পশ্চিমবঙ্গে সব থেকে জন প্রিয় একটা সরকারি ভাতা লক্ষী ভাণ্ডার। প্রায় প্রতি টি স্ত্রী এই ভাতা পাওয়ার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ে। এর একটা কারণ আছে, এখন পশ্চিমবঙ্গে স্কুল কলেজ বন্ধ, মদের দোকান বেশি সরকার নিজেই বাড়িতে মদ পৌঁছে দিচ্ছে। বেশিরভাগ স্ত্রী দেখছে স্বামীর আয় আর আগের মত নেই, সে আবার মদ খেয়ে টাকা শেষ করে দিচ্ছে। মদের টাকা শেষ হলেই, বৌ এর পেছনে ঘোরা এই পাঁচ শ টাকা লক্ষী ভাণ্ডার পেয়ে সে স্বামী কে দিচ্ছে বেশি করে মদ খেতে যাতে তাড়াতাড়ি মারা যায়। কারণ রোগ হলে ডাক্তার দেখানোর টাকা নেই। বরং মারা গেলে লাভ এক কালীন দু লক্ষ টাকা, শ্মশানে পোড়ানোর জন্য দু হাজার টাকা, এবং সাথে আছে বিধবা ভাতা মাসে দেড় হাজার টাকা। কারণ দিদি আঠারো বছরের বিধবা কেও এই ভাতা দেবেন বলেছেন। কি দারুন একটা ব্যাপার তাই না, সব স্বামী দের উদ্দেশ্য বলছি আনন্দ করে মদ খান। আর এই কারণেই দিদি ভাইয়েরা ভোটের আগের দিন এবং ভোটে জিতে মদ মাংস খাওয়ার ব্যবস্থা করে। লক্ষী ভাণ্ডারের আরেকটা উপকারিতা আছে, অবশ্যই সেটা তৃণমূল দাদা দের জন্য। রাতে পিঠে করতে ডাকা হবে, দু তিন দিন ধরে পিঠে করে বাড়ি যাবে। ও দাদা আপনার স্ত্রী মেয়ে গোষ্ঠীর সদস্য লক্ষীর ভাণ্ডারের টাকা পায় তাহলে চিন্তা করতে হবে না। আপনি কেবল দু এক দিন পাঠিয়ে দেবেন, তাহলেই আপনার জমিতে বীজ বুনে দেবে। কী ভালো তাই না।
Anulekhon.blogspot.com
Monday, 22 January 2024
টু জিরো টু ফোর জেলে ঢুকুক সকল বড়ো বড়ো চোর।
টু জিরো টু ফোর, জেলে ঢুকুক সকল বড়ো বড়ো চোর। বাঙালি হিসেবে আর ভাল লাগছে না, চোর গুলো পুলিশ পাহারায় ঘুরে বেড়াচ্ছে আর সাধারণ মানুষ কে বোকা বানানোর জন্য আরেক চোর টি ভি তে এসে বলছে, কে রামকৃষ্ণ কে বিবেকানন্দ। কীসের সাথে কিসের তুলনা। একটা দাগী চোর আড়াই হাজার পুলিশের পাহারায় রাজকীয় ক্যাম্প খাটিয়ে ঘোরে। কীভাবে ভোট চুরি করতে হবে শেখায় সে নাকি বিবেকানন্দ ভাবা যায়। বাঙালির কি অধঃপতন এই কথা গুলো হজম করে নিতে হচ্ছে কিচ্ছু করার নেই। সত্যিই একটা চোর আরেকটা ডাকাতের দয়ায় জেলের বাইরে আছে। নির্লজ্জ বেহায়া দু কান কাটা পিসি বাংলা টাকে শেষ করে দিল। এরকম দু কান কাটা বাঙালি জাতি আগে দেখেছে কিনা জানি না। আমার তো মনে হয় ইংরেজ আমলের থেকেও খারাপ অবস্থা আজ বাঙালির। শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে গেছে। মজারু কুটুম কাটাম, এবং যাচ্ছেতাই বই এবং ভুল আর মিথ্যা কথায় ভড়া বই এবং সেই রকম শিক্ষক শিক্ষিকাশাস। বছরে 200 দিন স্কুল হলে 100 দিন না এসে স্বাক্ষর করে, শাসক দলের সংগঠনের সমর্থক হলেই চলে। 10 টা 30 মিনিটের স্কুল আসে 11 টা 12 টায় ।অফিসে বসে গল্প করে 40 মিনিটের পিরিয়ড হলে কুড়ি মিনিট গল্প করে কাটিয়ে তবে ক্লাসে যায়। এরা হচ্ছে বর্তমান শাসকের সমর্থক শিক্ষক শিক্ষিকা, পাশ ফেল নেই পড়ানোর ব্যপার নেই। এদের পেছনে বড়ো বড়ো নেতা মন্ত্রী আছে এদের কিছু বলা যাবে না। কারণ তাহলেই এমন মিথ্যা প্রচার করতে শুরু করবে ঐ নেতা মন্ত্রী অফিসার দিয়ে প্রধান শিক্ষক কে হেনস্থা করতে ছাড়বে না। শিক্ষা এই হাল, আর সে কারণেই আজ একটা বেহায়া দু কান কাটা চোর টিভিতে বসে আরেকটা চোর 2500 পুলিশ নিয়ে ঘোরা চোর চিটিংবাজ ধাপ্পাবাজ কে বিবেকানন্দ বলছে। আর বাঙালি সেটা হজম করে নিচ্ছে। এর থেকে অধঃপতন আর কি হতে পারে। ছিঃ ছিঃ বাঙালি ছিঃ তোমরা নাকি ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছ এই তার নমুনা। তোমার মেরুদন্ড আজ ভেঙে গেছে আর সোজা হয়ে চলতে পারবে না। কারণ একটা চোর কে আরেকটা চোর যখন স্বামী বিবেকানন্দের সাথে তুলনা করে তার পরেও চুপ করে থাকতে পার। এর থেকে লজ্জার কি আছে।
হুম আমি ভাইপো।
সত্যিই আমরা কোন রাজ্যে বাস করছি, চোর করে ঠিক করে দিচ্ছে কে তার বিচার করবে। কোন বিচার পতি এসব বিচার করতে পারবে এই না হলে বাংলা। সত্যিই এগিয়ে বাংলা, কলা চোর, ছিঁচকে বাসন চোর, পকেট মার, কেপ মারের দল এবার থেকে বলতেই পারে আমি আদালত যাব না। কেন আমার বিচার করা হবে, আমি সামান্য কটা টাকা চুরি করেছি বলে আমি অপরাধী, আর বড় বড় চোর দের জন্য আইন আলাদা। হুঁ হুঁ এই জন্যই নকল পুলিশ অফিসার আছে তারা ধরবে, নকল আইনজীবী আছে, নকল বিচারপতি করে দিলেই হবে কারণ রাজ্য পুলিশের মাথায় এখন বড়ো চোরের দালাল বসে আছে। বাঙালি জাতি টা শেষ হয়ে গেল না হলে এগুলো দেখে চুপ করে থাকে। যে বাঙালি জাতি এক দিন শিক্ষা দীক্ষায় দেশের সেরা ছিল, যে জাতি প্রবল পরাক্রমশালী ইংরেজের বিরুদ্ধে লড়াই করে তাদের তাড়িয়ে স্বাধীনতা এনেছেন সেই বাঙালি জাতি কোথায়? বাঙালি জাতি কে ধ্বংস করার খেলায় মেতেছে প্রশাসন এবং তার আমলারা। আর এখানেই সফল বিজেপি তথা বিজেপির গুজরাতি নেতারা। আগে পারেনি কারণ রাজ্যে বাম সরকার ছিল। এখন সফল বাঙালির শিক্ষা ব্যবস্থা আজ ধ্বংস, উচ্চ মাধ্যমিকের পর প্রতিটি ছাত্র ছাত্রী কে মোবাইল বা স্মার্ট ফোন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে উচ্ছন্নে পাঠাবার জন্য। সিলেবাস যাচ্ছেতাই, কলেজ গুলো মাতাল দের আড্ডা আমার বাড়ির পাশের কলেজ 24 x7 খোলা পঠনপাঠন বন্ধ সেই 2015 সাল থেকে কেবল ছাত্র ছাত্রীরা ভর্তি হয় কিন্তু ক্লাস হয় না। ছ অন্তর পরীক্ষা হয় এখন সেই ছ মাসের পরীক্ষা এক বছর পর হয় অর্থাৎ তিন বছরে বি এ, বি কম এখন ছ বছর লাগে তবে প্রতি সেমিস্টারে টাকাটা অন লাইন নেওয়া হয় কার এ্যাকাউন্টে ঢোকে কে জানে। কারণ সব থেকে ছোট ছাত্রের বয়স হল 45 বছর। দারুণ চলছে কি দারুন এই সে দিন ঘটা করে এ্যান্টি সোশ্যাল হয়ে গেছে। ব্যাস ঐ পর্যন্ত কোন দিন ক্লাস করতে দেখিনি ছাত্র ছাত্রীরা পরীক্ষায় দেখে দেখে লেখে দারুণ না। এরকম না হলে কেউ চোর কে সমর্থন করে, শিক্ষা নেই চাকরি নেই, চাকরি কিনতে হয়। মরা মানুষ চাকরি পায় জীবিত চাকরি প্রার্থীরা চাকরির পরীক্ষায় পাস করে রাস্তায় বসে থাকে। দারুণ রাজ্য বাঙালি জাতি আজ শেষ হয়ে গেল। মান মর্যাদা যা ছিল সব গেল। ছিঃ ছিঃ আমি বাঙালি এটা বলতে লজ্জা লাগে।
খেল তামাশা
খেলা ধূলা শিক্ষার অঙ্গ কিন্তু এই খেলা এখন এখন একটা মজায় পর্যবসিত হয়েছে। 2011 সালে সরকার পরিবর্তনের পর এই খেলা একটা প্রহসনে পরিনত হয়েছে। প্রথমে বলি এই খেলা আগে শিক্ষক শিক্ষিকা দের চাঁদা নিয়ে হতো।পরিবর্তনের সরকার আসার পর সেই চাঁদা বাড়তে বাড়তে 1000 বারো শ টাকায় পৌঁছে গিয়েছিল। তখন ভাল হত কি মন্দ হত জানি না তবে এত রাজনৈতিক দলের নেতাদের আনাগোনা ছিল না। দু তিন বছর আগে শিক্ষক শিক্ষিকা দের দাবি মেনে সরকার টাকা দিতে শুরু করেছে। এখানে বলে রাখি এটা প্রাথমিক বিদ্যালয় সমূহের বাৎসরিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার কথা বলছি। এবছর অর্থাৎ 2024 সালের কথা বলি 2024 সালে যদিও 2023 বর্যের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা 2024 সালে হচ্ছে। প্রথমেই বলি 2 রা জানুয়ারি নতুন ছাত্র ছাত্রী ভর্তি হয়েছে বই দেওয়ার দিন দিয়ে শুরু করে এক সপ্তাহ ধরে বিভিন্ন দিবস পালন করা হচ্ছিল। তার পর 8/1/24 রাতে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা করার আদেশ এল। যেখানে স্কুল স্তরের খেলার কোনো উল্লেখ নেই, প্রথমেই আছে 10 থেকে 17 তারিখের মধ্যে পঞ্চায়েত বা জোনের খেলা করতে হবে। এর মধ্যে 12/1, 14/1,15/1 ছুটি ছিল। কোন পঞ্চায়েত আর মিটিং ডাকে না। কেন পঞ্চায়েত স্তরে কোন টাকা নেই এবং স্কুল স্তরে কোন টাকা নেই কিন্তু স্কুল স্তর করে পঞ্চায়েত স্তরে যাবে। অর্থাৎ স্কুল স্তরে যারা বিভিন্ন ইভেন্টে প্রথম হবে তারা পঞ্চায়েত স্তরে খেলতে যাবে। তাহলে যেটা সব থেকে জরুরি সেই স্তরের খেলা করার জন্য কোন টাকা নেই, পঞ্চায়েত স্তরের জন্য কোন টাকা নেই। যাহোক এর মধ্যেই স্কুল স্তর খেলা হল, সিঙ্গুর চক্রের এস আই 13/1 /চক্রের খেলা নিয়ে মিটিং ডাকলেন। চক্র স্তরের খেলা 19/1/24 করার কথা সেটা এক দিন পিছিয়ে দেওয়া হল। পঞ্চায়েত স্তরের জন্য পঞ্চায়েত সভা আর আহ্বান করে না। শেষ পর্যন্ত এক শিক্ষক ফোন করে সভা ডাকলেন ছুটির দিন অর্থাৎ 15/1 পরে অবশ্য পাল্টিয়ে 16/1 করা হল বেলা বারোটা থেকে। সিঙ্গুর 1 নং পঞ্চায়েতর মিটিং হল এবার খেলার জন্য মাঠ খোঁজ কারণ পঞ্চায়েতর নির্দিষ্ট মাঠ নেই। একটা মাঠ ঠিক করা হল সেখানে বিয়ে বাড়ির মণ্ডপ করা আছে। তার পর এল সিঙ্গুর ক্লাব মাঠ বা অবনী ময়দান সেখানে আবেদন করা হল, মাঠ পাওয়া যাবে আশায় থেকে থেকে রাত 9 টায় খবর এল মাঠ পাওয়া যাবে না। এক দিন পর খেলা গোটা পঞ্চায়েতের ছ টি স্কুলের প্রতিযোগীরা খেলায় অংশ গ্রহণ করবে। যাহোক রাত সাড়ে নটা নাগাদ একজনের কাছে ফোনে কথা হলো জলাঘাটা বিবির ডাঙা মাঠ পাওয়া যাবে। পরের দিন সব বন্ধ রেখে মাঠের কতৃপক্ষ কে চিঠি দিয়ে অনুমতি নেওয়া এবং মাঠে ট্রাক কাটা হল। এবার মঞ্চ তৈরি করা ডেকোরেটরস এল কিন্তু তিনি পরিস্কার জানিয়ে গেলেন এই অল্প সময়ের মধ্যে ভালো মঞ্চ তৈরি করা সম্ভব নয়। কারণ 17 /1/24 সে দুপুরে কথা হচ্ছে, আর 18/1/24 সকাল থেকে খেলা অনেক অনুরোধ করা হল বললেন আমার লোকজন এখন নেই সকালে একটা কিছু করে দিয়ে যাব। আমি এসব বলছি না খেলা তো শেষ পর্যন্ত হলো কিন্তু সিঙ্গুর ক্লাব মাঠ প্রতি বছর সরকারের কাছ থেকে টাকা নিয়ে গেছে অথচ সরকারি বিদ্যালয় সমূহের বাচ্চাদের খেলা ঐ মাঠে হবে না। আর সরকার মন্দির আর মেলা করার জন্য কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে কিন্তু প্রতিটি পঞ্চায়েত একটি করে খেলার মাঠ করে দিতে পারে না, যে সব স্কুলের পাশে জায়গা আছে সেখানে জায়গা নিয়ে একটা করে খেলার মাঠ অবশ্যই করে দেওয়া যায়।250 কোটির জগৎনাথ মন্দির 250 কোটির গঙ্গা সাগর মেলা দুর্গা পুজোর কার্নিভাল আরো কত কি কিন্তু ছোট ছোট শিশুরা খেলবে এবং একটু পুরষ্কার নেবে তার টাকা নেই।
বাঙালি ও বর্তমান ভারত।
(ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...

-
সরস্বতী পুজোর পদ্ধতি, পরপর যা করতে হবে।১)আচমন ২)বিষ্ণু স্মরণ ৩)স্বত্ত্বি বাচন ৪) স্বত্ত্বি সূক্ত ৫) সাক্ষ্য মন্ত্র ৬) বরণ ৭) সংকল্প ৮) স...
-
আমি এর আগে একটি ব্লগে লিখেছি, দুর্গা যষ্টী পূজার মন্ত্র ।এখানে বলি আমি পণ্ডিত নই, বিভিন্ন ধরনের বই পড়ে, আর দু একজন ব্রাহ্মণের সাথে কাজ ...
-
ছবি টি কীসের বা কোন প্রাণীর নিশ্চয়ই বলে দিতে হবে না। মানুষের প্রথম পোষ মানা প্রথম প্রাণী, হয়তো অনেকেই পড়ে বলবেন এবার নতুন কী এতো আমরা স...