Anulekhon.blogspot.com

Tuesday, 31 August 2021

আফগানিস্তানে তালিবান দের আধুনিক অস্ত্র তৎসহ বিমান উপহার দেওয়া হল।

 

ছবি সৌজন্যে ডেইলি হান্ট নিউজ পোর্টাল।

আফগান আর তালেবান এই শব্দটা আজ কেন দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে সমার্থক। সুস্মিতা বন্দ্যোপাধ্যায় যিনি এক কাবুলিওলা কে বিয়ে করে কাবুলে চলে গিয়েছিলেন। আবার মাঝে পালিয়ে এসে "কাবুলিওলার বাঙালি বউ" নিজের জীবনি লিখে বিখ্যাত হয়ে ছিলেন। তাঁর লেখা জীবনি নিয়ে চলচ্চিত্র হয়ে ছিল, জানি না ক'জন জানেন। এটাও হয়তো জানেন না তালেবান শাসন ছিল না তখন আফগানিস্তানে আর এই আফগানিস্তান থেকে না ফেরার দেশে চলে গিয়েছিলেন। 4ঠা সেপ্টেম্বর 2013 এই তালিবানরা তাকে গুলিতে ঝাঁঝড়া করে দিয়ে ছিল। আর যখন এ ঘটনা ঘটেছে তখন আফগানিস্তানে মার্কিন সেনা বা জোট সেনাবাহিনী অবস্থান করেছে। আসলে তা নয় যে আফগানিস্তানে তালেবানি শাসন ছিল এবং থাকবে, এটাই বাস্তবতা। এবার প্রশ্ন এদের তৈরি করে ছিল কারি, কেন আমেরিকা তার স্বার্থে কারণ রুশ সেনা কে তাড়নোর জন্য এদের প্রশিক্ষণ দেওয়া আধুনিক অস্ত্র তুলে দেওয়া সব করে ছিল ঐ আমেরিকা। এদের মধ্যে দ্বন্দ্ব লাগিয়ে রাখতে তৈরি করা হয়েছিল আরও এক জল্লাদ


বাহিনী আলকায়দা। কারণ আফগানিস্তানের বেশির ভাগ মানুষ শান্তি প্রিয় তাই আশ পাশের মুসলিম দেশ থেকে লোক জন আফগানিস্তানে নিয়ে এসে প্রশিক্ষণ দেওয়া অস্ত্র তুলে দেওয়া, কারণ এই যে আধুনিক অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে এরা এগুলো পেল কি করে? আফগানিস্তানে কি অস্ত্র কারখানা আছে যেখানে এই অত্যাধুনিক অস্ত্র তৈরি করা হয়েছে। এর গোলা বারুদ আসছে কথা থেকে সব মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উপহার দেওয়া। ঐ যে আফগান বাহিনী তৈরি করা হয়েছিল অস্ত্র প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদের মধ্যে অনেকেই অস্ত্র ঐ তালিবান দের কে উপহার দিয়ে চলে গেছে। অনেকেই আবার ঐ তালেবান বাহিনীতে যোগ দিয়েছে।

আর আজকের খবর দেখুন কিভাবে তালেবান দের যুদ্ধ বিমান উপহার দিয়ে গেল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।এই বিমান নিয়ে এরা করবে কি? চালাতে জানে না বলা হচ্ছে। কিছু দিন পর গোপনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এদের এসব শিখিয়ে পড়িয়ে দেবে। যেমন অস্ত্র দিয়ে অস্ত্র চালানো শিখিয়েছে। কিছু দিচ্ছে ফুরিয়ে যাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে কিনে নেবে। এটাই ওদের ব্যবসা। আর এই সব ধর্মান্ধ মানুষ নিজেদের ভীষণ কেউ কেটা মনে করে কী হয়েছে বলে নিজে দের মধ্যেই মারবে আর মরবে। আমি আশ্চর্য হয়ে যাই, যখন দেখি এরা আধুনিক শিক্ষা থেকে নিজেদের দূরে রাখতে চায়। অথচ আধুনিক সভ্যতার সব কিছু ব্যবহার করতে ছাড়়ছে না। আল্লাহ আকবর বলে চেচান যে মাইকে, মাইকের কথা না হয় ছেড়ে দিলাম। কিন্তু মাইক, যে আবিষ্কার করেছে সে এদের কাছে কাফের অথচ তার আবিষ্কার করা যন্ত্রতে ভোরে সকাল দুপুর সন্ধ্যা আল্লাহ আকবর বলে চিৎকার করে যাচ্ছে। টিভি চ্যানেলে খবর দেখাবে কিন্তু যারা কাজ টা করবে তাদের বাধা দেব। কম্পিউটার বা ল্যাপটপ যা চোখে দেখে নি। সে গুলো ব্যবহার করতে ছাড়়ছে না অথচ যারা শিখবে বা চালাবে তাদের স্বাধীনতা দেওয়া হবে না। কি সুন্দর ধর্ম না, কি কিউট না, আধুনিক সভ্যতার সব সুখ ভোগ করবে অথচ আধুনিক সভ্যতার অগ্রগতি বন্ধ করে দেওয়া হবে। কেবল আল্লাহ আকবর আর অপরের সম্পদ লুট দখল জোর করে ধর্ম পালন করতে বাধ্য করা। মানুষ খুন এটা একটা ধর্ম. এই যে আমাদের পাশেই আছে বাংলাদেশ সেখানেও একই অবস্থা এরা নিজেদের কখনো শোধরাবে না। এরা শোর্ড নিয়ে মিশাইলের বিরুদ্ধে লড়াই করে। তবুও মিশাইল তৈরি করার চেষ্টা নেই কারণ মৌলবী ঐ আধুনিক অস্ত্র কীভাবে তৈরি করা হয় সেটা জানে না।আমাদের পাশের তালেবানের দেশ (বাংলাদেশ) যেখানে  ১০০ বছর বা তার আগে সনাতন ধর্মের মানুষ ছিল বেশি তাদের ভয়ে  ধর্ম পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছেন ।আবার কেউ কেউ স্বেচ্ছায় উচ্চ বর্ণের সনাতন ধর্মের মানুষের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে ছিলেন ।কেউ কেউ চারটে পাঁচটি বিয়ে করার লোভে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে ছিলেন ।সেই বাংলায় প্রায় দিনই সনাতন ধর্মের মানুষের উপর অত্যাচার নামিয়ে আনে হচ্ছে। এই দেখুন তার নমুনা। 


অনেকেই বলবেন বাংলাদেশ এখন অনেক টা এগিয়ে যাচ্ছে। হ্যাঁ যাচ্ছে একটু খোঁজ নিয়ে দেখবেন যারা ঐ সব আবিষ্কার এসব করছে তাদের কোন না কোন পূর্ব পুরুষ সনাতন ধর্মের মানুষ ছিলেন। কারণ এই আকাট মুর্খ আল্লাহ আকবরের দল ঐ হুজুর আর মাইফেল করে হাজার হাজার টাকা কামানো মানুষের কাছে ছেলেদের লেখা পড়া করতে পাঠায় কি পড়ে আলেম হবার তালিম নেয়। কোরান হাদিস পড়ে। ঐ সব হুজুর রা দামি মোবাইল এবং ক্যামেরার সামনে এসে ষাঁড়ের মত চিৎকার করে বলে অন্য ধর্মের মানুষ কাফের আর ঐ কাফের তৈরি করা বিজ্ঞানের সাহায্য নিয়ে এসব বলে। 

আর সনাতন ধর্মের মানুষ গুলো কে বলি ও মুচি ও চণ্ডাল, ও ব্রাহ্মণ ও ক্ষত্রিয় এই করে করে নিজেদের শেষ করে দিলেন। নিজে রাও শিক্ষা নিন ও গুলো কাজ যুগ যুগ ধরে কাজ গুলো ওরা করে আসছে, ওগুলো পেশা তাই পেশা কখনো জাত হতে পারে না। 


Monday, 30 August 2021

বেঁচে থাকতে আর মনে হয় রেশন কার্ড হাতে পাওয়া গেল না।


 সরকারের ভীষণ ভালো ব্যবস্থার জন্য 

এটা তৃতীয়বারের আবেদন পত্র। এর আগের দুই বারের কোন আবেদন পত্রের রিসিভ কপি নেই। আর এই তৃতীয় বারের আসল রেশন কার্ড এবং আধার কার্ডের জেরক্স সমেত জমা নেওয়া হয়েছিল কিন্তু বছরের পর বছর ধরে একটি কথা শুনে এসেছি হয়ে যাবে। শেষে গত 2021 সালের জানুয়ারি মাসে শোনা গেল ঐ আবেদন বাতিল নতুন করে করতে হবে, এবার নাকি নতুন আরেকটা ফর্ম পূরণ করতে হবে। আধার কার্ডের জেরক্স সমেত এবারও আবেদন করা হল জানুয়ারি থেকে কথা হতে হতে সেটা হলো 7 ই সেপ্টেম্বর 21 অর্থাৎ আজ এক মাস এখন কোন খবর নেই ওটা নাকি অন লাইন দেখা যাবে কোথায় কার কাছে পৌঁছেছে বা আদৌ হয়েছে কি না। কিন্তু দূর্ভাগ্য S.M. S টা যে এসেছে সেখানে কোন ওয়েবসাইট বা লিঙ্ক নেই তাহলে কি করে দেখতে পাব। জানা নেই অফিসের অফিসারের কথা বলার সময় নেই। যে তিনি উত্তর দেবেন আদৌ জানি না উনি আসল অফিসার না নকল অফিসার। 
চতুর্থ বারের আবেদনের এস এম এস টি ফোন নম্বর বাদ দিয়ে এখানে দিলাম। 




জানি না মরার আগে এই রেশন কার্ড আর পাওয়া যাবে কিনা? সত্যিই দশ কোটি না সাড়ে দশ কোটি জন গনের রেশন কার্ড আছে অর্থাৎ পশ্চিমবঙ্গরে সকল অধিবাসীর রেশন কার্ড আছে তারা রেশন পাচ্ছে, তাহলে আমার পরিবার বা এরকম যারা বাদ আছে তারা । বলে দিচ্ছেন দশ কোটি মানুষ কে রেশন দেন। আর পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান জন সংখ্যা দশ কোটি। কথা বলার আগে ভালো করে খোঁজ নিয়ে বলুন আর নকল অফিসার দের সরিয়ে সত্যি একজন সরকারী অফিসার নিয়োগ করুন। এসব কেন লিখছি আজ পর্যন্ত অর্থাৎ যত বছর ধরে এই ডিজিটাল রেশন কার্ড দেওয়া শুরু হয়েছে তত বছর যাবৎ আবেদন করা আর একই কথা হয়ে যাব, ভাবুন শেষ আবেদন এবছর জমা পড়েছে গত সেপ্টেম্বর মাসের 7 তারিখে আজ এক মাস হলো। সমস্ত কাগজ পত্র দিয়ে বিশেষ করে সকলের আধার কার্ডের জেরক্স সমেত জমা দিতে হয়েছে। এখন স্ট্যাটাস দেখাচ্ছে এখুনি ফুড অফিসে যোগাযোগ করে আধার লিঙ্ক করুন, না হলে কার্ড দেওয়া যাবে না। আধার নম্বর দিয়ে আবেদন তাহলে কি অফিসার ইচ্ছাকৃত আধার লিংক করে দেননি যাতে বারবার অফিসে গিয়ে হত্যে দেওয়া যায়। আর উনি আনন্দ সহকারে বলবেন অমুক দিন আসুন ঐ কোর্টের বিচারকের মত দিনের পর দিন পরে বিচার আর হয় না। দারুণ ব্যবস্থা তাই না! 






Sunday, 29 August 2021

দেশ বেচে কোটি কোটি টাকা লাভ যে পার্টির।


 দেশ বেচে কোটি কোটি টাকা লাভ, দেশটা এবার বিক্রি করতে বাকি আছে। কৃষি বেসরকারি, ব্যাঙ্, বিমা, রেল, প্রতিরক্ষার কারখানা বিভিন্ন কেমিক্যাল আরও কতকি। যে যেটা পছন্দ কিনে নাও। কেবল মুনাফার ভাগ আমাকে দিলেই হবে।সরকারে আছি জনগণের করের (ট্যাক্স) টাকা ঋণ দোব তুমি কিনে নেবে। কিছু বছর পর তোমার ঋণ মুকুব করে দেওয়া হবে। কিছু দিন বাদে ব্যাঙ্ক বন্ধ করে দেওয়ার জোগাড় হবে এবার ও গুলোয় বিক্রি করা হবে। তোমারই কিনে নেবে। আর জনগণের গলা কেটে আদায় করা হবে। জমা রাখলে টাকা কাটা হবে, তুললে টাকা কেটে নেওয়া হবে। নির্দিষ্ট পরিমাণ রাখতেই হবে। আর এই ঋণ মুকুব যত করা হবে তত ফাণ্ডে ঢুকবে। ঋন করে দেওয়ার কমিশন, ঋণ মুকুব এর কমিশন, আবার ট্যাক্স মুকুব এর কমিশন, কত দিক থেকে আয়। তাই এদের মুখে হাসি ধরে না দের। 


ছবিটি সৌজন্যে সংবাদ প্রতিদিন। দেখুন মুখে হাসি আর ধরে না। দেশটা কে সেই ইংরেজ আমলে ফেরত নিয়ে যাচ্ছে। আর নিজে দের ব্যক্তিগত এবং পার্টির ফাণ্ড বাড়িয়ে দেশের উন্নয়ন হচ্ছে। সব কা সাথ সবকা বিকাশ হচ্ছে। কাদের বিকাশ হচ্ছে। কর্পোরেট সংস্থার বড়ো বড়ো শিল্পপতি দেরে। ইংরেজ আমলে সব কিছু ছিল ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির এখন ও তাই গুজরাতি ব্যবসায়ীদের দখলে। কি আনন্দ আমরা গুজরাতি এবার আমরা শোষণ করব। আরে এটাই ছিল ঐ টাক মাথা গান্ধীর পরিকল্পনা। কেবল ইংরেজ দের সাথে গোল টেবিল বৈঠক করত। কীভাবে গুজরাতি ব্যবসায়ীর দল ব্যবসা করবে সারা ভারতে। আজ একটা বিষয় লক্ষ্য করে দেখুন, ভারত সরকারে সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ পদে গুজরাতি। এমনকি রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর সেও একজন গুজরাতি। আর কোন রাজ্যের মানুষ শিক্ষিত মানুষ নেই। দেশটা বিক্রি করে, জনগণের করের টাকা লুটেপুটে খাওয়া যাবে। কারণ সরকারে তো কোন কাজ থাকবে না। সব করবে ঐ কর্পোরেট সংস্থা। এই কারণেই বলা হয়েছে এক দেশ এক ভোট এক দেশ জাতি। ঠিক করে দেবে কারা ঐ কর্পোরেট সংস্থার মালিক গন।কারণ সরকারি দফতর থাকবে না। কারণ পি কের সংস্থা দেখিয়ে দিয়ে গেছে কীভাবে নকল অফিসার দিয়ে ভোট করতে হবে। 

এই ঘটনা কি তালিবান শাসন থেকে কম।


(সৌজন্যে ছবিটি অন লাইন আনন্দ বাজারের) দেশের সু সভ্য সমাজে মাথা তথাকথিত বুদ্ধিজীবীরা কী বলবেন। এটা আফগানিস্তানে তালিবান শাসন থেকে কম কীসের? এটা ঐ হিন্দি বলয়ের একটা ক্ষুদ্র অংশ মাত্র, হিন্দি বলয়ের অধিকাংশ রাজ্যে এই ঘটনা প্রতিদিন ঘটৈ চলেছে। উচ্চ বর্ণের মানুষ নিম্ন বর্ণের মানুষ কে অত্যাচার করা। আমাদের নাকি সংবিধান আছে সেখানে মানুষের সমান অধিকার আছে বেঁচে থাকার। কিন্তু এরা এদের কাছে মানুষ নয়। দলিত দের একটা অংশ এই সব হিন্দি বলয়ে কি করে ভোটের সময় বড়ো বড়ো চোর চিটিংবাজ মিথ্যাবাদী গুলো কে জিতিয়ে আরও ভালো করে যাতে চুরি করতে পারে। আর মানুষ খুন করতে পারে, এদের শাস্তি নেই। যেমন উত্তর প্রদেশের ঘটনা গুলো কোন শাস্তি নেই। এই সব মানুষ গুলো অত্যাচার থেকে বাঁঁচতে নাম লেখায় মাও বাদীর মত উগ্র পন্থী সংগঠনে। আমাদের দেশের মধ্যেই এক বিংশ শতাব্দীতে এক অন্ধকার ভারতের ছবি। আর এর সাথে উস্ককানি মুলক কাজ করে চলেছে কেন্দ্রীয় শাসক দল। এরা নাকি হিন্দু দের ভালো করবে। এদের কাছে হিন্দু হলো দলিত বাধ কেবল, উচ্চ বর্ণের এবং উচ্চ বিত্তের হিন্দু। বলবেন একজন দলিত কে কিন্তু রাষ্ট্রপতি করেছে এই শাসক দল। ওটাই তো দেশের জনগণ কে বোকা বানানোর উপায়। যেমন এ পি জে আব্দুল কালাম কে রাষ্ট্রপতি করে ছিল এই দল। ওটাই প্রচারের হাতিয়ার আমরা সবাই এক কিন্তু বিভিন্ন প্রান্তে উচ্চ বর্ণের অত্যাচার করলে বা মেরে ফেলা হলে। কোন শাস্তি নেই, উত্তর প্রদেশের সেই ধর্ষক বিধায়ক কি সাম সাঙ্গার তার কোন শাস্তি হলো। হাথরাসের ঘটনা ঘটে গেল কিন্তু কিছু হল না। অপরাধের যদি সঠিক বিচার না হলে অপরাধ বাড়ে। 

Saturday, 21 August 2021

স্কুল Reopening সার্ভে করা হয়েছে এবার স্কুল খোলা হবে।

 স্কুল খোলার প্রস্তুতি চলছে শীঘ্রই খোলার ব্যবস্থা করা হবে, তার আগে স্কুল গুলো কেমন আছে রিপিয়ার করার কতটা প্রয়োজন কিনা, সেটা নিয়ে স্কুল গুলোর কাছ থেকে ছবি সহ একটি অন লাইন অর্থাৎ বাংলার শিক্ষা পোর্টালে গত আড়াই দিন ধরে একটা ফর্ম পূরণ চল ছিল। আগেই বলে রাখি খুব কম প্রাইমারি স্কুলের কম্পিউটার আছে যদিও দু একটা স্কুলে থাকে সেখানে নেট কানেকশনের ব্যবস্থা নেই। মোবাইল দিয়ে অনেকেই করতে চেষ্টা করে যাচ্ছে। অনেকে সময় মোবাইল দিয়ে হচ্ছে না কেউ কেউ সাইবার কাফেতে গিয়ে করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। যারা নিজেদের মত বাড়িতে বা অন্য কোন ভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছে গত আড়াই দিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার বেলা ১২ টা পর্যন্ত কি দেখিয়ে গেল।


যদিও অনেক কষ্টে খুলে করেছে সেখানে কিছুক্ষণ পর দেখা গেল।


যাহোক আবার বলা হয়েছে রবিবার সন্ধ্যা ছ'টা পর্যন্ত কাজ টি করা যাবে। এবার রবিবার সকাল থেকে চেষ্টা কি দেখা যাচ্ছে। 


যদি বা খুলছে তার পর গিয়ে কি দেখাচ্ছে ছবি টা দিচ্ছি। 


স্কুল খোলার দারুণ ব্যবস্থা আমি তো অন লাইনে করার জন্য আদেশ দিয়েছি, ব্যবস্থা করা হয়েছে তোমারা না পারলে আমার দোষ কিছু নেই। স্কুল ভাঙা থাক ছাত্র ছাত্রী বসতে না পারলে দোষ তোমার কারণ তুমি জানাতে পার নি। সরকারি ব্যবস্থা আছে তুমি অপারগ, স্কুলের কম্পিউটার নেই, নেটের ব্যবস্থা নেই ওসব জানি না ওসব কি করবে তোমার দায়। আসলে মনে হয় সার্ভার ডাউন করে রেখে তথ্য চাওয়া হয়েছে যাতে সবাই না পারে। সারা দিন রাত মোবাইল ফোন বা কম্পিউটারে চোখ রেখে বসে থাক যখন খুলবে তখন করবে। অনেকেই এভাবেই করেছে, রাত বারোটায় কেউ রাত দুটো তাহলে কি বুঝতে পারছেন শিক্ষক গন আদৌ মানুষ তো কারণ এমন কিছু কাজ দিতে হবে যাতে তাকে সারা রাত জেগে থাকাতে হবে। এভাবে না হলে করবে না, তাহলে সব স্কুলে টাকা খরচ করতে হবে না, টাকার ব্যপার যখন তখন আরেকটা ব্যাপার এখানে লিখতে হচ্ছে। স্কুলে স্কুলে গত কয়েক বছর ধরে কম্পোজিট গ্রান্ট দেওয়া হচ্ছে ছাত্র সংখ্যা হিসেবে। যে স্কুলে ছাত্র সংখ্যা বেশি সেখানে বেশি টাকা দারুণ খুশি সকলে। এই খুশির মধ্যেই একটা বিষয় আছে স্কুলের ছাত্র বাড়ছে কিন্তু ঐ গ্রান্ট এর টাকা তত কমে যাচ্ছে। মনে করুন কোনো বিদ্যালয়ের ৩০০ উপর ছাত্র ছাত্রী আছে সেই স্কুলের টাকা প্রতি বছর কমে যাচ্ছে কিন্তু তার থেকে কম ছাত্রী সেখানে বেশি দেওয়া হয়েছে। ৩০০ উপর ছাত্র ছাত্রী সেই স্কুল যা পেল ১৫০ থেকে ২০০ যে স্কুলে সেও সমান গ্রান্ট পেল। তার মানে বোঝা যাচ্ছে স্কুলে ছাত্র ছাত্রী ভর্তি করে ভুল করেছেন প্রধান শিক্ষক। যাহোক টাকার দরকার নেই, বিদ্যালয় ভবন যেমন আছে তেমনি থাক দয়া করে স্কুল গুলো খোলার ব্যবস্থা করে দিন। ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা আর বাড়িতে থাকতে চাইছে না। তাদের বন্ধু দের সাথে মেলামেশার পথ বন্ধ করে কার কি লাভ হচ্ছে বোঝা যাচ্ছে না। কোভিড বিধি মেনে স্কুল খোলার ব্যবস্থা করা হোক। 



Sunday, 15 August 2021

15 ই আগস্ট ঋষি অরবিন্দ ও কবি সুকান্তের জণ্ম দিনে জানাই সশ্রদ্ধ প্রনাম। ।


আজ 15 ই আগস্ট 2021 স্বাধীনতা দিবস সকাল থেকে সারা দেশে 74 বছরের বৃদ্ধ স্বাধীনতা দিবস পালন করা হচ্ছে মহা ধুমধাম করে। আর আজকের দিনে আরও বঙ্গ সন্তান যাদের মধ্যে একজন প্রত্যক্ষ স্বাধীনতা আন্দোলনে যুক্ত হয়ে ছিলেন জেলে বন্দি ছিলেন। জেল থেকে মুক্তির পর তিনি আধ্যাত্মিক জগতের মানুষ  অরবিন্দ ঘোষ হয়ে যান ঋষি অরবিন্দ। আমার যতদূর জানা আছে তিনি পণ্ডিচেরিতে একটি আশ্রম গড়ে তোলেন। 
আর বঙ্গ সন্তান যৌবনের কবি সল্পায়ূ কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের আজ জণ্ম দিন (জণ্ম 15 ই আগস্ট 1926 কলকাতা। মৃত্যু 13 ই মে 1947 T. B হাসপাতাল কলকাতা) ।ইনি ক্ষয় রোগে আক্রান্ত হয়ে অকালে মারা যান। 
কবির মাত্র 21 বছরের জীবনে তিনি কবিতার মধ্যে দিয়ে সৃষ্টি করে গেছেন তা কতটা প্রাসঙ্গিক আজকে এই রাষ্ট্র ব্যবস্থার দিকে তাকিয়ে দেখলেই বোঝা যায়। স্বাধীনতার পূর্ব এবং পরের কয়েক দশক গরীব নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষের অবস্থা ছিল তথৈবচ। কোন রকম দিন গুজরান, বাংলার মানুষ মাইল, ভুট্টা যবের আটা খেয়ে খেয়ে পেটে চড়া পরে গিয়েছিল। বাম সরকার আসার পর মানুষের কিছুটা পরিবর্তন হয়। আবার বর্তমানে যে দিকে যাচ্ছে, তাতে কবির ভাষায় বলতে হয়। " কবিতা তোমায় আজকে দিলাম ছুটি, 
ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্য ময়" 
পূর্ণিমার চাঁদ যেন ঝলসান রুটি। "
গরীব মানুষ আজ ব্যাগ নিয়ে ভিক্ষার লাইনে দাঁড়িয়ে, তাও প্রকৃত গরীব মানুষ কজন আছে, বেশ কিছু আছে আশি হাজার টাকার বাইক চেপে দুটাকার চাল আনতে যাচ্ছে। ঐ চাল আনার পর গরীব মানুষ কে 15 টাকা কলো দরে বিক্রি করে দিচ্ছে, দিদির ভাইয়ের দল। দারুণ সুন্দর ব্যবস্থা এমন অনেক গরীব মানুষ আছেন যাদের কোন রেশন কার্ড নেই। প্রকল্প গুলো কত গাল ভরা নাম, কিন্তু দিদি তার ভাই বোন দের নির্দেশ দিয়ে রেখেছেন কোন মতেই যেন বিরোধী দলের কেউ না পায়। সবার জন্য সব করে দেওয়া হল এটা প্রচার করতে হবে, কিন্তু কিছুতেই, বিরোধী দল বিশেষ করে সি পি আই এম এর লোক বা ভোটার হলে মোটে করে দেবে না। কারণ, রেশনের কার্ড থেকে শুরু করে আর যে সব আছে তাতে বছরের পর বছর আবেদন করেও কিছু মেলে না, ভুরি ভুরি প্রমাণ আছে। খাতায় কলমে কিন্তু সকলে পাচ্ছে, না 75 % 25 % এ ভাগ হবে কি করে? নেতার টালির চালা আজ তিন তলা, চার তলা প্রাসাদ বাড়ির সামনে চার চাকা, যে মাছ বা আনাজ বিক্রেতা ছিল সাইকেল নিয়ে ঘুরে বেড়াত দিদির কল্যাণে সে চার চাকা নিয়ে ঘুরে বেড়ায়। রেল স্টেশনে শুয়ে থাকা লোক সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে, যেটা বাম আমলের প্রথম দিকে খুব দেখা যেত, আবার সেই দৃশ্য দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। জমিদার বা সামন্ত প্রথা চলে গেছে, কিন্তু এখন শাসক দলের নেতা কর্মীরা সেই ভূমিকায়, এই জমিদার কে নিয়ে লেখা কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের, ব্ল্যাকমার্কেট কবিতাটা পড়ে দেখুন দেখবেন বর্তমান রাজ্যের তথা দেশের অবস্থার সাথে অনেক মিল আছে। 


গরীব মানুষ আরো গরীবির, খেটে খাওয়া মানুষের পর্যায়ে চলে যাচ্ছে নিম্ন মধ্যবিত্ত। আর শাসক শ্রেণী শোষণ করে ফুলে ফেঁপে ঢোল হচ্ছে। এসব দেখে কবিতার আরেকটা কবিতার কয়েকটি লাইন মনে পড়ে যাচ্ছে। "ভালো খাবার"
থাক আর বাড়ালাম না, কারণ কবির কবিতা চিরকালের জানি না এ শোষণ বন্ধ হবে কিনা? শাসক শোষকের ভূমিকায় সেখানে কোন দিন এই শোষণ বন্ধ হবে বলে মনে হচ্ছে না। কবির জণ্ম দিনে জানাই সশ্রদ্ধ প্রনাম ।সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আর কি? 


Tuesday, 3 August 2021

যত দোষ নন্দ ঘোষ।


 
এখানে এই প্রবাদ বাক্য ব্যবহার করা মানে এই খবর টির জন্যে। অন লাইন সংবাদ পত্র খবর দিচ্ছে  ঢালাই দেওয়ার ছ মাস পর ভেঙে পড়েছে। সব দোষ তৃণমূলের আরে সরকারে আছে বলে সব দোষ তার, যে সিমেন্ট দিল, বালি দিল, পাথর দিল যে মিস্ত্রি কাজ করল তারা সব ভালো। এরা সকলেই জানেন শাসক দলের নেতা কর্মী মানে দিদির ভাই, বোন, ভাইপো, বোনঝি এরা কাটমানি নেয়। সেই বুঝে রাস্তার জন্যে বরাদ্দ করা হয়। কখনো চার ফুট চওড়া রাস্তা হয়ে যায় তিন ফুট আবার ঢালাই কমে এক দুই ইঞ্চি হয়ে যায় এসব হয়। তাই বলে ফেটে এভাবে উঠে যাওয়া, এ নিশ্চয়ই ভুতের খেলা, দেবাংশু দেখলে এখুনি বলবে আমেরিকা অথবা লন্ডনেও এরকম হয়। কি জানি সেখানে চিটফাণ্ড আছে কি না? এসব অন লাইন সংবাদ পত্রের কাজ নেই, নন্দ ঘোষের দোষ খোঁজে। দোষ তো ঐ এলাকার বা যেখানে এরকম হচ্ছে সকলের কারণ গত নির্বাচনে ঢেলে ভোট দেওয়া। আসল দোষি জনগণ, বা নির্বাচক মণ্ডলি। 

Monday, 2 August 2021

কী দূর্ভভাগ্য এস এস সি চাকরি প্রার্থী দের।


 প্রায় 2012 সাল থেকে কি যে চলছে, বেকার যুবক যুবতীরা অনশন পর্যন্ত করেছে তার পরেও চাকরি হয় নি। যদিও কোর্টের রায়ে এই 2021 সালে শুরু হয়েছে ইন্টারভিউ আর অভিযোগ নেওয়ার পালা। কিন্তু কি করে চাকরি প্রার্থীরা বিধাননগর যাবে রাজ্যের বিভিন্ন জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কারণ ট্রেন নেই। হাওড়া ডিভিশনের প্রায় সব শাখায় ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। একটা কারণ রাজ্যে সরকারের আদেশ নেই আরেকটা কারণ ,  হাওড়া কারশেডে জমা জল। সত্যিই এদের কি ভাগ্য, তবে আমাদের সংবেদনশীল মাননীয়া জানতেন না যে এই সব চাকরি প্রার্থী দের ইন্টারভিউ এ ডাকা হয়েছে। আসলে তা এই প্রশাসনের ইচ্ছা নেই বেকার ছেলে মেয়েরা চাকরি পাক। এই আগষ্ট মাসে বিভিন্ন ধরনের চাকরি পরীক্ষা আছে শনিবার রবিবার করে, মাননীয়া একটু সংবেদনশীল হন। না ভোটে জিতে মুখ্যমন্ত্রী হয়ে গেছেন, আর এই সব বেকার ছেলে মেয়েরা তাদের একটু কর্মসংস্থান হবে সেটাও করতে দেবেন না। আপনার কি ইচ্ছা রাজ্যের বেকার যুবক যুবতী সব আপনার পাড়ার দাদা ভাই ভাইপো ভাইঝি দের হাতে পায়ে ধরে জমি জায়গা বিক্রি করে ভিটে বন্ধক রেখে ঘুষ দিয়ে এক জেলা থেকে আরেক জেলায় আট হাজার টাকার ক্যাজুয়াল কর্মীর চাকরি করতে যাক। ভালোই ভেবেছেন, ঘুষ না দিলে চাকরি নেই। ধন্যবাদ আপনাকে জানি না আপনার নামটা কে দিয়েছিল? 

বাঙালি ও বর্তমান ভারত।

 (ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...