Anulekhon.blogspot.com

Thursday, 8 October 2020

এসব কী বলছেন দিদি? এটা কি সব জেলার জন্য?


 এসব কী বলছেন দিদি এটা কি সব জেলার জন্য না আপনি ঝাড়গ্রামে বলছেন ওই জেলার জন্য শুধু, তবে আপনার কথা আপনার দলের লোক যদি না শোনে, এই নির্দেশ কেবল মাত্র সরকারি কর্মীদের জন্যে না আপনার দলের কর্মীদেরও বলছেন। আমি যতদূর জানি আপনি, দলের কর্মী দের জন্য অন্য নির্দেশ দিয়েছেন। সরকারি কর্মীরা নির্দেশ মানতে চাইলেও আপনার দলের কর্মীমী বাধা দিচ্ছে যে। আমার কাছে প্রমাণ আছে, এই দেখুন একটি সরকারি আদেশ যেটি গত আগষ্ট মাসে এসে ছিল ছাত্র ছাত্রীদের পোশাক দেবার জন্যে প্রতিটি SHG গ্রুপ বা সংঘের কাছে পৌঁছে গিয়েছে সেই আগষ্ট মাসে এবং ছাত্র ছাত্রীদের নামের তালিকা অভিভাবকের নাম ফোন নম্বর ঠিকানা সহ পৌঁছে গেছে ঐ সংঘের কাছে, তারা কী করছে ছাত্র ছাত্রীদের বাড়িতে যাবে না, ফোনে বলছেন একটা করে পোশাক MDM নেবার সময় নিয়ে আসতে ওখানে মাপ নেবে। অথচ আদেশ টি 5 নং কলমে পরিষ্কার করে বলা হয়েছে বাড়ি বাড়ি গিয়ে মাপ নেবে। ছাত্র ছাত্রীদের তালিকা পেল কবে আগষ্ট মাসে আর এটা অক্টোবর মাসে অভিভাবক দের ফোন করে বিদ্যযালয় এ আসতে বলছে পোশাক নিয়ে। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক তাতে সম্মতি দেন নি, তিনি অভিভাবক দের জানিয়েছেন সরকারের তথা উক্ত অফিসের নির্দেশের কথা যে বাড়ি বাড়ি গিয়ে পোশাকের মাপ নেবে। সংঘ অভিভাবক দের বলছেন বাড়িতে এ্যালাও করছে না সকলে। বাদ দিন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সরকারি আদেশের কথা বলার পর আপনার দলের নির্ববাচি ত প্রতিনিধি পঞ্চায়েত সদস্য শিক্ষক কে বলছেন বাড়ি বাড়ি গিয়ে মাপ নেবে এটা অভিভাবক দের বলে ঠিক করেন নি। জানা বা বোঝা যাচ্ছে না, এটা কেবল সরকারি কর্মীদের নির্দেশ, আর দলের কর্মী সমর্থকদের নির্দেশ হচ্ছে সরকারের আদেশ না মেনে চলার জন্য। দারুণ দিদি, সরকারি কর্মীদের নির্দেশ মানতে গিয়ে আপনার দলের মহা ক্ষমতা বান নেতা কর্মীদের রোষে পড়তে হচ্ছে যে। আসল কথাটা বললে আপনি রেগে যাবেন দিদি, আপনি ঘরে বসে বসে ইনকামের রাস্তা করে দিচ্ছেন যার জন্যে এই নেতা কর্মীরা এবং ঐ যে পোশাক দেবে সেও কোনো না কোন নেতা কর্মীরবাড়িরলোক, শুনে নিন সিঙ্গুর একনং পঞ্চায়েতেরদুটি বড়ো হাই স্কুল আছে সিঙ্গুর মহামায়া আর গোলাপ মোহিনী একটি ছেলেদের আর অন্য টি মেয়ে দের দুটি তেই সকালে প্রারাথমিক বিভাগ আছে, হাই বা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রী ঐ দুই বিদ্যযালয়ে সিঙ্গুর ব্লকে সবথেকে বেশি। পঞ্চমথেকে অষ্টটম পর্যন্ত দুটি স্কুলে4000এরকাছেআর ঐ দুই বিদ্যযালয়ে এর প্রাথমিকবিভাগ এবং নন্দন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রী তা হবে 900 এবার আরও পাঁচ টি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে। মোট    ছাত্র ছাত্রী সংখ্যা সব মিলিয়ে 5500জন।যারা বা যিনি প্রায়হুমকি সুরে বলছেন তিনি এক সময়ে এই পঞ্চায়েতেরপ্রধান ছিলেন। এবার আপনি টাকার কথা ভাবুন আপনি ভাবুন টাকার কথা আপনি তো গত দু বছর ধরে প্রতিটি ছাত্র  ছাত্রীর পিছু 600 টাকা করে দিয়েছেন একবার টাকা হিসেবে করে দেখেছেন কত টাকা ঘরে বসে বসে ইনকাম। এই জন্যেআপনার দলে এখন প্রায় প্রতিটি ইঞ্চি তে নেতা, কারণ টাকা কীভাবে ঘরে বসে ইনকাম করতে হবে সেই পথ আপনি দেখিয়ে দিয়েছেন। আর যখন মিছিল মিটিং হচ্ছে ম- কার যুক্ত সব গুলো পাওয়া যাচ্ছে লোক কল্পনা করতে পারবেন না। চালিয়ে যান দিদি, তবে যাদের লোভ বেশি তারা সব লাফ মেরে দাদার দলে চলে যাচ্ছে ওখানে আবার ব্যাযাঙ্ক ডাকাতি করা যায়। ঐ যে ব্যবসার নাম করে কয়েক হাজার বা কোটি  টাকা ঋণ নিয়ে শোধ না করে বিদেশে পালিয়ে যাওয়া যায় আর দাদা জনগনের জমানো টাকা দিয়ে ঐ ঋণ মুকুব করে দেয় ব্যাঙ্ক গুলো জনগণের জমানো টাকা কীভাবে কেটে নেবে তার ফন্দি খোঁজে। বাঙালি জাতি ভালো আছে, চুরি করা টাকা 75 %ভাগ নিয়ে নিশ্চিন্তে বসে বসে চলে যাচ্ছে। আপনি আর যাই করুন আর না করুন বাঙালি যে অলস বা কুড়েে জাতি সেই ধারা রেখেছেন, এর জন্যে ধন্যবাদ। 

No comments:

Post a Comment

বাঙালি ও বর্তমান ভারত।

 (ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...