Anulekhon.blogspot.com

Sunday, 24 February 2019

গন পিটুনি একটা রোগ হয়ে গেছে।

ছবি টি আনন্দ বাজার পত্রিকায় বেড়িয়ে ছিল ।আজ বলে নয়, দীর্ঘ দিন ধরে বাংলায় গণ পিটুনি একটা সামাজিক ব্যাধিতে পরিনত হয়েছে। জনগণ নিজের হাতে আইন তুলে নিচ্ছে, বিভিন্ন সংবাদ পত্রের খবর। কিছু দিন আগে হরিপালের ঘটনা এক মানসিক রোগী রাতে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে ছিল। সে ইতস্তত ঘুরে বেড়াছিল চোর সন্দেহে তাকে পিটিয়ে মেরে ফেলে ছিল। দশ বছর আগে থেকে এরকম ঘটনার সূত্রপাত সাধারণ মানুষ পুলিশের উপর ভরসা না করে, আইন নিজের হাতে তুলে নিচ্ছে। তার মধ্যে আছে গুজব, ছেলে ধরা বেড়িয়েছে, আমি হিউম্যান ট্যাফিকিং হয়, একেবারে যে হয় না, এমন নয়, হয় কিন্তু এই ভাবে খোলা খুলি হয় না। আবার কাল সিঙ্গুরের একটা কথা শুনলাম যে দু জায়গায় ছেলে ধরা বেড়িয়ে ছিল। জানি না কতটা সত্য কথা, ও টাও একটা গুজব, আবার এও হচ্ছে, কয়েক জন বন্ধু মিলে ঠিক করল একে মারতে হবে। সেই বন্ধু কে ভুলিয়ে বা কোন ভাবে অন্য অচেনা জায়গায় নিয়ে এসে, তাকে ছেড়ে দিয়ে আড়ালে চলে গেল, এবার সে ইতস্তত ঘুরে বেড়ায় আর মধ্যে আছে এই গুজব ছেলেধরা বাংলায় এই গুজব আজ বলে বহু দিন ধরেই প্রচলিত কখনো তীব্র ভাবে প্রচার করা হয় ।কিছু নীরিহ ভবঘুরে মার খায়। আর এটা তখন সম্ভব হয় যখন পুলিশ প্রশাসন নেতা মন্ত্রী দের নিয়ে বেশি ব্যস্ত হয়ে পড়ে তখন, বিঘ্নিত হয় সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা, কিছু সুযোগের সদ্ব্যবহার করে, যাকে মার খাওয়া দরকার গুজব রটিয়ে মার। কাগজে অচেনা জায়গায় পড়লাম খাবার কিনতে গিয়ে এই গুজবের স্বীকার হয়েছেন, এক মহিলা কাল পড়লাম এক মা মেয়ে আক্রান্ত যদিও পুলিশ এখন এক হলেও এবিষয়ে সক্রিয় হয়েছে। আক্রান্ত শুনতে পেলে সেখানে গিয়ে আক্রান্ত কে উদ্ধার করে আনছে, বাঁচাতে গিয়ে নিজেও আক্রান্ত হচ্ছে, ঐ যে বললাম গুজব ছড়িয়ে কিছু মানুষ রাগ মিটিয়ে নিচ্ছে, যে কারণে পুলিশ উদ্ধার করছে তবু সে আক্রান্ত, আমার অনুরোধ এ কাজ করবেন না। গুজব ছড়াবেন না, ভেবে দেখবেন সেই গুজবের শিকার আপনিও হয়ে যেতে পারেন। 

No comments:

Post a Comment

পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা ব্যবস্থা পুরোপুরি ধ্বংসের দিকে।

  ব্রিটিশ ভারতের একমাত্র রাজ্য যেখানে প্রথম পাশ্চাত্য শিক্ষার হাত ধরে আধুনিক শিক্ষা এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষা গড়ে উঠেছিল। এক সময় বাঙা...