
মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী এই লেখাটির মাধ্যমে আপনার কাছে একটা কাতর আবেদন রাখছি।জানি না আপনি এই লেখাটা পড়বেন কি না! বা এই লেখাটা আপনার নজরে কেউ আনবে কিনা তবুও আপনার উদ্দেশ্যে এই লেখা। দয়া করে আপনি পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচন কে প্রহসনে পরিনত হতে দেবেন না। আসছে ২০২৬ এর বিধানসভা নির্বাচন, আপনি এখন থেকেই ঠিক করে নিন কোথাও কোনো গণ্ডগোল হবে না। সম্পূর্ণ কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট হবে। আপনার পুলিশ কোথাও কোন দায়িত্বে থাকবে না। যেমন ২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে হয়েছিল। আপনি ক্ষমতায় এসে ছিলেন। ২০০৯ এর লোকসভা নির্বাচন এবং ২০১১ বিধানসভা নির্বাচন সম্পূর্ণ কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে হয়েছিল। কোনো খুন দাঙ্গা মারপিট বা ঝামেলা হয় নি। আপনি বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতা দখল করে ছিলেন। জানি না আপনি ক্ষমতায় এলেন এবং মানুষের জন্য এত প্রকল্প ঘোষণা করলেন। রাস্তা বানালেন সাধারণ মানুষের জন্য বিভিন্ন প্রকল্প আনলেন তবুও আপনি এবং আপনার ভাইয়ে রা বাংলার নির্বাচক তথা ভোটার কে বিশ্বাস করতে পারলেন না। মার ধোর দাঙ্গা বোমাবাজি খুন জখম ভোট লুট ছাপ্পা ভোট গননায় কারচুপি সব কিছু করতে শুরু করে দিলেন। সে পঞ্চায়েত নির্বাচন হোক বা সমবায় নির্বাচন কোথাও গুলি বন্দুক বাদ নেই। মানুষ কে ভয় দেখানো বন্ধ নেই। কারণ একটাই টাকা লুটতে হবে। দিদি আমি বলছি আপনার ভাই বোনে দের বলুন এসব করতে হবে না। মানুষ এমনি আপনাকে ভোট দেবে কারণ আপনি অনেক কিছু দিচ্ছেন। বুথে ঢুকে ভোট দিয়ে দেওয়া সবটাই করে আপনার দলের লোকজন। দয়া করে আপনি এগুলো বন্ধ করে দিন পুরো পুরি কেন্দ্রীয় বাহিনীর অধীনে ভোট হতে দিন। পারলে বিধানসভা ভেঙে দিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীর হাতে তুলে দিন। কারণ আপনার ভাইয়ের দল বাঙালি কে শান্তিতে থাকতে দিচ্ছে না। আর এগুলো যাতে বেশি করে হয় সে কারণেই কতো গুলো অবাঙালি অফিসার এবং বেশ কিছু প্রশাসনের লোকজন পুলিশ আর পি কে আর তার আই প্যাক চাইছে বাঙালি যেন আগের মত শান্তিতে না থাকতে পারে। প্রতি নিয়ত তারা শিক্ষা ধ্বংস করে দিচ্ছে । স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়েছে, নিয়োগ ধ্বংস করে দিয়েছে। যাতে বাঙালি জাতি শ্রমিকে পরিনত হয়। এক সময়ে বিহারের এই অবস্থা ছিল। আপনাকে দিয়ে এসব করিয়ে নেওয়া হচ্ছে। আপনি একটু বুঝুন আপনি এদের সাহায্য ছাড়াই ক্ষমতায় এসে ছিলেন। এখনো পারবেন একবার মানুষ কে বিশ্বাস করে দেখুন ঠকবেন না। বাংলায় মিলিটারী শাসনের মধ্যেই নির্বাচন করুন আর যত গুণ্ডা মাফিয়া আছে নির্বাচনের আগে তাদের জেলে পাঠান অস্ত্র গুলো উদ্ধারের ব্যবস্থা করুন। কারণ বাংলা এখন বারুদের স্তুপের উপর দাঁড়িয়ে আছে। একটা খবরে দেখলাম পশ্চিমবঙ্গে নতুন নির্বাচন কমিশনার যিনি হচ্ছেন, তার বাড়ি থেকে কোনো সময় গোছা গোছা টাকার বাণ্ডিল বেড়িয়ে ছিল। দয়া করে আপনি এদের হাতে বাঙালির ভবিষ্যত ছেড়ে দেবেন না। আপনি একবার ভেবে দেখুন আপনি দুর্গা পুজোর জন্য টাকা দেন, আপনি সাইকেল দিচ্ছেন, আপনি কন্যাশ্রী, রূপশ্রী দিচ্ছেন, আপনি রাস্তা তৈরি করে দিচ্ছেন আপনি লক্ষীর ভাণ্ডার দিচ্ছেন এছাড়াও আরো কত কিছু আছে লিখে শেষ করা যাবে না । আপনি ক্ষমতায় আসার আগে এসব আপনি দেন নি তবুও আপনাকে মানুষ ভোট দিয়ে ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীর ঐ রকম আঁটো সাঁটো পাহারার মধ্যেও আপনি জয় লাভ করে ছিলেন কারো সাহায্য লাগে নি, পি কে আই প্যাক, এই সব অফিসার কেউ ছিল না। সে কারণেই আপনাকে বলছি আর একবার বাংলার ভোটার দের শান্তিতে ভোট দিতে দিন। বুথের ভিতরেও ঐ ভোট কম্পারমেন্টে ঢুকে দাঁড়িয়ে থাকা অন্যের ভোট দিয়ে দেওয়া এসব করতে হবে না। দয়া করুন, বাংলা কে আর পূর্ব বিহার হতে দেবেন না, এখন দেখবেন বিহারের ভোটে এত মারামারি বোমাবাজি মানুষ খুন হয় না। এই সব অফিসার দের কথায় আপনি বাঙালি জাতি কে আর ধ্বংস হতে দেবেন না। আপনি পারেন বাঙালি জাতি কে রক্ষা করতে। আগামী ২০২৬ সালের ভোটে একবার দেখুন পুরোপুরি কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে নির্বাচন করান। গণ্ডগোল দেখলেই গ্রেফতার করতে নির্দেশ দিন দেখবেন কোনো সমস্যা নেই। বাঙালি জাতি কে বাঁচান।
No comments:
Post a Comment