Anulekhon.blogspot.com

Saturday, 31 May 2025

বাঙালি ও বর্তমান ভারত।


 (ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।)

স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে সব অনেক বড় ইতিহাস, তৎকালীন ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ ভারত থেকে চলে যাওয়ার সময়, তৎকালীন মুসলিম লীগ এবং হিন্দু দের একটা অংশ যতটা সম্ভব হিন্দু মহা সভা নেতারা এই ভাগ করে ছিলেন। ব্রিটিশ সরকার চলে যাওয়ার আগে ১৯৪৬ সালে বাংলায় হিন্দু মুসলমান দাঙ্গা লাগিয়ে দিয়েছিল। যাতে করে স্বাধীন চেতা বাঙালি আর স্বাধীনতার দাবি না করে। কারণ তখন দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধ প্রায় থেমে গেছে, আজাদ হিন্দ বাহীনি আত্ম সমর্পণ করে দিয়েছে। ব্রিটিশ ভাবল যেহেতু সুভাষ চন্দ্র বসু বাঙালি সে কারণেই বাঙালির মধ্যে দাঙ্গা লাগিয়ে দিলে ভারতের অধিকাংশ রাজ্য আর স্বাধীনতা আন্দোলন করতে সাহস করবে না। কিন্তু বাধ সাধল মুম্বাই নৌবাহিনী সেখানে ব্রিটিশ নৌ বাহিনী তে যে সব ভারতীয় কাজ করতেন তারা বিদ্রোহ আরম্ভ করে দিল আজাদ হিন্দ বাহীনির সদস্যদের মুক্তি চাই, তাদের দেখা দেখি ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে সেনা বাহিনীর মধ্যে বিদ্রোহ শুরু হল। ব্রিটিশ সরকার ভারত ছেড়ে চলে যাওয়ার ঘোষণা দিলেন, এর আগেই মুসলিম লীগ এবং তৎকালীন কিছু হিন্দু নেতার কথা মেনে ভারত ভাগ শুরু হল দুটি দেশ একটি পাকিস্তান তৈরি হলো, ভাগ করা হল বাংলা ও পাঞ্জাব কে কারণ ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনে এই দুই জাতি বেশি সক্রিয় ভূমিকা নিয়ে ছিল। যেহেতু পাকিস্তান হল ব্রিটিশ ভারতের অনেক দেশীয় রাজা এবং ছোট ছোট রাজ্য যেখানে ইসলাম ধর্ম বেশি জিন্নাহ তাদের পাকিস্তানের সাথে যোগ দিতে বললেন। অনেকেই আপত্তি তুলল, কারণ ভারতের মাঝে পাকিস্তান যা কোনো দিন এক সাথে হতে পারবে না। পাকিস্তান বাদে বাকি ভারত ধর্ম নিরপেক্ষ দেশ হিসেবে থেকে গেল। এর পেছনে সর্দার বল্লভ ভাই প্যাটেলর অবদান অনস্বীকার্য। যাহোক এত গেল ভারত ভাগের অল্প ইতিহাস যা ইতিহাস বই এ পড়ানো হয়। এখন বর্তমানে ভারতের মধ্যে বাঙালির অবস্থা কেমন, আমি বলছি শোচনীয়, বাংলা দু ভাগ এক ভাগ পশ্চিমবঙ্গ আর ব্রিটিশ আমলের পদ্মার ওপারের পূর্ব বঙ্গ এখন স্বাধীন বাংলাদেশ (পূর্ব পাকিস্তান ছিল ১৯৭১ পর্যন্ত)। এবার আসি বাঙালি বরাবর স্বাধীনতা প্রিয় জাতি কিন্তু দুর্ভাগ্য সেই বাঙালি বরাবর পরাধীন থেকে গেছে, বাংলা পেয়ে ছিল স্বাধীন রাজা শশাঙ্ক, পাল রাজ্যত্ব আর সেন বংশ সেই শেষ কারণ সেন বংশের শেষ রাজা লক্ষণ সেন খলজির কাছে পরা জিত হবার পর বাংলায় আর কোনো স্বাধীন রাজা রাজ্যত্ব করে নি। এবার ছোট্ট খাটো ভুঁইয়া জমিদার এরা ছিল, এরাও সে ভাবে স্বাধীন ছিল না। আর ধর্মীয় ভাবে নিপীড়িত হিন্দু জন গোষ্ঠীর তথাকথিত নীচু জাত শুদ্র নম শুদ্র এরা উচ্চ বর্ণের অত্যাচারে অত্যাচারিত হয়ে ব্যাপক হারে ধর্ম পরিবর্তন করতে থাকে এই বাংলায় ইসলাম বাড়তে থাকে। এর ফলেই স্বাধীনতার সময় বাংলা ভাগের সুবিধা হয়। স্বাধীনতার সময় থেকেই বাঙালি জাতির উপর উত্তর ভারতের মানুষ এবং কিছু ভারতীয় পশ্চিমা রাজ্যের মানুষ বাঙালি জাতি কে ধ্বংস করতে উঠে পরে লাগে। তারা নানা রকম ভাবে বাংলা তথা পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিতে থাকে। আর ওপার বাংলা থেকে আসা বাঙালি এবং এপার বাংলায় বসবাস কারি বাঙালির মধ্যে দ্বন্দ্ব লাগিয়ে দিতে সক্ষম হয় এবং একটি বিভাজন তৈরি করতে সক্ষম হয়। ওপার বাংলা থেকে আসা বাঙালি এপার বাংলায় একটা আলাদা জাতিতে পরিনত হয়। তাদের বেশির ভাগ টা এপার বাংলায় একটা অচ্ছুত জাতি হিসেবে গন্য করা হয়। ইতিহাসের পাতা থেকে মুছে ফেলা হয় কেন বাংলা ভাগ কেন এরা ভিটে মাটি ছেড়ে আত্মিয় স্বজন ছেড়ে এপার বাংলায় চলে আসে। এখনো একটা কথা এপার বাংলায় প্রচলিত আছে এপার বাংলার সব চাকরি বাকরি ক্ষমতা সব ওপার বাংলার মানুষ দখল করে আছে। কিন্তু কেন সে কারণটা এদের শেখানো হয় না। কারণ একটাই ওপার বাংলা থেকে আসা কপর্দক শূন্য ছিন্নমূল মানুষ গুলো জানে তাদের শিক্ষা অর্জন করে প্রতিষ্ঠিত হতে হবে এছাড়া কোনো গতি নেই, কারণ এপারে তাদের কোনো জমি জমা নেই যা থেকে চাষ বাস করে দিন যাপন করতে পারে। এই অমোঘ সত্যিই টা ওপার থেকে আসা মানুষ গুলো জানত এবং কঠিন পরিশ্রম করে লেখা পড়া শিখে তারা সরাকারি বা বেসরকারি চাকরি চেষ্টা করে এবং সেসব জায়গায় কাজ করতে থাকে। আমি এপার বাংলার সাধারণ মানুষ কে বলতে শুনেছি ঐ ১০ টাকা বেতন বা ১০০ টাকা বেতনের চাকরি করে কী হবে। ওর থেকে মাঠে খাটলে মাসে অনেক টাকা ইনকাম করা যায়। আর এপার বাংলায় অনেক জায়গায় এপার বাংলার মানুষ চুল্লু বা মদ তৈরি করে তাদের অবস্থা সব থেকে ভালো তারা যা খুশি করতে পারে। এরাই এপার বাংলায় সমাজের গন্য মান্য ব্যক্তি। এরা ঐ একশ বা হাজার টাকা বেতনের চাকরি কে থোরা কেয়ার করে। সে ভাবে লেখা পড়া করেও না অথচ যে চাকরি করে তার উপর এরা - - -! এত গেল সামাজিক দিকের বাঙালি বাঙালি কে ধ্বংস করার উদাহরণ আরো আছে এখানে লিখলাম না। কেন এগুলো করা হয় বা এগুলো এই এপার বাংলার মানুষ করে থাকে কারণ এপার বাংলার মানুষ সঠিক ভাবে শিক্ষিত নয়, অশিক্ষা কুশিক্ষায় ভর্তি এবং সরকারও চায় না এরা সঠিক ভাবে শিক্ষা পাক। আর এখন খোলা খুলি দিল্লী সরকার বাঙালি জাতিকে ধ্বংস করতে আরম্ভ করেছে। কোথা এন আর সির নাম করে ডিটেনশন ক্যাম্পে তথা নতুন জেলখানায় বন্দি করে রাখছে। আর ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের বাঙালি যারা শ্রমিকের কাজ করে বা বেসরকারি অফিসে কাজ করে তাদের উপর অত্যাচার করা শুরু করে দিয়েছে। যতই কাগজ পত্র দেখানো হোক সে সব নাকি জাল এবং সব বাঙালি বাংলাদেশি। সেদিন তো একটা ইউ টিউব চ্যানেলে দেখলাম গুজরাত থেকে বেশ কিছু বাঙালি কে জাহাজে করে এনে (হাত এবং চোখ বেঁধে) সুন্দরবনের কোন এক নির্জন দ্বিপে নামিয়ে দিয়ে চলে গেছে। আগে অত্যাচার করা হচ্ছিল আসামে সেখানে ডিটেনশন ক্যাম্পে ১৯ লক্ষ বাঙালি বন্দি আছে। অনেকেই জানে না, বাংলা ভাগ করার সময় একটা অংশ আসামের সাথে যুক্ত করা হয় (করিমগঞ্জ) বরাক উপত্যকার একটা অংশ আসামের এই অংশে ১৯৬১ সালে ভাষা আন্দোলন হয় এই ভাষা আন্দোলন করতে গিয়ে ১৯৬১ সালের ১৯ শে মে বেশ কিছু বাঙালির প্রান যায়। এত গেল আসাম এর পর বর্তমান দিল্লীর শাসক বি জে পি যে যে রাজ্যে ক্ষমতায় আছে সেখানেই বাঙালি কে বাংলাদেশী বলে চিহ্নিত করা হচ্ছে এবং অকথ্য অত্যাচার করা হচ্ছে। গুজরাতে এবং দিল্লী তে বাঙালি বস্তি বাড়ি গুলো বুলডোজার চালিয়ে ভেঙে দিয়েছে, আর মহারাষ্ট্র, এবং ওড়িশায় বাংলায় তথা পশ্চিমবঙ্গে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ভারতীয় হওয়ার যতটুকু কাগজ দেখাক ওতে কিছু হবে না, আর যদি ইসলাম ধর্মের মানুষ হয় তাহলে যতই কাগজ দেখাক সে গুলো ওই সব রাজ্যের কাছে জাল এবং এরা অবৈধ অনুপ্রবেশকারী অর্থাৎ তড়িপারের কথায় এরা 'ঘুষবৈঠি' আসলে ঐ তড়িপারের বংশ ধর গন পশ্চিম পাকিস্তান থেকে এসে ছিল ওতে কোনো দোষ নেই, কারণ পাকিস্তান তো পাকিস্তানের যুজু দেখিয়ে ভোটে জেতা যায় পাকিস্তানের নাম করে মানুষ খুন করা যায় যুদ্ধ, যুদ্ধ খেলা যায়। কিন্তু বাঙালি কেন ব্রিটিশ কে তাড়িয়ে ছিল এটাই আর এস এস এবং বিজেপির দলের গাত্র দাহ, এরা ভীষণ বাঙালি বিদ্বেষী এবং বাঙালি জাতি কে ধ্বংস করার জন্য উঠে পরে লেগেছে, এখন বাংলায় ঐ আর এস এস সমর্থিত সরকার চলছে, বাঙালি কে ধ্বংস করার জন্য তাদের শিক্ষা ব্যবস্থা কে ধ্বংস করে দিয়েছে, কারণ জানে এই চোর বাটপার দূর্নীতি গ্রস্থ সরকার কিছু করতে পারবে না। করলেই জেল, সেই কারণেই পশ্চিমবঙ্গে যত বড় বড় আমলা অর্থাৎ সচিব এসেছে বেশির ভাগ গুজরাতি লোক এরা বিভিন্ন ভাবে বাঙালি কে আবার সেই ১৯৪৭ এর পরের অবস্থায় নিয়ে যেতে চাইছে। কারণ বর্তমানে একটা বিষয় লক্ষ্য করে দেখবেন দূর্নীতি সেই সচিব পর্যায় পর্যন্ত, তবে ইংরেজ আমলেও বর্তমান শাসকের মত এক দল ব্রিটিশের পা চাটা গোলাম ছিল যাদের মাধ্যমে ইংরেজরা প্রায় দুশো বছর রাজত্ব করে গেছে। এই রকম গোলাম পা চাটা দের ঘুষ দিয়ে, ধর্মের নামে বাঙালি কে ভাগ করে রেখে ইংরেজরা শাসন করত, এখন দিল্লির শাসক ও সেই ইংরেজ এবং পশ্চিমবঙ্গে সেই ইংরেজের পা চাটার দল ক্ষমতায়। দেখুন তখন ইষ্ট ইন্ডিয়ান কোম্পানি ব্যবসা করে শোষণ করত এখন গুজরাতের ব্যবসায়ীরা করছে। এখন তো ভারতে গুজরাতি শাসন চলছে একটু খেয়াল করলে দেখবেন ভারতের সংবিধান না মেনে একদম শোষণের চুড়ান্ত পর্যায় নিয়ে চলে গেছে। কিছু বাঙালি আছে খুব লাফালাফি করছে বি জে পি সরকার আসুক, আমি ও এই বাঙালি আরো ধ্বংস হোক ১৯৪৭ সালের আগের অবস্থায় ফিরে আসুক, ১৯৪৩ সালের মত দূর্ভীক্ষ আসুক "বাবু গো একটু ফেন দেবে" বলে শহরের রাস্তায় ঘুরে বেড়াক তবে তখন কলকাতায় কিছু হলেও বাঙালি ছিল এখন কিন্তু নেই, আর দূর্ভীক্ষ হয়েছিল কারণ হচ্ছে ঐ ভারতের পশ্চিমা রাজ্যের ব্যবসায়ী দের খাদ্য মজুত করে রাখার জন্য। বিজন ভট্টাচার্যের লেখা নবান্ন নাটক এবং কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের লেখা বেশ কিছু কবিতা পড়লেই জানা যাবে সেই দূর্ভীক্ষের ভয়াভয় ছবি। যাহোক ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ভেজাল ওষুধ খাবেন, ডাক্তারি না পড়ে ডাক্তারি করা ডাক্তার দেখাবেন। ব্যবসায়ী গন ইলেট্রালার বণ্ডে টাকা দেবে আর জিনিস পত্রের দাম আকাশ ছোঁয়া হবে আপনি পাঁচশ হাজার টাকা ভাতা পাবেন, বেশ চলে যাবে। আর এমন একটা অশিক্ষিত মানুষ এই বাংলায় তৈরি করা হয়েছে যারা পা চাটা ছাড়া আর কিছু জানে না। এখনই দেখছেন দিল্লীর দাদা বা রাজ্যের দিদি যা বলছে তাতেই হাততালি পড়ছে। খুব ভালো থাকুন আর দাদা এবং দিদি কে ভোট দিতে ভুলবেন না। আপনি বা আপনারা ভোট না দিলে কি করে মন্দির তৈরি করে দেবে। একজন রাম মন্দির বানায় তো আরেক জন জগন্নাথ মন্দির। দিদি এবং দিদির ঐ সচিবের দল শিখিয়েছে লেখা পড়া না করে পরীক্ষা না দিয়ে বা সাদা খাতা জমা দিয়ে ঘুষ দিয়ে চাকরি করা যায় ডাক্তার হওয়া যায়। 

Thursday, 17 April 2025

সত্যিই পশ্চিমবঙ্গে ডবল ডবল চাকরি হবে!


 মনে পড়ে যাচ্ছে গত বিধানসভা না লোকসভা নির্বাচনে আগে মাননীয়ার ভোট প্রচারে বলা সেই কথাটা, ডবল ডবল চাকরি হবে! আজ পশ্চিমবঙ্গে সেটাই হতে যাচ্ছে, বর্তমানে সুপ্রীম কোর্টের রায়ে যে সকল শিক্ষক শিক্ষিকা তথাকথিত চিহ্ণিত দূর্নীতি করে চাকরি পায় নি বা ঘুষ দিয়ে চাকরিতে ঢুকেছে এ রকম প্রমাণ হয় নি বা এস এস সি বলে নি তারা আজ তথা১৭/৪/২৫ এর রায়ের পর ৩১শে ডিসেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত স্কুলে যেতে পারবে। আগামী ৩১ শে মে ২০২৫ শের মধ্যে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ার নোটিশ জারি করা হবে যারা ২০১৬ সালে পরীক্ষা দিয়ে ছিল তারা সহ আরো নতুন চাকরি প্রার্থী পরীক্ষা দিতে পারবে। আর নিয়োগ করা হবে ২০১৬ সালের ২৫৭৫২ জনের যে পদ খালি ছিল সেই পদে। অর্থাৎ একবার ষোল সালে টাকা নিয়ে ঐ পদের জন্য পরীক্ষা নিয়ে ২০১৮ বা ২০১৯ সালে নিয়োগ করা হয়েছিল আবার সেই পদের জন্য আবেদন এবং আবার ফর্ম বিক্রি আবার পরীক্ষা বাইশ লক্ষ আবেদন কারি যতটা সম্ভব ৫০০ টাকা করে ফর্ম পূরণ করতে হবে। অর্থাৎ একটা চাকরির জন্য দুবার আবেদন দুবার পরীক্ষা কারণ মাননীয়ার ভাই ভাইপো দের টাকার লোভ সেই সময়ে কয়েক হাজার আবেদন কারির কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়ে চাকরি বিক্রি করা।

এটা হয়েছে একটাই কারণে পশ্চিমবঙ্গে শিল্প সম্ভাবনা কে গুজরাত কে উপহার হিসেবে দিয়ে এখন পশ্চিমবঙ্গে কয়েক কোটি বেকার কারণ পশ্চিমবঙ্গে লোক সংখ্যা বেশি। মাননীয়ার গুজরাত প্রীতি বরাবরের নিজের রাজ্য বা বাঙালি উচ্ছন্নে যাক গুজরাত বেঁচে থাক। শিক্ষা তো ঐ নাগপুরের নেতার কথায় ধ্বংস করে দিয়েছে। এখন কঙ্কাল সার অবস্থা কয়েক জন মন্ত্রী সে বেসরকারি স্কুল খুলেছে প্রতি বছর নতুন নতুন নাম তার। চারপাশে বিজ্ঞাপনের ছড়া ছড়ি। একটা আশ্চর্যের বিষয় লক্ষ্য করা যাচ্ছে এই সরকার নিযুক্ত ঘুষ দিয়ে চাকরি পাওয়া শিক্ষক কুল যাতে মন্ত্রী দের স্কুলে ছাত্র ছাত্রী ভর্তি হয় তার জন্য সুপারিশ করছে। কী দারুণ ব্যাপার না! যাহোক শেষ পর্যন্ত ডবল ডবল চাকরি হবে, এর জন্য দায়ী এক শ্রেণির অল্প শিক্ষিত সর্ব জ্ঞানী বাঙালি কারণ আমি শুনেছি আগে অর্থাৎ এই সরকার আসার আগে ২০১১ সালের আগে যদি কেউ সরকারি চাকরি পেতে তাদের একটাই কথা কত টাকা দিয়েছে দেখ বা খুঁজে বের করত তার বাড়ির কারোর সাথে সি পি আই এম এর যোগাযোগ আছে কীনা! এই সব মানুষ গুলোই আজ এই সরকারে নেতা মন্ত্রী কর্মী চোর দের ঘুষ দিয়ে চাকরি কিনে ছিল। যা ১৯৯৭ এর পর কল্পনা করা যেত না। আবার ভাবলে হবে না যারা সেই সময় অর্থাৎ ১৯৯৭ সাল থেকে ২০১১ পর্যন্ত চাকরি পেয়েছিলেন তারা সকলেই বামেদের সমর্থন করে মোটেও না বেশির ভাগ টাই কট্টর বাম বিরোধী অথচ এখন বুক ফুলিয়ে বলছে আমি বাম আমলে এস এস সি বা প্রাইমারি পরীক্ষা দিয়ে চাকরি পেয়েছি। সত্যিই বেশ আশ্চর্যের ব্যাপার স্যাপার, তবে এটা ঠিক আজ মাননীয়ার কথা সত্যিই হচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গে ডবল ডবল চাকরি হবে। ধন্যবাদ দিদি আপনাকে আপনি আরও কুড়ি বছর রাজত্বে থাকলে বাঙালি আর বাঙালি থাকবে না সকলে ডিটেনশন ক্যাম্পে চলে যাবে এটা পূর্ব বিহার হবে। আপনি নিশ্চিন্তে থাকুন আপনিও বাঙালির সাথে ডিটেনশন ক্যাম্পে চলে যাবেন। আর যে দিন আপনার দাদা বাংলাদেশ দখল করবে স্বপ্ন দেখছে সেদিন ওখানে পাঠিয়ে দেবে। কারণ আপনার গুজরাতি ভাই এবং নাগপুরের ভাই এর কথা হচ্ছে বাঙালি দেশ ভাগ করে নিয়েছে নিজের দেশ বাংলাদেশে চলে যাবে। এখানে থাকবে কেন? 

Wednesday, 9 April 2025

শিক্ষা আজ বুটের তলায়।


এটি ফেসবুক থেকে নেওয়া ছবি। কেন নিলাম, এই সরকার আসার পর থেকে দেখেছি নিরস্ত্র নিরীহ জনগণের দাবি দাওয়া নিয়ে জনগণের বিভিন্ন আন্দোলন হলে পুলিশ এভাবেই ঝাঁপিয়ে পড়ে বিভিন্ন ভাবে মারধর করে। বিশেষ করে সেখানে যদি সি পি আই এম এর নেতৃত্ব থাকে বা তাদের কোন গন্ধ থাকে তাহলে তো কথাই নেই। এই চোদ্দ বছর এসব দেখে, ইতিহাসে পড়া ইংরেজ শাসনের অত্যাচারের কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। সেখানে পড়েছি ব্রিটিশ পুলিশ আন্দোলন দমন করতে এই রকম অত্যাচার করত। বিশেষ করে যারা স্বাধীনতা সংগ্রামী ছিলেন বা তাদের সহযোগিতা করা কোনো মানুষ কে যদি ধরতে পারত তাহলে তো কথাই নেই। মেরে হাত পা ভেঙে দেওয়া গরম সিসা ঢেলে দেওয়া, কত রকম অত্যাচার কেবল দলের কথা বা অন্য বিল্পবী বন্ধু দের নাম গুলো যাতে বলে দেয় তার তার জন্যে নির্মম অত্যাচার। শিক্ষা তথা শিক্ষক এই ভাবে লাথি মারত এটা ইতিহাসে পড়া হয় নি। কারণ তারা শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলে ছিল কেরাণী কুল বা কেরাণীর চাকরি দেওয়ার জন্য। তথাকথিত অনেক বিশিষ্ট বাঙালি ব্যক্তি কে সেই শিক্ষা ব্যবস্থার সাথে যুক্ত করে দিয়ে ছিলেন। যেমন বিদ্যাসাগর তাছাড়া পড়েছি বাঙালির আধুনিক তথা সঠিক শিক্ষায় শিক্ষিত করতে রাজা রামমোহন রায়, দ্বারকানাথ ঠাকুর এঁদের সহযোগিতা করেছেন অনেক ইংরেজ, যেমন ডেভিড হেয়ার তাদের মধ্যে একজন। এরকম অনেকেই তখন বাঙালির শিক্ষা ব্যবস্থা কে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করে ছিলেন। সেই শিক্ষা ব্যবস্থা ধীরে ধীরে এমন জায়গায় পৌঁছে ছিল বাঙালি জাতির গর্বের বিষয় ছিল বাঙালির আর কিছু থাকুক আর না থাকুক তারা কিন্তু উচ্চ শিক্ষিত।  ইতিহাসে পড়েছি বহু বাঙালি, শিক্ষিত মানুষের কথা, যেমন, আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায়, জগদীশচন্দ্র বোস, সত্যেন্দ্রনাথ বসু, কত নাম এখানে লিখে শেষ করা যাবে না। গত ২০১১ সালের পর এই সরকার ক্ষমতায় এসেছে তার পর থেকেই ধীরে ধীরে এই শিক্ষা ব্যবস্থা কে শেষ করে দিয়েছে প্রথম হচ্ছে, জঘন্য পাঠ্যসূচি পাঠক্রম অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পাশ ফেল তুলে দেওয়া। ইত্যাদি বুঝতে পারছি সব হচ্ছে গুজরাতি দাদা আর মোহন ভাগবতের নির্দেশে তারা জানে বাঙালির মেধার সাথে পেরে ওঠা যায় না আর এটাও জানে একটা জাতি কে শেষ করতে এখন আর কিছু লাগে না তাদের শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিতে পারলেই সে জাতি ধ্বংস হবেই। কারণ ভুয়ো ডাক্তার, ভুল চিকিৎসা ব্যবস্থা, অযোগ্য শিক্ষক শিক্ষিকা অশিক্ষা কুশিক্ষায় ভড়ে উঠবে। কেন বলছি এই কয়েক দিন এক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এক শিক্ষিকা ইংরেজি বানান অর্থাৎ ইংলিশ এই বানানটি ইংরেজি তে কি লিখেছিলেন জানেন eleghlish/(আসলে হবে English) যে শিক্ষিকা এটা লিখেছিলেন তিনি ২০১২ সালের টেট পাশ করে চোদ্দ সালে চাকরি পেয়েছেন। এরকম অজস্র ভুল ভাল প্রতিদিন করে। যাহোক ছাড়ুন ওসব কথা কারণ এরা বর্তমান সরকারের সমর্থক, পুলিশ কিন্তু এদের ঠাকুর যত্ন করে কারণ মুখ্যমন্ত্রী যা বলেন যা করেন তাকেই এরা সমর্থন করে, ঐ উলঙ্গ রাজা রাজা তোর কাপড় কোথায় বলার সাহস টুকু এদের নেই। আর পুলিশের ভিতরেও এই ভুয়ো বা পরীক্ষা না দিয়ে চাকরি পাওয়া সাদা খাতা জমা দিয়ে চাকরি পাওয়া লোক জন আছে এদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে যে কোনো আন্দোলন কে এভাবেই দমন করার জন্য। পুলিশ বিভিন্ন লুঠের টাকা বয়ে নিয়ে যায় এবং তারা ভাগ পায় একদম উপর মহল পর্যন্ত। আগে অর্থাৎ বাম আমলে সামান্য টাকা ঘুষ পেত তাও ধরা পরলে চাকরি চলে যেত। এখন যে পুলিশ যত কাটমানি বা ঘুষের টাকা তুলে দিতে পারে তার প্রমোশন এবং ভালো জায়গায় পোস্টিং কেউ আটকাতে পারে না। বাম আমলে ধরা পড়লেই চাকরি যেত বা দূরে বদলি করা হতো এখন তো ওসব হয় না। এখন বারো মাস কাজ করে চোদ্দ মাসের বেতন পায় তার উপর উপরি পাওনা আছে আর সে কারণেই উপর ওলার নির্দেশে পুলিশ এখন এত অত্যাচারি বিশেষ করে বামেদের দেখলে ক্ষেপে যায়। যেমন অনেক ষাঁড় আছে লাল দেখলে ক্ষেপে যায় এরা বামেদের গন্ধ থাকলেই এই রকম আচরণ করে কোনো কথা হবে না। আর ওদিকে দিল্লির দাদা নাগপুরের নির্দেশ আছে যেমন করে হোক বাঙালি জাতি কে ধ্বংস করতে হবে। সেই কারণেই এই দ্বিতীয় ইংরেজ শাসনের সূচনা বাংলায়। বাঙালি কে বলছি যদি পূর্ব পুরুষের রক্ত দেহে থাকে তাহলে জেগে ওঠ। বুঝিয়ে দাও আমরা সেই বাঙালি যারা মাষ্টার দা সূর্য সেন, বিনয় বাদল দীনেশ ক্ষুদিরাম রাসবিহারী বসু, নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর উত্তরসূরী। শত অত্যাচারেও আমাদের দমন করা যাবে না। 

Sunday, 30 March 2025

পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচন কে দয়া করে প্রহসনে পরিনত করবেন না।



 মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী এই লেখাটির মাধ্যমে আপনার কাছে একটা কাতর আবেদন রাখছি।জানি না আপনি এই লেখাটা পড়বেন কি না! বা এই লেখাটা আপনার নজরে কেউ আনবে কিনা তবুও আপনার উদ্দেশ্যে এই লেখা। দয়া করে আপনি পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচন কে প্রহসনে পরিনত হতে দেবেন না। আসছে ২০২৬ এর বিধানসভা নির্বাচন, আপনি এখন থেকেই ঠিক করে নিন কোথাও কোনো গণ্ডগোল হবে না। সম্পূর্ণ কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট হবে। আপনার পুলিশ কোথাও কোন দায়িত্বে থাকবে না। যেমন ২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে হয়েছিল। আপনি ক্ষমতায় এসে ছিলেন। ২০০৯ এর লোকসভা নির্বাচন এবং ২০১১ বিধানসভা নির্বাচন সম্পূর্ণ কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে হয়েছিল। কোনো খুন দাঙ্গা মারপিট বা ঝামেলা হয় নি। আপনি বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতা দখল করে ছিলেন। জানি না আপনি ক্ষমতায় এলেন এবং মানুষের জন্য এত প্রকল্প ঘোষণা করলেন। রাস্তা বানালেন সাধারণ মানুষের জন্য বিভিন্ন প্রকল্প আনলেন তবুও আপনি এবং আপনার ভাইয়ে রা বাংলার নির্বাচক তথা ভোটার কে বিশ্বাস করতে পারলেন না। মার ধোর দাঙ্গা বোমাবাজি খুন জখম ভোট লুট ছাপ্পা ভোট গননায় কারচুপি সব কিছু করতে শুরু করে দিলেন। সে পঞ্চায়েত নির্বাচন হোক বা সমবায় নির্বাচন কোথাও গুলি বন্দুক বাদ নেই। মানুষ কে ভয় দেখানো বন্ধ নেই। কারণ একটাই টাকা লুটতে হবে। দিদি আমি বলছি আপনার ভাই বোনে দের বলুন এসব করতে হবে না। মানুষ এমনি আপনাকে ভোট দেবে কারণ আপনি অনেক কিছু দিচ্ছেন। বুথে ঢুকে ভোট দিয়ে দেওয়া সবটাই করে আপনার দলের লোকজন। দয়া করে আপনি এগুলো বন্ধ করে দিন পুরো পুরি কেন্দ্রীয় বাহিনীর অধীনে ভোট হতে দিন। পারলে বিধানসভা ভেঙে দিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীর হাতে তুলে দিন। কারণ আপনার ভাইয়ের দল বাঙালি কে শান্তিতে থাকতে দিচ্ছে না। আর এগুলো যাতে বেশি করে হয় সে কারণেই কতো গুলো অবাঙালি অফিসার এবং বেশ কিছু প্রশাসনের লোকজন পুলিশ আর পি কে আর তার আই প্যাক চাইছে বাঙালি যেন আগের মত শান্তিতে না থাকতে পারে। প্রতি নিয়ত তারা শিক্ষা ধ্বংস করে দিচ্ছে । স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়েছে, নিয়োগ ধ্বংস করে দিয়েছে। যাতে বাঙালি জাতি শ্রমিকে পরিনত হয়। এক সময়ে বিহারের এই অবস্থা ছিল। আপনাকে দিয়ে এসব করিয়ে নেওয়া হচ্ছে। আপনি একটু বুঝুন আপনি এদের সাহায্য ছাড়াই ক্ষমতায় এসে ছিলেন। এখনো পারবেন একবার মানুষ কে বিশ্বাস করে দেখুন ঠকবেন না। বাংলায় মিলিটারী শাসনের মধ্যেই নির্বাচন করুন আর যত গুণ্ডা মাফিয়া আছে নির্বাচনের আগে তাদের জেলে পাঠান অস্ত্র গুলো উদ্ধারের ব্যবস্থা করুন। কারণ বাংলা এখন বারুদের স্তুপের উপর দাঁড়িয়ে আছে। একটা খবরে দেখলাম পশ্চিমবঙ্গে নতুন নির্বাচন কমিশনার যিনি হচ্ছেন, তার বাড়ি থেকে কোনো সময় গোছা গোছা টাকার বাণ্ডিল বেড়িয়ে ছিল। দয়া করে আপনি এদের হাতে বাঙালির ভবিষ্যত ছেড়ে দেবেন না। আপনি একবার ভেবে দেখুন আপনি দুর্গা পুজোর জন্য টাকা দেন, আপনি সাইকেল দিচ্ছেন, আপনি কন্যাশ্রী, রূপশ্রী দিচ্ছেন, আপনি রাস্তা তৈরি করে দিচ্ছেন আপনি লক্ষীর ভাণ্ডার দিচ্ছেন এছাড়াও আরো কত কিছু আছে লিখে শেষ করা যাবে না । আপনি ক্ষমতায় আসার আগে এসব আপনি দেন নি তবুও আপনাকে মানুষ ভোট দিয়ে ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীর ঐ রকম আঁটো সাঁটো পাহারার মধ্যেও আপনি জয় লাভ করে ছিলেন কারো সাহায্য লাগে নি, পি কে আই প্যাক, এই সব অফিসার কেউ ছিল না। সে কারণেই আপনাকে বলছি আর একবার বাংলার ভোটার দের শান্তিতে ভোট দিতে দিন। বুথের ভিতরেও ঐ ভোট কম্পারমেন্টে ঢুকে দাঁড়িয়ে থাকা অন্যের ভোট দিয়ে দেওয়া এসব করতে হবে না। দয়া করুন, বাংলা কে আর পূর্ব বিহার হতে দেবেন না, এখন দেখবেন বিহারের ভোটে এত মারামারি বোমাবাজি মানুষ খুন হয় না। এই সব অফিসার দের কথায় আপনি বাঙালি জাতি কে আর ধ্বংস হতে দেবেন না। আপনি পারেন বাঙালি জাতি কে রক্ষা করতে। আগামী ২০২৬ সালের ভোটে একবার দেখুন পুরোপুরি কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে নির্বাচন করান। গণ্ডগোল দেখলেই গ্রেফতার করতে নির্দেশ দিন দেখবেন কোনো সমস্যা নেই। বাঙালি জাতি কে বাঁচান। 

Wednesday, 26 March 2025

বিলেত ফেরত চোর।

 হুঁ হুঁ বাবা যে সে চোর নয় বিলেত ফেরত চোর। আগে ইংরেজ আমলে শুনতাম বিলেত ফেরত ডাক্তার। বিলেত ফেরত উকিল ব্যারিস্টার। আর বিলাতি জিনিস পত্রের অভাব ছিল না। এখন থেকে আরো দু টো বিষয় নিয়ে বিলেতে যাওয়া যায় এবং বলাও যাবে বিলেত ফেরত মিথ্যাবাদী আর বিলেত ফেরত চোর। কোন বাঙালি পেরেছে বিলেতের মাটিতে উল্টো হাঁটতে। ইংরেজ শাসন মুক্ত হবার পর বা তার আগে থেকেই বাঙালি তার শিক্ষা দীক্ষায় গোটা পৃথিবীতে শ্রেষ্ঠ জাতি হিসেবে পরিচিত ছিল। এখন এই দ্বিতীয় ইংরেজ শাসনে থুরি ইংরেজের গোলামি করা বাঙালির শাসনে সব কিছু উল্টো। ইংরেজ গন যা করত শাসন করার জন্য মিথ্যা কথা বলা ঘুষের বদলে শাস্তি মুকুব সব কিছু হচ্ছে এখানে। বাঙালির শিল্প সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য ধ্বংস করে ইংরেজরা তাদের সব কিছু প্রচার বা প্রতিষ্ঠা করে ছিল এখন এই এই দ্বিতীয় লেডি ইংরেজ এবং তার চাটুকারের দল দিন পর দিন সেই কাজ টা করে যাচ্ছে। শিক্ষা আজ ধ্বংস করে দিয়েছে। দিল্লির ইংরেজের প্রতিভূ দাদার সাথে মিলে। বাঙালি এখন এখন চুরিতে এক নম্বর, মিথ্যা কথা বলায় এক নম্বর। চিটিংবাজিতে এক নম্বর। শিক্ষা আজ রসাতলে। সেই কারণেই ঘুষ নিয়ে শিক্ষক নিয়োগ সেই রকম পাঠ্যসূচি বলেও কোনো পরিবর্তন নেই। বারো হাজারের বেশি স্কুল শিক্ষক শিক্ষিকার অভাবে ধুঁকছে এর মধ্যে ৮৩৩৪ টা বন্ধ হয়ে যাবে যাবে করছে কারণ শাসক দলের নেতা মন্ত্রী কর্মী গন টাকা নিয়ে এমন শিক্ষক নিয়োগ করেছে তারা স্কুলে বেশি ছাত্র ছাত্রী ভর্তি করতে চায় না। স্কুলে না এসে তাদের বাড়ি তে বসিয়ে বসিয়ে বেতন দিলে ভালো হয়। আর পড়ানো সে তো বলা যাবে না। অনেকেই জানেই না, টিচিং কি কেবল ফাঁকা আওয়াজ আর ছাত্র ছাত্রী আর অভিভাবক দের অপমান করে কথা বলতে পারে। জানেই না একটা স্কুল গড়ে ওঠে অভিভাবক শিক্ষক ও ছাত্র নিয়ে। কি করে জানবে সাদা খাতা জমা দিয়ে চাকরি কারণ ২০১২ সালের টেট পাস করা মুখের কথা ছিল না। যাহোক ছাড়ুন যে রাজ্যে শিক্ষক শিক্ষিকা নিয়োগের থেকে চোর নিয়োগ দিতে বেশি পছন্দ করে সেখানে এই পরিস্থিতিত হবে না তো কি অন্য কিছু হবে। সেই কারণেই বিলেতে উল্টো হেঁটে উনি বোঝাতে চাইছেন আমি আবার ১৯১১ বা তারও আগে বাঙালি জাতি কে ফেরত নিয়ে গেছি এবার তোমরা আমাকে সাহায্য কর আমি বাঙালি জাতির মেরুদণ্ড শিক্ষা ভেঙে তচনচ করে দিয়েছি। ব্যাঙের ছাতার মত বেসরকারি বিদ্যালয় সরকারি স্কুল কমছে এখন আর রামমোহন বা বিদ্যাসাগর বা বেগম সাখাওয়াত রবীন্দ্র নাথ ঠাকুর নেই যারা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৈরি করে বাঙালি জাতি কে আবার মাথা তুলতে সাহায্য করতে পারে। আমি বাঙালি জাতি কে মিথ্যাবাদী প্রতারক চিটিংবাজে পরিনত করে দিয়েছি। চুরি ডাকাতি চিটিংবাজি এবং বাঙালি কে ধ্বংস করার জন্য বেইমান ঘুষখোর পুলিশ প্রশাসন এমন কি দিল্লির উচ্চ আদালত ও এখন আমার অধীনে আমি চাই তোমরা এসে আমাকে সাহায্য কর আমি যেন তোমাদের মত পুলিশ প্রশাসন দিয়ে প্রতিবাদী কে শাস্তি দিতে পারি। সেই কারণেই এসেছি। যাহোক এসব ছাড়ুন একদল বাঙালি এখন বলতে পারবে বিলেত ফেরত মিথ্যাবাদী ও বিলেত ফেরত চোর আমরা। 

Wednesday, 12 February 2025

বাংলা বাজেট উপঢৌকন রাজনীতি।


 ছবিটি ডেইলি হান্ট নিউজ ওয়েব সাইট থেকে নেওয়া। রাজ্য বাজেটের মূল ঘোষণা গুলো দেখুন। আশা ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী দের স্মার্টফোন দেওয়া হবে দু শো কোটি টাকা বরাদ্দ। লাভ কার আম্বানির কারণ সরকার ফিচার ফোনে রিচার্জ কুড়ি টাকা করে দিয়েছে। আর স্মার্ট ফোন সব থেকে কম দু শো টাকা। আর আছে কাট মানির ব্যবস্থা, কীভাবে বলছি কোচবিহার জেলার মাধ্যমিক পরীক্ষার তথ্যটা দেখে নিনি। তারপর বলছি কেন এটা হয়েছে।


এটা ফেসবুকে দীপক রায়ের দেওয়া তথ্য। দেখুন মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে হলে রেজিস্ট্রেশন করতে হয় নবম শ্রেণিতে যারা নবম শ্রেণিতে রেজিস্ট্রেশন করে বা নবম শ্রেণিতে পড়ে তাদের সবুজ সাথীর সাইকেল দেওয়া হয়। তাহলে বোঝা যাচ্ছে ঐ জেলায় ৪৫ হাজার সাইকেল এসেছে বা ৯ হাজার সাইকেল বিলি করে ৪৫ হাজার দেখানো হয়েছে। অর্থাৎ ভুয়ো পরীক্ষার্থী ৩৬ হাজার। এবার হিসাব করে দেখুন ৩৬ হাজার সাইকেল কত টাকা দাম। আর এজন্য যত উপঢৌকন প্রকল্প যত প্রকল্প তত কাটমানি সামনে ভোট এসব না হলে মদ মাংস আসবে কোথা থেকে! আর সরকারী কর্মচারী দের ডি এ দিলে কাট মানি পাবে না। এই সরকার জানে ডি এ না দিলেও কিছু সরকারি কর্মচারী আনন্দ সহকারে ই ভি এম পাল্টে দেবে। মেমরি কার্ড বদল এগারো ঘন্টা ভোট হবার পর জমা আবার পনেরো কুড়ি দিন পর গগনা তার পরেও ব্যাটারি চার্জ থাকবে ৯৯% থেকে ১০০% এসব কথা বলার মত লোক নেই। কারণ যারা বলবে সেই সরকারি কর্মচারী গন কাটমানিতে পুষ্ট। বেশ চলছে। জিনিস পত্রের দাম আকাশ ছোঁয়া, মানুষের আয় কমে গেছে। মানুষের ক্রয় ক্ষমতা কমে গেছে ছোট খাটো দোকান মাছি তাড়াচ্ছ। কারণ সরকারি নিয়োগ নেই বেসরকারি নিয়োগ নেই কম বেতনের কর্মী বেশি পাঁচ ছ হাজার বা সব থেকে বেশি হলে দশ হাজার টাকা। আর এটাও ঠিক এই শাসক দল যেমন করে হোক ২০২৬ এ জিতবে উপঢৌকন দিয়ে মানুষ মরবে ভোটের নামে প্রহসন করা হবে। যেমন করে হোক জিতবে এবং বাঙালি জাতি আরো ধ্বংসের দিকে যাবে। শিক্ষা গেছে স্বাস্থ্য গেছে রোজগার গেছে মান সম্মান গেছে। বাঙালি আজ চোরের জাতিতে পরিনত হয়েছে এর থেকে বড় লজ্জার আর কি আছে! 

Monday, 3 February 2025

রাজ্যের পোষা কিছু সাংবাদিক রোজ ডি এ দিচ্ছে!


 ছবিটি ডেইলি হান্ট নিউজ ওয়েব সাইট থেকে নেওয়া। বর্তমান পশ্চিমবঙ্গ সরকার ডি এ না দিলে কি হবে এই রকম সংবাদ মাধ্যম প্রতিদিন ডি এ দিয়ে যাচ্ছে। এরা এখন পর্যন্ত যা ডি এ দিয়েছে, নতুন বেতন ক্রমে কেন্দ্রীয় সরকার যত শতাংশ ডি এ দেয় তার দ্বিগুণের থেকে বেশি আজ আবার অতিরিক্ত পাওয়া সপ্তম বেতন কমিশন। গাছে কাঁঠাল গোঁফে তেল এসব প্রচার করে কী পায় এরা টাকা! না চুরির টাকার ভাগ ২৫%। এখন এসব প্রচার বেশি করে হবে কারণ আসছে বছর 2026 বিধানসভা নির্বাচন। এ সরকার কর্মচারী মারা সরকার এ কখনোই ডি এ দেবে না। সর্বপোরি এক একজন চরম মিথ্যাবাদী ক্ষমতায় আসার আগে লম্বা চওড়া কথা আর যেই এসেছে শুরু হয়েছে লুটপাট যেখানে লুটপাট করা যাবে না সেখানে টাকা নেই। যেমন সাইকেল দেওয়া যার বাবা চার চাকা বা স্কুটি মোটর সাইকেল কিনে দিতে পারে তাকেও একটা সাইকেল আর সাইকেল দেওয়ার টাকা কীভাবে লুট হচ্ছে অনেকেই জানে না। এছাড়া অনেক ভাতা প্রকল্প যার প্রয়োজন নেই সেও পায়। আর এই দুর্গ পুজোর অনুদান  এখন পর্যন্ত এই অনুদান দিতে ২০০০ কোটি টাকা লেগেছে। কোথায় লুট নেই যত শ্রী আর ভাণ্ডার আছে সব গুলো চালু করা হয়েছে লুটে খাবার জন্য। কেউ যদি কিছু বলেছে তাহলেই একটাই কথা আমি আমার টাকা দিচ্ছি কারো বাপের টাকা নয়। এই টাকা কারো বাপের নয় মায়েরো নয়  জনগণের ট্যাক্সের টাকা। আবার এক শ্রেণির কর্মচারী আছে যাদের ডি এ পে কমিশন লাগে না তারা কাটমানিতে পুষ্ট। আরেক শ্রেণির আছে যারা ভয়ে ভয়ে থাকে এবং এই দুই শ্রেণির কর্মচারী ভোটে জিততে এবং কাটমানি তোলা বাজিতে সাহায্য করে। বিশেষ করে পুলিশ আর পঞ্চায়েত এবং বি ডিওর বেশির ভাগ কর্মচারী এরা। আর বেতন কমিশন সে তো ললিপপ এমন বেতন বেতন কমিশন হয়েছে যে সিনিয়র কর্মী জুনিয়র কর্মীদের থেকে কম বেতন পায়। এর অবশ্য একটা কারণ আছে বেশিরভাগ জুনিয়র কর্মী ঘুষ দিয়ে, সাদা খাতা জমা দিয়ে পরীক্ষা না দিয়ে চাকরি পেয়েছে। লাখ লাখ টাকা পাওয়া চাকরি সেই টাকা যাতে তাড়াতাড়ি ওঠে সে কারণেই এই রকম বেতন কমিশন। তবে একটা কথা ডি এ না দিয়ে ডি এ শ্রী চালু করলে বরং কাটমানি পাওয়া যাবে। সরকারি কর্মচারী দের অনুরোধ আপনারা ডি এ শ্রী দেবার দাবী করুন প্রথম হাজার তার পর সেটা দেড় হাজার হবে। 

Saturday, 1 February 2025

১২ লক্ষ টাকা ট্যাক্স ছাড় কেউ কেউ বলছেন ১২ লক্ষ ৭৫ হাজার।

 

ছবিটি ডেইলি হান্ট নিউজ ওয়েব সাইট থেকে নেওয়া। সব সংবাদ মাধ্যম দেখাচ্ছে ১২ লাখ টাকা পর্যন্ত ইনকাম ট্যাক্স ছাড় আবার কেউ কেউ আবার ১২ লাখ ৭৫ হাজার। এই সব অন লাইন নিউজ পোর্টালের কাছে আমার প্রশ্ন একটু বুঝিয়ে বলেন তো কীভাবে ১২ লাখ পর্যন্ত ছাড় হয়। এই নিউজ পোর্টাল হেড লাইন করেছে ১২ লাখ পর্যন্ত ছাড় অথচ ট্যাক্স স্ল্যাবে দিচ্ছে তখন আরেক রকম এরকম বিভ্রান্তি কেন। এদের দেওয়া ট্যাক্স স্ল্যাব দিলাম। 


এই হিসাবে কীভাবে ১২ লাখ পর্যন্ত ছাড় ট্যাক্স ছাড় হয় একটু বুঝিয়ে দিলে ভালো হতো! কারণ যিনি বছরে বারো লাখ টাকা আয় করবেন আপনার দেওয়া নতুন স্ল্যাবে ট্যাক্স পড়বে প্রথম ৪ লাখ টাকা ছাড়। অর্থাৎ ১২ লাখ থেকে ৪ লাখ বাদ দিলে থাকল ৮ লাখ ।এবার ৪ লাখ টাকা বাদ দিয়ে পরবর্তী ৮লাখ টাকার ৫% ট্যাক্স অর্থাৎ ৮লাখ x ৫% = ৪০০০০ টাকা কীভাবে ১২ লাখ টাকা পর্যন্ত ইনকাম ট্যাক্স ছাড় হলো একটু বুঝিয়ে বলুন। আপনার দেওয়া স্ল্যাবে যার ১২ লাখ টাকা আয় তাকে ট্যাক্স দিতে হবে ৪০ হাজার টাকা। ভালো করে বুঝে সংবাদ করেন না কেবল বিজেপি বা মোদীর পা চাটতে গিয়ে এরকম ভুল ভাল খবর করেন। 


Friday, 31 January 2025

মানুষের আশা এই অর্থ মন্ত্রী জিনিস পত্রের দাম কমাবে!

 

সৌজন্য :ছবিটি  ডেইলি হান্ট অন লাইন নিউজ পোর্টাল থেকে নেওয়া।এই অর্থ মন্ত্রী এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সহ অন্যান্য মন্ত্রী সব কটা এক একটা চরম মিথ্যাবাদী এরা এক বলে ক্ষমতায় আসে এমন কি ভোটের ই ভি এম পাল্টে দিয়েও ক্ষমতা দখল করে কেবল চুরি করার জন্য আর গরীব মধ্যবিত্ত নিম্ন মধ্যবিত্তের গলা কেটে পকেটে ভর্তি করতে। ক্ষমতায় এলো পেট্রোলের দাম রান্নার গ্যাসের দাম কমাবে খাদ্য দ্রব্যের দাম কমানো হবে বলে এই দশ বছরে এমন দাম বেড়েছে যা স্বাধীনতার পর পঁচাত্তর বছরে বাড়ে নি। কোন কোন জিনিসের দাম একশ গুন বেড়েছে একটা আশ্চর্যের বিষয় ব্রিটিশ সরকার কোন দিন খাদ্য দ্রব্যের উপর ট্যাক্স আরোপ করে নি। বর্তমান এই দ্বিতীয় ইংরেজ সরকার খাদ্য বস্তুর উপর জি এস টি লাগিয়ে দিয়েছে। একজন ছোট খাটো বেতনের চাকরি করা নিম্ন মধ্যবিত্তের গলা টিপে ট্যাক্স আদায় করে আর আদান আম্বানির মত বড় বড় শিল্প পতি দের ট্যাক্স মুকুব থেকে শুরু করে ঋণ মুকুব সব চলছে ব্যাঙ্ক গুলো দেউলিয়া হবার পথে। ব্রিটিশ শোষণ করত এখন গুজরাটিরা ভারত বর্ষ কে শোষণ করছে লুটে খাচ্ছে। কারণ এরা দ্বিতীয় ইংরেজ বিদেশি দের পা চাটা এদের স্বভাব। এরা এত ভালো শাসক যে দিনে কোটি টাকার উপর খরচ করে এদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হয়! হ্যাঁ যে কথা বলছিলাম একজন কম বেতনের চাকরি করা নিম্ন মধ্যবিত্ত তিন ধরনের ট্যাক্স দিচ্ছে এক পি ট্যাক্স, দুই জি এস টি আর ইনকাম ট্যাক্স। ইনকাম ট্যাক্সের কি সুন্দর ব্যবস্থা, ঘোষণা করা হচ্ছে সাত লাখ পর্যন্ত ট্যাক্স ছাড় কিন্তু যেই সাত লাখ এক টাকা হচ্ছে তখন তিন লাখ ছাড় আর পঁচাত্তর হাজার কি স্ট্যান্ডার্ড ছাড় বাকি প্রথম দু লাখে পাঁচ শতাংশ আর বাকি তে দশ শতাংশ গলা টিপে আদায় করে নিচ্ছে। ব্যাঙ্কে যান এ্যাকাউন্টে যদি হাজার টাকার কম রেখেছেন পনেরো দিন পর দেখবেন সেই হাজার টাকার নীচের টাকা নেই কেটে নিয়েছে। আর যদি এ টি এম কার্ড থাকে তাহলে তো কথাই নেই নানা অজুহাতে টাকা গায়েব আপানার ব্যক্তি গত সব তথ্য দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে আর সেই তথ্য দিয়ে বিশেষ করে যে কেউ আপনার কোন এ্যাকাউন্টে কত টাকা আছে সব দেখে নিচ্ছে। অর্থাৎ গরীব খেটে খাওয়া মানুষ থেকে মধ্যবিত্ত আজ চরম শোষণের শিকার। আচ্ছা কেউ কোনো দিন শুনেছেন আদানি বা আম্বানির বা ঐ রকম কোন ব্যক্তির এ্যাকাউন্ট থেকে টাকা গায়েব হয়ে গেছে না শুনবেন না। আচ্ছা কোন মন্ত্রীর এ্যাকাউন্ট থেকে টাকা গায়েব হয়ে গেছে শুনেছেন না শুনবেন না কারণ তাদের সব কিছুতেই ছাড় জনগণের টাকায় তারা বসে বসে আয়াস করে কম দামে খাবার সব কিছুতেই ছাড় পাঁচ বছর থাকলেই পেনশন আর একটা কর্মী দশ কুড়ি বছর চাকরি করবে এমন আইন করেছে তাকে পেনশন দেবে না। এদের গালাগাল দিলেও এদের কিছু হবে না। এরা মানুষ নয় এদের মানুষ বললে বনের পশুরা লজ্জা পাবে। এমন ভালো কাজ করে সব কটা সিকিউরিটি গার্ড নিয়ে ঘোরে, আমাদের পশ্চিমবঙ্গের নেতা মন্ত্রী তাদের তো কথাই নেই প্রস্রাব করতে গেলেও সিকিউরিটি গার্ড লাগে সে পঞ্চায়েতের ছোট নেতা থেকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পর্যন্ত সকলের এই সিকিউরিটির পিছনে কোটি কোটি টাকা খরচ। এখন এমন দেখা যাচ্ছে সরকার সিকিউরিটি গার্ড দেয় নি সে নিজে বেসরকারি সিকিউরিটি গার্ড নিয়ে ঘুরছে, নেতা যাচ্ছে তার দু পাশে কালো গেঞ্জি কালো প্যান্ট কালো চশমা পরে তার বেসরকারি সিকিউরিটি গার্ড যাচ্ছে। আর হবে না কেন এমন এক জন নেই যে চুরি করে না। এখন তো বি ডি ও অফিস থেকে পঞ্চায়েত অফিসের কর্মচারী যে যেমন পারছে লুটে নিচ্ছে। সে মিড ডে মিলের চাল থেকে টাকা, লক্ষী ভান্ডার থেকে স্বাস্থ্য সাথী কোথায় চুরি নেই সর্বত্র। বিশেষ করে রাস্তা তৈরি দারুণ ব্যবস্থা একজন ঠিকাদার কে জিজ্ঞেস করে ছিলাম ভাই তুমি তো পিচ রাস্তা করলে কিন্তু তিন মাস পর পিচ আর খোওয়া সমেত উঠে চলে যাচ্ছে। সে রসিকতা করে বলল দেখ ভাই গুর একটু বেশি করে দিয়ে ছিলাম ঐ জন্য গরু আর কুকুরে চেটে খেয়ে নিয়েছে। অর্থাৎ দেওয়ার কথা তিন ইঞ্চি মোটা কিন্তু নেতার চাপে সেটা হয়েছে হাফ ইঞ্চি কারণ না এলাকার ছোট বড় নেতা রাস্তায় কাজ করতে দেবে না। রাস্তার পাশে মাল মেটেরিয়ালস রাখতে দেবে না। ছাড়ুন এসব যে কথা বলতে বা লিখতে গেলাম হল না অন্য কথায় চলে গেলাম। এখন এই সরকার কোন কিছুর দাম কমাবে না যাতে দাম বাড়ে তার নানা ব্যবস্থা, আচ্ছা একবার ভাবুন তো পেট্রোলে, ইলেকট্রিকে জি এস টি নেই কেন? আর এখন পশ্চিমবঙ্গে ইউনিট প্রতি বিদ্যুতের দাম সে তো বলার নেই যে কোনো ভাবে প্রতি মাসে এরা গলা কাটছে। তিন মাস অন্তর বিল দিচ্ছে স্যালাব বেড়ে যাচ্ছে বেশ গলা কেটে দাম নেওয়া যাবে। এখন তো আবার স্যালাব কে তিন ভাগের এক ভাগ করে দেওয়া হয়েছে যাতে আরও বেশি আদায় করতে পারে। সব কটা চোর আর মিথ্যাবাদী। 

Tuesday, 28 January 2025

মি ডে মিলের সোশ্যাল অডিট।


 বাম আমলে কিছু বাম বিরোধী শিক্ষক শিক্ষিকা দের বলতে শুনেছি পারলে পঞ্চায়েতের চৌকিদারকে স্কুল ভিজিটে পাঠায়। এখন যা দেখছি পঞ্চায়েতের চৌকিদার নয় পাড়ার দু তিন জন মহিলা কে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে সোস্যাল অডিটের নামে স্কুল পরিদর্শনে তারা এসে যাবতীয় খাতা পত্র দেখছে বিশেষ করে মিড ডে মিলের খাতা হিসেবে আর ও দিকে মিড ডে মিল খাওয়ার টাকা এবং চাল সময়ে নেই, প্রতি বারে টাকা এবং চালের পরিমাণ কমছে। বিশেষ করে বেশি ছাত্র ছাত্রী আছে এরকম স্কুলে, সব মেনে নিতে হবে না হলে বিপদ আছে। এই পাড়ার মহিলা দলের বিশেষ নাম দেওয়া হয়েছে ভি আর পি। তারা নাকি স্কুলের সব কিছু দেখবেন এবং ছবি তুলে নিয়ে যাবেন। নেতিবাচক কিছু থাকলে বিডিও প্রধান শিক্ষক শিক্ষিকা কে ধমকানি দেবে। মিড ডে মিল টাকা সে তো ডুমুরের ফুল কবে আসবে কেউ জানে এবং কত দিনের দেওয়া হবে কত টাকা দেওয়া হবে সেটাও শিক্ষক শিক্ষিকা জানে না। আবার খাওয়ানো বন্ধ করা যাবে না কারণ বাচ্চা দের জন্য। আরেকটা বিষয় আছে বিকেল চারটের মধ্যে এস এম এস পাঠাতে হবে এটা বাধ্যতামূলক। এবার টাকার কথায় আসি, মিড ডে মিলের সব কিছু প্রধান শিক্ষক ঋণ করে আনবেন এবং কখনো এক মাস, কখনো তিন মাস পর টাকা দেওয়া হবে দেখা গেল যত টাকা খরচ হয়েছে তত টাকা এলো না। এবার ঋণের দায় প্রধান শিক্ষক এর, আরেকটা ভালো বিষয় এখন চালু হয়েছে, গ্যাস নেওয়ার জন্য মিড ডে মিল এ্যাকাউন্টে টাকা রাখতে হয়, কারণ রান্নার গ্যাস ধারে বা ঋণ করে ক্রয় করা যাবে না। টাকা দেওয়ার সময় লক্ষ্য করা হচ্ছে এ্যাকাউন্টে কত টাকা আছে সেটা কেটে টাকা দেওয়া হচ্ছে। জানা ছিল যত জন ছাত্র ছাত্রী তার ৮৫% এর টাকা দেওয়া হবে। এখন মনে সেটা হয় সেটা হয় না, কারণ শিক্ষক শিক্ষিকাদের জানানো হয় না কত দিনের টাকা আর কত জনের দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তোমাকে ভালো ভালো খাবার খাওয়াতে হবে না হলে ঐ ভি আর পি আরো কিছু আছে যারা ভিজিটে এসে আস্থির করে তুলবে। এরা সব জানে, জানে যে চেক পেমেন্ট করতে হলে এ্যাকাউন্টে টাকা থাকতে হবে না হলে চেক বাউন্স হবে ধরবে কাকে না প্রধান শিক্ষক কে। আমি জানি না এই মিড ডে মিলের টাকার যে অংশ কেন্দ্রীয় সরকারের তারা এই রকম টাকা কেটে টাকা দেয় কি না! কিন্তু এরা সব দিক থেকে প্রধান শিক্ষক দের বিপদে ফেলে দিচ্ছে এক দিকে ঋনের ফাঁদ আরেক দিকে টাকা, ব্যাঙ্ক এ্যাকাউন্টে টাকা থাকলে কেটে নেওয়া, যাতে চেক বাউন্সের বিপদে পড়ে, দারুন চলছে কিছু বলার নেই। এরাই ২০১১ সালে এপ্রিল মে জুন এর টাকা দেয় নি। 

বাঙালি ও বর্তমান ভারত।

 (ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...