Anulekhon.blogspot.com

Tuesday, 22 August 2023

পশ্চিমবঙ্গরে শাসক মানুষ কে বিশ্বাস করে না।

 

পশ্চিমবঙ্গ সরকার যুগ যুগ জিও, দারুণ এরকম সরকার এই সরকার এসে মানুষ, আঠাশ টা শ্রী, ভাণ্ডার, দু টো না তিন টি সাথী আরও কিছু আছে তার মধ্যে আবার পড়ুয়াদের মোবাইল, ট্যাব পড়ুয়ার দল এখন আর স্কুলে যায় না। বাড়িতে বসে গেম খেলে সময় কাটায় বাবা মায়ের শতেক জ্বালা একটি বা দুটি সন্তান কিছু বলতে পারে না। এত আর বিহার উত্তর প্রদেশের ঐ মুসলিম বা দলিত নয় যে গণ্ডা গণ্ডা সন্তান জন্ম দেবে আর কাজের সন্ধানে অন্য রাজ্যে এসে অন্যায় কাজ গুলো করবে। এখন পঞ্চায়েত কর্মী থেকে অফিসে পুলিশে অধিকাংশ ঐ বিহার উত্তর প্রদেশের মুসলিম তারা আধা বাংলা আধা হিন্দি তে কথা বলছে, কেউ কেউ এখন বলছে আমরা প্রবাসী বাঙালি ছিলাম এখন এখানে চলে এসেছি। এসেই সরকারি চাকরি কারণ একটাই বাঙালির শিক্ষা আজ রসাতলে আগে কলেজে গিয়ে ক্লাস করতে হত এখন কলেজ বাড়ি টা আছে ছ মাস পর পর একটা করে পরীক্ষা নেওয়া আর শাসক দলের পার্টি অফিস করার জন্য। কারণ ঐ যে ফোন বা ট্যাপ দেওয়া হয়েছে ওটা নিয়ে ব্যস্ত ছাত্র ছাত্রী পরীক্ষা হচ্ছে কলেজে তো ক্লাস হয়নি কি হচ্ছে। পরীক্ষার পনেরো দিন আগে ঐ সব ফোনে বা ট্যাবে পরীক্ষায় কি কি পরবে প্রশ্ন উত্তর চলে আসছে ছাত্র ছাত্রীরা যে পারছে পড়ে ঐ গুলো লিখে আসছে। ছাড়ুন ওসব, কারণ চাকরি পাওয়ার একটাই শর্ত কে কত লাখ টাকা দিতে পারবে। অপরাধের কোন বিচার নেই। আমার কথা ওসব নয় সরকার এত কিছু দিচ্ছে এর পরেও ভোট এলেই মানুষ খুন, সে শাসক দলের হোক অথবা বিরোধী কেউ রেহাই পাচ্ছে না। গত বিধানসভা ভোট, বা এই পঞ্চায়েত ভোটে কত মায়ের কোল খালি হয়ে গেছে তার হিসেব নেই। মানুষের এত উন্নয়ন অথচ সরকার পক্ষ সেই মানুষ কে বিশ্বাস করে না, আর এই কারণেই মানুষ নিজের ভোট নিজে দিতে পারে না।বর্তমান শাসক দলের চুন পুঁটি প্রত্যেকের একটাই বক্তব্য আগে চৌঁত্রিশ বছর এসব হয়েছে। আরে তারা এসব করেছে বলেই না মানুষ তাদের তাড়িয়েছে। এই সরকারের ইচ্ছা নেই শান্তি পূর্ণ ভোট হোক, কারণ ভোটার এবং ভোট কর্মীদের কোন নিরাপত্তা নেই। সাধারণ ভোটার তাকে এত কিছু দিয়েও বিশ্বাস করতে পারছে না এই শাসক দল বা তার কর্মীরা। সত্যিই মানুষ আজ দিশেহারা যে সরকার তার জনগণ কে নিরাপত্তা দিতে পারে না, এবং বিশ্বাস করতে পারে না সেখানে মানুষ কিভাবে শান্তি তে থাকবে। এখানে এখন শ্মশানের শান্তি বিরাজ করছে কেউ যদি মুখ খুলেছে ব্যস তার অবস্থা শোচনীয় হয়ত দেখা যাবে তিনিও চেয়ে ছিলেন বাম সরকারের পরিবর্তন করে এই সরকার আনতে। তিনি ও শাসক দলের সমর্থক তাকেও এই শাসক বিশ্বাস করতে পারছে না। সত্যিই এই শাসকের জবাব নেই। যে মানুষের জন্য এত কিছু করেও মানুষ কে বিশ্বাস করে না এবং মানুষ কে তার গনতান্ত্রিক অধিকার অর্থাৎ ভোট দিতে দেন না। কি করে বলি সেই সরকার বা শাসক মানুষ কে বিশ্বাস করে! 

No comments:

Post a Comment

বাঙালি ও বর্তমান ভারত।

 (ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...