Anulekhon.blogspot.com

Wednesday, 7 October 2020

গেরুয়া পরলেই যোগী হওয়া যায় না। পরিবার বা সন্তান না থাকলে তেমন সাধু হয় না।

বিগত কয়েক বছর ধরে ভারতের শাসন ব্যবস্থা এই গেরুয়া পোশাক ধারী মানুষ জন কে বেশি দেখা যাচ্ছে, এরা সব নাকি যোগী, আসলে যোগী কথার অর্থ এরা জানে না মনে করে গেরুয়া পোশাক পরে ঘুরে বেড়ালে যোগী হওয়া যায়। আমি যতদূর জানি, যোগী হলেন সেই মানুষ যিনি সংসার ত্যাগ করে ধর্মের সাধানায় মন নিবেশ করবেন, এবং সকল মানুষ কে সমান চোখে দেখবেন। অর্থাৎ যোগীর মনে উচ্চ নীচ ভেদ থাকবে না, সব মানুষ সমান সব ধর্ম সমান, আর ক্ষমতার লোভ থাকবে না, সত্যি এদেশে একজন যোগী বা মহাপুরুষ ছিলেন তিনি স্বামী বিবেকানন্দ, যিনি তাঁর গুরু আরেক পরমপুরুষ রামকৃষ্ণ তথা গদাধর চট্টোপাধ্যায়ের কথায় শিব জ্ঞানে জীব সেবা করেছেন সারা জীবন, গোটা দেশ ঘুরে বেড়িয়েছেন, তাঁর কাছে ব্রাহ্মণ, চণ্ডাল, মুচি, মেথর, সকলে মানুষ ছিলেন কোন ভেদ ছিল না। এই মহাপুরুষ বিশ্ব ধর্ম সম্মেলনে একমাত্র প্রতিনিধি ছিলেন, যিনি 6 মিনিট ভাষণ দেওয়ার সময় পেয়েছিলেন কিন্তু 6 ঘন্টা বলার পরেও তার কথা শোনার জন্য লোক অপেক্ষা করে ছিল। আর প্রতিদিন তিনি একবার করে ভাষণ দিতেন। মানুষের সেবায় নিয়োজিত মানুষটি প্লেগ নামক মহামারীর সময় নিজের সীমিত সামর্থ্য মধ্যেও তাঁর সন্ন্যাসী ভাই দের নিয়ে এই দূর্দিনে তাদের সেবায় নিজেকে উৎসর্গ করে ছিলেন। আর এখন কার যোগী দেখুন, ক্ষমতা আর টাকার জন্য, যা পারে তাই করতে পারে, জাত পাত এদের কাছে মহান, মেয়েরা ভোগের বস্তু যত যাই হোক, মেয়েদের উপর নির্যাতন কারি, আবার সে যদি নীচু জাতেে মেয় হয় তাাহলে তো কথাই নেই, সে ভোগের বস্তু। ধর্ষণ কারি এই সব যোগীদের কাছে মহান মানুষ যেন ভগবানের দূত, সে দেশের এবং রাজ্যের বিধায়ক সাংসদ হতে পারে। 

No comments:

Post a Comment

বাঙালি ও বর্তমান ভারত।

 (ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...