
ছবিটি দেখে নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন এটা উত্তর প্রদেশের ছবি। পরিযায়ী শ্রমিক কুল অনেকটা পথ হেঁটে অভুক্ত অর্ধ ভুক্ত অবস্থায় রাজ্যে ঢুকেছে। তাদের উপর কীটনাশক প্রয়োগ করা হচ্ছে। বাচ্চা বুড়ো সকলের কষ্ট হচ্ছে পেটে ভাত নেই অসুস্থ হয়ে পরছেন তবুও ছাড়া নেই। অর্থাৎ তুমি গরীব তোমার বেঁচে থাকার অধিকার নেই। পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী প্রয়াত মাননীয় জ্যোতি বসুর একটি কথা আজ মনে পড়ছে বিজেপি সম্পর্কে তিনি বলেছিলেন এক কথায় অসভ্য বর্বরের দল। এই দল কে মানুষ পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতায় চাইছে, এরা এখনই ভেবে নিয়েছে ডিটেশন ক্যাম্পে পাঠিয়ে না খাইয়ে মারতাম এই সুযোগে কিছু গরীব মানুষ কে মেরে ফেলা হবে। আর ওখানে তো দলিত নির্যাতন করা হয়। প্রতিদিন ওটা ওদের মজ্জা গত, আবার এটাও ঠিক ইংরেজের দালাল ছিল বেশিরভাগ ভাগ উত্তর প্রদেশের মানুষ তারা চিরটা কাল গরীবের উপর অত্যাচার করে এসেছে আজও করে তার একটাই কারণ স্বাধীনতা পেয়েছে দেশ কিন্তু বাঙালি কে ঐ প্রধানমন্ত্রী বা অন্য কোনো জায়গায় পৌঁছতে দেয় নি। সুভাষ চন্দ্র বসুর কে ব্রিটিশ দের সাথে সঢ়যন্ত্র করে গায়েব করে দেওয়া হল। আর এরা মুখে বিবেকানন্দের বুলি কাজে সেই ইংরেজ আমলে যা করা হতো গরীব মানুষের সাথে সেটাই করা হয়েছে। আমি জানি না দেশে কেউ নেই, সরকারি সকলেই অমানুষ এদের মধ্যে মানবিকতা বলে কিছু নেই। কেন্দ্রে আর কিছু রাজ্যে এই সব জন্ত জানোয়ারের দল সরকারে ক্ষমতা দখল করে বসে আছে। এরা কোন ব্যবস্থা নেবেন না। আজ এই লক ডাউন প্রয়োজন হতো না যদি যদি দু মাস আগে চায়না থেকে আসা মানুষ গুলো কে একটা জায়গায় আটকে রেখে দেওয়া যেত। যেটা উত্তর কোরিয়া করেছে, কোন বিদেশী এলেই তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে দুমাস আগে থেকেই। কারন ওটা বাম শাসিত দেশ তারা গরীব মানুষ মারা দেশ নয় এই অসভ্য অমানুষের দল ভাবছে না খেয়ে এরা বেঁচে আবার 100 দেড়শো কিমি হেঁটে বাড়ি চলে এলো এদের কীটনাশক স্প্রে করে মেরে ফেলা হবে।সব থেকে ভালো গুলি করে গরীব মানুষ গুলো কে মেরে ফেল ঐ পরিকল্পনা করে কীটনাশক দিয়ে জ্বালা যন্ত্রণা দিয়ে কেন মারছিস। তোরা তো ঈশ্বর বা উপর ওয়ালা কে বিশ্বাস করিস, একবার জিজ্ঞেস করে দেখ কার পিঠে ছাপ দেওয়া হয়েছে এ দলিত এ গরীব তোদের ভগবান ছাপ দিয়ে পাঠায় না। তোদের মত কিছু জানোয়ারের দল যাদের মানুষ বলেল পশুর গুলো লজ্জা পায়। আর আমাদের রাজ্যে কিছু ক্ষমতা লোভী মানুষ এই অমানুষের দল কে ডেকে আনছে। যে যে রাজ্যে বামপন্থী ছাড়া অন্যান্য দল ক্ষমতায় আছে তারা এই সব গরীব মানুষ কে পশুর অধম ভাবে। কেরলার বাম সরকার দেখুন পরিযায়ী শ্রমিক দের কি বলছে।

ছবিটি ভিডিও ছিল সেখানে পুলিশ অফিসার দাঁড়িয়ে ঘোষণা করছে পরিযায়ী শ্রমিক দের কোন অসুবিধা হলে সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে ঐ শ্রমিক দের পুরো দায়িত্ব সরকারের। মুখ্যমন্ত্রীর সেখানে নিজের প্রচার করতে আসেনি, বা মাস্ক বিলি করতে আসেনি। কুড়ি টাকা বা পঞ্চাশ টাকার মাস্ক পরে ভাইরাস আটকায় না। তার জন্য চাই এন 95 মাস্ক। এদেরও দিয়েছে খাবার ও অন্য সব কিছু কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী আসেনি, আর কোন পার্টির ব্যানার নেই, দাদারা দাদা গিরি করছে না। একটা কলা খেতে দিয়ে ছবি তুলছে না। কীটনাশক স্প্রে করছে না। আমার রাজ্যের ছবি দেখে নিন মুখ্যমন্ত্রী মাস্ক বিলি করছেন।
আরেকটা জিনিস আছে দেখুন এরা 2018 সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় জেনে ছিল করোনা ভাইরাস আসছে। মুখে রুমাল বেঁধে এসে ছিল।

আপনাদের ভাবনা বা ভাবছেন এদের এই দূর্দিনে টেনে আনা কেন? কারণ দাদা একটা আছে ঐ যে পুলিশের পোশাক ছাড়া লাঠি হাতে রাস্তায় যাদের দেখতে পাচ্ছেন। ওরা কারা, কিছু মানুষ আছে সত্যিই খারাপ সরকার বলছে ঘরে থাকতে ইচ্ছে করে বাইরে আসার কি দরকার? আর তোদের জন্য যাদের সত্যিই দরকার তারা বাইরে গেলে এই নতুন পুলিশের হাতে মার খাচ্ছে। তবে চিন্তা করবেন না কিছু মানুষ পুলিশের মার খেয়ে মারা যাবে, করোনায় যা না মরবে এই রাজ্যে না খেয়ে মারা যাবে অর্ধেক মানুষ। তৈরি থাকতে হবে আসছে, আবার মানুষ লাইন দিয়ে লঙ্গর খানায় দাঁড়াবে আর বড়ো লোকের বাড়িতে গিয়ে, বিজন ভট্টাচার্য, নবান্ন নাটকের নায়ক 'প্রধান' এর মতো চিৎকার করে বলতে শুনবেন বাবুগো একটু ফেন দেবে। কারণ বাংলা আজ আর সেই বাংলা নেই, এখানে প্রচার সর্বস্ব তোলা বাজ চিটিংবাজ জোচ্চর মিথ্যাবাদী ধাপ্পা বাজে ভরে গেছে। সেই জন্যই শেষ করি বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের আমার কৈফিয়তের কয়েকটি লাইন দিয়ে। রক্ত ঝড়াতে পারি না তো একা। তাই লিখে যাই এ রক্ত লেখা, প্রার্থনা করো যারা কেড়ে খায় তেত্রিশ কোটির মুখের গ্রাস। আমার এ রক্ত লেখায় লেখা হোক তাদের সর্বনাশ। তাদের সর্বনাশ। সকলে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। পড়ে খারাপ ভালো মন্তব্য করবেন।
No comments:
Post a Comment