ছবিটি ফেসবুক থেকে নেওয়া ছবি টি কারণ বাংলাদেশে বিগত দুর্গা অষ্টমী থেকে যে গত কাল পর্যন্ত ঐ দেশের বিভিন্ন স্থানে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর নির্মম অত্যাচার নামিয়ে আনা হয়েছে। যদি এই অত্যাচার আজ বলে নয় যুগ যুগ ধরে ইসলাম ধর্মের মানুষ ওখানের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের অত্যাচার করে যাচ্ছে এবং তাদের জণ্মভূমি অর্থাৎ দেশ ছাড়তে বাধ্য করে তুলেছে। এটা ওখান কার ইসলাম ধর্মের বেশ কিছু মানুষের পেশা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কত দশক ধরে এই অত্যাচার নির্যাতন করা হচ্ছে, তার হিসেব নেই খালি লুট করে নাও এটাই এদের ধর্ম। যাহোক ছাড়ুন যা লিখব বলে ঠিক করেছি সে দিকে আসি কারণ বাঙালি মুসলমান দের একটা বড় অংশের স্বভাব অপরের সম্পদ লুট করে নেওয়া এবং তাদের তাড়িয়ে ভারতে পাঠান এটা হয়ে আসছে হবে কারণ এর কোনো বিচার নেই ঐ দেশের সরকারের মদতে এসব চলে দেখুন একটা ছবি এবং খবর দিচ্ছি।
হামলাকারির দল এগিয়ে আসছে পাহারা দার পুলিশ সরে যাচ্ছে এলাকা থেকে। আর কথায় কথায় আছে ৯০% মুসলমানের দেশে তোরা বেঁচে আছিস সেটাই বড় ভাগ্য। তাহলে ৮৫% হিন্দুদের দেশে যে সব সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ আছে এবং তাদের ধর্মের অনুষ্ঠান করছে এবং দিনে পাঁচ বার নামাজ ঈদ ও মহরম যা সব পালিত হচ্ছে কই কোন দিন দেখেনি পুলিশ পাহারা দিতে হয়েছে। ৯০%খ্রীষ্টানের দেশে হরিনাম হচ্ছে, দুর্গা পুজো হচ্ছে কই পুলিশ পাহারা দিতে হয় নি কারণ তারা ভদ্র সত্যিই তারা ধর্ম বলে মানে,। ৯০ % বৌদ্ধের দেশে হরিনাম হচ্ছে আবার দুর্গা পুজো হচ্ছে। কেউ বাধা দেয়নি বা পুলিশ পাহারা দিতে হয় নি। আসলে ভদ্র অভদ্র মধ্যে পার্থক্য আছে বাংলায় যারা এসব করলেন বা করে চলেছেন যুগ যুগ ধরে নিজের এবং দেশের সণ্মাণ বাড়িয়ে চলেছেন খুব বেশি করে। আসলে সেই শিক্ষা নেই যে এখন ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ায় এবং সোশ্যাল মিডিয়ার যুগ মুহুর্তে আপনার কীর্তির ছবি সহ ভিডিও পৌঁছে যাচ্ছে বিশ্বের নানা প্রান্তে। আসলে ধর্মের নামে শিক্ষা বা ধর্মীয় শিক্ষা নিয়ে একটু অজুহাতে ঝাঁপিয়ে পড়ে অপর ধর্মের মানুষ উপর অত্যাচার করে তাদের সম্পদ লুট করে বা দখল করে এবং মেরে খুন করে দিল আহা কি বাহাদুরি কিন্তু যেই অন্য দেশ এসে মিসাইল নিয়ে আক্রমণ করে তখন কি করে তরবারি নিয়ে মিসাইল এর বিরুদ্ধে লড়াই করতে যায়। যেমন সাদ্দাম হোসেন ইরাকের সেই প্রেসিডেন্ট গিয়ে ছিল। এই সব ধর্মান্ধ মানুষ তথা দেশের উন্নতি সর্বদা নির্ভর করে অপর দেশের সব রকম সাহায্য উপর। যদি বিশ্বের এই রকম দেশ গুলোর একটু খবর নিয়ে দেখুন দেখবে এরা হয় টাকা দিয়ে প্রযুক্তি কিনে আনছে বা প্রযুক্তি জানা লোক কে মোটা টাকা দিয়ে দেশে এনে উন্নতি করছে। বিশেষ করে আরবের তেল নির্ভর দেশ গুলো, আর যে সব দেশে এই প্রাকৃতিক সম্পদ কম তারা যে টুকু আছে সেটা বিদেশের বা উন্নত দেশের সাথে চুক্তি করে নিয়ে আসছে দেশের উন্নতি করার জন্য যেমন পাকিস্তান, আফগানিস্তান ইরান ইরাক। পাকিস্তান তো পুরোপুরি চীনের উপর নির্ভরশীল হয়ে গেছে। কারণ একটাই ধর্মীয় শিক্ষা এবং সমাজের একটা বড় অংশ মেয়েদের শিক্ষায় বাধা দান। আফগানিস্তানের কথা না বললাম গত আগষ্ট মাসে কী ঘটেছিল সবাই জানে এখন অর্ধেকের বেশি মানুষ ঠিক মত খেতে পাচ্ছে না কারণ পেটের জ্বালা বুলেট খেলে মিটবে সে তো একে বারে আল্লাহ দরবারে চলে যাবে। কারণ একটা ঐ ক্ষমতা চাই আর শিক্ষা হবে ধর্মের অন্য কোন শিক্ষা চলবে না। আধুনিক শিক্ষার ধারে কাছে আসে না এরা বিজ্ঞান শিক্ষা হোক বা অন্য কোন উন্নততর শিক্ষা এদের পছন্দ হয় না। ইদানীং আরব আমীর শাহি, ইউরোপ ও ভারতীয় শিক্ষা ব্যবস্থার বেশ কিছু অংশ পাঠ্য হিসেবে রেখেছে। পাশের দেশ বাংলাদেশ সে খাদ্য ও আরও নানা কিছুর জন্য ভারতের উপর নির্ভরশীল কারণ চারপাশ ভারত এই জন্যেই কিন্তু এখন চীনের দিকে ঝুঁকেছে বিভিন্ন প্রকল্পে চীনের সাহায্য নিচ্ছে। নিজের প্রযুক্তি সে তো বাঁশের কঞ্চি দিয়ে ঢালাই দেওয়া।
এবার ঠিক উল্টো দিকটা দেখা যাক, মনে আছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় সবথেকে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ জাপানের কথা। যেখানে ১৯৪৫ সালের ৬ ই আগস্ট ও ৯ ই আগস্ট আনবিক বোমার ( এ্যাটম বোমা) আঘাতে দুটি শহর মুহূর্তে শসানে পরিনত হয়ে গিয়েছিল। সেই জাপান আজ পৃথিবীর শক্তিধর দেশ গুলোর মধ্যে একটা, এখানে ১০০ % মানুষ আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত এবং সেই শিক্ষা যে কেবল মেকি নয় সেটা এদের বিভিন্ন দেশে উপস্থিত দেখলেই বোঝা যায় এরা খুব পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকে। আর ও বিষয়ে থাক ধর্মের বিষয়ে এখানে বৌদ্ধ ধর্মের প্রভাব বেশি তবে ৬২% মানুষ সে ভাবে ধর্ম নিয়ে মাথা ঘামান না। বাকি ৩৮% মানুষের মধ্য বৌদ্ধ ও খ্রীষ্টান এবং অন্যান্য ধর্মের মানুষ আছেন এদের দেশে কোন দিন ধর্ম নিয়ে দাঙ্গা শোনা যায় না। বিশ্বের সব থেকে শক্তি শালী আমেরিকা, রাশিয়া, এদের দেশে ধর্ম আছে কিন্তু ধর্মের নামে মানুষ মানুষে হানাহানি নেই। আর ইজারাইল বা ইস্রাইল একটু ইতিহাস জেনে নিন তবে ভুল জানবেন না। কারণ সেদিন একটা বাংলা দেশি মহিলা কন্ঠে ইস্রাইলের বর্ননা করতে বলছে ওটা নাকি আরবের অংশ ওদের থাকতে দিয়ে ছিল এখন ওরা জোর করে দখল করে আছে। এসব ভুল তথ্য না দিয়ে একটু সঠিক তথ্য জোগাড় করে দিন, কারণ ওখানে দুটি বিখ্যাত জায়গা আছে একটি জেরুজালেম ও একটি বেথেলেহম যেখানে যীশু খ্রীষ্ট জণ্ম গ্রহণ করে ছিলেন। আসলে জার্মানি বসবাস কারি ইহুদীরা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মানি ছেড়ে তাদের দেশ ইস্রাইলে চলে এসেছিল। এখন বিশ্বের সব থেকে উন্নত দেশ, প্রযুক্তি থেকে কী নেই ঐ ছোট্ট দেশের। আসলে ধর্ম নিয়ে বেশি মাতামাতি করার জন্য আসল শিক্ষাটাই হয় নি যে কারণে আজ অন্য দেশের উপর নির্ভরশীল হয়ে কাজ করতে হচ্ছে, প্রযুক্তির কিছু জানেন না, কখনো ভারত কখনো চীন। চীন একটি উন্নত দেশ সর্ব দিক থেকে এখানে বৌদ্ধ ধর্মের প্রভাব বেশি তবে ধর্ম নিয়ে মাতামাতি করে না থাকেন কাজ নিয়ে এমন কিছু নেই যেটা এই দেশের নেই কেবল উন্নত মানের শিক্ষার জন্য। আর ধর্মের নামে মানুষ খুন এই দেশে অসম্ভব কারণ এরা কোন ধর্ম নিয়ে এখানে মাতামাতি বন্ধ ঐ উইঘুরের মুসলিম চীন সরকার জানে ইসলাম বা মুসলমান মানে ঐ হাদিস, আমিন কোরান পড়া এসব পড়ে আলেম হালেম তৈরি করা দেশের কোন কাজে আসবে না। একদম সব রকম ভাবে বন্ধ করে দিয়েছে, চীনের উইঘুরের সংবাদ পেতে নেটে সার্চ করে দেখুুন দেখবেন মসজিদ ভেঙে সেখানে শৌচাগার তৈরি করে দিয়েছে। আজ ভারত বর্ষ একটা কারণেই এখনও ঐ আমেরিকার ও রাশিয়ার ও অন্যান্য উন্নত দেশের উপর নির্ভরশীল কারণ শিক্ষা এবং দেশের বেশ কিছু অংশ এখন আধুনিক শিক্ষা থেকে বঞ্চিত, এর মধ্যে অনেকেই আবার ধর্মের শিক্ষা নিয়ে বসে আছে, দেশের বা দশের কোন কাজে লাগে না। পশ্চিমবঙ্গের আব্বাস সিদ্দিকী না জেনে বাংলাদেশের ঘটনা নিয়ে মন্তব্য করে দিল। সি সি টিভি দেখে যাদের ধরা হয়েছে তারা প্রত্যেকেই মুসলমান। কী জানি এসব জেনে এবার কি বলে? আমার মনে হয় বামপন্থীরা এর সাথে জোট করে ভুল করে ছিল। অর্থাৎ ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি কোন জাতিকে উন্নত করে তুলতে পারে না। কেবল পিছিয়ে পরা এবং উন্নত দেশের কাছে হাত পাতা আর চীনের মত দেশ হলে সে তো কেবল উন্নত করতে আসবে না দেশের সমস্ত সম্পদ এবং দেশে টি উপনিবেশে পরিণত করে ছাড়বে। হং কং, তাইওয়ান, তিব্বত, এখন মায়ানমার, সেখান থেকে রোহিঙ্গা মুসলিম দের তাড়ানো হলো দখল করে ঐ জায়গা দিয়ে বাংলাদেশে আসা অর্থাৎ ভারত কে এড়িয়ে তার একটি অংশে ঢোকা। যেমন ওপাশে পাকিস্তানের মধ্য করছে ঠিক একই ভাবে বাংলাদেশ কে নিয়ে পরেছে। শ্রীলঙ্কা বুঝতে পেরে তাড়িয়েছে, মালয়েশিয়া তাড়িয়ে দিয়েছে এখন এই দুই দেশ তথা ভারতের অংশ নিতেই হবে কারণ না হলে ভারত কে জব্দ করা যাবে না। এরা তো ধর্মান্ধ ধর্মের নামে নিজেরা মারামারি করে আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থা হবে ওর উপর নির্ভর করতে হবে। সত্যিই বাঙালি জাতির এত অধঃপতন কেবল এই ধর্মের মানুষ গুলোর জন্য ভাবা যায় না। এই কারণেই এর আগে এই ব্লগে লিখেছি ধর্ম থাক মন্দিরে, মসজিদে, গীর্জায়, চার্চে, আর নিজের অন্তরে। ধর্ম যখনই রাস্তায় নেমে আসে তখনই আসে অশান্তি।
No comments:
Post a Comment