Anulekhon.blogspot.com

Monday, 20 November 2023

ডিজিটাল ইণ্ডিয়ার কাদের সুবিধা হল!

 ভারতের সব কিছু আজ অন লাইন এই অন লাইন করে কিছু কাজের অবশ্যই সুবিধা হয়েছে। কিন্তু সব মানুষ সব কাজ সঠিক ভাবে না না জানার জন্য অসুবিধা ভোগ করছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে বিপদে পড়ে যাচ্ছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এই বিপদ থেকে কিভাবে উদ্ধার পাবে সেটা অনেকেই জানেন না। সব কিছু অনলাইন করতে বায়ো মেট্রিক প্রমাণ হিসেবে আধার কার্ডের প্রয়োজন হচ্ছে। অনেকে সময় এই আধার কার্ড দিয়েও কাজ হচ্ছে না বলা হচ্ছে আধার আপ ডেট করে আনতে এবার আধার আপডেট কেন্দ্র খুঁজে বার করতে হবে, সেও এক রকম বিপদ কারণ সাধনার মানুষ জানে না কোন কেন্দ্র টি সরকার অনুমোদিত আর কোন কেন্দ্র টি নয়। আবার সব জায়গায় এসব কেন্দ্র নেই, খুঁজে বের করে সাধারণ মানুষ পৌঁছলেন হয় তো সেটা সরকার অনুমোদিত কিন্তু প্রতিটি বিষয় করার জন্য টাকা যেমন পুরো বায়ো মেট্রিক করতে ২৫০ টাকা, ওর সাথে ঠিকানা ঠিক করতে আরও একশ টাকা আবার জণ্ম তারিখে ভুল থাকলে ঠিক করতে আরও ৫০ /১০০ টাকা, টাকা দিলেন কিন্তু কোন রসিদ দেওয়া হবে না। এই টাকা আদৌ সরকারের কাছে যাচ্ছে কিনা ঠিক নেই, তার উপর আছে লাইন ভোর থেকে লাইন দিয়ে যখন পৌঁছন গেল তখন বলে দেওয়া হচ্ছে কুড়ি জনের বেশি হবে না। আবার ডাক্তারের মত দিন আছে প্রতি দিন মানে সোম থেকে শুক্রবার আপনি লাইন দিলেই হবে তা হবে না। নির্দিষ্ট দিন আছে যা ঐ কেন্দ্র ঠিক করে দেবে সেদিন যেতে হবে এবং নির্দিষ্ট সময়ে আগে পরে হলে বাড়ি চলে আসতে হবে। এর সাথে আছে মেশিনের সমস্যা কারো আঙুলের ছাপ নিচ্ছে না তো কারো আই অর্থাৎ চোখের ছবি আসছে না। এই আধার নিয়ে সাধারণ মানুষ নাজেহাল অবস্থা এর সাথে ঐ রকম দিনের পর দিন লাইন দিয়ে ফিরে আসা, কারণ সরকারি ব্যবস্থা এই রকমই হয় সরকারি ওয়েব সাইট গুলো কেবল মানুষ কে নাজেহাল করার জন্য খোলা হয়েছে। সার্চ বা কোন কাজ করতে যাও চব্বিশ ঘণ্টা চেষ্টার পর একবার যদি খোলে তাও কাজ হবে কিনা কেউ বলতে পারে না। কারণ সরকার কেবল ভোটে জিতে আসে এসে সাধারণ মানুষের কথা ভুলে যায় কেবল লুটে খাওয়ার দিকে মন। এত গেল একটা দিক আরেকটা কথা না লিখলেই নয়। ব্যাঙ্ক নিয়ে এখন ব্যাঙ্কের সব কাজ অন লাইন বা ডিজিটাল হয়েছে, একটা চেক বই নেওয়া থেকে শুরু করে টাকা তোলা জমা সব ডিজিটাল হয়ে গেছে। আগে লেজার বুক বা খাতায় লিখে কাজ হতো, সকল সাধারণ ব্যাঙ্ ব্যবহার কারি মানুষের কাছে আমার প্রশ্ন কোন দিন শুনেছেন ছিলেন আপনার এ্যাকাউন্ট থেকে টাকা গায়েব হয়ে গেছে। কিন্তু যে দিন থেকে ডিজিটাল হয়ে গেছে, আধার কার্ড নেওয়া হয়েছে তার পর থেকেই অনেক মানুষ তাদের এ্যাকাউন্টের টাকা অন্য কেউ হাতিয়ে নিয়েছে। অর্থাৎ চুরি বেড়েছে, আগে লেজার বা খাতায় লিখে কাজ হত টাকা চুরি হত না। এটিম খুব ভালো সহজে টাকা মানুষ তুলতে পারছে কিন্তু সেখানেও চোরের দল তাদের চুরির কায়দা কানুন বার করে ফেলেছে। জমির দলিল বা পরচা বেশি জাল হচ্ছে, রাম বাবু জানে জমিটি তার পূর্ব পুরুষের নামে পরচা আছে দলিল আছে, কিন্তু ভেতরে অর্থাৎ অফিসে কম্পিউটার লোড করতে গিয়ে সে জমির মালিক হয়ে গেছে শ্যাম বাবুর বাড়ির লোক বা ঘুষ দিয়ে শ্যাম বাবুর বাড়ির লোক লোক সেটা নিজের নামে করে নিয়েছে। কারণ ডিজিটাল ইণ্ডিয়ার সুফল ভোগ করতে শ্যাম বাবু জানে। ব্যাঙ্ক বিষয়ে আরেকটা একটা চেক বই চেয়ে আবেদন করুন সেটা আসতে আসতে মাস কাবার হয়ে যাবে তাতেও হাতে পাবেন কি না সন্দেহ আছে। আর পোস্ট অফিসে যান তাহলে তো আর কথাই নেই বসে থাকতে থাকতে আপনার পর জণ্মে চলে যাবেন তাতেও কাজ হবে কিনা সন্দেহ আছে। এর উপর আছে লিংক চলে যাওয়া, এই লিংক চলে যাওয়া নিত্য নৈমিত্তিক ব্যপার, সত্যিই ডিজিটাল ইণ্ডিয়ার দারুণ সুফল ভোগ করছে মানুষ। মানুষের হয়রানি ছাড়া আর কিছু হয় নি। অর্থাৎ ডিজিটাল হয়ে চোরে দের লাভ হয়েছে বেশি আগে চুরি করতে ব্যাঙ্ক পোস্ট অফিসে বা লোকের বাড়ি যেতে হতো এখন ঘরে বসে চুরি করে কত তার কায়দা, কখন ফোন নম্বর দিয়ে কখন আধার ঠিক করার নামে কখন গ্যাসের ভর্তুকি দেওয়ার নামে, কখন বিদ্যুৎ বিল ঠিক করে দেওয়ার নামে কখনও সিম লক হয়ে যাবে ভয় দেখিয়ে বিভিন্ন ভাবে মানুষ আজ প্রতারিত এই এক দিন আগে একজন ধরা পড়েছে। আট হাজার কোটি টাকা হাতিয়েছে সে, তার পর ধরা হয়েছে। ভাবুন এর সাথে প্রশাসনের এক অংশ জড়িত না থাকলে এটা সম্ভব হতো, কারণ এখন নাকি সাইবার ক্রাইম থানা আছে, সেটা কি জিনিস খায় না গায়ে মাখে কেউ জানে না। ফোন চুরি বা হারিয়ে গেলে থানায় যান ফোন তো তারা খুঁজে দেবে না। উল্টে জুটবে লাঞ্ছনা ।এই রকম আমি ভুক্ত ভুগী গত ২০২০ সালের এই নভেম্বরের ২৫ /১১/২০ একটি ফোন হারিয়ে গিয়ে ছিল, হরিপাল থানায় গিয়ে ছিলাম ডাইরি করতে,পাকা চার ঘন্টা বসে ছিলাম কারণ অফিসার বসে বসে গল্প করছিলেন। যদি অনেক কষ্টে তিন রকম ফর্ম পূরণ করে ডাইরি করা হল আজ পর্যন্ত কোন দিন থানা থেকে একটা কথাও শোনা যায় নি। তবে ঐ সময়েই অফিসার বলে দিয়েছেন ফোন আর পাবেন না। আসলে থানা পুলিশ এখন আর সাধারণ মানুষের জন্য নয়, এখন নেতা মন্ত্রী দের নিরাপত্তা দিতে প্রয়োজন আরেকটা কাজ নেতা মন্ত্রী দের জন্য করে যাক সে কথা নাই বা লিখলাম কারণ বর্তমান পুলিশ সাধারণ মানুষ কে মিথ্যা কেশে তুলে নিয়ে যায় বেশি এবং সেটা ঐ নেতার কথায়, কারণ কোটি কোটি টাকা চুরি  জালিয়াতি করে বহাল তবিয়তে পুলিশি নিরাপত্তা নিয়ে ঘুরে বেড়ান নেতা আর সাধারণ মানুষের জীবন বিপন্ন করে তোলে এই পুলিশ। সকলে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন পারলে পুলিশ থেকে দূরে থাকবেন। 

No comments:

Post a Comment

বাঙালি ও বর্তমান ভারত।

 (ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...