Anulekhon.blogspot.com

Thursday, 1 October 2020

ভারত তথা বাংলা থেকে মনে হয় এ ধর্মের নামে দাঙ্গা যাবে না।


আমার প্রিয় জন্ম ভূমি ভারত, ইতিহাস পড়ে জানতে পারি যেদিন থেকে এই পূর্ণ ভূমিতে ইসলাম এসেছে সেদিন থেকে শুরু হয়েছে ধর্মের নামে হানাহানি। আবার অনেকেই এই কথা বলবেন না, হানাহানি আগেও ছিল, হ্যাঁ ছিল হিন্দু ধর্মের মধ্যে যে বর্ণাশ্রম ছিল সে খানে ছিল, কাজের ভিত্তিতে মানুষ কে জাতি গত বিভাজন করে ছিল, নীচু যাদের ছুঁলে বা ছোঁয়া লাগলে জাত যেত, তাদের বিভিন্ন ভাবে দমিয়ে রাখা হত, না ছিল শিক্ষার অধিকার না ছিল ধর্ম বা অন্য কাজ করার অধিকার। হিন্দু বা ব্রাহ্মণ্য ধর্মের এই কঠোরতা থেকে মুক্তি দিতে জণ্ম নিয়ে ছিল বৌদ্ধ ধর্ম, জৈন ধর্ম, শিখ ধর্ম, সর্ব শেষ বৈষ্ণব ধর্ম আর বিভিন্ন রাজ রাজাদের পৃষ্ঠপোষকতায় এই সব নতুন নতুন মত বাদ যত প্রচার হয়েছে, তত হিন্দু ধর্মের কঠোরতা কমেছে। হিন্দুরা শান্তি প্রিয় জাতি তে পরিনত হয়েছে সম্রাট অশোক কলিঙ্গ যুদ্ধের ভয়ানক পরিনতি দেখে যখন রাজ্য জয় করতে যুদ্ধ ছেড়ে বৌদ্ধ ধর্ম গ্রহণ করে সেই ধর্ম প্রচার করতে আরম্ভ করে দিলেন। এই সব ইতিহাসের পাঠ থেকে এর পর থেকেই হিন্দু ধর্ম তথা ব্রাহ্মণ্য বাদের প্রতিপত্তি কমতে আরম্ভ করে, প্রতিপত্তি কমলেও সনাতন হিন্দু ধর্ম শেষ হয়ে যায় নি। ইতিহাসে পড়েছি ভারতের বুকে ইসলাম ধর্মের লোকজন  মোহাম্মদ ঘোরী, নাদির শা, চেঙ্গিস খাঁ, তৈমুর লঙ এরকম অনেকঅনেক ইসলাম ধর্মের শাসক কেবল লুটপাট আর ধ্বংস করার জন্য বার বার ভারত আক্রমণ করতেন।ইতিহাস বইতে পড়েছি এদের মধ্যে একজন ইলতুৎমিশ ভারতের প্রথম মুসলমান শাসক ভারত লুটপাট করে চলে গিয়েছিলেন, গিয়াস উদ্দিন বলবন, মোটামুটি মোগল আমল থেকেই এই দেশে ইসলাম ধর্মের প্রভাব বা বিস্তার লাভ করে। আরেকটা বিষয় যদি ভালো করে লক্ষ্য করা যায় বা ইতিহাস পড়া যায় তাহলে এদের মধ্যে বেশিরভাগই হচ্ছে উগ্র ধর্মীয় উগ্রতা বেশি,ইসলাম ধর্মের মানুষ প্রায় সব শাসক, এদের মধ্যে অনেকেই সব ধর্মকে সমান চোখে দেখতেন এরকম শাসকও ছিলেন যেমন আকবর, জাহাঙ্গীর আরও দু একজন শাসক, ইসলামের প্রসার ইসলামের শাসনের জন্য যেমন হয়েছে তেমনি সনাতন ধর্মের বা হিন্দু ধর্মের উচ্চ বর্ণের মানুষ যেমন ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য এরা নিম্ন বর্ণ তথা শুদ্র দের উপর নানা অত্যাচার নামিয়ে এনে ছিলেন, শুদ্র দের ছায়া মারালে স্নান করতে হতো ছোঁয়া তো দূরের কথা সে রকম ইসলাম ধর্মের মানুষের সাথেও একই ব্যবহার করা হতো, বাংলার শাসক বল্লাল সেন তো কৌলিন্য প্রথা চালু করে জাতি গত ব্যবস্থা কে এই বাংলার বুকে আরও জোরদার করে ছিলেন। আর সেই কারণেই মাত্র 25 জন ঘোড়সওয়ার নিয়ে বাংলা দখল করতে সক্ষম হয়েছিলেন খিলজি। ভারতের অনেকেই উপনিবেশ স্থাপন করেছেন, ভারত বর্ষ কে শাসন করেছে, পর্তুগীজ, পাঠান, ইসলাম, বা মুসলিম এবং ইংরেজ তথা খ্রীষ্টান ইসলাম ধর্মের লোকজন বাদে বাকি ধর্মের মানুষ ভারতের শিক্ষা সংস্কৃতি কে মানিয়ে নিয়ে ভারত কে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করেছে একমাত্র ইসলাম ছাড়া এরা ধর্মের নামে গোঁড়ামি ধর্মীয় শিক্ষা ব্যবস্থা এখনও গেল না এরা দেশের থেকে ধর্ম কে বড় বলে মনে করে, দেশের আইন এদের কাছে তুচ্ছ, শোর্ড নিয়ে মিসাইল এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে যায় তবুও আধুনিক শিক্ষার দাম নেই এদের কাছে, ধর্মের নামে মানুষের উপর অত্যাচার উগ্র হিন্দুত্ব,বাদীদের মধ্যেও আছে, এই উগ্র হিন্দুত্ব বাদীরা উচ্চ বর্ণের হিন্দু যারা ব্রাহ্মণ্য বাদ কে বাঁচিয়ে রাখতে চায় নিজের ক্ষমতা দেখানোর জন্য যতক্ষণ না সনাতন ধর্মের মধ্যে থেকে এই জাতি ভেদ যাবে ততক্ষণ, ইসলামের বৃদ্ধি কেউ থামিয়ে রাখতে পারবে না। আর ইসলাম ধর্মের গ্রহনের আরেকটা কারণ, যৌন সুখ এবং কঠোর ভাবে পুরুষ তন্ত্র কায়েম, চারটে পাঁচ বা তালাক দিয়ে যত খুশি বিয়ে করে সন্তান উৎপাদন করা যায় এই কারণে ও অনেকেই এই ধর্মের প্রতি আকৃষ্ট হন। এই ভাবেই আজ ইসলাম বেড়ে চলেছে, জণ্ম দিলাম লেখা পড়া শেখ আর না শেখ কাজ পেল কি না পেল এক বেলা খাবার জুটল কি না জুটল ছারপোকার মতো জণ্ম দাও, বড়ো হয়ে মানুষ খুন তো করতে পারবে ঐ যথেষ্ট। আর অপরের সম্পদ জোর করে কেড়ে নেওয়ার ক্ষমতা বাড়বে, যেটা ভারতের আসার সময় থেকে করে যাচ্ছে। এরা আর ভারতীয় হতে পারল না, জানি না কত জন নিজে কে ভারতীয় ভাবেন, যারা ধর্মীয় শিক্ষার বাইরে বেড়িয়ে আধুনিক শিক্ষা গ্রহণ করেছে কেবল তারা মুষ্ঠি মেয় কত জন। অনেকেই বলেন এদের জন্য জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে, আমি কিন্তু এই ব্যাপারে হিন্দি বলয়ের অশিক্ষিত অর্ধ শিক্ষিত হিন্দু ধর্মের মানুষ কেও দায়ি করি কারণ আমি দেখেছি রেলের জায়গায় ঝুপড়ি করে থাকে গণ্ডা গণ্ডা সন্তান জন্ম দিতে থাকে তারা কিন্তু ঐ হিন্দি বলয়ের দলিত সম্প্রদায়ের মানুষ ঐ সব জায়গায় অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে বাংলায় এসে ঐ ঝুপড়ি করে আছে। কারণ একটাই ধর্মের নামে অত্যাচার, সে দুই ধর্মের মধ্যে হোক আর একই ধর্মের মধ্যে হোক, আজ এই একবিংশ শতকে দাঁড়িয়েও আমরা ধর্ম নামে দাঙ্গা, বা জাতি গত দাঙ্গা বন্ধ করতে পারিনি কারণ ব্রিটিশ সরকার এই দাঙ্গা লাগিয়ে ধর্মের নামে দেশ শাসন করে গেছে। সেই ধারা এখনও প্রবাহমান এই উপমহাদেশে, বাংলাদেশ, পাকিস্তান,ভারত সর্বত্র। দেশ ভাগ হয় ধর্মের নামে, ব্রিটিশ সরকারের এবং আমার দেশের কিছু মানুষের ষড়যন্ত্রে সেখান থেকে আজও বেড়িয়ে আসতে পারেনি দেশ কারণ একটাই শাসক চায় না এসমস্যা মিটে যাক মানুষ শান্তি তে বাস করুক সেটা যদি হয় তাহলে শিক্ষার দাবী করবে খাদ্যের দাবি করবে কাজের দাবি করবে। আর মানুষ যদি এক জোট হয়ে শান্তি তে থাকে এবং সকল মানুষ শিক্ষিত হয় তাহলে নেতা মন্ত্রী দের চুরি দিনে ডাকাতি ধরে ফেলবে ।এই কারণে ধর্মের নামে এই দাঙ্গা এই উপমহাদেশ থেকে যাবে না। অথচ সরকার ইচ্ছা করলে কয়েক দিনে বন্ধ করে দিতে পারে এসব। 

No comments:

Post a Comment

বাঙালি ও বর্তমান ভারত।

 (ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...