Anulekhon.blogspot.com

Tuesday, 5 December 2023

কিছু চ্যানেল প:বঙ্গ সরকারি কর্মীদের রোজ DAদিচ্ছে ।


 পশ্চিমবঙ্গরে কিছু অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবং কিছু ইউ টিউব চ্যানেল সরকারি কর্মীদের প্রতি দিন ডি এ দিয়ে যাচ্ছে। এই সব খবরের শিরোনাম দেখে অনেকেই তাই ভাববেন। প্রতি দিন নিয়ম মেনে ডি নিয়ে খবর আছে। এমন কিছু ইউ টিউব চ্যানেল আছে, সেখানে বলা ডি এ ঘোষণা করছেন। আসলে যেমন মিথ্যাবাদী ধাপ্পাবাজ সরকার তেমন তার পেটোয়া মিডিয়াও আছে, সাধারণ মানুষ কে বিভ্রান্ত করার জন্য। এসব খবর যারা দেখছেন বা সব টা না পড়ে কেবল শিরোনাম পড়ে তারা তো সরাকারি কর্মীদের সমন্ধে খারাপ ভাবছেন, যে সরকার এত ডি এ দিচ্ছে তার পরেও এরা আন্দোলন করে যাচ্ছে। কারণ পশ্চিমবঙ্গরে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ ডি এ কেন দেওয়া হয় সেটা জানে না। তাদের ধারণা ডি এ দিলে কেবল সরকারি কর্মীদের লাভ, সেই টাকা যে বাজার অর্থনীতি তে কাজে আসে সে ধারনা নেই। কারণ মূল্য বৃদ্ধির টাকা এই ডি এ সেই টাকা সরকারি কর্মীদের মাধ্যমে সরকার বাজারে যোগান দেন, আর এই টাকা না দিলে বাজার ধুঁকতে থাকে মানুষের ক্রয় ক্ষমতা কমে, মজুরি কম হয়ে যায় অথচ জিনিস পত্রের দাম আকাশ ছোঁয়া থাকে। যেটা আজ পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা ছোট এবং মাঝারি দোকান বা ব্যবসা আজ প্রায় বন্ধের মুখে কারণ বাজারে টাকার যোগান নেই। সর্ব ভারতীয় মূল সূচক অনুযায়ী ২০১৬ সালে যে জিনিসটার মূল্য ছিল ১০০ টাকা এখন সেটা ১৫৩ টাকা হয়ে গেছে। কিন্তু সেই হারে মজুরি বৃদ্ধি হয় নি। আর এই কারণেই এ রাজ্যের শ্রমিক কুল অন্য রাজ্যে কাজ করতে যাচ্ছে, এই রাজ্যের কাজের সুযোগ কমে গেছে, ছোট বড়ো কারখানা নেই, এই দেখলাম কোচবিহার থেকে উত্তর কাশির সুরঙ্গ কাটার কাজে গিয়ে সুরঙ্গে আটকে পরে ছিলেন এক শ্রমিক অনেকে চেষ্টার পর উদ্ধার হয়ে বাড়ি ফিরেছেন, কি বললেন তিনি, যে বাংলায় কাজ নেই। কেবল কাজ নেই, কাজ করলেও মজুরি কম। যাহোক ওসব কথা যাক, সরকারের যিনি প্রধান তিনি বলছেন, ডি এ টা অপশনাল, তিনি ইচ্ছা করলে দেবেন না হলে দেবেন না। যে সব কর্মী ডি এ চাইবেন তারা রাজ্য সরকারের চাকরি ছেড়ে কেন্দ্র সরকারের চাকরি নিয়ে চলে যেতে পারে। অর্থাৎ এই রাজ্যের কর্মীদের দরকার নেই, কারণ তার ভাইয়েরা আছে যারা চুরি টা কম্পালসারি করে তুলেছে। ওনার সেই কর্মী দরকার যারা পাঁচ হাজার টাকা বেতন নিয়ে, চুরি তে সাহায্য করবেন। আর যে কর্মী চুরিতে সাহায্য করতে পারেন তার ডি এ লাগবে না তিনি তার বেতনের পাঁচ গুণ মাসে আয় করতে পারবে। যেমন বর্তমান পুলিশ এবং সাদা খাতা জমা দিয়ে চাকরি পাওয়া আমলা বি ডি ও, এবং কিছু বড় বড় আমলা না হলে অবসর গ্রহণের পরও তাদের মেয়াদ বাড়িয়ে বা উপদেষ্টা হিসেবে রেখে দেন দু লক্ষ বা তিন লক্ষ টাকা মাসিক বেতনে। আর যত সরকারি প্রকল্প, শ্রী সাথি ভাণ্ডার তত ভাইদের ইনকাম, সরকারি কর্মীদের দরকার নেই আরেকটা কারণে প্রতি বছর ঘটা করে দুয়ারে সরকার আছে, আপনার আমার ট্যাক্স এর টাকায় মচ্ছব হয়। যদি মণ্ডপ ( প্যাণ্ডেল) এবং টিফিন আর অন্যান্য খরচ মিলে ৫০,০০০ খরচ করে বিল হবে পঞ্চাশ লক্ষ টাকার। এর ৭৫% টাকা যাবে কালি ঘাটে আর ২৫% ভাই বোনেরা নেবে। আর ওখানে আধার কার্ড, ভোটার কার্ড, আরও যে সব তথ্য দেবেন সে গুলো নিয়ে আপনার নামে ব্যাঙ্কে এ্যাকাউন্ট খোলা হবে, বা এ পি এ অর্থাৎ সি এএ প্রথম ধাপ করে নেওয়া হবে। দারুণ ব্যবস্থা এই কারণেই বলে দিচ্ছে সরকারি কর্মীদের না পোষালে চাকরি ছেড়ে চলে যেতে। কারণ এই দুয়ারে সরকার আছে। আর এই রকম কিছু পা চাটা সাংবাদিক ডি এ খবর করে যাচ্ছে। আরেকটা খবর কি ডি এ নিয়ে মামলা ওটা হচ্ছে পঞ্চম বেতন কমিশনের সময় কালীন বকেয়া ডি এ এর মামলা আর এখন ২০১৬ থেকে লাগু হয়েছে ষষ্ঠ বেতন কমিশন ষষ্ঠ বেতন কমিশনে ডি এ প্রায় তুলে দেওয়া হয়েছে, এই সাংবাদিক কে আরেকটা কথা বলি এই সরকার অন্য রাজ্যে থাকা পশ্চিমবঙ্গরে সরকারি কর্মীদের 53% ডি এ দেন। একটাই সরকার দু রকম নিয়ম, সেই কারণেই বলছি, আসলে চোর চিটিংবাজ মিথ্যাবাদী অশিক্ষিত যদি ক্ষমতা দখল করেছে, সেই কারণেই আজ বাঙালির এই অবস্থা। দেখবেন আরেকটা কথা প্রায় বলেন বাম আমলের ঋণ শোধ করতে হচ্ছে, মানুষ এত অশিক্ষিত যে ঐ কথাটা বিশ্বাস করে নিচ্ছে, আসলে ১৯৪৭ সাল থেকে ২০১১ পর্যন্ত বামেরা যাবার আগে পর্যন্ত ঋণ ছিল প্রায় ১.৯৩ লক্ষ কোটি টাকা আর এই বারো বছরে ঋণ সেই ঋণ দাঁড়িয়েছে ৬.৫ লক্ষ কোটি টাকা। আসলে মিথ্যা বলে বলে অভ্যস্ত প্রতি মুহূর্তে মিথ্যা বলে যাচ্ছে। মানুষ এই মিথ্যাচার মেনেও নিচ্ছে। নিজেরা মাসে পাঁচশ টাকা নিচ্ছে আর চোর গুলো মাসে পঞ্চাশ লক্ষ টাকা ইনকাম করছে। 

No comments:

Post a Comment

বাঙালি ও বর্তমান ভারত।

 (ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...