Anulekhon.blogspot.com

Tuesday, 24 March 2020

ফেসবুক পোস্ট দেখে মনে হবে, মানুষের কত উপকার করলেন।

এসব পোস্ট করার একটা কারণ ভোটের রাজনীতির করা। এক জন সাংসদ বা বিধায়ক তার এলাকার উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ টাকা থেকে এই টাকা বরাদ্দ করেছেন। একজন সাংসদ পাঁচ বছর ধরে তার সাতটি বিধানসভা এলাকার উন্নয়ন করার জন্য সরকার টাকা বরাদ্দ করেন। সে জনগণের জন্য, সেই টাকা কিভাবে তিনি খরচ করবেন সেটা তার উপর নির্ভর করে আবার অনেক সময় পার্টির নির্দেশের উপর নির্ভর করে। একজন বিধায়ক ও নিজের বিধানসভা এলাকার উন্নয়ন করার জন্য বরাদ্দ পান। যদি সত্যি এসব টাকা এক এক বছর একটি উন্নয়ন মূলক কাজে সব খরচ করা হত, রাজনীতি না করে তাহলে সারা দেশে কোন গ্রাম বা জায়গা আজ পিছনে পরে থাকত না। কারণ এর সাথে সরকারের বিভিন্ন ধরনের প্রকল্প খাতে বরাদ্দ টাকা আছে। সে রাস্তা বিদ্যালয়, হাসপাতাল অনেক কিছু করা সম্ভব হতো, কিন্তু হায় আমাদের পোড়া দেশ এই দেশের মানুষ ভোট দেওয়ার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ে কেবল মারামারি করে, কারণ যদি একটু ভাগ পায় আর দাদা গিরি করে নিজের আখের গুছিয়ে নেওয়া যায়। তাই উনি বা বিধায়ক গণ যে টাকা বরাদ্দ করেন, সেটা আগে থেকেই জনগণের জন্য নির্ধারিত। এ নিয়ে ঢাক পিটিয়ে প্রচার করার কিছু নেই, এই টাকা বরাদ্দ করেছেন, সাংসদ নিজে বলছেন না, বলছেন বা ফেসবুকে প্রচার করছেন। জানি না সত্যি কিনা, তাকে আবার একজন বাহবা দিচ্ছেন। সত্যিই কি বিচিত্র এই বাংলা তথা বাঙালির আদিখেত্যা। যে খানে করোনা সময় মাস্কের উপর জি এস টি চাপে, মুদির দোকানে লাইন পড়ে যায়। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস কম পরে দাম বাড়ে গরীব মানুষ কিনতে পারে না। ফেসবুকে দেখলাম এক জন ভালো বাড়িতে দামী সোফায় বসে নিদান দিচ্ছেন। জানি না উনি পুলিশ কি না? কত গুলো ফোন নম্বর দিয়ে বলছেন জমায়েত দেখলেই ফোন করে খবর দিন। আরও বলছেন, কথা না শুনলে মার,  গত কাল ২৪/৩/2020 সিঙ্গুর এলাকায় সকালের দিকে পুলিশ এটাই করছিল। মানুষ কে কাঁচা আনাজের টুকু আনতে দেয়নি, মাছ সে তো গরীবের কাছে স্বপ্ন চালানি মাছ তিনশ টাকা দেশি যে সব মাছ আইড়শ তিন শ, ডিম আট টাকা পিস ২৬ টাকার চাল ৩০ টাকা আটা বাজারে নেই। আলু যে আলু চাষি বিক্রি করতে পারছিল না। সেই আলু ২৫ টাকা পার করে দিয়েছে। যিনি দামী সোফায় বসে, ঐ ২৪/৩/২০ কথা না শুনলে মার বলছেন আমার মনে হয় তিনি দারিদ্র কি জানেন না। কতজন মানুষের ফ্রিজ আছে যে কাঁচা সব্জি কিনে মজুত করে রাখবে এই ২১দিনের জন্য। আসলে তা নয় কিছু সরকারি কর্মী আছেন যারা নিজেদের অবস্থার সাথে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ কে গুলিয়ে ফেলছে। আমি খেতে পাচ্ছি সকলেই পাচ্ছে, কাজ না করে মালিক তাদের বেতন দিয়ে দেবে আরে সরকার সে বেতন কম দিতে পারলে বাঁচে। এক বছর আগে ঘটা করে ঘোষণা করা হয়,খবরের কাগজ মিডিয়া একবছর যাবৎ নানা রকম গোপসি লেখে, এমন তার ভাষা মনে হয় বছরে চার বার বেতন বেড়ে গেল। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ১৫০০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ১০০০০ টাকা বেতনের অস্থায়ী কর্মী আছে। না পারে নিজের খাবার জোগাড় করতে না পারে ঠিক মতো চিকিৎসা করাতে। পরনের কাপড় সেতো শতছিন্ন, জানেন না মনে হয় পশ্চিমবঙ্গে বর্তমানে ভিক্ষারির সংখ্যা বেশি। অনেক কথা লিখলাম আমি চাই গরীব মানুষের বাড়িতে খাবার পৌঁছে দিক কেবল মুখে ঘোষণা করা নয়। এই ১০০০ টাকা দেব, ঐ হাজার টাকার মধ্যে নেতার ভাগ কত বলবেন ব্যাঙ্ক A/C তে দেওয়া হবে, অনেক আছে যাদের ব্যাঙ্ক A/C নেই। ছ মাসের চাল গম দেব কিন্তু যার রেশন কার্ড নেই, ভিক্ষা করে খায় ও পরের বাড়ি কাজ করে গোদা বাংলায় ঝি গিরি করে খায় তারও কার্ড নেই। এরকম দু থেকে তিন কোটি পশ্চিমবঙ্গ বাসির কার্ড নেই, কেউ বা তিন চার বছর আবেদন করার পরেও এসে পৌঁছয় নি। এই মানুষ না খেয়ে মরুক, দাদা তো হাত তুলে দিয়েছে, সে তার বাস ভবন সংস্কার করার জন্য ২০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেন। আর দেশের মানুষের জন্য বা এই করোনার জন্য পনেরো হাজার কোটি টাকা। ঐ যে প্রথম দিন বলেছেন থালা বাজাও গরীব মানুষ সত্যিই থালা বাজিয়ে বাজিয়ে মারা যাবে। করোনার জন্য মরবে না। করোনা হবে শহরের লোকজনের কারণ বিদেশে যারা যাতায়াত করে তারা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই শহরে থাকে। 

No comments:

Post a Comment

বাঙালি ও বর্তমান ভারত।

 (ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...