Anulekhon.blogspot.com

Monday, 30 March 2020

কেরল ছাড়া আর কোন সরকার গরীবের পাশে বা মানুষের পাশে নেই।

এই গরীব পরিযায়ী শ্রমিক যারা মানব সভ্যতা কে বাঁচাতে নিজে দেরে শ্রম দান করে সামান্য টাকার বিনিময়ে আজ তারা অবহেলিত। এই ঘোষণার আগেও দিল্লির বলুন আর রাজ্য সরকার কেউ ভাবেনি এদের কথা। অথচ এরা না থাকলে এত সভ্যতা গড়ে উঠত না। কলে কারখানার শ্রমিক বা রাজ মিস্ত্রি আসলে এরা শ্রমিক এরা গায়ে খেটে বাঁচে, ধনীর মতো এদের শ্রমের সঠিক মর্যাদা না দিয়ে মুনাফার পাহাড়ে বসে থাকে কিম্বা এদের গড়ে দেওয়া বাড়িতে বসে আমরা ফেসবুকে পোস্ট করছি। সবাই বাড়িতে থাকবেন, বা পুলিশ মেরেছে ঠিক করেছে। আরও মারা উচিত, মরার এতো ভয় পেয়ে ছে মানুষ একবার ভাবছে না এরাও মানুষ এদের জন্য আমার এই আরাম আমার গাড়ি বাড়ি। সত্যই সমাজ ব্যবস্থার কি নিষ্ঠুর পরিহাস, যারা সারা জীবন খেটে গেল সভ্যতা কে বাঁচিয়ে রাখতে তাদের কথা ভাবল না। কেউ না দিল্লির না সেই রাজ্যের সরকার যে রাজ্যে সে পরিযায়ী ছিল। একমাত্র কেরল সরকার ছাড়া পশ্চিমবঙ্গ বাধ দিন এখানে কোন পরিযায়ী শ্রমিক থাকে না, বরং পশ্চিমবঙ্গের কোন কাজ নেই শ্রমিক যায় অন্য রাজ্যে যেমন একটা পোস্ট দেখলাম হরিয়ানা থেকে পশ্চিমবঙ্গের কিছু পরিযায়ী শ্রমিক দিদির কাছে আবেদন করছে ফিরিয়ে আনার জন্য। তাদের খাবার নেই, সাথে সে রকম টাকা নেই, আমি দেখেছি এ রকম অনেক আবেদন দিদির কাছে আসছে কটা পুরোন হয়েছে জানি না। উপরের হেডিং টা দেখুন তিন দিন বাদে খেতে পেলেন। এক জন তো অঝোরে কেঁদে যাচ্ছে। তবুও এরা ভোটের সময় এই সব চোর চিটিংবাজ কে ভোট দিয়ে জিততে সাহায্য করবে। যারা নেতা হয়ে নিজের আখের গোছাতে ব্যাস্ত এদের কথা ভুলে যাবে। এর থেকেও একটা মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে গেছে এক জন পরিযায়ী শ্রমিক 200 কিমি হেঁটে বাড়ি পৌঁছে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।

কি ভাবছেন সরকার এদের কথা ভেবে এই লক ডাউন ঘোষণা করেছে। মোটেই না, এই সব ভাবনা চিন্তা আসেই নি কি করে এম পি এম এল এ কিনে সরকার গরব তার চিন্তা কারণ জানে একবার ক্ষমতায় এলে কোটি কোটি টাকা আয় করা যাবে। বিভিন্ন রকম ভাবে চুরি প্রকল্প টাকা চুরি বিভিন্ন খাতে বরাদ্দ করা টাকা চুরি। এই দেখুন আমাদের রাজ্যের কেমন হচ্ছে কিছু জায়গায় পুলিশ পৌঁছে দিচ্ছে কিছু জায়গায় ভাই ভাইপো ভাইঝি রা সেখানে গণ্ডগোল দলের লোক তার কেনার ক্ষমতা আছে তাকে দিয়ে আসছে আর যার কেনার ক্ষমতা নেই সে বাদ। যেমন দু টাকা কিলো চাল আনত যাযায় আশি হাজার টাকার বাইক নিয়ে, এরা এবার বিনা টাকায় চাল পাবে। ছবি তে দেখুন ভিডিও দিতে পারলাম না। 
এই ছবিটা দেখে নিন, কোথাও কোথাও পুলিশ যাচ্ছে দিদির পুলিশ সে তো সিভিক ওরাই ব্যাপ ওরা সব। যা হচ্ছে তা দেখে যাও ইনি প্রচার করতে পারেন কি ভাবে সর্বদা ক্যামেরা সামনে থাকতে হবে উনি জানেন কারণ করছেন যেটা সেটা সামান্য সেটা কে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে বড়ো করে দেখতে পারে। কখনো চাল দিচ্ছেন তার ছবি কখনো বাজারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।

আর কেরল মুখ্যমন্ত্রী যিনি রাজ্য বাসীর জন্য সব কিছু ঘোষণা করে দিয়েছেন, এবং সে সব প্রশাসন অর্থাৎ পুলিশ কর্মীরা বাড়ি বাড়ি ঘুরে দিয়ে আসছে বাদ বিচার নেই। পার্টি করলে সেটা আলাদা ভাবে সরকারের সাথে জড়িয়ে না ফেলে করছে। আর এখানে সরকারের জিনিস দেওয়া হয়েছে রাজনৈতিক দলের স্টিকার লাগিয়ে। বরাদ্দ দেখে বোঝা যায় কোথায় 200 কোটি আর কোথায় 20000 কোটি। কিন্তু দেখেছেন ক্যামেরা সামনে নিজের প্রচার করতে। উনি পঞ্চাশ ষাট জন লোক নিয়ে ক্যামেরা নিয়ে প্রচার সারছেন। আর মানুষ কে বলছেন দূরত্ব বজায় রাখতে। কেমন মনে হচ্ছে, তফাৎ ছিল বামপন্থী দের সাথে অন্য দলের সে রয়ে যাবে। বামপন্থীরা শ্রমজীবী মানুষের পক্ষে সর্বদা ছিল এবং থাকবে। কারণ বামপন্থার বিকল্প নেই হতে পারে না। গরীব খেটে খাওয়া মানুষ মানুষের পাশে সর্বদা ছিল আছে থাকবে। আগামী তে বামপন্থীরা দের ক্ষমতায় আনতেই হবে এই রাজ্যে। এই চোর চিটিংবাজ সারদা নারদা কোলকাতা ত্রিফলা বাতি কেলেঙ্কারি, ব্রীজ ভেঙে পড়া। জল ট্যাঙ্ক ভেঙে পড়া, এরকম টাকা লুঠ যা আমরা আগে দেখিনি। আসুন আগামী 2021 সালে পাল্টে দিই। নিজেদের বাঁচার জন্য লুটেরা তাড়াই। আচ্ছা আমার একটা প্রশ্ন আছে সকল পাঠকের কাছে বামফ্রন্টের এম এল এ রা তাদের কোটা থেকে দশ লক্ষ টাকা করে বরাদ্দ করে দিল কেউ কেউ নিজের বেতন দিয়ে দিল। শাসক দলের 235 জন বিধায়ক কোথায়? কিম্বা বিজেপির দুজন ও গেল কোথায় বিজেপি আঠারো জন সাংসদ তারা সব ঘুমিয়ে পড়েছে। 

No comments:

Post a Comment

বাঙালি ও বর্তমান ভারত।

 (ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...