খবর টাইমস অফ ইন্ডিয়ার কেবল দিল্লির নয় গোটা দেশে একই চিত্র। পশ্চিমবঙ্গ সরকার তবুও চেষ্টা করে এরকম কিছু মানুষ কে বাড়ি পাঠিয়েছেন। এরকম অনেকেই বিভিন্ন জায়গায় আটকে পড়েছে কেউ বেড়াতে গিয়ে আটকে পড়েছেন। এরা সকলেই বাড়ি ফিরতে চায়, রাস্তা হাঁটতে শুরু করেছে তার মধ্যেই পুলিশ তাদের বিভিন্ন ভাবে হেনস্থা করছে। লকডাউন ঘোষণা করার আগে এই পরিযায়ী শ্রমিক ও অন্যান্য যারা বেড়াতে গেছেন তাদের কথা ভাবতে হতো।সব রাজ্য সরকার পাঞ্জাব কেরল বা পশ্চিমবঙ্গ নয়, পাঞ্জাব রাজ্যের মধ্যে কিছু আসামের লোক আটকে আছে তাদের নিয়মিত খেতে দেওয়া হচ্ছে। ভালো ভাবে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বাকি রাজ্যে এসব নেই, এই পরিযায়ী শ্রমিক ও যারা বেড়াতে গিয়ে আটকে আছে প্রত্যেক রসদ শেষ হয়ে গেছে অনেক অপরের ভরসায় কোন রকম আছেন। সাথে বাচ্চা ছেলে মেয়ে আছে অন্তত তাদের মুখ চেয়ে কিছু একটা ব্যবস্থা করে দিন। ফেসবুকে দেখলাম হিমাচল প্রদেশের একটি জায়গায় পশ্চিমবঙ্গ থেকে বেড়াতে যাওয়া দুটি না তিনটি পরিবার আটকে আছে। দুই সরকারের কাছে আবেদন দয়া করে কিছু একটা ব্যবস্থা করে দিন যাতে মানুষ গুলো অন্তত বাড়ি ফিরে যেতে পারে। আরও কয়েকটি ছবি দিলাম।
পায়ে হেঁটে চলে যাচ্ছে. ভারতের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে। কেন্দ্র সরকার প্লেনে করে যাদের বিদেশ থেকে নিয়ে এলেন তারা এসে কি করল দেশে করোনা ভাইরাস আরও বেশি করে ছড়িয়ে দিল। এরা তো দেশের মানুষ এক রাজ্য থেকে আরেক রাজ্যে গেছে এদের জন্য কোন কিছু ভাবনা চিন্তা নেই। অন্তত একটু মানবিক মুখ আমরা দেখি।এই আরেকটা ছবি কেমন হাঁটতে শুরু করেছে। কিছু জায়গায় পুলিশ এদের কান ধরে ওঠবোস করাছে কিছু জায়গায় রাস্তায় গড়াগড়ির শাস্তি দিচ্ছে। এদের অপরাধ একটা এরা শ্রমিক।
এরা যদি কোন ভালো বড়ো পরিবারের সদস্য হতো এবং বিদেশে আটকে থাকত তাহলে এখুনি ভারতীয় প্লেন চলে যেত উদ্ধার করে আনতে, আর তারা এই পরিস্থিতিতে দেশ এল ভাইরাস সাথে নিয়ে। কেন্দ্রীয় সরকারের একটু মানবিক মুখ দেখতে চাই, পশুর মনেও মায়া দয়া থাকে, রাস্তার পশুর পাশে মানুষ দাঁড়িয়ে এই সময় খেতে দিচ্ছে। এরা তো মানুষ। অন্তত এদের মানুষ বলে ভাবুন কেবল ভোট দেওয়ার জন্য এদের প্রয়োজন।
কলে কারখানায় কাজ করে এরাই দেশ কে সচল রাখে, মুখে বিবেকানন্দের বুলি বাস্তবে ফাঁকা। দেখুন পশুয় মানুষ কে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। ছবিটা দেখতে অনুরোধ করছি।
No comments:
Post a Comment