Anulekhon.blogspot.com

Wednesday, 29 November 2023

বর্তমানে বাঙালির গর্বের সাথে বলতে পারে আমরা মহান চোরের জাতি ।

এমন কোন সরকারী প্রকল্প নেই যেখানে কাটমানির ব্যবস্থা নেই। সে নিজের তৈরি প্রকল্প থেকে শুরু করে, আর পুরনো প্রকল্প হোক। অর্থাৎ সমস্ত শ্রী সাথী, এবং স্কুলের টয়লেট তৈরি এমনকি মিড ডে মিল পোশাক স্কুলের খরচ বাবদ দেওয়া সর্ব শিক্ষার অনুদান সর্বত্র কাটমানি । কীভাবে কাটমানি যায় সেটা সকল অফিসার জানেন। কারণ প্রতিটি আমলা আর বড় বড় অফিসার এর সাথে জড়িত, পুলিশ সে তো আর বলে কথা নেই। কারণ ব্রিটিশ সরকারের সময়ের থেকেও খারাপ তারা, সাধারণ মানুষ কে মানুষ বলে মনে করেন না । সামান্য অজুহাতে বা কোন ছোট খাটো ভাই, ভাইপো বা নেতার আবেদনে তুলে এনে আরম ধোলাই যতখন না মারা যাচ্ছে ছাড়া নেই। এই হচ্ছে পুলিশ, এরা চোরে দের পাহারা দিতে আছে। কারণ পাড়ার ছোট নেতা তথা ভাই ভাইপো ভাইঝি থেকে শুরু করে উপর পর্যন্ত প্রত্যেকে ছোট বড় নেতার নিরাপত্তা দিতে ব্যস্ত। ঐ সব নেতা প্রস্রাব করতে গেলে নিরাপত্তা লাগে। পুলিশ না পাওয়া গেলে, বেসরকারি নিরাপত্তা ব্যবস্থা আছে, বিনা লাইসেন্সের - - - সাথে আছে আবার কি! কারণ একটাই যে যত চোর সে তত বড় নেতা কাটমানি বেশি বখরা বেশি। আর এই কারণেই সরকারি কর্মীদের ডি এ নেই, চাকরি নেই, চাকরির পরীক্ষার নাম করে ফর্ম বিক্রি আছে কারণ কোটি কোটি টাকা আয় আছে, নিয়োগ আবার কি?  এম এল এ দের বেতন বছর বছর বারে কেবল সরকারি কর্মী, শিক্ষক, পেনশন প্রাপক দের ডি এ বাড়ে না। উনি ঐ পাঁচশ, হাজার টাকা দিয়ে বাজার মাত করে রেখেছেন। এই জন্যেই ভারতের অন্য রাজ্যের থেকে এখানে জিনিসের দাম আকাশ ছোঁয়া, বিদ্যুৎ বিল দিতে দিতে নাভি শ্বাস উঠছে, পেট্রোল, ডিজেল নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম আকাশ ছোঁয়া তাতে কি তবুও ডি এ নেই কারণ একটাই, যত প্রকল্প তত কাটমানি, তত ভাই ভাইপো ভাইঝি দের ইনকাম তত ঐসব আমলা পুলিশের ইনকাম এই কারণেই পুলিশ কি করে ডি এ আন্দোলন কারি থেকে শুরু করে ন্যায্য চাকরি প্রার্থী দের উপর অত্যাচার করে, কারণ তারা জানে কাটমানি আসছে, এবং তার বাড়িতে যদি বেকার ছেলে মেয়ে থাকে তাহলেও চাকরির দরকার নেই, কারন কাটমানি। কীসে নেই, সর্বত্র পাওয়া যাবে। লক্ষী ভাণ্ডার এই কারণেই পুরুষ ও পায়। যার বাবা কয়েক লক্ষ টাকা খরচ করে মেয়ের বিয়ে দিচ্ছে সেও রূপশ্রী পায় আবার বিয়ে হয়ে গেছে সেও পায় কেবল ঐ ভাই ভাইপো আর নকল অফিসার কে সন্তুষ্ট করলেই চলে। আর এই সব কাটমানির ভাগ কালিঘাট পর্যন্ত পৌঁছে দিতে পারলেই হবে। এই কারণেই সদর্পে বলেন ডি এ আমি দেব না, আর ঐ সব কাটমানি খোর আমলা অফিসারের দল চুপ থাকে। একটু অন্য কথা বলি যাঁর ছবি কোটি কোটি টাকায় বিক্রি হতো তিনি ছবি আঁকেন না কেন? যার গান গাওয়ার জন্যে বড়ো বড়ো শিল্পীরা বসে থাকত তিনি গান লেখেন না কেন? বাঙালি জাতির শিক্ষা দীক্ষা গেছে, চোর চিটিংবাজ মিথ্যাবাদী বদনাম তো হয়েছে কারণ অন্য রাজ্যে গেলে যদি জানে বাঙালি ব্যস মুখ্যমন্ত্রীর নাম করে গালাগালি দেয় আর চোর বলে, আমার মনে হয় স্বাধীনতার পর বাঙালি জাতির এত অধঃপতন আগে হয় নি। আর এটাই চায় দিল্লির দাদা তথা বিজেপি, তিনি আবার এক কাঠি উপরে চুরি করতে সাহায্য করেন এবং দলীয় ফাণ্ডের নামে ভাগ নেন, এই ছোট বড় সব গুজরাতি এবং দু একজন কানা বাবা কে হাজার হাজার কোটি টাকা ঋন দেন পরে মুকুব করে দেন। কেন ঋন দেন দেশের সম্পদ অর্থাৎ রেল, বিমান বন্দর, জাহাজ বন্দর, মিডিয়া তৈরি করতে, ভাববেন না শোধ করতে হবে ও ঋন দু এক বছরের মধ্যে মুকুব হয়ে যাবে আর সাধারণ মানুষের যদি কয়েক হাজার টাকা ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়েছে তার ভিটে মাটি নিলাম করে ছাড়বে। আর ঐ মুকুব হওয়া ঋণ ব্যাঙ্ক গুলো তুলবে সাধারণ আমানত কারি দের থেকে, বিভিন্ন অজুহাতে টাকা কাটা হবে, আর জি এস টি বাড়িয়ে দিয়ে জিনিস পত্রের দাম বাড়িয়ে তোলা হবে। কেবল ঋণ মুকুব নয়, আয় করে ছাড় আছে দিতে হয় না আয় কর বা ইনকাম ট্যাক্স। কিন্তু সাধারণ কর্মী যিনি আড়াই লক্ষ টাকার বেশি আয় করেন তার এক টাকাও ছাড় নেই তিনি যদি সরকারি কর্মী হন তাহলে তার বেতন থেকে কেটে নেওয়া হবে কর। সাধারণ মানুষ মরুক দুঃখ নেই ঐ শিল্প পতি তথা চিটিংবাজ গুলো যেন দুধে ভাতে থাকে। আমার রাজ্যও তাই, বাড়ির গৃহীনি কে পাঁচ শো টাকা ভাত দিচ্ছে আর বাড়ির গৃহ কর্তা কে বলছে কুড়ি টাকা পাউচের মদ খেতে, কারণ মদ খেয়ে মারা গেলে দু লক্ষ টাকা আর গৃহীনি আর এক হাজার টাকা বিধবা ভাতা পাবে। কেবল মদ খেয়ে যদি না মরে সে কারণেই বাজি কারখানার নাম কোরে বোমা শিল্প গড়ে তোলা হয়েছে, মাঝে মাঝে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে মেরে দেওয়া হবে। সামনের লোকসভা নির্বাচন এই কারণে কেন্দ্রীয় সরকার যদিও চাকরি দিচ্ছে কিন্তু নিয়োগ পত্রে যে সব শর্ত আছে সে সব পড়ে মনে হবে, বেকার ছেলে গুলো এদেশের মানুষ নয় তারা সব বিদেশী, অমানবিক সব শর্ত এক নম্বর হল কোন কারণ ছাড়াই ছাঁটাই অর্থাৎ চাকরি থেকে বাদ। এটা নাকি জনগণের সরকার, রাজ্যের সরকারের নিয়োগের কোন গল্প নেই, দিল্লি বালা যদিও দিচ্ছে সেখানে প্রথম কথাটাই লেখা কোন কারণ ছাড়াই যে কোন সময়ে চাকরি থেকে ছাঁটাই করা হবে। আমরা স্বাধীন দেশে বাস করছি বলে মনে হচ্ছে, মনে হচ্ছে না দ্বিতীয় ইংরেজ শাসন চলছে। ইংরেজ সরকার তার কর্মচারীদের সাথে এই ব্যবহার করত কিনা জানি না তবে ঘুষ বা উপঢৌকনের ব্যবস্থা তখন ছিল এখনও আছে। কেবল আমি খাব আমার পরিবার খাবে সাধারণ মানুষ ও বাঁচল কি মরল দেখার দরকার নেই, বাংলার মানুষের ক্রয় ক্ষমতা আজ তলানিতে এসে ঠেকেছে, কারণ বাজারে অর্থের যোগান নেই, জিনিস পত্রের দাম অনুযায়ী বাজারে টাকার যোগান দেওয়ার যে রাস্তা সেটা হচ্ছে কর্মীদের ডি এ অর্থাৎ বাজার অর্থনীতি কে সঠিক জায়গায় রাখা এটা ঐ বড় বড় আমলারা জানে সে কারণেই বাঙালি জাতি কে হাতে না মেরে ভাতে মারার পরিকল্পনা করেছে। অন্য রাজ্যের তুলনায় এখানে মজুরি কম, জিনিস পত্রের দাম বেশি, ক্রয় ক্ষমতা নেই, সে কারণে শ্রমিক শ্রেণী অন্য রাজ্যে চলে যাচ্ছে। দেখলেন না, উত্তর কাশী তে সুড়ঙ্গে কয়েক জন বাঙালি শ্রমিক আটকিয়ে পরে ছিল, কিছু দিন আগে আসাম না নাগাল্যাণ্ডে কয়েক জন মারা গেল এ রাজ্যে শ্রমিকের যেমন কাজ নেই, শিক্ষিত বেকারের চাকরি নেই, কোথায় যাবে তারা। যদি বা চাকরি দু একটা ঘুষ দিয়ে পাওয়া যাচ্ছে, তাতে অর্ধেকের বেশি অন্য রাজ্যের ছেলে মেয়েরা যেমন বিদ্যুৎ দপ্তর রাজ্য পুলিশের চাকরিতেও এবার ঢুকছে। সরকার চোখ বুজে আছে তার কাছে ঘুষের টাকা, কাটমানির ৭৫% ২৫% ভাগে পৌঁছলেই হবে। দারুণ আছো বাঙালি গর্ব করে বলতে পারবে আমরা বড়ো চোর। চুরি করা আমাদের শিল্প, আমাদের শিক্ষা চাকরি দেয় না, বোমা বানাতে শেখায়, চুরি করতে শেখায়, কলেজে পঠন পাঠন বন্ধ রেখে মদ মাংস খেতে শেখায় দারুণ তাই না। 

No comments:

Post a Comment

পশ্চিমবঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করার সরকারি দপ্তরে শেষ চেষ্টা।

উপরের ছবি টা একটা স্কীনশট নেওয়া ছবি। ছবি টি সম্পর্কে কিছু কথা বলি তার পর অন্য কিছু কথা লেখা যাবে। ছবির দুটি অংশ উপরের অংশ একজন শিক্ষক যিনি ...