Anulekhon.blogspot.com

Friday, 13 March 2020

দাদা ও দিদির গর্বের কীর্তি। আমরা গর্বিত বাঙালি।

এটা এখানে প্রথম ছবি হলেও এর আগে আরও ছিল, দেখুন বাংলার গর্বের গর্বিত, এর পরেও যারা গর্বিত তারা মনে হয়, এই ভাঙার সময় সাথে ছিলেন, একে সমর্থন করেন। ভাঙচুর করা খুব ভালো লেগেছে, সেই জন্যই গর্ব করেন, এটা 2006 সালের ঘটনা।
সিঙ্গুর থেকে টাটা মোটর গাড়ির কারখানা তাড়াতে আদা জল খেয়ে নেমে ছিলেন। এটাও গর্বের, এখন তো এই রাজ্যের আরেকটা মোটর গাড়ি কারখানা হিন্দ মোটর বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। নিশ্চয়ই এর জন্যে বাঙালির গর্বিত কারণ অনেক বেকারের চাকরি পাওয়ার স্বপ্ন ধুলিসাৎ হয়ে গেছে। যারা গর্বিত নিশ্চয়ই তাদের বাড়িতে বেকার ছেলে মেয়ে নেই।
অনেকেই এই সারদার জন্য গর্ব অনুভব করেন কারণ যার গেছে তার যাক আমার তো যায়নি। যারা আত্মহত্যা করেছে ঠিক হয়েছে, এত কোটি মানুষ যদি এক দেড়শ জন মরে ক্ষতি নেই। আমার মনে হয় যারা গর্বিত তারা এর টাকা ভাগ পেয়েছেন। অনেকেই দেখছি ফেসবুক ও অন্যান্য সোশাল মিডিয়ায় প্রচার করছেন। কিছু পাক আর না পাক ধর্ষণ শ্রী আর কলেজে ভর্তির জন্য ঘুষ দেওয়ার টাকা কন্যাশ্রী আরেকটা সাইকেল যে সাইকেল সপ্তাহে একদিন করে সারাতে হয়। তবে এটা ঠিকই এই সাইকেলের জন্য সাইকেল সারার দোকান গুলো বেঁচে গেল, না হলে সব ফিন্যান্সে মোটর বাইক নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আর দু টাকা কিলো চাল আনতে আশি হাজার টাকার বাইক চেপে যাচ্ছে। যারা গর্বিত তারা নিশ্চয়ই রেশন কার্ড আধার কার্ড আর ভোটার কার্ডের জন্য ভোর থেকে লাইন দেননি। আসুন আরেকটা গর্বের বিষয় দেখে নিই।
এরা খুব ভালো লোক কেবল তোয়ালে চাপা দিয়ে নারদার কাছ থেকে টাকা নিচ্ছে, এত ভাল যে এরা তিন জনেই কলকাতার মেয়র ছিলেন, নিশ্চয়ই গর্বের বিষয় কারণ ঐ পদে আমাদের সকলের প্রিয় নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু ছিলেন। সেই পদে সব ঘুষ খোর নিশ্চয়ই গর্ব করার মত বিষয়। যারা গর্বিত তাদের ভাগ নিশ্চয়ই বাড়িতে গেছে, নিশ্চয়ই না হলে গর্বিত বোধ করবেন কি করে!
এটা একটা ঘটনার ছবি আরও অনেক এই ঘটনা ঘটে গেছে, কোনটার বিচার এখনও শেষ হয়নি, যারা গর্বিত নিশ্চয়ই তার বাড়িতে মেয়ে নেই, অন্যের মেয়েদের সাথে হয়েছে ভালো লেগেছে, সেই জন্যই গর্ব অনুভব করতে পারি। আর এবিষয়ে কিছু লিখছি না, এতো দিদি কে নিয়ে গর্ব করার মত কিছু সামান্য ঘটনা আরও অনেক কিছু আছে, তথাকথিত নিরপেক্ষ কাগজ আর চ্যানেল গুলো লক্ষ করুন দেখবেন আরও গর্বিত হওয়ার বিষয় আছে। আচ্ছা আপনার বাড়িতে বেকার ছেলে মেয়ে আছে শিক্ষিত বেকার যারা এস এস সি পরীক্ষায় পাশ করেও চাকরি পায় নি, চাকরি পাওয়ার জন্য একবছর আগে 29 দিনের অনশন করেছছিল। একজনের গর্ভের সন্তান নষ্ট হয়ে গেল। আবার তারা কাল থেকে ঐ জায়গায় অবস্থান বিক্ষোভে বসছে। গর্ব বোধ করেন তো নাকি আপনাকে চাকরি পাওয়ার জন্য ঘুষ দেয়নি, সেই জন্যই এদের চাকরি না হওয়া উচিত। আমার আমাদের গর্বের বিষয় সরকারি কর্মীদের বেতন কমিয়ে দেওয়া, ডি এ না দেওয়া, আমার আরও গর্ব হয়, সরকার ডি এ না দেওয়ার জন্য মামলায় যাচ্ছে, আমার যে টাকা মামলার পিছনে খরচ করছেন তাতে দু এক কিস্তি ডিএ দেওয়া হয়ে যেত। যেমন সারদায় সি বি আই না আসে তার জন্য মামলা, 2013 সালে পঞ্চায়েত নির্বাচন না করার জন্য মামলা, টাকা গুলো কিন্তু আপনার আমার করের টাকা। যাহোক তবুও গর্বের বিষয় আরও অনেক কিছু গর্ব করার বিষয় আছে, লিখলে শেষ হবে না। এতো গেল দিদি কে নিয়ে গর্ব করার মত কিছু ঘটনা। এবার দাদা কে নিয়ে যারা গর্বিত তাদের জন্য দাদা আমাদের যে যে বিষয়ে গর্বিত করেছেন।
ছবি দিলাম যারা গর্বিত বোধ করছেন তাদের জন্য, এত একটা বি এস এন এল ব্যাঙ্ক বিমা সব কিছু নিয়ে গর্ব করতে পারেন। আরেকটা ছবি দেখে নিন,
2014 সালে কালো টাকা এনে আপনার এ্যাকাউন্টে 15 লক্ষ টাকা দেবেন বলে ছিলেন। এখন আপনি গর্ব করতে পারেন, দাদা বড়ো বড়ো শিল্প পতিদের কোটি কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছেন, তারা শোধ না করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছে। জানি আপনি বলবেন ওসব তো আমার টাকা নয়, এই জন্যই লেখা পড়ার প্রয়োজন। আপনার আমার গর্ব করার মত কিছু আছে, আপনার বাড়িতে চাল নেই ভাত হবে না ডাল তেল নুনের দাম বেশি তাতে কুছ পরোয়া কেবল গো মুত্র আর গোবর খেলেই পেট ভরে যাবে। ঐ যে দাদার চ্যলারা বলে দিচ্ছে, করনা ভাইরাস বড়ো বড়ো জানি না আদৌ ঐ ভাইরাস এই রাজ্যে আছে কিনা কেবল মাস্ক বিক্রি করতে গুজব ছড়ানো হচ্ছে না তো! হয়তো দেখা যাবে কোন বড়ো বন্ধু ঐ মাস্ক তৈরি করে। আরও গর্বের বিষয় আছে, তার আগে আপনি আমি যদি নাগরিক থাকি তাহলে খুব ভালো। কারণ আসামের এন আর সি দেখেছেন, পশ্চিমবঙ্গে দিদি আর দাদা মিলে এন আর সি করবেন প্রস্তুতি নিচ্ছে তার প্রথম ধাপ এন পি আর আগামী এপ্রিল থেকে শুরু হবে। টাকা গুলো কিন্তু আমাদের করের টাকা, কাদের ঋণ দিয়েছে ব্যাঙ্ক শোধ করেনি।
খবর পড়ুন সঠিক খবর পড়ুন, আরেকটা বিষয় না দিলে নয়, যারা দাদা আর দিদির জন্য ভোট বা অন্য সময় দাঙ্গা করছেন তাদের জন্যে।
দেখুন ছবির ছেলেটি গুজরাত দাঙ্গায় অংশ গ্রহণ করে ছিল। সে এখন রাস্তায় বসে জুতো পালিশ করছে আর যাদের কথায় বা জন্য করে ছিল, তারা সকলেই উচ্চ পদে আসীন কোটি কোটি টাকার মালিক। আরও ছিল দিলাম না, সকলেই গর্ব করুন তবে দেশ ও জাতির মাথা হেঁট করে নয়। (বিঃ দ্রঃ-ছবি গুলো ফেসবুক ও হোয়াটস এ্যাপ ও ডেলি হান্ট থেকে সংগ্রহ কৃত।) 

No comments:

Post a Comment

বাঙালি ও বর্তমান ভারত।

 (ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...