Anulekhon.blogspot.com

Friday, 24 September 2021

রেল ওভার ব্রিজ তুমি কার?


 ছবিটি অনুলেখন এর নিজস্ব গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে তোলা। কামারকুণ্ডু ফ্লাই ওভার ব্রিজের নীচে। এবছর এই রেলওয়ে ফ্লাই ওভার ব্রিজ পুরোপুরি তৈরি এমন কি নীল সাদা রং লাইট লাগানো সব শেষ, কিন্তু মানুষের অধিকার নেই ঐ ব্রিজ দিয়ে যাওয়ার নীচের এই রকম ভাঙাচোরা রাস্তা দিয়ে প্রাণ হাতে করে দু চাকা চার চাকা ছুটে চলেছে। বর্ষায় জল যত জমছে তত খারাপ হয়ে যাচ্ছে রাস্তা। কারো ভ্রুক্ষেপ নেই,আর তৈরি হয়ে যাওয়া রেল ওভার ব্রিজ দু দিকে আটকে রেখে দেওয়া হয়েছে। জানা নেই কেন, কার জন্য এই রেল ওভার ব্রিজ দীর্ঘ সাত আট বছর ধরে তৈরি করার পরেও মানুষ কে ভাঙা চোরা রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে বাধ্য করা হচ্ছে। সবটাই যদি জনগণের জন্য হয়ে থাকে তাহলে সেটা জনগণ ব্যবহার করতে পারেন না কেন? জনগণের করের টাকায় তৈরি জনগণের জন্য কিন্তু যতক্ষণ না মন্ত্রী মশাই নিজের নাম খোদাই করে বোর্ড লাগাচ্ছেন ততক্ষণ জনগণের অধিকার নেই ওটি দিয়ে যাওয়ার। তাহলে শুধু শুধু কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে এসব তৈরি করা কেন? কেবল কাটমানি নেওয়ার জন্য। 

এটি কামারকুণ্ডু রেল গেট পার হয়ে নালিকুল আসার দিকের রাস্তা। গত বছর এরকম এবছর আরও অবস্থা খারাপ হেঁটে যাওয়ার অযোগ্য। 

আর নালিকুল চোদ্দ নম্বর রেল গেট ওখানে যে রেল ওভার ব্রিজ ওতো আর হবে না, কারণ ওখানে হাইটেনশন ইলেকট্রিক লাইন আছে।আমার মনে হয় কাজ টা শুরুর করার আগে দেখা হয় নি যে ওখানে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন ইলেকট্রিক তার আছে। জনগণের করের টাকা যা হচ্ছে হোক, কিছু তো একটা হলো। দ্বিগুণ কোথাও তার বেশি দাম দিয়ে মানুষ তথা জনগণ জিনিস পত্র ক্রয় করে ট্যাক্স দিচ্ছে হলো বা লুট কি আছে! 



গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে নালিকুলের রেল ওয়ে ওভার ব্রিজের পাশের রাস্তা। এর পর দু মাসের উপর সময় নিয়ে রাস্তা সারানো হয়ে ছিল, কিন্তু এবছর এই সেপ্টেম্বর মাসে সেই আবার গর্ত হতে আরম্ভ করেছে। আসলে তা এই সব রাস্তা তৈরির এমন ভাবে করা হয়েছে গোরু তে তে চেটে চেটে সব পিচ আর পাথর ঠিক ঐ জায়গা গুলো তেই খেয়ে ফেলেছে। সত্যিই বাংলার জনগন খুব ভালো অল্পেই সন্তুষ্ট দু টাকা কিলো চাল, দু শো পাঁচ শো টাকা আর কুড়ি টাকা পাউচ মদ ব্যস আর কি চাই। খুব ভালো লাগে দারুণ খুশি আমরা, তবুও তো মানুষ কিছু পাচ্ছে। কিছু না হয় মরবে তাতে কি? রাস্তা খারাপ ওতে কিছু যায় আসে না। সবটাই জনগণের আবার কিছুই নেই জনগণের যতখন না এই সব নেতা মন্ত্রী দের দয়া হবে ততক্ষণে কিছুই জুটবে না। আমাদের রাজ্যের কেন দেশের সাধারণ মানুষের সুস্থ ভাবে বেঁচে থাকা নির্ভর করে এই সব চোর চিটিংবাজ মিথ্যাবাদী ধাপ্পাবাজ নেতা মন্ত্রী দের ইচ্ছার উপর। 

No comments:

Post a Comment

বাঙালি ও বর্তমান ভারত।

 (ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...