Anulekhon.blogspot.com

Sunday, 3 May 2020

পরিযায়ী শ্রমিক দের ফিরিয়ে আনতে টাকা নেওয়া চলবে না । সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় উঠুক।

ছবিটি ডেইলি হান্ট নিউজ সাইটে থেকে নেওয়া। কোন এক রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকের অস্থায়ী বাসস্থান। জায়গায় নাম আমি দিচ্ছি না। যারা ছবি দেখে চিনতে পারেন চিনে নিন।আমি যতদূর জানি এটি দিল্লির একটি বিখ্যাত নদীর সেতু। ওসব এখন লেখার সময় নয়, দেড় মাস যাবৎ পরিযায়ী শ্রমিকের দল নানা ভাবে চেষ্টা করে গেছে, নিজের বাড়িতে ফেরার তারা একটাই ভেবে নিয়েছে না খেয়ে মারা গেলে যেন পরিবারের কাছে ফিরে মরতে পারে। আর ভারত সরকার এবং রাজ্য সরকারের ঘুম ভাঙতে সময় লাগল দেড় মাস। আর দুই সরকার দিদি ও দাদার বিশাল ভোট ব্যাংক এই শ্রমিকের দল। অথচ তাদের জন্যে ভাবনা নেই, অনীহা ফিরিয়ে আনতে। যদি বা বেড়ালের ভাগ্যে শিকে ছিঁড়ল বামপন্থী আর কংগ্রেস নেতা তথা অধীর চৌধুরীর জন্য। তখন রেল কি বলছে, ভাড়া লাগবে কেবল ভাড়া নয় তার সাথে অতিরিক্ত পঞ্চাশ টাকা। যারা দেড মাস কর্মহীন মজুরি বিহীন কোথাও কোথাও পার্টির সাথে যোগাযোগ করে সামান্য সাহায্য মিলেছে। সেই অবস্থায় দাঁড়িয়ে তাদের কাছে রেল ভাড়া চাইছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এতো কিছু নিয়ে কথা হয় এই বিষয়ে কোনও পোষ্ট তেমন চোখে পড়ে না। কারণ যখন কেন্দ্রীয় সরকার বড়ো বড়ো বড়ো ঋণ খেলাপি দের 68 হাজার কোটি টাকা ঋণ মুকুব করে দিতে পারে এই লকডাউন চলা কালীন। আবার কোটি কোটি টাকা খরচ করে হাসপাতালে উপর ফুল ছড়িয়ে দিতে পারে। সে খানে দাঁড়িয়ে একজন কপর্দক শূন্য রোজগার হীন হত দরিদ্র মানুষ গুলো পরিবারের কাছে ফেরত আসতে রেল ভাড়া নেবে। আমি দেখতে চাই সোশ্যাল মিডিয়ায় কেমন প্রতিবাদ যে প্রতিবাদের কথা ঐ সব অমানুষ নেতা মন্ত্রী দের কানে পৌঁছে দিতে পারে। আসুন যদি সত্যি কারের মানুষ হয়ে থাকেন, মানবিকতা আপনার ধর্ম হয়ে থাকে। তাহলে এই সব সহায় সম্বল হীন মানুষ গুলো যাতে নিরাপদে ফিরে আসে তার জন্য প্রতিবাদ করি। আর যদি ঐ অমানুষের দলের মধ্যে থাকেন তাহলে একবার অন্তত মানবিক মুখ দেখান। সুকান্ত ভট্টাচার্যের বোধন কবিতার একটা লাইন আছে, "তেরোশ সালের মধ্যবর্তী মালিক মজুমদার মানুষ ছিল কি?" কবিতার লাইন টি একটু পাল্টে লিখলে, দু হাজার কুড়ি সালের নেতা মন্ত্রী মানুষ ছিল কি? কোটি কোটি টাকা ঋণ ছাড়, রেশনের কারচুপি ঘোষণা আছে বাস্তবে তা নেই।আসুন আমরা এই  গরীব অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াই, যারা কিলোমিটারের পর কিলোমিটার পায়ে হেঁটে এসে বাড়িতে পৌঁছানোর আগেই মারা যাচ্ছে কেবল দীর্ঘ দিনের না খেয়ে পথ চলা বা সাইকেল চালানোর জন্যে। যদি মানুষ হয়ে থাকেন  দিল্লির ঐ অমানুষ নেতা মন্ত্রী বড়ো লোকের তথা ধনীর দালাল না হয়ে থাকেন তাহলে প্রতিবাদে গর্জে উঠুন। ওরা তথা দিল্লির সরকারের বড়ো বড়ো মন্ত্রী রা এখন তাদের দালালি করে। বিদ্রোহী কবির ভাষায় যারা দিন রাত ভাবে, সাতাশ কবে হইবে একশ সাতাশ /ধনীর ক্ষুদিত হাড়ে লাগিত বাতাস। যদি সত্যি বাঙালির রক্ত শরীরে থাকে তাহলে এই চোর ও চোরের দালাল দের বিরুদ্ধে গর্জে উঠুন। প্রতিবাদের ঝড় উঠুক সোশ্যাল মিডিয়ায় ।

No comments:

Post a Comment

পশ্চিমবঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করার সরকারি দপ্তরে শেষ চেষ্টা।

উপরের ছবি টা একটা স্কীনশট নেওয়া ছবি। ছবি টি সম্পর্কে কিছু কথা বলি তার পর অন্য কিছু কথা লেখা যাবে। ছবির দুটি অংশ উপরের অংশ একজন শিক্ষক যিনি ...