Anulekhon.blogspot.com

Monday, 22 January 2024

খেল তামাশা

 খেলা ধূলা শিক্ষার অঙ্গ কিন্তু এই খেলা এখন এখন একটা মজায় পর্যবসিত হয়েছে। 2011 সালে সরকার পরিবর্তনের পর এই খেলা একটা প্রহসনে পরিনত হয়েছে। প্রথমে বলি এই খেলা আগে শিক্ষক শিক্ষিকা দের চাঁদা নিয়ে হতো।পরিবর্তনের সরকার আসার পর সেই চাঁদা বাড়তে বাড়তে 1000 বারো শ টাকায় পৌঁছে গিয়েছিল। তখন ভাল হত কি মন্দ হত জানি না তবে এত রাজনৈতিক দলের নেতাদের আনাগোনা ছিল না। দু তিন বছর আগে শিক্ষক শিক্ষিকা দের দাবি মেনে সরকার টাকা দিতে শুরু করেছে। এখানে বলে রাখি এটা প্রাথমিক বিদ্যালয় সমূহের বাৎসরিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার কথা বলছি। এবছর অর্থাৎ 2024 সালের কথা বলি 2024 সালে যদিও 2023 বর্যের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা 2024 সালে হচ্ছে। প্রথমেই বলি 2 রা জানুয়ারি নতুন ছাত্র ছাত্রী ভর্তি হয়েছে বই দেওয়ার দিন দিয়ে শুরু করে এক সপ্তাহ ধরে বিভিন্ন দিবস পালন করা হচ্ছিল। তার পর 8/1/24 রাতে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা করার আদেশ এল। যেখানে স্কুল স্তরের খেলার কোনো উল্লেখ নেই, প্রথমেই আছে 10 থেকে 17 তারিখের মধ্যে পঞ্চায়েত বা জোনের খেলা করতে হবে। এর মধ্যে 12/1, 14/1,15/1 ছুটি ছিল। কোন পঞ্চায়েত আর মিটিং ডাকে না। কেন পঞ্চায়েত স্তরে কোন টাকা নেই এবং স্কুল স্তরে কোন টাকা নেই কিন্তু স্কুল স্তর করে পঞ্চায়েত স্তরে যাবে। অর্থাৎ স্কুল স্তরে যারা বিভিন্ন ইভেন্টে প্রথম হবে তারা পঞ্চায়েত স্তরে খেলতে যাবে। তাহলে যেটা সব থেকে জরুরি সেই স্তরের খেলা করার জন্য কোন টাকা নেই, পঞ্চায়েত স্তরের জন্য কোন টাকা নেই। যাহোক এর মধ্যেই স্কুল স্তর খেলা হল, সিঙ্গুর চক্রের এস আই 13/1 /চক্রের খেলা নিয়ে মিটিং ডাকলেন। চক্র স্তরের খেলা 19/1/24 করার কথা সেটা এক দিন পিছিয়ে দেওয়া হল। পঞ্চায়েত স্তরের জন্য পঞ্চায়েত সভা আর আহ্বান করে না। শেষ পর্যন্ত এক শিক্ষক ফোন করে সভা ডাকলেন ছুটির দিন অর্থাৎ 15/1 পরে অবশ্য পাল্টিয়ে 16/1 করা হল বেলা বারোটা থেকে। সিঙ্গুর 1 নং পঞ্চায়েতর মিটিং হল এবার খেলার জন্য মাঠ খোঁজ কারণ পঞ্চায়েতর নির্দিষ্ট মাঠ নেই। একটা মাঠ ঠিক করা হল সেখানে বিয়ে বাড়ির মণ্ডপ করা আছে। তার পর এল সিঙ্গুর ক্লাব মাঠ বা অবনী ময়দান সেখানে আবেদন করা হল, মাঠ পাওয়া যাবে আশায় থেকে থেকে রাত 9 টায় খবর এল মাঠ পাওয়া যাবে না। এক দিন পর খেলা গোটা পঞ্চায়েতের ছ টি স্কুলের প্রতিযোগীরা খেলায় অংশ গ্রহণ করবে। যাহোক রাত সাড়ে নটা নাগাদ একজনের কাছে ফোনে কথা হলো জলাঘাটা বিবির ডাঙা মাঠ পাওয়া যাবে। পরের দিন সব বন্ধ রেখে মাঠের কতৃপক্ষ কে চিঠি দিয়ে অনুমতি নেওয়া এবং মাঠে ট্রাক কাটা হল। এবার মঞ্চ তৈরি করা ডেকোরেটরস এল কিন্তু তিনি পরিস্কার জানিয়ে গেলেন এই অল্প সময়ের মধ্যে ভালো মঞ্চ তৈরি করা সম্ভব নয়। কারণ 17 /1/24 সে দুপুরে কথা হচ্ছে, আর 18/1/24 সকাল থেকে খেলা অনেক অনুরোধ করা হল বললেন আমার লোকজন এখন নেই সকালে একটা কিছু করে দিয়ে যাব। আমি এসব বলছি না খেলা তো শেষ পর্যন্ত হলো কিন্তু সিঙ্গুর ক্লাব মাঠ প্রতি বছর সরকারের কাছ থেকে টাকা নিয়ে গেছে অথচ সরকারি বিদ্যালয় সমূহের বাচ্চাদের খেলা ঐ মাঠে হবে না। আর সরকার মন্দির আর মেলা করার জন্য কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে কিন্তু প্রতিটি পঞ্চায়েত একটি করে খেলার মাঠ করে দিতে পারে না, যে সব স্কুলের পাশে জায়গা আছে সেখানে জায়গা নিয়ে একটা করে খেলার মাঠ অবশ্যই করে দেওয়া যায়।250 কোটির জগৎনাথ মন্দির 250 কোটির গঙ্গা সাগর মেলা দুর্গা পুজোর কার্নিভাল আরো কত কি কিন্তু ছোট ছোট শিশুরা খেলবে এবং একটু পুরষ্কার নেবে তার টাকা নেই।

No comments:

Post a Comment

বাঙালি ও বর্তমান ভারত।

 (ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...