আমার মনে হয় আমরা বাঙালিরা বড্ড বেশি করে আবেগ প্রবন। অনুকরণ প্রিয় জাতি, অপর জাতি ধর্ম বর্ণের বিভিন্ন অনুষ্ঠান পোশাক আসাক খাওয়া দাওয়া সব আমরা নকল করে দেখিয়ে দিই।আমরা ইংরেজি নববর্ষের শুভেচ্ছা জানাই কিন্তু বাংলা নববর্ষ ভুলে যাই। আমরা যীশু খ্রীষ্টের জণ্ম দিন পালন করে বাড়িতে কেক কাটি আর. বিবেকানন্দ নেতাজী বিদ্যাসাগর রামকৃষ্ণ রামমোহন রায় এদের ভুলে যাই। আমরা কত মহান এবং কত সহনশীল হব, আমার গত 27/12//2018 প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একটা প্রথম শ্রেণীর ছাত্রের কথা মনে পড়ছে। ঐ দিন স্কুলে পঠন মেলা আর প্রগতি পত্র দেওয়া হচ্ছিল। আর মিডে মিলে চিকেন হয়ে ছিল, আমায় একজন প্রথম শ্রেণীর মুসলিম ছাত্র এসে বলল স্যার আমি মাংস খাব না, মা বারণ করেছে। আমি মুসলিম রা মুরগি মাংস হালাল ছাড়া খায় না, আমি বললাম মাকে বল মাংস স্যার শেখ ছোট্টুর কাছ থেকে এনেছেন। এবার বল তুই খাবি কী না? ছেলেটা আমার থেকে থালা নিয়ে খেতে বসে ছিল । আমার কথা ওটা নয় দেখুন কীভাবে ঐ টুকু ছেলের মনে ধর্মের নিয়ম তথা খাবার ক্ষেত্রে ভেদা ভেদ ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর আমরা বাঙালি হিন্দু জাতির লোক জন ঐ মুসলমান দের হালাল করা মাংস বিচার না করে খেয়ে নিচ্ছি। সত্যিই আমরা মহানুভব, আর এই মহানুভবতা দেখাতে গিয়ে আজ প্রকৃত বাঙালি হিন্দুর সংখ্যা তলানিতে ঠেকেছে। মুসলিম সমাজ আজ প্রায় ছ সাতশ বছর ধরে বাংলা তথা ভারতের বাসিন্দা তবুও তারা হিন্দুদের বা অন্য ধর্মের সাথে মিশতে জানেনা না। অন্য ধর্মের অস্তিত্ব স্বীকার করে না। অন্য ধর্মের লোকজন ওদের কাছে কাফের তাদের খুন করে দেও। না হলে তারা আমাদের ধর্ম গ্রহণ করুন। এটি মুসলিম ছেলেদের ছোট থেকেই শেখানো হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গের আজ পর্যন্ত যতগুলো সরকার শুধু পশ্চিম বঙ্গের ভারতের স্বাধীনতা সময় থেকে সংবিধান রচনার সময় যে সব মহান পুরুষ ছিলেন একজন তো মাউন্ট ব্যাটেনের বাড়িতে চাকর ছিলেন। তিনি ভারতের মহাপুরুষ হয়ে গান্ধী কে হাত করে প্রধানমন্ত্রী হয়ে বসে পরে ছিলেন। লোক মরুক আমি লুটে খাই, সেই যে বাঙালি হিন্দু জাতির ধ্বংসের শুরু আর ঘুরে দাঁড়াতে হয় নি। সংবিধান কেবল মাত্র বর্ণ হিন্দুদের জন্য আর বাকিদের কোনো আইন নেই। যত খুশি বিয়ে কর সন্তান জন্ম দেবার আইন তাতেও মুসলিম সমাজ যতখুশি বিয়ে করে সন্তান জন্ম দেবে। এটা তাদের ধর্মের আইন ভারতের সংবিধান তাকে নাকি এই সুযোগ দিয়েছে। জনগনার সময় মিথ্যে বলে নিজেরা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোক ঠিক করে রাখবে। এখনতো এই রাজ্যে বাঙালি হিন্দুরা সংখ্যা লঘু, যে সব গরীব মানুষ হিন্দু তাদের কি হলো দেখার দরকার নেই, সংখ্যালঘু স্কলারশিপ পেল কি না সাত বার খোঁজ নিয়ে চলছে।
কত উপরে তুলে ধরেছেন মুখ্যমন্ত্রী নামাজে অংশ নিচ্ছেন। রোজা পালন করছেন। তারকেশ্বরের বাবার মন্দিরের ট্রাষ্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান করে দিয়েছেন একজন মুসলিম মানুষ কে? এর জন্য আমি দুঃখিত নই, তবে আমার একটা একান্ত আবেদন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে দিদি আপনি কোন বড়ো মসজিদ বা মাজারের প্রধান পদে কোনো হিন্দু ধর্মের লোক কে বসিয়ে দেখান। দেখতে আপনি পশ্চিমবঙ্গের ঐ জাতিটি কে কতটা ধর্ম নিরপেক্ষ করতে পেরেছেন। সামান খাখাবার বিষয়ে যারা বাদ বিচার করতে পারে তাদের আপনি যতই তোলাই দিন তারা এখনও ঐ শোর্ড বা তরোয়াল নিয়ে মিশাইয়েলের সঙ্গে লড়াই করতে যাবে। আধুনিক শিক্ষা নেবে না, কারণ এখনও তারা বাঙালি তথা ভারতীয় নয়।
কত উপরে তুলে ধরেছেন মুখ্যমন্ত্রী নামাজে অংশ নিচ্ছেন। রোজা পালন করছেন। তারকেশ্বরের বাবার মন্দিরের ট্রাষ্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান করে দিয়েছেন একজন মুসলিম মানুষ কে? এর জন্য আমি দুঃখিত নই, তবে আমার একটা একান্ত আবেদন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে দিদি আপনি কোন বড়ো মসজিদ বা মাজারের প্রধান পদে কোনো হিন্দু ধর্মের লোক কে বসিয়ে দেখান। দেখতে আপনি পশ্চিমবঙ্গের ঐ জাতিটি কে কতটা ধর্ম নিরপেক্ষ করতে পেরেছেন। সামান খাখাবার বিষয়ে যারা বাদ বিচার করতে পারে তাদের আপনি যতই তোলাই দিন তারা এখনও ঐ শোর্ড বা তরোয়াল নিয়ে মিশাইয়েলের সঙ্গে লড়াই করতে যাবে। আধুনিক শিক্ষা নেবে না, কারণ এখনও তারা বাঙালি তথা ভারতীয় নয়।
No comments:
Post a Comment