Anulekhon.blogspot.com

Tuesday, 22 August 2023

এবার দুর্গা পুজার অনুদান 85 হাজার টাকা হল।

 

জানি আপনি অনুদান দেবেনি কারো কথা শুনবেন না। তাই প্রথমেই দিদির কাছে আমার অনুরোধ যদি এই লেখাটা পড়েন তাহলে আপনি পুজোর অনুদান দিন, কিন্তু কলকাতার বড়ো বড়ো পুজো কমিটি গুলো কে নয় কেবল গ্রামের দিকে যেসব গ্রামে অনেক কষ্টে কয়েকটি পরিবার মিলে নম নম করে পুজো করে তাদের দিন। টাকার অপচয় বন্ধ করুন। 
এবছর আপনি পূজোর অনুদান 70 হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে হয়েছে 85 হাজার করেছেন । অর্থাৎ এ বছর দুর্গা পুজো কমিটি গুলো কে পুজো করার জন্য দেওয়া হবে পঁচাশি হাজার টাকা। টাকা গুলো জনগণের করের টাকা তাহলে জনগণের হয়ে সরকার চাঁদা বা অনুদান দিয়ে দিচ্ছে তবুও বাড়ি বাড়ি বিল বা কুপন দিয়ে আসে কেন? গত বছর 70 হাজার টাকা পেয়ে ছিল তবুও বাড়িতে বিল কেটে ছিল পাঁচ শ টাকা। এবছর পঁচাশি হাজার তাহলে কি বাড়ি বাড়ি এসে চাঁদা তোলা বন্ধ হবে! আমার প্রশ্ন তাহলে সরকার জনগণের করে টাকা পুজো কমিটি গুলো কে দিচ্ছে কেন? নাকি এখানেও 75% আর 25% এর গল্প আছে। সত্যিই অদ্ভুত এ রাজ্য সরকার একটি ধর্মীয় উৎসবের আয়োজন করার জন্য টাকা দিচ্ছে অথচ মিড ডে মিল ও একশ দিনের কাজের প্রকল্পে টাকা নেই। এমন অনেক প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে যেখানে ছাত্র ছাত্রী বেশি, 1°5 লক্ষ বা দু লক্ষ টাকার জন্য একটা প্রস্রাবাগার করতে পারছে না। আরেকটা কারণ আছে আপনি যে সব অফিসার বসিয়ে রেখেছেন, তারা ঠাণ্ডা ঘরে বসে কিছু কঠিন আর কঠোর নিয়ম বাড় করেছে, প্রস্রাবাগারের উপরে করা যাবে না। আবার কোন ACR ঘরের উপর করা যাবে না। এসব নানা নিয়ম আরকি বলেই একটা কথা শুনতে হয় সব নবান্নের নির্দেশ। জানি না সব আপনারা নির্দেশ কিনা! 
যাহোক ছাড়ুন আমার প্রশ্ন যদি জনগণের কাছ থেকে চাঁদা তোলা হবে তাহলে সরকার পুজো করার জন্য টাকা দেবে কেন? মদ খাওয়া আর বেড়াবার জন্য। কারণ গ্রামের দিকে ঐ টাকা অনায়াসে পুজো হয়ে যায়। কিন্তু তাদের বক্তব্য হল ঐ টাকা দিদি দিয়েছে। আমরা যা খুশি তাই করতে পারব। এবার অন্তত বাড়ি বাড়ি চাঁদা তোলা বন্ধ হোক। দিদি মনি দিচ্ছেন তিনি জানেন পশ্চিমবঙ্গরে মানুষের আয় কমে গেছে। ক্রয় নেই। অর্ধেক মানুষ একবেলা খেতে পায় না। কারণ মানুষের হাতে অর্থ যোগান কম এই ভাবে যা হয় কিন্তু এগুলো তো নেতা কর্মীদের পকেটে চলে যাচ্ছে। মা দুর্গার আশীর্বাদে তাদের ব্যাঙ্ক ব্যালান্স বাড়ছে যাতে ভোটের সময় মাংস মদ খাওয়াতে পারে আর বোমা হামলা করতে পারে তার জন্য এই ভাবে টাকা দেওয়া হচ্ছে। সাধারণ মানুষের উপর যে চাঁদার জন্য ঝুলুম সেটা কমে নি। একটু খোঁজ নিয়ে দেখুন এই পঞ্চায়েতে গঠন হল প্রতি টি পঞ্চায়েতে এলাকায় খাসির মাংস ভাত খাওয়ার ব্যবস্থা ছিল। এমনকি গননার দিন গননা কেন্দ্রের ভেতর থেকে নকল পুলিশ অফিসার গুলো যখন ফোনে নেতা দের জেতার খবর দিচ্ছিল সেই দৃশ্য বিলেতি মদের ফোয়ারা ছুটছিল। যাহোক ভালো থাকবেন দিদি আপনি সফল হয়েছেন একটা সুস্থ সুন্দর সংস্কৃতির রাজ্যে কে ধ্বংস করতে। যেখানে নারী ধর্ষণ ছোট ঘটনা দেহের জ্বর জ্বালার মত। ঘুষ দিয়ে বি ডি ও, পুলিশের চাকরি এতো একেবারে দ্বিতীয় বিহার ইউ পি বানিয়ে দিয়েছেন। লেখা পড়া ডকে তুলে দিয়েছেন কারণ ঘুষ দিয়ে যে সব শিক্ষক নিয়োগ করেছেন তাদের বক্তব্য এত ছাত্র আসবে কেন আমরা ক্লাসে যাব না। অফিস ঘরে বসে বসে গল্প করব। যদিও যায় অর্ধেকের বেশি শিক্ষক পড়াতে পারে না। কিন্তু ছাত্র ছাত্রী কে পিটিয়ে বলে দিচ্ছে তুই পড়তে পারিস না স্কুলে আসবি না। বুঝতে পারছেন শিক্ষার কি উন্নতি করেছেন। বেশির ভাগ বাচ্চা যাতে স্কুলে না আসে তার জন্য ফোনে তার অভিভাবক দের বলা হচ্ছে। যাহোক আপনি এবং ঐ পিকে মিলে দিল্লির দাদার ইচ্ছা পূরণ করে দিয়েছেন। এখন পশ্চিমবঙ্গরে বিভিন্ন দফতরে কর্মীদের মধ্যে প্রায় পনেরো থেকে কুড়ি শতাংশ অবাঙালি অফিসার। আচ্ছা দিদি আপনি একবার ঐ বিহারের অফিস গুলো তে গিয়ে দেখে আসবেন একজন বাঙালি পাবেন। আপনি জানেন কি জানি না এখনও বিহারে সর্ব ভারতীয় পরীক্ষা গুলতে অন্য রাজ্যের ছেলে মেয়েরা পরীক্ষা দিতে গেলে মেরে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়। আপনি তো ওদের মাথায় তুলে রেখেছেন। ঐ যে পি কের এবং দাদার ইচ্ছা পশ্চিমবঙ্গ টা পূর্ব বিহার বাঙালি ডিটেনশন ক্যাম্পে যাবে। আপনি বাঙালি জাতির মান ইজ্জত ধুলোয় মিশিয়ে দিয়েছেন। আপনার কোন লজ্জা নেই। কারণ আপনার কাছে টাকা সব যে কোন ভাবে টাকা এলেই হবে। আপনি জানেন এই যে পঞ্চায়েতের নির্বাচনে আপনার দলের প্রার্থী কতজন অবাঙালি ছিল। তারা সব মস্তানি করে জিতেছে কেন দেখেছে এখন পঞ্চায়েত বা গ্রামের উন্নতির জন্য বেশি টাকা আসে। দু টাকা খরচ করে আটানব্বই টাকা পকেটে নেওয়া। বিহারে কিন্তু এখনও একই পরিস্থিতি আছে। আপনি একটু খোঁজ নিয়ে দেখুন বিহার উত্তর প্রদেশে এখন সত্যেন দুবে রা খুন হন ভষ্টাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে। যাহোক আপনাকে আমাদের পক্ষ থেকে অসংখ্য ধন্যবাদ বাংলা আর বাঙালির থাকছে না, তাই এই দুর্গা পুজোতে যাতে ঐ সব ভাই গুলো মদ মাংস খেয়ে আনন্দ করতে পারে তার ব্যবস্থা করার জন্য ধন্যবাদ। 

No comments:

Post a Comment

বাঙালি ও বর্তমান ভারত।

 (ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...