Anulekhon.blogspot.com

Wednesday, 7 October 2020

শিক্ষক কুল সত্যিই কি কুটনীতি বিদ ।

 

দয়া করে সবটা পড়বেন, শিক্ষক কুল নিজেরা ব্যক্তিগত ভাবে কোন না কোন রাজনৈতিক দলের সাথে যুুক্ত। সেই সূত্রে  নিজেদের কে বিশাল কূটনিতীবিদ বা রাজনীতিবিদ ভাবে একে অপরের, একে অপরের বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন উন্নত ধরনের কূটনৈতিক চাল যাকে আমার ভাষায় বলি পেছনে লাাগে, ভাবে আমি সবথেকে চালাক আমার চাল বা রাাাজনীতি কেউ বুঝতে পারছে না। এসব আসলে, অন্য কিছু নয় হামবড়িয়া ভাব আমার থেকে অন্য কেউ বড় হবে কেন? আমি বড় আসলে যে কাজে বড়ো হতে হবে সেটা নয়, বচনে বড় এবং জাহির করা অভ্যাস এদের মধ্যে দেখা যায়। আমি নিজে একজন শিক্ষক তবুও এসব লিখছি, এর আগেও আমি অনেক ঘটনা জানি যা আরেক একজন শিক্ষক বা সহকারী শিক্ষক কুল ঘটিয়েছে, পরিদর্শক দের ডেকে এনেছে, একে অপরের বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ জানিয়ে এসেছে, এমনকি এম ডি এম এর এক অস্থায়ী কর্মী কে দিয়ে পরিদর্শন করানো, তার পর ডেকে নিয়ে আসা আবার লিখিত অভিযোগ দায়ের করা সব কিছু করে এই সব তথাকথিত সুশীল শান্ত শিক্ষক আর যার বিরুদ্ধে করে আসছে এসে এমন ভাব করে ভাবে আমি চালাক আমি কিছু জানি না, এর বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে এ সাথে এমন ব্যবহার কর যাতে বুঝতে না পারে আমি বা আমরা অভিযোগ করে এসেছি বা পরিদর্শক ডেকে এনেছি, তাদের দূর্ভাগ্য যার পিছনে লাগছ সে কিন্তু বুঝতে পারছে কারা এর পিছনে আছে কিন্তু মুখে সে বলছে না একদম ওদের মতই ভালো মানুষ। আজ এসব লিখছি সেই কারণ টা এবার লিখব, বর্তমানে কোভিড19 এর দৌলতে শিক্ষক কুল খুব ভালো আছেন এত ভালো আগে কোন দিন ছিল না। সত্যই এদের জন্য ঈশ্বর আছেন, আজ সাত আট মাস হল বিদ্যালয়ে যেতে হচ্ছে না, ঐ নামকাওয়াস্তে চাল দেওয়ার দিন একবার এক ঘন্টা দেখা দেওয়া, কোন রকম হাজিরা আর অভিভাবক দের দেখানো আমি কত কাজের। কয়েক জন এলেন, সময় সেই স্কুল শুরুর সময়ে আগে থেকে কেন আসবেন, আর সেই ফোন আমি জানি না এরা কাকে এত ফোন করে বিশেষ করে দিদিমনির দল ফোনের শেষ নেই, যতক্ষণ থাকলেন ফোন করে গেলেন, ঐ বিদ্যালয় চালু থাকলেও ক্লাস করতে করতেও এই ফোন কথা বলে যেত সেই অভ্যাস আমি জানি না কে বা কারা ফোনের অপর প্রান্তে কথা বলে তারা সত্যিই মানুষ না অমানুষ জানি না। এরা তো ভালো শিক্ষক শাসক দলের অনুগামী, বামেদের এবং এই সরকারের আমলে নিয়োগ প্রাপ্ত মেধাবী ছাত্র ছাত্রীর দল।
এত কথা লিখলাম আসল কথা হল, পোশাক নিয়ে এবং বর্তমান সরকারের দান খয়রাতি নিয়ে বর্তমানে যা কিছু হচ্ছে সেটা নিয়ে লেখা হলো না। প্রথমেই বলি কোভিড19 এর মধ্যে পোশাক দিতে হবে, কারণ সামনে ভোট আসছে অফিসিয়াল মিটিং হলো (ভার্চুয়াল) অর্ধেক প্রধান শিক্ষক যোগ দিতে পারল অর্ধেক পারল না, ও হ্যাঁ এই ভার্চুয়াল মিটিং নিয়েও রাজনীতি করল ঐ রকম এক ভালো শিক্ষক, মিটিং হবার কথা বা জানান হলো 1টা30 মিনিটে একটা URL আসবে তাতে ক্লিক করে মিটিং এ যোগ দিতে হবে এলেও তাই কিন্তু হঠাৎ এক ঐ মেধাবী শিক্ষক দেখলাম হোয়াটস এ্যাপ গ্রুপে ম্যাসেজ করল মিটিং 3 টে 30 মিনিট থেকে হওয়ার কথা ব্যস বন্ধ হয়ে গেল। এবার 3 টে 30 মিনিট সকলের কাছে আর URL পৌছল না। কেউ যোগ দিতে পারল কেউ পারল না। সেখানে আলোচনা হলো পোশাক নিয়ে, সকলে শুনলেন পোশাক এবারেও দেওয়া হবে SHG বাড়ি বাড়ি গিয়ে মাপ নিয়ে আসবে ছাত্র ছাত্রীদের নামের তালিকা দিতে হবে সাথে থাকবে অভিভাবকের নাম, ঠিকানা, ফোন নম্বর। এই তালিকা তৈরি করা হল শিক্ষা বন্ধুর মাধ্যমে পৌঁছে গেল অফিসে আরেকটা কথা শোনা গেল এবার টাকা আর স্কুলের এ্যাকাউন্টে আসবে না সরাসরি ওদের দেওয়া হবে, শিক্ষক কুল ভাবল বাঁচা গেল, একটা দায়িত্ব থেকে রেহাই পাওয়া গেছে। আদৌ কি তাই না মনে হয়, আগষ্ট মাসে এসব শেষ হলো, শিক্ষকরা মানে প্রধান শিক্ষক ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জানে বাড়ি বাড়ি গিয়ে মাপ নেওয়া চলছে, হঠাৎ করে অক্টোবর মাসে খবর তথা ফোনে SHG বলছে MDM এর রেশন দেওয়ার সময় ছাত্র ছাত্রীদের একটা করে পোশাক আনতে বলছি আমরা মাপ ওখানে বসে নেব। কারণ অভিভাবক রা তাদের বাচ্চাদের গায়ে হাত দিতে দেবে না বা বাড়িতে এ্যালাও করছে না। বিদ্যালয়ের অনুমতি নেবার আগেই অভিভাবক দের ফোন করে বিদ্যালয়ে একটি করে পোশাক আনতে বলে দিয়েছেন, যেহেতু শাসক দলের লোকজন ক্ষমতা আছে সরকারি আদেশ আবার কি ওরাই তো সরকার, এবার প্রধান শিক্ষক কে অভিভাবক ফোন করে বলার পর তিনি পরিষ্কার বলে দিচ্ছেন বাড়িতে গিয়ে পোশাকের মাপ আনতে যাবে যাদি অসুবিধা হয় একটি পোশাক ওদের দেবেন ওখানেই মাপ নেবে, সমস্ত অভিভাবক দের জানানোর জন্য বিদ্যালয়ের হোয়টস এ্যপ গ্রুপে লিখেছেন বিষয়টি ব্যাস কথা সভাপতি তথা নির্বাচিত প্রতিনিধির কানে পৌঁছে দেওয়া হল তিনি ফোনে বলছেন প্রধান শিক্ষক আপনি কেন গ্রুপে দিয়েছেন, প্রধান শিক্ষক সরকারের আদেশ পালন করেছেন সেটা খুব খারাপ লাগছে আরকি উনি কিন্তু বর্তমান শাসক দলের নির্বাচিত প্রতিনিধি আবার কখনো বলছেন আপনি ঠিক করছেন, যাহোক অনেক কথা বলার পর প্রধান শিক্ষক বলেন আমি গ্রুপে দিয়েছি আপনি জানলেন কি করে? উত্তর এলো আমার মেয়েরা আছে না, মেয়েরা বলতে দুই দিদিমনি আছেন তারা কেউ গ্রুপে নেই কারণ অভিভাবকরা নাকি জ্বালাতন করে, শাসক দলের বাড়ির মেয়ে ভালো শিক্ষিকা, যাদের পড়াতে হলে বলে সরকারি আদেশ আছে। আসল মজা পেলাম আজ ( ৭/১০/২০২০ MDM দেওয়ার সময়, সকাল থেকেই অভিভাবক গন জিজ্ঞেস করছে পোশাকের ব্যাপারে দু একজন তো বাচ্চা কে সাথে নিয়ে চলে এসেছে, এমনকি দিদিমনি আসার পরও তাকেও পোশাক নিয়ে জিজ্ঞেস করে যাচ্ছে তিনি বিরক্ত হয়ে বলেছেন ও ঐ দলের ব্যপার, আর ফোনে কথা বলে যাচ্ছেন কার সাথে জানি না। এবার প্রথম শ্রেণী থেকে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত ছাত্র ছাত্রীদের মাস্ক দেওয়া হয়েছে প্রাক প্রাথমিক শ্রেণির নেই, হঠাৎ এক শিক্ষক( সেও এক নেতার সুপুত্র) বললেন প্রাক প্রাথমিকেরও মাস্ক দেওয়া হবে, বললেন আজ নাকি খবরের কাগজে খবর দেখেছে। কারণ পরে বুঝলাম যে একটা বাচ্চা পাচ্ছে না, সরকারে বদনাম হচ্ছে অত অভিভাবক জানতে পারছে এসবের জন্য এটা প্রচার করা হচ্ছে, পরে অভিভাবক দের কে বলছেন প্রাক প্রাথমিকের মাস্ক আসবে তখন দেওয়া হবে। দারুণ কূটনিতীবিদ না। 





No comments:

Post a Comment

বাঙালি ও বর্তমান ভারত।

 (ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...