Anulekhon.blogspot.com
Friday, 24 September 2021
আবার ভোট শুধু শুধু জনগণের টাকা খরচ।
আমাদের রাজ্যের তিনটি বিধানসভা কেন্দ্রের উপ নির্বাচন, একটি তে তো চার মাস আগে ভোট হয়েছে সেখানে একজন জিতে ছিলেন তিনি পদত্যাগ করেছেন, আরেক জন কে ভোটে জেতানোর জন্য। আমার মতে এসব প্রহসন করে কি লাভ? ভোটে কে বা কারা জিতবে সেতো জানাই আছে কেবল জনগণ বা নির্বাচক মণ্ডলী কে হয়রানি করা ছাড়া আর কিছু না। আর জনগণের ট্যাক্স এর কোটি কোটি টাকা খরচ ভারতের নির্বাচন ব্যবস্থা ও তো এখন একটা প্রহসন মাত্র। যত দিন না ইভিএম মেশিনে ভোট বন্ধ হবে তত দিন এই প্রহসন চলবে, যে দল বেশি টাকা খরচ করতে পারবে সে দল জিতবে। ব্যতিক্রম কিছু রাখতে হবে কারণ না হলে বলা যাবে না সঠিক নির্বাচন হচ্ছে। না হলে বলুন আজ কত বছর হল বি জে পি গুজরাতে সরকার চালাচ্ছে এত ভাল কাজ করেছে, যে বস্তি তে বিদেশি প্রেসিডেন্টের নজর না পরে সেই জন্যই প্রাচীর তুলে চাপা দিচ্ছে। এই বিজেপির সেই গুজরাতের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মিলে কি করছে দেশটা কে বিক্রি করে দিচ্ছে। প্রতিটি জিনিস পত্র দাম আকাশ ছোঁয়া সাধারণ মানুষের আয় উপায় নেই, যেমন আমাদের রাজ্যের সরকার তেমন ঐ দিল্লির সরকার জনগণের নাভিঃশ্বাস উঠচ্ছে, তাতে কি নেতা মন্ত্রীরা তো দুধে ভাতে আছে কোটি কোটি টাকা আয় আবার আয় কর দিতে হয় না, ভারি মজা। এই যে মেশিনে ভোট হয় এই ভোটের মেশিন যে দেশে প্রথম তৈরি করা হয়েছে ছিল সেই দেশে বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। কারণ একটাই এ রকম ভোটের মেশিনে হামেশাই কারচুপি করে জনগণের রায় কে পাল্টে দেওয়া যায়। পশ্চিমায় যেসব দেশে মেশিনে ভোট হতো সেখানেও এখন ব্যালটে ভোটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আর জনগণের করের কোটি কোটি টাকা খরচ করে এখানে ভোটের নামে প্রহসন চলবে এবং জনগণের মধ্যে কিছু মদ মাতাল গুণ্ডা মাস্তান মদ মাংস আর টাকার নিয়ে মানুষের জীবন অতিষ্ঠ করে ভোট করবে কেউ কেউ মারা যাবে। কারণ নেতা জিতলে যা কিছু টাকা ছুঁড়ে দেবে ওতেই লাভ? বাঙালির এ অধঃপতন আমাদের দেখে যেতে হচ্ছে।আবার কলকাতায় ভোট ওখানে তো বাঙালি নেই অর্ধেকের বেশি অশিক্ষিত বিহারের উত্তর প্রদেশে এবং রাজস্থানের মারোয়ারির দল। আর এদের জন্য বাঙালির আজ এত বদনাম। এরা বিহারের ভোট হলেও সেখানেও একই কাজ করত এখানেও তাই করে। তাই আমার মতে ভোট করে লাভ কি?
রেল ওভার ব্রিজ তুমি কার?
ছবিটি অনুলেখন এর নিজস্ব গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে তোলা। কামারকুণ্ডু ফ্লাই ওভার ব্রিজের নীচে। এবছর এই রেলওয়ে ফ্লাই ওভার ব্রিজ পুরোপুরি তৈরি এমন কি নীল সাদা রং লাইট লাগানো সব শেষ, কিন্তু মানুষের অধিকার নেই ঐ ব্রিজ দিয়ে যাওয়ার নীচের এই রকম ভাঙাচোরা রাস্তা দিয়ে প্রাণ হাতে করে দু চাকা চার চাকা ছুটে চলেছে। বর্ষায় জল যত জমছে তত খারাপ হয়ে যাচ্ছে রাস্তা। কারো ভ্রুক্ষেপ নেই,আর তৈরি হয়ে যাওয়া রেল ওভার ব্রিজ দু দিকে আটকে রেখে দেওয়া হয়েছে। জানা নেই কেন, কার জন্য এই রেল ওভার ব্রিজ দীর্ঘ সাত আট বছর ধরে তৈরি করার পরেও মানুষ কে ভাঙা চোরা রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে বাধ্য করা হচ্ছে। সবটাই যদি জনগণের জন্য হয়ে থাকে তাহলে সেটা জনগণ ব্যবহার করতে পারেন না কেন? জনগণের করের টাকায় তৈরি জনগণের জন্য কিন্তু যতক্ষণ না মন্ত্রী মশাই নিজের নাম খোদাই করে বোর্ড লাগাচ্ছেন ততক্ষণ জনগণের অধিকার নেই ওটি দিয়ে যাওয়ার। তাহলে শুধু শুধু কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে এসব তৈরি করা কেন? কেবল কাটমানি নেওয়ার জন্য।
গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে নালিকুলের রেল ওয়ে ওভার ব্রিজের পাশের রাস্তা। এর পর দু মাসের উপর সময় নিয়ে রাস্তা সারানো হয়ে ছিল, কিন্তু এবছর এই সেপ্টেম্বর মাসে সেই আবার গর্ত হতে আরম্ভ করেছে। আসলে তা এই সব রাস্তা তৈরির এমন ভাবে করা হয়েছে গোরু তে তে চেটে চেটে সব পিচ আর পাথর ঠিক ঐ জায়গা গুলো তেই খেয়ে ফেলেছে। সত্যিই বাংলার জনগন খুব ভালো অল্পেই সন্তুষ্ট দু টাকা কিলো চাল, দু শো পাঁচ শো টাকা আর কুড়ি টাকা পাউচ মদ ব্যস আর কি চাই। খুব ভালো লাগে দারুণ খুশি আমরা, তবুও তো মানুষ কিছু পাচ্ছে। কিছু না হয় মরবে তাতে কি? রাস্তা খারাপ ওতে কিছু যায় আসে না। সবটাই জনগণের আবার কিছুই নেই জনগণের যতখন না এই সব নেতা মন্ত্রী দের দয়া হবে ততক্ষণে কিছুই জুটবে না। আমাদের রাজ্যের কেন দেশের সাধারণ মানুষের সুস্থ ভাবে বেঁচে থাকা নির্ভর করে এই সব চোর চিটিংবাজ মিথ্যাবাদী ধাপ্পাবাজ নেতা মন্ত্রী দের ইচ্ছার উপর।
Friday, 17 September 2021
বিখ্যাত লোকের জণ্ম তারিখ একটি নির্দিষ্ট হয়!
ছবিটি সৌজন্যে NDTv অন লাইন । আরও কয়েকটি আছে পরে দিচ্ছি। বিখ্যাত মানুষ সারা ভারত বর্ষ কেন বিশ্ব জানে ইনি আমাদের দণ্ড মুণ্ডের কর্তা। কথা কথায় হুকুম করেন জারি। নিজের কাজের কৈফিয়ৎ দেন না, সাংবাদিক দেখলে এড়িয়ে যান। আজ প্রায় আট বছর হতে চলল সাংবাদিক দের প্রশ্নের উত্তর দিতে কেউ দেখে নি। এরকম একজন মহান দেশ বিক্রেতা এই কারণেই ইনি দুবার জণ্ম গ্রহণ করেছেন। একটা জণ্ম দিন অর্থাৎ 17 ই সেপ্টেম্বর 1950 সে কারণেই গত 17 ই সেপ্টেম্বর দেশ জুড়ে জণ্ম দিন পালন করা হচ্ছে তবে বিভিন্ন ভাবে, বেকার যুবক যুবতী পালন করল বেকার দিবস হিসেবে। কারণ ইনি ক্ষমতায় আসার পর থেকে দেশে বেকারি এত বেড়েছে যা স্বাধীনতার পর সবথেকে বেশি। কারণ দেশটাকে কর্পোরেটের হাতে অর্থাৎ একচেটিয়া পুঁজির কাছে বিক্রি করে দেওয়ার প্রতিজ্ঞা করেছে এই দুবার জণ্ম নেওয়া ব্যক্তি টি। কর্পোরেটের লক্ষ্য একটাই দেশে যত বেকার বাড়বে তত সস্তায় লেবার বা শ্রমিক পাওয়া যাবে। কম বেতনের কর্মী, সরকারি দপ্তর গুলোতেও নিয়োগ নেই, কিন্তু নিয়োগের বিজ্ঞাপন আছে কারণ কোটি কোটি টাকা লাভ ঐ বিজ্ঞাপন থেকে। কি করে বেকার ছেলে মেয়ে দের ফর্ম পূরণের জন্য দিতে হয় পাঁচশ টাকা থেকে শুরু করে হাজার টাকা। যাহোক একটা জণ্ম দিন তো বেকার দিবস আরেকটা জণ্ম দিন 29 শে আগস্ট 1949 ঐ দিন টি কে দেশ বিক্রি বা দেশ বেচা দিবস হিসেবে পালন করা হোক। আর সামনের বছর 15 ই আগস্ট বা যে দিন এই লোক টি শপথ নিয়ে ছিল সেই দিন টা কে পরাধীনতা দিবস হিসেবে পালন করা হোক। কারণ আবার আমরা পরাধীন হতে চলেছি ঐ সব গুজরাতি ব্যবসায়ী দের কাছে। গান্ধী একটা গাণ্ডু সে নাকি অনশন করে দেশ স্বাধীন করে ফেলে ছিল। ইংরেজের সাথে বারবার গোল টেবিল বৈঠক করত কিভাবে গুজরাতিরা ভালো করে ব্যবসা করতে পারে তার জন্য। আর নাথুরাম দের হাত থেকে বাঁচতে ইংরেজের হাতে পায়ে ধরে জেলে ঢুকে যেত। সকলে এই চিটিংবাজ জোচ্চর মিথ্যাবাদী ধাপ্পাবাজ এর দূরে থাকুন, ভালো থাকবেন। বাকি ছবি এখানে দিলাম।
Thursday, 16 September 2021
রাজ্যের সব ভুয়ো, কে আসল বোঝা দায়!
ছবি সৌজন্যে tv9 ডেইলি হান্ট নিউজ পোর্টাল । আমি হয় তো ভালো ভাষায় লিখিতে পারি না। যার জন্যে অনেকেই শিরোনাম পড়ে ছেড়ে দেন। আমার অনুরোধ যারা পড়বেন একটু সবটাই পড়ে আমার ব্লগের মন্তব্য করতে ভুলে যাবেন না।
পশ্চিমবঙ্গে যে ভাবে ভুয়ো বা জাল অফিসার ধরা পড়েছে। এসব দেখে শুনে মনে হচ্ছে, এরাই গত কয়েক বছর নির্বাচন পরিচালনায় নিযুক্ত ছিলেন। আর পি কে নামক লোক টি এবং এই রাজ্যে শাসক দলের মাথারা জানে আরও কত ভুয়ো অফিসার পুলিশ কর্মী আছেন। দেখুন চন্দন নগর থেকে ভুয়ো পুলিশ ধরা পড়ার কয়েক দিন পর আবার কলকাতা পুলিশ।
এর আগে সি বি আই অফিসার তার আগে ডাক্তার, আই এ এস, আই পি এস। কত বলব কলকাতা কর্পোরেশনের ভুয়ো অফিসার। আসলে আমাদের রাজ্যের সমস্ত সরকারি অফিস পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে বি ডি ও থানা এবং স্কুল কলেজ সর্বত্র এই ভুয়োও ভড়ে দেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে তাদের ধরা হচ্ছে যারা আর বেতনের ভাগ টুকু সঠিক জায়গায় দিচ্ছে না। যাহোক পি কের দৌলতে অনেকেই সরকারি পরীক্ষা না দিলেও সরকারি অফিসার হয়ে। ই ভি এম গার্ড দিয়ে ভোটে জেতার ব্যবস্থা করে দিল। আসলে ভোট কুশলির এটাই কৌশল যে ভাবে হোক জেতাতে হবে। কয়েক কোটি টাকা নিয়েছে না। আবার এমন এক জন তিনি বাঙালি জাতির ভালো দেখতে পারেন না। তাই চোর ডাকাত মিথ্যাবাদী ধাপ্পাবাজ তাদের হয়ে ভোটে জেতার কৌশল করে গেছেন। ভারতে গনতন্ত্র বলে কিছু নেই, এখানে সব কিছু টাকার বিনিময়ে পাওয়া যায়। টাকার দিয়ে ভোট কে প্রহসনে পরিনত করা যায়। কেউ কি বলতে পারবেন না, এর নাম গনতন্ত্র ছিঃ ছিঃ। যে খানে নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ নয় সে কি করে নিরপেক্ষ ভোট হবে? যদি নির্বাচন কমিশন ঠিক হত তাহলে এ দল ও দল করা নেতা এবং চোর ডাকাত খুনি ধর্ষণ কারি রা এম এল এ বা এম পি হতে পারত না। আমার রাজ্য তথা দেশটা কোথায় যাচ্ছে আমরা এত নির্লজ্জ বেহায়া হয়ে গেছি একবারো ভাবছি না। নেটফ্লিস্কে নারকোস নামে একটি ওয়েব সিরিজ খুব জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। আসলে এই নারকোস সিরিজ টি চলছে যে মানুষ টির জীবন অনুকরণে তিনি আর কেউ নন প্রায় একশ জন কুখ্যাত বা সুখ্যাত রাজনৈতিক নেতা কে যিনি খুন করে ছিলেন সেই পাবলো স্কোবার জীবনি। খুব ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন, যদিও রাজ্যের চোর ডাকাত পরিচালিত সরকার শান্তিতে থাকতে দেবে না।Thursday, 9 September 2021
এখন সব কিছু দুয়ারে! দুয়ারে সরকার, দুয়ারে রেশন।
ছবি সৌজন্যে ডেইলি হান্ট নিউজ পোর্টাল । ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের কয়েক মাস আগে শুরু হয় দুয়ারে সরকার, তখনই ঐ দুয়ারে সরকারের ক্যাম্পে সব রকম আবেদন করেন, বিভিন্ন মানুষ। কয়েক জন সুবিধা গুলো পেয়ে যান, সেটা খুব করে প্রচার করা হয়, কিন্তু যারা পেলেন না তাদের ঐ সব ফর্ম গুলো কি হলো, তার হদিস নেই। এই সব ফর্ম পূরণ করার পর অনেকের মোবাইল এ একটা ম্যাসেজ আসে কারো আসে না, ঐ পর্যন্তই ব্যাস শেষ, যেমন আমাদের রেশন কার্ডের আবেদন এই নিয়ে চতুর্থ বারের জন্য আবেদন করা হলো, এত দিনে ঐ একটা ম্যাসেজ এসেছে।
এই ম্যাসেজ এর আগে পাওয়া যায়নি যাহোক এবার পাওয়া গেছে, কিন্তু বেশ কিছু মানুষের বক্তব্য ঐ ম্যাসেজ তারা অনেক বার পেয়েছেন কোন কাজ হয়নি। এমনকি গত দুয়ারে সরকার ক্যাম্পেও আবেদন করেও কোন ফল হয়নি। তাহলে সরকারের এই সুবিধা অর্থাৎ দুয়ারে রেশন কারা পাবেন, বোঝা যাচ্ছে, কারণ সরকার টি পশ্চিমবঙ্গ সরকার নয় তৃণমূল সরকার অর্থাৎ তৃণমূল দাদা, নেতা মন্ত্রী কর্মী এদের সরকার, যা কিছু ঘোষণা সব এদের জন্য। সাধারণ মানুষের অধিকার কেবল একটি ভোটের, তাও ভোট দিতে দেওয়া হলে অধিকার না হলে নেই। পশ্চিমবঙ্গে কেন গোটা ভারত বর্ষে এখন নির্বাচন হয় না কেবল প্রহসন হয়। আগেই ঠিক করা থাকে কে জিত বে বা কাকে জেতানো হবে। পশ্চিমবঙ্গের সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের অবস্থা যা ছিল তাই আছে, উন্নয়ন তো নেতা মন্ত্রী কর্মী দের। এই সব নেতা মন্ত্রী দের ঘুষ বা কাটমানি দিতে পারলে সব কাজ সাথে সাথে মিলবে না হলে হবে না। কেবল ঘোষণা করা হবে আর প্রচারে চটকে অর্ধেকের বেশি গরীব মানুষ কোন সরকারী সুযোগ সুবিধা পাবেন না। কি সুন্দর না, আজকে আরেকটা ঘোষণা দেখলাম, পরিযায়ীর দুয়ারে না এই রকম একটা ঘোষণা করা হয়েছে। দেখা যাবে এই পরিযায়ী শ্রমিক ও ঐসব নেতা কর্মীদের মধ্য থেকে পাওয়া যাবে।
শিক্ষক পরিবারের, "ফ্যামিলি পেনশন" পেতে হয়রানি।
ছবি সৌজন্যে ডেইলি হান্ট নিউজ পোর্টাল । জানা নেই আমার এই লেখা কোন সরকারী আধিকারিক পড়বেন কি না? বর্তমান সরকার অনেক কিছু ঘোষণা করেন এবং কিছু মানুষ তার সুযোগ সুবিধাও ভোগ করেন। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ন্যায্য প্রাপক কে সেটা থেকে বঞ্চিত করা হয়। অথচ প্রচারের ঢক্কা নিনাধে, পশ্চিমবঙ্গ তথা ভারতের আকাশ বাতাস মুখরিত হয়ে ওঠে। এই ফ্যামিলি পেনশন ও সেই রকম একটা ঘটনা, আজ ঘোষণা করা হয়েছে ফ্যামিলি পেনশন বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। খুব ভালো লাগলো, কিন্তু এই পেনশন পাওয়ার জন্য কত জন লাইন দিয়ে আছেন তাদের কি হবে? বিশেষ করে প্রাথমিক শিক্ষক পরিবারের, অদ্ভুত নিয়মের গেড়ো তে আটকে পড়েছে। যদিও জানি না নিয়ম টা উচ্চ পদাধিকারি অফিসারের মন গড়া, না জেনে বুঝে হয়রানি করার ইচ্ছা। শিক্ষক জীবিত থাকলে পেনশন পেতে হলে তার আসল সার্ভিস বুক সহ সমস্ত আসল কাগজ জমা দিতে হয়, তবে পেনশন জোটে। এবার ঐ শিক্ষক মারা যাওয়ার পর তার পরিবার অর্থাৎ স্ত্রী পেনশন পান এবং স্ত্রী যদি মারা যান তখন তার অবিবাহিত বা বিবাহ বিচ্ছিন্ন কন্যা বা নাবালক ও বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন পুত্র সেই পেনশন পান। স্ত্রীর মৃত্যুর পর তার ঐ রকম উত্তরাধিকারী কে পেনশন পেতে জোগাড় করতে হবে, মৃত শিক্ষকের সার্ভিস বুক, আর তার সাথে অন্য কাগজ পত্র এবার ঐ মৃত শিক্ষকের সার্ভিস বুক না হলে তার পেনশন পাওয়ার অধিকার নেই, যতই তার কাছে বাকি কাগজ পত্র থাক যতক্ষণ না ঐ সার্ভিস বুক হবে সে কিছুতেই ঐ পেনশন পাবে না। অথচ শিক্ষকের পেনশন শুরুর আবেদন করার সময় যার সার্ভিস বুক জমা দিতে হয়েছে এবং সাথে সমস্ত আসল কাগজ। শিক্ষক দের কোন দিন নকল (duplicate) সার্ভিস বুক দেওয়া হয় না। কি সুন্দর ব্যবস্থা না, আমি জানি না অফিস জানে, না ইচ্ছাকৃত হয়রানি করা হচ্ছে, শিক্ষক পরিবারের সদস্য কে! আমার তো মনে হয় একটি আইনত উত্তরাধিকার শংসাপত্র, মৃতের মৃত্যুর শংসাপত্র, পিপিওর জেরক্স, থাকলে আবেদন করা যায়।যারা দীর্ঘ দিন পেনশন পাওয়ার পর মারা যান তাদের পরিবারের পিপিওর জেরক্স পেতেও অনেকেই সাব ডিভিশনের ট্রেজারির স্মরণাপন্ন হতে হয়। সেই কারণেই বলছি জানি না এই ঘোষণায় কোন পরিবার কতটা সুবিধা পাবেন।
Friday, 3 September 2021
স্কুল না খোলার জন্য আমি, আপনি এবং আপনার মত জনগণ দায়ি।
উপরের ছবিটি একটি screenshot ফেসবুক এর singur city page থেকে নেওয়া । এই ধরনের পোস্ট আমি এর আগে নারী কথা নামক একটা পেজে দেখে ছিলাম। সেখানের উত্তর টি মনে হয়, অনেকেই পড়েছেন বা পড়েনি, আমি জানি ফেসবুকের এই ধরনের পেজ গুলো খোলা হয়েছে বা এর এডমিন প্রচন্ড চিন্তা করেন শিক্ষা নিয়ে অথচ খবর রাখেন না। শিক্ষক দের দাবি দাওয়া নিয়ে গত দেড় বছর ধরে চলে আসা আন্দোলন সম্পর্কে, তাদের মূল দাবি কোভিড বিধি মেনে বিদ্যালয় খুলতে হবে, বা শিশু কে শিক্ষা অঙ্গনে ফিরিয়ে আনতে হবে। যাহোক ছাড়ুন ওসব, জানেন সরকার পোষিত শিক্ষক সংগঠন আছে, তাদের সাথে এডমিন এই বিষয়ে কথা বলতে পারেন। কারণ আমি তাদের কোন দিন বলতে শুনিনি বিদ্যালয় খুলে দিতে হবে এই দাবি নিয়ে আন্দোলনে নামতে। এই কোভিড বা করোনার মধ্যেই ঘটা করে শিক্ষক দিবসে অনুষ্ঠান হবে, সরকারি টাকায়।সেখান অনেক সরকারের সমর্থন করা শিক্ষক থাকবেন তাদের জিজ্ঞাসা করে দেখতে পারেন। সরকারি টাকায় বা আমার আপনার করের টাকা লুঠ পাঠ চলছে, কোথায় টিফিন ফাণ্ডের নামে, কোথাও সরকারি প্রকল্পের নামে। সে সব নিশ্চয়ই বন্ধ হওয়া দরকার।
বাদ দিন ওসব আপনি যে প্রশ্ন তুলেছেন তার উত্তরে আসি, আপনি নিশ্চয়ই জানেন বিদ্যালয় বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কেবল শিক্ষকের ইচ্ছা তে চলে না। সেখানে শিক্ষক ছাত্র অভিভাবক প্রত্যেকের ভূমিকা আছে। বিদ্যালয় খোলার জন্য আন্দোলন বলছেন শিক্ষক দের বেতন বন্ধ করে দিলে আন্দোলন করত। আপনার মনে হয় শিক্ষক রা আন্দোলন করে নি, আমি জানি শিক্ষকরা আন্দোলন করেছেন। আর আপনার ধারণা শিক্ষকরা আন্দোলন করলেই বিদ্যালয় খুলে দেওয়া হবে। আপনার মনে হয় এই সরকার শিক্ষক দের আন্দোলন কে গুরুত্ব দিয়ে তাদের দাবি মেনে বিদ্যালয় বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেবে। ছাড়ুন ওসব আপনি দেখছেনে বা শুনেছেন কি না জানি না, বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে হবু শিক্ষক কুল মানে যাদের নাম নিয়োগ তালিকায় (প্যানেল) আছে তারা অনশন করে ছিল, জানি না আপনি জানেন কি না আজ পর্যন্ত তাদের এক জন ও নিয়োগ পত্র হাতে পায় নি। ঐ অনশন করতে গিয়ে এক সন্তান সম্ভবা মা তার গর্ভের সন্তান কে হারিয়ে ছিল। আর বামপন্থী দের যে সব আন্দোলন ওসব বাদ দিন ওরা ফালতু, মানুষের সাথে থাকে না মানুষের কথা বলে না। কাজ হারানো শ্রমিক দের লক ডাউনে সাড়ে সাত হাজার টাকা দিতে হবে, আরও কত গুলো দাবি নিয়ে এখনও আন্দোলন করে যাচ্ছে, আমি জানি না কটা এই সরকার মেনে নিয়েছে। সেই কারণেই মনে হয় না, বেতন বন্ধ করে দিলে শিক্ষক কুল আন্দোলন শুরু করবে আর দিদি মনি স্কুল খুলে দেবেন, এ চিন্তা অবান্তর।
এতো গেলো আন্দোলনের কথা এবার আমি যদি বলি এই বিদ্যালয় বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান না খোলার পিছনে আপনি বা আপনারা বা আপনাদের মত অভিভাবক দায়ি ।কথা টা বলা ভুল হবে কি? একবার ভেবে দেখুন তো বিদ্যালয় বন্ধ হয়ে গেছে গত ১৬/৩/২০ তারিখ থেকে। আর গত বিধানসভা ভোটের আগে বিদ্যালয় খোলা ছিল না, বা দিদি মনি বলেন নি ক্ষমতায় এসে আগে বিদ্যালয় গুলো খুলে দেওয়া হবে। এসব সত্ত্বেও আপনার মত অভিভাবকের দল নাচতে নাচতে দিদিকে ভোট দিয়ে এসেছেন। কারণ ঐ ভিক্ষা গুলো, দু টাকা কিলো চাল, সাইকেল, নানান শ্রী, এখন আবার লক্ষী ভাণ্ডার। ডবল ডবল চাকরির সুযোগ শুনে আনন্দে আত্মহারা হয়ে বোতাম টিপে দিয়ে এসেছেন। ভেবে ছিলেন যে বিদ্যালয় টা খোলা দরকার বেকার যুবকদের চাকরি বা কাজ দরকার। বলবেন সব বেকার কে কি সরকার চাকরি দিতে পারে? আমিও জানি পারে না। কোন সরকার পারে না কিন্তু চাকরির পরীক্ষা গুলো করে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে চাকরির ব্যবস্থা করা যায় অবশ্যই লক্ষ লক্ষ টাকা ঘুষ না নিয়ে । কিম্বা নতুন কল কারখানার ব্যবস্থা করে কর্ম সংস্থান করা যায়, না আপনি এবং আপনার মত মানুষ গুলো চান না রাজ্য টা সুস্থ ভাবে চলুক। আসলে রাজ্যের মানুষ যতখন না ভিক্ষারি হচ্ছে, যুব সমাজ মাতাল তো হয়ে গেছে কারণ মদ বিক্রি তে পশ্চিমবঙ্গ দ্বিতীয়, এবং যুব সমাজ যতক্ষণ না চোর ডাকাতের পরিনত হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত আপনার মত মানুষ এই দিদির জয় গেয়ে যাবেন। সবশেষে বলি স্কুল না খোলার জন্য আপনি এবং আপনার মত দিদির সমর্থক গন দায়ি।
বাঙালি ও বর্তমান ভারত।
(ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...

-
সরস্বতী পুজোর পদ্ধতি, পরপর যা করতে হবে।১)আচমন ২)বিষ্ণু স্মরণ ৩)স্বত্ত্বি বাচন ৪) স্বত্ত্বি সূক্ত ৫) সাক্ষ্য মন্ত্র ৬) বরণ ৭) সংকল্প ৮) স...
-
আমি এর আগে একটি ব্লগে লিখেছি, দুর্গা যষ্টী পূজার মন্ত্র ।এখানে বলি আমি পণ্ডিত নই, বিভিন্ন ধরনের বই পড়ে, আর দু একজন ব্রাহ্মণের সাথে কাজ ...
-
ছবি টি কীসের বা কোন প্রাণীর নিশ্চয়ই বলে দিতে হবে না। মানুষের প্রথম পোষ মানা প্রথম প্রাণী, হয়তো অনেকেই পড়ে বলবেন এবার নতুন কী এতো আমরা স...