এটি ফেসবুক থেকে নেওয়া ছবি। কেন নিলাম, এই সরকার আসার পর থেকে দেখেছি নিরস্ত্র নিরীহ জনগণের দাবি দাওয়া নিয়ে জনগণের বিভিন্ন আন্দোলন হলে পুলিশ এভাবেই ঝাঁপিয়ে পড়ে বিভিন্ন ভাবে মারধর করে। বিশেষ করে সেখানে যদি সি পি আই এম এর নেতৃত্ব থাকে বা তাদের কোন গন্ধ থাকে তাহলে তো কথাই নেই। এই চোদ্দ বছর এসব দেখে, ইতিহাসে পড়া ইংরেজ শাসনের অত্যাচারের কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। সেখানে পড়েছি ব্রিটিশ পুলিশ আন্দোলন দমন করতে এই রকম অত্যাচার করত। বিশেষ করে যারা স্বাধীনতা সংগ্রামী ছিলেন বা তাদের সহযোগিতা করা কোনো মানুষ কে যদি ধরতে পারত তাহলে তো কথাই নেই। মেরে হাত পা ভেঙে দেওয়া গরম সিসা ঢেলে দেওয়া, কত রকম অত্যাচার কেবল দলের কথা বা অন্য বিল্পবী বন্ধু দের নাম গুলো যাতে বলে দেয় তার তার জন্যে নির্মম অত্যাচার। শিক্ষা তথা শিক্ষক এই ভাবে লাথি মারত এটা ইতিহাসে পড়া হয় নি। কারণ তারা শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলে ছিল কেরাণী কুল বা কেরাণীর চাকরি দেওয়ার জন্য। তথাকথিত অনেক বিশিষ্ট বাঙালি ব্যক্তি কে সেই শিক্ষা ব্যবস্থার সাথে যুক্ত করে দিয়ে ছিলেন। যেমন বিদ্যাসাগর তাছাড়া পড়েছি বাঙালির আধুনিক তথা সঠিক শিক্ষায় শিক্ষিত করতে রাজা রামমোহন রায়, দ্বারকানাথ ঠাকুর এঁদের সহযোগিতা করেছেন অনেক ইংরেজ, যেমন ডেভিড হেয়ার তাদের মধ্যে একজন। এরকম অনেকেই তখন বাঙালির শিক্ষা ব্যবস্থা কে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করে ছিলেন। সেই শিক্ষা ব্যবস্থা ধীরে ধীরে এমন জায়গায় পৌঁছে ছিল বাঙালি জাতির গর্বের বিষয় ছিল বাঙালির আর কিছু থাকুক আর না থাকুক তারা কিন্তু উচ্চ শিক্ষিত। ইতিহাসে পড়েছি বহু বাঙালি, শিক্ষিত মানুষের কথা, যেমন, আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায়, জগদীশচন্দ্র বোস, সত্যেন্দ্রনাথ বসু, কত নাম এখানে লিখে শেষ করা যাবে না। গত ২০১১ সালের পর এই সরকার ক্ষমতায় এসেছে তার পর থেকেই ধীরে ধীরে এই শিক্ষা ব্যবস্থা কে শেষ করে দিয়েছে প্রথম হচ্ছে, জঘন্য পাঠ্যসূচি পাঠক্রম অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পাশ ফেল তুলে দেওয়া। ইত্যাদি বুঝতে পারছি সব হচ্ছে গুজরাতি দাদা আর মোহন ভাগবতের নির্দেশে তারা জানে বাঙালির মেধার সাথে পেরে ওঠা যায় না আর এটাও জানে একটা জাতি কে শেষ করতে এখন আর কিছু লাগে না তাদের শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিতে পারলেই সে জাতি ধ্বংস হবেই। কারণ ভুয়ো ডাক্তার, ভুল চিকিৎসা ব্যবস্থা, অযোগ্য শিক্ষক শিক্ষিকা অশিক্ষা কুশিক্ষায় ভড়ে উঠবে। কেন বলছি এই কয়েক দিন এক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এক শিক্ষিকা ইংরেজি বানান অর্থাৎ ইংলিশ এই বানানটি ইংরেজি তে কি লিখেছিলেন জানেন eleghlish/(আসলে হবে English) যে শিক্ষিকা এটা লিখেছিলেন তিনি ২০১২ সালের টেট পাশ করে চোদ্দ সালে চাকরি পেয়েছেন। এরকম অজস্র ভুল ভাল প্রতিদিন করে। যাহোক ছাড়ুন ওসব কথা কারণ এরা বর্তমান সরকারের সমর্থক, পুলিশ কিন্তু এদের ঠাকুর যত্ন করে কারণ মুখ্যমন্ত্রী যা বলেন যা করেন তাকেই এরা সমর্থন করে, ঐ উলঙ্গ রাজা রাজা তোর কাপড় কোথায় বলার সাহস টুকু এদের নেই। আর পুলিশের ভিতরেও এই ভুয়ো বা পরীক্ষা না দিয়ে চাকরি পাওয়া সাদা খাতা জমা দিয়ে চাকরি পাওয়া লোক জন আছে এদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে যে কোনো আন্দোলন কে এভাবেই দমন করার জন্য। পুলিশ বিভিন্ন লুঠের টাকা বয়ে নিয়ে যায় এবং তারা ভাগ পায় একদম উপর মহল পর্যন্ত। আগে অর্থাৎ বাম আমলে সামান্য টাকা ঘুষ পেত তাও ধরা পরলে চাকরি চলে যেত। এখন যে পুলিশ যত কাটমানি বা ঘুষের টাকা তুলে দিতে পারে তার প্রমোশন এবং ভালো জায়গায় পোস্টিং কেউ আটকাতে পারে না। বাম আমলে ধরা পড়লেই চাকরি যেত বা দূরে বদলি করা হতো এখন তো ওসব হয় না। এখন বারো মাস কাজ করে চোদ্দ মাসের বেতন পায় তার উপর উপরি পাওনা আছে আর সে কারণেই উপর ওলার নির্দেশে পুলিশ এখন এত অত্যাচারি বিশেষ করে বামেদের দেখলে ক্ষেপে যায়। যেমন অনেক ষাঁড় আছে লাল দেখলে ক্ষেপে যায় এরা বামেদের গন্ধ থাকলেই এই রকম আচরণ করে কোনো কথা হবে না। আর ওদিকে দিল্লির দাদা নাগপুরের নির্দেশ আছে যেমন করে হোক বাঙালি জাতি কে ধ্বংস করতে হবে। সেই কারণেই এই দ্বিতীয় ইংরেজ শাসনের সূচনা বাংলায়। বাঙালি কে বলছি যদি পূর্ব পুরুষের রক্ত দেহে থাকে তাহলে জেগে ওঠ। বুঝিয়ে দাও আমরা সেই বাঙালি যারা মাষ্টার দা সূর্য সেন, বিনয় বাদল দীনেশ ক্ষুদিরাম রাসবিহারী বসু, নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর উত্তরসূরী। শত অত্যাচারেও আমাদের দমন করা যাবে না।
Anulekhon.blogspot.com
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
বাঙালি ও বর্তমান ভারত।
(ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...

-
সরস্বতী পুজোর পদ্ধতি, পরপর যা করতে হবে।১)আচমন ২)বিষ্ণু স্মরণ ৩)স্বত্ত্বি বাচন ৪) স্বত্ত্বি সূক্ত ৫) সাক্ষ্য মন্ত্র ৬) বরণ ৭) সংকল্প ৮) স...
-
আমি এর আগে একটি ব্লগে লিখেছি, দুর্গা যষ্টী পূজার মন্ত্র ।এখানে বলি আমি পণ্ডিত নই, বিভিন্ন ধরনের বই পড়ে, আর দু একজন ব্রাহ্মণের সাথে কাজ ...
-
ছবি টি কীসের বা কোন প্রাণীর নিশ্চয়ই বলে দিতে হবে না। মানুষের প্রথম পোষ মানা প্রথম প্রাণী, হয়তো অনেকেই পড়ে বলবেন এবার নতুন কী এতো আমরা স...
No comments:
Post a Comment