ে পড়ছে রাজ্যের পড়ুয়ারা।

আজ ৩০ শে ডিসেম্বর ১৮ আনন্দ বাজার পত্রিকায় অন লাইন খবর । এস সি আর টির সমীক্ষায় পাঠ্যসূচীর জন্য পিছিয়ে পড়ছে এই রাজ্যের পড়ুয়ারা। আমি এর আগেও লিখছি যে এই পাঠ্যক্রম বা পাঠ্যসূচীর জন্য অনেক অভিভাবক সরকারি বা সরকার পোষিত বিদ্যালয় গুলোতে ছেলে মেয়েদের ভর্তি করতে চায় না।কেবলমাত্র যে সব বিদ্যালয়ের সাথে উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় আছে সেখানে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীদের ভর্তি করা হয়। এখানেও কিছু ভালো অভিভাবক যাদের একটু পয়সা আছে তারা বেসরকারী বিদ্যালয়ে ভর্তি করে। কারণ পাঠক্রম সরকার পোষিত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাক প্রাথমিক শ্রেণীতে পাঁচ বছর পূর্ণ হলে ভর্তি, পাঠ্য বই কী ১) কাটুম কুটুম ২) মজারু কোনো পাঠ্যসূচীর ঠিক নেই। আর ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা বেসরকারী বিদ্যালয়ে তিন বছর বয়সে ভর্তি তারা নিজেদের মতো পাঠক্রম তৈরি করে নিতে পারে। নার্শারি থেকে কেজি ২ পর্যন্ত নিজেদের মতো বাংলা অঙ্ক ইংরেজি বিজ্ঞান শেখায়। আগে এই পাঁচ বছরের ছেলে মেয়ে প্রথম শ্রেণী তে ভর্তি হতে পারত পাঠক্রম ছিল বাংলা অঙ্ক ইংরেজি, দ্বিতীয় শ্রেণির পাঠক্রম এর সাথে সামঞ্জস্য করে পড়ানো হত। এখন কোন মাথা মুণ্ড নেই কোন শ্রেণীর সাথে কোন শ্রেণীর মিল নেই কী যে অঙ্ক ইংরেজি শিখছে তার ঠিক নেই। প্রথম দ্বিতীয় শ্রেণির ইংরেজির কোনো ঠিক ঠিকানা নেই, তৃতীয় চতুর্থ শ্রেণির ইংরেজি শব্দ গ্রামের ছেলে মেয়েরা উচ্চারণ করতে পারে না। বাংলায় কবিতা গদ্য কোনো ঠিক নেই। তৃতীয় শ্রেণির বাংলা বই এ একটি গল্প আছে কাল্পনিক কথা বলব না অন্য কিছু বহু যুগ আগে গাছেরা চলা ফেরা করতে পারতো ইত্যাদি ইত্যাদি। আমার পরিবেশ বইটি কিছু শেখার মতো নেই। অঙ্ক সে বলা যাবে না, প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির আমার বই এ কয়েক পাতা এক বা দু সংখ্যার যোগ বিয়োগ একটু গুন একটু ভাগ তৃতীয় শ্রেণির গনিত শিক্ষা গুননীয়ক গুনিতক সামান্য আছে স্থানীয় মান প্রকৃত মান আছে, আর অল্প বিস্তর তিন সংখ্যার যোগ বিয়োগ আর একটু ভাগ ব্যাস। বিয়োগ শেখাবার পদ্ধতি সেই বাম আমলে যা ছিলো তাই ভেঙে নিয়ে মাথায় লেখা, ঐ পদ্ধতিতে বিয়োগ করতে গিয়ে ছাত্র ছাত্রীরা হোঁচট খায় ভাগ করতে গিয়ে। সেখানে আর মাথার উপর লেখার জায়গা নেই। বামফ্রন্ট সরকারের কিছু ক্যাডার মাস্টার প্রশিক্ষণ শিবির চালাত আর বলত এই পদ্ধতি নাকি বিজ্ঞান সম্মত। এখন সেই ক্যাডার মাস্টারা প্রশিক্ষণ শিবির থেকে প্রশিক্ষণ দেয় আর এক কথা বলে। আমাদের মতো কিছু শিক্ষকের সত্যিই খুব খারাপ লাগে যে সরকার পরিবর্তন হলো প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বই গুলো আর সঠিক ভাবে তৈরি হলো না। যেখানে প্রাক প্রাথমিকে বাংলা, অঙ্ক, ইংরেজি, প্রথম শ্রেণীতে সামঞ্জস্য রেখে বাংলা, অঙ্ক, ইংরেজি, এই বই গুলোতে ইংরেজি হবে সহজ ছোট ছোট বাক্য তৈরি করা। সামান্য পাঠ্য বই পড়া। আর অঙ্ক হবে এক অঙ্ক থেকে দু অঙ্কের সংখ্যার যোগ বিয়োগ ভেঙে নিয়ে মাথায় লেখার পদ্ধতি থাকবে না। দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র ছাত্রীরা ইংরেজি শিখবে একই ভাবে, অঙ্কে যোগ হবে। গুনের নামতা গুন দুই সংখ্যার গুন গুন্য গুনক গুন ফলের ধারণা। আর ভাগ হবে ভাজ্য ভাজক ভাগফল বোঝানো এবং সহজে বুঝতে পারে এমন ভাগ।তৃতীয় শ্রেণি ইংরেজি হবে অন্য শ্রেণীর সাথে সামঞ্জস্য পূর্ণ, অঙ্ক হবে গুননীয়ক গুণিতকের ধারণা সামান্য লসাগু গসাগু চতুর্থ শ্রেণির অঙ্ক হবে ভগ্নাংশের ধারণা দশমিক ও সাধারণ ভগ্নাংশের ধারণা লসাগু গসাগু যোগ বিয়োগ ইত্যাদি। জানি আমার এ লেখা কেউ পড়বে না। আর পরিবর্তন হবে না। সেই বাম আমলের থেকে দেখে আসছি কোন সরকার প্রাথমিকের সিলেবাস বা পাঠ্যসূচীর পরিবর্তন করল না। বাম আমলে ঐ বিয়োগ অঙ্ক বাদে তবুও কিছু পড়ানোর ছিল। আবেদন করা যেত তবে ক্যাডার দের মাধ্যমে, ঐ ভূতের বিয়োগ বাদে সব অল্প অল্প পরিবর্তন করত। আর এখন কে কার কথা শোনে কোনো কিছু বললেই সে বিরোধী বলে তাকে বিভিন্ন রকম ভাবে জব্দ করার ফন্দি করে। কত রকম পরিদর্শক পঞ্চায়েতের ঝাড়ু থেকে উপর মহল সকলে আসে খুঁত খুঁজে বের করতে হবে এটা তাদের উপর নির্দেশ থাকে। আর যদি সামান্য খুঁত খুঁজে পাওয়া যাওয়া যায় তাহলে সোনায় সোহাগা না হলে ধমকানি চমকানি তো আছেই। চোখের সামনে দেখি এখন কার এই বই আর ২০১১ সালের পর নিয়োগ প্রাপ্ত শিক্ষকের কাজ হচ্ছে না পড়িয়ে মোবাইল ফোন নিয়ে শ্রেণি কক্ষে নেট ফেসবুক করে গান শুনে বাড়ি যাওয়া যখন তখন আসব যাব পড়াব না। আমাদের সরকার আমরা যা খুশি তাই করব। কিছু বললে সব ধরনের নেতা আর অফিসের ফোন করে তাদের দিয়ে ভিজিট করিয়ে প্রধান শিক্ষক কে জব্দ করা।আর বেশি কিছু লিখেছি না, এমনিতেই কথা বললেই বিরোধী, না হলে মাওবাদী তকমা জোটে, প্রকৃত পরিবর্তন আর হলো না।

দু শো বছরের পরাধীন থাকার ফল

আমার মনে হয় আমরা বাঙালিরা বড্ড বেশি করে আবেগ প্রবন। অনুকরণ প্রিয় জাতি, অপর জাতি ধর্ম বর্ণের বিভিন্ন অনুষ্ঠান পোশাক আসাক খাওয়া দাওয়া সব আমরা নকল করে দেখিয়ে দিই।আমরা ইংরেজি নববর্ষের শুভেচ্ছা জানাই কিন্তু বাংলা নববর্ষ ভুলে যাই। আমরা যীশু খ্রীষ্টের জণ্ম দিন পালন করে  বাড়িতে কেক কাটি আর. বিবেকানন্দ নেতাজী বিদ্যাসাগর রামকৃষ্ণ রামমোহন রায় এদের ভুলে যাই। আমরা কত মহান এবং কত সহনশীল হব, আমার গত 27/12//2018 প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একটা প্রথম শ্রেণীর ছাত্রের কথা মনে পড়ছে। ঐ দিন স্কুলে পঠন মেলা আর প্রগতি পত্র দেওয়া হচ্ছিল। আর মিডে মিলে চিকেন হয়ে ছিল, আমায় একজন প্রথম শ্রেণীর মুসলিম ছাত্র এসে বলল স্যার আমি মাংস খাব না, মা বারণ করেছে। আমি মুসলিম রা মুরগি মাংস হালাল ছাড়া খায় না, আমি বললাম মাকে বল মাংস স্যার শেখ ছোট্টুর কাছ থেকে এনেছেন। এবার বল তুই খাবি কী না? ছেলেটা আমার থেকে থালা নিয়ে খেতে বসে ছিল । আমার কথা ওটা নয় দেখুন কীভাবে ঐ টুকু ছেলের মনে ধর্মের নিয়ম তথা খাবার ক্ষেত্রে ভেদা ভেদ ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর আমরা বাঙালি হিন্দু জাতির লোক জন ঐ মুসলমান দের হালাল করা মাংস বিচার না করে খেয়ে নিচ্ছি। সত্যিই আমরা মহানুভব, আর এই মহানুভবতা দেখাতে গিয়ে আজ প্রকৃত বাঙালি হিন্দুর সংখ্যা তলানিতে ঠেকেছে। মুসলিম সমাজ আজ প্রায় ছ সাতশ বছর ধরে বাংলা তথা ভারতের বাসিন্দা তবুও তারা হিন্দুদের বা অন্য ধর্মের সাথে মিশতে জানেনা না। অন্য ধর্মের অস্তিত্ব স্বীকার করে না। অন্য ধর্মের লোকজন ওদের কাছে কাফের তাদের খুন করে দেও। না হলে তারা আমাদের ধর্ম গ্রহণ করুন। এটি মুসলিম ছেলেদের ছোট থেকেই শেখানো হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গের আজ পর্যন্ত যতগুলো সরকার শুধু পশ্চিম বঙ্গের ভারতের স্বাধীনতা সময় থেকে সংবিধান রচনার সময় যে সব মহান পুরুষ ছিলেন একজন তো মাউন্ট ব্যাটেনের বাড়িতে চাকর ছিলেন। তিনি ভারতের মহাপুরুষ হয়ে গান্ধী কে হাত করে প্রধানমন্ত্রী হয়ে বসে পরে ছিলেন। লোক মরুক আমি লুটে খাই, সেই যে বাঙালি হিন্দু জাতির ধ্বংসের শুরু আর ঘুরে দাঁড়াতে হয় নি। সংবিধান কেবল মাত্র বর্ণ হিন্দুদের জন্য আর বাকিদের কোনো আইন নেই। যত খুশি বিয়ে কর সন্তান জন্ম দেবার আইন তাতেও মুসলিম সমাজ যতখুশি বিয়ে করে সন্তান জন্ম দেবে। এটা তাদের ধর্মের আইন ভারতের সংবিধান তাকে নাকি এই সুযোগ দিয়েছে। জনগনার সময় মিথ্যে বলে নিজেরা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোক ঠিক করে রাখবে। এখনতো এই রাজ্যে বাঙালি হিন্দুরা সংখ্যা লঘু, যে সব গরীব মানুষ হিন্দু তাদের কি হলো দেখার দরকার নেই, সংখ্যালঘু স্কলারশিপ পেল কি না সাত বার খোঁজ নিয়ে চলছে।
কত উপরে তুলে ধরেছেন মুখ্যমন্ত্রী নামাজে অংশ নিচ্ছেন। রোজা পালন করছেন। তারকেশ্বরের বাবার মন্দিরের ট্রাষ্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান করে দিয়েছেন একজন মুসলিম মানুষ কে? এর জন্য আমি দুঃখিত নই, তবে আমার একটা একান্ত আবেদন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে দিদি আপনি কোন বড়ো মসজিদ বা মাজারের প্রধান পদে কোনো হিন্দু ধর্মের লোক কে বসিয়ে দেখান। দেখতে আপনি পশ্চিমবঙ্গের ঐ জাতিটি কে কতটা ধর্ম নিরপেক্ষ করতে পেরেছেন। সামান খাখাবার বিষয়ে যারা বাদ বিচার করতে পারে তাদের আপনি যতই তোলাই দিন তারা এখনও ঐ শোর্ড বা তরোয়াল নিয়ে মিশাইয়েলের সঙ্গে লড়াই করতে যাবে। আধুনিক শিক্ষা নেবে না, কারণ এখনও তারা বাঙালি তথা ভারতীয় নয়।

Sunday, 24 February 2019

গন পিটুনি একটা রোগ হয়ে গেছে।

ছবি টি আনন্দ বাজার পত্রিকায় বেড়িয়ে ছিল ।আজ বলে নয়, দীর্ঘ দিন ধরে বাংলায় গণ পিটুনি একটা সামাজিক ব্যাধিতে পরিনত হয়েছে। জনগণ নিজের হাতে আইন তুলে নিচ্ছে, বিভিন্ন সংবাদ পত্রের খবর। কিছু দিন আগে হরিপালের ঘটনা এক মানসিক রোগী রাতে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে ছিল। সে ইতস্তত ঘুরে বেড়াছিল চোর সন্দেহে তাকে পিটিয়ে মেরে ফেলে ছিল। দশ বছর আগে থেকে এরকম ঘটনার সূত্রপাত সাধারণ মানুষ পুলিশের উপর ভরসা না করে, আইন নিজের হাতে তুলে নিচ্ছে। তার মধ্যে আছে গুজব, ছেলে ধরা বেড়িয়েছে, আমি হিউম্যান ট্যাফিকিং হয়, একেবারে যে হয় না, এমন নয়, হয় কিন্তু এই ভাবে খোলা খুলি হয় না। আবার কাল সিঙ্গুরের একটা কথা শুনলাম যে দু জায়গায় ছেলে ধরা বেড়িয়ে ছিল। জানি না কতটা সত্য কথা, ও টাও একটা গুজব, আবার এও হচ্ছে, কয়েক জন বন্ধু মিলে ঠিক করল একে মারতে হবে। সেই বন্ধু কে ভুলিয়ে বা কোন ভাবে অন্য অচেনা জায়গায় নিয়ে এসে, তাকে ছেড়ে দিয়ে আড়ালে চলে গেল, এবার সে ইতস্তত ঘুরে বেড়ায় আর মধ্যে আছে এই গুজব ছেলেধরা বাংলায় এই গুজব আজ বলে বহু দিন ধরেই প্রচলিত কখনো তীব্র ভাবে প্রচার করা হয় ।কিছু নীরিহ ভবঘুরে মার খায়। আর এটা তখন সম্ভব হয় যখন পুলিশ প্রশাসন নেতা মন্ত্রী দের নিয়ে বেশি ব্যস্ত হয়ে পড়ে তখন, বিঘ্নিত হয় সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা, কিছু সুযোগের সদ্ব্যবহার করে, যাকে মার খাওয়া দরকার গুজব রটিয়ে মার। কাগজে অচেনা জায়গায় পড়লাম খাবার কিনতে গিয়ে এই গুজবের স্বীকার হয়েছেন, এক মহিলা কাল পড়লাম এক মা মেয়ে আক্রান্ত যদিও পুলিশ এখন এক হলেও এবিষয়ে সক্রিয় হয়েছে। আক্রান্ত শুনতে পেলে সেখানে গিয়ে আক্রান্ত কে উদ্ধার করে আনছে, বাঁচাতে গিয়ে নিজেও আক্রান্ত হচ্ছে, ঐ যে বললাম গুজব ছড়িয়ে কিছু মানুষ রাগ মিটিয়ে নিচ্ছে, যে কারণে পুলিশ উদ্ধার করছে তবু সে আক্রান্ত, আমার অনুরোধ এ কাজ করবেন না। গুজব ছড়াবেন না, ভেবে দেখবেন সেই গুজবের শিকার আপনিও হয়ে যেতে পারেন। 

Wednesday, 20 February 2019

দেখুন কীভাবে অনলাইন নিউজ পোর্টালে ভুল খবর দেওয়া হয়।

গতকাল 19/2 2019 অনলাইন টোটকা 24×7 খবর দেওয়া হয়, যে কারণে সৌদি আরবের যুবরাজ ভারত সফর বাতিল করেন।
আবার আজ 20/2/2019 তারিখে news 18 বাংলা অনলাইনে খবর পড়লাম। সৌদি আরবের যুবরাজ ভারত সফর করেন, এবং সন্ত্রাস বিরোধী অবস্থান নেয়।

এসব পড়ে মানুষ সুস্থ চিন্তা ভাবনা করতে পারবেন। একটি খবর বলছে, সৌদি যুবরাজ সফর বাতিল করেন, আর অন্য খবর হলো  আজ 20/2/2019 ভারত সফরে এসেছেন। কোন খবর টি ঠিক বলে মানুষ বা আমার মত পাঠক বিশ্বাস করবেন। 

Monday, 18 February 2019

বেগুন দিবস পালন করা হয়েছে সিঙ্গুর ব্লকের সব স্কুলে গত শনিবার ১৬/২/১৯ তারিখে।

এখন প্রশাসন অর্ডার করে, নেট বা হোয়াটস এ্যাপের মাধ্যমে। গত ১৪/২/১৯ সেই রকম একটা অর্ডার দেওয়া হয়, যে প্রতিটি বিদ্যালয়ে পঞ্চায়েত থেকে বেগুন দেওয়া হবে, কত কেজি করে সেটাও উল্লেখ ছিল। সকাল এগারোটা থেকে দেওয়া হবে, এগারোটায় পঞ্চায়েত অফিসে গিয়ে ঘুরে আসা হলো তখনও বেগুন আসেনি। আবার দুপুরে গিয়ে তিরিশ কেজি বেগুন নিয়ে আসা হলো। বেগুন এর কোনো দাম নেওয়া হবে কিনা জানি না। কারণ এর আগে আগে একবার আলু দেওয়া হয়েছিল, প্রথম বলা হয়েছিল আলুর কোনো দাম লাগবে না, কিন্তু পরে পাঁচ টাকা কিলো দরে মিড ডে মিলের পয়সা থেকে কেটে নেওয়া হয়েছিল। বাজারে ঐ আলু তখন তিন টাকা কিলো এটা ষোলো সালের ঘটনা, আর এবার বেগুন দেওয়া , বাজারে চার থেকে পাঁচ টাকা কিলো, জানি না কত টাকা কাটা হবে¡
অত বেগুন এক সঙ্গে রান্না করা যাবে না। আবার শুধু বেগুন রান্না করা যাবে , তাহলে গত শনিবার ১৮/২/১৯ বেগুন ভাজা আর খিচুড়ি খাওয়ানো হলো।
সত্যিই আজব রাজ্য  মনে হলো বেগুন দিতে হবে, দেওয়া হলো, সেগুলো ভাজতে যে তেল লাগবে, আবার সব বাচ্ছা বেগুন থেকে খেতে চায় না। বেগুন বেেশি দিন রাখলে পচে যেতে পারে, সমস্যা তৈরি করে দিয়েছ।পশ্চিমবঙ্গে এখন নানা ধরনের
উৎসব শুরু হয়েছে, এটাও একটা উৎসব, বেগুন উৎসব ।

Sunday, 17 February 2019

বিশ্বের দরবারে বাঙালির সণ্মান কিছু রইল কি?

আজকের পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি দেখে আমার মনে একটা প্রশ্ন জাগছে বাঙালি কি সত্যি আত্মঘাতী জাতি? বর্তমান পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে, সত্যি বাঙালি জাতি আজ ধ্বংসের পথে, বর্তমানে এই জাতি চোর, তোলাবাজ, আর বাটপার ঘুষ খোর মদ বিক্রি মানুষ নির্বাচনে কারচুপি কোন কাজ টা বাকি আছে, একসময় বলা হতো বাঙালি আজ যা করে ভারত আগামী কাল ভাবে, ওসব আজ অতীত আজ বাঙালি জাতি এতো বিপথগামী কেন? স্বাধীনতার পর থেকে গত দশ বছর আগেও এরকম পরিস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গের বাঙালি জাতি পরে নি, গত আশির দশক থেকে নব্বইয়ের দশক পর্যন্তও সত্যিই বাঙালি ভারত বর্ষ কে পথ দেখিয়েছে, পঞ্চায়েত ব্যবস্থা যা পরে পঞ্চায়েতী রাজ নামে গোটা দেশে চালু করতে আইন করা হয়েছে। ভূমি সংস্কার একটা বড়ো সাফল্য, আর এখন গত সাত আট বছর ধরে আমরা কী দেখছি, সারদা নারদা রোজভ্যালীর এম পি এস গ্রীনারি, আরও কত চিটফাণ্ড কেলেঙ্কারি, যারা টাকা তুলল বা তিন বছর পর ডবল দোব বলে, মানুষ কে ঠকালো তারা টাকা ফেরত দেওয়ার ভয়ে পালিয়ে গেল, বা পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে জেলে ভরে দিল । টাকা খেল বাটপার এই বাটপার তোলাবাজের দল আজ প্রতিটি গ্রামের শহরের কোনে কোনে, অশিক্ষিত অর্ধ শিক্ষিত সব গায়ের জোরে  নির্বাচনে জিতে নেতা মন্ত্রী, এমপি হয়ে গেছে। কিছু অফিসার যারা কিনা বাঙালি নয় তারা দেখল এই সময় বাঙালি জাতি কে হেও করার, যে বাঙালির ঐতিহ্য সংস্কৃতি তে ছিল না যা সে সব ঢুকে পড়ল। স্বাধীনতার পর থেকে এতো মুখ্যমন্ত্রী বাংলায় এসেছিলেন কেউ এতো দূর্নীতি গ্রস্থ, মিথ্যে বাদি ভুল তথ্য দিয়ে মানুষ কে বিভ্রান্ত করেনি ।অনেক অবশ্য বলবেন আগে চৌত্রিশ বছর ধরে চুরি হয়নি, একেবারে অস্বীকারের কিছু নেই, তবে যারা অন্যায় করেছে তাদের দল থেকে বহিষ্কার করে দিয়েছে, আর তারাই গিয়ে ভিড়েছে এই দলে, এখন এরাই ক্ষমতা দখল করে আছে। আমাদের সকলের জানা, ক্ষমতায় আসার আগে কত প্রতিশ্রুতি ছিল, তার মধ্যে একটি ছিল, চোর বামফ্রন্ট নেতা মন্ত্রী দের ধরে ধরে জেলে মধ্যে ভরব । বাম নেতা মন্ত্রী। বামফ্রন্ট এখন ক্ষমতায় নেই, তবুও একজন নেতা মন্ত্রীর জেল যায়নি। অপর দিকে শাসক সরকারের নেতা মন্ত্রী সাংসদ জেলে যাচ্ছে। বিশ্বের দরবারে বাঙালির সণ্মান আর কিছু রইল কি?

















Saturday, 16 February 2019

সত্যি কথা বলতে মানা।

সত্যি কথা বলতে মানা। আজ কাল ভিডিও বা ইউ টিউবে নিউজ পোর্টালে বেশিরভাগ এই সব ছবি আর ইউ টিউবে ভিডিও দেখার লোক বেশি কেউ আমাদের এই সব ব্লগ দেখবেন আসা করি না। এই ছবি টি ডেইলি হান্ট নিউজ ওয়েব পোর্টালে বেড়িয়ে ছিল।একটি অন লাইন নিউজ পেপারে। এই অন লাইন নিউজ ওয়েব সাইট টি ডেইলি হান্ট নিউজের সাথে যুক্ত, এরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই সব ছবি দিয়ে পোস্ট করে তাদের খবর অনেক পড়ে। আবার ইউটিউব সেখানে তো কথাই নেই খুললেই চোখ পড়বে।আমি এর আগে কিছু ক্ষেত্রে লিখেছি এরকম লেখা। অনেকেই বলবেন আপনি নিজে লিখছেন, আর অপরে লিখলে দোষ। আমি দোষের কিছু বলছি না, আমি জানি আমার ব্লগ পড়ে খুব কম লোকই। আমি নিজে বেশি দেখি, আমি ২০১৭ সালে ব্লগ লেখা শুরু করে ছিলাম। প্রায় দু বছর হতে চলল আমার সাইট ভিজিট করে কম লোকই। আমি হয় তো ব্লগ পাঠকের মন পড়তে পারিনি। দিনের পর দিন লিখে যাচ্ছি। তবে হ্যাঁ জীবন শৈলি পাঠ নেওয়া খুব ভালো। এখন এই শিরোনামে অন্য কথা লিখব বলে মনে করে ছিলাম। লিখছি অন্য কিছু এই জন্য মনে হয় আমার লেখা কেউ পড়েন না। যদি কেউ পড়তেন তবে কমেন্ট বক্সে অবশ্যই মন্তব্য থাকতো। আসলে আজ পশ্চিমবঙ্গে সত্যি কথা বলতে মানা। চোর কে চোর বলা যাবে না। দালাল কে দালাল বলা যাবে না। চোখের সামনে খুন করতে দেখলে তাও তাকে খুনি বলা যাবে না। আপনি আমি বা রাজ্য বাসী কর দিচ্ছে, সেই টাকা অপব্যবহার হচ্ছে, বলা যাবে না। চোখের সামনে মাফিয়া দালালদের দল তোলা তুলছে। আপনি বলতে পারবেন না। চোর দালাল মাফিয়া চরিত্র হীন সব কিছু তে রাজ্য টা ভরে গেল সব দেখেও চুপ করে থাকতে হবে। চোখের সামনে চোর দেখা যাচ্ছে তাও বলা যাবে না। চরিত্র হীন মিথ্যে বাদি এই নিিয়ে এই রাজ্যে চলছে কিন্তু বলা যাবে না। বার বার একটা মিথ্যে কথা বলে বলে সেটাই সত্যে পরিনত করা হয়েছে। তবুও কিছু বলা যাবে না। কারণ সত্যি কথা বলতে মানা। রাজা তোর পোশাক কোথায় বলতে পারে নি। একটি বাচ্ছা ছেলে বলেছিল।  সেই সাহসী বালক  নেই, যদি বা কেউ সাহস করে বলবে তাকে প্রাণ দিতে হবে এদের পোষা গুণ্ডার হাতে। এই সব দেখে শুনে মানুষ প্রতিবাদ করতে ভুলে গেছে। সত্যিই সত্য কথা বলতে মানা।

ছিল ভুতের ভবিষ্যৎ, হলো ভবিষ্যতের ভুত।

ছবি টি অন লাইন আনন্দ বাজার পত্রিকায় বেড়িয়ে ছিল ।খবর টি বিকেলে কলকাতা শহরে, ভবিষ্যতের ভুত একটি সিনেমা বা চলচ্চিত্র গতকাল সেস্নর বোর্ডের পারমিশন নিয়ে মুক্তি পেয়েছিল। আজ বিকেল থেকে কলকাতায় বিভিন্ন হলে দেখানো বন্ধ হয়ে গেছে, যুক্তি উপর মহলের সমস্যা আছে, যুক্তি সত্যিই অদ্ভুত, মনে আছে আমরা এর আগে ভুতের ভবিষ্যৎ নামে একটি সিনেমা বা চলচ্চিত্র দেখে ছিলাম। এখানে কথাটা উল্টে গেছে, ওখানে গল্প ছিল এক প্রমোটার কে নিয়ে, কারণ প্রমোটার ভুতে দের থাকার পুরানো বাড়ি গুলো ভেঙে ফ্লাট বাড়ি ও মার্কেট তৈরি করছে। তাদের থাকার জায়গার অভাব নিয়ে তৈরি ছিল সেই সিনেমাটা। আর এর গল্প একটু অন্য ভবিষ্যতে কারা কী কারণে কী ভাবে ভুতে পরিণত হবে, সেটাই গল্প নেতা মন্ত্রী দের বিভিন্ন সময়ে নানা কু কর্ম তুলে ধরে ভবিষ্যতে তারা কি রকম ভুতে পরিণত হবে, সেটাই গল্প। আজ থেকে বিভিন্ন হলে বিভিন্ন জায়গায় ছবি টি প্রদর্শন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আপনা দের মনে আছে যখন পদ্মাবত ছবির প্রদর্শন বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছিল, তখন আমাদের মুখ্যমন্ত্রী কী বলে ছিলেন। আবার পিকে ছবি দেখানো বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি, আমরা দেখেছি আমাদের দেশে বাক স্বাধীনতা নেই, কারো যদি কোন ঘটনা এবং সেটা যদি রাজনৈতিক সম্পর্কে হয়, তবে সেটা আর দেখানো যাবে না। বাংলায় আজ বলে আগেও হয়েছে, এখনও ঘটে চলছে। আমার প্রশ্ন বা কথা হলো যখন পদ্মাবত নিয়ে দেশ তোলপাড় তখন তিনি বলেন, এ রাজ্যে পদ্মাবত চলবে কোনো বাধা থাকবে না। আর এখন এই ছবি বা চলচ্চিত্র বেলায় কী হলো? এটা কী দ্বিচারিতা নয় । শাসক সে যেই হোক সবাই সমান, প্রতিবাদের ভাষা বা আন্দোলন কেউ সহ্য করতে পারে না। 

সরস্বতী পুজার নিয়ম ও মন্ত্র।

সরস্বতী পুজোর পদ্ধতি, পরপর যা করতে হবে।১)আচমন ২)বিষ্ণু স্মরণ ৩)স্বত্ত্বি বাচন ৪) স্বত্ত্বি সূক্ত ৫) সাক্ষ্য মন্ত্র ৬) বরণ ৭) সংকল্প ৮) সংকল্প সুক্ত ৯) পঞ্চ গব্য শোধন।১০) অধিবাস ক) মন্ত্রে খ) বরণ ডালা নিয়ে। ১১) সামান্য অর্ঘ্য স্থাপন। ১২) দ্বার পূজা ১৩) বিঘ্ন অপসারণ।১৪) মাস ভক্ত বলি। ১৫) আসন শুদ্ধি।
১৬) পুষ্প শুদ্ধি । ১৭) প্রাণায়াম। ১৮) সংক্ষেপে ভূত শুদ্ধি। ১৯) কর শুদ্ধি। ২০) মাতৃকা ন্যাস।২১) অন্তর মাতৃকা ন্যাস। ২২) বাহ্য মাতৃকা ন্যাস। ২৩) সংহার মাতৃকা ন্যাস।২৪) পীঠ ন্যাস। ২৫) কর ন্যাস ২৬) অঙ্গ ন্যাস। ২৭) ব্যাপকন্যাস।২৮) ঋষ্যাদি ন্যাস।২৯) ধ্যান ৩০) কেবল ফুল দিয়ে কয়েকটি পূজা। ৩১) বিশেষ অর্ঘ্য স্থাপন। ৩২) পীঠ পূজা।৩৩) ঘট স্থাপন ৩৪) বেদী শোধন। ৩৫) বিতান শোধন।৩৬) কাণ্ড রোপন ৩৭)সূত্র বেষ্টন।  ৩৮) আহ্বান  ৩৯) চক্ষুদান ৪০) প্রাণ প্রতিষ্ঠা । ৪১) পঞ্চ দেবতার পূজা ।
(আহ্বানের সময় ধ্যান করে নিতে হবে। মূর্তিতে পূজা হলে প্রাণ প্রতিষ্ঠা ও চক্ষু দান হবে।) ৪২)ধ্যান করে প্রধান পূজা। ৪৩) লক্ষ্মী পূজা। ৪৪)বাহন পূজা ৪৫)পুস্তক পূজা। ৪৬)দোয়াত পূজা ৪৭) পুরোহিতের পুষ্পাঞ্জলী ৪৮) সাধারণ মানুষের পুষ্পাঞ্জলী। ৪৯) প্রণাম।৫০) সাধারণ হোম ৫১) শান্তি জল এক
( প্রথম দিন পূজা কর্ম শেষ) সন্ধ্যা বেলায় ১) আচমন ২) বিষ্ণু স্মরণ ৩) স্বত্ত্বি বাচন। ৪) স্বত্ত্বি সূক্ত ৫)পঞ্চ দেবতার পূজা।৬) ধ্যান করে ভোগ নিবেদন। ৭) আরতি একটা কথা মনে রাখবেন সকালে পুজার সময় আরতি করতে নেই। কেবল পঞ্চ প্রদীপ জ্বেলে উৎসর্গ করে দেবীর দক্ষিণ দিক থেকে বাম দিকে নিয়ে বসিয়ে দিতে হবে। 
পরের দিন অর্থাৎ বিসর্জনের দিন ১)বিষ্ণু স্মরণ ২)স্বত্ত্বি বাচন ৩) স্বত্ত্বি সূক্ত ৪) সাক্ষ্য মন্ত্র ৫) সংকল্প ৬) সংকল্প সুক্ত ৭) মন্ত্রে অধিবাস ৮) সামান্য অর্ঘ্য ৯) দ্বার পূজা ১০) বিঘ্ন অপসারণ ১১) মাস ভক্ত বলি।১২) আসন শুদ্ধি ১৩) পুষ্প শুদ্ধি ১৪) প্রাণায়াম ১৫)সংক্ষেপে ভূত শুদ্ধি। ১৬)কর শুদ্ধি ১৭) মাতৃকা ন্যাস।১৮) কর ন্যাস ১৯) অঙ্গ ন্যাস ২০)ঋষ্যাদি ন্যাস ২১) ধ্যান ও মানস পুজা। ২২) বিশেষ অর্ঘ্য স্থাপন। ২৩) পঞ্চ দেবতার পূজা। ২৪) ধ্যান করে প্রধান পূজা। ২৫) নির্মাল্য গ্রহন করে তাতে পূজা। ২৬)বিসর্জনের মন্ত্র।২৭) শান্তি মন্ত্র ও শান্তি জল দেওয়া।
এবার মন্ত্র ১) আচমন =ওঁ বিষ্ণু ওঁ বিষ্ণু ওঁ বিষ্ণু
২) বিষ্ণু স্মরণ =ওঁ তদ্বো বিষ্ণু পরম পদং সদা পশ্যন্তু সুরয় দ্বিবীব চক্ষুরাততম।( কান বাহু কণ্ঠ হৃদয় নাভি পর্শ্ব করতে হবে।) এবার হাত জোর করে =ওঁ অপবিত্র পবিত্র বা সর্বাবস্থাং গতহোপিবা যৎস্মরেৎ পুণ্ডরিকাক্ষং স্ব বাহ্য অভ্যান্তর সূচী।
সর্ব মঙ্গল্য মঙ্গলং বরেদং বরেণ্যম শুভম। 
নারায়ণ নমস্কৃত্যং সর্ব কর্ম কারয়েৎ। 
শঙ্খ চক্র ধরং দ্বি-ভুজং বিষ্ণু পীত বসনম। 
প্রারম্ভে সর্ব কর্মেনং বিপ্র পুণ্ডরীকাক্ষ স্মরেদ্ধরিম। 
 মাধব মাধব বাচী, মাধব মাধব হৃদি স্মরণ তি সাধব। সর্বকার্যেসু মাধবম ওঁ বিষ্ণু ওঁ বিষ্ণু ওঁ বিষ্ণু।
স্বত্ত্বি বাচনের আগে, গনেশ বিষ্ণু গুরু শিব দুর্গা কে ফুল দিয়ে পূজা করে নিতে হবে। যেমন- এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ গাং গনেশায় নম।এতে গন্ধ পুষ্পে ওঁ শ্রী বিষ্ণবে নম।এতে গন্ধ পুষ্পে ওঁ শ্রী গুরবে নম।এতে গন্ধ পুষ্পে ওঁ নম শিবায় নম।এতে গন্ধ পুষ্পে ওঁ হ্রীং দুর্গায়ৈ নম।
এবার স্বত্ত্বি বাচন ।
৩)স্বত্ত্বি বাচন =ওঁ কর্ত্তব্যহোস্মিন গাং গনপতাদি নানা দেবতা পূজা পূর্বক অদ্য মাঘ মাসে শুক্ল পক্ষে লেখনী মস্যাধার সহিত সরস্বতী পুজো কর্মানি। ওঁ পূর্ণাহম ভব্রন্তু ব্রুবন্তু। ওঁ পূর্ণাহম ভব্রন্তু ব্রুবন্তু ।
পূর্ণাহম ভব্রন্তু ব্রুবন্তু । ওঁ পূর্ণাহম ওঁ পূর্ণাহম ওঁ পূর্ণাহম।
ওঁ কর্ত্তব্যহোস্মিন গাং গনপতাদি নানা দেবতা পূজা পূর্বক অদ্য মাঘ মাসে শুক্ল পক্ষে লেখনী মস্যাধার সহিত সরস্বতী পূজা কর্মানি। ওঁ স্বত্ত্বি ভব্রন্তু ব্রুবন্তু। ওঁ স্বত্ত্বি ভব্রন্তু ব্রুবন্তু। ওঁ স্বত্ত্বি ভব্রন্তু ব্রুবন্তু । ওঁ স্বত্ত্বি ওঁ স্বত্ত্বি ওঁ স্বত্ত্বি ।ওঁ কর্ত্তব্যহোস্মিন গাং গনপতাদি নানা দেবতা পূজা পূর্বক অদ্য মাঘ মাসে শুক্ল পক্ষে লেখনী মস্যাধার সহিত সরস্বতী পূজা কর্মানি। ওঁ ঋদ্ধিং ভব্রন্তু ব্রুবন্তু ।ওঁ ঋদ্ধিং ভব্রন্তু ব্রুবন্তু ।ওঁ ঋদ্ধিং ভব্রন্তু ব্রুবন্তু । ওঁ ঋদ্ধতাম ।ওঁ ঋদ্ধতাম । ওঁ ঋদ্ধতাম ।( আপত চাল ছড়াতে ছড়াতে।)
৪) স্বত্ত্বি সূক্ত =ওঁ সোমং রাজাং আদিত্য বিষ্ণু সূর্যং ব্রহ্মাঞ্চ বৃহস্পতিম । স্বত্তি ন ইন্দ্র বৃদ্ধ শ্রবা, স্বত্তি ন পুষ্যা বিশ্ববেদা, স্বত্তি নর্ত্রক্ষো অরিষ্ঠনমি, স্বত্তি ন বৃহস্পতির দধাতু। ওঁ স্বত্ত্বি ওঁ স্বত্ত্বি ওঁ  স্বত্ত্বি।
৫) সাক্ষ্য মন্ত্র = ওঁ সোমং যমং কালং সন্ধ্যা ভূতানহক্ষপা পবন দিকপতি ভূমিরাকশং খচরামরা ।ব্রাহ্মণ শাসনমাস্তায় কল্পধিহম।
৬) বরণ বা বলকলমা :- যদি গৃহে পূজা হয় তবে গৃহ কর্তা পুরোহিত বরণ করে নেবেন। কেউ এটা করেন আবার অনেকে এটা করেন না।এটা কে বকলমাও বলা চলে। মন্ত্র :- পুরোহিত পুর্ব মুখে বসবেন, যজমান দক্ষিণ দিকে বসে দক্ষিণ জানু স্পর্শ করে বলবেন :- সাধুভবানাস্তাম। পুরোহিত :- সাধ্যমাসে এবার একটা থালায় বস্ত্র, আসন অঙ্গুরি, ফুল ইত্যাদি নিয়ে যজমান বলবেন :- এতানি বস্ত্র আসন অঙ্গুরিও পুজক ব্রাহ্মণে নমঃ। ব্রাহ্মণ বলবেন :- ওঁ স্বত্ত্বি। 
৭) সংকল্প =ওঁ বিষ্ণুরোম তৎসদ্য অদ্য মাঘ মাসে শুক্ল পক্ষে মকর রাশিস্থে পঞ্চম্যাং তিথৌ অমুক গোত্র অমুক দেবশর্ম্ম   চতুরবর্গ সিদ্ধি কামনার্থ মৎসংকল্পকিত অমুক ( যজমানের গত্র,) অমুক (যজমানের নাম ব্রাহ্মণ ছাড়া অন্য হলে নাম পদবী বলে দাসস্য/ দাসীস্য বলতে হবে।) নাম্নে লেখনী মস্যাধার সহিত সরস্বতী পূজা কর্মানি করিষ্য/করিষ্যামি ।( অপরের হলে "করিষ্যামি" বলবেন।আর নিজের হলে "মৎ সংকল্পকিত থেকে অমুক গোত্র অমুক নাম্নে" বাদ দিয়ে, "করিষ্যে" বলতে হব।)
৮)সংকল্প সুক্ত =(আপনি আপনার বেদ অনুযায়ী বলবেন  অনেকেই যযুরবেদের মন্ত্র বলে। বেদ কোনো কিছু বলে না। কারণ বেদ মানুষ কে তৈরি করেনি, মানুষ বেদ তৈরি করেছে।) যযুরবেদের মন্ত্র - ওঁ জযাগ্রত   দূরামূদৈতি তথৈবেতি দৈবং দুরাগম জ্যোতিষরেকংতণ্মে নম শিবায় সংকল্পায় রস্তু।সংকল্পতির্থাস সিদ্ধি রস্তুু। অয়ম  শুভারম্ভ ভবতু। সাম বেদীয়= ওঁ দেব বো দ্রবিনোদা পূর্ণাংবিবষ্টাসিচম।  ঊধ্বা সিঞ্চধ্ব মূপ  বা  পৃণধ্ব্  মাদিদ্বো  দেব ওহতে।ওঁ অস্য সংকল্লতির্থাস্য সিদ্ধি রস্তু। অয়ম শুভারম্ভ ভবতু।
৯)পঞ্চ গব্য শোধন:- (সংক্ষেপে পাঁচ জিনিস একত্রিত করে গায়ত্রী পাঠ করে শোধন করলে দোষ নেই।পাঁচটি হলো ১) গোময় ২) গোচোনা ৩) ঘি ৪)দুধ ৫)দধি
১০) অধিবাস।ক) মন্ত্রে :- এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ গাং গনেশায় নম। এতে গন্ধ পুষ্পে ওঁ শ্রী বিষ্ণবে নম।এতে গন্ধ পুষ্পে ওঁ গুরবে নম। এতে গন্ধ পুষ্পে ওঁ নম শিবায় নম। এতে গন্ধ পুষ্পে ওঁ হ্রীং দুুুর্গায়ৈ। এতে গন্ধে ওঁ ইন্দ্রাদি দশ দিক পালেভ্য নম। এতে গন্ধ পুষ্পে ওঁ মৎসাদি দশাবতারেভ্য নম। এতে গন্ধ পুষ্পে ওঁ কল্যাদি দশম মহাবিদ্যাভ্য নম। এতে গন্ধ পুষ্পে ওঁ কুল দেব দেবীভ্য নম। এতে গন্ধ পুষ্পে ওঁ ইষ্ট দেব দেবীভ্য নম।
খ) বরণ ডালা নিয়ে :- (সংক্ষেপে করুণ) অনেন প্রশস্তি পাত্রেন অস্য ঐং সরস্বতী দেবৈ নম।(ঘটের কাছে চার বার, মুখ মণ্ডলে চার বার আর সমগ্র অর্থাৎ দেবীর মুখ মণ্ডল থেকে ঘট পর্যন্ত তিন বার বরণ ডালা ঘুরিয়ে বরণ করবেন।) 
অনেন মঙ্গল সূত্রেন অস্য ঐং সরস্বতী দেবৈ নম। ( দেবীর বাম হস্তে মঙ্গল সূত্র বেঁধে দিতে হবে।এই অধিবাস অনেক বড়ো প্রতিটি দ্রব্যের মন্ত্র ধরে করতে হয়। সময় অভাবে সংক্ষেপে করা যায়। এখন ব্রাহ্মণের অভাব একজন কে অনেক গুলো পূজা করতে হয়। তাই এটা সংক্ষেপে করলে দোষ নাই।)
১১)সামান্য অর্ঘ্য :- নিজের সামনে ত্রিকোন মণ্ডল এঁকে তাতে পূজা করতে হবে। এতে গন্ধ পুষ্পে ওঁ আধার শক্তয়ে নম। এতে গন্ধ পুষ্পে ওঁ কুর্ম্মায় ।এতে গন্ধ পুষ্পে ওঁ অনন্তায়। এতে গন্ধ পুষ্পে ওঁ পৃথীবৈ নম। ওঁ ফট ( মন্ত্রে কোষা কুষিতে ।.      জল দিতে হবে তার পর কোষার উপর দিকে পূজা করতে হবে। মন্ত্র :- ওঁ অং অর্কমণ্ডলায় দ্বাদশ কলাত্মানেে নম। ওঁ উং সোম মণ্ডলায় ষোঢ়শ কলাত্মানে নম। ওঁ বং বহ্ণি মণ্ডলায় দশ কলাত্মানে নম। ( অঙ্কুশ মূদ্রায়  জলে হাত দিয়ে) ওঁ গঙ্গে চ যমুনে চৈব গোদাবরি সরস্বতী নর্মদে সিন্ধু কাবেরী জলহোস্মিন সন্নিদ্ধিং কুরু ।
১২)দ্বার পূজা :- (আহবান) ওঁ দ্বার দেবতা গন ইহগচ্ছ ইহগচ্ছ ইহতিষ্ট ইহতিষ্ট ইহসন্নিরুদ্ধস্ব ইহসন্নিরূধম অত্রাধিষ্ঠানং করু মম পূজাং গৃহান ভব ।( সংক্ষেপে)
এষো গন্ধ ওঁ দ্বার দেবগনভ্য নম ।
এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ দ্বার দেবগন ভ্য নম।
এষো ধূপ ওঁ দ্বার দেবগনভ্য নম।এষো দীপ দ্বার দেবগনভ্য নম।  এতৎ নৈবেদ্যম ওঁ দ্বার দেবগনভ্য নম।
১২) বিঘ্ন অপসারণ :- ওঁ অস্ত্রায় ফট।( বলে বাম পায়ের গোরালি দিয়ে ভুমিতে তিন বার আঘাত করতে হবেে।) 
১৩) মাস ভক্ত বলি :- বং এতেস্মৈ মাসভক্ত বলয়ে নম।( একটি মাটির খুড়ি বা কলা পাতা টুুকরো নিয়ে তার উপর মাস কলাই দই একটু মধু দিয়ে। এবার কুশ দিয়ে জলের ছিটে তার পর আহ্বান ও পূজা। )
ভূতদ্বয়ের আহ্বান =ওঁ ভূতদ্বয় ইহাগচ্ছ ইহাগচ্ছ ইহতিষ্ট ইহতিষ্ট ইহসন্নিরুদ্ধস্ব ইহসন্নিরূধম অত্রাধিষ্ঠানং করু মম পূজাং গৃহান ভব।
পূজা :- এষো গন্ধ ওঁ ভূত্যাদিভ্যোব নম।এতৎ পুষ্পম ওঁ ভূত্যাদিভ্যোব নম।এতৎ বিল্ব পত্র ওঁ ভূত্যাদিভ্যোব নম।এতৎ সম্প্রদানায় ওঁ ভূত্যাদিভ্যোব নম।ওঁ ভূতদ্বয় ক্ষমধ্বম ।( কুষি করে একটু জল দিতে হবে।)এবার হাত জোর করে। ওঁ ভূত প্রেত পিশ্চাস যে বসন্ত্র ভুতলে তে গৃহন্তু্ ময়া দত্ত বলিরেষ প্রসাদিতা পূজিতা গন্ধ পুষ্প দৈবির্লিতর্পিতুস্তা দেশস্মাৎ বিনিস্মৃত পূজাং পশন্তু মৎ কৃতাম।( এবার আতপ চাল/সাদা সরিষা ছড়াতে ছড়াতে।) ওঁ অপসর্পন্তু ভূত প্রেত পিশ্চাস সর্বে যে ভূতা বিঘ্ন করতারস্তেে নশ্যন্তু শিব আজ্ঞায়।অপসর্পন্তু পিশ্চাস রাক্ষশ্চাশ বেতালশ্চ সরীসৃপ অপসর্পন্তুতে চণ্ডিকাস্ত্রেন তাড়িতা।
১৪)আসন শুদ্ধি :- ( আসনের নীচে ত্রিকোন মণ্ডল এঁকে) ওঁঁ হ্রীং আধার শক্তয়ে কমলাসনায় নম। ( আসন ধরে।) অস্য আসন উপবেশন মন্ত্রস্য মেরুপৃষ্ঠ ঋষি সুতলুং ছন্দ কুর্ম্ম দেবতা আসন উপবেশনেে বিনিয়োগ।ওঁ ত্বয়া ধৃতা লোকাদেবী ত্বং বিষ্ণু না ধৃতা তঞ্চ ধারয় মাং নিত্যং পবিত্র কুরুচাসনম। (তালি দিয়ে গুরু পঙতি পাঠ করতে হবে।) ডানদিকে - ওঁ গাং গনেশায় নম। বাম দিকে - গুরুভ্য নম। পরম গুরভ্য নম ।পরমেষ্ঠী গুরভ্যে নম । ঊর্ধ্বে - ব্রহ্মণে নম।সম্মুখে :- ওঁ সরস্বতৈ দেবৈ নমঃ ।পশ্চাতে - ওঁ ক্ষেত্রপালভ্য নম
১৬)পুষ্প শুদ্ধি :- (  অঙ্গুষ্ঠ ও মধ্যমা দিয়ে ফুুল স্পর্শ করে ) ওঁঁ পুুষ্পকেতু রাজা হর্তে শতেয় সম্যকায় হুং।ওঁ পুষ্পে পুষ্পে সুপুষ্পেে মহাপুষ্পে পুষ্প চয়নকীর্বে চ হুং ফট স্বাহা ।
১৭) প্রণায়াম :- ঐং মন্ত্রে প্রাণায়াম বাম নাসা বন্ধ করে ডান দিয়ে শ্বাস নিতে নিতে দু বার। ডান নাসা বন্ধ করে বাম নাসা দিয়ে শ্বাস নিতে নিতে দুবার মুখ বন্ধ করে নাসা শ্বাস নিতে নিতে দুবার আবার নাসা বন্ধ করে মুখ দিয়ে শ্বাস নিতে নিতে দুবার মোট আট করতে হবে। ১৮)সংক্ষেপে ভূত শুদ্ধি :- রং মন্ত্রে কুশ ত্রিপত্র  নিজের চারপাশে জলের ছিটে দিয়ে নিতে হবে।  বলয়ে বসে আছি কল্পনা করে মন্ত্র বলতে হবে। ১)ওঁমূলশৃঙ্গাঠচ্ছির সূষমান্ন পথেন পরম শিব পদে যোজয়ামি স্বাহা। ২) ওঁঁ রং লিঙ্গং শরীরং শোষয় শোষয় স্বাহা । ৩) ওঁঁ  যং সংকোচং শরীরং দহ  দহ স্বাহা । ৪) ওঁঁ পরম শিব পদে সুষমান্ন পথেন মূলশৃঙ্গাঠ্যমূল্য জ্বল জ্বল প্রজ্বল প্রজ্বল সোহংঅস স্বাহা ।
১৯) করশুদ্ধি :- একটা লাল ফুল নিয়ে বৃর্দ্ধাঙ্গুষ্ঠ ও কনিষ্ঠা থেকে তর্জনীর অগ্র ভাগ দিয়ে  পেষণ করে ঈশাণ কোনে ওঁ অস্ত্রায় ফট, মন্ত্রে ছুঁড়ে দিতে হবে।
২০) মাতৃকা ন্যাস :- অস্য মাতৃকা মন্ত্রস্য ব্রহ্ম ঋষি গায়ত্রী ছন্দ মাতৃকা সরস্বতী হলো দেবতা বীজানি স্বরে শক্তেভ্য বীজেভ্য হলেভ্য নমঃ।মাতৃকান্যাসে বিনিয়োগ। ওঁ ব্রহ্মণ ঋষয়ে নম।ওঁ গায়ত্রী ছন্দসে নম।ওঁ মাতৃকা সরস্বতৈ নম ।ওঁ শরেভ্য শক্তেভ্য নম।ওঁ হলেভ্য্য বীজেভ্য নম ।ওঁ অবক্ত ক্লীকায় নম।
২১)অন্তর মাতৃকা ন্যাস ( যদি সব গুলোো সাথে নমঃ যোগ করে বলেন শুনতে ভালো লাগবে) :- ওঁ অং আং ইং ঈংউং ঊংঋং ঋং লীং লীংএং ঐং ওংঔংঅং অঃইতি কণ্ঠে। ওঁ কং খং গং ঘং ঙং চং ছং জং ঝং ঞং টং ঠং ইতি হৃদয়ে। ডং ঢং ণং তং থং দং ধং নং পং ফং ইতি নাভৌ।    বং ভং মং যং রং লং ইতি লিঙ্গ মূল।  ওঁ বং শং সং ষং ইতি মূলাধারে । ওঁ হং ক্ষং ইতি ভ্রূমধ্য।
২২) বাহ্য মাতৃকা ন্যাস :- ( নিজ শরীরের বিভিন্ন অংশে স্পর্শ করে বা দেবী  মূর্তি বিভিন্ন অংশ স্পর্শ করে করতে  পারেন।) পঞ্চাশলি পিভর্বি ভক্ত মুক্ষদা   ভাস্ব মৌলি চন্দ্রশ কলা মাপীন তুঙ্গস্তীনাম   মূদ্রা মোক্ষ গুনম পন্নমধ্য বক্ষ স্থলম হস্তাম্বুজ বিবর্ণভাঙ বিশদপ্রভাং ত্রিনয়নাং বাগদেবতা মাশ্রয়ে ।   ওঁ অং নম । ওঁ আং নম । ওঁ ইং নম। ওঁ ঈং নম। ওঁ উং নম। ওঁ ঊং নম। ওঁ এং নম। ওঁ ঐং নম। ওঁ অং নম। ওঁ অঃ নম। ওঁ কং নম। ওঁ খং নম। ওঁ গং নম। ওঁ ঘং নম । ওঁ ঙং নম।ওঁ চং নম। ওঁ ছং নম।ওঁ জং নম। ওঁ ঝং নম । ওঁ ঞং নম। ওঁ টং নম। ওঁ ঠং নম। ওঁ ডং নম। ওঁ ঢং নম। ওঁ ণং নম। ওঁ তং নম। ওঁ থং নম। ওঁ দং নম। ওঁ ধং নম। ওঁ নং নম। ওঁ পং নম। ওঁ ফং নম। ওঁ বং নম। ওঁ ভং নম। ওঁ মং নম। ওঁ যং নম। ওঁ রং নম। ওঁ লং নম। ওঁ বং নম। ওঁ শং নম। ওঁ সং নম। ওঁ ষং নম। ওঁ হং নম। ওঁ ক্ষং নম।
২৩) সংহার মাতৃকা ন্যাস :- ওঁ অক্ষস্রজং হরিণ পোত মৃদঙ্গ টঙ্ক বিদ্যাং করৈরবীরতীং দধিতীং ত্রিনেত্রাম।অর্দ্ধেন্দু মৌলিমরুণামরবিন্দবাসনং বর্ণেশ্বরীং প্রণমত স্তনভারনম্রাম। ওঁ ক্ষং নম।ওঁ হং নম। ওঁ সং নম। ওঁ শং নম। ওঁ ষং নম ।ওঁ বং নম ।ওঁ লং নম। ওঁ রং নম ।ওঁ যং নম ।ওঁ মং নম ।ওঁ ভং নম।ওঁ বং নম।ওঁ ফং নম ।ওঁ পং নম। ওঁ নং নম। ওঁ ধং নম।ওঁ দং নম।ওঁ থং নম ।ওঁ তং নম।ওঁ ঢং নম। ওঁ ডং নম।ওঁ ঠং নম। ওঁ টং নম।ওঁ ঞং নম। ওঁ ঝং নম।ওঁ জং নম। ওঁ ছং নম।ওঁ চং নম।ওঁ ঙং নম।ওঁ ঘং নম।ওঁ গং নম। ওঁ খং নম।ওঁ কং নম।ওঁ অং নম।ওঁ অঃ নম।ওঁ ঔং নম। ওঁ ওং নম।ওঁ ঐং নম।ওঁ এং নম।ওঁ লীং নম।ওঁ ল্লীং নম।ওঁ ঋং নম।ওঁ ঋং নম।
ওঁ ঊং নম। ওঁ উং নম। ওঁ ঈং নম।ওঁ ইং নম। ওঁ আং নম।ওঁ অং নম।
২৪) পীঠ ন্যাস :- ( একটি ফুল নিয়ে়ে,ঘট বসানোর জন্য যে অষ্ট দল পদ্ম আঁকা হয় সেই স্থানের চতুর্দিক ও মধ্যে স্পর্শ করে পীঠ ন্যস করতে হয়) ওঁ আধার শক্তয়ে নম।ওঁ কুর্ম্মায় নম।ওঁ অন্তায় নম।ওঁ পৃথীবৈ নম। ওঁ ক্ষীর সমুদ্রায়় নম। ওঁ শ্বেত দ্বীপায় নম। ওঁ মণিদ্বীপায় নম। ওঁ কল্পবৃক্ষায় নম। ওঁ মণি মণ্ডপায় নম। ওঁ রত্ন মণ্ডপায় নম। ওঁ রত্ন সিংহাসনায় নম। ওঁ রত্ন বেদিকায় নম। ওঁ ধর্মায় নম।ওঁ জ্ঞানায় নম। ওঁ বৈরাগ্যায় নম। ওঁ ঐশ্বর্যায় নম। ওঁ অধর্মায় নম। ওঁ অজ্ঞানায় নম। ওঁ অবৈরাগ্যায় নম। ওঁ অনৈশ্বার্যায় নম। ওঁ অনন্তায়় নম । ওঁ পদ্মায় নম। ওঁ অং অর্ক মণ্ডলায় দ্বাদশ কলাত্মানে নম। ওঁ উং সোম মণ্ডলায় ষোঢ়শ কলাত্মানে নম। ওঁ মং বহ্ণি মণ্ডলায় দশ কলাত্মানে নম। ওঁ রং রজসে নম।ওঁ তং তমসে নম।ওঁ আং আত্মনে নম। ওঁ অং অন্তর আত্মনে নম। ওঁ পং পরম আত্মনে নম। ওঁ হ্রীং জ্ঞান আত্মনে   নম। ওঁ মেধায়ৈ নম। ওঁ প্রজ্ঞায়ৈ নম। ওঁ প্রভায়ৈ নম। ওঁ শ্রিয়ৈ নম। ওঁ ধৃতৈ নম । ওঁ স্মৃতৈ নম। ওঁ   বিঘ্নাশ্বৈর্যৈৈ নম। ওঁ বর্ণকমলাশয় নম।
২৫)কর ন্যাস :- ওঁ অং কং খং গং ঘং ঙং আং অঙ্গুষ্ঠাভ্যাং নম । ওঁ ইং চং ছং জং ঝং ঞং ঈং তর্জনীভ্যাং স্বাহা । ওঁ উং টং ঠং ডং ঢং ণং ঊং মধ্যমাভ্যাং বৌষট । ওঁ এং তং থং দং ধং নং ঐং অনামিকা ভ্যাং হুং । ওঁ ওং পং ফং বং ভং মং ঔং কনিষ্ঠাভ্যাং বষট । ওঁ অং যং রং লং বং শং সং ষং হং লং ক্ষং অস্ত্রায় ফট।
২৬) অঙ্গ ন্যাস :- ওঁ অং কং খং গং ঘং ঙং আং হৃদয়ায় নম।ওঁ ইং চং ছং জং ঝং ঞং ঈং শিরসে স্বাহা। ওঁ উং টং ঠং ডং ঢং ণং ঊং শিখায় বৌষট।ওঁ এং তং থং দং ধং নং কবচায় হুং। ওঁ ওং পং ফং বং ভং মং ঔং নেত্রায় বষট। ওঁ যং রং লং বং শং সং ষং হং লং ক্ষং অস্ত্রায় ফট।
২৭) ব্যাপকন্যাস :- একটি ফুল নিয়ে শরীরের মাথা থেকে পা পর্যন্ত পাঁচ বার "ঐং" মন্ত্র পাঠ করতে হবে।
২৮) ঋষ্যাদি ন্যাস :- শিরশি - ওঁ কন্বয় ঋষয় নম। মুখে ওঁ বিরাড় গায়ত্রী ছন্দসে নম। হৃদি - ওঁ বাগীশ্বর্য্যৈ দেবাতায়ৈ নম।
২৯) ধ্যান :- ওঁ তরুণশ কলামিন্দ শুভ্রকান্তি বিভ্রতী। কুচভরনম মিতাঙ্গী সন্নিসনা সিতাব্জে । নিজকর কমলোদ্যলেখনী পুস্তকশ্রী । সকল বিভবসিদ্ধৈ পাতু বাগ দেবতা নঃ।
৩০) মানস পূজা :- নিজ হৃদপদ্মে দেবী কে চিন্তা করে হৃদয় কে নৈবেদ্য মনকে অর্ঘ্য প্রানবায়ূ কে ধূপ তেজ সরূপকে দীপ চিন্তা করতে করতে দেবীর পদে নিজে কে বিলীন করে দিতে হবে।
৩১) বিশেষ অর্ঘ্য স্থাপন:- স্ব বামে ত্রিকোন মণ্ডল এঁকে তার উপর ত্রিপাদিকা রেখে 'ফট' মন্ত্রে শঙ্খ রেখে ' নম' মন্ত্রে কিঞ্চিৎ জল দিয়ে দূর্বা ক্ষত ( ধান খোঁটা চাল ও দূর্বা আলতা পাতা দিয়ে বাঁধা অর্ঘ্য) রেখে বিলোম মাতৃকা ন্যাস করে জল দিয়ে শঙ্খ পূর্ণ করে নিতে হবে।(নমঃ যোগ করে বললে ভালো লাগবে) ওঁ ক্ষং লং হং সং শং ষং বং লং রং যং মং ভং বং ফং পং নং ধং দং থং তং ণং ঢং ডং ঠং টং ঞং ঝং জং ছং চং ঙং ঘং গং খং কং অং অঃ ঔং ওং ঐং এং ঋং লীং ঊং উং ঈং ইং আং অং। ( জল পূর্ণ করে এবার অর্ঘ্যের উপর ফুল দিয়ে পূজা করতে হবে।) ওঁ অং অর্কমণ্ডলায় দ্বাদশ কলাত্মানে নম। ওঁ উং সোম মণ্ডলায় ষোঢ়শ কলাত্মানে নম। ওঁ মং বহ্ণি মণ্ডলায় দশ কলাত্মানে নম। ( এবার জল স্পর্শ করে) ওঁঁ গঙ্গে চ যমুনে চৈব গোদাবরি সরস্বতী নর্মদে সিন্ধু কাবেরী জলহোস্মিন সন্নিদ্ধিং কুরু।
( বিশেষ অর্ঘ্যের জল কুশ ত্রিপত্র করে ছিটিয়ে দিতে হবে। একটু কোশায় ঢেলে দিতে হবে।)
৩২) পীঠ পূজা :- ( অষ্ট দল পদ্ম আঁকা বাা ঘট বসানোর স্থানে পূূজা করতে হবে) ওঁঁ মণ্ডলায় নম।ওঁ পীঠ দেবতা গন ইহগচ্ছ ইহগচ্ছ ইহতিষ্ট ইহতিষ্ট ইহসন্নিরুদ্ধস্ব ইহসন্নিরূধম অত্রাধিষ্ঠানং করু মম পূজাং গৃহান ভব। এতে গন্ধ পুষ্পে ওঁ আধার শক্তয়ে নম।এতে গন্ধ পুষ্পে ওঁ প্রকৃত্যৈ নম । এতে গন্ধ পুষ্পে ওঁ  কুর্ম্মায় নম । এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ অনন্তায় নম। এতে গন্ধ পুষ্পে ওঁ পৃথীবৈ নম। এতে গন্ধ পুষ্পে ওঁ ক্ষীরসমুদ্রায় নম। এতে গন্ধ পুষ্পে ওঁ শ্বেতদ্বীপায় নম। এতে গন্ধ পুষ্পে ওঁ মণিদ্বীপায় নম। এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ মণিবেদিকায় নম। এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ রত্নসিংহাসনায় নম। এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ ধর্মায় নম। এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ জ্ঞানায় নম। এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ বৈরাগ্যায় নম। এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ ঐশ্বর্য্যায় নম। এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ অধর্মায় নম। এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ অবৈরগ্যায় নম। এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ অনাশ্বৈর্য্যায় নম।এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ অনন্তায় নম ।এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ পং পদ্মায় নম । এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ অং অর্ক মণ্ডলায় দ্বাদশ কলাত্মানে নম। এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ উং সোম মণ্ডলায় ষোঢ়শ কলাত্মানে নম।এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ মং বহ্ণি মণ্ডলায় দশ কলাত্মানে নম। এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ রং রজসে নম।এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ তং তমসে নম। এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ সং সত্ত্বায় নম । এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ আং আত্মনে নম। এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ অং অন্তর আত্মেন নম। এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ পং পরম আত্মেন নম। এতে গন্ধ পুষ্পে ওঁ হ্রীং জ্ঞান আত্মেন নম। এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ মেধায়ৈ নম। এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ প্রজ্ঞায়ৈ নম। এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ বুদ্ধিয়ৈ নম। এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ শ্রিয়ৈ নম। এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ স্মৃতিয়ৈ নম। এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ বিশুদ্ধায়ৈ নম। এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ ধৃতৈ নম। এতে গন্ধ পুষ্পে ওঁ বিঘ্নশ্বৈর্য্যায়ৈ নম। এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ বর্ণকমলাশনায় নম।
৩৩) ঘট স্থাপন :- ( সাম বেদীয়)মাটি স্পর্শ করে :- ওঁ মহীত্রানবরস্তু দুক্ষ্যং মিত্রসার্যমন দূরাধর্ষং বরুণস্য। ধান স্পর্শ করে :- ওঁ ধানবন্তম করণনীভম করম্ভিনমপূ পবন্ত মুকথীনম।ইন্দ্র পাতুত প্রাতর্জ্জুযস্ব ন। কলস বা ঘট স্পর্শ করে :- ওঁ আবিশন কলসং সূতবিশ্বাঅর্ষন্নভিশ্রিয়ঃ। ইন্দুরিন্দ্রায় ধীয়তে। জল স্পর্শ করে :- ওঁ আ ন মিত্রাবরুণা ঘৃতৈর্গব্যূতিমুক্ষতম। মধ্বা রজহংসি সক্রতু। পল্লব স্পর্শ করে :- ওঁ অয়া মূর্জ্জাবতং বৃক্ষ ঊর্জ্জীব ফলানি ভব।পর্ণ বনোস্পতে নূত্ত্বা নূত্ত্বা চ সূয়তাং রয়ি। ফল বা ডাব স্পর্শ করে :- ওঁ ইন্দ্র নরো নেমেধিতা হবন্তো যৎপর্যা যুনজতে ধীয়স্তাঃ। শূর নৃষতা শ্রবশ্চা কাম আ গোমতি ব্রজে ভজা ত্বং। বস্ত্র স্পর্শ করে:- ওঁ যুবা সুবাসাঃ পরিবৃত আগত স উ শ্রেয়ান ভাবিত যায়মান। ত্বং ধীরসা কবয় উন্নত্তি    স্বাধ্যে মনসা দেবয়ন্তঃ। সিন্দুর স্পর্শ করে :-- ওঁ সিন্দোরুচ্ছাসে পতয়ন্তমুক্ষণং হিরণ্যপাবাঃ পশমপসুগৃভণতেঃ। স্থিরি করণ :- ওঁ তাবত্ব পুরোবস বয়মিন্দ প্রণতঃ । স্মসি স্থাতর্হরীনাম। স্থাং স্থিং স্থির ভব । তীর্থ আহ্বান :- ওঁ গঙ্গদা সরসি চ সমুদ্রাংশচ সরিতা। আয়ন্তু যজমানস্য দূরিত ক্ষয় কারক । এবার হাত জোড় করে :- ওঁ সর্ব তীর্থদ্ভব বারি সর্ব দেব সমন্বিত ইমং ঘটং সমারূহ্য তিষ্ঠ দেবি গণৈ সহ।
৩৪) (কুশ ত্রিপত্র দিয়ে পঞ্চচ গব্য ছিটিয়ে ) বেদি শোধন :- ওঁ বেদ্যা বেদিঃ সমপাতে বহির্ষা বর্হিরিন্দ্রায় যুপেন যুপ আপ্যায়তং প্রণোতোহরগ্নিনা।
৩৫) (কুশ ত্রিপত্র দিয়ে পঞ্চ গব্য ছিটিয়ে ) বিতান শোধন :- উপর যদি চাঁদোয়া থাকে তবে ওঁ উর্দ্ধ উ যু ন উতয়ে তিষ্ঠা দেব ন সবিতা। ঊর্দ্ধো বাজস্য সবিতা যদঞ্জি ভির্ব্বা ঘদ্ভি বিহ্বয়া মহে।
৩৬) (তীরকাঠি পর্শ্ব করে ) কাণ্ড রোপন:- ওঁ কাণ্ডৎ কাণ্ডৎ প্রহরোন্তি পুরুষ পুরুষ-পরি । এবেন দূর্বেন প্রতেনু সহস্রেন শতনে চ ।
৩৭) সূত্র বেষ্টন :- ওঁ সূত্রমাং পৃথিবীং দামহ্যেসং সুশর্ম্মান মদীতং সুপ্রনিতীম । দৈবাং নাবাং সরিত্রাম নাগ মা রুহেমা স্বস্তয়ে ।
৩৮) আহ্বান :- ওঁ ভূর্বস্ব স্বর্ভগবতি সরস্বতী দেবী ইহাগচ্ছ ইহাগচ্ছ ইহতিষ্ট ইহতিষ্ট ইহসন্নিরুদ্ধস্ব ইহসন্নিরূধম অত্রাধিষ্ঠানং করু মম পূজাং গৃহান ভব ।
হাত জোর করে, " ওঁ দেবেশি ভক্তি সুলভে পরিবার সমন্বিতে। যাবত্বাং পূজিয়াষমি তাবত্বাং সুস্থিরাভব ।
৩৯) চক্ষু দান :- বিল্ব পত্রে ঘী মাখিয়ে প্রদীপ ধরে কাজল করে নিয়ে ঐং মূল মন্ত্রে প্রথম বাম নেত্র পরে দক্ষিণ নেত্রে ঠেকিয়ে চক্ষু দান করতে হবে। অথবা বাম নেত্রে :- ওঁ আপ্যায়স সমেতু তে বিশ্বত সোম বিষ্ণম।ভব বাজস্য সঙ্গতে। দক্ষিণ নেত্রে :- ওঁ দেবানমুদগাদানিকং চক্ষু মিত্রস্য বরুণাস্যাগ্নে। আ প্রা দ্যাবা পৃথিবী অন্তরীক্ষ সূর্য আত্মা স্থূশ্চয় ।
৪০)প্রাণ প্রতিষ্ঠা :- ওঁ আং  হ্রীং ক্রোং যং রং লং বং ষং শং সং হৌং হংস। সরস্বতী দেব্যা জীব ইহ স্থিত। ওঁ আং  হ্রীং ক্রোং যং রং লং বং ষং শং সং হৌং হংস। সরস্বতী দেব্যা প্রাণা ইহ স্থিত।ওঁ আং  হ্রীং ক্রোং যং রং লং বং ষং শং সং হং হৌংস সরস্বতী দেব্যা সর্বইন্দ্রায় ইহস্থিতা ।ওঁ আং হ্রীং ক্রোং যং রং লং বং ষং শং সং হং হৌংস সরস্বতী দেব্যা বাঙ্মচক্ষুশ্রোতাঘ্রানাপ্রাণা চির সুখং ইহ তিষ্ঠন্তু স্বাহা । ওঁ মনোজ্যোর্তিজ্জুষ্যা -মাজস্য বৃহস্পতিরযজ্ঞমিমং তনোতু। অরিষ্টং যজ্ঞ সমিমং দধাতু।  বিশ্বদেবাস  ইহ মাদয়ন্তা মম প্রতিষ্ঠ, অসৈ প্রাণ প্রতিষ্ঠন্তু অসৈ প্রাণ ক্ষরন্ত চ অসৈ দেবতা সংখ্যায়ৈ স্বাহা । এবার ঐং মন্ত্র তিন বার পাঠ করতে হবে।
৪১) পঞ্চ দেবতার পূজা :- ক) গনেশের পূজা :- ধ্যান :- ওঁ খর্ব্বং স্থুল তনুং গজেন্দ্র বদনং লম্বোদরং গজাননম প্রসন্দম্মদগন্ধলুদ্ধমধূপ ব্যালোল গণ্ডোস্থলম।দন্তাঘাতে বিদারিতারি রুধৈরৈ সিন্দুর শোভাকরম ।বন্দে শৈলসূতা সূতং গনপতি সিদ্ধিপ্রদ কামদম । আহ্বান :- ওঁ ভূর্বস্ব গাং গনপতে ইহাগচ্ছ ইহাগচ্ছ ইহতিষ্ট ইহতিষ্ট ইহসন্নিরুদ্ধস্ব ইহসন্নিরূধম অত্রাধিষ্ঠানং করু মম পূজাং গৃহান ভব । পঞ্চ উপাচারে পূজা :- এষো গন্ধ ওঁ গাং গনেশায় নম । এতৎ পুষ্পম ওঁ গাং গনেশায় নম । এষো ধূপ ওঁ গাং গনেশায় নম । এষো দীপ ওঁ গাং গনেশায় নম ।এতৎ সোপকরণ নৈবেদ্যম ওঁ গাং গনেশায় নম ।
প্রণাম :- ওঁ এক দন্তং মহাকায়ং লম্বোদরং গজাননম। বিঘ্ন নাশকরম দেবং হেরম্বং প্রণমহম।
সূর্য পূজা:- ধ্যান :- ওঁ রক্তাম্বুজাসনম শেষগুনার্কৈ সিন্ধু ভানুং। সমস্ত জগতামধিপ ভজামি পদ্মদয় বরাভয় দধাতন করাব্জৈমৌলিমরুনাঙ্গ রুচিং ত্রিনেত্রাম ।
আহ্বান :- ওঁ শ্রী সূর্যায় ইহাগচ্ছ ইহাগচ্ছ ইহতিষ্ট ইহতিষ্ট ইহসন্নিরুদ্ধস্ব ইহসন্নিরূধম অত্রাধিষ্ঠানং করু মম পূজাং গৃহান ভব ।
পূজা :- এষো গন্ধ ওঁ শ্রী সূর্যায় নম ।এতৎ পুষ্পম ওঁ শ্রী সূর্যায় নম। এষো ধূপ ওঁ শ্রী সূর্যায় নম। এষো দীপ ওঁ শ্রী সূর্যায় নম। এতৎ সপোকরণ নৈবেদ্য ওঁ শ্রী সূর্যায় নম।
প্রণাম :- ওঁ জবা কুসুম সংঙ্কাশং কাশ্যপেয়ং  মহাদ্যুতিং    ধনত্বারিং সর্বপাপঘ্ন প্রণোতোস্মি দিবাকরম।
বিষ্ণু পূজা :- ধ্যান :-  ওঁ ধেয় সদা সবৃতমণ্ডল মধ্যবর্তী নারায়ণ সরসিজাসন সন্নিবেষ্টিত কেয়ূরবান কণক কুণ্ডলবান কীরিটীহারি হিরণ্ময় বপু ধৃত শঙ্খ চক্র।
আহ্বান :- ওঁ নারায়ণ শ্রী বিষ্ণবে ইহাগচ্ছ ইহাগচ্ছ ইহতিষ্ট ইহতিষ্ট ইহসন্নিরুদ্ধস্ব ইহসন্নিরূধম অত্রাধিষ্ঠানং করু মম পূজাং গৃহান ভব ।
পূজা :- এষো গন্ধ ওঁ নারায়ণ শ্রী বিষ্ণবে নম । এতৎ পুষ্পম ওঁ নারায়ণ শ্রী বিষ্ণবে নম। এষো ধূপ ওঁ নারায়ণ শ্রী বিষ্ণবে নম । এষো দীপ ওঁ নারায়ণ শ্রী বিষ্ণবে নম ।
এতৎ সপোকরণ নৈবেদ্য ওঁ নারায়ণ শ্রী বিষ্ণবে নম ।
প্রণাম :-- ওঁ নমহ ব্রহ্মণ দেবায় গো ব্রহ্মণ হিতায় চ জগৎ ধৃতায় কৃষ্ণায় গোবিন্দায় নারায়ণ নমহস্তুতে ।
শিবের পূজা :-  ধ্যান :- ওঁ ধ্যায়ে নিত্যং মহেশং রজত গিরি নিভনং চারুচন্দ্রবতনংসং। রত্নকল্পোজ্জ্বলাঙ্গ পরশু মৃগ বরা ভীতি হস্তং প্রসন্নম। পদ্মাসন স্তুতম মরগৈন্য ব্যাঘ্র কৃতিবসনাং বিশ্বদ্যাং বিশ্ববীজং নিখিল ভয়হরং পঞ্চবক্তং ত্রিনেত্রাম ।
আহ্বান :- ওঁ নম শিবায় ইহাগচ্ছ ইহাগচ্ছ ইহতিষ্ট ইহতিষ্ট ইহসন্নিরুদ্ধস্ব ইহসন্নিরূধম অত্রাধিষ্ঠানং করু মম পূজাং গৃহান ভব ।
পূজা :- এষো গন্ধ ওঁ নম শিবায় নম। এতৎ পুষ্পম ওঁ নম শিবায় নম । এষো ধূপ ওঁ নম শিবায় নম । এষো দীপ ওঁ নম শিবায় নম। এতৎ নৈবেদ্যম ওঁ নম শিবায় নম।
প্রণাম :- ওঁ নম শিবায় শান্তায় কারণ ত্রয় হেতবে নিবেদয়ামি চাত্মাং ত্বং গতি পরমেশ্বরো।
দুর্গা পূজা:- ওঁ কালাভ্রাভাং কটাক্ষৈরি কুলভয়দ্যাং মৌলিবদ্ধেন্দুরেখাং । শঙ্খ চক্র কৃপাণ ত্রিশিখমোপি কররৈরুধ্ব হন্তীং । সিংহ স্কন্ধাধিরূঢ়াং ত্রিভুবন মখিলং তেজসপুরায়ন্তীং ধ্যায়ে দুর্গাং জয়াখ্যাং ত্রিদশপরিবৃত্তাং সেবিতাং সিদ্ধিকাময়ৈ ।
আহ্বান :- ওঁ হ্রীং দুর্গায়ৈ ইহাগচ্ছ ইহাগচ্ছ ইহতিষ্ট ইহতিষ্ট ইহসন্নিরুদ্ধস্ব ইহসন্নিরূধম অত্রাধিষ্ঠানং করু মম পূজাং গৃহান ভব ।
পূজা :- এষো গন্ধ ওঁ হ্রীং দুর্গায়ৈ নম। এতৎ পুষ্পম ওঁ হ্রীং দুর্গায়ৈ নম । এষো ধূপ ওঁ হ্রীং দুর্গায়ৈ নম। এষো দীপ ওঁ হ্রীং দুর্গায়ৈ নম । এতৎ নৈবেদ্যম ওঁ হ্রীং দুর্গায়ৈ নম।
প্রণাম :- ওঁ সর্ব মঙ্গল মঙ্গলে শিবে সর্বাত সাধিকে স্মরণে ত্রম্বকে গৌরি নরায়নী নমহস্তুতে ।
কয়েকটি দেবতার পূজা :- এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ ব্রাহ্মণে নম। এতে গন্ধ পুষ্পে ওঁ যাং যমুনায় নম । এতে গন্ধ পুষ্পে ওঁ গাং গঙ্গায় নম । এতে গন্ধ পুষ্পে ওঁ সর্ব দেব দেবীভ্য নম ।
৪২) প্রধান পূজা :- ধ্যান :- ওঁ তরুণাশ কলামিন্দ বিভ্রতি শুভ্রকান্তী । কুচভরণম মিতাঙ্গী সন্নিসনা সিতাব্জে । নিজ করকমলোদ্দলেখনী পুস্তকশ্রী। সকল বিভসিদ্ধৌ পাতু বাগ দেবতা ন।
ধ্যানের পর পঞ্চ উপাচারে /দশম উপাচারে / ষোলো উপাচারে পূজা করতে পারেন। প্রতি ক্ষেত্রে প্রথম সম্প্রদান করে, নিবেদন করবেন। পঞ্চ উপাচার হলো। ১)গন্ধ ২) পুষ্প ৩) ধূপ ৪) দীপ ৫) নৈবেদ্য । দশম উপাচার ১) রজত আসন ২) পাদ্য ৩) অর্ঘ্য ৪) স্নানীয় ৫) বস্ত্র ৬) গন্ধ ৭) পুষ্প ৮) ধূপ ৯) দীপ ১০) নৈবেদ্য ।
ষোলো উপাচার ১) রজত আসন ২) পাদ্য ৩) অর্ঘ্য ৪) আচমনীয় ৫) মধু পর্ক ৬) পুনঃ আচমনীয় ৭) স্নানীয় ৮) বস্ত্র ৯) আভরণ ১০) গন্ধ ১১) পুষ্প ১২) ধূপ ১৩) দীপ ১৪) নৈবেদ্য ১৫) তাম্বুল ১৬) পুষ্প মালা প্রতিটি দ্রব্য এই মন্ত্রে কুশ ত্রিপত্রের তিন বার জল ছিটিয়ে সম্প্রদান করে নেবেন।
সম্প্রদানের মন্ত্র :- বং এতেস্মৈ রজত আসনায় নম। এতে গন্ধ পুষ্পে এতধিপতয়ে দেবায় শ্রী বিষ্ণবে নম ।এতৎ সম্প্রদানায় ওঁ ঐং শ্রী শ্রী সরস্বতীয়ৈ নম। ইদম রজত আসনায় ওঁ ঐং সরস্বতীয়ৈ নম। যদি সব বলতে চান তবে ইদম রজত আসনায় আগে বলুন ওঁ আসন গৃহান দেবেশি যৎকৃতং শোভোনয় সর্ব কাম ফলং দেবি বাগেশ্বরী নমহস্তুতে । এ বিষয়ে যে কোন ভালো বই দেখে নিতে পারেন।
এরপর লক্ষী পূজা করতে হবে।
লক্ষীর ধ্যান :- ওঁ পাশাক্ষমালিকাম্ভোজ সৃন্নিভির্যাম্যায় সৌম্য।  পদ্মাসনস্থাং ধ্যায়ে শ্রীয়ং তৈলক্য মাতরম । গৌরবর্ণ সুরূপাঞ্চ সর্বালঙ্কার ভূষিতাম। রৌক্মপদ্ম ব্যাগ্র করং বরদাং দক্ষিণেনতু ।
পূজা :- পঞ্চ উপাচারে পূজা করুন ।
প্রণাম :- ওঁ বিশ্বরূপ ভার্যাসি পদ্মে পদ্মালয়ে শুভে সর্বত্র পাহিমাং দেবী মহালক্ষী নমহস্তুতে ।
ফুল দিয়ে কয়েক টি পূজা :- এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ পুস্তকেভ্য নম। এতে গন্ধ পুষ্পে ওঁ মস্যাধার নম।এতে গন্ধ পুষ্পে ওঁ লেখ্যনীয় নম । এতে গন্ধ পুষ্পে ওঁ হংস বাহনায় নম।এতে গন্ধ পুষ্পে ওঁ বাদ্যযন্ত্রায় নম। ইদং রাগ বস্তুনা ওঁ ঐং সরস্বতৈ নম। ( রাগ বস্তু আবীর)
ব্রাহ্মণের পুষ্পাঞ্জলী :- ওঁ জয় জয় দেবী চরাচরসারে কুচযুগশোভিত মুক্তাহারে। বিনারঞ্জিত পুস্তক হস্তে ভগবতী ভারতী দেবী নমহস্তুতে। এষো সচন্দন গন্ধ পুষ্প বিল্ব পত্রাঞ্জলী ওঁ ঐং সরস্বতৈ নম। ওঁ সরস্বতী মহাভাগে বিদ্যে কমলোচনে বিদ্যারূপে বিশালাক্ষী বিদ্যাং দেহি নমহস্তুতে ।এষো    সচন্দন পুষ্প বিল্ব পত্রাঞ্জলী ওঁ ঐং সরস্বতৈ নমহস্তুতে ।সা মে ভবতু জীহ্বাং বীনা পুস্তক ধারীণী। মুরারী বল্লভাং সর্ব্ব শুক্লা সরস্বতী নম। এষো সচন্দন পুষ্প বিল্ব পত্রাঞ্জলী ওঁ ঐং সরস্বতৈ নম।
প্রণাম মন্ত্র :- নমঃ সরস্বতৈ নমঃ নিত্যং নমঃ ভদ্রকালৈ নমঃ নমঃ । বেদ বেদাঙ্গ বিদ্যাস্থানেভ্য এ বচ।
সাধারণের পুষ্পাঞ্জলী:- নমঃ অপবিত্র পবিত্র বা সর্বাস্থাং গতহোপিবা যৎস্মরেৎ পুণ্ডরীকাক্ষং স্ব বাহ্য অভ্যান্তর শুচি মাধব মাধব বাচি । এবার ফুল বেলপাতা নিয়ে এই মন্ত্রে তিন বার অঞ্জলী দেওয়াতে হবে। ব্রাহ্মণরা নমঃ স্থানে ওঁ বলবেন।
নমঃ ভদ্রকালৈ নমঃ নিত্যং সরস্বতৈ নমঃ নমঃ । বেদ বেদাঙ্গ বিদ্যাস্থানেভ্য এ বচ। এষো সচন্দন পুষ্প বিল্ব পত্রাঞ্জলী নমঃ সরস্বতৈ নমঃ।
প্রণাম মন্ত্র :- নমঃ সরস্বতৈ মহাভাগে বিদ্যে কমলে লোচনে বিদ্যারূপে বিশালাক্ষী বিদ্যাং দেহি সরস্বতৈ নমহস্তুতে ।
হোম:- এক হাত চওড়া, এক হাত লম্বা পরিষ্কার বালি দিয়ে হোমের স্থান বা সণ্ডিল স্থাপন করে প্রাদেশ প্রমাণ কুশ পূর্বাগ্রে বসিয়ে মধ্যমা ও বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠ দিয়ে বালি তুলে
ঈশান কোনে ফেলতে হবে। সণ্ডিলের দক্ষিণ দিকে কুশ দিয়ে ব্রহ্মার আসন করে নিতে হবে । আর উত্তর দিকে কুশ দিয়ে অন্য সকল দ্রব্য রাখার আসন করে নিতে হবে। অন্য দ্রব্য হলো সমিধ বিল্ব পত্র ( সমিধ হলো যজ্ঞ ডুমুরের ডগ )
এবার সণ্ডিলের উপর কাঠ সাজিয়ে একটি নতুন পিতল বা মাটির সরায় আগুন নিয়ে। এই মন্ত্রে সণ্ডিলের দক্ষিণ দিকে দিতে হবে । মন্ত্র :-  ওঁ ক্রাব্যদম অগ্নি     ইহপোহিনমি দূরং যম রাজ্যং গচ্ছতু রিপ্রবাহ ।এরপর নিজের সামনের দিকে সণ্ডিলে আগুন দিতে হবে। মন্ত্র :- ওঁ ইহবায়মিতর জাতবেদা হব্যং বহতু প্রজননম। এবার হাতজোড় করে, মন্ত্র :- ওঁ সর্বত্রহি পানিপাদান্ত সর্বত্রহক্ষিশিরোমুখ । বিশ্বরূপ মহা অগ্নি প্রণীত সর্ব কর্মেসু। এবার কোনো ব্রাহ্মণ ব্রহ্মা না হলে নারায়ণ শিলাকে দক্ষিণ তৈরি ব্রহ্মার আসনে বসিয়ে দিয়ে এই মন্ত্র বলতে হবে। মন্ত্র :- ওঁ অহেদধিষদ বোদতস্তিষ্ঠান্যাস সদনে সীদ যোহৎস্মাতপাকতর।
এবার ব্রহ্মার আসন থেকে একটি কুশ টেনে নিয়ে ঈশান কোনে ফেলে দিতে হবে ।মন্ত্র :- ওঁ নিরস্ত পাপান্ন সহ তেন বয়ং দিস্ম ।
এবার হাত জোর করে বলতে হবে। মন্ত্র :- ওঁ ইদমহং বৃহস্পতে সদনে সীদমি তদমগ্নে প্রবব্রীমি ।তদাবয়ব তৎপৃথিবী। পবিত্র ছেদন :- ওঁ পবিত্রস্থ বিষ্ণব । সমার্জন কুশ মোট ছ গাছি প্রাদেশ প্রমাণ করে নিতে হবে । ওঁ বিষ্ণশর্ম পুস্তেথ।এবার তিন গাজি পবিত্র ( প্রাদেশ প্রমাণ কুশ) ঘৃত মাখিয়ে এই মন্ত্রে দিতে হবে। মন্ত্র :- ওঁ সবিস্তুত্বা প্রসব উৎপণূমছিদ্রেন পবিত্রনেঃ বসো সূর্যস্য রস্মিভি স্বাহা । এবার সর্মাজন নিয়ে কুশ ও কুশিতে জল নিয়ে সণ্ডিলের ঈশান কোন থেকে শুরু করে দক্ষিণ কোন দিয়ে ঘুরিয়ে ঈশান কোন পর্যন্ত আনতে হবে। মন্ত্র :- ওঁ এষো হে দেব প্রদেশিনু সর্ব্বো হঃ জাত স উ গর্ভস্থঃ স এবং জাত ন জনিষমান্য প্রত্যাঞ্জনতিষ্ঠতি সর্বতমুখং। এবার ঘি দিয়ে কয়েক টি দেবতা কে উৎসর্গ করে নিতে হবে। ওঁ প্রজাপতয়ে স্বাহা ইদমং প্রজাপতয়ে।ওঁ ইন্দ্রায় স্বাহা ইদমং ইন্দ্রায়ে । ওঁ অগ্নায় স্বাহা ইদমং অগ্নায়ে । ওঁ সোমায় স্বাহা ইদমং সোমায়ে ।
মহাব্যহিত হোম :- ওঁ ভুঃ স্বাহা ইদমং অগ্নায়ে । ওঁ ভুবঃ স্বাহা ইদমং বায়বে । ওঁ স্ব স্বাহা ইদমং সূর্যায়ে।
প্রকৃত হোম :ওঁ বিষ্ণুরোম তৎসদ্য অদ্য মাঘ মাসে মকররাশিস্থে শুক্ল পক্ষে ভাস্করে পঞ্চম্যাংতিথৌ অমুক গোত্রস্য অমুক নাম্নে মৎ সংকল্প কৃত অমুক গোত্র অমুক নাম্নে সহেতি মন্ত্রেন প্রত্যেকেন পঠিতেন অষ্টদ্বাবিংশ সাজ্য বিল্ব পত্র সমিধিভি সহ হোম কর্মাহং করিষ্যামি ।
অগ্নির নাম করণ :- অগ্নে ত্বং সমুদ্ভবানামাসি । অগ্নির ধ্যান :- পৃঙ্গ ভ্রূ শ্মুমশ্রূ শ্রূ কেশাক্ষ পৃণাঙ্গ জঠোররুনা ।ছাগস্থ সাক্ষ সূত্রাগ্নি সপ্তর্চি শক্তি ধারক। 
আহ্বান :- সমুদ্ভবা নামাগ্নে ইহাগচ্ছ ইহাগচ্ছ ইহতিষ্ঠ ইহতিষ্ঠ ইহসন্নিরুধ্যত্ত ইহসন্নিরুধ্যস্ব অত্রাধিষ্ঠান করুত মম পুজো গৃহ্নীত ।এষো গন্ধ ওঁ সমুদ্ভবা নামাগ্নে নমঃ ।এতৎ পুষ্পম ওঁ সমুদ্ভবা নামাগ্নে নমঃ ।এষো ধূপ ওঁ সমুদ্ভবা নামাগ্নে নমঃ ।এষো দীপ ওঁ সমুদ্ভবা নামাগ্নে নমঃ । এতৎ হব্য নৈবেদ্যম ওঁ সমুদ্ভবা নামাগ্নে নমঃ ।
সম্প্রদান:- ওঁ এতধিপতয়ে দেবায় শ্রী বিষ্ণবে নম, এতৎ    অষ্টদ্বাবিংশতি সাজ্য বিল্ব পত্র সমিধিভি, সম্প্রদানায় ওঁ সরস্বতৈ নম । এবার আঠাশটি বিল্ব পত্র ঘিয়ে ডুবিয়ে এই মন্ত্রে চিৎ ভাবে হোম কুণ্ডে দিতে হবে। মন্ত্র :- ওঁ ঐং সরস্বতৈ স্বাহা ।
উদীচ কর্ম :- ওঁ বিষ্ণুরোম তৎসদ্য মাঘ মাসি শুক্ল পক্ষে পঞ্চম্যাংতিথৌ অমুক গোত্রস্য অমুক দাস্যস সংকল্পিত হোম কর্মানি যৎকিঞ্চিৎদ্বৈগুণ্যং জাতং তদ্দোষ প্রশমনায় ব্যস্ত সমস্ত মহাব্যাহৃতিভিঃ প্রায়শ্চিত হোমংমোহং করিষ্যে । অগ্নির নাম করণ করে নিতে হবে। অগ্নে ত্বং বিধুনামাসি । ধ্যান :- পিঙ্গভ্রূ শশ্মুশ্রূ কেশাক্ষ, পিনাঙ্গ জঠোরুণা। ছাগস্ত সাক্ষ সূত্রাগ্নি সপ্তর্চি শক্তি ধারক। আহ্বান :- বিধুনামাগ্নে ইহাগচ্ছ ইহাগচ্ছ ইহতিষ্ঠ ইহতিষ্ঠ ইহসন্নিরুধ্যত্ত ইহসন্নিরুধ্যম অত্রাধিষ্ঠান করুত মম পুজো গৃহ্নীত । এষো গন্ধ ওঁ বিধুনামাগ্নে নমঃ ।এতৎ পুষ্পম ওঁ বিধুনামাগ্নে নমঃ । এষো ধূপ ওঁ বিধুনামাগ্নে নমঃ ।এষো হর্বিনৈবেদ্যম ওঁ বিধুনামাগ্নে নমঃ । (এই পাঁচ টি অগ্নি কে দিতে হবে। গন্ধ, হলো চন্দন, অগুরু, কস্তুরি, কর্পূর অভাবে কেবল চন্দন দেওয়া হয়। ফুল ঘি মাখিয়ে দিতে হবে। ধূপ জ্বেলে দিতে হবে। একটা ধূপের মাথায় তুলো জড়িয়ে ঘিয়ে ঢুবিয়ে অগ্নি কে দিতে হবে দীপ হিসেবে। কিঞ্চিৎ আতপ চাল আগুনে দিতে হবে অগ্নি তে দেবেন নৈবেদ্য হিসাবে।) কোন মন্ত্র না বলে একটা সমিধ ( যজ্ঞ ডম্বুরের একটি পাতা সহ ছোট শাখা) ঘি মাখিয়ে আগুনে দিয়ে দিতে হবে। এবার এই মন্ত্রে অগ্নিতে ঘৃত দেবেন। প্রজাপতি ঋষি গায়ত্রী ছন্দ অগ্নি দেবতা ব্যস্ত সমস্ত মহাব্যাহৃতিভিঃ প্রায়শ্চিত হোমে বিনিয়োগ ওঁ ভুঃ স্বাহা ইদং ভুঃ । প্রজাপতির ঋষি রুষনিক ছন্দ বায়ূর দেবতা ব্যস্ত সমস্ত মহাব্যাহৃতিভিঃ প্রায়শ্চিত হোমে বিনিয়োগ ওঁ ভুবঃ স্বাহা ইদং ভুবঃ । প্রজাপতি ঋষি নুষ্ঠুপ ছন্দ সূর্যর দেবতা ব্যস্ত সমস্ত মহাব্যাহৃতিভিঃ প্রায়শ্চিত হোমে বিনিয়োগ ওঁ স্ব স্বাহা ইদং স্বঃ । প্রজাপতি ঋষি বৃহতী ছন্দ প্রজাপতির দেবতা ওঁ ভুবঃ স্ব স্বাহা ইদং ভুবঃ স্ব । একটি প্রদেশ প্রমাণ কুশ অমন্ত্রক আহুতি দিয়ে দিন। এর পর নব গ্রহের হোম। 
নবগ্রহ : ওঁ নব গ্রহায় স্বাহা ইদং নবগ্রহায় । একটা সমিধ আগুন দিয়ে দেবেন। 
দশদিক পালের হোম :- ওঁ দশ দিকপালায় স্বাহা ইদং দশ দিক পালয়ে।
প্রত্যক্ষ দেবতার হোম :- ওঁ শ্রীং লক্ষী দেবৈ স্বাহা । ওঁ ব্রহ্মনে স্বাহা । ওঁ বিষ্ণবে নারায়ণ স্বাহা ।ওঁ চতুর্বেদন স্বাহা । ওঁ লেখনী মস্যাধারায় স্বাহা। ওঁ গাং গঙ্গায় স্বাহা ।ওঁ যাং যমুনায় স্বাহা ।ওঁ হ্রীং শ্রীং শীতলায়ৈ স্বাহা ।ওঁ হ্রীং মনসায়ৈ স্বাহা । ওঁ কুলদেব দেবীভ্য স্বাহা । ( একটি সমিধ আহুতি দিয়ে) অগ্নে ত্বং মৃড় নামাসি । ধ্যান :- পীঙ্গভ্রূ শ্মশ্রূ কেশাক্ষ পীনাঙ্গ জঠরহরুনা । ছাগস্ত সাক্ষ সূত্রা অগ্নি সপ্তর্চি শক্তি ধারক। আহবান :- ওঁ মৃড় নামাগ্নে ইহাগচ্ছ ইহাগচ্ছ ইহতিষ্ঠ ইহতিষ্ঠ ইহসন্নিরুধ্যত্ত ইহসন্নিরুধ্যম অত্রাধিষ্ঠান করুত মম পুজো গৃহ্নীত । এষো গন্ধ ওঁ মৃড় নামাগ্নে নমঃ ।এতৎ পুষ্পম ওঁ মৃড় নামাগ্নে নমঃ । এষো ধূপ ওঁ মৃড় নামাগ্নে নমঃ । এষো দীপ ওঁ মৃড় নামাগ্নে নমঃ । এতৎ হর্বিনৈব্যেদম ওঁ মৃড় নামাগ্নে নমঃ । (এবার পর্যাপ্ত ঘৃতে ফল ( কাঁঠালি রম্ভা) বস্ত্র চেলির কাপড় নিয়ে উঠে দাঁড়িয়ে ঘন্টা বাজাতে বাজাতে যজমান কে সাথে নিয়ে নিম্ন মন্ত্রে অগ্নিতে দিতে হবে।) ওঁ মুর্দানং দিবো অরতিং পৃথীব্য বৈশ্বানর মৃত আজাত অগ্নিম। ওঁ কবিগুঁ সম্রাজ মতিথিং জনা নাম সন্না পালং জনয়ন্ত দেবা স্বাহা। ( এবার আসনে বসে বাম হাত দিয়ে ভজ্য পাত্র পর্শ্ব করে ) বং এতেস্মৈ পূর্ণ পাত্র ভোজ্যং নমঃ। ( তিন বার কুশ ত্রিপত্র দিয়ে জলের ছিটিয়ে দিতে হবে।) এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ পূর্ণ পাত্র ভজ্যায় নমঃ। এত অধিপতয়ে দেবায় শ্রী বিষ্ণবে নমঃ । এবার দক্ষিণা :- বিষ্ণুরোম তৎসৎ অদ্য মাঘ মাসি শুক্ল পক্ষে পঞ্চম্যাংতিথৌ অমুক গোত্রস্য অমুক দাস্যস /অমুক দেবশর্মন সংকল্পিত শ্রী শ্রী সরস্বতী পুজাঙ্গ ভুত হোম কর্ম সাঙ্গার্থং দক্ষিণামিদং পূর্ণ পাত্র ভজ্যং শ্রী বিষ্ণু দৈব্যতং অর্চিতং যথা সম্ভব গোত্র নাম্নে ব্রহ্মণে অহং সম্প্রদদে ।  প্রণাম মন্ত্র :- ওঁ চতুর্বদন সদ্মস্থ চতুর্বেদন কুটুম্বিনে । দ্বিজ অনুষ্ঠেয় সৎ কর্ম সাক্ষিণে ব্রহ্মণে নমঃ। তমগ্নে সর্ব ভুত নামশ্চরিস পাবক । হব্যং বহসি দেবনামতঃ শান্তি প্রযজ্যমে । ওঁ পীঙ্গাক্ষ লোহিত গ্রীবা প্রতাপিংশ্চ হুতাশন। সাক্ষী ত্বং পূণ্যাপাপানং ধনঞ্জয় নমহস্তুতে । "ব্রহ্মণে ক্ষমস্ব " মন্ত্রে কুশ ত্রিপত্র দিয়ে জলের ছিটা দিন। তারপর অগ্নি কে দক্ষিণ দিকে একটু ঠেলে দিয়ে বলুন " অগ্নে ত্বং সমুদ্র গচ্ছ।" এবার ঈশান কোন থেকে দুধ গঙ্গা জল দিতে দিতে বলুন " পৃথ্বী শীতল ভব।" এবার ঈশান কোন থেকে ভস্ম তুলে পাত্রে নিয়ে কালি তৈ তৈরি করে ঘটে দিন। তার পর কপালে তিলক পরুন পরিয়ে দিন। নিজের কপালে তিলক পরার মন্ত্র :- কশ্যপেয় ত্রায়সুম । কন্ঠে :- জামদ অগ্নে ত্রায়সুম । বক্ষে :- যদবেদা ত্রায়সুম । যজমানের কেবল কপালে মন্ত্র :- কশ্যপেয় ত্রায়সুম । এবার দক্ষিণা দিন মন্ত্র :- " বিষ্ণুরোম তৎসৎ অদ্য মাঘ মাসে মকররাশিস্থে শুক্ল পক্ষে ভাস্করে পঞ্চম্যাংতিথৌ অমুক গোত্রস্য অমুক দাস্যস /অমুক দেবশর্মন কৃতৈতদ যৎ কিঞ্চিৎ কাঞ্চন মূল্যং অনুকল্পং হরিতকী ফলং দক্ষিণামিদং যথা সম্ভব গোত্র নাম্নে ব্রহ্মণে অহং সম্প্রদদানি ।" সাথে বলুন, " কৃতৈতদ শ্রী শ্রী সরস্বতী পুজা হোমকর্মা ছিদ্র মস্তু। ওঁ অস্তু । বিষ্ণু স্মরণ :- বিষ্ণুরোম তৎসৎ অদ্য মাঘ মাসে মকররাশিস্থে শুক্ল পক্ষে পঞ্চম্যাংতিথৌ অমুক গোত্রস্য অমুক দেবশর্ম হোম কর্মাহং যৎকিঞ্চিৎদ্বৈগুণ্যং জাতং তদ্দোষ প্রশমনায় শ্রী বিষ্ণু নাম স্মরণমহং করিষ্যে। " দশ বার ওঁ বিষ্ণু বলুন । এবার বিষ্ণু প্রণাম :- ওঁ নমোহ ব্রহ্মণ দেবায় গো ব্রহ্মণ হিতায়চ জগৎ ধৃতায় কৃষ্ণায় গোবিন্দায় নারায়ণায় নমহস্তুতে ।" এবার শান্তি জল দিন, " মহা বামদেব ঋষি  গায়ত্রী ছন্দ শান্তি কর্মে জপেন বিনিয়োগ। কয়া নশ্চিত্র সদা বৃদ্ধ সখা। কয়া শর্মিষ্ঠা আভিব দ্যুতি শান্তি প্রযোজ্য মে। ওঁ ব্রহ্মণে শান্তি, ওঁ বনস্পতে শান্তি, ওঁ পৃথিবৈ শান্তি, ওঁ দৌ শান্তি, ওঁ সর্ব শান্তি। ওঁ শান্তি ওঁ শান্তি ওঁ শান্তি 
প্রথম দিন পুজা শেষ। সন্ধ্যা বেলায় আরতির আগে কী করতে হবে বলা হয়েছে । দ্বিতীয় অর্থাৎ বিসর্জনের পুজোর দিন কী কী করতে হবে আগেই বলেছি সেই গুলো করলেই পুজো শেষ।. 
পরের দিন বা বিসর্জনের দিন। 
১)বিষ্ণু স্মরণ :- ওঁ বিষ্ণু ওঁ বিষ্ণু ওঁ বিষ্ণু, ওঁ তদ্বোবিষ্ণু পরম পদং সদা পশ্যন্তি সুরয় দ্বিবীব চক্ষুরততম। ওঁ অপবিত্র পবিত্র বা গতহোপিবা যৎ স্মরেৎ পুণ্ডরীকাক্ষং স্ব বাহ্য অভ্যন্তর শুচি। সর্ব মঙ্গল মঙ্গলং বরেণম বরেদং শুভম। নারায়ণং নমস্কৃত্যং সর্ব কর্ম কারয়েৎ।। শঙ্খ চক্র ধরং দ্বিভুজং পীত বসনম। প্রারম্ভে সর্ব কর্মনং বিপ্রং পুণ্ডরীকং স্মরেদ্ধরিম।। মাধব মাধব বাচি মাধব মাধব ঋদ্ধি। স্মরন্তি সাধব সর্ব কার্যেসু মাধবম।। ওঁ শ্রী মাধবম ওঁ শ্রী মাধবম ওঁ শ্রী মাধবম।
২) স্বত্ত্বি বাচন:- ওঁ কর্তব্যহোস্মিন গাং গনেশাদি নানা দেবতা পুজা পূর্বক শ্রী শ্রী সরস্বতী পুজা নিরাজন কর্মানি ওঁ পুণ্যহম ভবন্ত বুব্রন্তু। ওঁ পুণ্যহম ভবন্তু বুব্রন্তু। ওঁ পুণ্যহম ভবন্তু বুব্রন্তু। ওঁ পুণ্যহম। ওঁ পুণ্যহম। ওঁ পুণ্যহম। ওঁ কর্তব্যহোস্মিন গাং গনপতাদি নানা দেবতা পূজা পূর্বক শ্রী শ্রী সরস্বতী পুজা নিরাজন কর্মানি। ওঁ স্বত্ত্বি ভবন্তু বুব্রন্তু। ওঁ স্বত্ত্বি ভবন্তু বুব্রন্তু। ওঁ স্বত্ত্বি ভবন্তু বুব্রন্তু। ওঁ স্বত্ত্বি। ওঁ স্বত্ত্বি। ওঁ স্বত্ত্বি। ওঁ কর্তব্যহোস্মিন গাং গনপতাদি নানা দেবতা পুজা পূর্বক শ্রী শ্রী সরস্বতী পুজা নিরাজন কর্মানি। ওঁ ঋদ্ধিং ভবন্তু বুব্রন্তু। ওঁ ঋদ্ধিং ভবন্তু বুব্রন্তু। ওঁ ঋদ্ধিং ভবন্তু বুব্রন্তু। ওঁ ঋদ্ধতাম। ওঁ ঋদ্ধতাম। ওঁ ঋদ্ধতাম।
৩) স্বত্ত্বি সূক্ত :- ওঁ সোম যমং রাজনং বরুনা অগ্নিমবার আদিত্য বিষ্ণু সূর্যং ব্রহ্মনাঞ্চ বৃহস্পতি। স্বত্ত্বি ন ইন্দ্র বৃ্দ্ধ শ্রবা। স্বত্ত্বি ন পুষ্য বিশ্ববেদা। স্বত্ত্বি নর্ত্তক্ষ অরিষ্ঠনমি। স্বত্ত্বি ন বৃহস্পতির দধাতু। ওঁ স্বত্ত্বি। ওঁ স্বত্ত্বি। ওঁ স্বত্ত্বি। (আতপ চাল ছড়াতে ছড়াতে বলবেন।) 
৪) সাক্ষ্য মন্ত্র। ৫) সংকল্প ৬) সংকল্প সুক্ত। ৭) মন্ত্রে অধিবাস। ৮)সামান্য অর্ঘ্য স্থাপন। ৯) দ্বার পুজো ৯) মাস ভক্ত বলি। ১০) আসন শুদ্ধি। ১১)পুষ্প শুদ্ধি। ১২) প্রানায়াম ১৩) সংক্ষেপে ভুত শুদ্ধি। ১৪) কর শুদ্ধি। ১৫) মাতৃকান্যস। ১৬)কর ন্যাস । ১৭) অঙ্গ ন্যাস। ১৮) ঋষ্যাদি ন্যাস। ১৯) ধ্যান ও মানস পুজা। ২০) বিশেষ অর্ঘ্য স্থাপন। ২১) পঞ্চ দেবতার পুজো। ( গনেশ, সূর্য, বিষ্ণু, শিব, দুর্গা ।) ২২) ধ্যান করে প্রধান পুজো। অর্থাৎ উপাচার উৎসর্গ। এসব মন্ত্র আগেই লেখা আছে। আর লিখলাম না। এবার নির্মাল্য গ্রহণ করে তাতে পুজো, একটি পিতলের গামলা বা থালা বা রেকাব নেবেন যেন সেটা একটু গভীর হয় যাতে হলুদ গোলা জল দেবেন। এবং কুণ্ডু হাঁড়ি থেকে তেকাটা এবং দর্পণ টা নিয়ে ওর উপর বসিয়ে দেখবেন মায়ের মুখ বা পা দেখা যাচ্ছে কি না এবার সংহার মুদ্রায় ঘটের উপর থেকে একটি ফুল তুলে ঐ জলে রেখে সেখানে মায়ের কল্পনা করে পঞ্চ উপাচারে পুজো করুন। অর্থাৎ গন্ধ, পুষ্প, ধূপ, দীপ, নৈবেদ্য নিবেদন করে দিন। 
 

বাঙালি ও বর্তমান ভারত।

 (ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...