Anulekhon.blogspot.com

Wednesday, 29 November 2023

এখন চোর কে চোর বলা নিষেধ।

ইংরেজি পুলিশ বানান একটা অর্থ আছে, যতটা জানি যে পুলিশ এলাকায় শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখবে এবং আইনের শাসন যাতে থাকে সে দিকে নজর রাখবেন। এখন কিন্তু অনেকেই আর ছোট ছোট খাটো ঝামেলা হলেও থানায় যান না, ঐ বাম আমলের শেষের দিকে পাড়ার দাদার কাছে যেতেন, এখনও পাড়ার ছোট নেতা বড়ো নেতার কাছে যান। অনেকটা খাপ পঞ্চায়েতের মত, কারণ নেতার কথা ছাড়া থানা পুলিশ আর কারো কথা শোনে না। যত বড় নেতা তার তত দাম, আরে বাপু এ ব্যবস্থা ভালো যে যত বেশি দিতে পারে তার শত অন্যায় থাকলেও মাপ করে দেন। সে কারণেই এখন থানায় যাওয়া কমে গেছে, আর যদি কোন কারণে সাধারণ মানুষ নেতা কে জিজ্ঞেস না করে থানায় গেছে তাহলে তার কপালে দুঃখ আছে। প্রথমেই নেতার কুশল বিনিময় করতে হবে, তবে কাজ হবে, না হলে জুটবে লাঞ্ছনা হয়রানি না, না হলে নেতা ফোনে বলে দেবে সে রকম একটা ফলস কেশ, এসব কারণে আজ মানুষ সব সহ্য করে নেন। এমনকি চোর কে চোর পর্যন্ত বলতে ভয় পায়, কারণ পুলিশ এদের পাহারা দেয়। এখন তো দেখি ছোট বড় সব নেতাই প্রস্রাব, পায়খানা, স্নান করতে গেলেও পাহারাদার লাগে। এখন থানা পুলিশ সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য নয়, মানুষ সেটা বুঝেছেন, যে না বুঝে একটু ঝামেলাতেই চলে যাচ্ছে তার কপালে দুঃখ আছে, বিনা কারণে জেল অথবা আরম ধোলাই তার পর হাসপাতালে মৃত্যু। যারা ইংরেজ শাসন দেখেছেন এরকম মানুষ যদি বেঁচে থাকে তবে তাদের কাছে একটু জিজ্ঞেস করে দেখবেন কেমন ছিল তখন কার পুলিশ দেখবেন অনেকটাই মিল আছে, ঘুষ খাওয়া থেকে শুরু করে সব কিছু একই আছে, বাম আমলেও ছিল এখনও আছে বরং বেড়েছে কমেনি। কারণ শাসক এদের সাথে জড়িত, শাসক ঘুষ তথা কাটমানির ভাগ পায় বা নিজের টাকার একটা অংশ এদের সাথে লেনদেন করে। এসব আবার লেখা যাবে না, তাহলে কখন পুলিশ বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাবে তার ঠিক নেই, অর্থাৎ এখন চোর কে চোর বলা নিষেধ আছে। এখন পুলিশ চোরের পাহারাদার, আগে একটু কম ছিল এখন বেশি এই টুকু তফাৎ আছে। 

বর্তমানে বাঙালির গর্বের সাথে বলতে পারে আমরা মহান চোরের জাতি ।

এমন কোন সরকারী প্রকল্প নেই যেখানে কাটমানির ব্যবস্থা নেই। সে নিজের তৈরি প্রকল্প থেকে শুরু করে, আর পুরনো প্রকল্প হোক। অর্থাৎ সমস্ত শ্রী সাথী, এবং স্কুলের টয়লেট তৈরি এমনকি মিড ডে মিল পোশাক স্কুলের খরচ বাবদ দেওয়া সর্ব শিক্ষার অনুদান সর্বত্র কাটমানি । কীভাবে কাটমানি যায় সেটা সকল অফিসার জানেন। কারণ প্রতিটি আমলা আর বড় বড় অফিসার এর সাথে জড়িত, পুলিশ সে তো আর বলে কথা নেই। কারণ ব্রিটিশ সরকারের সময়ের থেকেও খারাপ তারা, সাধারণ মানুষ কে মানুষ বলে মনে করেন না । সামান্য অজুহাতে বা কোন ছোট খাটো ভাই, ভাইপো বা নেতার আবেদনে তুলে এনে আরম ধোলাই যতখন না মারা যাচ্ছে ছাড়া নেই। এই হচ্ছে পুলিশ, এরা চোরে দের পাহারা দিতে আছে। কারণ পাড়ার ছোট নেতা তথা ভাই ভাইপো ভাইঝি থেকে শুরু করে উপর পর্যন্ত প্রত্যেকে ছোট বড় নেতার নিরাপত্তা দিতে ব্যস্ত। ঐ সব নেতা প্রস্রাব করতে গেলে নিরাপত্তা লাগে। পুলিশ না পাওয়া গেলে, বেসরকারি নিরাপত্তা ব্যবস্থা আছে, বিনা লাইসেন্সের - - - সাথে আছে আবার কি! কারণ একটাই যে যত চোর সে তত বড় নেতা কাটমানি বেশি বখরা বেশি। আর এই কারণেই সরকারি কর্মীদের ডি এ নেই, চাকরি নেই, চাকরির পরীক্ষার নাম করে ফর্ম বিক্রি আছে কারণ কোটি কোটি টাকা আয় আছে, নিয়োগ আবার কি?  এম এল এ দের বেতন বছর বছর বারে কেবল সরকারি কর্মী, শিক্ষক, পেনশন প্রাপক দের ডি এ বাড়ে না। উনি ঐ পাঁচশ, হাজার টাকা দিয়ে বাজার মাত করে রেখেছেন। এই জন্যেই ভারতের অন্য রাজ্যের থেকে এখানে জিনিসের দাম আকাশ ছোঁয়া, বিদ্যুৎ বিল দিতে দিতে নাভি শ্বাস উঠছে, পেট্রোল, ডিজেল নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম আকাশ ছোঁয়া তাতে কি তবুও ডি এ নেই কারণ একটাই, যত প্রকল্প তত কাটমানি, তত ভাই ভাইপো ভাইঝি দের ইনকাম তত ঐসব আমলা পুলিশের ইনকাম এই কারণেই পুলিশ কি করে ডি এ আন্দোলন কারি থেকে শুরু করে ন্যায্য চাকরি প্রার্থী দের উপর অত্যাচার করে, কারণ তারা জানে কাটমানি আসছে, এবং তার বাড়িতে যদি বেকার ছেলে মেয়ে থাকে তাহলেও চাকরির দরকার নেই, কারন কাটমানি। কীসে নেই, সর্বত্র পাওয়া যাবে। লক্ষী ভাণ্ডার এই কারণেই পুরুষ ও পায়। যার বাবা কয়েক লক্ষ টাকা খরচ করে মেয়ের বিয়ে দিচ্ছে সেও রূপশ্রী পায় আবার বিয়ে হয়ে গেছে সেও পায় কেবল ঐ ভাই ভাইপো আর নকল অফিসার কে সন্তুষ্ট করলেই চলে। আর এই সব কাটমানির ভাগ কালিঘাট পর্যন্ত পৌঁছে দিতে পারলেই হবে। এই কারণেই সদর্পে বলেন ডি এ আমি দেব না, আর ঐ সব কাটমানি খোর আমলা অফিসারের দল চুপ থাকে। একটু অন্য কথা বলি যাঁর ছবি কোটি কোটি টাকায় বিক্রি হতো তিনি ছবি আঁকেন না কেন? যার গান গাওয়ার জন্যে বড়ো বড়ো শিল্পীরা বসে থাকত তিনি গান লেখেন না কেন? বাঙালি জাতির শিক্ষা দীক্ষা গেছে, চোর চিটিংবাজ মিথ্যাবাদী বদনাম তো হয়েছে কারণ অন্য রাজ্যে গেলে যদি জানে বাঙালি ব্যস মুখ্যমন্ত্রীর নাম করে গালাগালি দেয় আর চোর বলে, আমার মনে হয় স্বাধীনতার পর বাঙালি জাতির এত অধঃপতন আগে হয় নি। আর এটাই চায় দিল্লির দাদা তথা বিজেপি, তিনি আবার এক কাঠি উপরে চুরি করতে সাহায্য করেন এবং দলীয় ফাণ্ডের নামে ভাগ নেন, এই ছোট বড় সব গুজরাতি এবং দু একজন কানা বাবা কে হাজার হাজার কোটি টাকা ঋন দেন পরে মুকুব করে দেন। কেন ঋন দেন দেশের সম্পদ অর্থাৎ রেল, বিমান বন্দর, জাহাজ বন্দর, মিডিয়া তৈরি করতে, ভাববেন না শোধ করতে হবে ও ঋন দু এক বছরের মধ্যে মুকুব হয়ে যাবে আর সাধারণ মানুষের যদি কয়েক হাজার টাকা ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়েছে তার ভিটে মাটি নিলাম করে ছাড়বে। আর ঐ মুকুব হওয়া ঋণ ব্যাঙ্ক গুলো তুলবে সাধারণ আমানত কারি দের থেকে, বিভিন্ন অজুহাতে টাকা কাটা হবে, আর জি এস টি বাড়িয়ে দিয়ে জিনিস পত্রের দাম বাড়িয়ে তোলা হবে। কেবল ঋণ মুকুব নয়, আয় করে ছাড় আছে দিতে হয় না আয় কর বা ইনকাম ট্যাক্স। কিন্তু সাধারণ কর্মী যিনি আড়াই লক্ষ টাকার বেশি আয় করেন তার এক টাকাও ছাড় নেই তিনি যদি সরকারি কর্মী হন তাহলে তার বেতন থেকে কেটে নেওয়া হবে কর। সাধারণ মানুষ মরুক দুঃখ নেই ঐ শিল্প পতি তথা চিটিংবাজ গুলো যেন দুধে ভাতে থাকে। আমার রাজ্যও তাই, বাড়ির গৃহীনি কে পাঁচ শো টাকা ভাত দিচ্ছে আর বাড়ির গৃহ কর্তা কে বলছে কুড়ি টাকা পাউচের মদ খেতে, কারণ মদ খেয়ে মারা গেলে দু লক্ষ টাকা আর গৃহীনি আর এক হাজার টাকা বিধবা ভাতা পাবে। কেবল মদ খেয়ে যদি না মরে সে কারণেই বাজি কারখানার নাম কোরে বোমা শিল্প গড়ে তোলা হয়েছে, মাঝে মাঝে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে মেরে দেওয়া হবে। সামনের লোকসভা নির্বাচন এই কারণে কেন্দ্রীয় সরকার যদিও চাকরি দিচ্ছে কিন্তু নিয়োগ পত্রে যে সব শর্ত আছে সে সব পড়ে মনে হবে, বেকার ছেলে গুলো এদেশের মানুষ নয় তারা সব বিদেশী, অমানবিক সব শর্ত এক নম্বর হল কোন কারণ ছাড়াই ছাঁটাই অর্থাৎ চাকরি থেকে বাদ। এটা নাকি জনগণের সরকার, রাজ্যের সরকারের নিয়োগের কোন গল্প নেই, দিল্লি বালা যদিও দিচ্ছে সেখানে প্রথম কথাটাই লেখা কোন কারণ ছাড়াই যে কোন সময়ে চাকরি থেকে ছাঁটাই করা হবে। আমরা স্বাধীন দেশে বাস করছি বলে মনে হচ্ছে, মনে হচ্ছে না দ্বিতীয় ইংরেজ শাসন চলছে। ইংরেজ সরকার তার কর্মচারীদের সাথে এই ব্যবহার করত কিনা জানি না তবে ঘুষ বা উপঢৌকনের ব্যবস্থা তখন ছিল এখনও আছে। কেবল আমি খাব আমার পরিবার খাবে সাধারণ মানুষ ও বাঁচল কি মরল দেখার দরকার নেই, বাংলার মানুষের ক্রয় ক্ষমতা আজ তলানিতে এসে ঠেকেছে, কারণ বাজারে অর্থের যোগান নেই, জিনিস পত্রের দাম অনুযায়ী বাজারে টাকার যোগান দেওয়ার যে রাস্তা সেটা হচ্ছে কর্মীদের ডি এ অর্থাৎ বাজার অর্থনীতি কে সঠিক জায়গায় রাখা এটা ঐ বড় বড় আমলারা জানে সে কারণেই বাঙালি জাতি কে হাতে না মেরে ভাতে মারার পরিকল্পনা করেছে। অন্য রাজ্যের তুলনায় এখানে মজুরি কম, জিনিস পত্রের দাম বেশি, ক্রয় ক্ষমতা নেই, সে কারণে শ্রমিক শ্রেণী অন্য রাজ্যে চলে যাচ্ছে। দেখলেন না, উত্তর কাশী তে সুড়ঙ্গে কয়েক জন বাঙালি শ্রমিক আটকিয়ে পরে ছিল, কিছু দিন আগে আসাম না নাগাল্যাণ্ডে কয়েক জন মারা গেল এ রাজ্যে শ্রমিকের যেমন কাজ নেই, শিক্ষিত বেকারের চাকরি নেই, কোথায় যাবে তারা। যদি বা চাকরি দু একটা ঘুষ দিয়ে পাওয়া যাচ্ছে, তাতে অর্ধেকের বেশি অন্য রাজ্যের ছেলে মেয়েরা যেমন বিদ্যুৎ দপ্তর রাজ্য পুলিশের চাকরিতেও এবার ঢুকছে। সরকার চোখ বুজে আছে তার কাছে ঘুষের টাকা, কাটমানির ৭৫% ২৫% ভাগে পৌঁছলেই হবে। দারুণ আছো বাঙালি গর্ব করে বলতে পারবে আমরা বড়ো চোর। চুরি করা আমাদের শিল্প, আমাদের শিক্ষা চাকরি দেয় না, বোমা বানাতে শেখায়, চুরি করতে শেখায়, কলেজে পঠন পাঠন বন্ধ রেখে মদ মাংস খেতে শেখায় দারুণ তাই না। 

Monday, 20 November 2023

ডিজিটাল ইণ্ডিয়ার কাদের সুবিধা হল!

 ভারতের সব কিছু আজ অন লাইন এই অন লাইন করে কিছু কাজের অবশ্যই সুবিধা হয়েছে। কিন্তু সব মানুষ সব কাজ সঠিক ভাবে না না জানার জন্য অসুবিধা ভোগ করছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে বিপদে পড়ে যাচ্ছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এই বিপদ থেকে কিভাবে উদ্ধার পাবে সেটা অনেকেই জানেন না। সব কিছু অনলাইন করতে বায়ো মেট্রিক প্রমাণ হিসেবে আধার কার্ডের প্রয়োজন হচ্ছে। অনেকে সময় এই আধার কার্ড দিয়েও কাজ হচ্ছে না বলা হচ্ছে আধার আপ ডেট করে আনতে এবার আধার আপডেট কেন্দ্র খুঁজে বার করতে হবে, সেও এক রকম বিপদ কারণ সাধনার মানুষ জানে না কোন কেন্দ্র টি সরকার অনুমোদিত আর কোন কেন্দ্র টি নয়। আবার সব জায়গায় এসব কেন্দ্র নেই, খুঁজে বের করে সাধারণ মানুষ পৌঁছলেন হয় তো সেটা সরকার অনুমোদিত কিন্তু প্রতিটি বিষয় করার জন্য টাকা যেমন পুরো বায়ো মেট্রিক করতে ২৫০ টাকা, ওর সাথে ঠিকানা ঠিক করতে আরও একশ টাকা আবার জণ্ম তারিখে ভুল থাকলে ঠিক করতে আরও ৫০ /১০০ টাকা, টাকা দিলেন কিন্তু কোন রসিদ দেওয়া হবে না। এই টাকা আদৌ সরকারের কাছে যাচ্ছে কিনা ঠিক নেই, তার উপর আছে লাইন ভোর থেকে লাইন দিয়ে যখন পৌঁছন গেল তখন বলে দেওয়া হচ্ছে কুড়ি জনের বেশি হবে না। আবার ডাক্তারের মত দিন আছে প্রতি দিন মানে সোম থেকে শুক্রবার আপনি লাইন দিলেই হবে তা হবে না। নির্দিষ্ট দিন আছে যা ঐ কেন্দ্র ঠিক করে দেবে সেদিন যেতে হবে এবং নির্দিষ্ট সময়ে আগে পরে হলে বাড়ি চলে আসতে হবে। এর সাথে আছে মেশিনের সমস্যা কারো আঙুলের ছাপ নিচ্ছে না তো কারো আই অর্থাৎ চোখের ছবি আসছে না। এই আধার নিয়ে সাধারণ মানুষ নাজেহাল অবস্থা এর সাথে ঐ রকম দিনের পর দিন লাইন দিয়ে ফিরে আসা, কারণ সরকারি ব্যবস্থা এই রকমই হয় সরকারি ওয়েব সাইট গুলো কেবল মানুষ কে নাজেহাল করার জন্য খোলা হয়েছে। সার্চ বা কোন কাজ করতে যাও চব্বিশ ঘণ্টা চেষ্টার পর একবার যদি খোলে তাও কাজ হবে কিনা কেউ বলতে পারে না। কারণ সরকার কেবল ভোটে জিতে আসে এসে সাধারণ মানুষের কথা ভুলে যায় কেবল লুটে খাওয়ার দিকে মন। এত গেল একটা দিক আরেকটা কথা না লিখলেই নয়। ব্যাঙ্ক নিয়ে এখন ব্যাঙ্কের সব কাজ অন লাইন বা ডিজিটাল হয়েছে, একটা চেক বই নেওয়া থেকে শুরু করে টাকা তোলা জমা সব ডিজিটাল হয়ে গেছে। আগে লেজার বুক বা খাতায় লিখে কাজ হতো, সকল সাধারণ ব্যাঙ্ ব্যবহার কারি মানুষের কাছে আমার প্রশ্ন কোন দিন শুনেছেন ছিলেন আপনার এ্যাকাউন্ট থেকে টাকা গায়েব হয়ে গেছে। কিন্তু যে দিন থেকে ডিজিটাল হয়ে গেছে, আধার কার্ড নেওয়া হয়েছে তার পর থেকেই অনেক মানুষ তাদের এ্যাকাউন্টের টাকা অন্য কেউ হাতিয়ে নিয়েছে। অর্থাৎ চুরি বেড়েছে, আগে লেজার বা খাতায় লিখে কাজ হত টাকা চুরি হত না। এটিম খুব ভালো সহজে টাকা মানুষ তুলতে পারছে কিন্তু সেখানেও চোরের দল তাদের চুরির কায়দা কানুন বার করে ফেলেছে। জমির দলিল বা পরচা বেশি জাল হচ্ছে, রাম বাবু জানে জমিটি তার পূর্ব পুরুষের নামে পরচা আছে দলিল আছে, কিন্তু ভেতরে অর্থাৎ অফিসে কম্পিউটার লোড করতে গিয়ে সে জমির মালিক হয়ে গেছে শ্যাম বাবুর বাড়ির লোক বা ঘুষ দিয়ে শ্যাম বাবুর বাড়ির লোক লোক সেটা নিজের নামে করে নিয়েছে। কারণ ডিজিটাল ইণ্ডিয়ার সুফল ভোগ করতে শ্যাম বাবু জানে। ব্যাঙ্ক বিষয়ে আরেকটা একটা চেক বই চেয়ে আবেদন করুন সেটা আসতে আসতে মাস কাবার হয়ে যাবে তাতেও হাতে পাবেন কি না সন্দেহ আছে। আর পোস্ট অফিসে যান তাহলে তো আর কথাই নেই বসে থাকতে থাকতে আপনার পর জণ্মে চলে যাবেন তাতেও কাজ হবে কিনা সন্দেহ আছে। এর উপর আছে লিংক চলে যাওয়া, এই লিংক চলে যাওয়া নিত্য নৈমিত্তিক ব্যপার, সত্যিই ডিজিটাল ইণ্ডিয়ার দারুণ সুফল ভোগ করছে মানুষ। মানুষের হয়রানি ছাড়া আর কিছু হয় নি। অর্থাৎ ডিজিটাল হয়ে চোরে দের লাভ হয়েছে বেশি আগে চুরি করতে ব্যাঙ্ক পোস্ট অফিসে বা লোকের বাড়ি যেতে হতো এখন ঘরে বসে চুরি করে কত তার কায়দা, কখন ফোন নম্বর দিয়ে কখন আধার ঠিক করার নামে কখন গ্যাসের ভর্তুকি দেওয়ার নামে, কখন বিদ্যুৎ বিল ঠিক করে দেওয়ার নামে কখনও সিম লক হয়ে যাবে ভয় দেখিয়ে বিভিন্ন ভাবে মানুষ আজ প্রতারিত এই এক দিন আগে একজন ধরা পড়েছে। আট হাজার কোটি টাকা হাতিয়েছে সে, তার পর ধরা হয়েছে। ভাবুন এর সাথে প্রশাসনের এক অংশ জড়িত না থাকলে এটা সম্ভব হতো, কারণ এখন নাকি সাইবার ক্রাইম থানা আছে, সেটা কি জিনিস খায় না গায়ে মাখে কেউ জানে না। ফোন চুরি বা হারিয়ে গেলে থানায় যান ফোন তো তারা খুঁজে দেবে না। উল্টে জুটবে লাঞ্ছনা ।এই রকম আমি ভুক্ত ভুগী গত ২০২০ সালের এই নভেম্বরের ২৫ /১১/২০ একটি ফোন হারিয়ে গিয়ে ছিল, হরিপাল থানায় গিয়ে ছিলাম ডাইরি করতে,পাকা চার ঘন্টা বসে ছিলাম কারণ অফিসার বসে বসে গল্প করছিলেন। যদি অনেক কষ্টে তিন রকম ফর্ম পূরণ করে ডাইরি করা হল আজ পর্যন্ত কোন দিন থানা থেকে একটা কথাও শোনা যায় নি। তবে ঐ সময়েই অফিসার বলে দিয়েছেন ফোন আর পাবেন না। আসলে থানা পুলিশ এখন আর সাধারণ মানুষের জন্য নয়, এখন নেতা মন্ত্রী দের নিরাপত্তা দিতে প্রয়োজন আরেকটা কাজ নেতা মন্ত্রী দের জন্য করে যাক সে কথা নাই বা লিখলাম কারণ বর্তমান পুলিশ সাধারণ মানুষ কে মিথ্যা কেশে তুলে নিয়ে যায় বেশি এবং সেটা ঐ নেতার কথায়, কারণ কোটি কোটি টাকা চুরি  জালিয়াতি করে বহাল তবিয়তে পুলিশি নিরাপত্তা নিয়ে ঘুরে বেড়ান নেতা আর সাধারণ মানুষের জীবন বিপন্ন করে তোলে এই পুলিশ। সকলে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন পারলে পুলিশ থেকে দূরে থাকবেন। 

Wednesday, 15 November 2023

কালী পুজোর মন্ত্র ও নিয়ম।


 ওঁ ক্রীং কালীকায়ৈ নমঃ । ক্রীং কালীর মূল মন্ত্র। প্রথমেই বলে রাখি আমি পণ্ডিত নই। আমার লেখায় যদি কোনো ত্রুটি থাকে তাহলে পণ্ডিত গণ নিজ গুনে ক্ষমা করে দেবেন। এখানে লেখা মন্ত্র ও নিয়ম গুলো সব ক্ষেত্রে না হলেও দীপান্বিতা কালী পুজোয় অবশ্যই লাগবে। প্রথমেই বলি কালী পুজো করার জন্য ব্রাহ্মণের গুরু মন্ত্র না হলে তিনি নিয়ম মেনে গায়ত্রী মন্ত্র জপ করবেন বা মায়ের মূল মন্ত্র জপ করবেন। মূল মন্ত্র ক্রীং, হ্রীং শ্রীং এখানে একটা কথা বলি, এখানে লেখা বেশিরভাগ মন্ত্র সামবেদীয় মন্ত্র। 
বকলমা দেওয়া যদি কোনো যযমানের বাড়িতে পূজো করতে যান তাহলে প্রথমেই বকলমা নিতে হবে অর্থাৎ তার হয়ে পূজার অনুমতি নিতে হবে। মণ্ডপে পূজা করলে বকলমা নেওয়ার প্রয়োজন হয় না। 
বকলমা বা পুরোহিত বরণ মন্ত্র :- যযমান পূর্ব মুখে বসবে ব্রাহ্মণ উত্তর মুখে বসবে। যযমান ব্রাহ্মণ হলে এভাবে বলতে হবে। গঙ্গা জল দিয়ে যযমান মন্ত্রে গঙ্গা স্নান করতে হবে 
মন্ত্র :- নমঃ শ্রী বিষ্ণু পাদ্যার্ঘ্য সম্ভুতে গঙ্গে ত্রিপথ গামিনী। ধর্মাদ্রবীতে সর্ব পাপ হর মে জাহ্নবি। শ্রদ্ধায় ভক্তি সম্পন্নে শ্রীমার্তর দেবি জাহ্নবি । অমৃত অম্বু পূর্ণা দেবি ভাগীরথী পুনিহিমাম । নমঃ গঙ্গা নমঃ গঙ্গা নমঃ গঙ্গা ( এই মন্ত্রে বাঁ হাতে নেওয়া গঙ্গার জল ডান হাতের অঙ্গুষ্ঠ ও মধ্যমা দিয়ে যযমান তার মাথায় তিন বার ছিটা দেবেন)। এবার গঙ্গার প্রণাম মন্ত্র 
মন্ত্র :- নম সদ্য পাতক সংহন্ত্রী সদ্য সর্ব দুঃখ নাশিনী। সুক্ষোদা মক্ষোদা গঙ্গা গঙ্গেব পরমা গতি। (যযমান দীক্ষিত হলে গুরু মন্ত্র জপ করে নিতে বলবেন) ( এবার আচমন ও অন্যান্য মন্ত্র।) 
আচমন মন্ত্র :- নমঃ বিষ্ণু, নমঃ বিষ্ণু নমঃ বিষ্ণু। 
বিষ্ণু স্মরণ :- নমঃ তদ্বো বিষ্ণু পরম পদং সদা পশ্যন্তি সুরয় দীবিব চক্ষুরততম । নমঃ অপবিত্র পবিত্র বা সর্বাবস্থাং   গতহোপিবা। যৎ স্মরেৎ পুণ্ডরীকাক্ষং স্ব বাহ্য অভ্যান্তর শুচি। সর্ব মঙ্গল্য মঙ্গলং বরেণ্যম বরেদং শুভম । নারায়ণং নমস্কৃতং সর্ব কর্ম কারয়েৎ । শঙ্খ চক্র ধরং দ্বিভুজং বিষ্ণুম পিতা বসনম। প্রারম্ভে সর্ব কর্মং বিপ্র পুণ্ডরীকং স্মরেদ্ধরিম। মাধব মাধব বাচি মাধব মাধব হৃদি স্মরন্তি সাধব সর্ব কার্যেসু মাধবম । নমঃ শ্রী মাধবম নমঃ শ্রী মাধবম নমঃ শ্রী মাধবম ।
(এবার কোশার গঙ্গা জলকে শুদ্ধ করার মন্ত্র যযমান বলবেন।) 
জলশুদ্ধি :- নমঃ গঙ্গে চ যমুনে চৈব্য গোদাবরী সরস্বতী ।নর্মদে সিন্ধু কাবেরী জল-হোস্মিন সন্নিধিং কুরু । 
আসন শুদ্ধি :-( আসনের নীচে গঙ্গা জল দিয়ে ত্রিকোন মণ্ডল এঁকে নিয়ে) মন্ত্র :- এতে গন্ধে পুষ্পে হ্রীং আধার শক্তয়ে কমল আসনায় নম । অস্য আসন উপবেশন মন্ত্রস্য মেরুপৃষ্ঠ ঋষি সুতলুং ছন্দ কুর্ম্ম দেবতা আসন উপবেশনে বিনিয়োগ। নম পৃথ্বী তয়া ধৃতা লোকা দেবী ত্বং বিষ্ণু না ধৃতা। তঞ্চ ধারয় মাং নিত্যং পবিত্র কুরুচাসনম । 
গুরু পঙতি মন্ত্র :- হাত জোর করে (দক্ষিণ দিকে) নম গাং গনেশায় নমঃ । (বাম দিকে) নমঃ শ্রী গুরুবে নমঃ । নমঃ পরম গুরুভ্য নমঃ। নমঃ পরমেষ্ঠী গুরুভ্য নমঃ । নমঃ পরাপর গুরুভ্য নমঃ । (মস্তকের উপর) নমঃ ব্রহ্মনে নমঃ । (পিছনে) নমঃ ক্ষেত্রপালায় নমঃ । (ভূমিতে) নমঃ অনন্তায় নমঃ ( সম্মুখে) নমঃ শ্রী মণ্মমহোন মহাকাল ভৈরব সহিত শ্রীমৎ দক্ষিণা কালিকায়ৈ নমঃ । (যজমান কয়েক জন দেবতা কে ফুল দিয়ে নেবেন) এতে গন্ধে পুষ্পে নমঃ শ্রী গুরুবে নমঃ । এতে গন্ধে পুষ্পে নমঃ গাং গনেশায় নমঃ ।এতে গন্ধে পুষ্পে নমঃ শ্রী সুর্যায় নমঃ । এতে গন্ধে পুষ্পে নারায়ণায় শ্রী বিষ্ণবে নম । এতে গন্ধে পুষ্পে নম শিবায় নমঃ । এতে গন্ধে পুষ্পে নম শ্রী দুর্গায়ৈ নমঃ । এতে গন্ধে পুষ্পে বস্তু পুরুষায় নম। এতে গন্ধে পুষ্পে সর্ব দেবভ্য নম ।এতে গন্ধে পুষ্পে সর্ব দেবীভ্য নম ।নারায়ণের প্রণাম মন্ত্র বলাতে পারেন। নম ব্রহ্মণ দেবায় গো ব্রাহ্মণায় হিতায়চ জগৎ ধৃতায় কৃষ্ণায় গোবিন্দায় নারায়ণায় নম নমহ । 
 ( এবার পুরোহিত বরণ বা বকলমা দেওয়া) যযমান বলবেন :- সাধু ভবানন্তম। ব্রাহ্মণ বলবেন :- সাবধ্যমাসে। যযমান বলবেন :- অর্চ্চিয়াসম ভব। ব্রাহ্মণ বলবেন :- অর্চ্চয়। যজমান একটি বড়ো রেকাব বা থালা, গন্ধ পুষ্প, উপবীত, আসন অঙ্গুরি নিয়ে ব্রাহ্মণ কে দেবেন এই মন্ত্রে :- এতানি গন্ধ পুষ্প, বস্ত্র অঙ্গুরি যজ্ঞ উপবীত পুজক ব্রাহ্মণায় নম । ব্রাহ্মণ "ওঁ স্বত্তি" বলে গ্রহণ করবেন। যজমান ডান হাতে আতপ চাল দূর্বা নিয়ে ব্রাহ্মণে দক্ষিণ জানু স্পর্শ করে বলবেন :- ( অব্রাহ্মন হলে, বিষ্ণু মোহর্দ্দ বলবেন আর ব্রাহ্মণ হলে বিষ্ণুরোম বলবেন।) নম বিষ্ণু মোহর্দ্দ অমুক মাসে অমুক পক্ষে অমুক তিথৌ অমুক রাশিস্থে, ভাস্করে অমুক গোত্র অমুক দাস্যস পূজন জপ হোম তর্পানাদি অমুক গোত্র অমুক দেবশর্ম পুজক কর্ম মহৎ বৃনে। ব্রাহ্মণ বলবেন :- ওঁ বৃহস্পতিম। যজমান বলবেন : যথা জ্ঞান কুরবনি। একটা জবা পুষ্প নিয়ে যজমান, মায়ের পায়ে দেবেন। এতে গন্ধে পুষ্পে শ্রী মণ্মহোন মহাকাল ভৈরব সহিত শ্রীমৎ দক্ষিণা কালিকায়ৈ নম । এবার ব্রাহ্মণ পুজো শুরু করবেন। 
এবার পূজোর কিছু কথা শুদ্ধ আসনে উত্তর বা পূর্ব মুখে বসে পূজো করতে হবে। তান্ত্রিক গন যেহেতু মায়ের পূজো বেশি করত বা এখনো করেন সে কারণেই এখানে কিছু তান্ত্রিক গনের মন্ত্র থাকবে যা অবশ্যই করতে হবে। বিশেষ করে কিছু ন্যাস,আচমন এবং হোম কর্ম অবশ্যই তান্ত্রিক মতে হবে। এবার কী কী করতে হবে।
১)আচমন :- ওঁ বিষ্ণু ওঁ বিষ্ণু ওঁ বিষ্ণু
২)বিষ্ণু স্মরণ :- ওঁ ত্বদ বিষ্ণু পরম পদং সদা পশ্যন্তি সুরয় দিবীব চক্ষুরাততম । ওঁ অপবিত্র পবিত্র বা গতহোপিবা, যৎ স্মরেৎ পুণ্ডরীকাক্ষং স্ব বাহ্য অভ্যান্তর সূচি। সর্ব মঙ্গল মঙ্গলং বরেণ্যং বরেদম শুভম, নারায়ণ নমস্কৃতং সর্ব কর্ম কারয়েৎ ।শঙ্খ চক্র ধরং দ্বি ভূজম বিষ্ণু পীতবসনম। প্রারম্ভে সর্ব কর্মং বিপ্র পুণ্ডরীকং সরেদ্ধরিম ।মাধব মাধব বাচী, মাধব মাধব হৃদি স্মরন্তি সাধব। সর্ব কার্যেসু মাধবম, ওঁ শ্রী মাধবম ওঁ শ্রী মাধবম ওঁ শ্রী মাধবম । এবার ফুল নিয়ে :- এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ শ্রী গুরুবে নমঃ । এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ নম শিবায় নমঃ ।এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ গাং গনেশায় নমঃ । গুরু মন্ত্র হলে জপ করে নিন, 
গুরু মন্ত্র না হলে এর পর গায়ত্রী জব করে নিন বা মায়ের মূল মন্ত্র জব করে নিন। তার পর তান্ত্রিক আচমন করতে হবে। 
৩) তান্ত্রিক আচমন :- ওঁ আত্মত্বতায় সাহা। ওঁ বিদ্যাত্বতায় সাহা। ওঁ শিবত্বতায় সাহা। ঊর্ধ্ব ঠোঁট স্পর্শ করে :- ওঁ কাল্যৈ নমঃ। নিম্ন ঠোঁট স্পর্শ করে :- ওঁ কপাল্যনৈ নমঃ। দক্ষিণ গাল স্পর্শ করে :- ওঁ কুল্লায়ৈ নমঃ । বাম গাল স্পর্শ করে :- ওঁ কুরু কুল্লায়ৈ নমঃ । দক্ষিণ নাসা স্পর্শ করে :- ওঁ বিরোধনৈ নমঃ । বাম নাসা স্পর্শ করে :- ওঁ বিপ্রচিত্তায়ৈ নমঃ । দক্ষিণ চক্ষু স্পর্শ করে :- ওঁ উগ্রায়ৈ নমঃ । বাম চক্ষু স্পর্শ করে :- ওঁ উগ্রপ্রভায়ৈ নমঃ । দক্ষিণ কর্ণ স্পর্শ করে :- ওঁ দীপ্তয়ৈ নমঃ । বাম কর্ণ স্পর্শ করে :- ওঁ নীলায়ৈ নমঃ । নাভি স্পর্শ করে :- ওঁ ঘনায়ৈ নমঃ । বক্ষ স্পর্শ করে :- ওঁ বলাকায়ৈ নমঃ । মস্তক স্পর্শ করে :- ওঁ মাত্রায়ৈ নমঃ । দক্ষিণ স্কন্ধ ( কাঁধ) স্পর্শ করে :- ওঁ মুদ্রায়ৈ নমঃ । বাম স্কন্ধ স্পর্শ করে :- ওঁ চিত্রায়ৈ নমঃ । এবার সুর্যার্ঘ্য দিতে হবে, কুশিতে হরিতকি, এক গাছি কুশ (বিঘত প্রমাণ কুশ গাছের অগ্র ভাগ ) জবাফুল, রক্ত চন্দন, কালো তিল, আতপ চাল, গঙ্গা জল নিয়ে বাম হাতে স্পর্শ করে মন্ত্র বলতে হবে। 
৪) সুর্যার্ঘ্য   মন্ত্র :-   কুশ ত্রিপত্র দিয়ে গঙ্গা জলের ছিটা দিতে দিতে বলুন। এতেস্মৈ বং অর্ঘ্যায়ং নমঃ এই মন্ত্রে তিন বার জলের ছিটা দিন। এবার একটি ফুল নিয়ে, এতে গন্ধে পুষ্পে এতেস্মৈ বং অর্ঘ্যায়ং নমঃ । আরেকটা ফুল নিয়ে এতে গন্ধে পুষ্পে এত অধিপতয়ে ওঁ নারায়ণ শ্রী বিষ্ণবে নমঃ । ফুল টি নারায়ণ শিলায় দিন। এবার বলুন এতৎ সম্প্রদানায় ওঁ শ্রী সুর্যায় সাহা। এবার বলুন, এষো অর্ঘ্য /ইদমং অর্ঘ্যং, হ্রীং হংস মার্তণ্ড ভৈরবায় প্রকাশ শক্তি সহিত ওঁ শ্রী সুর্যায় নমঃ । মন্ত্র টি বলে অর্ঘ্য টি তাম্র পাত্রে উপুর করে দেবেন। এবার সুর্য প্রণাম মন্ত্র :- ওঁ জবা কুসুম সংঙ্কাশং কাশ্যপেয়ং মহাদ্যূতিম ধন্বতারিং সর্ব পাপঘ্নম প্রনোতোস্মি দিবাকরম।
একই রকম আবার একটি অর্ঘ্য সাজিয়ে, এতৎ সম্প্রদানায় ওঁ ক্রীং শ্রীমৎ দক্ষিণা কালিকায়ৈ নমঃ। নিবেদন মন্ত্র :- উদ্য আদিত্য মণ্ডল মধ্যবর্তীয়নৈ নিত্যং চৈতন্য দায়িনৈ (এষো অর্ঘ্য) ইদং অর্ঘ্যায়ং ওঁ ক্রীং শ্রীমৎ দক্ষিণা কালিকায়ৈ সাহা। এই মন্ত্রে তাম্র পাত্রে দিতে হবে। 
৫) স্বত্তি বাচন :- ওঁ কর্ত্তব্য হোস্মিন শ্রীমৎ দক্ষিণা কালিকা পূজা কর্মানি ওঁ পূণ্যাহম ভবন্তো ব্রুবন্তু । ওঁ পূণ্যাহম ভবন্তো ব্রুবন্তু । ওঁ পূণ্যাহম ভবন্তো ব্রুবন্তু । ওঁ পূণ্যাহম । ওঁ পূণ্যাহম । ওঁ পূণ্যাহম ।
ওঁ কর্ত্তব্য হোস্মিন শ্রীমৎ দক্ষিণা কালিকা পূজা কর্মানি ওঁ স্বত্তি ভবন্তো ব্রুবন্তু । ওঁ স্বত্তি ভবন্তো ব্রুবন্তু । ওঁ স্বত্তি ভবন্তো ব্রুবন্তু ।ওঁ স্বত্তি ।ওঁ স্বত্তি, ওঁ স্বত্তি। 
ওঁ কর্ত্তব্য হোস্মিন শ্রীমৎ দক্ষিণা কালিকা পূজা কর্মানি ওঁ ঋদ্ধিং ভবন্তো ব্রুবন্তু ।ওঁ ঋদ্ধিং ভবন্তো ব্রুবন্তু ।ওঁ ঋদ্ধিং ভবন্তো ব্রুবন্তু । ওঁ ঋদ্ধতাম, ওঁ ঋদ্ধতাম, ওঁ ঋদ্ধতাম। 
৬) স্বত্তি সূক্ত :- ওঁ সোমং রাজনং বরুণমাবার অগ্নি ভামহে আদিত্যং বিষ্ণু সূর্যং ব্রহ্মণাঞ্চ বৃহস্পতিম । স্বত্তি ন ইন্দ্র বৃদ্ধ শ্রবা, স্বত্তি ন পুষ্যা বিশ্ববেদা, স্বত্তি বৃহস্পতির দধাতু। ওঁ স্বত্তি ওঁ স্বত্তি ওঁ স্বত্তি । দশ দিকে আতপ চাল ছড়িয়ে দিতে দিতে এই মন্ত্র বলতে হবে। 
৭) সাক্ষ্য মন্ত্র :- ওঁ সূর্য সোম যম কাল সন্ধ্যা ভুতানহক্ষপা পবন দিকপতি ভূমিরাকশং খচরামরা ।ব্রাহ্মণ শাসন মাস্তায় কল্পধিহম ।
৮) সংকল্প :- ওঁ বিষ্ণুরোম তৎসদ্য অমুক মাসে অমুক পক্ষে অমুক তিথৌ অমুক রাশিস্থে ভাস্করে ( দ্বীপান্বিতা অমাবস্যায় হলে রাশি উল্লেখ করার দরকার নেই।) জীববদেদত স্থুল শরীর বিরোধেনে সর্ব পচ্ছান্তি পূর্বক অতুল ঐশ্বর্য ধর্ম অর্থ কাম মোক্ষ চতুর্বর্গ সিদ্ধি কামনার্থায় শ্রী মণ্মহোন মহাকাল ভৈরব সহিত শ্রীমৎ দক্ষিণা কালিকা সপরিবার সহিত পূজন জপ তপ হোম অভিসিঞ্চন তর্পনাদি কর্ম্মানি ( নিজের বাড়িতে পুজো করলে করিষ্যে) অন্য জায়গায় বা যজমানের বাড়িতে হলে করিষ্যামি বলবেন। 
৯) সংকল্প সূক্ত :- সামবেদীয় ওঁ দেবব দ্রবি নোদা পূর্ণাং বিবষ্ঠাসিচম উদ্বো পৃনধ্ব মাদি দেবো ওহতে।  ওঁ তন্মে নম 
 নম শিবায় সংকল্পায় মস্তু ওঁ অস্তু ।সংকল্পিতার্থস সিদ্ধিরস্তু ওঁ অস্তু ।অয়ম আরম্ভ শুভায়ূ ভবতু ।
( যজুর্বেদীয়) ওঁ যজাগ্রত দূরাদুমৈতি দৈবাং তথৈ বৈতি দূরাঙ্গম জ্যোতিস্কং তণ্মে নমঃ শিবায় সংকল্পায় মস্তু, ওঁ অস্তু। 
 সংকল্পিতার্থস সিদ্ধিরস্তু ওঁ অস্তু । অয়মারম্ভ শুভায় ভবতু ।
১০) পঞ্চ গব্য শোধন :-  (সংক্ষেপে ) পঞ্চগব্য অর্থাৎ গো মাতা বা গরু থেকে প্রাপ্ত পাঁচটি জিনিস, ১) গোময় ২) গোমুত্র ৩) দুগ্ধ ৪) দধি ৫) ঘি একত্র করে কুশদোক দিয়ে নিন অর্থাৎ কুশ ত্রিপত্র দিয়ে জলের ছিটা মন্ত্র :- ওঁ দেবস্য ত্বা সবিতু প্রসবেহর্শ্বির্নোবাহুভ্যাং পুষ্ণো হস্ত ভ্যাং গৃহ্নামি । এবার অঙ্কুশ মুদ্রায় গায়ত্রী পাঠ করে শোধন করে নিন। 
১১) অধিবাস :- (সংক্ষেপে) কয়েকটি দেবতা কে ফুল দিয়ে নিন। মন্ত্র :- এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ শ্রী গুরুবে নম । এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ গাং গনেশায় নমঃ । এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ নারায়ণ শ্রী বিষ্ণবে নম । এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ নম শিবায় নম । এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ দুর্গায়ৈ নম । এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ ইন্দ্রাদি দশ দিকপালায় নম। এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ নারদাদি পার্শ্ব দেবেভ নম । এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ মৎস্যাদি দশ অবতারভ্য নম। এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ কল্যাদি দশম মহা বিদ্যভ্য নম। এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ সর্ব দেব দেবীভ্য নম । যদি শ্রী তৈরি করা হয় তবে অস্য শ্রীং নম বলে শ্রী পাত্র টি তিন বার ঘুরিয়ে নামিয়ে রাখুন। 
এবার বরণ ডালা নিয়ে মন্ত্র বলুন ( সংক্ষেপে) অনেন প্রসস্তি পাত্রেন অস্য ক্রীং শ্রীমৎ দক্ষিণা কালিকায়ৈ শুভ অধিবাসেন মস্তু। এই মন্ত্রে দেবীর ঘটে তথা পায়ের কাছে চার বার, মুখ মণ্ডলে চার বার আর সমগ্র তিন বার এই মোট এগারো বার বরণ ডালা ঘুরিয়ে নামিয়ে রাখুন। এবার আগের থেকে তৈরি করা মঙ্গল সূত্র নিয়ে বলুন অনেন মঙ্গল সূত্রেন অস্য ক্রীং শ্রীমৎ দক্ষিণা কালিকায়ৈ নম । দেবীর বাম অর্থাৎ যে হাতে কাটা মুণ্ড ধরে আছেন ঐ হাতে বেঁধে দিন। আরেকটা মঙ্গল সূত্র নিয়ে অস্য মঙ্গল সূত্রেন অস্য মণ্মহোন মহাকাল ভৈরবায় নম । মহাকালের ডান হাতে বেঁধে দিন। সৃক্ক দ্বয় এবং ডাকিনী যোগীনী থাকলে তাদেরও মঙ্গল সূত্র বেঁধে দিন। কেউ যদি মঙ্গল সূত্র বাঁধার সম্পূর্ণ মন্ত্র বলতে চান তাহলে বলুন। সূত্রমাং দ্যমোহ্যাসং সুশর্মান সুপ্রনীতীং দৈবাং নাবাং সরিত্রামনাগম মা রুহেমা সস্ত্রয়ে অনেন মঙ্গল সূত্রেন অস্য ক্রীং - - - -
১২) সামান্য অর্ঘ্য স্থাপন :- নিজের সম্মুখে ত্রিকোন মণ্ডল এঁকে তার উপর এই মন্ত্রে ফুল দিয়ে নিন। এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ আধার শক্তয়ে নম । এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ কুর্ম্মায় নম । এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ অনন্তায় নম । এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ পৃথিব্বৈ নম। এবার " ওঁ ফট" মন্ত্রে ঐ জায়গায় কোশাটি রেখে "নমঃ" মন্ত্রে জল পুর্ণ করে নিন। এবার কোশার ওপরের দিকে আতপ চাল, দূর্বা ফুল বিল্ব পত্র হরিতকি ফল দিয়ে অর্ঘ্য সাজিয়ে অঙ্কুশ মুদ্রায় জল স্পর্শ করে বলুন :- ওঁ গঙ্গোদা সরতিশ্চ সর্বা সমুদ্রাশ্চ সরংসি চ আয়ন্তু যজমানস্য দূরিত ক্ষয় কারক । ওঁ গঙ্গে চ যমুনে চৈব গোদাবরী সরস্বতী নর্মদে সিন্ধু কাবেরি জলোস্মিন সন্নিদ্ধিং কুরু। এবার হুং মন্ত্রে অবগুনঠন মুদ্রা এবং বং মন্ত্রে ধেনু মুদ্রা দেখাবেন। 
১৩)সংক্ষেপে দ্বার পূজা :- 'ফট' মন্ত্রে কুশ ত্রিপত্র দিয়ে পূজার সব কিছু অভুক্ষ্যান করে, দ্বার দেবতার আহ্বান করুন। ওঁ দ্বার দেবগন ইহাগচ্ছ ইহাগচ্ছ ইহতিষ্ঠ ইহতিষ্ঠ ইহসন্নিরুধ্যত্ত ইহসন্নিরুধ্যম অত্রাধিষ্ঠান করুত মম পুজো গৃহ্নীত । এষো গন্ধ ওঁ দ্বার দেবগনভ্য নমঃ । এতৎ পুষ্প ওঁ দ্বার দেবগনভ্য নমঃ । এষো ধূপ দ্বার দেবগনভ্য নমঃ । এষো দীপ দ্বার দেবগনভ্য নমঃ ।এতৎ নৈবেদ্যম দ্বার দেবগনভ্য নমঃ । যদি সকল দ্বার দেবতা কে পঞ্চ উপাচারে পূজা করেন বা ফুল দেন করতে পারেন। মন্ত্র এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ গনেশায় নমঃ । এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ মহালক্ষৈ নমঃ । এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ ঐং সরস্বতৈ নমঃ ।এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ গাং গঙ্গায়ৈ নমঃ । এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ যাং যমুনায়ৈ নমঃ । এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ ঐং সরস্বতৈ নমঃ । এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ ক্ষাং ক্ষেত্রপালায় নমঃ । এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ অস্ত্রয় নমঃ ।
১৪) বিঘ্ন অপসারণ :-  ওঁ অস্ত্রায় ফট মন্ত্র তুড়ি বা হাত তালি দিয়ে দশ দিক বন্ধন করতে হবে। ওঁ ফট মন্ত্রে বাম পায়ের গোড়ালি দিয়ে তিন বার ভূমিতে আঘাত করে ভৌম্য দোষ 
দূর করতে হবে। 
১৫) মাস ভক্ত বলি :- একটি নতুন মাটির খুড়ি বা কাঁঠাল পাতা বা কলার পাতার টুকরো নিয়ে তাতে দধি, মাস কলাই, আতপ চাল, দূর্বা, বেল পাতা ফল বা কলা টুকরো এবার একটা ধূপ জ্বেলে ঐ কলা বা ফলে গুঁজে দিন। তার পর ভুত দ্বয়ের আহ্বান করুন। ওঁ ভুতাদ্বয় ইহাগচ্ছ ইহাগচ্ছ ইহতিষ্ঠ ইহতিষ্ঠ ইহসন্নিরুধ্যত্ত ইহসন্নিরুধ্যম অত্রাধিষ্ঠান করুত মম পুজো গৃহ্নীত । এবার কুশ ত্রিপত্র দিয়ে এই মন্ত্রে তিন বার জলের ছিটা দিন। বং এতেস্মৈ মাস ভক্ত বলয়ে নমঃ। তার পর হাত জোর করে বলুন। ওঁ ভুত প্রেত পিশ্চাচ যে বসন্ত্র ভু তলে তে গৃহন্তু ময়া দত্ত বলিরেষ প্রসাদিত পূজিতা গন্ধ পুষ্প দৈবির্লি তর্পি তুস্তা, দেশস্মাৎ বিনিসৃত পূজাং পশ্যন্তু মৎ কৃতাম । এবার কুশি করে অল্প জল দিন মন্ত্র :- ভুতাদ্বয় ক্ষমধম । এবার হাতে সাদা সরিষা  নিয়ে বলুন :- ওঁ অপসর্পন্তু তে ভূতা যে ভূতা ভুবি বিঘ্ন কর্তারস্তে, ভুত নাম কালি পূজা করম মহম। বেতালাশ্চ, পিশ্চাস রাক্ষসাশ্চ সরীসৃপা অপসর্পন্তু তে চণ্ডি কাস্ত্রেন তাড়িতা । এবার ' ওঁ ফট' মন্ত্রে সাদা সরিষা ছড়িয়ে দিন। 
১৬) আসন শুদ্ধি :- আসনের নীচে প্রথম ত্রিকোন ওর ওপরে চার কোন মণ্ডল এঁকে ফুল নিয়ে বলুন ওঁ হ্রীং আধার শক্তয়ে কমলাসনায় নমঃ । এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ কুর্ম্মায় নমঃ । এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ অনন্তায় নমঃ ।এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ পৃথ্বীবৈ নমঃ । এবার আসন স্পর্শ করে বলুন, অস্য আসন উপবেশন মন্ত্রস্য মেরু পৃষ্ঠ ঋষি সুতলুং ছন্দ কুর্ম্ম দেবতা আসন উপবেশনে বিনিয়োগ । ওঁ ত্বয়া ধৃতা লোকা দেবী ত্বং বিষ্ণু না ধৃতা তঞ্চ ধারয়ং মাং নিত্যং পবিত্রং কুরুচাসনম । এবার একটা ফুল নিয়ে আসনের উপর দিন মন্ত্র :- ওঁ বজ্ররেখে হুং ফট সাহা। এবার এই মন্ত্রে পঞ্চ উপাচারে আসন কে পুজো করে নিন। মন্ত্র :- এষো গন্ধে  ওঁ হ্রীং আধার শক্তয়ে কমলাসনায় নম । এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ হ্রীং আধার শক্তয়ে কমলাসনায় নম । এষো গন্ধে ধূপায় ওঁ হ্রীং আধার শক্তয়ে কমলাসনায় নম। এষো দীপ ওঁ হ্রীং আধার শক্তয়ে কমলাসনায় নম । এতৎ নৈবেদ্যম ওঁ হ্রীং আধার শক্তয়ে কমলাসনায় নম । 
১৭) গুরু পঙতি প্রণাম :- ( বাম দিকে হাত জোর করে ) ওঁ গুরুবে নমঃ, ওঁ পরম গুরুভ্য নমঃ, ওঁ পরমেষ্ঠি গুরুভ্যে নমঃ । ওঁ পরাপর গুরুভ্য নমঃ । ( ডান দিকে হাত জোর করে) ওঁ গাং গনেশায় নমঃ। ( মাথার উপর) ওঁ ব্রহ্মনে নমঃ । (পিঠের দিকে) ক্ষেত্র পালায় নমঃ। ( সম্মুখে মাটিতে) ওঁ অনন্তায় নমঃ । ( এবার হৃদয়ে হাত জোর করে) ওঁ শ্রী মণ্মহোন মহাকাল ভৈরব সহিত শ্রীমৎ দক্ষিণা কালিকায়ৈ নমঃ ।
১৮)পুষ্প শুদ্ধি :- ফুলের উপর রক্ত চন্দন ছড়িয়ে দিয়ে মন্ত্র বলুন :- ওঁ পুষ্পকেতু রাজাহর্তে শতেয় সম্যক সমন্ধায় হুঁ, পুষ্পে পুষ্পে সুপুষ্পে মহাপুষ্পে পুষ্প চয়বাকীর্নে চ হুং ফট সাহা।
১৯) কর শুদ্ধি :- ওঁ হেঁসৌ বলে একটা লাল ফুল গন্ধ শুঁকে ঈশান কোনে ফেলে দিতে হবে।
২০) কায়া শুদ্ধি :- সামান্য অর্ঘ্যের জল নিজ মাথায় ছিটিয়ে বলুন :- ওঁ বজ্র উদকে হুং ফট সাহা। এবার এই মন্ত্র বলে নিজের শিখায় বা উড়নির অঞ্চলে গাঁট বাঁধুন। ওঁ বজ্র উদকে 
মহা প্রতি সরে রক্ষ রক্ষ হুং ফট সাহা।
২১) সংক্ষেপে ভুত শুদ্ধি :- ওঁ রং মন্ত্রে নিজের চার পাশে জলের ছিটা দিন কুশ ত্রিপত্র দিয়ে। নিজে অগ্নি গোলকের মধ্যে বসে আছেন কল্পনা করে নিয়ে। এই চারটি মন্ত্রে সংক্ষেপে ভুত শুদ্ধি করুন। মন্ত্র :- ১) ওঁ মূল শৃঙ্গাটচ্ছির সুষুমান্না পথেন, জীব শিব পরম শিব পদে যোজয়ামি সাহা
২) ওঁ যং লিঙ্গং শরীরং শোষয় শোষয় সাহা। ৩) ওঁ রং সংকোচং শরীরং দহ দহ সাহা। ৪) ওঁ জীবং শিবং পরম শিব পদং সুষুমান্না পথেন মূল শৃঙ্গামূল্য সোল্লাস জ্বল জ্বল প্রজ্বল প্রজ্বল সোহংস সাহা।
২২) প্রাণায়াম :- ওঁ ক্রীং মন্ত্রে, ৬৪ বার বা ৩২ বার বা ১৬ বার বা সবচেয়ে কম ৮ বার।
২৩) আত্ম প্রাণ প্রতিষ্ঠা :-  লেলিহান মুদ্রায় একটি জবা ফুল নিয়ে নিজ হৃদয় স্পর্শ করে মন্ত্র বলুন :-  ওঁ আং হ্রীং ক্রোং যং রং লং বং ষং শং সং হং হৌস মম শ্রীমৎ দক্ষিণা কালিকা প্রাণ ইহা প্রাণ। ওঁ আং হ্রীং ক্রোং যং রং লং বং ষং শং সং হং হৌস মম শ্রীমৎ দক্ষিণা কালিকা জীব ইহা স্থিতানি। ওঁ আং হ্রীং ক্রোং যং রং লং বং শং সং হং হৌস মম শ্রীমৎ দক্ষিণা কালিকা বাগ্ম চক্ষু শ্রোতা ঘ্রাণা ত্বক ইহা আগত তিষ্ঠুত চির সুখং সাহা। ওঁ মনর্জ্যোতিযুসা তামজস্য ইহা মাদয়ন্ত মম প্রতিষ্ঠন্তু, মম প্রাণ প্রতিষ্ঠন্তু। 
২৪) মাতৃকা ন্যাস :- অস্য মাতৃকা মন্ত্রস্য ব্রহ্ম ঋষি গায়ত্রী ছন্দ মাতৃকা সরস্বতৈ হল বীজানি শরেভ্য শক্তেভ্য বীজেভ্য হলেভ্য অবক্ত কীলিকায় নম ।
ওঁ ব্রহ্মন ঋষয়ে নমঃ । ( হৃদয়ে ) ওঁ গায়ত্রী ছন্দসে নমঃ (মুখে) ।ওঁ মাতৃকা সরস্বতৈ নমঃ (শিরসে) ।ওঁ হলেভ্য বীজেভ্য নমঃ (মূলাধারে) ওঁ শরেভ্য শক্তেভ্য নমঃ (লিঙ্গমূলে) । ওঁ অবক্ত কীলিকায় নমঃ । ( সর্বাঙ্গে) 
২৫) কর ন্যাস :- ওঁ আং অঙ্গুষ্ঠাভ্যাং নমঃ । ওঁ ঈং তর্জনীভ্যাং সাহা। ওঁ ঊং মধ্যমাভ্যাং বষট । ওঁ অনামিকাভ্যাং হুং । ওঁ কনিষ্ঠাভ্যাং বৌষট । ওঁ অস্ত্রায় ফট ।
২৬) অঙ্গ ন্যাস :- ওঁ হৃদয়ায় নমঃ । ওঁ শিরসে সাহা। ওঁ শিখায় বষট । ওঁ কবচায় হুং । ওঁ নেত্রত্রয় বৌষট । ওঁ অস্ত্রায় ফট ।
[এখানে একটা কথা বলে রাখি মাতৃকা ন্যাস, কর ন্যাস, অঙ্গ ন্যাস, এই  ন্যাস গুলো নিজ শরীরে করুন, বাদে বাকি ন্যাস গুলো ঐ যে পিঠ বা অষ্ট দল পদ্ম এঁকেছেন যেখানে ঘট বসবন ওখানে করুন, আর পুজোয় বসার বা শুরুর আগে কাদার তাল নিয়ে ঘট বসিয়ে পুজো করা ঠিক নয়। কারণ যে জায়গাটি তে আপনি ঘট স্থাপন করতে যাচ্ছেন সে স্থানটি কে পবিত্র করে নিতে হবে অর্থাৎ আপনার আঁকা পীঠ টি কে এই ন্যাস এর মাধ্যমে পবিত্র করে নিয়ে ঘট স্থাপনের সময় ঘট স্থাপন করুন।] 
২৭) অন্তর মাতৃকা ন্যাস :- ওঁ আঁধারে লিঙ্গ নাভৌ সরসিজে হৃদয়ে তালুমূলে ললাটে দৈপত্রে দ্বিদশ দশ দলে চতুস্কে বাসান্তে  মধ্যে ক-ঠ ড-ফ সহিতে কণ্ঠদেশে স্মরণাং হং ক্ষং তথার্থ যুক্তং সকল দলগত বর্ণ রূপং নমামি।
ওঁ অং নম, আং  নম, ইং নম, উং নম, ঊং নম, ঋং নম, ঋং নম, ৯ং নম, ৯ং নম, এং নম, ঐং নম, ওং নম, ঔং নম, ( কণ্ঠে) কং নম, খং নম, গং নম, ঘং নম, ঙং নম, চং নম, ছং নম, জং নম, ঝং নম, ঞং নম, টং নম, ঠং নম, ডং নম, (  হৃদয়) ঢং নম, ণং নম, তং নম, থং নম, দং নম, ধং নম, নং নম, পং নম, ফং নম, ( মাথায়) বং নম, ভং নম, মং নম, যং নম, রং নম, লং নম, ( মূলাধারে) বং নম, ষং নম, শং নম, সং নম , (লিঙ্গ মূলে) হং নম, ক্ষং নম ( ভ্রূ মধ্যে) 
[এই ন্যাস টি ঐ অষ্টদল পদ্মের উপর কাল্পনিক মানব অর্থাৎ ঘটে যে মানব রূপ দেবতার ছবি এঁকেছেন ঐ রকম কল্পনা করে ন্যাস করুন।এই ন্যাস টি নয় এর পরে যত ন্যাস আছে সব গুলো ওখানে কাল্পনিক মানব চিত্রের উপর করুন।] 
২৮) বাহ্য মাতৃকা ন্যাস :-  ওঁ পঞ্চাশলি পিভির্বি ভক্ত মুক্ষোদা
 ভাস্ব মৌলি চন্দ্রশ কলা মাপীন তুঙ্গস্তী নাম, মুদ্রা মোক্ষ গুনং সুধাঢ্য কলসং বিদ্যাঞ্চ হস্তা অম্বুজম বিবর্ণভ্যাং বিশদপ্রভাং ত্রিনয়নাং বাগ দেবতা মাশ্রয়ে। 
ওঁ অং নম, ( ললাটে) ওঁ আং নম, ( ভ্রূ মধ্য) ওঁ ইং নম ওঁ ঈং নম ( দুই চক্ষু) ওঁ উং নম, ওঁ ঊং নম ( দুই কর্ণ) ওঁ ঋং নম, ওঁ ঋং নম ( দুই নাসা) ওঁ ৯ং নম, ৯ং নম ( দুই গাল) ওঁ এং নম ( অধর) ওঁ ঐং নম ( ওষ্ঠ) ওঁ ওং নম ( ঊর্ধ্ব দন্ত পঙতি) ওঁ ঔং নম ( নিম্ন দন্ত পঙতি) ওঁ অঃ নম ( মুখ মণ্ডল) ওঁ আং নম (মস্তকে) ওঁ কং নম (দক্ষিণ বাহু মূলে) ওঁ খং নম ( ককুদি) ওঁ গং নম ( মনি বন্ধ) ওঁ ঘং নম ( অঙ্গুলি মূলে) ওঁ ঙং নম ( অঙ্গুলি অগ্রে) ওঁ চং নম ( বাম বাহু মূলে) ওঁ ছং নম ( ককুদি) ওঁ জং নম ( মনি বন্ধ) ওঁ ঝং নম ( অঙ্গুলি মূলে) ওঁ ঞং নম ( অঙ্গুলি অগ্রে) ওঁ টং নম ( দক্ষিণ পাদ মূলে) ওঁ ঠং নম ( দক্ষিণ পাদ জানুনি ) ওঁ ডং নম (  দক্ষিণ পাদ গুলফে ) ওঁ ঢং ( দক্ষিণ পাদ অঙ্গুলি মূলে) ওঁ ণং নম ( দক্ষিণ পাদং অঙ্গুলি অগ্রে) ওঁ তং নম ( বাম পাদ মূলে) ওঁ থং নম (বাম পদ জানুনি) ওঁ দং নম ( বাম পদ গুলফে) ওঁ ধং নম ( বাম পদ অঙ্গুলি মূলে) ওঁ নং নম ( বাম পদ অঙ্গুলি অগ্রে) ওঁ পং নম ( দক্ষিণ পার্শ্বে) ওঁ ফং নম ( বাম পার্শ্বে ) ওঁ বং নম ( পৃষ্ঠে) ওঁ ভং নম (. নাভৌ) ওঁ মং নম ( উদরে) ওঁ যং ত্বগাত্মনে নম ( হৃদয়ে) ওঁ রং আসৃগাত্মনে নম ( হৃদয়াদি দক্ষিণ হস্তে) ওঁ লং মাংসাত্মনে নম ( ককুদি) ওঁ বং মেদাত্মনে নম (হৃদয়াদি বাম হস্তে) ওঁ শং অস্থ্যাত্মনে নম ( হৃদয়াদি দক্ষিণ পদে) ওঁ ষং নম ( হৃদয়াদি বাম পদে) ওঁ সং মজ্জাত্মনে নম (হৃদয়াদি জঠরে) ওঁ হং প্রাণাত্মনে নম ( দক্ষিণ স্কন্ধে)  লং জীবাত্মনে নম (বাম স্কন্ধে) ওঁ ক্ষং নম ( হৃদয়াদি মুখে)
২৯) সংহার মাতৃকা ন্যাস :- ওঁ অক্ষস্রজং হরিণপোত মৃদঙ্গ টঙ্ক বিদ্যাং করৈরবিরতিং অর্দ্ধেন্দু মৌলি রবিন্দবাসনাং প্রণমত স্তনভার নম্রানাং । ( বাহ্য মাতৃকা ন্যাস এর উল্টো, এই কারণে স্পর্শ গুলো লিখলাম না। আরেকটা কথা বলে রাখি এই ন্যাস গুলো ঘট বসানোর স্থানে গুঁড়ো সিন্দুর দিয়ে ঘটে বা ডাবের উপর আঁকা মূর্তি এঁকে নিতে পারেন বা কল্পনা করে নিয়ে করতে পারেন। যাতে ঐ জায়গাটা পবিত্র হয়, এবার শুরু করুন) উপরের ধ্যান মন্ত্র অক্ষস্রজং - - - শেষ করেই বলবেন :- ওঁ ক্ষং নম, ওঁ লং নম, ওঁ হং নম, ওঁ সং নম, ওঁ ষং নম, ওঁ শং নম, ওঁ বং নম, ওঁ লং নম, ওঁ রং নম, ওঁ যং নম, ওঁ মং নম, ওঁ ভং নম, ওঁ বং নম, ওঁ ফং নম, ওঁ পং নম, ওঁ নং নম, ওঁ ধং নম, ওঁ দং নম, ওঁ থং নম, ওঁ তং নম, ওঁ ণং নম, ওঁ ঢং নম, ওঁ ডং নম, ওঁ ঠং নম, ওঁ টং নম, ওঁ ঞং নম, ওঁ ঝং নম, ওঁ জং নম, ওঁ ছং নম, ওঁ চং নম, ওঁ ঙং নম, ওঁ ঘং নম, ওঁ গং নম, ওঁ খং নম, ওঁ কং নম, ওঁ আং নম, ওঁ অঃ নম, ওঁ ৯ং নম, ওঁ ৯ং নম, ওঁ ঋং নম, ওঁ ঋং নম, ওঁ ঔং নম, ওঁ ওং নম, ওঁ ঐং নম, ওঁ এং নম, ওঁ ঊং নম, ওঁ উং নম, ওঁ ঈং নম, ওঁ ইং নম, ওঁ আং নম, ওঁ অং নম। 
৩০) কর ন্যাস :- ক্রাং অঙ্গুষ্ঠভ্যাং নম, ক্রীং তর্জনীভ্যাং সাহা ক্রূং মধ্যম্যাভ্যাং বষট, ক্রৈং অনামিকাভ্যাং হুং, ক্রৌং কনিষ্ঠাভ্যাং বৌষট। ক্রঃ অস্ত্রায় ফট ।
৩১) অঙ্গ ন্যাস :- ক্রাং হৃদয়া নম, ক্রীং শিরসে সাহা, ক্রূং শিখায় বষট, ক্রৈং কবচায় হুং, ক্রৌং নেত্রত্রয় বৌষট। 
৩২)পীঠ ন্যাস :-( অষ্ট দল এঁকেছেন ওর উপর পীঠ ন্যাস ও পীঠ শক্তি ন্যাস করতে হবে।) একটি জবা ফুল নিয়ে পীঠ স্পর্শ করে বলুন :- ওঁ আধার শক্তয়ে নম, ওঁ প্রকৃতায় নম, ওঁ কুর্ম্মায় নম, ওঁ অনন্তায় নম, ওঁ পৃথ্বীবৈ নম, ওঁ ক্ষীর সমুদ্রায় নম, ওঁ শ্বেত দ্বীপায় নম, ওঁ কল্প বৃক্ষায় নম, ওঁ মনি বেদিকায়ৈ নম,  ওঁ রত্ন সিংহাসনায় নম, ওঁ ধর্মায় নম, ওঁ জ্ঞানায়, ওঁ বৈরাগ্যায় নম, ওঁ ঐশ্বর্যায় নম, ওঁ অধর্মায় নম, ওঁ অজ্ঞানায় নম, ওঁ অবৈরাগ্যায় নম, ওঁ অনাশ্বৈর্যায় নম, ওঁ অনন্তায় নম, ওঁ পদ্মায় নম, ওঁ অং অর্ক মণ্ডলায় দ্বাদশ কলাত্মানে নম, ওঁ উং সোম মণ্ডলায় ষোঢ়শ কলাত্মানে নম, ওঁ বং বহ্নি মণ্ডলায় দশ কলাত্মানে নম, ওঁ সং সত্বায় নম, ওঁ রং রজসে নম, ওঁ তং তমসে নম, ওঁ আং আত্মনে নম, ওঁ অং অন্তর আত্মনে নম, ওঁ পং পরম আত্মনে নম, ওঁ হ্রীং জ্ঞান আত্মনে নম, 
৩৩) পীঠ শক্তি ন্যাস :- ওঁ সুধাম্বুধায়ে নম, ওঁ মনি পীঠায় নম, ওঁ চিন্তামনি গৃহায় নম, ওঁ শ্মশানায় নম, ওঁ পারিজাতায় নম, ওঁ মুনেভ্য নম, ওঁ দেবেভ্য নম, ওঁ শবেভ্য নম, ওঁ শব মুণ্ডেভ্য নম, ওঁ বহু মাংসাস্থি মদমান শিবেভ্য নম, ওঁ ইচ্ছায়ৈ নম, ওঁ ক্রিয়ায়ৈ নম, ওঁ কামনৈ নম, ওঁ কামদায়নৈ নম, ওঁ রতৈ নম, ওঁ রতি প্রিয়ায়ৈ নম, 
ওঁ মণ্মমনৈ নম, ওঁ আনন্দদায়নৈ নম, ওঁ ঐং পরায়ৈ নম, ওঁ ঐং অপারায়ৈ নম, ওঁ ঐং পরাপরয়ৈ নম, 






বাঙালি ও বর্তমান ভারত।

 (ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...