anulekhon
Anulekhon.blogspot.com
Friday, 18 July 2025
পশ্চিমবঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করার সরকারি দপ্তরে শেষ চেষ্টা।
Monday, 30 June 2025
পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচন এখন আতঙ্কের।
পশ্চিমবঙ্গে যে কোনো ধরনের নির্বাচন এখন আতঙ্কের, সে সমবায় নির্বাচন, স্কুল নির্বাচন, পঞ্চায়েত নির্বাচন আর লোকসভা বা বিধানসভা নির্বাচন হলে তো কথাই নেই। শাসক দল বলছে তারা উন্নয়নের জোয়ার এনেছে, তার পরেও মানুষ কে বিশ্বাস করতে পারছে না যে মানুষ তাদের ভোট দেবে। সেই কারণেই কি এই রাজ্যে যেকোনো ভোটে গুলি বন্দুক বোমার এত ব্যবহার না এর পেছনে অন্য কারণ! অবশ্যই অন্য কারণ আছে, এর পেছনে আছে টাকা, লাখ লাখ কোটি কোটি টাকার খেলা। ২০১১ সালের পর থেকে এটা অতিরিক্ত বেড়েছে, সমবায় সমিতির নির্বাচন সেখানেও নাইন এম এম পিস্তল নিয়ে হাজির শাসক দলের নেতা কর্মীরা। আর পঞ্চায়েত, পৌরসভা নির্বাচন সেখানে বুথের মধ্যেই অর্থাৎ ভোটিং কম্পারমেন্টের ভিতরে দাঁড়িয়ে ভোট নিজেরা দিয়ে দিচ্ছে। পুলিশ প্রশাসন নির্বিকার বসে বসে মজা দেখচ্ছে। কারণ এখন পঞ্চায়েত পৌরসভার যত প্রকল্প তত কাটমানি এবং এগুলোতেই বেশি সে কারণেই এত লড়াই এবং নিজের দলের লোকজনকেও এরা বিশ্বাস করতে পারো না, লাখ লাখ টাকা ভাগাভাগি নিয়ে নিজ দলের মধ্যেই মারামারি খুনোখুনি লেগেই আছে। কেউ কাউকে ছাড়বার পাত্র নন, আর ছাড়বেই বা কেন, এসব পুলিশ প্রশাসন সব জানে কিন্তু কিছু বলে না। কোথাও উপর ওয়ালার চাপে নয় তো কাটমানির ভাগ না পাওয়ার ভয়ে। আগে পুলিশ ঘুষ নিত এখন সরাসরি তোলা তোলে কাটমানির ভাগ করে উপর তলায় পাঠিয়ে দেয়। আর বিধানসভা বা লোকসভা নির্বাচন সে তো বলে কথা নেই, কে প্রার্থী হবে তার জন্য উপর পর্যন্ত হাত করতে হয় কোনো কোনো ক্ষেত্রে টাকা দিতে হয়। আর উপরের নেতারা বা দলের সর্বোচ্চ মাথা যিনি আছেন তিনি দেখেন কে জিতলে কাটমানি বেশি আসবে তাকেই প্রার্থী করে, আর জেতা মানেই পাঁচ বছরের বেতন এবং এলাকার উন্নয়নের টাকা সে গুলো পকেটে যাবে আর আছে সরকারি প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ টাকার কাটমানির ভাগ। সে কারণেই যেভাবে হোক জিতে আসতে হবে, আর প্রশাসন যেহেতু সাথে আছে ভোটে জেতা কোনো ব্যাপার না। প্রশাসনের অর্ধেক লোক তো আই প্যাকের অর্থাৎ পরীক্ষা দিয়ে পাশ করে চাকরি পায় নি, এরা সরাসরি নিয়োগ প্রাপ্ত ব্যক্তি কেবল কাটমানির ভাগ ঠিক করার জন্য এবং বর্তমান শাসক দল কে জিততে সাহায্য করার জন্য নিয়োগ প্রাপ্ত। E. V. M. কারচুপি সে তো বাঁ হাতের খেল, কারণ ভোট হবার পনেরো দিন পর গননা, এই পনেরো দিন নিজের ইচ্ছে মতো E. V. M. এর মেমোরি পাল্টে দেওয়া কোনো ব্যাপার না। যাদের শান্তি পূর্ণ ভোট করানো দায়িত্ব সেই নির্বাচন কমিশন ঘুমিয়ে থাকে, নামেই পাহারা দেয় ঐ পাহারা দেওয়া লোক জন গুলো আসলে কাটমানির লোক, সে, যে নির্বাচন কমিশন হোক কেন্দ্রীয় বা রাজ্য সব সমান কেউ কম যায় না। পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচন সেটা যাতে প্রহসনে পরিনত হয় তার সব রকম ব্যবস্থা করে রাখে। ভোটের আগে থেকেই, চলে শাসক দলের সাথে যুক্ত লোকের বোমাবাজি, ভয় দেখানো, ভোটের দিন বুথের ভেতরে ঢুকে ভোট দেওয়া সি সি ক্যামেরা থাকলে উল্টো দিকে করে রাখা বা বন্ধ করে দেওয়া এসব সব চলে পুলিশ প্রশাসন বা কেন্দ্রীয় বাহিনীর সামনে কেউ কিছু বলে না, আমার তো মনে হয় এরা কেন্দ্রীয় বাহিনী নয় কেন্দ্রীয় বাহিনীর পোশাক পরে শাসক দলের নেতারা পাহারা দেয়। আগের দিন আসে এসে এলাকার নেতা কর্মীদের সঙ্গে খাতির করে মদ মাংস খেয়ে বন্ধুত্ব করে আর ভোটের দিন ছাপ্পা ভোট দিতে সাহায্য করে। এতো গেল একটা দিক, আরেকটা দিক আছে, পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচন মানে খুন হবেই, সে শাসক দলের নেতা কর্মী হোক বা বিরোধী দলের কেউ বিরোধী দলের হলে সে বাড়ির ছোট বাচ্চাদেরও বেঁচে থাকার অধিকার নেই এতটাই এরা নিশংস। কিন্তু কথা হলো এত বোমা পিস্তল আসে কোথা থেকে? পুলিশ প্রশাসন জানে না, সব জানে ইচ্ছাকৃতভাবে এগুলো উদ্ধার করা হয় না, কারণ দিদির বা দাদার নির্দেশ মরলে সাধারণ মানুষ মরবে সে ছোট বাচ্চা থেকে শুরু করে যে কেউ হতে পারে। এই পুলিশ প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিরা পশ্চিমবঙ্গ টাকে ব্রিটিশ আমলে নিয়ে চলে গেছে। ইংরেজ পুলিশ যেমন সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের মধ্যে লড়াই লাগিয়ে মজা দেখত এবং সেই সাধারণ মানুষ যদি প্রতিবাদ করত তাহলে পুলিশ তাদের গুলি করে বা অন্য অনেক রকম শাস্তির ব্যবস্থা করত এখন কার পুলিশ ও ঠিক সেই কাজ করছে বর্তমান শাসকের সাথে মিলে রাজ্য টা কে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে কেবল টাকা চাই কাটমানি চাই, সর্বোচ্চ নেতা মন্ত্রী দের ৭৫% পাঠালেই সব কিছু ঠিক আছে তাতে সাধারণ মানুষ মরুক যেমন করে হোক এই শাসক দল কে ক্ষমতায় আনতে হবে না হলে ভোটের সময় রিগিং বা ছাপ্পা দিতে পুলিশ সাহায্য করে। ব্যালট বাক্স বদলে দেয়, অফিসার গুলো গননার সময় কারচুপি করে এই শাসক দল কে জেতায় কেবল ২৫% কাটমানির ভাগ যেন তারা পায়, যত প্রকার প্রকল্প আছে তত রকম দূর্নীতি আছে। প্রতিটি ক্ষেত্রে দূর্নীতি আর এই দূর্নীতি করছে এই সব অফিসার গুলো। পশ্চিমবঙ্গ আজ ধ্বংসের পথে শিক্ষা ব্যবস্থা পুরো ধ্বংস হয়ে গেছে, স্বাস্থ্য গেছে, কোনো কিছুই বাকি নেই। পশ্চিমবঙ্গ আজ আগের বিহারে পরিনত হয়েছে এর জন্য দায়ী ঐ অফিসাররা নির্বাচন কমিশন, দল দাস পুলিশ আই প্যাক পি কে আর বর্তমান শাসক দল এরা সকলে মিলে দিল্লীর দাদা এবং আর এস এস এর ইচ্ছেটা পূর্ণ করে দিয়েছে। ভালো থাকবেন দিদি আপনি বাংলা টা আরো ধ্বংস করে দিন। বাঙালি জাতির ভীষণ গর্ব ছিল আর কিছু থাকুক আর না থাকুক তারা শিক্ষা নিয়ে গর্ব করত। ২০১১ সালের আগে ভালো ছিল শান্তি তে অন্তত থাকতে পারত।
Saturday, 31 May 2025
বাঙালি ও বর্তমান ভারত।
(ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।)
স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে সব অনেক বড় ইতিহাস, তৎকালীন ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ ভারত থেকে চলে যাওয়ার সময়, তৎকালীন মুসলিম লীগ এবং হিন্দু দের একটা অংশ যতটা সম্ভব হিন্দু মহা সভা নেতারা এই ভাগ করে ছিলেন। ব্রিটিশ সরকার চলে যাওয়ার আগে ১৯৪৬ সালে বাংলায় হিন্দু মুসলমান দাঙ্গা লাগিয়ে দিয়েছিল। যাতে করে স্বাধীন চেতা বাঙালি আর স্বাধীনতার দাবি না করে। কারণ তখন দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধ প্রায় থেমে গেছে, আজাদ হিন্দ বাহীনি আত্ম সমর্পণ করে দিয়েছে। ব্রিটিশ ভাবল যেহেতু সুভাষ চন্দ্র বসু বাঙালি সে কারণেই বাঙালির মধ্যে দাঙ্গা লাগিয়ে দিলে ভারতের অধিকাংশ রাজ্য আর স্বাধীনতা আন্দোলন করতে সাহস করবে না। কিন্তু বাধ সাধল মুম্বাই নৌবাহিনী সেখানে ব্রিটিশ নৌ বাহিনী তে যে সব ভারতীয় কাজ করতেন তারা বিদ্রোহ আরম্ভ করে দিল আজাদ হিন্দ বাহীনির সদস্যদের মুক্তি চাই, তাদের দেখা দেখি ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে সেনা বাহিনীর মধ্যে বিদ্রোহ শুরু হল। ব্রিটিশ সরকার ভারত ছেড়ে চলে যাওয়ার ঘোষণা দিলেন, এর আগেই মুসলিম লীগ এবং তৎকালীন কিছু হিন্দু নেতার কথা মেনে ভারত ভাগ শুরু হল দুটি দেশ একটি পাকিস্তান তৈরি হলো, ভাগ করা হল বাংলা ও পাঞ্জাব কে কারণ ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনে এই দুই জাতি বেশি সক্রিয় ভূমিকা নিয়ে ছিল। যেহেতু পাকিস্তান হল ব্রিটিশ ভারতের অনেক দেশীয় রাজা এবং ছোট ছোট রাজ্য যেখানে ইসলাম ধর্ম বেশি জিন্নাহ তাদের পাকিস্তানের সাথে যোগ দিতে বললেন। অনেকেই আপত্তি তুলল, কারণ ভারতের মাঝে পাকিস্তান যা কোনো দিন এক সাথে হতে পারবে না। পাকিস্তান বাদে বাকি ভারত ধর্ম নিরপেক্ষ দেশ হিসেবে থেকে গেল। এর পেছনে সর্দার বল্লভ ভাই প্যাটেলর অবদান অনস্বীকার্য। যাহোক এত গেল ভারত ভাগের অল্প ইতিহাস যা ইতিহাস বই এ পড়ানো হয়। এখন বর্তমানে ভারতের মধ্যে বাঙালির অবস্থা কেমন, আমি বলছি শোচনীয়, বাংলা দু ভাগ এক ভাগ পশ্চিমবঙ্গ আর ব্রিটিশ আমলের পদ্মার ওপারের পূর্ব বঙ্গ এখন স্বাধীন বাংলাদেশ (পূর্ব পাকিস্তান ছিল ১৯৭১ পর্যন্ত)। এবার আসি বাঙালি বরাবর স্বাধীনতা প্রিয় জাতি কিন্তু দুর্ভাগ্য সেই বাঙালি বরাবর পরাধীন থেকে গেছে, বাংলা পেয়ে ছিল স্বাধীন রাজা শশাঙ্ক, পাল রাজ্যত্ব আর সেন বংশ সেই শেষ কারণ সেন বংশের শেষ রাজা লক্ষণ সেন খলজির কাছে পরা জিত হবার পর বাংলায় আর কোনো স্বাধীন রাজা রাজ্যত্ব করে নি। এবার ছোট্ট খাটো ভুঁইয়া জমিদার এরা ছিল, এরাও সে ভাবে স্বাধীন ছিল না। আর ধর্মীয় ভাবে নিপীড়িত হিন্দু জন গোষ্ঠীর তথাকথিত নীচু জাত শুদ্র নম শুদ্র এরা উচ্চ বর্ণের অত্যাচারে অত্যাচারিত হয়ে ব্যাপক হারে ধর্ম পরিবর্তন করতে থাকে এই বাংলায় ইসলাম বাড়তে থাকে। এর ফলেই স্বাধীনতার সময় বাংলা ভাগের সুবিধা হয়। স্বাধীনতার সময় থেকেই বাঙালি জাতির উপর উত্তর ভারতের মানুষ এবং কিছু ভারতীয় পশ্চিমা রাজ্যের মানুষ বাঙালি জাতি কে ধ্বংস করতে উঠে পরে লাগে। তারা নানা রকম ভাবে বাংলা তথা পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিতে থাকে। আর ওপার বাংলা থেকে আসা বাঙালি এবং এপার বাংলায় বসবাস কারি বাঙালির মধ্যে দ্বন্দ্ব লাগিয়ে দিতে সক্ষম হয় এবং একটি বিভাজন তৈরি করতে সক্ষম হয়। ওপার বাংলা থেকে আসা বাঙালি এপার বাংলায় একটা আলাদা জাতিতে পরিনত হয়। তাদের বেশির ভাগ টা এপার বাংলায় একটা অচ্ছুত জাতি হিসেবে গন্য করা হয়। ইতিহাসের পাতা থেকে মুছে ফেলা হয় কেন বাংলা ভাগ কেন এরা ভিটে মাটি ছেড়ে আত্মিয় স্বজন ছেড়ে এপার বাংলায় চলে আসে। এখনো একটা কথা এপার বাংলায় প্রচলিত আছে এপার বাংলার সব চাকরি বাকরি ক্ষমতা সব ওপার বাংলার মানুষ দখল করে আছে। কিন্তু কেন সে কারণটা এদের শেখানো হয় না। কারণ একটাই ওপার বাংলা থেকে আসা কপর্দক শূন্য ছিন্নমূল মানুষ গুলো জানে তাদের শিক্ষা অর্জন করে প্রতিষ্ঠিত হতে হবে এছাড়া কোনো গতি নেই, কারণ এপারে তাদের কোনো জমি জমা নেই যা থেকে চাষ বাস করে দিন যাপন করতে পারে। এই অমোঘ সত্যিই টা ওপার থেকে আসা মানুষ গুলো জানত এবং কঠিন পরিশ্রম করে লেখা পড়া শিখে তারা সরাকারি বা বেসরকারি চাকরি চেষ্টা করে এবং সেসব জায়গায় কাজ করতে থাকে। আমি এপার বাংলার সাধারণ মানুষ কে বলতে শুনেছি ঐ ১০ টাকা বেতন বা ১০০ টাকা বেতনের চাকরি করে কী হবে। ওর থেকে মাঠে খাটলে মাসে অনেক টাকা ইনকাম করা যায়। আর এপার বাংলায় অনেক জায়গায় এপার বাংলার মানুষ চুল্লু বা মদ তৈরি করে তাদের অবস্থা সব থেকে ভালো তারা যা খুশি করতে পারে। এরাই এপার বাংলায় সমাজের গন্য মান্য ব্যক্তি। এরা ঐ একশ বা হাজার টাকা বেতনের চাকরি কে থোরা কেয়ার করে। সে ভাবে লেখা পড়া করেও না অথচ যে চাকরি করে তার উপর এরা - - -! এত গেল সামাজিক দিকের বাঙালি বাঙালি কে ধ্বংস করার উদাহরণ আরো আছে এখানে লিখলাম না। কেন এগুলো করা হয় বা এগুলো এই এপার বাংলার মানুষ করে থাকে কারণ এপার বাংলার মানুষ সঠিক ভাবে শিক্ষিত নয়, অশিক্ষা কুশিক্ষায় ভর্তি এবং সরকারও চায় না এরা সঠিক ভাবে শিক্ষা পাক। আর এখন খোলা খুলি দিল্লী সরকার বাঙালি জাতিকে ধ্বংস করতে আরম্ভ করেছে। কোথা এন আর সির নাম করে ডিটেনশন ক্যাম্পে তথা নতুন জেলখানায় বন্দি করে রাখছে। আর ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের বাঙালি যারা শ্রমিকের কাজ করে বা বেসরকারি অফিসে কাজ করে তাদের উপর অত্যাচার করা শুরু করে দিয়েছে। যতই কাগজ পত্র দেখানো হোক সে সব নাকি জাল এবং সব বাঙালি বাংলাদেশি। সেদিন তো একটা ইউ টিউব চ্যানেলে দেখলাম গুজরাত থেকে বেশ কিছু বাঙালি কে জাহাজে করে এনে (হাত এবং চোখ বেঁধে) সুন্দরবনের কোন এক নির্জন দ্বিপে নামিয়ে দিয়ে চলে গেছে। আগে অত্যাচার করা হচ্ছিল আসামে সেখানে ডিটেনশন ক্যাম্পে ১৯ লক্ষ বাঙালি বন্দি আছে। অনেকেই জানে না, বাংলা ভাগ করার সময় একটা অংশ আসামের সাথে যুক্ত করা হয় (করিমগঞ্জ) বরাক উপত্যকার একটা অংশ আসামের এই অংশে ১৯৬১ সালে ভাষা আন্দোলন হয় এই ভাষা আন্দোলন করতে গিয়ে ১৯৬১ সালের ১৯ শে মে বেশ কিছু বাঙালির প্রান যায়। এত গেল আসাম এর পর বর্তমান দিল্লীর শাসক বি জে পি যে যে রাজ্যে ক্ষমতায় আছে সেখানেই বাঙালি কে বাংলাদেশী বলে চিহ্নিত করা হচ্ছে এবং অকথ্য অত্যাচার করা হচ্ছে। গুজরাতে এবং দিল্লী তে বাঙালি বস্তি বাড়ি গুলো বুলডোজার চালিয়ে ভেঙে দিয়েছে, আর মহারাষ্ট্র, এবং ওড়িশায় বাংলায় তথা পশ্চিমবঙ্গে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ভারতীয় হওয়ার যতটুকু কাগজ দেখাক ওতে কিছু হবে না, আর যদি ইসলাম ধর্মের মানুষ হয় তাহলে যতই কাগজ দেখাক সে গুলো ওই সব রাজ্যের কাছে জাল এবং এরা অবৈধ অনুপ্রবেশকারী অর্থাৎ তড়িপারের কথায় এরা 'ঘুষবৈঠি' আসলে ঐ তড়িপারের বংশ ধর গন পশ্চিম পাকিস্তান থেকে এসে ছিল ওতে কোনো দোষ নেই, কারণ পাকিস্তান তো পাকিস্তানের যুজু দেখিয়ে ভোটে জেতা যায় পাকিস্তানের নাম করে মানুষ খুন করা যায় যুদ্ধ, যুদ্ধ খেলা যায়। কিন্তু বাঙালি কেন ব্রিটিশ কে তাড়িয়ে ছিল এটাই আর এস এস এবং বিজেপির দলের গাত্র দাহ, এরা ভীষণ বাঙালি বিদ্বেষী এবং বাঙালি জাতি কে ধ্বংস করার জন্য উঠে পরে লেগেছে, এখন বাংলায় ঐ আর এস এস সমর্থিত সরকার চলছে, বাঙালি কে ধ্বংস করার জন্য তাদের শিক্ষা ব্যবস্থা কে ধ্বংস করে দিয়েছে, কারণ জানে এই চোর বাটপার দূর্নীতি গ্রস্থ সরকার কিছু করতে পারবে না। করলেই জেল, সেই কারণেই পশ্চিমবঙ্গে যত বড় বড় আমলা অর্থাৎ সচিব এসেছে বেশির ভাগ গুজরাতি লোক এরা বিভিন্ন ভাবে বাঙালি কে আবার সেই ১৯৪৭ এর পরের অবস্থায় নিয়ে যেতে চাইছে। কারণ বর্তমানে একটা বিষয় লক্ষ্য করে দেখবেন দূর্নীতি সেই সচিব পর্যায় পর্যন্ত, তবে ইংরেজ আমলেও বর্তমান শাসকের মত এক দল ব্রিটিশের পা চাটা গোলাম ছিল যাদের মাধ্যমে ইংরেজরা প্রায় দুশো বছর রাজত্ব করে গেছে। এই রকম গোলাম পা চাটা দের ঘুষ দিয়ে, ধর্মের নামে বাঙালি কে ভাগ করে রেখে ইংরেজরা শাসন করত, এখন দিল্লির শাসক ও সেই ইংরেজ এবং পশ্চিমবঙ্গে সেই ইংরেজের পা চাটার দল ক্ষমতায়। দেখুন তখন ইষ্ট ইন্ডিয়ান কোম্পানি ব্যবসা করে শোষণ করত এখন গুজরাতের ব্যবসায়ীরা করছে। এখন তো ভারতে গুজরাতি শাসন চলছে একটু খেয়াল করলে দেখবেন ভারতের সংবিধান না মেনে একদম শোষণের চুড়ান্ত পর্যায় নিয়ে চলে গেছে। কিছু বাঙালি আছে খুব লাফালাফি করছে বি জে পি সরকার আসুক, আমি ও এই বাঙালি আরো ধ্বংস হোক ১৯৪৭ সালের আগের অবস্থায় ফিরে আসুক, ১৯৪৩ সালের মত দূর্ভীক্ষ আসুক "বাবু গো একটু ফেন দেবে" বলে শহরের রাস্তায় ঘুরে বেড়াক তবে তখন কলকাতায় কিছু হলেও বাঙালি ছিল এখন কিন্তু নেই, আর দূর্ভীক্ষ হয়েছিল কারণ হচ্ছে ঐ ভারতের পশ্চিমা রাজ্যের ব্যবসায়ী দের খাদ্য মজুত করে রাখার জন্য। বিজন ভট্টাচার্যের লেখা নবান্ন নাটক এবং কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের লেখা বেশ কিছু কবিতা পড়লেই জানা যাবে সেই দূর্ভীক্ষের ভয়াভয় ছবি। যাহোক ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ভেজাল ওষুধ খাবেন, ডাক্তারি না পড়ে ডাক্তারি করা ডাক্তার দেখাবেন। ব্যবসায়ী গন ইলেট্রালার বণ্ডে টাকা দেবে আর জিনিস পত্রের দাম আকাশ ছোঁয়া হবে আপনি পাঁচশ হাজার টাকা ভাতা পাবেন, বেশ চলে যাবে। আর এমন একটা অশিক্ষিত মানুষ এই বাংলায় তৈরি করা হয়েছে যারা পা চাটা ছাড়া আর কিছু জানে না। এখনই দেখছেন দিল্লীর দাদা বা রাজ্যের দিদি যা বলছে তাতেই হাততালি পড়ছে। খুব ভালো থাকুন আর দাদা এবং দিদি কে ভোট দিতে ভুলবেন না। আপনি বা আপনারা ভোট না দিলে কি করে মন্দির তৈরি করে দেবে। একজন রাম মন্দির বানায় তো আরেক জন জগন্নাথ মন্দির। দিদি এবং দিদির ঐ সচিবের দল শিখিয়েছে লেখা পড়া না করে পরীক্ষা না দিয়ে বা সাদা খাতা জমা দিয়ে ঘুষ দিয়ে চাকরি করা যায় ডাক্তার হওয়া যায়।
Thursday, 17 April 2025
সত্যিই পশ্চিমবঙ্গে ডবল ডবল চাকরি হবে!
মনে পড়ে যাচ্ছে গত বিধানসভা না লোকসভা নির্বাচনে আগে মাননীয়ার ভোট প্রচারে বলা সেই কথাটা, ডবল ডবল চাকরি হবে! আজ পশ্চিমবঙ্গে সেটাই হতে যাচ্ছে, বর্তমানে সুপ্রীম কোর্টের রায়ে যে সকল শিক্ষক শিক্ষিকা তথাকথিত চিহ্ণিত দূর্নীতি করে চাকরি পায় নি বা ঘুষ দিয়ে চাকরিতে ঢুকেছে এ রকম প্রমাণ হয় নি বা এস এস সি বলে নি তারা আজ তথা১৭/৪/২৫ এর রায়ের পর ৩১শে ডিসেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত স্কুলে যেতে পারবে। আগামী ৩১ শে মে ২০২৫ শের মধ্যে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ার নোটিশ জারি করা হবে যারা ২০১৬ সালে পরীক্ষা দিয়ে ছিল তারা সহ আরো নতুন চাকরি প্রার্থী পরীক্ষা দিতে পারবে। আর নিয়োগ করা হবে ২০১৬ সালের ২৫৭৫২ জনের যে পদ খালি ছিল সেই পদে। অর্থাৎ একবার ষোল সালে টাকা নিয়ে ঐ পদের জন্য পরীক্ষা নিয়ে ২০১৮ বা ২০১৯ সালে নিয়োগ করা হয়েছিল আবার সেই পদের জন্য আবেদন এবং আবার ফর্ম বিক্রি আবার পরীক্ষা বাইশ লক্ষ আবেদন কারি যতটা সম্ভব ৫০০ টাকা করে ফর্ম পূরণ করতে হবে। অর্থাৎ একটা চাকরির জন্য দুবার আবেদন দুবার পরীক্ষা কারণ মাননীয়ার ভাই ভাইপো দের টাকার লোভ সেই সময়ে কয়েক হাজার আবেদন কারির কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়ে চাকরি বিক্রি করা।
এটা হয়েছে একটাই কারণে পশ্চিমবঙ্গে শিল্প সম্ভাবনা কে গুজরাত কে উপহার হিসেবে দিয়ে এখন পশ্চিমবঙ্গে কয়েক কোটি বেকার কারণ পশ্চিমবঙ্গে লোক সংখ্যা বেশি। মাননীয়ার গুজরাত প্রীতি বরাবরের নিজের রাজ্য বা বাঙালি উচ্ছন্নে যাক গুজরাত বেঁচে থাক। শিক্ষা তো ঐ নাগপুরের নেতার কথায় ধ্বংস করে দিয়েছে। এখন কঙ্কাল সার অবস্থা কয়েক জন মন্ত্রী সে বেসরকারি স্কুল খুলেছে প্রতি বছর নতুন নতুন নাম তার। চারপাশে বিজ্ঞাপনের ছড়া ছড়ি। একটা আশ্চর্যের বিষয় লক্ষ্য করা যাচ্ছে এই সরকার নিযুক্ত ঘুষ দিয়ে চাকরি পাওয়া শিক্ষক কুল যাতে মন্ত্রী দের স্কুলে ছাত্র ছাত্রী ভর্তি হয় তার জন্য সুপারিশ করছে। কী দারুণ ব্যাপার না! যাহোক শেষ পর্যন্ত ডবল ডবল চাকরি হবে, এর জন্য দায়ী এক শ্রেণির অল্প শিক্ষিত সর্ব জ্ঞানী বাঙালি কারণ আমি শুনেছি আগে অর্থাৎ এই সরকার আসার আগে ২০১১ সালের আগে যদি কেউ সরকারি চাকরি পেতে তাদের একটাই কথা কত টাকা দিয়েছে দেখ বা খুঁজে বের করত তার বাড়ির কারোর সাথে সি পি আই এম এর যোগাযোগ আছে কীনা! এই সব মানুষ গুলোই আজ এই সরকারে নেতা মন্ত্রী কর্মী চোর দের ঘুষ দিয়ে চাকরি কিনে ছিল। যা ১৯৯৭ এর পর কল্পনা করা যেত না। আবার ভাবলে হবে না যারা সেই সময় অর্থাৎ ১৯৯৭ সাল থেকে ২০১১ পর্যন্ত চাকরি পেয়েছিলেন তারা সকলেই বামেদের সমর্থন করে মোটেও না বেশির ভাগ টাই কট্টর বাম বিরোধী অথচ এখন বুক ফুলিয়ে বলছে আমি বাম আমলে এস এস সি বা প্রাইমারি পরীক্ষা দিয়ে চাকরি পেয়েছি। সত্যিই বেশ আশ্চর্যের ব্যাপার স্যাপার, তবে এটা ঠিক আজ মাননীয়ার কথা সত্যিই হচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গে ডবল ডবল চাকরি হবে। ধন্যবাদ দিদি আপনাকে আপনি আরও কুড়ি বছর রাজত্বে থাকলে বাঙালি আর বাঙালি থাকবে না সকলে ডিটেনশন ক্যাম্পে চলে যাবে এটা পূর্ব বিহার হবে। আপনি নিশ্চিন্তে থাকুন আপনিও বাঙালির সাথে ডিটেনশন ক্যাম্পে চলে যাবেন। আর যে দিন আপনার দাদা বাংলাদেশ দখল করবে স্বপ্ন দেখছে সেদিন ওখানে পাঠিয়ে দেবে। কারণ আপনার গুজরাতি ভাই এবং নাগপুরের ভাই এর কথা হচ্ছে বাঙালি দেশ ভাগ করে নিয়েছে নিজের দেশ বাংলাদেশে চলে যাবে। এখানে থাকবে কেন?
Wednesday, 9 April 2025
শিক্ষা আজ বুটের তলায়।
Sunday, 30 March 2025
পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচন কে দয়া করে প্রহসনে পরিনত করবেন না।
Wednesday, 26 March 2025
বিলেত ফেরত চোর।
হুঁ হুঁ বাবা যে সে চোর নয় বিলেত ফেরত চোর। আগে ইংরেজ আমলে শুনতাম বিলেত ফেরত ডাক্তার। বিলেত ফেরত উকিল ব্যারিস্টার। আর বিলাতি জিনিস পত্রের অভাব ছিল না। এখন থেকে আরো দু টো বিষয় নিয়ে বিলেতে যাওয়া যায় এবং বলাও যাবে বিলেত ফেরত মিথ্যাবাদী আর বিলেত ফেরত চোর। কোন বাঙালি পেরেছে বিলেতের মাটিতে উল্টো হাঁটতে। ইংরেজ শাসন মুক্ত হবার পর বা তার আগে থেকেই বাঙালি তার শিক্ষা দীক্ষায় গোটা পৃথিবীতে শ্রেষ্ঠ জাতি হিসেবে পরিচিত ছিল। এখন এই দ্বিতীয় ইংরেজ শাসনে থুরি ইংরেজের গোলামি করা বাঙালির শাসনে সব কিছু উল্টো। ইংরেজ গন যা করত শাসন করার জন্য মিথ্যা কথা বলা ঘুষের বদলে শাস্তি মুকুব সব কিছু হচ্ছে এখানে। বাঙালির শিল্প সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য ধ্বংস করে ইংরেজরা তাদের সব কিছু প্রচার বা প্রতিষ্ঠা করে ছিল এখন এই এই দ্বিতীয় লেডি ইংরেজ এবং তার চাটুকারের দল দিন পর দিন সেই কাজ টা করে যাচ্ছে। শিক্ষা আজ ধ্বংস করে দিয়েছে। দিল্লির ইংরেজের প্রতিভূ দাদার সাথে মিলে। বাঙালি এখন এখন চুরিতে এক নম্বর, মিথ্যা কথা বলায় এক নম্বর। চিটিংবাজিতে এক নম্বর। শিক্ষা আজ রসাতলে। সেই কারণেই ঘুষ নিয়ে শিক্ষক নিয়োগ সেই রকম পাঠ্যসূচি বলেও কোনো পরিবর্তন নেই। বারো হাজারের বেশি স্কুল শিক্ষক শিক্ষিকার অভাবে ধুঁকছে এর মধ্যে ৮৩৩৪ টা বন্ধ হয়ে যাবে যাবে করছে কারণ শাসক দলের নেতা মন্ত্রী কর্মী গন টাকা নিয়ে এমন শিক্ষক নিয়োগ করেছে তারা স্কুলে বেশি ছাত্র ছাত্রী ভর্তি করতে চায় না। স্কুলে না এসে তাদের বাড়ি তে বসিয়ে বসিয়ে বেতন দিলে ভালো হয়। আর পড়ানো সে তো বলা যাবে না। অনেকেই জানেই না, টিচিং কি কেবল ফাঁকা আওয়াজ আর ছাত্র ছাত্রী আর অভিভাবক দের অপমান করে কথা বলতে পারে। জানেই না একটা স্কুল গড়ে ওঠে অভিভাবক শিক্ষক ও ছাত্র নিয়ে। কি করে জানবে সাদা খাতা জমা দিয়ে চাকরি কারণ ২০১২ সালের টেট পাস করা মুখের কথা ছিল না। যাহোক ছাড়ুন যে রাজ্যে শিক্ষক শিক্ষিকা নিয়োগের থেকে চোর নিয়োগ দিতে বেশি পছন্দ করে সেখানে এই পরিস্থিতিত হবে না তো কি অন্য কিছু হবে। সেই কারণেই বিলেতে উল্টো হেঁটে উনি বোঝাতে চাইছেন আমি আবার ১৯১১ বা তারও আগে বাঙালি জাতি কে ফেরত নিয়ে গেছি এবার তোমরা আমাকে সাহায্য কর আমি বাঙালি জাতির মেরুদণ্ড শিক্ষা ভেঙে তচনচ করে দিয়েছি। ব্যাঙের ছাতার মত বেসরকারি বিদ্যালয় সরকারি স্কুল কমছে এখন আর রামমোহন বা বিদ্যাসাগর বা বেগম সাখাওয়াত রবীন্দ্র নাথ ঠাকুর নেই যারা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৈরি করে বাঙালি জাতি কে আবার মাথা তুলতে সাহায্য করতে পারে। আমি বাঙালি জাতি কে মিথ্যাবাদী প্রতারক চিটিংবাজে পরিনত করে দিয়েছি। চুরি ডাকাতি চিটিংবাজি এবং বাঙালি কে ধ্বংস করার জন্য বেইমান ঘুষখোর পুলিশ প্রশাসন এমন কি দিল্লির উচ্চ আদালত ও এখন আমার অধীনে আমি চাই তোমরা এসে আমাকে সাহায্য কর আমি যেন তোমাদের মত পুলিশ প্রশাসন দিয়ে প্রতিবাদী কে শাস্তি দিতে পারি। সেই কারণেই এসেছি। যাহোক এসব ছাড়ুন একদল বাঙালি এখন বলতে পারবে বিলেত ফেরত মিথ্যাবাদী ও বিলেত ফেরত চোর আমরা।
Wednesday, 12 February 2025
বাংলা বাজেট উপঢৌকন রাজনীতি।
ছবিটি ডেইলি হান্ট নিউজ ওয়েব সাইট থেকে নেওয়া। রাজ্য বাজেটের মূল ঘোষণা গুলো দেখুন। আশা ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী দের স্মার্টফোন দেওয়া হবে দু শো কোটি টাকা বরাদ্দ। লাভ কার আম্বানির কারণ সরকার ফিচার ফোনে রিচার্জ কুড়ি টাকা করে দিয়েছে। আর স্মার্ট ফোন সব থেকে কম দু শো টাকা। আর আছে কাট মানির ব্যবস্থা, কীভাবে বলছি কোচবিহার জেলার মাধ্যমিক পরীক্ষার তথ্যটা দেখে নিনি। তারপর বলছি কেন এটা হয়েছে।
এটা ফেসবুকে দীপক রায়ের দেওয়া তথ্য। দেখুন মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে হলে রেজিস্ট্রেশন করতে হয় নবম শ্রেণিতে যারা নবম শ্রেণিতে রেজিস্ট্রেশন করে বা নবম শ্রেণিতে পড়ে তাদের সবুজ সাথীর সাইকেল দেওয়া হয়। তাহলে বোঝা যাচ্ছে ঐ জেলায় ৪৫ হাজার সাইকেল এসেছে বা ৯ হাজার সাইকেল বিলি করে ৪৫ হাজার দেখানো হয়েছে। অর্থাৎ ভুয়ো পরীক্ষার্থী ৩৬ হাজার। এবার হিসাব করে দেখুন ৩৬ হাজার সাইকেল কত টাকা দাম। আর এজন্য যত উপঢৌকন প্রকল্প যত প্রকল্প তত কাটমানি সামনে ভোট এসব না হলে মদ মাংস আসবে কোথা থেকে! আর সরকারী কর্মচারী দের ডি এ দিলে কাট মানি পাবে না। এই সরকার জানে ডি এ না দিলেও কিছু সরকারি কর্মচারী আনন্দ সহকারে ই ভি এম পাল্টে দেবে। মেমরি কার্ড বদল এগারো ঘন্টা ভোট হবার পর জমা আবার পনেরো কুড়ি দিন পর গগনা তার পরেও ব্যাটারি চার্জ থাকবে ৯৯% থেকে ১০০% এসব কথা বলার মত লোক নেই। কারণ যারা বলবে সেই সরকারি কর্মচারী গন কাটমানিতে পুষ্ট। বেশ চলছে। জিনিস পত্রের দাম আকাশ ছোঁয়া, মানুষের আয় কমে গেছে। মানুষের ক্রয় ক্ষমতা কমে গেছে ছোট খাটো দোকান মাছি তাড়াচ্ছ। কারণ সরকারি নিয়োগ নেই বেসরকারি নিয়োগ নেই কম বেতনের কর্মী বেশি পাঁচ ছ হাজার বা সব থেকে বেশি হলে দশ হাজার টাকা। আর এটাও ঠিক এই শাসক দল যেমন করে হোক ২০২৬ এ জিতবে উপঢৌকন দিয়ে মানুষ মরবে ভোটের নামে প্রহসন করা হবে। যেমন করে হোক জিতবে এবং বাঙালি জাতি আরো ধ্বংসের দিকে যাবে। শিক্ষা গেছে স্বাস্থ্য গেছে রোজগার গেছে মান সম্মান গেছে। বাঙালি আজ চোরের জাতিতে পরিনত হয়েছে এর থেকে বড় লজ্জার আর কি আছে!
Monday, 3 February 2025
রাজ্যের পোষা কিছু সাংবাদিক রোজ ডি এ দিচ্ছে!
ছবিটি ডেইলি হান্ট নিউজ ওয়েব সাইট থেকে নেওয়া। বর্তমান পশ্চিমবঙ্গ সরকার ডি এ না দিলে কি হবে এই রকম সংবাদ মাধ্যম প্রতিদিন ডি এ দিয়ে যাচ্ছে। এরা এখন পর্যন্ত যা ডি এ দিয়েছে, নতুন বেতন ক্রমে কেন্দ্রীয় সরকার যত শতাংশ ডি এ দেয় তার দ্বিগুণের থেকে বেশি আজ আবার অতিরিক্ত পাওয়া সপ্তম বেতন কমিশন। গাছে কাঁঠাল গোঁফে তেল এসব প্রচার করে কী পায় এরা টাকা! না চুরির টাকার ভাগ ২৫%। এখন এসব প্রচার বেশি করে হবে কারণ আসছে বছর 2026 বিধানসভা নির্বাচন। এ সরকার কর্মচারী মারা সরকার এ কখনোই ডি এ দেবে না। সর্বপোরি এক একজন চরম মিথ্যাবাদী ক্ষমতায় আসার আগে লম্বা চওড়া কথা আর যেই এসেছে শুরু হয়েছে লুটপাট যেখানে লুটপাট করা যাবে না সেখানে টাকা নেই। যেমন সাইকেল দেওয়া যার বাবা চার চাকা বা স্কুটি মোটর সাইকেল কিনে দিতে পারে তাকেও একটা সাইকেল আর সাইকেল দেওয়ার টাকা কীভাবে লুট হচ্ছে অনেকেই জানে না। এছাড়া অনেক ভাতা প্রকল্প যার প্রয়োজন নেই সেও পায়। আর এই দুর্গ পুজোর অনুদান এখন পর্যন্ত এই অনুদান দিতে ২০০০ কোটি টাকা লেগেছে। কোথায় লুট নেই যত শ্রী আর ভাণ্ডার আছে সব গুলো চালু করা হয়েছে লুটে খাবার জন্য। কেউ যদি কিছু বলেছে তাহলেই একটাই কথা আমি আমার টাকা দিচ্ছি কারো বাপের টাকা নয়। এই টাকা কারো বাপের নয় মায়েরো নয় জনগণের ট্যাক্সের টাকা। আবার এক শ্রেণির কর্মচারী আছে যাদের ডি এ পে কমিশন লাগে না তারা কাটমানিতে পুষ্ট। আরেক শ্রেণির আছে যারা ভয়ে ভয়ে থাকে এবং এই দুই শ্রেণির কর্মচারী ভোটে জিততে এবং কাটমানি তোলা বাজিতে সাহায্য করে। বিশেষ করে পুলিশ আর পঞ্চায়েত এবং বি ডিওর বেশির ভাগ কর্মচারী এরা। আর বেতন কমিশন সে তো ললিপপ এমন বেতন বেতন কমিশন হয়েছে যে সিনিয়র কর্মী জুনিয়র কর্মীদের থেকে কম বেতন পায়। এর অবশ্য একটা কারণ আছে বেশিরভাগ জুনিয়র কর্মী ঘুষ দিয়ে, সাদা খাতা জমা দিয়ে পরীক্ষা না দিয়ে চাকরি পেয়েছে। লাখ লাখ টাকা পাওয়া চাকরি সেই টাকা যাতে তাড়াতাড়ি ওঠে সে কারণেই এই রকম বেতন কমিশন। তবে একটা কথা ডি এ না দিয়ে ডি এ শ্রী চালু করলে বরং কাটমানি পাওয়া যাবে। সরকারি কর্মচারী দের অনুরোধ আপনারা ডি এ শ্রী দেবার দাবী করুন প্রথম হাজার তার পর সেটা দেড় হাজার হবে।
Saturday, 1 February 2025
১২ লক্ষ টাকা ট্যাক্স ছাড় কেউ কেউ বলছেন ১২ লক্ষ ৭৫ হাজার।
ছবিটি ডেইলি হান্ট নিউজ ওয়েব সাইট থেকে নেওয়া। সব সংবাদ মাধ্যম দেখাচ্ছে ১২ লাখ টাকা পর্যন্ত ইনকাম ট্যাক্স ছাড় আবার কেউ কেউ আবার ১২ লাখ ৭৫ হাজার। এই সব অন লাইন নিউজ পোর্টালের কাছে আমার প্রশ্ন একটু বুঝিয়ে বলেন তো কীভাবে ১২ লাখ পর্যন্ত ছাড় হয়। এই নিউজ পোর্টাল হেড লাইন করেছে ১২ লাখ পর্যন্ত ছাড় অথচ ট্যাক্স স্ল্যাবে দিচ্ছে তখন আরেক রকম এরকম বিভ্রান্তি কেন। এদের দেওয়া ট্যাক্স স্ল্যাব দিলাম।
এই হিসাবে কীভাবে ১২ লাখ পর্যন্ত ছাড় ট্যাক্স ছাড় হয় একটু বুঝিয়ে দিলে ভালো হতো! কারণ যিনি বছরে বারো লাখ টাকা আয় করবেন আপনার দেওয়া নতুন স্ল্যাবে ট্যাক্স পড়বে প্রথম ৪ লাখ টাকা ছাড়। অর্থাৎ ১২ লাখ থেকে ৪ লাখ বাদ দিলে থাকল ৮ লাখ ।এবার ৪ লাখ টাকা বাদ দিয়ে পরবর্তী ৮লাখ টাকার ৫% ট্যাক্স অর্থাৎ ৮লাখ x ৫% = ৪০০০০ টাকা কীভাবে ১২ লাখ টাকা পর্যন্ত ইনকাম ট্যাক্স ছাড় হলো একটু বুঝিয়ে বলুন। আপনার দেওয়া স্ল্যাবে যার ১২ লাখ টাকা আয় তাকে ট্যাক্স দিতে হবে ৪০ হাজার টাকা। ভালো করে বুঝে সংবাদ করেন না কেবল বিজেপি বা মোদীর পা চাটতে গিয়ে এরকম ভুল ভাল খবর করেন।
পশ্চিমবঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করার সরকারি দপ্তরে শেষ চেষ্টা।
উপরের ছবি টা একটা স্কীনশট নেওয়া ছবি। ছবি টি সম্পর্কে কিছু কথা বলি তার পর অন্য কিছু কথা লেখা যাবে। ছবির দুটি অংশ উপরের অংশ একজন শিক্ষক যিনি ...

-
সরস্বতী পুজোর পদ্ধতি, পরপর যা করতে হবে।১)আচমন ২)বিষ্ণু স্মরণ ৩)স্বত্ত্বি বাচন ৪) স্বত্ত্বি সূক্ত ৫) সাক্ষ্য মন্ত্র ৬) বরণ ৭) সংকল্প ৮) স...
-
আমি এর আগে একটি ব্লগে লিখেছি, দুর্গা যষ্টী পূজার মন্ত্র ।এখানে বলি আমি পণ্ডিত নই, বিভিন্ন ধরনের বই পড়ে, আর দু একজন ব্রাহ্মণের সাথে কাজ ...
-
ছবি টি কীসের বা কোন প্রাণীর নিশ্চয়ই বলে দিতে হবে না। মানুষের প্রথম পোষ মানা প্রথম প্রাণী, হয়তো অনেকেই পড়ে বলবেন এবার নতুন কী এতো আমরা স...