Anulekhon.blogspot.com

Friday, 13 March 2020

লুটেরা দের সাহায্য করছে সরকার। দেশে দ্বিতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনের দরকার পরেছে।

আমি অনেক দিন আগেই এই বেসরকারী ব্যাঙ্ক নিয়ে লিখেছিলাম, এরা হচ্ছে দ্বিতীয় চিটফাণ্ড চিটফাণ্ডের নয়া রূপ। এই সব ব্যাঙ্ক গজিয়ে উঠছে আর মহা সমারহে সরকার তথা রিজার্ভ ব্যাঙ্ক তাদের অনুমতি দিচ্ছে। আজ শোনা যাচ্ছে, কৃষকদের সরকারের নির্ধারিত মূল্যে ধান কেনার টাকা এই yes Bank রাখা ছিল, আর এই ব্যাঙ্কের টাকা তোলার চেক দেওয়া হয়েছে কৃষকদের, কেবল পশ্চিমবঙ্গ সরকারের না বিভিন্ন রাজ্যের সরকারি টাকা এবং এমন কি পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের টাকা এই ব্যাঙ্কে রাখা হয়েছিল। কাকতালীয ভাবে যে সব রাজ্যে এই ঘটনা ঘটেছে সে গুলি বি জে পি শাসিত সরকার ছিল বা আছে। আমাদের রাজ্যের দোষ নেই, এখানে বিজেপির বি টিম সরকারে আছে। এরা জানে কীভাবে জনগণের টাকা লুঠ করে খেতে হয়। ঐ যে, "যা গেছে তা যাক" , এসব দেখেও তো মানুষ এদের ভোট দিয়ে জিতিয়ে আনছে, আমাদের রাজ্যের আরেকটা নতুন বাঙালির বেসরকারি ব্যাঙ্ক আছে, তাদের লুঠপাট চালাবার পদ্ধতি আলাদা, তারা লোন বা ঋণ দেয় বিশেষ করে সংঘ বা দল এগুলো আবার মেয়েদের তৈরি, কি রকম পদ্ধতি মনে করুন পঞ্চাশ হাজার টাকা ঋণ দেওয়া হবে। প্রথমে ব্যাঙ্কে একটা খাতা খোলা হবে, ঐ দল খুলবে এবং ঐ দলের লোক ঋণ পেল বলা হোল দশ হাজার টাকা ব্যাঙ্কের বই বা খাতায় থাকবে সিকিউরিটি হিসেবে যেদিন ঋণ শোধ হবে ঐ দিন তোলা যাবে বছরের সুদের হার কম। এবার দশ জন মহিলা পেলেন চল্লিশ হাজার টাকা ঐ দশ বা পাঁচ জন মহিলা কে প্রতি সপ্তাহে 500 টাকা বা 1000 টাকা করে এগারো সপ্তাহ দিতে হবে। কি দাঁড়ালো প্রতি সপ্তাহে পাঁচশ টাকা হলেও পাঁচ হাজার টাকা আবার দশ জন হলেও পাঁচ হাজার টাকা আদায় করা হয়েছে। মোট টাকা উঠে এলো 55 হাজার, তারা টাকা পেল 40 হাজার এক বছরের মধ্যে শোধ করার জন্য কিন্তু শোধ করতে হলো এগারো সপ্তাহে অর্থাৎ তিন মাসের মধ্যে। ব্যাঙ্ক পেল 55 হাজার টাকা, আর ঐ দশ হাজার বলা হলো ওটা আপনাদের খাতায় রাখতে হবে না হলে দ্বিতীয় বার ঋণ পাওয়া যাবে না। অর্থাৎ চল্লিশ হাজার টাকার সুদ আদায় হলো 15 হাজার টাকা, আমি
 যারা এদের ব্যাঙ্ক হিসেবে অনুমতি দিয়েছেন তাদের প্রশ্ন করি তিন মাসের জন্য 40 হাজার টাকার সুদ পনেরো হাজার টাকা হলে বছরে, শতকরা কত হোল। এরা কিন্তু ঋণ দেয় গ্রামীণ এলাকার মেয়েদের তৈরি গোষ্ঠী বা দলকে যাদের ঠকানো সহজ। এর ওর বাড়ি কাজ করে বা মাঠে খেটে বা বিভিন্ন ভাবে মেয়েরা সপ্তাহে পাঁচ শ বা হাজার টাকা যোগার করে রাখে এদের পেয়াদা কে দেবার জন্য। আমার মনে হয় এরাও এক একটা চিটফাণ্ড যারা গ্রামের মেয়েদের বোকা বানিয়ে কোটি টাকা করছে। আর Yes Bank যাদের ঋণ দিয়েছে, তারা বর্তমানে দেশ টাকে লুট করার শোষণ করার পরিকল্পনা করেছে, ইংরেজ আমলে যেমন ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ভারতের কুটির শিল্প শিক্ষা ব্যবস্থা সব ধ্বংস করে দিয়ে ছিল। শোষণ আর লুট করার জন্য, এখন আমাদের দেশের কয়েক জন শিল্পপতি আদানি আম্বানি প্রধানমন্ত্রী নামক এক ব্যক্তি কে পনসর্ড করে দেশ টাকে লুটে খাবার ব্যবস্থা করে যাচ্ছে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই সরকারি বলে কিছু রাখবে না, ব্যাঙ্ক বিমা রেল তেল বিভিন্ন খণিজ পদার্থ সর্ব কিছু ঐ দশ বারো জন শিল্পপতির কুক্ষিগত করা হবে। গনতন্ত্র বলে কিছু থাকবে না বণিক তন্ত্রে পরিবর্তন হয়ে যাবে। আর সেই কারণেই এন আর সি এন পি আর গরীব খেটে খাওয়া মানুষ গুলো কে ক্রীতদাসে পরিনত করার চক্রান্ত তাদের জন্য একবেলা কুত্তার মতো খেতে দেবে আর ডিটেনশন ক্যাম্প নামক আধুনিক জেলে বন্দি করে রাখা হবে। কাজের লোকের প্রয়োজনে গাড়ি যাবে লোক তুলে এনে কাজ করিয়ে আবার ঐ ক্যাম্পে রেখে আসবে, যদি সে বেঁচে থাকে। আরেক দিকে মধ্যবিত্ত জনগণ এই সব শিল্প পতির ভাঁড়ার পূর্ণ করে দেবে বিভিন্ন ভাবে সমাজে তিন শ্রেণীর মানুষ থাকবে একেবারে ধনী, উচ্চবিত্ত আর ওরি মধ্যে উচ্চ মধ্যবিত্ত। আর গরীব মানুষ গুলো থাকবে ঐ ক্যাম্পে, আমি মাঝে মাঝে দেখছি বামপন্থী ছাত্র যুব এরা আন্দোলন করছে, আর আমাদের রাজ্যের সরকার সে তো লুটেরা দের সরকার সে জানে আগে সারদা রোজভ্যালী এম পি এস গ্রীনারি ইত্যাদি ছিল সাধারণ মানুষ কে লুট করে খেয়েছি এখন সরকারি টাকা টেন্ডার ডাকা থেকে শুরু মাল সাপ্লাই সবেতেই টাকা তার উপর আছে খেলা মেলা পুজো করার জন্য টাকা, ধর্ষণ শ্রী থেকে শুরু করে নানা শ্রী কলেজে ভর্তির জন্য টাকা, চাকরি করে দেওয়ার জন্য টাকা চাকরি পাওয়ার বদলি হতে টাকা, কত ভাবে টাকা উপায় করা যায়। আমি বিভিন্ন সোসাল মিডিয়ায় দেখি আর ভাবি এদেরও সমর্থন করে মানুষ না হলে ভোটে জেতে কি করে? আবার এদের সাথে গরুর দল আছে, তাদের নেতারা কি না জানে গরুর থেকে কি না পাওয়া যায়, সোনা থেকে শুরু করে বিভিন্ন রোগের ওষুধ সব আছে এই গরুর মুত্র আর গোবরে। আমি বুঝতে পারি না, কি বাঙালি জাতির এতো অধপতন হোল, যারা একদিন গোটা ভারত কে স্বাধীনতা যুদ্ধের পথ দেখিয়েছে। আধুনিক শিক্ষার প্রসার ঘটিয়েছে, তারা আজ চুরির টাকার ভাগ পাওয়ার জন্য বর্তমান শাসক দল আর গোমুত্র ভোগী বা গো পালক দের চতুর কথায় নিজেদের ডুবিয়ে দিচ্ছে। এই সুযোগে তারা দেশটা কে আবার পরাধীন করার চক্রান্ত করে চলেছে, আবার এটাও ঠিক সেই সময়ে ব্রিটিশদের পা চাটা কুত্তার দল ছিল, যারা এখন সরকার চালাচ্ছে। চোর কে কিভাবে সাধু বানাতে হবে তার পরিকল্পনা নিয়েছে, এই সব চোর লুটেরা কে সমর্থন করে যাচ্ছে মানুষ কিসের আশায়! আগামী তে পৌরসভা নির্বাচন আছে, জানি না শহরের মানুষ এই সব চোর লুটেরা চিটিংবাজ তোলা বাজ তোয়ালের নীচে টাকা নেওয়া দের সমর্থন করবে কিনা যদি করে তাহলে বুঝতে হবে শহরের মানুষ প্রত্যেকে এই লুটের বা চুরির ভাগ পায়। শিক্ষার কোন দাম নেই, তবে আমি সোসাল মিডিয়া দেখি আর অবাক হয়ে যাই। কি যুগ এলো দেশটা আবার লুটেরা দের দখল, আসুন না আমরা প্রতিটি শুভ বুদ্ধির মানুষ এর প্রতিবাদে গর্জে উঠি আবার একটা স্বাধীনতার জন্য লড়াই শুরু করে দিই।



No comments:

Post a Comment

বাঙালি ও বর্তমান ভারত।

 (ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...