উপরের ছবিটি একটি screenshot ফেসবুক এর singur city page থেকে নেওয়া । এই ধরনের পোস্ট আমি এর আগে নারী কথা নামক একটা পেজে দেখে ছিলাম। সেখানের উত্তর টি মনে হয়, অনেকেই পড়েছেন বা পড়েনি, আমি জানি ফেসবুকের এই ধরনের পেজ গুলো খোলা হয়েছে বা এর এডমিন প্রচন্ড চিন্তা করেন শিক্ষা নিয়ে অথচ খবর রাখেন না। শিক্ষক দের দাবি দাওয়া নিয়ে গত দেড় বছর ধরে চলে আসা আন্দোলন সম্পর্কে, তাদের মূল দাবি কোভিড বিধি মেনে বিদ্যালয় খুলতে হবে, বা শিশু কে শিক্ষা অঙ্গনে ফিরিয়ে আনতে হবে। যাহোক ছাড়ুন ওসব, জানেন সরকার পোষিত শিক্ষক সংগঠন আছে, তাদের সাথে এডমিন এই বিষয়ে কথা বলতে পারেন। কারণ আমি তাদের কোন দিন বলতে শুনিনি বিদ্যালয় খুলে দিতে হবে এই দাবি নিয়ে আন্দোলনে নামতে। এই কোভিড বা করোনার মধ্যেই ঘটা করে শিক্ষক দিবসে অনুষ্ঠান হবে, সরকারি টাকায়।সেখান অনেক সরকারের সমর্থন করা শিক্ষক থাকবেন তাদের জিজ্ঞাসা করে দেখতে পারেন। সরকারি টাকায় বা আমার আপনার করের টাকা লুঠ পাঠ চলছে, কোথায় টিফিন ফাণ্ডের নামে, কোথাও সরকারি প্রকল্পের নামে। সে সব নিশ্চয়ই বন্ধ হওয়া দরকার।
বাদ দিন ওসব আপনি যে প্রশ্ন তুলেছেন তার উত্তরে আসি, আপনি নিশ্চয়ই জানেন বিদ্যালয় বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কেবল শিক্ষকের ইচ্ছা তে চলে না। সেখানে শিক্ষক ছাত্র অভিভাবক প্রত্যেকের ভূমিকা আছে। বিদ্যালয় খোলার জন্য আন্দোলন বলছেন শিক্ষক দের বেতন বন্ধ করে দিলে আন্দোলন করত। আপনার মনে হয় শিক্ষক রা আন্দোলন করে নি, আমি জানি শিক্ষকরা আন্দোলন করেছেন। আর আপনার ধারণা শিক্ষকরা আন্দোলন করলেই বিদ্যালয় খুলে দেওয়া হবে। আপনার মনে হয় এই সরকার শিক্ষক দের আন্দোলন কে গুরুত্ব দিয়ে তাদের দাবি মেনে বিদ্যালয় বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেবে। ছাড়ুন ওসব আপনি দেখছেনে বা শুনেছেন কি না জানি না, বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে হবু শিক্ষক কুল মানে যাদের নাম নিয়োগ তালিকায় (প্যানেল) আছে তারা অনশন করে ছিল, জানি না আপনি জানেন কি না আজ পর্যন্ত তাদের এক জন ও নিয়োগ পত্র হাতে পায় নি। ঐ অনশন করতে গিয়ে এক সন্তান সম্ভবা মা তার গর্ভের সন্তান কে হারিয়ে ছিল। আর বামপন্থী দের যে সব আন্দোলন ওসব বাদ দিন ওরা ফালতু, মানুষের সাথে থাকে না মানুষের কথা বলে না। কাজ হারানো শ্রমিক দের লক ডাউনে সাড়ে সাত হাজার টাকা দিতে হবে, আরও কত গুলো দাবি নিয়ে এখনও আন্দোলন করে যাচ্ছে, আমি জানি না কটা এই সরকার মেনে নিয়েছে। সেই কারণেই মনে হয় না, বেতন বন্ধ করে দিলে শিক্ষক কুল আন্দোলন শুরু করবে আর দিদি মনি স্কুল খুলে দেবেন, এ চিন্তা অবান্তর।
এতো গেলো আন্দোলনের কথা এবার আমি যদি বলি এই বিদ্যালয় বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান না খোলার পিছনে আপনি বা আপনারা বা আপনাদের মত অভিভাবক দায়ি ।কথা টা বলা ভুল হবে কি? একবার ভেবে দেখুন তো বিদ্যালয় বন্ধ হয়ে গেছে গত ১৬/৩/২০ তারিখ থেকে। আর গত বিধানসভা ভোটের আগে বিদ্যালয় খোলা ছিল না, বা দিদি মনি বলেন নি ক্ষমতায় এসে আগে বিদ্যালয় গুলো খুলে দেওয়া হবে। এসব সত্ত্বেও আপনার মত অভিভাবকের দল নাচতে নাচতে দিদিকে ভোট দিয়ে এসেছেন। কারণ ঐ ভিক্ষা গুলো, দু টাকা কিলো চাল, সাইকেল, নানান শ্রী, এখন আবার লক্ষী ভাণ্ডার। ডবল ডবল চাকরির সুযোগ শুনে আনন্দে আত্মহারা হয়ে বোতাম টিপে দিয়ে এসেছেন। ভেবে ছিলেন যে বিদ্যালয় টা খোলা দরকার বেকার যুবকদের চাকরি বা কাজ দরকার। বলবেন সব বেকার কে কি সরকার চাকরি দিতে পারে? আমিও জানি পারে না। কোন সরকার পারে না কিন্তু চাকরির পরীক্ষা গুলো করে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে চাকরির ব্যবস্থা করা যায় অবশ্যই লক্ষ লক্ষ টাকা ঘুষ না নিয়ে । কিম্বা নতুন কল কারখানার ব্যবস্থা করে কর্ম সংস্থান করা যায়, না আপনি এবং আপনার মত মানুষ গুলো চান না রাজ্য টা সুস্থ ভাবে চলুক। আসলে রাজ্যের মানুষ যতখন না ভিক্ষারি হচ্ছে, যুব সমাজ মাতাল তো হয়ে গেছে কারণ মদ বিক্রি তে পশ্চিমবঙ্গ দ্বিতীয়, এবং যুব সমাজ যতক্ষণ না চোর ডাকাতের পরিনত হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত আপনার মত মানুষ এই দিদির জয় গেয়ে যাবেন। সবশেষে বলি স্কুল না খোলার জন্য আপনি এবং আপনার মত দিদির সমর্থক গন দায়ি।
No comments:
Post a Comment