Anulekhon.blogspot.com

Wednesday, 1 May 2024

রাজনীতি এখন জোকার দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে।

 এক সময় এই বাংলা থেকে বাঘা বাঘা রাজনৈতিক নেতা বিভিন্ন দলে আসতেন নেতা হতেন তারা মানুষের বিভিন্ন সুখ দুঃখের দাবি দাওয়া নিয়ে কথা বলতেন। মানুষ জীবন যাত্রার নানা অসুবিধা, রাস্তা তৈরি, খাদ্য, পানীয় জলের সমস্যা, স্বাস্থ্য শিক্ষা এসব নিয়ে তার দল কি করবে সেসব বলে ভোট চাইতেন। আর এই দশ বারো বছর বাংলার রাজনীতি তে বর্তমান শাসক দল কত গুলো জোকার এনে উপস্থিত করেছেন। এর আগে দেখলাম, সন্ধ্যা রায়, মুনমুন সেন, এই মুনমুন সেন তো ভোটদের কাছে ভোট চেয়ে ছিলেন তার মায়ের আত্মার শান্তি কামনা করার জন্য। তার পর শতাব্দী রায় বললেন আমাকে হলে টিকিট কেটে দেখতে পেতেন এবার বিনা টিকিটে দেখতে পাচ্ছেন এই জন্য ভোট দিন। এখন আরেকটা জোকার এসেছে রচনা ব্যানার্জি, কখন বলছেন হুগলীর মানুষ ওনাকে পেয়ে লাকি, কখন ধোঁয়া দেখে কারখানা আবিষ্কার করছেন। কখনো ডাব লস্যি দই খেয়ে প্রশংসা করছেন। কখনো বলছেন, এই তো দু মাস কষ্ট করতে হবে তার পর মজাই মজা। আবার কখন বলছেন আমাকে ভোট না দিলে ঠাকুর পাপ দেবে। আমি বা আমরা কয়েক বছর ধরে দেখছি এই সব জোকার গুলো ভোটে নির্বাচিত হচ্ছে, কোন যাদু বলে কেউ জানে না। আমার তো মনে হচ্ছে, বাংলার মানুষ কে বর্তমান শাসক জোকার বানাতে সক্ষম হয়েছে, আর সে কারণেই এই জোকার গুলো দিব্যি ভোট নির্বাচিত হচ্ছে। এরা জানে একবার জিতে কোন রকম পাঁচ বছর কাটিয়ে দিতে পারলেই সারা জীবন ধরে পেনশন পাওয়া নিশ্চিত। একবার খোঁজ নিয়ে দেখলেই দেখা যাবে , মিমি, নুসরত, লকেট, সন্ধ্যা রায়, মুনমুন সেন, সাংসদ হিসেবে সংসদে নিজের সংসদ এলাকার সমস্যা নিয়ে কটা কথা বলেছেন এবং ক দিন সংসদে উপস্থিত ছিলেন। এবারেও আরেক জন নায়ক ঘাটাল থেকে দাঁড়িয়েছেন তার অবদান একই। এরা যাদের হারিয়ে সাংসদ হয়েছিলেন তাদের, অবদান গুলো একবার কেউ দেখে নি, ভোট দিয়ে দিয়েছে। অর্থাৎ বাংলার মানুষ কে জোকার বানাতে বর্তমান শাসক দল সফল হয়েছে। এই জন্যই তো শিক্ষার এই হাল। সকলে ভালো থাকবেন । জোকার গুলো কে ভোট দিয়ে নিজে জোকার হবেন। 

No comments:

Post a Comment

বাঙালি ও বর্তমান ভারত।

 (ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...