Anulekhon.blogspot.com

Monday, 11 January 2021

বড়ো চোর ডাকাতের বিবেক জাগ্রত হোক।

 আজ বাঙালি তথা ভারতের বিবেকের জণ্ম দিন, ১৮৬৩ খ্রীষ্টাব্দের ১২ ই জানুয়ারি, বাঙালি তথা ভারতের বিবেকের জণ্ম। শুভ জন্মদিনে আমার ব্লগের মাধ্যমে শতকোটি প্রণাম ।


দিন টির একটি সুন্দর নাম দিয়েছেন বর্তমান সরকার বিবেক চেতনা দিসব। কারণ এই সরকার ভীষণ উৎসব প্রিয়, এবং সুন্দর নাম করণ করে দেওয়া হয় প্রতিটি বিষয়ে কত ধরনের শ্রী দেওয়া হয়। আর এখনও কত ধরনের শ্রী চালু হচ্ছে, মানুষ ভুলে গেছে। কারণ গাল ভরা নাম আর টাকা বরাদ্দ করে জনগণের করের টাকা লুঠ করার দারুণ সুযোগ করে দেওয়ার এই সব শ্রী এবং নাম, মুষ্ঠিমেয় সাধারণ মানুষ পায়, যারা কমিশন অর্থাৎ কাটমানি বা ঘুষ দিতে পারে তাদের প্রাপ্য। অথচ ক্ষমতা দখল করার আগে এসব বন্ধ করার বানি প্রচার করা হয়েছিল। কোথায় সে সব, কেবল মিথ্যা প্রতিশ্রুতি, প্রশাসনের সর্বোচ্চ কর্তা ব্যক্তিরা চোর ডাকাত দের ভয়ে তথষ্ট কখন কি যে করে তার ঠিক নেই। ছিঁচকে চোর ধরে শান্তি বিধান করে, কেউ যদি পেটের দায়ে চুরি করে, আর সে যদি ধরা পড়ে তবে তো কথাই নেই, অথচ এই সব বড় চোর দের পাহারা দেয়, এদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে কেমন সুন্দর পুলিশ প্রশাসন ভাবা যায় না। বড়ো বড়ো চোর ডাকাতের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কত ব্যবস্থা, কোটি কোটি টাকা খরচ করা হচ্ছে। আর সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নেই, টিভিতে দেখা যাচ্ছে চুরির টাকা নিচ্ছে, বড়ো বড়ো ব্যবসার নাম করে হাজার হাজার কোটি টাকা ঋণ দেওয়ার ব্যবস্থা, তার একটা অংশ নেতা মন্ত্রীরা পকেটে ভরে নিচ্ছে, কিছু দিন পর ঋণ মুকুব করে দাও, যেন মনে হচ্ছে সাধারণ মানুষ মানুষ নয় গোরু ছাগল আর ঐ তথাকথিত ধান্ধা বাজ নেতা মন্ত্রীরা সব মহান পুরুষ, এত ভাল কাজ করেছে যে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। এই মানুষ গুলো আজ গলা ফাটিয়ে এই মহান মানুষের জণ্ম দিন পালন করবে, ঐ যে বিবেক চেতনা উৎসব অথচ এদের বিবেক আছে কিনা সন্দেহ? ভীষণ সুন্দর সরকার চলছে, জনগণের জন্য সব অথচ জনগণের দাম নেই এদের কাছে। পশ্চিমবঙ্গের এবং কেন্দ্রীয় সরকারের নেতা মন্ত্রীরা মানুষ! আর পুলিশ প্রশাসন দেখুন, দেখুন এই সব চোর দের কেমন নিরাপত্তা দিচ্ছে, নারদা কান্ডের মুখ গুলো দেখুন। 


আবার কিছু বলার উপায় নেই. যিনি বলবেন তার পিছনে লাগার ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই মানুষ আমাদের নেতা মন্ত্রী এদের বিবেক বুদ্ধি ফিরে আসুক। আজকের এই মহান মানুষের জণ্ম দিনে বিবেক চেতনা দিসব উৎসবে পরিনত হোক। আজ এই মহান পুরুষের মহান একটি বানী, দিয়ে শেষ করছি, সত্যের জন্য সব কিছু ত্যাগ করা যায়, কোন কিছুর জন্য সত্যকে ত্যাগ করা যায় না। এই কারণেই এই ছবি দিলাম এতো সামান্য মাত্র আর অনেকেই আছেন, দিল্লির দাদারা আরো সাংঘাতিক, চুরি করে, ব্যবসার করার জন্য ঋণ দেওয়ার ব্যবস্থা করে, নিজের ফাণ্ড এবং পার্টি ফাণ্ডে নিয়ে তাদের দেশ ছাড়ার ব্যবস্থা করে দেয়। আর কিছু বছর পর ঋণ মুকুব ব্যস। সাধারণ মানুষের চোখে চোর ধরা পড়ে না। আসুন সবাই মিলে এই রকম জঘন্য মানুষ গুলোর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করি। কিছুতেই এই সব মানুষ কে বাংলায় রাজত্ব করতে দেওয়া যাবে না। আজ এই মহাপুরুষের জণ্ম দিনে আমদের শপথ গ্রহণ করি চোর চিটিংবাজ ধাপ্পাবাজ, মিথ্যাবাদী শাসকের বিরুদ্ধে গর্জে উঠি। প্রতিবাদে প্রতিরোধে মুখরিত হোক বাংলা, চোরের বড়ো গলা বন্ধ হোক। 




No comments:

Post a Comment

বাঙালি ও বর্তমান ভারত।

 (ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...