স্কুল খোলার প্রস্তুতি চলছে শীঘ্রই খোলার ব্যবস্থা করা হবে, তার আগে স্কুল গুলো কেমন আছে রিপিয়ার করার কতটা প্রয়োজন কিনা, সেটা নিয়ে স্কুল গুলোর কাছ থেকে ছবি সহ একটি অন লাইন অর্থাৎ বাংলার শিক্ষা পোর্টালে গত আড়াই দিন ধরে একটা ফর্ম পূরণ চল ছিল। আগেই বলে রাখি খুব কম প্রাইমারি স্কুলের কম্পিউটার আছে যদিও দু একটা স্কুলে থাকে সেখানে নেট কানেকশনের ব্যবস্থা নেই। মোবাইল দিয়ে অনেকেই করতে চেষ্টা করে যাচ্ছে। অনেকে সময় মোবাইল দিয়ে হচ্ছে না কেউ কেউ সাইবার কাফেতে গিয়ে করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। যারা নিজেদের মত বাড়িতে বা অন্য কোন ভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছে গত আড়াই দিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার বেলা ১২ টা পর্যন্ত কি দেখিয়ে গেল।
যদিও অনেক কষ্টে খুলে করেছে সেখানে কিছুক্ষণ পর দেখা গেল।
যাহোক আবার বলা হয়েছে রবিবার সন্ধ্যা ছ'টা পর্যন্ত কাজ টি করা যাবে। এবার রবিবার সকাল থেকে চেষ্টা কি দেখা যাচ্ছে।
যদি বা খুলছে তার পর গিয়ে কি দেখাচ্ছে ছবি টা দিচ্ছি।
স্কুল খোলার দারুণ ব্যবস্থা আমি তো অন লাইনে করার জন্য আদেশ দিয়েছি, ব্যবস্থা করা হয়েছে তোমারা না পারলে আমার দোষ কিছু নেই। স্কুল ভাঙা থাক ছাত্র ছাত্রী বসতে না পারলে দোষ তোমার কারণ তুমি জানাতে পার নি। সরকারি ব্যবস্থা আছে তুমি অপারগ, স্কুলের কম্পিউটার নেই, নেটের ব্যবস্থা নেই ওসব জানি না ওসব কি করবে তোমার দায়। আসলে মনে হয় সার্ভার ডাউন করে রেখে তথ্য চাওয়া হয়েছে যাতে সবাই না পারে। সারা দিন রাত মোবাইল ফোন বা কম্পিউটারে চোখ রেখে বসে থাক যখন খুলবে তখন করবে। অনেকেই এভাবেই করেছে, রাত বারোটায় কেউ রাত দুটো তাহলে কি বুঝতে পারছেন শিক্ষক গন আদৌ মানুষ তো কারণ এমন কিছু কাজ দিতে হবে যাতে তাকে সারা রাত জেগে থাকাতে হবে। এভাবে না হলে করবে না, তাহলে সব স্কুলে টাকা খরচ করতে হবে না, টাকার ব্যপার যখন তখন আরেকটা ব্যাপার এখানে লিখতে হচ্ছে। স্কুলে স্কুলে গত কয়েক বছর ধরে কম্পোজিট গ্রান্ট দেওয়া হচ্ছে ছাত্র সংখ্যা হিসেবে। যে স্কুলে ছাত্র সংখ্যা বেশি সেখানে বেশি টাকা দারুণ খুশি সকলে। এই খুশির মধ্যেই একটা বিষয় আছে স্কুলের ছাত্র বাড়ছে কিন্তু ঐ গ্রান্ট এর টাকা তত কমে যাচ্ছে। মনে করুন কোনো বিদ্যালয়ের ৩০০ উপর ছাত্র ছাত্রী আছে সেই স্কুলের টাকা প্রতি বছর কমে যাচ্ছে কিন্তু তার থেকে কম ছাত্রী সেখানে বেশি দেওয়া হয়েছে। ৩০০ উপর ছাত্র ছাত্রী সেই স্কুল যা পেল ১৫০ থেকে ২০০ যে স্কুলে সেও সমান গ্রান্ট পেল। তার মানে বোঝা যাচ্ছে স্কুলে ছাত্র ছাত্রী ভর্তি করে ভুল করেছেন প্রধান শিক্ষক। যাহোক টাকার দরকার নেই, বিদ্যালয় ভবন যেমন আছে তেমনি থাক দয়া করে স্কুল গুলো খোলার ব্যবস্থা করে দিন। ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা আর বাড়িতে থাকতে চাইছে না। তাদের বন্ধু দের সাথে মেলামেশার পথ বন্ধ করে কার কি লাভ হচ্ছে বোঝা যাচ্ছে না। কোভিড বিধি মেনে স্কুল খোলার ব্যবস্থা করা হোক।
No comments:
Post a Comment